Author : Sohini Nayak

Expert Speak Raisina Debates
Published on Aug 19, 2022 Updated 16 Days ago

উভয় দেশের রাজনৈতিক দলগুলিই নতুন নতুন উদ্যোগে একজোটে কাজ করতে ইচ্ছুক হওয়ায় ভারত ও নেপালের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হচ্ছে।

‘প্রচণ্ড’র ভারত সফর: নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রের নির্মাণ
‘প্রচণ্ড’র ভারত সফর: নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রের নির্মাণ

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রেসিডেন্ট জগৎ প্রকাশ নাড্ডার আনুষ্ঠানিক আহ্বানে সাড়া দিয়ে পুষ্পকুমার দহল, যিনি ‘প্রচণ্ড’ নামে অধিক পরিচিত, তাঁর ভারত সফরে আসার ঘটনা ভারত ও নেপালের তরফে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার অবিরাম প্রচেষ্টাকে পুনরায় খবরের শিরোনামে জায়গা করে দিয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ভারতের জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন এবং ভারত-নেপাল কৌশলগত মৈত্রীর নিরিখে সংশ্লিষ্ট বৈঠকের প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব বৃদ্ধি করেন। এই সমগ্র উদ্যোগটি ‘নো বিজেপি’ বা ‘বিজেপিকে জানুন’ প্রকল্পের এক অপরিহার্য অংশ, যেটির প্রধান লক্ষ্য হল দুই দেশের পার্টি টু পার্টি বা রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করা এবং কার্যালয়গুলির স্থিতিশীল ব্যবস্থাপনা সুনিশ্চিত করা, যা ভবিষ্যতে অভিন্ন সাধারণ স্বার্থ পূরণে যৌথ কর্মসূচির পথ খুলে দেবে। এ কথা লক্ষ্যণীয় যে, এই সাক্ষাতের তিন মাস আগে নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাও বিজেপির সদর দফতর পরিদর্শনে এসেছিলেন। তিনিই প্রথম নেপালি প্রধানমন্ত্রী যিনি এমনটা করেছেন এবং প্রধানত শাসক দল অর্থাৎ নেপালি কংগ্রেস পার্টির প্রেসিডেন্ট হিসেবেই তিনি বিজেপি কার্যালয়ে যান।

তাই যখন দহল বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে শান্তি ও বন্ধুত্ব চুক্তির (১৯৫০) সংস্কার এবং অন্য অমীমাংসিত বিষয়গুলির সমাধানের উপরে নির্দিষ্ট ভাবে জোর দেন, তখন সারা বিশ্ব এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠে, যা গত কয়েক বছর যাবৎ বেশ টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে।

নেপালের রাজনৈতিক দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল-মাওয়িস্ট সেন্টারের সভাপতি এবং দেশটির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রূপে দহল বর্তমান সরকারের জোটের এক প্রধান অংশীদারও বটে। স্বাভাবিক ভাবেই সফর চলাকালীন তিনি যে আলোচনাগুলিতে অংশগ্রহণ করেন, সেগুলিতে তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে নয়াদিল্লির কাছে কাঠমান্ডুর প্রত্যাশাগুলিকেই তিনি তুলে ধরেন। তাই যখন দহল বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে শান্তি ও বন্ধুত্ব চুক্তির (১৯৫০) সংস্কার এবং অন্য অমীমাংসিত বিষয়গুলির সমাধানের উপরে নির্দিষ্ট ভাবে জোর দেন, তখন সারা বিশ্ব এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠে, যা গত কয়েক বছর যাবৎ বেশ টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে।

১৯৫০-এর চুক্তির দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা

১৯৫০-এর চুক্তিগুলি প্রধানত এমন এক সময়ে অনুমোদিত এবং প্রত্যয়িত হয়েছিল যখন সারা পৃথিবী বিদ্যমান ঠান্ডা লড়াইয়ের মূল্য চোকাচ্ছিল এবং চিন অধিকৃত তিব্বতের সঙ্গে ভৌগোলিক নৈকট্য থাকার দরুন ভারতের জন্য নেপাল ক্রমশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছিল। একই সঙ্গে চারপাশ ভূখণ্ড দ্বারা পরিবেষ্টিত দেশটির অভ্যন্তরে ক্ষমতায় আসীন রানা প্রশাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান সংগ্রামের অবিলম্বে সমাধানসূত্র খোঁজা আবশ্যিক হয়ে দাঁড়ায়। কারণ এই বিরোধীদের নাকি ভারতে ঘাঁটি ছিল। ফলে নেপালে ক্ষমতায় থাকা শাসক দলের জন্য  ভারতের সঙ্গে এক বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তোলা অত্যন্ত উপযোগী হয়ে ওঠে, যা নেপালের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনগুলি খর্ব করার জন্য তাদের দরকার ছিল। সেই সময় যে প্রবিধানগুলি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, সেগুলির ভিত্তি ছিল মুক্ত সীমান্তের উভয় পার্শ্বের মানুষের অবাধ যাতায়াত-সহ অভিন্ন আর্থ-সামাজিক প্রয়োজনীয়তা। চুক্তিপত্রগুলিতে এ কথা স্পষ্ট করে বলা ছিল যে, এক দেশের নাগরিক অপর দেশের শিল্প ও অর্থনৈতিক কর্মসূচিতে স্বাধীন ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবে (ধারা নম্বর ৭)। এ ছাড়াও অন্যান্য প্রবিধানের মধ্যে নেপালে উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তাকারী প্রাকৃতিক সম্পদের নিরিখে ভারতীয়দের প্রথম সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য। যদিও দুই পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সূত্রপাত হয় ১৯৫৯ সালে, যখন দ্বিপাক্ষিক চুক্তিটি ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে আলোচিত বিষয়গুলির বিশদ বর্ণনা-সহ গোপন নথিটি ফাঁস হয়ে যায়, যা জনমানসে সুতীব্র নেতিবাচক অনুভূতির জন্ম দেয়। একই সঙ্গে দুই স্বাক্ষরকারী নেপালি রাজা মোহন শমশের জং বাহাদুর রানা এবং ভারতীয় রাষ্ট্রদূত চন্দ্রেশ্বর নারায়ণ সিং-কে নিয়ে অসন্তোষের চোরা স্রোত স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে। এই দু’জনের পদমর্যাদাগত ফারাক ছোট দেশ নেপালের জন্য অপমানজনক বলে বিবেচিত হয়।

চুক্তিপত্রগুলিতে এ কথা স্পষ্ট করে বলা ছিল যে, এক দেশের নাগরিক অপর দেশের শিল্প ও অর্থনৈতিক কর্মসূচিতে স্বাধীন ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবে (ধারা নম্বর ৭)। এ ছাড়াও অন্যান্য প্রবিধানের মধ্যে নেপালে উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তাকারী প্রাকৃতিক সম্পদের নিরিখে ভারতীয়দের প্রথম সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য।

এর পর থেকেই নেপালের তরফে এই চুক্তি নিয়ে বারংবার প্রশ্ন তোলা হয়েছে এবং চুক্তিটির ১, ২, ৫, ৬, ৭ এবং ১০ নম্বর ধারাগুলির ত্রুটি দর্শানো হয়েছে। ভারত চিন (১৯৬২) অথবা পশ্চিম পাকিস্তান (১৯৬৫) এবং পূর্ব পাকিস্তানের (যা পরবর্তী কালে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামে পরিচিত হয়) বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা সম্পর্কে নেপালকে অবগত করেনি, নেপালের তরফে এমন দাবি করা হলেও ভারত সে কথা সরাসরি খারিজ করে দেয়। কিন্তু এর ফলে দ্বিপাক্ষিক টানাপড়েন তীব্রতর হয়। এ ছাড়াও, একে অন্যের ভূখণ্ডে বাসস্থান, কাজের সুযোগ এবং সম্পত্তি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমানাধিকার নিয়েও দুই দেশের মধ্যে মতদ্বৈধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ১৯৮০-র দশকের পর থেকে উভয় দেশই চুক্তিটির প্রবিধানগুলি মেনে চলতে চূড়ান্ত ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এক দিকে নেপাল যেমন বিদেশিদের জন্য কাজের অনুমতি সংক্রান্ত ব্যবস্থা চালু করেও সেই সিদ্ধান্তের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হয়েছে, অন্য দিকে ভারতের উত্তর পূর্ব অঞ্চল (প্রধানত মেঘালয় এবং অসম) থেকেও পরিযায়ী নেপালিদের পরিযায়ী-পরিপন্থী মানসিকতার দরুন দেশে ফেরত পাঠানো হয়। একই সঙ্গে ভারতীয় সেনার গোর্খা রেজিমেন্টে নেপালি গোর্খাদের অন্তর্ভুক্তির ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়ে ভারতীয় গোর্খাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার ভাবাবেগও তীব্রতর হয়ে ওঠে। এ ছাড়াও, নেপালের তরফে বারবার দোষারোপ করা হয়েছে এই বলে যে, ভারত নেপালি ব্যবসায়ীদের প্রতি ন্যায্য ব্যবহার ও অভ্যন্তরীণ বাজারে একচেটিয়া প্রভাব না খাটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকলেও নেপালি ব্যবসায়ীরা কখনওই ভারতীয় বাজারে নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। কিন্তু ভারতীয় ব্যবসায়ীরা সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই নেপালের অর্থনীতির সম্পূর্ণ সদব্যবহার করেছেন।

বর্তমান বাস্তবতা

একবিংশ শতাব্দীর গত দশক ভারত-নেপাল দ্বিপাক্ষিক চুক্তিটি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তাকেই তুলে ধরেছে। কারণ আলোচ্য সময়ের আগে উভয় দেশই দু’টি উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অবরোধের মধ্য দিয়ে গিয়েছে (একটি ১৯৮৯ সালে এবং  অপরটি ২০১৫ সালে)। তাই ভারত পুনর্মূল্যায়নে সম্মত হলে এমিনেন্ট পারসনস গ্রুপের (এ পি জি) বৈঠকগুলি গুরুতর আলোচনা্র দায়িত্ব নিয়ে ২০১৬ সাল নাগাদ শুরু  হয়। আরও সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে, এই সময়ের মধ্যে, ভারত নেপালে চিনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী উপস্থিতি সম্পর্কে এবং দুই দেশই যে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অবিচ্ছেদ্য অংশীদার, সে বিষয়ে অবগত হয়। এক দিকে যখন নেপাল ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিল, যার মধ্যে সাম্প্রতিকতম হল লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ এবং সুস্তার অবস্থান সংক্রান্ত কালাপানি মানচিত্র সংঘাত (২০১৯), তখন অন্য দিকে নেপাল-চিন পরিকল্পিত ট্রান্স হিমালয়ান মাল্টিডাইমেনশনাল কানেক্টিভিটি নেটওয়ার্ক অথবা নেপাল-চিন রেল লিঙ্ক এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক সংক্রান্ত নেপাল ও চিনের মধ্যে বৈঠকগুলি সফল হয়েছিল। আশ্চর্যজনক ভাবে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে তৎকালীন সি পি এন (মাওবাদী) নেতা প্রচণ্ড নিজেই নেপালে অন্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে এই রকম একটি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন, যাতে কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়। এর সম্পূর্ণ বিপরীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং নেপালি প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির তত্ত্বাবধানে ই পি জি বৈঠকগুলি প্রাথমিক ভাবে ২০১৬ সালে শুরু হয়ে থাকলেও এবং সীমান্ত সমস্যা, বাণিজ্য, সম্পদ বণ্টন এবং নেপালের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ জলবিদ্যুৎ নিয়ে বারংবার আলোচনা চালানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও সুনির্দিষ্ট ফলাফল পাওয়া যায়নি।

নেপাল দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক বহুপাক্ষিক ঘটনাবলি সম্পর্কেও সচেতন, বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক কো-অপারেশন (বিমস্টেক) অথবা বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল (বি বি আই এন) পরিবহণ ও অর্থনৈতিক করিডোরের মতো পদক্ষেপগুলি যার অন্তর্গত এবং যেগুলির বাস্তবায়নের জন্য ভারতের সঙ্গে সমান অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।

তা সত্ত্বেও, ভারত সরকারের ‘নেবারহুড ফার্স্ট পলিসি’ এবং ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লাভ তোলার বিষয়ে নেপাল যথেষ্ট সচেতন। সুতরাং ভারত সফরে আসার আগে প্রচণ্ড লিউ-এর নেতৃত্বাধীন চিনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ সারেন এবং রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এই বার্তাই দেন যে, ভারতের সঙ্গে জোটের অংশীদারিত্বের বিষয়টি নেপাল অবহেলা করবে না। উপরন্তু নেপাল দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক বহুপাক্ষিক ঘটনাবলি সম্পর্কেও সচেতন, বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক কো-অপারেশন (বিমস্টেক) অথবা বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল (বি বি আই এন) পরিবহণ ও অর্থনৈতিক করিডোরের মতো পদক্ষেপগুলি যার অন্তর্গত এবং যেগুলির বাস্তবায়নের জন্য ভারতের সঙ্গে সমান অংশীদারিত্ব প্রয়োজন। এই জাতীয় প্রকল্পগুলির মাধ্যমে নেপাল তার আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ এবং জনকপুর-জয়নগর রেলওয়ে প্রকল্প বা জনকপুর-অযোধ্যা দ্বৈত শহর প্রকল্প চুক্তি বাস্তবায়নে সক্ষম হবে, যেগুলি ‘উভয় দেশের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে স্থগিত হয়ে রয়েছে’। দ্বিপাক্ষিক সংযোগ উদ্যোগের এই থমকে থাকা বিষয়গুলি সমাধানেরই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রচণ্ড।

যেহেতু বিজেপিই একমাত্র রাজনৈতিক দল যাদের সঙ্গে নেপালি রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রায়শই সাক্ষাৎ হয়, তাই অনুমান করা যায়, ভবিষ্যতেও এই নেতারা একে অপরের সঙ্গে আরও দ্রুত যোগাযোগ করতে চাইবেন এবং নিজেদের সুবিধার জন্য একে অপরের ক্ষমতাকে সমর্থন জোগাবেন। নেপালের মতো একটি দেশ যেখানে সরকার প্রায়শই বদলে যায়, সেখানে দক্ষিণ নেপালকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিজেপির সমর্থনও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নেপালের এই অংশ এবং ভারতের মধ্যে সাধারণ সীমান্ত বিদ্যমান এবং বিশেষ করে মধেসিরা নেপালের রাজনীতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলেন।

তা সত্ত্বেও দুই দেশের, বিশেষত নেপালের উদ্যম এবং উদ্দীপনা লক্ষ্যণীয় এবং এর নেপথ্যে প্রধান কারণ হল ভৌগোলিক অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির কাছে এই সম্পর্কের মূল্য অত্যন্ত বেশি। আশা করা যায় যে, এই ধরনের দ্বিপাক্ষিক আদানপ্রদান খুব শীঘ্রই ফলপ্রসূ হবে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.