-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীরতর রাজনৈতিক বিভাজন ও প্রশাসনব্যবস্থা সংক্রান্ত অসন্তোষের সম্মুখীন। এটি উল্লেখযোগ্য অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক প্রভাব-সহ একটি অস্থির নির্বাচনী প্রতিযোগিতার চিত্রকেই তুলে ধরে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে, যা সse দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণকেই চিহ্নিত করে। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রাক্-নির্বাচনী পর্যায় ইতিমধ্যেই অভ্যন্তরীণ বিতর্ক ও ভূ-রাজনৈতিক ঘটনা উদ্ঘাটনের সম্মুখীন হওয়ায় নাটকীয় ভাবে প্রভাবিত হয়েছে। রিপাবলিকান দলের মধ্যে অনুমিত মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আধুনিক প্রেসিডেন্সির রাজনীতিতে তাঁর প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অভিনব আইনি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। এ দিকে, ইউক্রেনে বিদ্যমান যুদ্ধ, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হওয়া ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের যুদ্ধ, আফগানিস্তান থেকে ২০২১ সালে সেনা প্রত্যাহার এবং চিনের সঙ্গে বৃহৎ শক্তির উত্তেজনা বৃদ্ধির মতো প্রধান বিদেশনীতি সংক্রান্ত বিষয়গুলি ভোটারদের উদ্বেগকে আকার দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমীকরণ বোঝার জন্য আন্তর্জাতিক উন্নয়নের পটভূমিতে সেগুলিও নিরীক্ষণ করা জরুরি। ২০২৪ সালের নির্বাচনের যে কোনও বিশ্লেষণে অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত যে, কী ভাবে প্রার্থীদের ঘিরে অভ্যন্তরীণ বিতর্ক, বিশেষ করে রিপাবলিকান দলের মধ্যে, ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে মিলিত হয়ে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা এবং তার ফলাফলকে আকার দিতে পারে। এই নির্বাচন আন্তর্জাতিক মঞ্চে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এবং তার অভ্যন্তরীণ রাজনীতির গতিপথের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।
বাইডেন কঠোর সীমান্ত নীতি ছাড়াই ইউক্রেনকে সহায়তা, ইজরায়েল-গাজা দ্বন্দ্বের প্রতিবাদ এবং অভিবাসন নীতি সংস্কারে রিপাবলিকান দলের বাধা-সহ নানাবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন।
সাম্প্রতিক সমীক্ষাগুলিতে জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জোরদার প্রতিযোগিতার ইঙ্গিত দেওয়ার পাশাপাশি এ কথাও উঠে এসেছে যে, ২০২০ সালে অংশগ্রহণ না করা ভোটারদের এ বারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ট্রাম্পকে অনেকটাই এগিয়ে দিতে পারে। এ দিকে, বাইডেন কঠোর সীমান্ত নীতি ছাড়াই ইউক্রেনকে সহায়তা, ইজরায়েল-গাজা দ্বন্দ্বের প্রতিবাদ এবং অভিবাসন নীতি সংস্কারে রিপাবলিকান দলের বাধা-সহ নানাবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। এই সমীকরণগুলি প্রোগ্রেসিভ ভোটারদের ইজরায়েল প্রসঙ্গে আরও বামপন্থী নীতির প্রত্যাশা এবং সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিবাসন ও মতবদলকারী ভোটারদের প্রেক্ষিতে বাইডেনের দুর্বলতাগুলিকেই
তুলে ধরে। ট্রাম্পের ক্ষেত্রে অনেক রিপাবলিকানই প্রাথমিক ভাবে বিকল্প মনোনীত প্রার্থীকে পছন্দ করলেও ট্রাম্পের স্থায়ী সমর্থনের নেপথ্যে রয়েছে দলের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। ৬ জানুয়ারির শুনানি ও আইনি ঝামেলা সত্ত্বেও এই স্থিতিস্থাপকতা তাঁর মূল ভোটার ভিত্তির মধ্যে বিদ্যমান আনুগত্যকেই দর্শায়। শেষ পর্যন্ত প্রার্থীদের ভাগ্য বৃহত্তর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করতে পারে। ক্রমবর্ধমান জনতাবাদ ও কঠোর বাণিজ্য এবং অভিবাসন নীতির মতো বিশ্বব্যাপী ঘটনা ট্রাম্পের মতো দক্ষিণপন্থী প্রার্থীর জন্য ইতিবাচক বলে প্রমাণিত হতে পারে। কিন্তু অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি বা প্রাক্-নির্বাচন পর্যায়ে অন্যান্য ‘অক্টোবর সারপ্রাইজেজ’-এর মতো বিষয় এই দৌড়ে পরিবর্তন আনতে পারে।
২০২৪ সালের রিপাবলিকান দলে প্রাক্-নির্বাচনী পর্যায়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সম্ভাব্য আন্তঃদলীয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় জাতীয় স্তরে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। সাম্প্রতিক সমীক্ষা দর্শিয়েছে যে, ট্রাম্প রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি সমর্থন পেয়েছেন এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রন ডিসান্টিস এবং নিকি হ্যালের চেয়ে ৪০ শতাংশের বেশি পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন। ডিসান্টিস এবং হ্যালে… প্রত্যেকেই মাত্র ১০-১৫ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন, যেখানে বিবেক রামস্বামীর মতো কম উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা মাত্র ৪ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। একত্রিত ট্রাম্প-বিরোধী প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাল্পনিক সম্মুখ সমর কল্পনা করা হলে ট্রাম্পের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন স্থিতিস্থাপক বলেই মনে হয়। সমীক্ষা দেখিয়েছে যে, ট্রাম্পকে ঘিরে বিতর্ক থাকা সত্ত্বেও তিনি রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে একটি আন্তরিক আনুগত্যের ভিত্তি স্থাপনে সমর্থ হয়েছেন। ট্রাম্প তাঁর রিপাবলিকান সমর্থনের বৃহৎ ভিত্তির অসম্ভাব্য পতন না ঘটলে সহজেই জিওপি বা রিপাবলিকান দলে মনোনয়নে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবেন।
একত্রিত ট্রাম্প-বিরোধী প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাল্পনিক সম্মুখ সমর কল্পনা করা হলে ট্রাম্পের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন স্থিতিস্থাপক বলেই মনে হয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রমবর্ধমান বিতর্ক ও তদন্তের সম্মুখীন হয়েছেন যা তার ২০২৪ সালের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার উপর অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। তাঁর উত্তেজক বক্তৃতা ক্রমাগত চিরাচরিত বিদ্রোহী মনোভাবকে উস্কে দিয়েছে, সম্প্রতি অভিবাসীদের জাতির ‘রক্তে’ ‘বিষ’ হিসেবে উল্লেখ করে নাৎসি প্রচারের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। এই ধরনের মেরুকরণের ভাষা ট্রাম্পের অনুগত জনপ্রিয় ভিত্তিকে সক্রিয় করে তোলার পাশাপাশি তা মূলধারার রাজনীতিতে সীমার ঊর্ধ্বে উঠে চরমপন্থার ইঙ্গিতও দিয়েছে। এই বাগাড়ম্বর ট্রাম্পের আইনগত দুর্বলতাকে আরও জটিল করে তুলেছে। কারণ তিনি নির্বাচনী লড়াইয়ের জন্য ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল বিদ্রোহকে উস্কে দেওয়ার পাশাপাশি ৯০টিরও বেশি ফৌজদারি অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছেন। দু’টি নজিরবিহীন অভিযোগ ইতিমধ্যেই তাঁর
ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করেছে এবং এই অভিযোগগুলি ট্রাম্পের নির্বাচনযোগ্যতা ও ক্ষমতায় আসার জন্য তাঁর যৌক্তিকতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করে। ট্রাম্পের আগ্রাসী রাজনৈতিক শৈলী ট্রাম্পের বহিরাগত ভাবমূর্তিকে সশক্ত করেছে। ট্রাম্প মার্কিন রাজনীতিতে এক অনন্য ভাবে বিধ্বংসী শক্তির প্রতিনিধিত্ব করলেও তাঁর ভবিষ্যৎ বর্তমানে অননুমেয় বিষয়ের নির্ভরশীল, যা তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষায় জল ঢেলে দিতে পারে। নিয়মের প্রতি ট্রাম্পের নির্লজ্জ অবহেলা বিকৃত ভাবে সেই সমর্থকদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে সশক্ত করে, যাঁরা তাঁর পুরুষালি দৃঢ়তা ও নিয়ম ভঙ্গ করার ক্ষুধা প্রদর্শনের প্রশংসা করে থাকেন।
কলোরাডো রায়
কলোরাডো সুপ্রিম কোর্টের অভূতপূর্ব রায় দর্শিয়েছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৪তম সংশোধনীর ‘অযোগ্যতা ধারা’র অধীনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অযোগ্য এবং তা অনুরণনকারী প্রভাব ফেলেছে। কোনও আদালত এর আগে এই বিধানের অধীনে কোনও প্রার্থীকে বাধা না দিলেও কলোরাডো ব্যাখ্যা দিয়েছে যে, ৬ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে ট্রাম্পের আচরণ বিদ্রোহ উস্কে দিয়েছে এবং তা ট্রাম্পের ২০২৪ সালের উচ্চাকাঙ্ক্ষার নিরিখে একটি উল্লেখযোগ্য আইনি হুমকিও বটে। পরবর্তী পর্যায়ক্রমিক ঘটনাপ্রবাহে মেইনের সেক্রেটারি অফ স্টেট - যিনি শীর্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তাও বটে – একই পথে হেঁটেছেন এবং ট্রাম্পকে দেশের ২০২৪ সালের প্রাথমিক ব্যালট বা নির্বাচনে অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছিলেন। ট্রাম্প প্রায় নিশ্চিত ভাবেই মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। তবে আদালতের রক্ষণশীল মনোভাবের কারণে ফলাফল অনিশ্চিতই থাকবে। বেশির ভাগ বর্তমান বিচারপতি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট দ্বারা নিযুক্ত হয়েছেন, যার মধ্যে ট্রাম্প নিজেই তিন জনকে নির্বাচন করেছিলেন। এই আদর্শগত ভারসাম্য প্রাথমিক ভাবে দর্শিয়েছে যে, আদালত কলোরাডোর ১৪তম সংশোধনীর অভিনব আবেদনকে খারিজ করে দিতে পারে। যাই হোক, প্রধান বিচারপতি বা চিফ জাস্টিস জন রবার্টস এ হেন উচ্চ পর্যায়ের মামলায় এখনও পর্যন্ত কী করবেন, তা আগে থেকে আঁচ করা যাচ্ছে না। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডিওজে-এর ফৌজদারি তদন্ত থামিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আদালতের সাম্প্রতিক প্রত্যাখ্যানও ট্রাম্পকে অনাক্রম্যতা প্রদানে বিচারগত অনিচ্ছাকে দর্শায়। শেষ পর্যন্ত কলোরাডোর রায় এক জন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের অভিনব অযোগ্যতাকে কেন্দ্র করে অজানা সাংবিধানিক ক্ষেত্র এবং বল প্রয়োগকারী অস্পষ্টতার উপরই জোর দেয়। প্রশাসনের জাতীয় প্রয়োগযোগ্যতা নিয়েই সন্দেহ থাকলেও তা ট্রাম্পের জন্য ১৪তম সংশোধনী ঝুঁকিগুলিকে তুলে ধরে, যেগুলি অন্যান্য রাষ্ট্রীয় আদালতে মনোযোগ অর্জন করতে পারে। কলোরাডো সুপ্রিম কোর্টের রায় ১৪তম সংশোধনীর অধীনে নির্বাচনে ট্রাম্পকে অযোগ্য ঘোষণা করে ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে জটিল আইনি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রায়গুলি এ দিকে তাঁর সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিতে পারে এবং অন্য দিকে তাঁর পক্ষাবলম্বনকারী সিদ্ধান্তগুলি আদালতের সততার প্রতি মানুষের বিশ্বাসকে খর্ব করতে পারে। সুরক্ষা প্রদানের ঊর্ধ্বে উঠে অযোগ্যতা আদৌ কোনও আইনি বা রাজনৈতিক বিষয় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়।
কলোরাডো সুপ্রিম কোর্টের রায় ১৪তম সংশোধনীর অধীনে নির্বাচনে ট্রাম্পকে অযোগ্য ঘোষণা করে ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে জটিল আইনি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এমনকি উচ্চ হারে ভোট পড়লেও রাজনীতি এবং রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে মার্কিনদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। গাজা, ইউক্রেন ত্রাণ বণ্টন এবং অভিবাসনের মতো বিষয়গুলি নিয়ে বাইডেন জনসাধারণের অসন্তোষের সম্মুখীন হয়েছেন। গাজা সম্পর্কে বাইডেন হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলি সামরিক অভিযানকে নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপের দাবিতে বিক্ষোভের সামনে পড়েছেন। যাই হোক, চাপ প্রয়োগ করলে ইজরায়েলপন্থী ভোটারদের তরফে ভোট হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। প্রায় অর্ধেক রিপাবলিকানই বিশ্বাস করে যে, ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন ত্রাণ অত্যধিক, যা যুদ্ধের ক্লান্তি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাবকে প্রতিফলিত করে। এটি রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় অব্যাহত সহায়তার জন্য সমর্থনের জন্যেও হুমকির সৃষ্টি করে। এ দিকে, সহযোগিতার পূর্বশর্ত হিসেবে সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য জিওপি-র দাবির কারণে বাইডেনের উদার অভিবাসন সংস্কার প্রচেষ্টা হ্রাস পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাইডেনকে অবশ্যই তাঁর নিজের দলের প্রোগ্রেসিভ শাখার পক্ষে আরও নরম নীতি গ্রহণ করতে হবে, যাতে অনথিভুক্ত অভিবাসন সংক্রান্ত সুইং ভোটারদের (মতবদলকারী) বিরুদ্ধে ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হয়। এই জটিল চ্যালেঞ্জগুলির প্রেক্ষিতে বাইডেন তাঁর দলের মধ্যে এবং বৃহত্তর ভোটারদের মধ্যে আদর্শগত বিভাজনের বিরুদ্ধে ঐক্য আনতে যথেষ্ট লড়াই করেছেন। ঐকমত্যের অভাবজনিত আবেগপ্রবণ বিষয় সংক্রান্ত এ সকল যুযুধান অগ্রাধিকার দ্বারা বাইডেনের নীতির বিকল্পগুলি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। ২০২৪ সালের নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ততই গভীরতর রাজনৈতিক বিভাজন ও শাসনব্যবস্থা নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষের মুখোমুখি হচ্ছে। এক দিকে ট্রাম্প আইনি অনিশ্চয়তা জর্জরিত তো অন্য দিকে বাইডেন হতাশায় নিমজ্জিত। উভয়েই নিজেদের জোটের মধ্যে দলাদলির মুখে পড়েছেন। এটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব-সহ একটি অস্থির দেশের কথাই তুলে ধরে। আরও বিস্তৃত ভাবে বলতে গেলে, নির্বাচন গণতান্ত্রিক নীতি বনাম কর্তৃত্ববাদী আবেগের প্রতি ভোটারদের প্রতিশ্রুতি পরিমাপ করবে। চূড়ান্ত বিজয়ী এখনও অনিশ্চিত থাকলেও ২০২৪ সালটি পার্টি অ্যাজেন্ডা বা দলের কর্মসূচি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গতিপথকে নতুন আকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তটি জোটের স্থায়িত্ব পরীক্ষা করবে এবং ভোটারদের সম্পর্কে নানাবিধ অনুমানকে পরখ করে নেবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিক্রিয়া-সহ একটি নির্ণায়ক লড়াইয়ের মঞ্চ ক্রমশ আকার পাচ্ছে।
বিবেক মিশ্র অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।
পঙ্কজ ফানাসে অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ ইন্টার্ন।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Vivek Mishra is Deputy Director – Strategic Studies Programme at the Observer Research Foundation. His work focuses on US foreign policy, domestic politics in the US, ...
Read More +Pankaj Fanase is a Doctoral scholar, CIPOD, at Jawaharlal Nehru University ...
Read More +