মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্টেট প্রাইমারিগুলির নির্ধারিত সময়, কাজেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ বছরে প্রবেশ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্কদের খুব কমই ২০২৪ সালে বাইডেন–ট্রাম্প রিম্যাচ চাওয়া সত্ত্বেও এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী সম্ভাবনা হিসাবে উঠে আসছে। রিপাবলিকান শিবিরে ট্রাম্প তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রন ডিসান্টিসের থেকে ৪৬ শতাংশের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত রিপাবলিকান পার্টির সব বিতর্কে ট্রাম্পের অনুপস্থিতি তাঁর সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করেনি। যদি কিছু ঘটে থাকে, তা হল এটি প্রচ্ছন্নভাবে রিপাবলিকান পার্টিকে ‘ট্রাম্প ছাড়া ট্রাম্পবাদ’–এর দিকে চালিত করেছে। ডেমোক্র্যাট শিবিরে, বাইডেন একটি একক যুদ্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিশেষভাবে তাঁর লড়াইয়ের পূর্বাভাস দিয়েছেন। ইস্যুগুলির ক্ষেত্রে, রিপাবলিকানরা বাইডেন প্রশাসনকে দক্ষিণ সীমান্তগুলিতে দুর্বল ব্যবস্থাপনার জন্য এবং ফেডারেল ব্যয় ভুল পথে নির্দেশিত করার জন্য আক্রমণ করেছেন, বিশেষত জলবায়ু ও পরিকাঠামো চুক্তি এবং ‘উয়োকিজম’–এর মাধ্যমে। বাইডেন ‘বাইডেনোমিক্স’–এর মাধ্যমে অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়া, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, শ্রমিক শ্রেণির দিকে মনোনিবেশ করা, এবং বিশ্বজুড়ে মিত্র ও অংশীদারদের আশ্বস্ত করাকে ভিত্তি করে তাঁর প্রচারণার পরিকল্পনা করেছেন।
রিপাবলিকানরা বাইডেন প্রশাসনকে দক্ষিণ সীমান্তগুলিতে দুর্বল ব্যবস্থাপনার জন্য এবং ফেডারেল ব্যয় ভুল পথে নির্দেশিত করার জন্য আক্রমণ করেছেন, বিশেষত এর জলবায়ু ও পরিকাঠামো চুক্তি এবং ‘উয়োকিজম’–এর মাধ্যমে।
আত্মার জন্য যুদ্ধ
মনে হচ্ছে ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচন ইস্যুকেন্দ্রিক প্রচারণার উপর হতে চলেছে, কারণ দুই পক্ষেই ব্যক্তিত্বদের প্রভাব সীমিত। বাইডেন ও ট্রাম্পের মধ্যে, ট্রাম্পের নিজের ভাবমূর্তির উপর ভিত্তি করে ভোট সংগ্রহ করার বেশি ক্ষমতা থাকতে পারে। একজন সত্তরোর্ধ্ব একজন আশি–উত্তীর্ণের সঙ্গে লড়াই করছেন, এবং দুজনেই ততটা ‘পরিচ্ছন্ন’ না–হওয়ার জন্য সংবাদমাধ্যমে খারাপ প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্ভাব্য শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন, যা ভোটে তাঁর জনপ্রিয়তাকে আঘাত করবে বলে মনে করা হচ্ছে । বাইডেন আবার তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অভিযোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছেন। বহু সংখ্যক নিবন্ধিত স্বাধীন ভোটার, যাঁদের সংখ্যা বছরের পর বছর বেড়েছে, দেখায় যে সমস্যাগুলি ২০২৪ সালে ব্যক্তিত্বের থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে৷ তবে, প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিত্ব মার্কিন নির্বাচনে রাজনৈতিক বর্ণনার মূল উপাদান হয়ে থেকেছে৷ ১৯৯৩ সালের নির্বাচনে, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ, যিনি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ও ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধে জয়ের তত্ত্বাবধান করেছিলেন, অপেক্ষাকৃত নতুন ডেমোক্র্যাট বিল ক্লিনটনের কাছে পরাজিত হন। বর্তমান নির্বাচনে, তাঁর অনেক সাফল্য সত্ত্বেও বাইডেনের ‘দুর্বল’ নেতৃত্বের উপর কেন্দ্রীভূত মনোযোগ রয়েছে। ভোটারদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আরেকটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজ পরিচালিত একটি সমীক্ষায়, এবং ওহিও, জর্জিয়া ও অ্যারিজোনার প্রাথমিক সুইং স্টেটগুলির অন্য একটি সমীক্ষাতেও, ভোটাররা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বয়স নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, নর্থ ক্যারোলিনা, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিন–এ সাতটি সুইং স্টেটে ট্রাম্পকে পেছনে ফেলেছেন বাইডেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উত্থাপিত প্রশ্নগুলি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একটি প্রধান ইস্যু, এমনকি প্রেসিডেন্ট বাইডেনও ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন’ (এমএজিএ) এবং ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিল দাঙ্গার দীর্ঘস্থায়ী ছায়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করছেন। নির্বাচনী জালিয়াতি এবং চুরি–করা নির্বাচন, ৬ জানুয়ারির বিদ্রোহ, এবং টিকাপন্থীদের বিরোধিতা ট্রাম্পের প্রচারে প্রাধান্য পেয়েছে। রিপাবলিকানরা একই ধরনের বিষয়ে বাইডেনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এই ইস্যুতে বিভাজনটিকে হাইপারপার্টিজানশিপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যা শেষবার ২০১৬ এবং ২০২০ সালের নির্বাচনে দেখা গিয়েছে। মার্কিন রাজনৈতিক ধাঁধায় শহুরে বিশৃঙ্খলার সমস্যাটি যুক্ত হয়েছে, এবং জাতিগত হত্যা, দ্রুত শহরগুলির অপরাধের অভয়ারণ্য হয়ে ওঠা ও গ্যাং ভায়োলেন্স নিয়ে ভোটারদের মধ্যে তীব্র বিভাজন রয়েছে। বাইডেন ‘জাতির আত্মার জন্য যুদ্ধে’ তাঁর প্রচারাভিযানকে কেন্দ্রীভূত করেছেন। গাজায় ইজরায়েল–হামাস যুদ্ধের পটভূমিতে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার বনাম অল লাইভস ম্যাটারের মতো বিপরীতমুখী প্রচারণা, এবং গণ–পরিসর ও বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে ইহুদি–বিদ্বেষের উত্থান মার্কিন সমাজকে ছিঁড়ে ফেলছে। ক্রমবর্ধমানভাবে এই সমস্যাগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নিজেদের স্থান তৈরি করেছে এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন, একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বিত করার কারণে ২০২৪ সালে বাইডেন যুব ভোট হারানোর ঝুঁকি নিয়েছেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি প্রগতিশীল গার্হস্থ্য বিষয়গুলির উপর জোর দিচ্ছে, বিশেষ করে গর্ভপাতের মতো বিষয়গুলিতে। ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের সময় গর্ভপাতের অধিকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে একটি কেন্দ্রীয় বিন্দু হয়ে উঠেছিল। বিষয়টি ওহিওতে স্পষ্ট ছিল, যেখানে ভোটাররা গর্ভপাত ও প্রজনন অধিকার নিশ্চিত করার জন্য একটি সাংবিধানিক সংশোধনী অনুমোদন করেছেন; এছাড়া জর্জিয়া ও পেনসিলভানিয়ার নির্বাচনেও বিষয়টি কেন্দ্রীয় প্রশ্ন ছিল।
মার্কিন রাজনৈতিক ধাঁধায় শহুরে বিশৃঙ্খলার সমস্যাটি যুক্ত হয়েছে, এবং জাতিগত হত্যা ও দ্রুত শহরগুলির অপরাধের অভয়ারণ্য হয়ে ওঠা ও গ্যাং ভায়োলেন্স নিয়ে ভোটারদের মধ্যে তীব্র বিভাজন রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের আগমন একটি চাপের বিষয়, এবং দক্ষিণ সীমান্তে ব্যাপক ঢেউয়ের ফলে রেকর্ড সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থী এসেছেন। অভিবাসন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে একটি নির্ণায়ক ইস্যু হয়ে ফিরে এসেছে, এবং তা বর্তমানে ইউক্রেন সহায়তা বিল টেনে আনার প্রধান কারণ। বাইডেন তাঁর প্রেসিডেন্সির শুরুতে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিগুলিকে উল্টে দিয়েছিলেন, যা একটি নরম দৃষ্টিভঙ্গি হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল এবং অভিবাসনে একটি বিশাল বৃদ্ধি দেখেছিল। বাইডেন প্রশাসন প্রাচীরের কিছু অংশ নির্মাণ এবং সীমান্ত এজেন্টের সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিলেও পরিস্থিতি অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে।
বাইডেন প্রশাসন দ্বিপক্ষীয় পরিকাঠামো চুক্তি, মার্কিন উদ্ধার পরিকল্পনা, এবং চিপস ও বিজ্ঞান আইন সহ মূল নীতি উদ্যোগগুলি পাস করতে সক্ষম হয়েছে। যাই হোক, মূল্যস্ফীতি ও বৈদেশিক নীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিষয়ে, বিশেষ করে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি, বাইডেনের পোল রেটিংগুলিতে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছে। বিদ্যুতের দামের বৃদ্ধি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঐতিহাসিকভাবে উল্লেখযোগ্য উপায়ে প্রভাবিত করেছে, এবং এর সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত হল ১৯৮০ সালের নির্বাচনে জিমি কার্টারের রোনাল্ড রেগানের কাছে পরাজয়। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে চলতি যুদ্ধ এবং রিপাবলিকানদের বাইডেনের গ্রিন ডিল নিয়ে সন্দিহান দৃষ্টিভঙ্গি আবারও শক্তির রাজনীতিকে সামনে ও কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারে।
বিদেশ নীতি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলি বিদেশনীতির সঙ্গে জটিলভাবে জড়িত, এবং চিন একটি বিশিষ্ট উদ্বেগ। এই উদ্বেগ শুধু নীতিগত অভিজাতদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, মার্কিন জনসাধারণের মধ্যেও স্থানান্তরিত হয়েছে: তাঁদের উল্লেখযোগ্য ৫৯ শতাংশ চিনকে নেতিবাচকভাবে দেখেন, এবং ক্রমবর্ধমান সামরিক ও অর্থনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে এটিকে হয় শত্রু অথবা বন্ধু নয় এমন দেশ হিসাবে বিবেচনা করেন। চিনা হুমকি মোকাবিলা করা একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা উভয় পক্ষকে আরও কট্টরপন্থী পদ্ধতির পক্ষে ওকালতি করতে প্ররোচিত করেছে।
আমেরিকার শীর্ষ সম্মেলনে যেভাবে চিনা নেতৃত্বাধীন বিনিয়োগের বিকল্পের কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছিল, সেইভাবে বিকল্প নিয়ে আসা হল একটি মূল চ্যালেঞ্জ।
রিপাবলিকান বিতর্কে আলোচনা চিনকে মোকাবিলা করার জন্য যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধি করে নৌশক্তিকে শক্তিশালী করার চারপাশে আবর্তিত হয়েছে, বিশেষ করে দক্ষিণ চিন সাগরে এবং তাইওয়ান নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে। আমেরিকার শীর্ষ সম্মেলনে যেভাবে চিনা নেতৃত্বাধীন বিনিয়োগের বিকল্পের কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছিল, সেইভাবে বিকল্প নিয়ে আসা হল একটি মূল চ্যালেঞ্জ। এই প্রচেষ্টা ‘বিল্ড ব্যাক বেটার’ পরিকল্পনা বা ইন্দো–প্যাসিফিক ইকনমিক ফ্রেমওয়ার্কের ধারাবাহিকতার সঙ্গে সারিবদ্ধ। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় চিনের বিরুদ্ধে শুরু করা শুল্কগুলি মূলত বাইডেন প্রশাসনেও টিকে রয়েছে, যা শক্তিশালী দ্বিদলীয় সমর্থন পায় এবং রাজনৈতিক দলগুলির অভিন্ন অবস্থান প্রদর্শন করে। চিনের সঙ্গে অগণিত সমস্যার মধ্যে ফেন্টানাইল নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যাকে কিছু রাজনীতিবিদ ইতিমধ্যেই একটি মারাত্মক হুমকি হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। ডেমোক্র্যাটরা ফেন্টানাইল ইস্যুতে চিনের সঙ্গে সাম্প্রতিক চুক্তিকে একটি শক্তিশালী অবস্থান হিসাবে তুলে ধরতে চায়, আর রিপাবলিকানরা চিনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে বাইডেনের অবস্থানকে দুর্বল বলে সমালোচনা করে, যা হাউস সদস্যদের দ্বারা প্রতিধ্বনিত একটি অনুভূতি।
ইউক্রেন ও ইজরায়েলের প্রতি বাইডেনের দৃঢ় সমর্থন সত্ত্বেও তাঁর দল বিভক্ত, এবং প্রগতিশীলরা সমর্থন হ্রাস এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছে। ইজরায়েল–হামাস যুদ্ধের কারণে তরুণ ভোটারদের মধ্যে বাইডেনের সমর্থন ইতিমধ্যেই হ্রাস পেয়েছে। এটি ট্রাম্পের হাত আরও শক্ত করতে পারে। নভেম্বরে তৃতীয় রিপাবলিকান প্রাইমারি বিতর্কে , বেশিরভাগ প্রশ্ন জাতীয় নিরাপত্তা, চাকরি, বাণিজ্য এবং সামরিক শক্তি ঘিরে আবর্তিত হয়েছিল। বাইডেন প্রশাসনের দ্বারা চলতি যুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও তাঁর ভোটের রেটিং কম রয়েছে। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত নির্বাচনী দৌড়ে এগিয়ে থাকলেও সর্বশেষ কলোরাডো সুপ্রিম কোর্টের তরফে তাঁর কোনও পাবলিক অফিসে বসতে নিষেধাজ্ঞা জারি তাঁর কাছে বড় ধরনের বিপত্তিস্বরূপ এসেছে, বিশেষ করে কারণ এটি অন্যান্য রাজ্যে একই ধরনের মামলা ও রায়ের জন্ম দিতে পারে। ট্রাম্প ইজরায়েলের প্রতি তাঁর দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছেন, এবং তাঁর শেষ প্রেসিডেন্সির সময়ে শাশ্বত রাজধানী জেরুজালেমে রাজধানী স্থানান্তর করা ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে তাঁর প্রয়াসকে তুলে ধরেছেন নিজের বক্তব্যকে প্রামাণ্যতা দিতে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত নির্বাচনী দৌড়ে এগিয়ে থাকলেও সর্বশেষ কলোরাডো সুপ্রিম কোর্টের তরফে তাঁর কোনও পাবলিক অফিসে বসতে নিষেধাজ্ঞা জারি তাঁর কাছে বড় ধরনের বিপত্তিস্বরূপ এসেছে, বিশেষ করে কারণ এটি অন্যান্য রাজ্যে একই ধরনের মামলা ও রায়ের জন্ম দিতে পারে।
এই বিষয়গুলি ছাড়াও মার্কিন কংগ্রেসের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ আসন্ন নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বিষয় হবে। হাউসের পাশাপাশি সেনেটেও আসন খালি হচ্ছে। সাম্প্রতিক ইতিহাসে বেশিরভাগ প্রেসিডেন্সি বিভক্ত কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করেছে। নির্বাচনের জন্য ৩৩টি সেনেট আসন রয়েছে যেখানে এখন ১০ জন রিপাবলিকান, ২০ জন ডেমোক্র্যাট এবং ৩ জন নির্দল। হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভের ১১৯তম কংগ্রেসের জন্য দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সমস্ত ৪৩৫টি আসনে ভোট হবে৷ হাউজে বর্তমানে রিপাবলিকানদের গরিষ্ঠতা রয়েছে এবং সেনেটে ডেমোক্র্যাটরা সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। বাইডেন ও ট্রাম্প উভয়েই একটি বিভক্ত হাউজ এড়াতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।
বিবেক মিশ্র অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের একজন ফেলো।
শচীন তিওয়ারি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউএস স্টাডিজ প্রোগ্রামের একজন ডক্টরাল প্রার্থী।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.