-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
২০১১ সালে ব্রহ্ম চেলানির লেখা "ওয়াটার: এশিয়া'স নিউ ব্যাটলগ্রাউন্ড " বইটি প্রকাশের পর থেকে মিডিয়ার আখ্যান ও জনসাধারণের আলোচনায় ইয়ারলুং সাংপো-ব্রহ্মপুত্র নদী ব্যবস্থা থেকে সম্ভাব্য চিনা জল-অপসারণের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। চিন বাঁধ নির্মাণ ও জল অপসারণের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলকে শুকিয়ে ফেলতে পারে এবং ভাটির প্লাবনভূমি গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পলি আটকে রাখতে পারে, এমন প্রচারণাকে সাহিত্যে ব্রহ্ম হাইপোথিসিস হিসাবেও উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও চিনের উজানের জল-আধিপত্য নীতিশাস্ত্রীয় ও নৈতিকভাবে যাচাই-বাছাইয়ের দাবি রাখে, ব্রহ্মপুত্র জল-রাজনীতি সম্পর্কে সমগ্র আলোচনা এখনও একটি গুরুত্বপূর্ণ শূন্যতা দ্বারা আবৃত — উপযুক্ত তথ্যের অনুপস্থিতি। এই ধরনের তথ্যের ঘাটতির মধ্যে আলোচনা ফলস্বরূপ অপ্রমাণিত মিথের জন্ম দিয়েছে, যার ফলে জল্পনা-কল্পনা জনপ্রিয় বাকবিতণ্ডায় পরিণত হয়েছে। এ সবের পরিণতিতে অববাহিকার ইতিমধ্যেই ভঙ্গুর জল-রাজনৈতিক ভূদৃশ্য আরও খারাপ হয়েছে।
চিন বাঁধ নির্মাণ ও জল অপসারণের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলকে শুকিয়ে ফেলতে পারে এবং ভাটির প্লাবনভূমি গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পলি আটকে রাখতে পারে, এমন প্রচারণাকে সাহিত্যে ব্রহ্ম হাইপোথিসিস হিসাবেও উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি, চিন সরকার তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীর গ্রেট বেন্ডে একটি মেগা-ড্যাম নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে, যে নদীটি ভারতে প্রায়শই ব্রহ্মপুত্র নদীর দীর্ঘতম উপনদী হিসাবে পরিচিত, যদিও এই দৃষ্টিভঙ্গিতে ভিন্নতা রয়েছে। অনেকে ইয়ারলুং-সাংপোকে ব্রহ্মপুত্র প্রণালীর প্রধান ভিত্তি হিসাবে বিবেচনা করেন।
এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক রিয়েল এস্টেটগুলির মধ্যে একটিকে জলবিদ্যুৎ তৈরির জন্য ব্যবহার করার পরিকল্পনা করে গ্রহণ করা হয়েছে। এই এলাকাটিতে নদীটির ভারতের পূর্বতম রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের দিকে, যেখানে এটি সিয়াং নামে পরিচিত, প্রবাহিত হওয়ার সময় নদীর ৫০ কিলোমিটার অংশের মধ্যে উচ্চতা বিরাটভাবে ২,০০০ মিটারের মতো কমে যায়। সিয়াং ভারতের ব্রহ্মপুত্র নদীর তিনটি প্রধান উৎসের মধ্যে একটি, যা এই ঘটনাকে উল্লেখযোগ্য উদ্বেগের কারণ করে তোলে। এই আশঙ্কাগুলি আরও জোরদার হয়েছে এই ভিত্তিহীন বাগাড়ম্বরের মাধ্যমে যে বাঁধটি ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহ ও গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে, পুষ্টিকর পলি আটকে ফেলতে পারে, এবং ভারত ও বাংলাদেশে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।
ইয়ারলুং সাংপো/সিয়াং উপনদীতে বাঁধ এবং গুরুত্বপূর্ণ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র-সহ ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার মানচিত্র। মানচিত্র সায়নাংশু মোদক ও নীলাঞ্জন ঘোষ দ্বারা তৈরি।
হাইড্রোচায়নার একটি বিদ্যমান মানচিত্রের উপর ভিত্তি করে নিম্ন ইয়ারলুং বাঁধের সম্ভাব্য অবস্থান। মানচিত্র সায়নাংশু মোদক এবং নীলাঞ্জন ঘোষের তৈরি।
এমন একটি পরিবেশে যেখানে হিমালয়ের নদীগুলির উপর আন্তঃসীমান্ত জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত তথ্যের অভাব রয়েছে এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা জনসাধারণের আলোচনায় প্রাধান্য পায়, এই ধরনের বক্তব্য উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে এবং আন্তঃসীমান্ত অগ্রাধিকারগুলিকে বিভ্রান্ত করে। এই লেখার লক্ষ্য হল বাস্তবতা থেকে মিথকে আলাদা করা এবং বৈজ্ঞানিক তথ্য ও কার্যকর অগ্রাধিকারগুলির উপর আলোচনা পুনরায় কেন্দ্রীভূত করা।
জল-রাজনীতি থেকে ভূ-রাজনীতিকে বিচ্ছিন্ন করা
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে গ্রেট বেন্ডে চিনের মেগা-ড্যামকে ‘ভূ-রাজনৈতিক অস্ত্র’ হিসাবে উপস্থাপন করা বিভ্রান্তিকর। এই প্রকল্পটি অনিবার্য ছিল, এবং আধিপত্য বিস্তারের জন্য বহুমুখী ভূ-রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডার সঙ্গে এর কোনও যোগসূত্র নেই। ‘গ্রেট বেন্ড’ ২০০৩ সালের প্রথম দিকে জলবিদ্যুৎ উন্নয়নের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছিল। বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, ২০১৭ সালের একটি গবেষণাপত্রের অনুমান অনুসারে, ইয়ারলুং জাংবো অববাহিকার জলবিদ্যুৎ উন্নয়নের সম্ভাবনার মাত্র ০.৩% ব্যবহার করা হয়েছিল। এখন, ইয়াংৎজেতে ২৪.৬%, ইয়েলোতে ৩৪.২% এবং পার্লের জন্য ৫৮%-র সঙ্গে তুলনা করলে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, শেষ পর্যন্ত তিব্বতের মেডোগ কাউন্টিতে ইয়ারলুং জাংবোর এই অংশের দিকেই নজর পড়বে। এই কাউন্টির দূরবর্তী অবস্থান, যেটি শুধুমাত্র ২০১৩ সালে হাইওয়ে দ্বারা সংযুক্ত হয়, এই প্রকল্পটিকে বিলম্বিত করেছিল। তার পাশাপাশি নদী যে অবিশ্বাস্য জলবাহী ঢাল (গ্রেডিয়েন্ট) তৈরি করে, তা কাজে লাগানোর প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলিও ছিল। বর্তমানে, ২০৬০ সালের মধ্যে চিনের কার্বন নিরপেক্ষতার লক্ষ্যে জোর দেওয়ার ফলে জলবিদ্যুৎ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে এবং তা শুধু নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবেই নয়, বরং গ্রিড স্থিতিশীলতার জন্যও, যা বায়ু ও সৌরশক্তির মতো বিরতিহীন উৎসের ভারসাম্য বজায় রাখে। বায়ু ও সৌরশক্তি, যা মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে, তার বিপরীতে, সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য বজায় রেখে জলবিদ্যুৎ দ্রুত তার উৎপাদন সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে পারে — সামগ্রিক পুনর্নবীকরণযোগ্য উৎপাদন কম থাকলে শূন্যস্থান পূরণ করে, অথবা জ্বালানি উৎপাদনে উদ্বৃত্তের সময় উৎপাদন হ্রাস করে। এই ক্ষমতা একটি স্থিতিশীল ও নির্ভরযোগ্য পাওয়ার গ্রিড নিশ্চিত করে, যা একটি পরিচ্ছন্ন শক্তি ভবিষ্যতের দিকে উত্তরণের সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা।
বাগাড়ম্বর বনাম বাস্তবতা
মানচিত্র এবং নদীর দৈর্ঘ্যের ভৌগোলিক বণ্টনের দিকে নজর দিলেই বোঝা যায় যে ব্রহ্ম হাইপোথিসিস কেন আকর্ষণীয় হয়। তিব্বতের আংসি হিমবাহ থেকে বঙ্গোপসাগরে মিশে যাওয়া পর্যন্ত ২,৮৮০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই নদী ব্যবস্থা তিব্বতীয় মালভূমির মধ্য দিয়ে ইয়ারলুং সাংপো নামে ১,৬২৫ কিলোমিটার বিস্তৃত। ভারতে প্রবেশ করে এটি ৯১৮ কিলোমিটার প্রবাহিত হয় — প্রথমে সিয়াং নামে, তারপর দিহাং নামে, তারপর শক্তিশালী ব্রহ্মপুত্রে পরিণত হয়ে। বাংলাদেশে, এর শেষ ৩৩৭ কিলোমিটার যাত্রায় এটির নামকরণ করা হয় যমুনা, যা গোয়ালন্দর কাছে গঙ্গা নদীর সঙ্গে মিলিত হয় এবং এর প্রবাদপ্রতিম অবতরণ সম্পন্ন হয়। অতএব, ব্রহ্মপুত্রের মানচিত্রের একটি প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গির কারণে, এবং এর দৈর্ঘ্যের ৫৬% তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নামে প্রবাহিত হওয়ায়, এমন ধারণা তৈরি করাই যায় যে নদীর তিব্বত সীমান্তের অংশটি এর সামগ্রিক প্রবাহে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে — যা ইঙ্গিত করে যে চিন ‘ট্যাপ বন্ধ করে দিতে পারে’। তবে, সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে উপযুক্ত তথ্য সামনে আনার পর ভিন্ন গল্প ফুটে ওঠে।
তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীর আকাশ থেকে দেখা একটি দৃশ্য। সম্প্রতি, চিনা সরকার এই নদীর, যা প্রায়শই ব্রহ্মপুত্র নদীর দীর্ঘতম উপনদী হিসাবে বর্ণিত হয়, তার গ্রেট বেন্ডে একটি মেগা-ড্যাম নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। ছবি: ম্যাক্সিশেং১৮, উইকিমিডিয়া কমন্স (সিসি বাই-এসএ ৪.০)।
তিব্বতের নুশিয়ায় পরিমাপ করা ইয়ারলুং সাংপোর বার্ষিক নির্গমন ৩১.২ বিলিয়ন ঘনমিটার (বিসিএম), যা গ্রেট বেন্ডের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় এবং চিন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আনুমানিক ১৩৫.৯ বিসিএমে পৌঁছয়। নদীর এই বৃষ্টিসমৃদ্ধ অংশটিকেই চিন জলবিদ্যুৎ তৈরির জন্য ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে। তবে, ভারতের গুয়াহাটির পান্ডুতে প্রায় ৫২৬ বিসিএম এবং বাংলাদেশের বাহাদুরাবাদে ৬০৬ বিসিএম বার্ষিক নির্গমনের সঙ্গে তুলনা করলে, তথ্যগুলি সামনে আসতে শুরু করে। এই নাটকীয় বৃদ্ধি হিমবাহ গলে যাওয়ার কারণে নয়, বরং হিমালয়ের দক্ষিণ দিকে মৌসুমি বায়ুর তীব্রতা দ্বারা সৃষ্ট, যা মূলত ইয়ারলুং সাংপো গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন বরাবর আর্দ্রতা করিডোরের মাধ্যমে মেডোগ কাউন্টি পর্যন্ত বিস্তৃত। নুশিয়ার উজানে গড় বৃষ্টিপাত (১৯৭৮-২০০৮) বার্ষিক ৪১৬ মিমি হলেও অরুণাচল প্রদেশ এবং আসামের কিছু অংশে বার্ষিক ৪,৫০০ মিমি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই বৃষ্টিপাত দিবাং, লোহিত ও সুবনসিরির মতো শক্তিশালী উপনদীগুলিকে জল সরবরাহ করে, এবং এই ভূদৃশ্য-জুড়ে অসংখ্য ঝর্ণার জল সরবরাহ করে।
বাঁধের পিছনে চিনের পলি আটকে রাখার বিষয়ে উদ্বেগও অতিরঞ্জিত। নুশিয়ায় পরিমাপ করা হলে, ব্রহ্মপুত্র বছরে ৩০ মিলিয়ন মেট্রিক টন পলি বহন করে, কিন্তু যখন এটি বাংলাদেশের বাহাদুরাবাদে পৌঁছায়, তখন এই বার্ষিক বোঝা বেড়ে ৭৩৫ মিলিয়ন মেট্রিক টনে পৌঁছে যায়। এর বেশিরভাগই ভারতে জলের আধারগুলি থেকে উৎপন্ন হয়। এমনকি যদি চিন উজানে একাধিক বাঁধ নির্মাণ করে, তবুও পলির গতিশীলতার উপর তাদের প্রভাব ন্যূনতম হবে। আবার মৌসুমি বৃষ্টিপাতই ব্রহ্মপুত্রের পলি ব্যবস্থাকে চালিত করে। সুতরাং, সহজ কথায়, চিন ‘ট্যাপ বন্ধ’ করতে বা ‘পলি আটকে রাখতে’ পারে না। তার উপর, ভারতে চিনা দূতাবাসের শার্জ দ্যাফেয়ার্স এ আই ওয়াং লেইয়ের সাম্প্রতিক একটি নিবন্ধ নিশ্চিত করে যে জল ব্যবহারিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে না, যার থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে কোনও আন্তঃ-অববাহিকা স্থানান্তর হবে না।
অগ্রাধিকারগুলির রূপরেখা
এই প্রকল্পের ফলে সৃষ্ট প্রাথমিক ঝুঁকি জলপ্রবাহ নয়, বরং বাঁধের ব্যর্থতা, বিশেষ করে চরম জলবায়ু বা ভূমিকম্পের ঘটনার সময়। পূর্ব হিমালয় সিনট্যাক্সিস বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্পগতভাবে সক্রিয় অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি, যা এই আয়তনের পরিকাঠামো প্রকল্পগুলিকে সহজাতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। ২০২১ সালের চামোলি দুর্যোগ এবং ২০২৩ সালের চুংথাং বাঁধ ধসের মতো সাম্প্রতিক দুর্যোগের পর ভারত তার নিজস্ব অনেক দুঃখজনক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অভূতপূর্ব হিমবাহ সঙ্কোচন, তুষারপাত ও হিমবাহ হ্রদ ভেঙে বন্যা (জিএলওএফ) ঘটছে, ফলে ক্রমশৃঙ্খল (ক্যাসকেডিং) ঝুঁকির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এই ঝুঁকিগুলির একটি স্পষ্টভাবে স্মরণ করিয়ে দেয় ২০২১ সালের মার্চ মাসে, যখন সেদংপু নদীর অববাহিকায় বিশাল হিমবাহ ধসের ফলে ইয়ারলুং সাংপোর গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে ধ্বংসাবশেষ-ভরা বন্যা দেখা দিয়েছিল, তখন জলের স্তর ১০ মিটার বেড়ে গিয়েছিল। এই ধরনের চরম ঘটনাগুলি বৃহৎ বাঁধগুলিকে অস্থিতিশীল করার সম্ভাবনা রাখে, যার ফলে নিম্নাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়।
অসমের লক্ষ্মীপুরে অবস্থিত সুবনসিরি নিম্ন বাঁধ। সুবনসিরি ব্রহ্মপুত্রের একটি প্রধান উপনদী। লেখকরা বলছেন, চিনে বৃহৎ বাঁধ নির্মাণের ফলে ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহ এবং গতিপথ পরিবর্তিত হতে পারে এমন দাবির কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। প্রকৃত ঝুঁকি হল চরম জলবায়ু এবং ভূমিকম্পের কারণে বাঁধের ব্যর্থতা। ছবি: নয়ন জে নাথ, উইকিমিডিয়া কমন্স (সিসি বিওয়াই-এসএ ৪.০)।
সুতরাং, গ্রেট বেন্ডে চিনের বাঁধ নিয়ে ভারতের উদ্বেগ জল নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে ভয়জনিত বক্তব্যের পরিবর্তে কেন্দ্রীভূত হওয়া উচিত বাঁধের সুরক্ষা এবং তথ্য ভাগাভাগির উপর। স্বচ্ছতা ও প্রস্তুতি নিশ্চিত করার জন্য বিশেষজ্ঞ স্তরের ব্যবস্থা (ইএলএম) ও উচ্চস্তরের কূটনীতি, উভয়ের মাধ্যমেই চিনকে জড়িত করা অপরিহার্য। তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার হল জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত তথ্য ভাগাভাগির উপর সমঝোতাপত্র (এমওইউ) পুনর্নবীকরণ ও উন্নত করা, বিশেষ করে তিব্বতের নুক্সিয়া ও অরুণাচল প্রদেশের টুটিং-এর মধ্যে অবস্থিত ইয়ারলুং সাংপো অংশ থেকে রিয়েল-টাইম ডেটা। আমরা আমাদের গবেষণাপত্রে দেখিয়েছি যে এই অংশটি, যা বর্তমানে ভারতের জন্য একটি অন্ধ স্থান, উচ্চ বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি চরম বৃষ্টিপাতের ঘটনাও অনুভব করে। উপরন্তু, চিনকে অবশ্যই বাঁধের নকশা, আকস্মিকতা সংক্রান্ত পরিকল্পনা এবং জরুরি প্রোটোকল ভাগ করে নিতে হবে, এবং তাদের স্বীকার করতে হবে যে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে ভারতই বেশি ঝুঁকি বহন করবে।
এই ধরনের তাৎক্ষণিক উদ্বেগের বাইরে, ভারতের উচিত ব্রহ্মপুত্র নদী নিয়ে চিনের সঙ্গে একটি বিস্তৃত কাঠামো চুক্তির জন্য চাপ দেওয়ার সুযোগ হিসাবে এটিকে কাজে লাগানো। এই ধরনের চুক্তিতে জল-বণ্টন, যৌথ পর্যবেক্ষণ, বিরোধ নিষ্পত্তি এবং সহযোগিতামূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। প্রতিক্রিয়াশীল ভঙ্গি থেকে অগ্রিম-সক্রিয় সম্পৃক্ততার দিকে অগ্রসর হওয়া দীর্ঘমেয়াদি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার মূল চাবিকাঠি হবে। যুক্তিসঙ্গত জল-কূটনীতির সাফল্যের চাবিকাঠি হল আলোচনার সর্বোচ্চ স্তরে বৃহত্তর আঙ্গিকে যথোপযুক্ত তথ্য উপস্থাপন করা।
এই মন্তব্যটি প্রথম মঙ্গাবে -তে প্রকাশিত হয়েছিল।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Dr Nilanjan Ghosh is Vice President – Development Studies at the Observer Research Foundation (ORF) in India, and is also in charge of the Foundation’s ...
Read More +Sayanangshu Modak was a Junior Fellow at ORFs Kolkata centre. He works on the broad themes of transboundary water governance hydro-diplomacy and flood-risk management.
Read More +