২০২৪ সালের ২১ অগস্ট সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে (ইউএই) ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তানের (আইইএ) দূত আনুষ্ঠানিক ভাবে আবু ধাবিতে নিজের প্রমাণপত্র পেশ করেন এবং চিনের পরে দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ইউএই আনুষ্ঠানিক ভাবে তালিবান-নিযুক্ত কূটনীতিককে স্বীকৃতি দেয়। ওই একই দিনে কাজাখস্তানের বিদেশবিষয়ক মন্ত্রক নিজেদের দেশে আফগান দূতাবাসের শার্জ দ্যাফেয়ার্স হিসেবে একজন তালিবান কূটনীতিককে গ্রহণ করার কথা ঘোষণা করেন। কোনও দেশ তালিবান-চালিত এমিরেটকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না দিলেও এই পদক্ষেপগুলি এখন এই গোষ্ঠীর জন্য একটি কূটনৈতিক জয়। কারণ এটি এই অঞ্চলে ও এর বাইরের দেশগুলির নিরাপত্তাহীনতাকে কাজে লাগিয়ে তালিবানের কূটনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার প্রচেষ্টাকেই দর্শায়।
অন্যান্য বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে বাস্তববাদ?
সৌদি আরব এবং পাকিস্তানের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরশাহিই সেই অন্যতম দেশ, যে আনুষ্ঠানিক ভাবে তালিবানের ইসলামিক আমিরাতের (১৯৯৬-২০০১) প্রথম পুনরাবৃত্তিকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এমনকি দেশটি তার রাষ্ট্রদূতের উপর ২০১৭ সালের হামলার পরে আফগানিস্তানে তার কূটনৈতিক উপস্থিতি হ্রাস করলেও এবং ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ চলাকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করলেও, ক্রমশ তালিবানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। তালিবানরা ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সেখানে নিজেদের দূতাবাস পুনরায় চালু করে এবং ২০২২ সালে আবু ধাবি-ভিত্তিক সংস্থা জিএএসি সলিউশনস কাবুল, কান্দাহার এবং হেরাতের তিনটি বিমানবন্দরে সমস্ত ‘অন-গ্রাউন্ড অপারেশন’ পরিচালনা করার চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। কাতার ও তুর্কিয়ে উভয়ই এই চুক্তিটি পাওয়ার আশা করেছিল। কারণ ২০২২ সালের শুরুতে তাদের সঙ্গে তালিবানের একটি প্রাথমিক চুক্তি হয়েছিল। অবশেষে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আইইএ-র ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার মোল্লা আবুল গনি বারাদার-এর সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরের সময় চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এয়ারআরবিয়া এবং ফ্লাইদুবাইও কাবুল থেকে পুনরায় উড়ান চালু করেছে।
সৌদি আরব এবং পাকিস্তানের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরশাহিই সেই অন্যতম দেশ, যে আনুষ্ঠানিক ভাবে তালিবানের ইসলামিক আমিরাতের (১৯৯৬-২০০১) প্রথম পুনরাবৃত্তিকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
আমিরাতি নেতারা ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে তালিবানের বর্ষীয়ান নেতাদের সঙ্গে দেখা করছেন। দূতকে স্বীকৃতি দেওয়ার এক সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান আইইএ-র ভারপ্রাপ্ত প্রাইম মিনিস্টার মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, যিনি চিকিৎসার কারণে সে দেশে গিয়েছিলেন। জুন মাসে শেখ নাহিয়ান আইইএ-র ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানির সঙ্গে দেখা করেন এবং উভয়ে পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা ও অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন। আবু ধাবির জন্য তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা একাধিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ। তার প্রধান কারণ হল কাতারের সঙ্গে আবু ধাবির প্রতিযোগিতা এবং মার্কিন সেনা প্রত্যাহার-পরবর্তী আফগানিস্তানে দোহার ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে আবু ধাবির উদ্বেগ। এই সব কারণেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি আফগানিস্তানে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য বর্তমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগাচ্ছে।
এই কূটনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি উজবেকিস্তানের প্রাইম মিনিস্টার ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে ১৭ অগস্ট আফগানিস্তান সফর করেন এবং এটিই ছিল কোনও দেশের তরফে আফগানিস্তানে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর। উভয় পক্ষই সে সময়ে বেশ কয়েকটি বৈঠক করে এবং ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ৩৫টি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। তালিবানের সরকারি গণমাধ্যম অনুসারে, উজবেক প্রাইম মিনিস্টারও তাসখন্দে তালিবানের দূতকে আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রহণ করার প্রবণতা দেখিয়েছেন এবং তাঁদের দেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেন্ট্রাল এশিয়ান রিপাবলিকস (সিএআর) এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা স্বার্থ এবং সংযোগ উদ্যোগ সম্পর্কিত বিষয়ে তালিবানদের সঙ্গে ধারাবাহিক ভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে। কাজাখস্তানও তালিবান কূটনীতিককে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং এই বছরের জুন মাসে আস্তানার গোষ্ঠীটিকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুসরণ করে। জুলাই মাসে তুর্কমেনিস্তানও এক তালিবান কূটনীতিককে শার্জ দ্যাফেয়ার্স হিসেবে গ্রহণ করে।
ভারসাম্যপূর্ণ এবং অর্থনৈতিক বিদেশনীতি
তালিবানের আনুষ্ঠানিক সংবাদের চ্যানেল আল এমাহারাহ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সিদ্ধান্তকে আইইএ-র একটি ‘আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি’ হিসাবেই বিবেচনা করেছে, যা বিস্তৃত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বৈধতা অর্জনের জন্য তাদের প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করবে। ২০২১ সাল থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গি তালিবানকে তার নীতিগুলি সংযত করার উদ্দেশ্যে চাপ দেওয়ার জন্য, সাহায্যের পরিমাণ হ্রাস করতে বা কঠোর ভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করে গোষ্ঠীটির বিশ্বদৃষ্টিতে কোনও পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়েছে। একই সঙ্গে, আমিরাত তার আশেপাশে এবং তার বাইরের বেশিরভাগ দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক স্থাপন করেছে। আঞ্চলিক দেশ ও পশ্চিমের দেশগুলির মধ্যে আদান-প্রদানের মাত্রায় পার্থক্য থাকলেও কোনও না কোনও ভাবে তালিবানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার অনিবার্যতাকে অনিচ্ছাসত্ত্বেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের অগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যবর্তী সময়কালে আইইএ এবং অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে সম্পৃক্ততার খতিয়ান নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন অ্যারন জেলিন। তাঁর মতে, আইইএ প্রায় ৮০টি দেশের সঙ্গে কমবেশি ১৩৮২টি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছিল, যার বেশিরভাগই প্রচারিত হয়েছিল সামাজিক গণমাধ্যমে।
২০২১ সাল থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গি তালিবানকে তার নীতিগুলি সংযত করার উদ্দেশ্যে চাপ দেওয়ার জন্য, সাহায্যের পরিমাণ হ্রাস করতে বা কঠোর ভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করে গোষ্ঠীটির বিশ্বদৃষ্টিতে কোনও পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
১৫ অগস্ট দলটি আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরে আসার তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে বাগরাম বিমান ঘাঁটিতে একটি কুচকাওয়াজের আয়োজন করে। গোষ্ঠীর সদস্যরা বন্দুক বহন করে এবং সেই সঙ্গে তাদের সামরিক সম্পদ ও ক্ষমতা প্রদর্শন করে অস্ত্র ও সামরিক যানবাহন সমেত মহড়া চালায়। সৈন্য প্রত্যাহারের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিছু অস্ত্র ও যানবাহন রেখে গিয়েছিল। তালিবান কর্মকর্তাদের বক্তৃতায় বহিরাগত হস্তক্ষেপ ও বিদেশি দখলদারিত্ব থেকে আফগানিস্তানের স্বাধীনতার দাবি এবং তালিবানের প্রত্যাবর্তনের স্থিতিশীল প্রভাবস্বরূপ প্রবাসীদের দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রায় ১০,০০০ মানুষের এই জমকালো উদ্যাপনের কোথাও আফগানিস্তানের নারীরা বা জনগণ যে সব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, সে সম্পর্কে কোনও উল্লেখ ছিল না। তালিবানের এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল তাদের কাছে থাকা শক্তির প্রদর্শন করা এবং তাদের ক্ষমতার প্রথম বছরের তুলনায় এই শক্তি নিঃসন্দেহে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর থেকে গোষ্ঠীটি নিজেদের বৈদেশিক নীতি ও বিশ্বের কাছে সেই নীতির প্রসারকে অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করেছে। তারা এটিকে তাদের ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’র পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি করেছে এবং দাবি করেছে যে, তারা ‘অর্থনীতিভিত্তিক ও ভারসাম্যপূর্ণ বৈদেশিক নীতি’ অনুসরণ করে। গত বছর তাদের বার্ষিক জবাবদিহি অনুষ্ঠানের সময় বিভিন্ন মন্ত্রক কাজের হিসাব দেওয়ার সময় এমনটাই দাবি করেছে। আগের বছর আমিরাতের ভারপ্রাপ্ত ফরেন মিনিস্টার এমন দেশগুলির সঙ্গে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরেন, যাদের সঙ্গে রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকলেও পারস্পরিক অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। তারা অর্থনৈতিক কূটনীতিকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ভাবে ‘বৈধতার হাতিয়ার’ বলে মনে করে।
এক দিকে তালিবান প্রকাশ্যে পশ্চিমীদের নেতিবাচক প্রচার এবং কলুষিত প্রভাবের জন্য উপহাস করে; এবং অন্য দিকে তারা আফগানিস্তানের উন্নয়নে তাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানায়। এই নীতির লক্ষ্য হল সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা এবং আফগানিস্তানকে ‘নেতিবাচক’ প্রতিযোগিতার পরিসর হয়ে ওঠা থেকে বিরত রাখা। কিন্তু এই অর্থনৈতিক বিষয়ের মোড়কে বাইরের পৃথিবীর প্রতি তালিবানের মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি মূলত দু’টি প্রেক্ষিতের উপর নির্ভর করে। বিভিন্ন দেশের উদ্বেগ মূলত নিরাপত্তা সম্পর্কিতই। আর দ্বিতীয় প্রেক্ষিতটি হল তালিবানের সঙ্গে কোনও অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার পাশাপাশি তাদের জন্য আরও পরিসর তৈরি করা, যাতে তারা নিজেদের দেশের অভ্যন্তরে পশ্চাদমুখী নীতিগুলি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়।
দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তালিবানের মোকাবিলা করা
নারী ও সুশীল সমাজ গোষ্ঠীর পরিবর্তে তৃতীয় দোহা সম্মেলনে তালিবানের অংশগ্রহণ; আফগানিস্তান থেকে মানবাধিকার সংক্রান্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ দূত রিচার্ড বেনেটকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত; ইউরোপে কূটনৈতিক মিশনে তালিবানের তরফে এই নির্দেশিকা প্রদান যে, গণতন্ত্রপন্থী কূটনীতিকদের পাসপোর্ট, ভিসা বা তাদের মিশনের দ্বারা জারি করা অন্যান্য নথি তালিবান গ্রহণ করবে না… সবই গোষ্ঠীটির ক্রমবর্ধমান দৃঢ়তাকেই দর্শায়। কূটনৈতিক স্বীকৃতি অর্জন তালিবানের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হলেও বর্তমান সমীকরণ গোষ্ঠীটিকে আফগানিস্তানে জমি শক্ত করার পরিসর প্রদান করবে এবং জনসমক্ষে নিজেদের কূটনৈতিক শক্তি উপস্থাপন করার সুযোগ করে দেবে।
এক দিকে তালিবান প্রকাশ্যে পশ্চিমীদের নেতিবাচক প্রচার এবং কলুষিত প্রভাবের জন্য উপহাস করে; এবং অন্য দিকে তারা আফগানিস্তানের উন্নয়নে তাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানায়।
২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ জবাবদিহিতার অধিবেশনে কেন দেশগুলি আফগানিস্তানের সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে মুত্তাকি স্বীকৃতির অর্থ কী তা নিয়ে ধারণার অভাবকেই তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যদি দূতাবাস খোলা, কূটনীতিকদের আদান-প্রদান, ভিসা ও পাসপোর্ট প্রদান, প্রতিনিধিদলের সফর এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ককে স্বীকৃতির আওতায় আনা যায়, তা হলে নির্দিষ্ট কিছু দেশ অবশ্যই তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। এই ইচ্ছাকৃত অস্পষ্টতা গোষ্ঠীটিকে স্বীকৃতির বিনিময়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন, নারীর অধিকার ও স্বাধীনতা সংক্রান্ত বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দাবিগুলিকে উপেক্ষা করার সুযোগ করে দেয়, যখন তারা বলে যে বিশ্বের সঙ্গে তাদের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততা তাদের কৌশলী কূটনীতির কারণেই ঘটেছে।
উপসংহার
তাই আশা করা যায় যে, আগামী মাসগুলিতে অন্য কিছু দেশও তালিবানের কূটনীতিকদের স্বীকৃতি দেবে এবং গোষ্ঠীটির সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ আঞ্চলিক দেশগুলির জন্য অন্য সমস্ত উদ্বেগের চেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে এবং ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদী হুমকিকে প্রতিরোধের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য আঞ্চলিক প্রক্রিয়ায় গোষ্ঠীটিকে আরও বেশি করে সমন্বিত করার চেষ্টা করবে। আফগানিস্তানের জনগণ, বিশেষ করে নারীদের জন্য - এ হেন একটি শাসনব্যবস্থা যা ক্রমশ আন্তর্জাতিক চাপ প্রতিহত করার শক্তি অর্জন করছে, প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলির অধিকার এবং স্বাধীনতাকে ক্রমশ দমন করবে। মন্ত্রক দ্বারা গৃহীত ভার্চু ল বা সদগুণ আইনের সাম্প্রতিক অনুমোদনের মাধ্যমে এ কথা স্পষ্ট। গুণাবলির প্রচার ও প্রতিরোধের এই আইনে মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করা এবং নারী ও পুরুষ উভয়ের দৈনন্দিন কার্যকলাপকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়েছে। তবে এ সব কিছুই আদতে দর্শায় যে, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে সাধারণ আফগানদের জীবন কতটা খারাপতর হয়ে উঠছে।
শিবম শেখাওয়াত অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের জুনিয়র ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.