Author : Shivam Shekhawat

Expert Speak Raisina Debates
Published on Oct 08, 2022 Updated 6 Days ago

বাইডেন প্রশাসনের বৈদেশিক মুদ্রাভাণ্ডারে ডি এ বি-র প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত আফগান জনসাধারণের জন্য অশেষ দুর্গতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজস্বের নতুন স্থিতিশীল পন্থা খুঁজে বার করাই বর্তমান লক্ষ্য হওয়া উচিত।

আফগানিস্তানে ব্যাঙ্কিং সঙ্কট
আফগানিস্তানে ব্যাঙ্কিং সঙ্কট

ভূমিকা

গত বছর আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের সময় থেকে এ বছরের আগস্ট মাসে অন্তর্বর্তী তালিবান প্রশাসনের (আই টি এ) এক বছর পূর্ণ হল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তালিবানের মধ্যে দোহা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহারের ফলে শেষ পর্যন্ত কাবুলের পতন হয়। ইসলামিক রিপাবলিক অফ আফগানিস্তানের সরকার ভেঙে যাওয়ার পর থেকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি দেশকে শাসন করতে ব্যর্থ হয়েছে, যদি তাদের সমস্ত কর্মকাণ্ড আদৌ ‘প্রশাসন’-এর এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে।

তালিবানের অধিগ্রহণের পরে ত্রাণ ও সহায়তা লাভে আকস্মিক ব্যাঘাত ও দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির বিচ্ছিন্নকরণের ফলে দেশে ব্যাঙ্কিং সঙ্কট সৃষ্টি হয়, যা অর্থনীতিতে এক শূন্য স্থানের জন্ম দিয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ গ্রাসাচ্ছাদন করতে সংগ্রাম করছে এবং ব্যবসাগুলিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আফগান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর যেটিকে ‘যুদ্ধের অর্থনৈতিক পর্যায়’ বলে অভিহিত করেছেন, তা বোঝার জন্য মানবিক বিপর্যয় – আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেটি প্রশমনে সচেষ্ট – সেই বিপর্যয় বৃদ্ধিকারী দেশের ব্যাঙ্কিং সঙ্কটের বিষয়ে তদন্তের প্রয়োজন আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

২০০২ সালে আফগানিস্তান পুনর্গঠন ট্রাস্ট তহবিল (এ আর টি এফ) তৈরির সঙ্গে সঙ্গে ৩৪ জন দাতা দেশটির পুনর্গঠনে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার একত্রে বিনিয়োগ করে।

আফগান অর্থনীতি কী ভাবে গঠিত হয়েছে?

২০০১-২০২১ সালের মধ্যে দেশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র জোটদের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্য, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফ ডি আই) এবং তার পাশাপাশি বিদেশে বসবাসকারী আফগানদের দ্বারা প্রেরিত অর্থের জোরে নিজেকে টিকিয়ে রেখেছিল। ২০০২ সালে আফগানিস্তান পুনর্গঠন ট্রাস্ট তহবিল (এ আর টি এফ) তৈরির সঙ্গে সঙ্গে ৩৪ জন দাতা দেশটির পুনর্গঠনে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার একত্রে বিনিয়োগ করে। এই সকল প্রচেষ্টা স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা এবং অন্য সূচকগুলির ব্যাপক অগ্রগতি সূচিত করলেও তার সুবিধার নেটওয়ার্ক দেশের সর্ব স্তরে গভীর ভাবে প্রসার ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে। এবং একই সঙ্গে এর ফলে দেশীয় প্রতিযোগিতা বা বাণিজ্যযোগ্য খাতগুলির অগ্রগতিকে উদ্দীপিত করতে অপ্রতুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে জেনেভায় একটি মন্ত্রী-পর্যায়ের সম্মেলনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মৌলিক পরিষেবা এবং শান্তি প্রক্রিয়া স্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে ২০২০-২০২৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তানে ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। এই সাহায্যের পরিপূরক হিসাবে ‘দেশীয় সম্পদ গড়ে তোলা, দুর্নীতি কমানোর প্রচেষ্টা, প্রশাসন ব্যবস্থার উন্নতি এবং কাঠামোগত সংস্কার প্রবর্তন’ করার কথা ছিল। কিন্তু প্রজাতন্ত্রকে প্রতিস্থাপিত করে আফগানিস্তানে আমিরাতি গঠিত হওয়ায় এই সমস্ত প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়নি।

ঐতিহাসিক ভাবে আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উপর ঘটনা পরম্পরা ‘কেন্দ্রীকরণ এবং ক্ষমতার খণ্ডিতকরণ’কে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে। আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের উচ্চতর ধারণা এবং একটি দুর্বল কেন্দ্রের কারণে রাষ্ট্রযন্ত্রের কখনওই সমগ্র দেশের উপর নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ওয়াসিতা নীতির একটি সাধারণ গ্রহণযোগ্যতা অর্থাৎ সাফল্যকে সক্ষম করার ক্ষেত্রে সংযোগের প্রভাব, সেটিও প্রচলিত রয়েছে, যা সক্ষমতা তৈরি ও উৎপাদনশীল ক্ষেত্রগুলির প্রচারের নিরিখে একটি স্থিতিশীল এবং ন্যায়সঙ্গত অর্থনীতি গড়ে তোলার প্রয়াসকে অকার্যকর করেছে।

অর্থনীতির প্রায় ৬০ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর উপর নির্ভরশীল হলেও দেশে ৭ লক্ষেরও বেশি ব্যক্তিগত ব্যবসা রয়েছে, যা ২০১৮ সালে দেশের মোট জি ডি পি-র অর্ধেকেরও বেশি প্রদান করেছে। গৃহযুদ্ধ, পুঁজি জোগাড় করার অক্ষমতা, ভূমি এবং সর্বাত্মক দুর্নীতি যা জনজীবনের চরিত্র হয়ে উঠেছে, এমন বিষয়গুলির জন্য ক্ষেত্রটি সব সময়ই অনিশ্চয়তার সম্মুখীন থেকেছে। ২০১১-১২ সাল থেকে সৈন্যের সংখ্যা হ্রাস এবং তার পরবর্তী ত্রাণ ও বিনিয়োগের পরিমাণ হ্রাস অর্থনৈতিক দুর্দশার পথকেই সূচিত করে। ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণও ২৪ শতাংশ হ্রাস পায়। অর্থনীতির বৈচিত্র্যকরণে ব্যর্থতা এবং ক্ষেত্রটিতে ভাল বেতনের চাকরির অনুপলব্ধতা কয়েকটি কেন্দ্রে পুঞ্জীভূত বৃদ্ধির জন্ম দিলেও দারিদ্র্যের তীব্রতা এখনও অব্যাহত।

বাইডেন প্রশাসনের অন্যতম প্রভাবশালী পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি ছিল আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক অর্থাৎ দ্য আফগানিস্তান ব্যাঙ্ককে (ডি এ বি) আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, আর্থিক সম্প্রদায় এবং অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাঙ্কগুলি থেকে বিচ্ছিন্ন করা।

তালিবানের ক্ষমতা দখলের সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়গুলি উত্তরোত্তর আরও জটিল হয়েছে, নতুন প্রশাসনের কাজকর্মের অনিশ্চয়তা নিয়ে বাণিজ্য ক্ষেত্রের এখনও উদ্বেগ রয়েছে, এবং তারপরেই এসেছে ব্যাঙ্কিং সেক্টরে সংকট এবং চাহিদা হ্রাস। বিশ্ব ব্যাঙ্কের মতে, আই টি এ বছরে ১০০ বিলিয়ন এ এফ এন রাজস্ব সংগ্রহ করলেও স্বচ্ছতা এবং বরাদ্দ প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ২০২১ সালের আগস্ট মাস থেকে গৃহস্থালি সংক্রান্ত পণ্যের মূল্য ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে আকাশচুম্বী হয়েছে৷ বিগত বছরে শ্রমের চাহিদার সামান্য বৃদ্ধি থাকলেও তা প্রধানত মরসুমি থেকেছে এবং প্রতিটি প্রদেশে বেকারত্বের হার দেখা গিয়েছে। ব্যবসাগুলি কর্মচারীদের ছাঁটাই করে, বেতন কমিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় এবং নগদ (৫৭ শতাংশ) ও হাওয়ালা লেনদেনের (৩১ শতাংশ) উপর অতিরিক্ত নির্ভর করার দরুন ব্যাঙ্কগুলিতে জমা দেওয়া টাকার পরিমাণ ১২ শতাংশে নেমে আসে, যা ২০২১ সালের আগস্ট মাসের আগে ছিল ৮২ শতাংশ! কৃষি ব্যবসা, পাইকারি এবং খুচরো বাণিজ্যের মতো মুষ্টিমেয় কয়েকটি খাতই অধিকতর স্থিতিস্থাপকতা দর্শিয়েছে। দাতা এবং সরকারি সাহায্যের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতার ফলস্বরূপ নির্মাণ ও পরিষেবা খাত সবচেয়ে বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে। ব্যবসায়িক সংগঠনগুলি এই উদ্বেগের সমাধান করার জন্য তালিবানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় বসতে চাইলেও সমস্যা বোঝা এবং সমাধানে অক্ষমতা পরিস্থিতিকে গুরুতর করে তুলেছে।

আফগানিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারের অবস্থা

ক্ষমতায় আসার পর তালিবান মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা বেশির ভাগ কর্মকর্তাকেই প্রশাসনিক ব্যবস্থার শীর্ষ স্থানে বহাল করে। এর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলি আফগানিস্তানে ত্রাণ পাঠানো বন্ধ করে দেয় যার মধ্যে এ আর টি এফ-এর মাধ্যমে বেতন প্রদানের জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্ক কর্তৃক প্রদত্ত ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বণ্টনও ছিল। অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাও সেই পথ অনুসরণ করে। বাইডেন প্রশাসনের অন্যতম প্রভাবশালী পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি ছিল আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক অর্থাৎ দ্য আফগানিস্তান ব্যাঙ্ককে (ডি এ বি) আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা, আর্থিক সম্প্রদায় এবং অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাঙ্কগুলি থেকে বিচ্ছিন্ন করা। এই নীতির ফলে কার্যত প্রায় ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ব্যবহার করার অধিকার হারায় ডি এ বি, যা ব্যাঙ্কটি প্রধানত নিউ ইয়র্কের ইউ এস ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কে সঞ্চিত করেছিল। সেই সঞ্চিত ভাণ্ডারের ভবিষ্যৎ এবং জনগণের কষ্ট লাঘবে সেই অর্থের ব্যবহারকে কেন্দ্র করে তালিবান এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত কথোপকথনের ফলে এই সিদ্ধান্তটি আগের চেয়ে আরও বেশি স্পষ্টতর।

এই সঞ্চিত অর্থ বণ্টন নিয়ে বিতর্ক বেশ কয়েকটি প্রশ্নকেই উস্কে দেয়। সমাধানের সন্ধানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে স্বাভাবিক ভাবেই বৈধতা প্রদান করবে। যদিও তেমনটা না করলে আফগান জনগণের দুর্দশা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। অবস্থা জটিলতর হয়েছে। কারণ এর সঙ্গে মার্কিন অভ্যন্তরীণ আইনের প্রযোজ্যতার প্রশ্নও জড়িত। ৯/১১-এর সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত মানুষদের পরিজন দ্বারা আরোপ করা মামলায় এই অর্থের প্রেরণ আটকে আছে, যাঁরা তালিবানের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। ২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি একটি কার্যনির্বাহী আদেশ পাস করে বাইডেন প্রশাসন মোট অর্থের অর্ধেক আফগান জনগণের উন্নয়নে ধার্য করলেও বাকি অর্ধেক অর্থ মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আটকে থাকছে। মামলাটি ভবিষ্যতে দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা সুস্পষ্ট। কারণ এর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি সার্বভৌম অনাক্রম্যতা আইনের সার্বভৌমত্ব এবং প্রযোজ্যতার প্রশ্ন জড়িত, যার অধীনে একটি সার্বভৌম কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের পুঁজি শাস্তিমূলক কাজে ব্যবহার করা যায় না। সিদ্ধান্তটি আরও জটিল হয়ে উঠেছে, কারণ ওয়াশিংটন তালিবানকে সে দেশের সার্বভৌম কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগান জনগণের সেবায় তহবিল বণ্টন নিশ্চিত করতে চেয়ে একটি তৃতীয় পক্ষ নিয়ন্ত্রক নিয়োগের দাবি করে যিনি বণ্টনের দায়িত্ব পালন করবেন।

মানবিক সঙ্কটের সমাধান খুঁজতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘আফগান জনগণের’ জন্য ধার্য ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বণ্টনের জন্য একটি পারস্পরিক ভাবে গ্রহণযোগ্য পরিকাঠামোর রূপরেখা নির্ণয়ে তালিবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। সেই আলোচনার কর্মসূচি ছিল জনগণের মানবিক চাহিদা পূরণের জন্য তহবিল বণ্টনের উপায়গুলি নির্ধারণ করা, সেটিকে তাদের ব্যাঙ্ককে ‘পুনঃপুঁজিকরণ’ করার একটি উপায় হিসাবে ব্যবহার করা এবং তার কার্যাবলি সম্পাদন করতে সক্ষম করা যা বহু প্রতীক্ষিত ও প্রয়োজনীয় নগদ অর্থের চাহিদারই জোগান দেবে। জুলাই মাসে তাসখন্দ সম্মেলনের পাশাপাশি উভয় পক্ষই প্রস্তাব বিনিময় করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগান জনগণের সেবায় তহবিল বণ্টন নিশ্চিত করতে চেয়ে একটি তৃতীয় পক্ষ নিয়ন্ত্রক নিয়োগের দাবি করে যিনি বণ্টনের দায়িত্ব পালন করবেন। যেহেতু তালিবান একটি ‘সমান্তরাল’ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের উত্থানের বিষয়ে উদ্বিগ্ন, তাই তারা শীর্ষ পদ থেকে নিযুক্ত ব্যক্তিদের অপসারণে অস্বীকার করেছে। তবে ‘নীতিগত ভাবে’ তারা তৃতীয় পক্ষের দ্বারা অডিটে রাজি হয়, যাঁরা ব্যাঙ্ক দ্বারা বণ্টিত অর্থের উপর নজর রাখবে। সম্প্রতি কাবুলের একটি অভিজাত লোকালয়ে আল-জাওয়াহিরির হত্যার ঘটনা ডি এ বি-কে আবার কার্যকর করে তোলার জন্য আলাপ-আলোচনায় বাধা প্রদান করেছে।

সামনের পথ

আফগানিস্তানের সঙ্কট বহুমাত্রিক। দেশের অভ্যন্তরে অর্থনৈতিক অস্থিরতা ছাড়াও কোভিডের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব, ইউক্রেনের সঙ্কটের কারণে জ্বালানির উচ্চ মূল্য, দেশটিতে আঘাত হানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রবাহ এবং পাকিস্তানের বন্যা, যার ফলে সড়কপথে ত্রাণের বণ্টন প্রভাবিত হয়েছে, যে কোনও একমাত্রিক সমাধানের সম্ভাবনাকে দুরূহ করে তুলেছে। এক বছর পরে একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ততার মাত্রা এবং মানবিক ভাবনাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়গুলি এখনও বিতর্কসাপেক্ষ। কাবুলে ঘটে চলা বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সাধারণ গ্রহণযোগ্যতা থাকলেও দেশের একটি উল্লেখযোগ্য শক্তি অর্থাৎ বেসরকারি ক্ষেত্রগুলি কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবে, সে সম্পর্কে তেমন কোনও আলোচনা হয়নি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত ত্রাণ সংগঠন-সহ বেসরকারি ক্ষেত্রগুলির সশক্তিকরণ, যাতে আর্থিক সংগঠনগুলিকে সীমিত ভাবে ব্যবহার করা এবং একই সঙ্গে বরাদ্দ অর্থের সঠিক ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করা। তালিবান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলা আলাপ-আলোচনা এই কাজের দুরূহতা প্রমাণ করলেও ডি এ বি-র স্বায়ত্তশাসন সুনিশ্চিত করার জন্য একটি কথোপকথনকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। তহবিলগুলি সম্পূর্ণ রূপে উন্মুক্ত করা হলেও তারা খুব বেশি হলে সীমিত সহায়তাই প্রদান করবে, যত দিন না দেশটি রাজস্ব উপার্জনের নতুন স্থিতিশীল পথ খুঁজে পাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করে।

মতামত লেখকের নিজস্ব।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Shivam Shekhawat

Shivam Shekhawat

Shivam Shekhawat is a Junior Fellow with ORF’s Strategic Studies Programme. Her research focuses primarily on India’s neighbourhood- particularly tracking the security, political and economic ...

Read More +