Author : Rumi Aijaz

Published on Nov 28, 2021 Updated 0 Hours ago

পর্যাপ্ত পরিমাণ জল সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যা দূরীকরণে প্রশাসনিক এবং নাগরিক স্তরে জলের অপচয় রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।

শহরগুলির পরিকল্পিত আবাসিক অঞ্চলে জল সরবরাহের সমস্যা

কোনও কোনও ভারতীয় শহরে পরিকল্পিত আবাসিক কলোনিগুলিতে বসবাসকারী মানুষজন স্থানীয় পৌরসংস্থা থেকে প্রাত্যহিক জীবনধারণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জলের সরবরাহ পান না। যদিও কলোনিগুলিতে জল সরবরাহের পরিকাঠামো বর্তমান এবং পাইপ সংযোগের মাধ্যমে জল দেওয়ার বন্দোবস্ত আছে, তবুও অধিকাংশ বাড়ির বাসিন্দারাই এখনও অপ্রতুল জল সরবরাহের সমস্যা ভোগ করছেন। পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে যে, জল সরবরাহকারী সংস্থার তরফে কম পরিমাণ জল সরবরাহ যতটা না পরিস্থিতির জন্য দায়ী, তার চেয়ে অনেকাংশে বেশি দায়ী প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা এবং নাগরিকদের দ্বারা জলের অপব্যবহার।

ফলে উন্নতির পরিবর্তে বিগত বছরগুলিতে অবস্থার ক্রমাবনতি হয়েছে। ১৫-২০ বছর আগে আবাসিকদের সংখ্যা কম থাকায় জলের চাহিদাও কম ছিল এবং জল সরবরাহের পরিমাণ ও জলের চাপও পর্যাপ্ত বলে মনে করা হত। সেই সময়ে প্রতি দিন জল সরবরাহ করা হত, সরবরাহের সময় সুনির্দিষ্ট ছিল এবং পাশাপাশি জলের চাপ বেশি থাকায় আবাসনের ছাদের ট্যাঙ্কে জল তুলে মজুত করার জন্য ইলেকট্রিক পাম্পের প্রয়োজন হত না। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জলের চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিবর্তনটি বোঝার জন্য জল সরবরাহ এবং জলের ব্যবহার সংক্রান্ত কতগুলি চমকপ্রদ তথ্য তুলে ধরা হল।

জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জলের চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিবর্তনটি বোঝার জন্য জল সরবরাহ এবং জলের ব্যবহার সংক্রান্ত কতগুলি চমকপ্রদ তথ্য তুলে ধরা হল।

সাধারণত স্থানীয় পৌরসংস্থা থেকে পাইপ সংযোগের মাধ্যমে প্রত্যহ তিন বার যথাক্রমে সকালে, দুপুরে এবং সন্ধেবেলা আবাসিকদের জল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এক বছরের সময়কাল ধরে পর্যবেক্ষণ চালালে সরবরাহের প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অসামঞ্জস্য চোখে পড়বে। কখনও কখনও দিনে তিন বার জল আসে, কখনও আবার আসে না। আবাসিকদের জল সরবরাহের সময় সম্পর্কে আগে থাকতে অবগত করা হয় না। ফলে তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে জল পাবেন কি না, এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেন না। এ ছাড়াও দিনে কত বার জল সরবরাহ হবে সেই সংখ্যাটি বছরের বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হতে থাকে। বর্ষাকালে সরবরাহের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং বছরের অন্যান্য সময়ে তা অনেকটাই কমে যায়। এই প্রেক্ষিতে গ্রীষ্মের মাসগুলি কঠোরতম, যখন জলের চাহিদা আকাশছোঁয়া থাকলেও সরবরাহের পরিমাণ অপ্রতুল হয়ে দাঁড়ায়।

একই রকম ভাবে জল সরবরাহের সময়সীমা সম্পর্কেও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। ব্যবহারকারীরা জানেন না, তাঁরা নির্ধারিত সময়ে কতক্ষণ জল পাবেন। পৌরসংস্থা থেকে কখনও প্রায় আধ ঘণ্টা জল দেওয়া হয়, আবার কখনও সেই সময়সীমা মাত্র পাঁচ কিংবা দশ মিনিটে এসে ঠেকে। এত স্বল্প সময়ের মধ্যে আবাসিকদের পক্ষে জল সঞ্চয় করে রাখা এবং প্রাত্যহিক ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় জলের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না। বর্ষাকালে জলের জোগান বেশি থাকে এবং সেটি থাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য। জল সরবরাহ জলের চাপ কম হওয়ার উপরেও নির্ভর করে। সাধারণত যে সকল আবাসনে জলের কলগুলি দু’ফুট বা তার চেয়েও উঁচু, সেগুলিতে জল আসে না। যদিও বা জল আসে, তার পরিমাণ হয় অকিঞ্চিৎকর। জলের চাপ এতটা কম হওয়ার জন্য ব্যবহারকারীরা পাত্র বা ছাদের ট্যাঙ্কে জল সঞ্চয় করতে অসমর্থ হন।

সরবরাহ করা জলের গুণমানও একটি উদ্বেগের বিষয়। কারণ ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্যের উপরে এটির প্রত্যক্ষ প্রভাব বিদ্যমান। অনেক সময়েই জলে দুর্গন্ধ থাকে। পৌরসংস্থার পাইপলাইনগুলিতে ছিদ্র থাকার জন্য নর্দমার নোংরা জল এবং কাদা পাইপগুলিতে ঢুকে পড়ে এবং পাইপ সংযোগের দ্বারা সরবরাহ করা জলকে দূষিত করে তোলে। জল সরবরাহকারী সংস্থাগুলি দ্বারা জল শোধনের সময়ে মাত্রাতিরিক্ত ক্লোরিনের ব্যবহারের ফলে স্বাদও বদলে যায়। খারাপ গুণমানের জল এবং স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে আবাসিকরা জল শোধনকারী যন্ত্র ব্যবহার করেন এবং নিজেদের প্রয়োজনীয় পানীয় জলের চাহিদা মেটানোর জন্য বোতলবন্দি পরিশুদ্ধ পানীয় জল কিনতে বাধ্য হন।

আবাসিকদের দ্বারা গৃহীত পন্থা

জল সরবরাহের সময়, পৌনঃপুনিকতা, দিন-রাতে জল সরবরাহের নির্ঘণ্ট, জলের চাপ এবং গুণমানের কথা মাথায় রেখে অধিকাংশ আবাসিকই সমস্যা সমাধানে তৎপর হয়েছেন। এই সংক্রান্ত কিছু পদক্ষেপের কথা নিচে উল্লেখ করা হল।

পৌরসংস্থার পাইপলাইনগুলিতে ছিদ্র থাকার জন্য নর্দমার নোংরা জল এবং কাদা পাইপগুলিতে ঢুকে পড়ে এবং পাইপ সংযোগের দ্বারা সরবরাহ করা জলকে দূষিত করে তোলে।

পৌরসংস্থা থেকে পরিশোধিত জল পাইপলাইনের মাধ্যমে আবাসনগুলিতে পৌঁছনোর আগেই তার পরিমাণ এবং চাপ উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পায়। এ রকমটা হওয়ার অন্যতম কারণ হল, আবাসনে ঢোকার মুখে বা সংযোগস্থলে বহু সংখ্যক আবাসিকই পৌরসংস্থার পাইপলাইনের সঙ্গে সরাসরি শক্তিশালী বৈদ্যুতিক মোটর পাম্প সংযোগের মাধ্যমে তীব্র শক্তিতে জল টেনে সঞ্চয় করেন। এই ভাবে তাঁরা সাধারণ ভাবে প্রাপ্ত জলের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে জল পেতে সক্ষম হন। বৈদ্যুতিক মোটর দ্বারা সুতীব্র আকর্ষণের ফলে সংশ্লিষ্ট পৌরসংস্থার পাইপলাইনের ভিতরে জমে থাকা দূষিত পদার্থও জলের সঙ্গে চলে আসে এবং এক সঙ্গে মিশে যাওয়ার ফলে তা জলকে দূষিত করে। সর্বোপরি এই পাইপলাইনগুলি পুরনো, জং ধরা এবং ফাটলযুক্ত। ফলে পাইপের এই ফাটলগুলির মাধ্যমে কাদা এবং নর্দমার নোংরা জল পরিস্রুত জলে মিশে যায়। পৌরসংস্থার পাইপলাইন দিয়ে সরবরাহ করা জলে এই কাদার পরিমাণ সর্বাধিক পাওয়া যায় বর্ষাকালে। কারণ বর্ষাকালে শহরের বহু জায়গায় জল জমে এবং পাইপলাইনের ফাটল দিয়ে ঢুকে কাদামাটি জলে মিশে যায়।

আবাসনে বসবাসকারী বহু বাসিন্দাই পৌরসংস্থার পাইপলাইন থেকে বৈদ্যুতিক মোটর পাম্পের সাহায্যে জল টেনে নেওয়ার বিরোধী, কারণ তাঁরা এটি অনৈতিক বলে মনে করেন। কিন্তু সাধারণ উপায়ে পর্যাপ্ত জল না পেয়ে তাঁরা এমনটা করতে বাধ্য হন। পৌরসংস্থা দ্বারা পরিস্রুত জল পানীয় হিসেবে, রান্নার কাজে, স্নান করার জন্য, গাড়ি এবং রাস্তা ধোয়া, বাগানে দেওয়ার মতো একাধিক পানযোগ্য এবং সঞ্চয়যোগ্য কাজে ব্যবহৃত হয়। অনেক আবাসিকই এই জলকে কাজে লাগিয়ে বাড়ির সংলগ্ন ফাঁকা জমিতে সবজি চাষ করেন। এর ফলে জলের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি কোনও কোনও পরিবারের সদস্যরা তাঁদের প্রয়োজনীয় জলের চাহিদা মেটাতে নলকূপ খনন করে ভূ-গর্ভস্থ জল তুলে আনেন। বৈদ্যুতিক পাম্পের সাহায্যে শক্তিপূর্বক জল টেনে নেওয়া, ফাঁকা জমিতে সবজির চাষ করা এবং নলকূপ খনন করে ভূ-গর্ভস্থ জল তুলে আনার প্রক্রিয়াগুলি বেআইনি। কারণ এর ফলে পারিপার্শ্বিক প্রতিবেশে জল সরবরাহ ব্যাহত হয়। যদিও জলের এ হেন অপব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। 

জল সরবরাহ পরিষেবার উন্নতিকরণে পদক্ষেপ

এ কথা লক্ষ্যণীয় যে, জল সরবরাহ পরিষেবার কার্যকারিতা সুনিশ্চিত করতে কয়েকটি পদক্ষেপ করা হয়েছে। পুরসভার ওয়েবসাইটে জল ব্যবহারকারীরা নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারেন। সাধারণত সহজে সমাধানযোগ্য সমস্যাগুলির সমাধান তাড়াতাড়ি করা হয়। যেমন জলের অভাবে যুঝতে থাকা আবাসনগুলিতে জলের ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে সমস্যার সমাধান করা হয়। কিন্তু জলের গুণমান, চাপ অথবা পাইপলাইনে ফাটল ধরার মতো জটিল সমস্যাগুলি এড়িয়ে যাওয়া হয়।

বৈদ্যুতিক মোটর দ্বারা সুতীব্র আকর্ষণের ফলে সংশ্লিষ্ট পৌরসংস্থার পাইপলাইনের ভিতরে জমে থাকা দূষিত পদার্থও জলের সঙ্গে চলে আসে এবং এক সঙ্গে মিশে যাওয়ার ফলে তা জলকেও দূষিত করে।

এ ছাড়াও পৌরসংস্থাগুলি জল সরবরাহের সময় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। কখনও কখনও মাঝরাতের মতো অপ্রত্যাশিত সময়ে পাইপ সংযোগের মাধ্যমে জল ছাড়া হয়। যে হেতু এই সময়ে মানুষজন ঘুমিয়ে থাকেন, তাই বৈদ্যুতিক পাম্পগুলিও বন্ধ থাকে। এই সময়ে সরবরাহকৃত জলের গুণমান ও চাপ দুই-ই অপেক্ষাকৃত ভাবে ভাল থাকে। এবং এ ভাবে জল সরবরাহ করার ফলে জলের সমবণ্টন সম্ভব হয়। অর্থাৎ এই সময়ে পৌরসংস্থার পাইপ সংযোগের মাধ্যমে সকল আবাসনে জল পৌঁছয় এবং মাটির তলায় বা উপরে জলের ট্যাঙ্কগুলি আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে ভর্তি হয়ে যায়। এই বিষয়ে আর একটি প্রশাসনিক পদক্ষেপ হল জল সরবরাহের সময় প্রায় আধ ঘণ্টার জন্য অঞ্চলটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দেওয়া। এ রকমটা করার কারণ এই যে, পাইপ সংযোগের মাধ্যমে যখন পৌরসংস্থাগুলি জল সরবরাহের কাজ করে, তখন যাতে আবাসিকদের পক্ষে তাঁদের বৈদ্যুতিক মোটর পাম্পগুলি চালানো সম্ভব না হয়। এ ভাবে যখন বিদ্যুৎ পর্ষদ থেকে বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়, তখন বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যায় পৌরসংস্থার জল।

উপসংহার

জল সরবরাহ এবং জল ব্যবহারের বিদ্যমান অভ্যাসগুলি মাথায় রেখে এ কথা বলা যেতে পারে যে, নাগরিকদের জল সরবরাহের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির বর্তমান ব্যবস্থা নেহাত সাময়িক, এবং আদৌ টেকসই নয়। ফলে আবাসনগুলির প্রত্যেক ঘরে নিয়মিত, পর্যাপ্ত এবং সুরক্ষিত জল সরবরাহের ব্যাপারটি কখনও সুনিশ্চিত হয় না। এমনটাও দেখা গিয়েছে যে, সমপরিমাণ জল না পাওয়ার সমস্যাটি তৈরি হয়েছে একাধিক আবাসনে জলের অপচয় বা অপব্যবহারের ফলে। বর্তমান পরিস্থিতিতে জল সরবরাহকারী সংস্থাগুলির কর্মপদ্ধতিতে সংস্কারের পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের তরফে জলের অপব্যবহার রুখতে কড়া পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। এই বিষয়ে এখানে কতগুলি পরামর্শ দেওয়া হল। পৌরসংস্থাগুলিকে মাথা পিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ জলের জোগান সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক বাড়ি থেকে প্রাপ্ত জলের পরিমাণ এবং গুণগত মান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। জল সরবরাহের সময় স্থির করতে হবে এবং নির্ধারিত সময়সীমা মেনেই পৌরসংস্থাগুলিকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল ছাড়তে হবে। ব্যবহারকারীদের জল সরবরাহের সময়সীমা সম্পর্কে আগে থেকে অবগত করতে হবে।

জলের গুণমান, চাপ অথবা পাইপলাইনে ফাটল ধরার মতো জটিল সমস্যাগুলি এড়িয়ে যাওয়া হয়।

পাইপলাইনে জলের চাপ মেপে দেখা, পাইপগুলির ফাটল মেরামত এবং জলাধার ও পাইপলাইনের জলের গুণমান নির্ধারণে পৌরসংস্থাগুলির যথাযথ প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া উচিত। পৌরসংস্থাগুলির তরফে দিনের বেলায় দীর্ঘক্ষণ ব্যাপী জল সরবরাহ করার ব্যাপারটি সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা জল সরবরাহ করতে পারার লক্ষ্যে এগোনো উচিত। এই প্রেক্ষিতে সংস্থাগুলির উচিত সম্ভাব্য সাধারণ স্থানে রেনওয়াটার হারভেস্টিং বা বৃষ্টির জল জমিয়ে তার ব্যবহার করা এবং আগ্রহী গ্রাহকদের এই ধরনের ব্যবস্থাপনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে আগ্রহী করে তোলা। পাশাপাশি সমস্ত নর্দমার জলকে পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে অপেয় (পান করা ছাড়া অন্য কাজে লাগানোর জন্য) জলের চাহিদা মেটানোর কাজে লাগানোর চেষ্টা চালানোও অবশ্য কর্তব্য।

ব্যবহারকারীদের মধ্যে জলের অপব্যবহারের নেতিবাচক দিকগুলি সম্পর্কেও সচেতনতা বাড়াতে হবে। গ্রাহকদের দ্বারা বৈদ্যুতিক পাম্পের ব্যবহার বা নলকূপ খনন ইত্যাদির মতো আইনবিরুদ্ধ কাজ রুখতে পৌরসংস্থার তরফে নিয়মিত পরিদর্শন করা উচিত। প্রত্যেকটি বাড়িতে জলের মিটার লাগানোর ব্যবস্থা করা আবশ্যিক করতে হবে এবং জলকরের পরিমাণ সম্পত্তির পরিমাণের ভিত্তিতে নয়, ব্যবহৃত জলের পরিমাণের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট করতে হবে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.