Author : Suryaansh Jain

Expert Speak Terra Nova
Published on Sep 26, 2022 Updated 1 Days ago

ভারত সঠিক পথে এগোচ্ছে, কারণ দেশ কার্বন বাজার তৈরি করছে এবং বিভিন্ন রাজ্যে পার্টিকুলেট ম্যাটারের জন্য পাইলট ই টি এস প্রকল্প চালু হয়েছে।

কার্বন বাজার তৈরি করে বায়ুদূষণের মোকাবিলা করা
কার্বন বাজার তৈরি করে বায়ুদূষণের মোকাবিলা করা

ভারতে লক্ষ লক্ষ মানুষ কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাসের সঙ্গে পিএম ২.‌৫ কণায় পূর্ণ মারাত্মকভাবে দূষিত বায়ু শ্বাস হিসাবে গ্রহণ করেন। আইকিউ এয়ারের মতে, ২০২১ সালে ভারত বিশ্বের পঞ্চম সর্বাধিক দূষিত দেশ ছিল, যেখানে পিএম ২.‌৫ মাত্রা ছিল হু-এর নির্দেশিকা মান থেকে ১১ গুণ বেশি।  ওয়র্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি সবচেয়ে দূষিত স্থানের মধ্যে ভারতের ৬৩টি শহর ছিল, আর ১০টি ভারতীয় শহর শীর্ষ ১৫-র মধ্যে স্থান পেয়েছে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের ডেটা অনুযায়ী, দিল্লিতে বসবাসকারী মানুষেরা তাঁদের জীবনে ১০ বছর পর্যন্ত যোগ করতে পারেন যদি পিএম ২.‌৫ মাত্রাকে হু-নির্দেশিত স্তরে নামিয়ে আনা যায়। অধিকন্তু, ল্যানসেট কমিশন অন পলিউশন অ্যান্ড হেল্থ–এর একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে বায়ুদূষণ ২০১৯ সালে ১৬.৭ লক্ষ মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিল, যা সেই বছরে ভারতে সমস্ত মৃত্যুর প্রায় ১৭.৮ শতাংশ।

সমস্ত পরিসংখ্যান ইঙ্গিত করে যে ভারতের পিএম ২.‌৫ মাত্রা একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। এটি আমাদের অর্থনীতি, কর্মশক্তি এবং নাগরিকদের জীবনের মানের উপর প্রভাব ফেলে।

সমস্ত পরিসংখ্যান ইঙ্গিত করে যে ভারতের পিএম ২.‌৫ মাত্রা একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। এটি আমাদের অর্থনীতি, কর্মশক্তি এবং নাগরিকদের জীবনের মানের উপর প্রভাব ফেলে। এই সমস্যাটি মোকাবিলা করার জন্য এই সমস্যার পিছনের কারণগুলির একটি সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ প্রয়োজন, যেমন, ভারতে বায়ুদূষণের প্রধান অবদানকারী, বিশেষ করে পিএম ২.‌৫ কণা নিয়ে। সেন্ট লুই-এর ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ভারত সহ বিভিন্ন দেশে পিএম ২.‌৫ এক্সপোজার এবং পিএম ২.‌৫ স্তরের জন্য ক্ষেত্রভিত্তিক অবদান রেকর্ড করতে একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। তাঁদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে সমস্ত আবাসিক ও বাণিজ্যিক রান্না, আলো ও হিটিং ছিল পিএম ২.‌৫ কণার প্রধান উৎস, যা ২০১৭ সালে ভারতে পিএম ২.‌৫ স্তরের ২৮ শতাংশের জন্য দায়ী ছিল। শিল্প ক্ষেত্রের কার্যকলাপ দ্বিতীয় বৃহত্তম অবদানকারী এবং তা ভারতের বায়ুমণ্ডলে পিএম ২.‌৫ কণার ১৫ শতাংশের জন্য দায়ী ছিল। তাছাড়া বাতাসে ক্ষতিকারক নাইট্রোজেন ও সালফার যৌগগুলির ক্ষেত্রে শিল্প প্রক্রিয়াগুলির অবদান সব থেকে বেশি, যেগুলির মারাত্মক স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি রয়েছে। সব মিলিয়ে শিল্পক্ষেত্রের দূষণকারী নির্গমন কমাতে লক্ষ্যযুক্ত হস্তক্ষেপ বায়ুদূষণ কমানোর প্রশ্নে দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

চিত্র ১

Confronting Air Pollution By Setting Up Carbon Markets
সূত্র: https://urbanemissions.info/india-air-quality/india-satpm25/

ভারত সরকার সম্প্রতি সঠিক পথে পদক্ষেপ করেছে। শক্তি সংরক্ষণ আইন (ই সি এ), ২০০১ সংশোধন করতে লোকসভায় শক্তি সংরক্ষণ (সংশোধন) বিল, ২০২২ আনা হয়েছিল, এবং এই বিলটি ৮ আগস্ট ২০২২–এ পাস হয়। স্থিতিশীলতার উপর নতুন করে জোর দেওয়া এবং ২০৭০ সালের মধ্যে নেট জিরো অর্থনীতিতে ভারতের উত্তরণকে সমর্থন করার লক্ষ্যে ভারতকে কার্যকরভাবে ডিকার্বনাইজ করতে এই আইনে বেশ কিছু বিধান রয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল এই আইনটি ভারত সরকারকে দেশে একটি কার্বন ক্রেডিট ট্রেডিং স্কিম তৈরি করার ক্ষমতা দেয়, এবং এইভাবে ভারতের প্রথম সম্মতিযুক্ত কার্বন ট্রেডিং বাজার তৈরি করার লক্ষ্যে একটি আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করে। এই সিদ্ধান্তটি সম্ভবত ভারতের শিল্প ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে এবং এর ফলে শিল্প নির্গমন হ্রাস পাবে, পরিচ্ছন্ন শক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের সংস্থাগুলির মধ্যে শক্তি দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।

নির্গমন বাজারের ব্যাখ্যা

এমিশন ট্রেডিং সিস্টেম (ই টি এস) মূলত ক্ষতিকারক গ্যাস যেমন সিও২, এন২ও, ইত্যাদির নির্গমনের উপর একটি মূল্য রাখে, যাতে তারা মানুষের উপর কতটা নেতিবাচক বাহ্যিক প্রভাব ফেলে তা অনুধাবন করা যায়। অন্য কথায়, যে সংস্থাগুলি তাদের শিল্প প্রক্রিয়া চলাকালীন এই গ্যাসগুলি নির্গত করে তাদের জবাবদিহি করতে হবে, এবং এই নির্গমনের জন্য তাদের উপর কর আরোপ করা হবে। এ হল মানুষের স্বাস্থ্যের উপর তাদের কাজের ক্ষতিকর প্রভাবের মূল্য। এই বাজারগুলির উদ্দেশ্য হল সংস্থাগুলিকে উদ্ভাবন করতে এবং পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব শিল্প প্রক্রিয়াগুলিতে রূপান্তরিত করতে প্রণোদিত করা, যা সাধারণ জনগণের জন্য বাতাস পরিচ্ছন্ন করার দিকে নিয়ে যাবে, এবং সরকারের জন্য উল্লেখযোগ্য রাজস্ব তৈরি হবে। সব মিলিয়ে এ হল সকলের জন্য লাভজনক একটি পরিস্থিতি।

নির্গমন বাজারের সবচেয়ে সাধারণ রূপ হল ক্যাপ-অ্যান্ড-ট্রেড মডেল, যেখানে সরকার একটি নির্দিষ্ট শিল্পক্ষেত্র থেকে মোট নির্গমনের উপর একটি সামগ্রিক ‘‌ক্যাপ’‌ নির্ধারণ করে। তারপর নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলির জন্য সরকার পারমিট বরাদ্দ বা নিলাম করে সংস্থাগুলিকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ দূষণকারী পদার্থ নির্গত করার অধিকার দেয়। এই পারমিটগুলি পরিবেশ এক্সচেঞ্জে অবাধে লেনদেন করা যেতে পারে। বাজারের সরবরাহ ও চাহিদার শক্তি এই পারমিটের জন্য একটি নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করে দেবে। যদি সংস্থাগুলি তাদের নির্গমনের মাত্রা অতিক্রম করে, তবে তাদের কঠোরভাবে জরিমানা করা হবে। সময়ের সঙ্গে সরকার সামগ্রিক ক্যাপ কমিয়ে দেবে, যাতে মোট নির্গমন কমে যেতে থাকে।

নির্গমন বাজারের সবচেয়ে সাধারণ রূপ হল ক্যাপ-অ্যান্ড-ট্রেড মডেল, যেখানে সরকার একটি নির্দিষ্ট শিল্পক্ষেত্র থেকে মোট নির্গমনের উপর একটি সামগ্রিক ‘ক্যাপ’‌ নির্ধারণ করে।

এইভাবে, নির্গমন বাজারগুলি সবুজ অর্থনীতিতে রূপান্তরের অনুঘটক হিসাবে গাজর–ও–লাঠি পন্থা ব্যবহার করে:

১। নির্গমনের জন্য সংস্থাগুলিকে এই পারমিট ক্রয় করতে বাধ্য করে সরকার এই সংস্থাগুলির জন্য উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দেয়। এরপর যে সংস্থাগুলি পরিচ্ছন্ন উৎপাদন প্রক্রিয়ায় চলে যেতে পারবে তারা খরচ কমাতে এবং প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা সুরক্ষিত করতে পারবে।

২। যে সংস্থাগুলি এই রূপান্তরটি দ্রুত করতে পারবে, তারা উচ্চ মুনাফা সুরক্ষিত করতে সক্ষম হবে, কারণ তারা এক্সচেঞ্জে তাদের অব্যবহৃত পারমিট বিক্রি করে অতিরিক্ত রাজস্ব উপার্জন করতে পারবে।

ই ইউ–ই টি এস স্কিমটি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রথম আন্তর্জাতিক কার্বন বাজার। তখন থেকে দীর্ঘকাল ধরে বিশ্বজুড়ে ই টি এস উদ্যোগগুলি বাস্তবায়িত হয়েছে। বর্তমানে সারা বিশ্বে ৩৮টি জাতীয় এবং ৩১টি উপজাতীয় এলাকা জুড়ে ৩২টি ই টি এস উদ্যোগ রয়েছে ৷ উল্লেখযোগ্যভাবে চিন, বিশ্বের বৃহত্তম গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী, ২০২১ সালে নিজস্ব বাধ্যতামূলক ই টি এস উদ্যোগ বাস্তবায়িত করেছে, এবং তা বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম কার্বন বাজার।

ই টি এস এবং বায়ুদূষণ

যদিও ইটিএস উদ্যোগের মূল ফোকাস হল গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের মোকাবিলা করা, তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সংযোগের মাধ্যমে বায়ুদূষণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ই টি এস স্কিমগুলি যাতে পরিচ্ছন্ন বাতাসের দিকে পরিচালিত করতে পারে এমন কিছু মূল উপায়ের মধ্যে রয়েছে:

১। ই টি এস উদ্যোগ সংস্থাগুলিকে উদ্ভাবনী, পরিবেশবান্ধব শিল্প প্রক্রিয়ার বিকাশ ঘটাতে উৎসাহিত করে, যা কম দূষণকারী এজেন্ট (‌যেমন গ্রিনহাউস গ্যাস, বিষাক্ত নির্গমন ইত্যাদি)‌ নির্গত করে৷ উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ই ইউ–ই টি এস বাস্তবায়নের ফলে ২০০৫–২০১৬ সালের মধ্যে ১৮৮টিরও বেশি ক্লিনটেক পেটেন্ট দাখিল হয়েছিল, যা নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলির পেটেন্টিংয়ের ক্ষেত্রে ৮.১ শতাংশ বৃদ্ধি চিহ্নিত করে

২। পরিচ্ছন্নতর শিল্প প্রক্রিয়ায় রূপান্তরের অনুঘটক হিসাবে ই টি এস উদ্যোগগুলি শিল্পগুলির পিএম৫ নির্গমন হ্রাস করার সহায়ক হয়। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে চিনা ই টি এস উদ্যোগগুলি ২০০৫–২০১৭ সালের মধ্যে পিএম ২.৫ মাত্রা ৪.৮ শতাংশ কমিয়েছে। চিনের ই টি এস–এর কারণে পিএম ২.৫ ঘনত্বের এই হ্রাস ২৩,৩৬৩ মৃত্যু এড়াতে সহায়ক হতে পারে, এবং বার্ষিক ৪১.‌৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জিডিপি সাশ্রয় করতে পারে। উপরন্তু, এই লাভগুলি প্রতিবেশী অঞ্চল ও শহরগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষত যেগুলি নিয়ন্ত্রিত শিল্প ইউনিটগুলি থেকে হাওয়া যেদিকে বয় সেই দিকে অবস্থিত।

৩। কার্বন বাজারের ফলে ক্ষতিকারক সালফার ও নাইট্রোজেন যৌগগুলির মতো অন্যান্য দূষণকারীর নির্গমনেও একটি সমন্বয়মূলক হ্রাস ঘটে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে চিনের কার্বন নির্গমন বাণিজ্য নীতি এসও২ নির্গমনের পরিমাণ এবং এই নির্গমনের তীব্রতা উভয়কেই হ্রাস করেছে, এবং একটি সবুজ অর্থনীতির দিকে রূপান্তরের সহায়ক হচ্ছে।

৪। কার্বন বাজার প্রতিষ্ঠার জন্য সারা দেশে নির্গমন ট্র্যাক করতে পর্যবেক্ষণ, যাচাইকরণ ও রিপোর্টিং (এম আর ভি) প্রক্রিয়া শক্তিশালী করা প্রয়োজন। উন্নততর এম আর ভি সিস্টেমগুলি ক্ষতিকারক নির্গমন সম্পর্কে আরও সঠিক, রিয়েল টাইম ডেটা সরবরাহ করতে পারে, যা সরকারকে বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষতিকারক নির্গমন কমাতে আরও বেশি উপযুক্ত ও কার্যকর কর্মসূচি নেওয়ার সুযোগ করে দেয়।

৫। ই টি এস উদ্যোগগুলি শুধুমাত্র কার্বন পারমিটের ব্যবসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সেগুলি অন্যান্য ক্ষতিকারক দূষণকারী এবং কণা–পদার্থেও প্রসারিত হতে পারে। কার্বন বাজার তৈরি করা গেলে তা এসও২ এবং এনওএক্স পারমিটের জন্য বাজার এক্সচেঞ্জ তৈরি করার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করবে, যার ফলে এই নির্গমন সরাসরি হ্রাস পাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসিড রেন প্রোগ্রাম হল বাজারভিত্তিক ক্যাপ–অ্যান্ড–ট্রেড সিস্টেমের একটি উদাহরণ, যা বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক সালফার ও নাইট্রোজেন নির্গমন কমাতে ডিজাইন করা হয়েছে। অন্যান্য কর্মসূচির সঙ্গে অ্যাসিড রেন প্রোগ্রামটি বার্ষিক ৯৩ শতাংশের বেশি এসও২ এবং বার্ষিক ৮৭ শতাংশেরও বেশি এনওএক্স নির্গমন কমিয়েছিল, যা একটি বিরাট সাফল্য।

দূষণকণা কমানোর লক্ষ্যে ই টি এস পাইলট প্রকল্পগুলি ইতিমধ্যেই ভারতে শুরু করা হয়েছে এবং আশাব্যঞ্জক ফলাফল দিয়েছে। গুজরাট রাজ্যে গুজরাট দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (জি পি সি বি) আব্দুল লতিফ জামিল পভার্টি অ্যাকশন ল্যাব (জে পি এ এল) ও শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি ইনস্টিটিউটের গবেষকদের সঙ্গে ২০১৯ সালে কণা পদার্থের জন্য বিশ্বের প্রথম ই টি এস স্কিম (পিএম১০) চালু করেছে। এর ফলে পিএম১০ দূষণ ২৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, আর এই তথ্য সরবরাহ করেছে ৯০ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রিত প্ল্যান্ট। গুজরাটের পাইলট প্রকল্পের সাফল্যের পর পঞ্জাব সহ অন্যান্য অঞ্চলেও পাইলট প্রকল্প সংগঠিত করা হচ্ছে।

ই টি এস উদ্যোগগুলি কার্বন নিঃসরণ কমাতে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ই ইউ–ই টি এস স্কিম ২০০৫ সাল থেকে এ যাবৎ কার্বন নিঃসরণ ৪৩ শতাংশ হ্রাস করেছে।

ই টি এস উদ্যোগগুলি কার্বন নিঃসরণ কমাতে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ই ইউ–ই টি এস স্কিম ২০০৫ সাল থেকে এ যাবৎ কার্বন নিঃসরণ ৪৩ শতাংশ হ্রাস করেছে। যাই হোক, এই  স্কিমগুলির সঙ্গে আসা অন্য সুবিধাগুলিকে, বিশেষ করে বিষাক্ত গ্যাস নির্গমন কমানো এবং পরিবেশকে উদ্দীপিত করার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব উদ্ভাবন, প্রায়শই উপেক্ষা করা হয়। অধিকন্তু, কণা পদার্থের জন্য অনুরূপ কাঠামো ব্যবহার করে সরকার একটি নতুন, অত্যন্ত কার্যকর ব্যবস্থার মাধ্যমে বায়ুদূষণ মোকাবিলা করতে পারে।

এ কথা উল্লেখযোগ্য যে ই টি এস উদ্যোগগুলি তাদের নিজস্বভাবে ভারতের বায়ুদূষণ সমস্যার সমাধান করতে পারে না। শিল্প নির্গমন মোকাবিলা করার জন্য এগুলি প্রয়োজনীয় হাতিয়ার হলেও এই প্রকল্পগুলি অন্যান্য উৎস থেকে হওয়া দূষণের মোকাবিলা করে না, যেমন শস্য পোড়ানো, গৃহস্থালির জ্বালানি ব্যবহার বা পরিবহণ ক্ষেত্র। ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম (এন সি এ পি)–এর মতো বিদ্যমান বায়ুদূষণ হ্রাস কর্মসূচির জন্য সরকারকে তহবিল বাড়াতে হবে, এবং এই সমস্যার বিভিন্ন দিক কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য আরও লক্ষ্যযুক্ত হস্তক্ষেপ চালু করতে হবে। যাই হোক, কার্বন বাজার তৈরির পথ প্রশস্ত করে এবং বিভিন্ন রাজ্যে কণা পদার্থের জন্য পাইলট ই টি এস স্কিম চালু করার মাধ্যমে ভারত তার বায়ুদূষণ সমস্যা মোকাবিলায় সঠিক পথে এগোচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

মতামত লেখকের নিজস্ব।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.