Author : Ramanath Jha

Expert Speak India Matters
Published on Nov 15, 2022 Updated 15 Days ago

প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত দেশগুলির তালিকায় ভারত উপরের দিকেই রয়েছে এবং বর্তমানে শহুরে বন্যাও ভারতের প্রাকৃতিক দুর্যোগের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

বেঙ্গালুরুর বন্যা: ভারতের শহরগুলিতে বন্যার ক্রমবর্ধমান প্রতিবন্ধকতা
বেঙ্গালুরুর বন্যা: ভারতের শহরগুলিতে বন্যার ক্রমবর্ধমান প্রতিবন্ধকতা

‘ভারতের সিলিকন ভ্যালি’ এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি রফতানিকারক হিসাবে খ্যাত বেঙ্গালুরু শহরের বড় একটি অংশ দু’দিন যাবৎ (২৯ এবং ৩০ আগস্ট ২০২২) জলমগ্ন ছিল। অভূতপূর্ব এবং অবিরাম বৃষ্টি — যা বেঙ্গালুরুতে ইতিহাসে নথিভুক্ত তৃতীয় সর্বাধিক ভারী বৃষ্টিপাতও — শহরটিকে প্লাবিত করেছে। বেঙ্গালুরুর হ্রদগুলি পরিপূর্ণ হয়ে যায়; কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাড় ভেঙে জলরাশি শহরের রাস্তায়, পার্কিং লটে এবং বাড়ির মধ্যেই ঢুকে যায়। বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দাদের ট্রাক্টরে করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়। জল সংক্রান্ত একাধিক সমস্যাও তৈরি হয় শহর জুড়ে। ব্যাপক যানজট, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি নানা স্বাভাবিক কার্যক্রম স্তব্ধ হয়ে যায়। পাম্প হাউসগুলি প্লাবিত হয়ে যাওয়ার কারণে শহরের জল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে এবং বেশ কিছু অঞ্চলে বোরওয়েল এবং ট্যাঙ্কারের জলের উপর নির্ভর করতে হয়েছিল।

জল এবং বর্জ্য জল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ব্যাঙ্গালোর ওয়াটার সাপ্লাই এবং সুয়ারেজ বোর্ড; শহর পরিবহণের দায়িত্বে রয়েছে ব্যাঙ্গালোর মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন; এবং অগ্নি নির্বাপণ পরিষেবা প্রদান করে কর্নাটক ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস।

এই বিপর্যয়ের নেপথ্যে থাকা কারণগুলির বেশ কয়েকটি ছিল শহর

সম্পর্কিত। বেঙ্গালুরু দীর্ঘদিন ব্যাপী হ্রদের শহর হিসেবে খ্যাত। দুর্ভাগ্যবশত শহরটির স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা অতীতে শহরটিকে বাঁচিয়ে রাখা বিস্তৃত বাস্তুতন্ত্রের প্রতি যথেষ্ট সচেতন  নয়। অধিকাংশ হ্রদই ভরাট হয়ে গিয়েছে; অন্য হ্রদগুলিকে আস্তে আস্তে ও বেআইনি ভাবে দখল এবং তার উপর নির্মাণ কাজ চালানোর মাধ্যমে পরিসর কমিয়ে আনা হয়েছে। এ ছাড়াও জলাশয়গুলির মধ্যে আন্তঃসংযোগ ব্যাহত হয়েছে। বৃহৎ আকারের দখলদারির জেরে শহরের নিকাশি ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বন্যার সঙ্গে সম্পর্কিত শহরের পরিকাঠামোগুলিও সমান ভাবে অব্যবস্থাপনার শিকার হয়েছে। শহরের ঝড়বৃষ্টির জলনিকাশি নালাগুলির রক্ষণাবেক্ষণ যথাযথ নয় এবং শহরটির কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও উন্নতি সাধন অত্যন্ত প্রয়োজন।

বেঙ্গালুরুর পৌর প্রশাসন ব্যবস্থা অত্যন্ত ভঙ্গুর। নাগরিক পৌর প্রতিষ্ঠানগুলির কার্যকারিতা সীমাবদ্ধ এবং পৃথক পরিষেবাগুলির ব্যবস্থাপনার জন্য একাধিক সমান্তরাল ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। জল এবং বর্জ্য জল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ব্যাঙ্গালোর ওয়াটার সাপ্লাই এবং সুয়ারেজ বোর্ড; শহর পরিবহণের দায়িত্বে রয়েছে ব্যাঙ্গালোর মেট্রোপলিটান ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন; এবং অগ্নি নির্বাপণ পরিষেবা প্রদান করে কর্নাটক ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস। পরিকল্পনাগত দিক থেকে ব্যাঙ্গালোর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি শহরের প্রধান পরিকল্পনাকারী কর্তৃপক্ষ এবং ব্যাঙ্গালোর মেট্রোপলিটন ম্যানেজমেন্ট অথরিটি বেঙ্গালুরুর মেট্রোপলিটন অঞ্চলটির পরিকল্পনার জন্য দায়বদ্ধ। এ কথা স্পষ্ট যে, কোনও সঙ্কটের সময় এই সংস্থাগুলির মধ্যে আন্তঃসমন্বয় সাধন করাই বিশাল সমস্যার সৃষ্টি করে।

যদিও এ কথা অবশ্যই স্বীকার করে নিতে হবে যে, শহুরে বন্যা এখন একটি জাতীয় বিপর্যয়ের আকার ধারণ করেছে, যার ফলে ভারতের একাধিক বড় শহর এবং মহানগরগুলি বার্ষিক ভাবে প্রভাবিত হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ২০২২ সালের জুলাই মাসে ভারী বৃষ্টির ফলে আমদাবাদও প্লাবিত হয়েছিল। শহরের অনেক এলাকা জলমগ্ন এবং বহু আবাসনের একতলা ও বাংলো জলের নিচে ডুবে গিয়েছিল। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় চেন্নাই কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। শহরে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে চেন্নাইয়ের একাধিক অঞ্চল সম্পূর্ণ বিচ্ছিন হয়ে পড়ে। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে হায়দরাবাদে এক অভূতপূর্ব ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে প্রায় ৫০ জন মানুষ প্রাণ হারান এবং প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি নষ্ট হয়েছিল। দিল্লি, মুম্বই, পাটনা, পুনে এবং অন্য অনেক মেট্রো শহরও বিভিন্ন সময়ে প্লাবিত হয়েছে এবং এর ফলে একাধিক দিনের জন্য শহরগুলি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে।

প্রস্তাবিত কর্মসূচির প্রথম গ্রুপে রয়েছে কনট্যুর ম্যাপ নির্মাণ, ঝড়বৃষ্টির জল নিষ্কাশনকারী নেটওয়ার্কের বৃদ্ধি, ক্রস-ড্রেনেজ কাজ এবং পাম্প করে জল বার করে দেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি।

পূর্বোল্লিখিত ঘটনাগুলির পাশাপাশি এ হেন আরও ঘটনার প্রেক্ষিতে এই উপসংহারে পৌঁছনো সম্ভব যে, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত শক্তিগুলির ফলে শহরগুলিতে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিদ্যমান শহুরে নিষ্কাশন ব্যবস্থাগুলি ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সঙ্গে যুঝতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তা বন্যা ডেকে এনেছে। দুর্যোগের ঘটনা, বিপর্যয়ের শিকার এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির নিরিখে ভারত ইতিমধ্যেই অন্য দেশগুলির তুলনায় বেশ এগিয়ে রয়েছে। উপর্যুপরি এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে শহুরে বন্যা, যা ক্রমশ এক ব্যাপক জাতীয় প্রতিবন্ধকতায় রূপান্তরিত হয়েছে।

বেশ কিছু সময় যাবৎ শহুরে বন্যা যথাযোগ্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেনি। কারণ ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এন ডি এম এ) প্রধানত গ্রামীণ এলাকায় বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী নদীর কারণে সৃষ্ট বন্যার উপরেই মনোনিবেশ করেছিল। এ ক্ষেত্রে বাঁকবদলের সূচনা ঘটে ২০০৫ সালের জুলাই মাসে মুম্বইতে ভয়ঙ্কর বন্যার হাত ধরে, যখন শহরটি অভূতপূর্ব ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে বিপর্যস্ত অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিল না। তখনই এন ডি এম এ শহুরে বন্যাকে একটি পৃথক বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করার এবং সেটিকে অন্যান্য বন্যা থেকে পৃথক করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এই বন্যার নেপথ্যের কারণ অন্বেষণে চালানো এক গবেষণায় ভারতের শহরগুলি জুড়ে নগর পরিকল্পনা এবং নগর প্রশাসনিক ক্ষেত্রে প্রযোজ্য অভিন্ন কারণগুলি উঠে এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দশটি কারণ হল: একাধিক এলাকায় ঝড়বৃষ্টির জলের নিকাশি ব্যবস্থা না-থাকা; বিদ্যমান ঝড়বৃষ্টির জলের নিকাশি নালাগুলির দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ যার ফলে কাদা এবং অন্যান্য উপাদান সেগুলির মুখে আটকে থাকে; জলাশয় এবং নালাগুলি ভরাট করা; দখলদারি বা দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণের ফলে নিষ্কাশনের অক্ষমতা; খোলা জায়গা কমিয়ে  আনা এবং কংক্রিটে ঢেকে ফেলার ফলে জল চুঁইয়ে নিচে যাওয়ার পথ বন্ধ করে  দেওয়া; শহরের পরিকাঠামোগত ক্ষমতার বাইরে অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ কাজ এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব; ব্যাপক বেআইনি নির্মাণকাজ রোধে ব্যর্থতা; পর্যাপ্ত প্রশমন ব্যবস্থা ছাড়াই নিচু এলাকায় নির্মাণের অনুমতি দেওয়া; কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য; নির্মাণ কাজ সংক্রান্ত ধ্বংসাবশেষ বেআইনি স্তূপীকরণ; এবং জলের নির্গমনের উপর প্রভাব বিস্তারকারী শহরের সামগ্রিক পরিকাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণ ও পর্যবেক্ষণে ঘাটতি।

বেশ কয়েকটি কমিটি শহুরে বন্যার কারণ অনুসন্ধান করেছে এবং প্রতিকারমূলক ব্যবস্থার পরামর্শও প্রদান করছে। প্রস্তাবিত কর্মসূচির প্রথম গ্রুপে রয়েছে কনট্যুর ম্যাপ নির্মাণ, ঝড়বৃষ্টির জল নিষ্কাশনকারী নেটওয়ার্কের বৃদ্ধি, ক্রস-ড্রেনেজ কাজ এবং পাম্প করে জল বার করে দেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি। কর্মসূচির দ্বিতীয় গ্রুপে রয়েছে ঝড়বৃষ্টির জল নিষ্কাশনের পথে প্রতিবন্ধকতা অপসারণ, ভাসমান ময়লার কারণে সৃষ্ট বাধাগুলি অপসারণ, ভরাটের কারণে সঙ্কুচিত নালা ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার, কার্যকর আবর্জনা ব্যবস্থাপনা, পলি তোলা এবং ধারণক্ষমতাসম্পন্ন পুকুরের সংরক্ষণ। নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে প্লাস্টিকের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং জমি দখল প্রতিরোধ করা।

জলবায়ু পরিবর্তন এবং সকল অরক্ষিত রাজ্যগুলি দ্বারা শহুরে বন্যাগুলিকে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার মধ্যে সংশ্লিষ্ট করা হলে প্রাক-দুর্যোগ নীতি এবং পরিকল্পনার প্রতি আরও মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে, যার ফলে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনকে বিপর্যয় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার একটি অপরিহার্য অংশ করে তুলবে।

উপরোল্লিখিত কাজগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটির দায়িত্ব শহরগুলিকে গ্রহণ করতে হবে। অন্য কাজগুলির দায়িত্ব বর্তাবে রাজ্যের উপর। নগর উন্নয়নকে রাজ্যের দায়িত্ব বলে মনে করা হলেও বড় ভারতীয় শহরগুলিতে জীবনের প্রয়োজনীয় গুণমানে সমর্থন জোগাতে নাগরিক পরিকাঠামোর ব্যর্থতায় কেন্দ্রীয় সরকার নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারে না। এই ধরনের শহরগুলি জাতীয় সম্পদ এবং ভারতীয় অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান অবদান রেখেছে। এ কথা অস্বীকার করা যায় না যে, শহরগুলির আর্থিক দুর্বলতায় জাতীয় সরকারের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে এবং তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতাকে সমর্থন জোগানোর জন্য তারা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। সরকারের পক্ষ থেকে এ হেন নিষ্ক্রিয়তা ভারতীয় শহরগুলির অবস্থা করুণতর করে তুলতে পারে; দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত হতে পারে এবং ভারতীয় শহরগুলির ভাবমূর্তি বিশ্বব্যাপী ক্ষুণ্ণ হতে পারে।

একই সঙ্গে বিপর্যয়ের এই নতুন দৃষ্টান্ত থেকে রাজ্যগুলিকে উপযুক্ত শিক্ষা নিতে হবে। প্রথমত, ভারতীয় শহরগুলিতে উপস্থিত দুর্বল প্রশাসনিক পরিকাঠামো দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলার কথা মাথায় রেখে বানানো হয়নি। সমান্তরাল নাগরিক ব্যবস্থাগুলির বৃদ্ধি অবিলম্বে পরিহার করা প্রয়োজন এবং নাগরিক পৌর প্রতিষ্ঠানগুলির হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্য একটি নতুন কাঠামো তুলে ধরতে হবে। দ্বিতীয়ত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অরক্ষিত রাজ্যগুলি দ্বারা শহুরে বন্যাগুলিকে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার মধ্যে সংশ্লিষ্ট করা হলে প্রাক-দুর্যোগ নীতি এবং পরিকল্পনার প্রতি আরও মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে, যা জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনকে বিপর্যয় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার একটি অপরিহার্য অংশ করে তুলবে। শহরগুলিকে শহুরে বন্যার পুনরাবৃত্তিমূলক বিষয়টিকে নিজেদেরই বিবেচনা করতে হবে এবং বন্যা ও প্রশমন কৌশলগুলির উপর সমান গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির পরিপূরক হতে হবে।

রাজ্যের তরফে প্রচেষ্টা ছাড়াও দুর্যোগ প্রশমন এবং ব্যবস্থাপনার জন্য সম্প্রদায়গত পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে উন্নয়ন নীতি এবং নাগরিক পৌর প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনার মধ্যে দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনের বিষয়টির অন্তর্ভুক্তিকরণ সম্ভব। সর্বোপরি, শহরব্যাপী নাগরিকদের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচিগুলিকে ব্যাপক শিক্ষামূলক প্রচেষ্টার আওতায় আনতে হবে যাতে ঝুঁকি প্রশমন সংক্রান্ত আচরণ তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে ওঠে।

মতামত লেখকের নিজস্ব।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.