-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
ভবিষ্যতের গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র হয়ে ওঠার জন্য ভারতকে তার অর্ধপরিবাহী ক্ষেত্রে নিযুক্ত শ্রমশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজের অতুলনীয় প্রতিভার ভাণ্ডারকে কাজে লাগাতে হবে।
চিপ শিল্পে দক্ষতা বৃদ্ধি: মানব সম্পদকে মানব পুঁজিতে রূপান্তরণ
দক্ষতা বলতে বোঝায় সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়, শক্তি বা উভয়ের প্রেক্ষিতে অর্জিত ক্ষমতাকে সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে পূর্ব নির্ধারিত ফলাফলের লক্ষ্যে তৎপর হওয়া। এই বিদ্যমান পালাবদলের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা চিপ-সহ ‘ডিজিটাল বিপ্লব’ এবং ‘ইন্ডাস্ট্রি ৪.০’ সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা হলেও চিপ ডিজাইন এবং উত্পাদনের মূল ভিত্তি আসলে দক্ষতা বিকাশের মধ্যেই নিহিত। এই দক্ষতার ব্যবধান শুধু মাত্র আমাদের দেশের জন্যই নয়, বাকি বিশ্বের জন্যও প্রাসঙ্গিক। এটিকে অনেক সময় ‘প্রতিভার ঘাটতি’ হিসাবেও উল্লেখ করা হয় এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা, ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন ও অতিমারি পরবর্তী বিশ্বক্রমের নিরিখে এটি একটি চরম বাস্তব। এই গুরুত্বপূর্ণ দিকটিকে সঠিক ভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ভারতের সরকার, শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্র দ্বারা যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ঘাটতি বাড়ছে এবং অর্থায়ন ও বিনিয়োগের পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু দীর্ঘমেয়াদি প্রতিকারেরও প্রয়োজন। এই ঘাটতির প্রত্যক্ষ ফলস্বরূপ ভবিষ্যতে শিল্পের বৃদ্ধিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।
অর্ধপরিবাহী এবং ই এস ডি এম-এ দক্ষতা বৃদ্ধি এক সর্বাঙ্গীন বোঝাপড়ার দাবি রাখে এবং তাই এটি সাধারণ শংসাপত্র প্রদানের চেয়ে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ঘাটতি বাড়ছে এবং অর্থায়ন ও বিনিয়োগের পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু দীর্ঘমেয়াদি প্রতিকারেরও প্রয়োজন। এই ঘাটতির প্রত্যক্ষ ফলস্বরূপ ভবিষ্যতে শিল্পের বৃদ্ধিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম থাকায়, এক বিলিয়নেরও বেশি ভোক্তা পরিকাঠামো-সহ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় হওয়ায় এবং বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ফিনটেক অ্যাডাপ্টার থাকায় ভারত ভবিষ্যতের একটি ডিজিটাল পাওয়ার হাউস হয়ে ওঠার জন্য আদর্শ। এর ফলে দক্ষতা বৃদ্ধিকেই পাখির চোখ করে ভারত ফ্যাব্রিকেশন প্লান্ট ও যৌগ অর্ধপরিবাহী নির্মাণে অংশ নিয়েছে এবং একটি মজবুত নীতি কাঠামোর ভিত্তিতে ইলেকট্রনিক্স সিস্টেম ডিজাইন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং (ই এস ডি এম) শিল্পে উচ্চ বৃদ্ধির হারের সুফল লাভ করেছে।
ভবিষ্যতে সঙ্কটের সময়ে কিছু জাতি-রাষ্ট্র অর্ধপরিবাহী ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত শ্রমশক্তির একটি কৃত্রিম ঘাটতির প্রচার চালাতে পারে যা তাদের নিজস্ব দক্ষ শ্রমশক্তির মূল্য বৃদ্ধি করবে।
পৃথিবী প্রতিনিয়ত পাল্টাচ্ছে। অতিমারি চলাকালীন গতিশীল টিকা সরবরাহ শৃঙ্খলটি প্রমাণ করেছে যে, সুদক্ষ শ্রমশক্তি চাহিদা প্রবল এবং তা অর্জনের জন্য মূল্য চোকাতে হবে। ভবিষ্যতে সঙ্কটের সময়ে কিছু জাতি-রাষ্ট্র অর্ধপরিবাহী ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত শ্রমশক্তির একটি কৃত্রিম ঘাটতির প্রচার চালাতে পারে যা তাদের নিজস্ব দক্ষ শ্রমশক্তির মূল্য বৃদ্ধি করবে। একই রকম ভাবে কয়েকটি জাতি-রাষ্ট্র তাদের নিজস্ব কর্মসূচি এবং স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দক্ষ শ্রমশক্তিকে ব্যবহার করতে পারে। উদ্দেশ্য রাতারাতি বদলে গেলেও ক্ষমতা তৈরি করতে অনেক সময় লাগে।
ভারত বর্তমানে ভবিষ্যতের একগুচ্ছ অ্যাপ্লিকেশনের জন্য বৈচিত্র্যময় পণ্যসামগ্রী উত্পাদনের মাত্রা এবং গতির এক আনতিবিন্দুতে দাঁড়িয়ে আছে। অতএব ইলেকট্রনিক্স, চিপ ডিজাইন এবং উৎপাদন ক্ষেত্রের নিরিখে অত্যন্ত দক্ষ শ্রমশক্তির জন্য একটি শক্তিশালী বাস্তুতন্ত্র গড়ে তোলা অপরিহার্য। কর্মশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধিই ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর কেন্দ্রবিন্দু।
মতামত লেখকের নিজস্ব।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
A graduate of Defence Services Staff College and Higher Command Course in the Indian Army as well as an alumnus of the Indian School of ...
Read More +