Author : Mannat Jaspal

Published on Dec 18, 2022 Updated 1 Days ago

কপ কর্মসূচিতে ক্ষয়ক্ষতি অর্থায়নকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মাধ্যমে কথার ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করার সময় এসেছে।

কপ২৭: সুদূরপরাহত আশা, ব্যাহত কর্মসূচি
কপ২৭: সুদূরপরাহত আশা, ব্যাহত কর্মসূচি

মিশরের শর্ম অল-শেখ-এ এবছর অনুষ্ঠিত ২৭তম কনফারেন্স অফ পার্টিজ (কপ২৭)-এ জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মসূচি জোরদার করা এবং ক্ষতি ও আর্থিক লোকসান (এলঅ্যান্ডডি) অর্থায়নের দায়বদ্ধতাকে শুধুমাত্র কথাবার্তার ঊর্ধ্বে উঠে আরও শক্তিশালী করে তোলার উচ্চাকাঙ্ক্ষা জড়িত রয়েছে। ভারত-সহ উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য এলঅ্যান্ডডি অর্থায়ন আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে। জলবায়ু পরিবর্তন থেকে অর্থনৈতিক এলঅ্যান্ডডি ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতের বার্ষিক জিডিপি-র প্রায় ১.৮ শতাংশ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এ কথা আশ্চর্যের নয় যে, পরিবেশ, বনাঞ্চল ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব জলবায়ু সম্মেলনে এলঅ্যান্ডডি অর্থায়নের বিষয়ে ‘গঠনমূলক এবং সক্রিয় ভাবে’ সরব হওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশেষ করে ইউএনএফসিসিসি কাঠামোর অধীনে বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এলঅ্যান্ডডি অর্থায়নের বিকল্প ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার উপরে তিনি জোর দেন। বর্তমান কাঠামোর মধ্যে গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটি, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড এবং অ্যাডাপ্টেশন ফান্ড রয়েছে, যেগুলি বিপর্যয় দ্বারা আক্রান্ত দেশগুলির এলঅ্যান্ডডি দাবির অগ্রাধিকারের নিরিখে অত্যন্ত স্বল্প ও অপ্রতুল মাত্রায় অর্থায়িত।

বর্তমান জলবায়ু অর্থায়ন কাঠামো এটিকে স্বীকৃতিই দেয়নি, এর পরিসরের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার উদ্যোগ তো দূরের কথা।

বিশ্বব্যাপী অভূতপূর্ব এবং ব্যাপক জলবায়ু বিপর্যয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলির জন্য অসামঞ্জস্যপূর্ণ পরিণতির পাশাপাশি মানুষের জীবনধারণ ও বেঁচে থাকার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। শুধু মাত্র ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এশিয়ার জন্য সামগ্রিক অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই তালিকায়  এশিয়ার ঠিক পরেই ছিল আফ্রিকা, যার ক্ষতির পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, লাতিন  আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ যার ক্ষতির পরিমাণ ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। উন্নয়নশীল দেশগুলি প্রশমন এবং অভিযোজনের চেষ্টা করতে বাধ্য হলেও তাদের বার্ষিক ‘রেসিডিউয়াল ড্যামেজ’-এ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবটিকে রোধ করা যাবে না এবং এই অঞ্চলটি ২০৩০ সালের মধ্যে ২৯০-৫৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ২০৫০ সালের মধ্যে ১-১.৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

জলবায়ু বিপর্যয়ের পরে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সহায়তা করার জন্য প্রশমন এবং অভিযোজন ছাড়াও জলবায়ু কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ তৃতীয় স্তম্ভ হিসাবে এলঅ্যান্ডডি অর্থায়নের জন্য ভাবনাচিন্তা করা অপরিহার্য। বর্তমান জলবায়ু অর্থায়ন পরিকাঠামো এটিকে স্বীকৃতিই দেয়নি, এর পরিসরের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির মোকাবিলা তো দূরের কথা। এর কারণ সম্ভবত রাজনীতির মধ্যেই অন্তর্নিহিত, যা এর সূচনার পর থেকে শুরু হওয়া বিতর্ককে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। ফলে তা নিবিড় মনোযোগের দাবি রাখে।

পর্যাপ্ত প্রমাণ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি উন্নয়নশীল ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলির জন্য আক্ষরিক ভাবেই অস্তিত্বের সঙ্কট সৃষ্টি করেছে, যা ভূমি, জীবিকা এবং সার্বভৌমত্ব হ্রাসের মতো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ইতিবাচক সম্মিলিত পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসাবে অ্যালায়েন্স অব স্মল আইল্যান্ড স্টেটস-এর (এওএসআইএস) মতো জোটের উদ্ভব হয়েছে যেটি ১৯৯২ সালে ইউএনএফসিসিসি কাঠামোর অধীনে এলঅ্যান্ডডি-এর জন্য একটি স্বাধীন মর্যাদার দাবি তুলেছিল। তবে এটি সদস্য দেশগুলির কাছ থেকে যথেষ্ট সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়। উন্নত বিশ্ব এ বিষয়ে যথেষ্ট শঙ্কিত ছিল যে, এলঅ্যান্ডডি-কে স্বীকার করা ঐতিহাসিক নির্গমনের জন্য তার দায়বদ্ধতাকে বৈধতা দেবে; বৃহত্তর উন্নয়নশীল দেশগুলি সীমাবদ্ধ জলবায়ু অর্থ ও প্রযুক্তি প্রবাহ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা করেছিল; আরব দেশগুলি নিজেদের স্বার্থে এই আলোচনাকে তেল উৎপাদনকারী অবস্থান থেকে দূরে  সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।

ইউএনএফসিসিসি-র সূচনার পর থেকে একটি আলাপ-আলোচনামূলক ইউএন বয়ানের মোড়কে এলঅ্যান্ডডি-কে উপস্থাপিত করতে প্রায় ১৫ বছর সময় লেগেছে। এমনটা ঘটে ২০০৭ সালের বালি অ্যাকশন প্ল্যানের মাধ্যমে যেটিতে

বিমা এবং ক্ষয়ক্ষতি ও লোকসানের মাধ্যমে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের তাত্পর্যকে তুলে ধরা হয়। কিন্তু সেটি বর্তমানেও অভিযোজন নীতির ছত্রচ্ছায়ায় সংযোজিত হয়ে চলেছে। পরবর্তী কালে ২০১২ সালে বিষয়টি নিয়ে নানা বিতর্ক এবং বিভ্রান্তির পরে দোহা জলবায়ু আলোচনায় ক্ষতি এবং লোকসানের একটি আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে সম্মত হলেও এটিকে আবারও প্রক্রিয়াটির সম্ভাবনা সম্পর্কে যৎসামান্য স্পষ্টতা-সহ অভিযোজন কাঠামোর অধীনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

২০১৩ সালে কপ১৯-এ ইউএনএফসিসিসি দ্বারা এলঅ্যান্ডডি-কে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) দ্বারা সাক্ষ্য প্রমাণের শক্তিশালী বিশ্লেষণকে কাজে লাগানো হয়েছে। একই সঙ্গে ওয়ারশ ইন্টারন্যাশনাল মেকানিজম ফর লস অ্যান্ড ড্যামেজ (ডব্লিউআইএম) গঠিত হলেও অর্থায়ন অথবা ইক্যুইটি সংক্রান্ত ক্ষেত্রে শুধু মাত্র তির্যক তুলনাই টানা হয়। অবশেষে কপ২১-এ এলঅ্যান্ডডি-কে প্যারিস চুক্তির ধারা ৮-এর অধীনে স্বতন্ত্র ভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শুধু মাত্র ‘একটি সমবায় ও সুবিধামূলক’ ভিত্তিতে অর্থায়ন করার সতর্কতা সত্ত্বেও এটিকে জলবায়ু সংক্রান্ত আলোচনায় একটি যুগান্তকারী মাইলফলক হিসাবে উদযাপন করা হয়।

এলঅ্যান্ডডি-কে ‘অভিযোজনের ঊর্ধ্বে’ উঠে প্রাপ্য স্বাধীন মর্যাদা প্রদানের জন্য বছরের পর বছর ধরে তদবির করা সত্ত্বেওশিল্পোন্নত দেশগুলি এটিকে রুখে দেওয়ার জন্য বেশ কিছু কৌশল কাজে লাগিয়েছে এবং আশার আলো দেখালেও এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ করেনি।

এ কথা স্পষ্ট যে, এলঅ্যান্ডডি নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘমেয়াদে ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে। এলঅ্যান্ডডি-কে ‘অভিযোজনের ঊর্ধ্বে’ উঠে প্রাপ্য স্বাধীন মর্যাদা প্রদানের জন্য বছরের পর বছর ধরে তদবির করা সত্ত্বেও, শিল্পোন্নত দেশগুলি এটিকে রুখে দেওয়ার জন্য বেশ কিছু কৌশল কাজে লাগিয়েছে এবং আশার আলো দেখালেও এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ করেনি। গঠনমূলক ধোঁয়াশার মোড়কে বিতর্কটি আটকে গিয়েছে এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে উন্নত দেশগুলির অ-পরিবর্তনমূলক সমাধানগুলির পরিশীলনের সঙ্গে অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার অনিচ্ছার মোড়কে চাপা পড়েছে। সরকারি ভাষ্যের শব্দচয়ন এ ক্ষেত্রে অনেকটাই অনুমানমূলক থেকেছে, যা জলবায়ু কূটনীতির পরিসরে অর্থের প্রবাহের উপর প্রতিকূল প্রভাব ফেলে এবং এর ফলে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার উপর প্রভাব পড়ে। কার্বন ক্ষয়িষ্ণু বৃদ্ধির জন্য অর্থ প্রদান এড়াতে গ্লোবাল নর্থের এই দ্ব্যর্থহীন অস্বীকৃতি এলঅ্যান্ডডি-কে দায়বদ্ধ করার নিরিখে বা ক্ষতিপূরণের সঙ্গে সমার্থক করে দেওয়ার ফলে পশ্চিমী বিশ্বের ভণ্ডামিই প্রকাশ্যে তুলে ধরে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে কম দায়বদ্ধ দেশগুলির উপর বোঝা চাপিয়ে দেয়।

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু বিপর্যয়ের তীব্রতার পরিপ্রেক্ষিতে এওএসআইএস-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে চিন ও ১৩৪টি উন্নয়নশীল দেশের জোট জি৭৭ একটি সম্ভাব্য জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখে তার অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার ও পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করার জন্য আর্থিক সাহায্যের দাবি রাখে। একই সঙ্গে এ কথাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে  যে, জলবায়ু অরক্ষিত দেশগুলির কাছে যেন অর্থায়নের আশানুরূপ ও বিশ্বস্ত উৎসগুলি উপলব্ধ হয় এবং তাদের যেন মানবিক ত্রাণের মতো ‘খামখেয়ালি দয়ার দানের গ্রহীতা’ হয়ে থাকতে না হয়। এর পাশাপাশি, উন্নয়নশীল দেশগুলিকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হলে তাদের সীমাবদ্ধ রাজস্ব বাজেটগুলিকে জলবায়ু বিপর্যয়ের জরুরি অবস্থাকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং এর ফলে অনিবার্যভাবে সর্বজনীন জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা ও সংশ্লিষ্ট এনডিসিগুলির অগ্রগতি ব্যাহত হবে।

গত বছর গ্লাসগোয় কপ২৬-এ চিন ও জি৭৭ একটি লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফিন্যান্স ফেসিলিটি-র (এলডিএফএফ) প্রস্তাব উত্থাপন করে, যার মূল লক্ষ্য ছিল ‘দূষণকারীর অর্থ প্রদান’ নীতির ভিত্তিতে অরক্ষিত দেশগুলির জন্য এলঅ্যান্ডডি অর্থায়নের একটি উত্সর্গীকৃত প্রবাহ সুনিশ্চিত করা। এ কথা অবাক করে না যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং ইইউ প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে এবং তার পরিবর্তে তিন বছরের ‘আলাপ-আলোচনা’র প্রস্তাব দেয়। মিশরে জলবায়ু সম্মেলন উন্নয়নশীল দেশগুলির এই দাবির পুনর্বিবেচনা করবে, যারা ইউএনএফসিসিসি কাঠামোর অধীনে আনুষ্ঠানিক ভাবে এলঅ্যান্ডডি-কে মোকাবিলা করার জন্য একটি আর্থিক সুবিধা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ঐকমত্য গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।

ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনস (এনইসি)-এর মধ্যে অবশ্যই ক্ষতি এবং লোকসানের দাবিগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে শুরু করা প্রয়োজন এবং উপরে উল্লিখিত ওয়ারশ ইন্টারন্যাশনাল মেকানিজমের অধীনে প্রতিষ্ঠিত এলঅ্যান্ডডি-র জন্য সান্তিয়াগো নেটওয়ার্ককে অর্থের মাত্রা পরিমাপ করতে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে দেশগুলিকে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। এর পাশাপাশি জলবায়ু প্রভাব ব্যবস্থাপনার জন্যও সহায়তা প্রয়োজন।

এলঅ্যান্ডডি আনুষ্ঠানিক ভাবে কপ২৭ কর্মসূচিতে প্রথম বারের জন্য অন্তর্ভুক্ত হলেও এই বিষয়ে যে কোনও রকমের জলবায়ু সংক্রান্ত আলোচনা যা অর্থায়নের বিষয়টিকে আলোচনার বাইরে রাখে, তা প্যারিস চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত ইক্যুইটি এবং সাধারণ অথচ ভিন্নধর্মী দায়িত্বের (সিবিডিআর) মূল নীতির পরিপন্থী হবে। ফাঁপা প্রতিশ্রুতি এবং অপ্রাসঙ্গিক উদাহরণ দিয়ে উন্নয়নশীল বিশ্বের উদ্বেগগুলিকে প্রশমিত করা যাবে না। এলঅ্যান্ডডি অর্থায়ন সংক্রান্ত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার, যা বিদ্যমান প্রতিশ্রুতিগুলির সঙ্গে এক নতুন অতিরিক্ত সংযোজন, বিষয়ে গ্লোবাল নর্থকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। কপ২৭ হল এমন এক সুযোগ, যেটি কপ আলোচনায় একটি স্থায়ী কর্মসূচির অংশ হিসাবে ক্ষতি ও লোকসানের অর্থায়নকে প্রাতিষ্ঠানিক  রূপ দেবে এবং এমনটা করার মাধ্যমে উভয়েই বহুপাক্ষিকতায় বিশ্বাসযোগ্যতার পুনরুদ্ধার করবে ও তার পাশাপাশি ‘কপ-এর বাস্তবায়ন’কে সুনিশ্চিত করার জন্য নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ দেবে।

মতামত লেখকের নিজস্ব।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.