-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
বি বি বি পি প্রকল্প লিঙ্গবৈষম্যের প্রতি অতি প্রয়োজনীয় মনোযোগ আকর্ষণ করা সত্ত্বেও বর্তমান আকারে প্রকল্পটির দুর্বল বাস্তবায়ন ও নজরদারির কারণে এর মূল উদ্দেশ্য ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্প: একটি সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ
উদ্বর্তন ও শিক্ষার ক্ষেত্রে লিঙ্গসমতা ন্যায়সঙ্গত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য এবং মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করার একটি ভিত্তিপ্রস্তর। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি–স) ৪ (গুণমানসম্পন্ন শিক্ষা) ও ৫ (লিঙ্গসমতা)–এর মাধ্যমে মেয়েদের ও মহিলাদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে লিঙ্গগত ব্যবধান পূরণের লক্ষ্যে আরও ভাল নীতি অনুসরণের উদ্দেশ্য অবিরত চাপ দেওয়া হচ্ছে।
ভারতে পিতৃতান্ত্রিক সামাজিক নিয়ম, যেমন পুত্রসন্তানের আকাঙ্খা ও পশ্চাদমুখী শক্তি কাঠামো, কমবয়সী মেয়েদের জন্য উদ্বর্তন ও শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলেছে, কারণ তা বহু বাধা নিয়ে আসে এবং তাদের সারা জীবন অর্থনৈতিক সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে। ২০০০ ও ২০২০ সালের মধ্যে রাষ্ট্রপুঞ্জের অনুমান অনুসারে ১৯৭০–এর দশকের গর্ভপাত আইনের পরবর্তী প্রভাব এবং প্রসবপূর্ব ডায়াগনস্টিক প্রযুক্তির প্রবর্তনের ফলে ভারত একটি বিকৃত শিশু লিঙ্গ অনুপাতের (সি এস আর) দেশ হয়ে উঠেছে। লিঙ্গ–নির্বাচনমূলক গর্ভপাতের প্রবণতা প্রায় ২০১১ পর্যন্ত একটি ঊর্ধ্বমুখী গতিপথ দেখেছিল, যখন ভারত ২০১১ সালের আদমশুমারিতে ১০০ মহিলাপ্রতি ১১১ জন পুরুষের সামগ্রিক সুউচ্চ হার প্রত্যক্ষ করেছিল। অবশ্য সর্বশেষ ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে (২০১৯–২১) অনুসারে গত এক দশকে এই ব্যবধান কমে ১০০ জন মহিলাপ্রতি প্রায় ১০৯ জন এবং তারপর আরও কমে ১০০ মহিলাপ্রতি ১০৮ জন পুরুষ হয়েছে। দেশে নারীশিক্ষার হারের ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।
গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২২ অনুসারে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও তৃতীয় স্তরের শিক্ষায় সাক্ষরতা ও তালিকাভুক্তির হারের ভিত্তিতে নারীশিক্ষায় ভারত ১৪৬টি দেশের মধ্যে ১০৭তম স্থানে রয়েছে। ভারতের অবস্থান ২০১৮ সাল থেকে তুলনামূলকভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখেছে। এর জন্য ভারতের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ (বি বি বি পি)–এর অধীনে সরকার পরিচালিত ব্যাপক প্রচারাভিযান ও হস্তক্ষেপকে কৃতিত্ব দেওয়া যেতে পারে। ভারত সরকারের নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ২০১৫ সালে লিঙ্গ অনুপাতের উন্নতির মূল পরিমাণগত উদ্দেশ্যগুলি পূরণের লক্ষে বি বি বি পি চালু করে। পরিমাণগত লক্ষ্যগুলির মধ্যে ছিল জন্মহারে লিঙ্গ (এস আর বি) সংক্রান্ত সঙ্কটজনক জেলাগুলিতে বছরে দুই পয়েন্ট করে উন্নতি, পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুমৃত্যুর হারে লিঙ্গবৈষম্য ২০১৪ সালের ৭ পয়েন্ট থেকে প্রতি বছর ১.৫ পয়েন্ট কমানো, এবং ২০১৮–১৯ সালের মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষায় মেয়েদের তালিকাভুক্তি ৮২ শতাংশে উন্নীত করা। এই প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে মাত্র ১৬১টি জেলায় চালু করা হয়েছিল, এবং শেষ পর্যন্ত দেশের ৬৪০টি জেলার সব কটিতেই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বি বি বি পি প্রকল্পটিকে মেয়ে শিশুর প্রতি লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য মোকাবিলার জন্য একটি সক্রিয় উদ্যোগ হিসাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে, কারণ বি বি বি পি প্রকল্পের প্রাথমিক বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে যে ১৬১টি জেলা বেছে নেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে ১০৪টি জেলায় জন্মহারে লিঙ্গের ক্ষেত্রে উন্নতির প্রবণতা দেখা গিয়েছে।
প্রকল্পের সামগ্রিক ইতিবাচক মূল্যায়ন সত্ত্বেও বাজেট পরিকল্পনা ও নজরদারির ক্ষেত্রে ফাঁক রয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে হিনা বিজয়কুমার গাভিটের নেতৃত্বে একটি সংসদীয় কমিটি ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’–এর বিশেষ উল্লেখ সহ ‘শিক্ষার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক প্রতিবেদন তৈরি করার সময় লক্ষ্য করেন যে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সময়কালে প্রকল্পর অধীনে প্রদত্ত ৪৪৬.৭ কোটি ভারতীয় টাকার একটি বড় অংশ, প্রায় ৭৮.৯১ শতাংশ, শুধু সংবাদমাধ্যমে প্রচারাভিযান ও প্রকল্পটি তুলে ধরার জন্য ব্যয় করা হয়েছিল।
কমিটি দেখেছে যে এই প্রকল্পের অধীনে তহবিলের সামগ্রিক ব্যবহার সাধারণ স্তরের থেকে কম ছিল। প্রকল্পের সূচনার পর থেকে এই প্রকল্পের অধীনে মোট বাজেট বরাদ্দ ৮৪৮ কোটিতে নেমে এসেছে। এর মধ্যে ২০২০–২১ আর্থিক বছর ধরা হয়নি, যখন দেশ কোভিড–১৯ অতিমারির মধ্যে ছিল। রাজ্যগুলিকে দেওয়া পরিমাণ ছিল ৬২২.৪৮ কোটি, কিন্তু ব্যয়ের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৫৬.৪৬ কোটি টাকা, যা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বরাদ্দকৃত তহবিলের মাত্র ২৫.১৩ শতাংশ। কমিটি আরও উল্লেখ করেছে যে এই প্রকল্পের জন্য জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যমে প্রচারের বিশাল ব্যয়টি ছিল ছয়টি ভিন্ন উপাদানের জন্য প্রকল্পের অধীনে প্রতিটি জেলার জন্য নির্ধারিত ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার বিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এই উপাদানগুলির মধ্যে ছিল উদ্ভাবন ও সচেতনতা তৈরি, আন্তঃক্ষেত্রীয় পরামর্শ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, পর্যবেক্ষণ মূল্যায়ন, এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা হস্তক্ষেপ।
কমিটি দেখেছে যে এই প্রকল্পের অধীনে তহবিলের সামগ্রিক ব্যবহার সাধারণ স্তরের থেকে কম ছিল। প্রকল্পের সূচনার পর থেকে এই প্রকল্পের অধীনে মোট বাজেট বরাদ্দ ৮৪৮ কোটিতে নেমে এসেছে। এর মধ্যে ২০২০–২১ আর্থিক বছর ধরা হয়নি, যখন দেশ কোভিড–১৯ অতিমারির মধ্যে ছিল।
২০১৭ সালের ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)–এর রিপোর্ট তহবিলের অদক্ষ বরাদ্দের ইস্যুটিকে পুনর্ব্যক্ত করে, এবং দাবি করে যে প্রকল্পটির সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাধারণ ক্ষেত্রে ঘাটতি ছিল। প্রতিবেদনে পঞ্জাব ও হরিয়ানার কথা তুলে ধরার সময় তহবিলের কম ব্যবহার, নির্দেশিকা মেনে না–চলা, এবং বিরল টাস্ক মিটিংয়ের সমস্যাগুলির উল্লেখ করা হয়েছে। হরিয়ানার ক্ষেত্রে ২০১৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত রাজ্যের যে ২০টি জেলায় এই প্রকল্পটি সক্রিয় ছিল, তার তিনটির অডিট করা হয়েছিল। তা থেকে দেখা যায় যে শুধু একটি রাজ্যস্তরের বৈঠক হয়েছিল, এবং জেলা স্তরে একটিও হয়নি। এ কথাও উল্লেখ করা হয়েছে যে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে তিনটি জেলার স্কুলকে পুরস্কার দেওয়ার পরিবর্তে শুধু ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল৷ পঞ্জাবে মাসিক অগ্রগতি প্রতিবেদন এবং কদাচিৎ বৈঠক ২০১৫–২০১৬ সালে প্রকল্পটির যথাযথ বাস্তবায়নে বিলম্ব করেছে, এবং বরাদ্দকৃত ৬.৩৬ কোটি টাকার মধ্যে শুধুমাত্র ০.৯১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
বি বি বি পি প্রোগ্রামগুলি ১৬১টি প্রাথমিক–বাস্তবায়ন জেলায় কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে কি না তা নিয়ে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ অ্যাপ্লায়েড ইকনমিক রিসার্চ পরিচালিত একটি সমীক্ষা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় ত্রুটি এবং স্কুলে মেয়েদের প্রবেশ ও তাদের ধরে রাখার ক্ষেত্রে কাঠামোগত বাধাগুলি চিহ্নিত করেছে। নিচে স্কুল স্তরের সূচকগুলি দেওয়া হয়েছে, যেমন মেয়েদের শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধাগুলি চিহ্নিত করা ও তার পাশাপাশি মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয় শিক্ষা সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত মেয়েদের ধরে রাখা এবং পড়াশোনা অব্যাহত রাখা নিশ্চিত করার জন্য স্কুলগুলির গৃহীত উদ্যোগ। সমীক্ষায় মোট জরিপের মধ্যে ৭৩.৫ শতাংশ স্কুল যত্নের দায়িত্বের দ্বৈত বোঝা, পরিচ্ছন্ন কার্যকরী টয়লেটের অনুপলব্ধতা, ইউনিফর্ম বা বই কেনার অক্ষমতা এবং মেয়েদের শিক্ষার প্রধান বাধা হিসাবে নিরাপদ যাতায়াতের বিকল্পের অভাবের দিকে ইঙ্গিত করেছে।
সমীক্ষায় নমুনা গোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতার স্তরগুলি সম্পর্কে অনুসন্ধান করা হয়েছে, এবং এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যগুলি ও বি বি বি পি প্রকল্পের অধীনে উদ্যোগগুলির তৃণমূল স্তরে বাস্তবায়ন খতিয়ে দেখা হয়েছে, যেমন ‘বালিকা মঞ্চ’[১], সক্রিয় স্কুল পরিচালনা কমিটি গঠন, এবং ভর্তির হার উন্নত করার জন্য স্কুলের বাইরের মেয়েদের স্কুলে ফিরিয়ে বিকল্প শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করা ইত্যাদি।
১৪ রাজ্যের শহুরে ও গ্রামীণ অঞ্চল জুড়ে একটি বিস্তৃত সমীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে গবেষণায় নিয়মিত ফিল্ড ইনস্পেকশন করা এবং তৃণমূল স্তরে বাস্তবায়ন পর্যালোচনা করার জন্য কর্মী নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
১. ডিজিটালাইজেশন
অতিমারির সময় থেকে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হার প্রায় আকাশচুম্বী হয়েছে। শিক্ষা, অর্থপ্রদান ও যোগাযোগের মতো মৌলিক কাজগুলির জন্য যেমন প্রযুক্তি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে, তেমনই পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে প্রযুক্তির ব্যবহারও অপরিহার্য। যদিও বি বি বি পি–র অধীনে মিডিয়া প্রচারাভিযানগুলি পুত্রের আকাঙ্খার বিষয়টি উত্থাপনের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক ফল করেছে, নিয়মিত স্যাম্পলিং ও বাস্তবায়নের ত্রৈমাসিক অগ্রগতির প্রতিবেদনের মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থা মেয়েদের স্বাস্থ্য, বেঁচে থাকা এবং শিক্ষাকে প্রভাবিত করার মতো বিষয়গুলি নিয়ে রাজ্য ও জেলাস্তরে আরও ভাল নীতি রচনার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
২. মহিলা শিক্ষকের সংখ্যাবৃদ্ধি
শিক্ষিত নারীদের স্কুলে যোগদানের জন্য উৎসাহিত করা হলে তা শিক্ষক হিসাবে স্কুলে মেয়েদের তালিকাভুক্তির হার বাড়াতে পারে। এটি কর্মীদের ক্ষেত্রে লিঙ্গসমতা আনার পাশাপাশি ছাত্রীদের জন্য সহজ ও স্বচ্ছন্দ কথাবার্তার পরিবেশ গড়তে সাহায্য করবে৷
৩. জনসম্প্রদায়ের নেতৃত্বাধীন প্রকল্পে মহিলাদের অংশগ্রহণ
একটি লিঙ্গ–সংবেদনশীল প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও লিঙ্গ–প্রতিনিধিত্ব সংযুক্ত হওয়া উচিত। জনসম্প্রদায় স্তরের কর্মীরা, যাঁরা প্রায়শই মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন এবং সম্প্রদায়কে বেশ ভালভাবে জানেন, তাঁদের এই প্রকল্পের মুখ হওয়া উচিত। স্থানীয় ফ্রন্টলাইন কর্মীদের—যেমন আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও মহিলা মণ্ডল—এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মূল কর্মশক্তি হওয়া উচিত।
৪. কমিউনিটি আউটরিচ কার্যক্রমে জড়িত অন–গ্রাউন্ড কর্মীদের প্রশিক্ষণ
জনসম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচারের জন্য স্থানীয় স্তরের কর্মীদের রিফ্রেশার ট্রেনিং ও সক্ষমতা বৃদ্ধিও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তাঁরা তৃণমূল স্তরের বাস্তবতা সম্পর্কে আরও সচেতন। বেসিক ডিজিটাল আপস্কিলিংয়ের পাশাপাশি কর্মীদের জন্য লিঙ্গ সংবেদনশীলতা প্রশিক্ষণ এই প্রকল্পটির আরও ভাল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
৫. পরিচ্ছন্ন, কার্যকরী টয়লেটের ব্যবস্থা
ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ অ্যাপ্লায়েড ইকনমিক রিসার্চের একটি সমীক্ষা অনুসারে, স্কুল প্রাঙ্গনে টয়লেটের অনুপলব্ধতা মহিলা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চহারে স্কুল ছাড়ার একটি প্রধান কারণ। স্কুলের মতো সরকারি সম্পত্তিতে টয়লেটের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা তালিকাভুক্তির হার বাড়াতে সাহায্য করবে।
বি বি বি পি প্রকল্পটি পুত্রের আকাঙ্খার বিষয়টিকে সামনে আনার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সম্পন্ন করা সত্ত্বেও বর্তমান আকারে এই প্রকল্পটির কেন্দ্রীয় কাজটি দুর্বল বাস্তবায়ন ও নজরদারির কারণে ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। জেলা ও রাজ্যস্তরে ঘন ঘন বৈঠকের অভাবের ফলে এই প্রকল্পটি গত কয়েক বছরে তৈরি হওয়া গতি হারাতে পারে। তাই জেলা ও রাজ্যস্তরের অ্যাকশন কমিটিগুলির মধ্যে জনসম্প্রদায় স্তরের কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব থাকা অপরিহার্য। একই রকম প্রয়োজনীয় ছাত্রীরা যে চ্যালেঞ্জগুলির সম্মুখীন হয়, যেমন টয়লেটের অনুপলব্ধতা, সেগুলি অনুধাবন করা, এবং সেই সঙ্গে প্রকল্পের উদ্দেশ্যগুলিতে অগ্রগতির নির্দেশক পরিমাপযোগ্য ফলাফল চিহ্নিত করার জন্য উপযুক্ত নজরদারি ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া।
_____________________________________________
[১] বালিকা মঞ্চ হল সরকারি স্কুলে তৈরি করা প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সিনিয়র সেকেন্ডারি ও হাই–সিনিয়র সেকেন্ডারি ক্লাসের মেয়েরা একত্রিত হয়, অংশগ্রহণ করে এবং বয়ঃসন্ধিকালের মেয়েরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয় তার সমাধান খুঁজে বার করে।
মতামত লেখকের নিজস্ব।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Avni Arora was a Research Assistant with the Center for New Economic Diplomacy at ORF. Her key areas of research are Gender Development Policy and ...
Read More +