এই প্রতিবেদনটি ‘রি-ইগনাইটেড অ্যাজেন্ডাজ: ট্রাম্প’স রিটার্ন অ্যান্ড ইটস গ্লোবাল রেপারকাশন’ সিরিজের অংশ।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন তাঁর সম্ভাব্য ‘আফ্রিকা নীতি’ নিয়ে জল্পনা বেড়েই চলেছে। প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প মূলত আফ্রিকাকে উপেক্ষা করেছিলেন এবং এমনকি আফ্রিকা মহাদেশ সম্পর্কে বেশ কিছু অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন। তিনি কখনও আফ্রিকা সফরে যাননি এবং সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের বিষয়ে তেমন একটা আগ্রহও প্রদর্শন করেননি। তিনি আফ্রিকান দেশগুলির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকলেও এ কথা স্পষ্ট যে, আফ্রিকা কোনও দিনই তাঁর প্রশাসনের জন্য একটি মূল অগ্রাধিকার ছিল না। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ তাঁর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বিদেশনীতির অবস্থানকেই শক্তিশালী করতে চায়, যেখানে মার্কিন স্বার্থকে কেন্দ্র করে বাস্তববাদী, বিনিয়োগচালিত কৌশলগুলির উপর মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। আর এই পদ্ধতিটিই আফ্রিকান দেশগুলির জন্য লাভজনক হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং আফ্রিকার জন্য তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ‘প্রসপার আফ্রিকা’ উদ্যোগ অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে চালু হওয়া এই কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল আফ্রিকা মহাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলির সম্প্রসারণ। ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন (ডিএফসি) এই উদ্যোগের অর্থায়ন করেছিল ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে আফ্রিকায় চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-কে (বিআরআই) মোকাবিলা করার জন্য দ্বিদলীয় বিল্ড (বেটার ইউটিলাইজেশন অফ ইনভেস্টমেন্টস লিডিং টু ডেভেলপমেন্ট) অ্যাক্টের অধীনে এই উদ্যোগের সূচনা করা হয়েছিল। এটি সাব-সাহারান আফ্রিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ক্ষমতাকে প্রসারিত করেছে, যেখানে ডিএফসি-র অর্থায়নের পরিমাণ ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। সূচনা হওয়ার পর থেকে ‘প্রসপার আফ্রিকা’ মার্কিন সংস্থাগুলির জন্য ৪৯টি দেশে ১২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ২৫০০টি চুক্তি সুরক্ষিত করতে সাহায্য করেছে৷ অন্য কথায় বলতে গেলে, ‘প্রসপার আফ্রিকা’ আরও জনপ্রিয় আফ্রিকান গ্রোথ অ্যান্ড অপর্চুনিটি অ্যাক্ট-এর (এজিওএ) সমান প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছিল।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ তাঁর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বিদেশনীতির অবস্থানকেই শক্তিশালী করতে চায়, যেখানে মার্কিন স্বার্থকে কেন্দ্র করে বাস্তববাদী, বিনিয়োগচালিত কৌশলগুলির উপর মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।
২০০০ সালে আইন পাশ হওয়ার পর থেকে এজিওএ আফ্রিকান দেশগুলিকে মার্কিন বাজারে ১৮০০টিরও বেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারে সাহায্য করেছে। ট্রাম্প এর আগে ২০২৫ সালের মধ্যে এজিওএ শেষ করার কথা বিবেচনা করলেও আফ্রিকায় চিনের প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য তাঁর লক্ষ্যের অর্থ ছিল যে, প্রকল্পটি সম্ভবত অব্যাহতই থাকবে। যাই হোক, এজিওএ-সম্পর্কিত রফতানি ২০০৮ সালের ৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের শীর্ষ থেকে ২০২২ সালে মাত্র ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে এবং এটি ঘটেছে আংশিক ভাবে আফ্রিকার পেট্রোলিয়াম রফতানি হ্রাসের কারণে। ট্রাম্প ইয়াং আফ্রিকান লিডারস ইনিশিয়েটিভ-এর (ওয়াইএলই) মতো প্রকল্পগুলি চালিয়ে যাওয়ারও আশা করছেন, যেটিতে যুব নেতৃত্ব, উদ্যোক্তা এবং সরাসরি অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার প্রচার করা হয় এবং যেখানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-চালিত কূটনীতির প্রতি মনোযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়। যাই হোক, পূর্ববর্তী সরকারের জলবায়ু কর্মসূচি এবং স্বাস্থ্যসেবা নীতিগুলির আকার হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বরং অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রবর্তন করা হতে পারে এবং গণ-নির্বাসনেরও মোকাবিলা করা হতে পারে।
আফ্রিকার দৃষ্টিভঙ্গি
মিশর ও নাইজেরিয়া থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত অনেক আফ্রিকান নেতাই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাঁর পুনর্নির্বাচনের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তাঁরা এ বিষয়েও সচেতন যে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আফ্রিকা মহাদেশের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। বাণিজ্য, সহায়তা ও নিরাপত্তা বিষয়ে তাঁর নীতি ঘোষণার অপেক্ষায় থাকার পাশাপাশিই আফ্রিকান দেশগুলির মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন দেখা যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কেনিয়া ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে সম্ভাব্য টানাপড়েনের সম্পর্ক নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। অন্য দিকে মিশর, মরক্কো, নাইজেরিয়া ও উগান্ডার মতো দেশগুলি আবার এ বিষয়ে অনেক বেশি আশাবাদী।
উত্তর আফ্রিকায়, মিশর ও মরক্কোই ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন থেকে সর্বাধিক লাভ করতে পারে। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তা আল-সিসি ২০১৬ সালে তাঁর সবচেয়ে বড় সমর্থক ছিলেন। ট্রাম্প এর আগে সিসিকে তাঁর ‘পছন্দের একনায়ক’ বলে অভিহিত করেছিলেন। ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে মানবাধিকারের উপর কম জোর দেওয়ার পাশাপাশি মিশর আরও অনুকূল সম্পর্ক আশা করতে পারে। ট্রাম্পের শক্তিশালী দৃষ্টিভঙ্গি গাজা ও লেবাননে সংঘাতের সমাধানে সহায়তা করতে পারে, যেখানে নীল নদের জল এবং গ্র্যান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁস বাঁধ নিয়ে ইথিওপিয়ার সঙ্গে তার বিরোধের প্রেক্ষিতে মিশর লাভ করতে পারে।
২০২০ সালে ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি বৃহত্তর চুক্তির অংশ হিসাবে ট্রাম্প মার্কিন নীতির পরিবর্তন করেছিলেন এবং এই অঞ্চলে মরক্কোর সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।
মরক্কোও ট্রাম্পের বিজয়কে স্বাগত জানিয়েছে এবং তারা আশা করে যে, ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন বিতর্কিত পশ্চিম সাহারায় মরক্কোর সার্বভৌমত্বের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের প্রচেষ্টা বাড়াবে। ২০২০ সালে ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি বৃহত্তর চুক্তির অংশ হিসাবে ট্রাম্প মার্কিন নীতির পরিবর্তন করেছিলেন এবং এই অঞ্চলে মরক্কোর সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।
পূর্ব আফ্রিকার জন্য ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনটি লাভজনক না-ও হতে পারে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন যখন ২০২২ সালে আফ্রিকা মহাদেশকে ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তখন পূর্ব আফ্রিকান দেশগুলি মার্কিন সহায়তার বৃহত্তম প্রাপকদের মধ্যে ছিল। যাই হোক, ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ কর্মসূচি মার্কিন আর্থিক সহায়তার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস করতে পারে। এটি দুঃখজনক, বিশেষ করে যখন এই অঞ্চলটি সুদানকে কেন্দ্র করে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ অভিবাসন সঙ্কটের মোকাবিলা করছে।
সুদানের সঙ্কটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বৃহত্তর ভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং এই সঙ্কট দেশের অর্ধেক জনসংখ্যাকে অনাহারের মুখে ফেলেছে। যাই হোক, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ পদ্ধতির সুদানকে শীর্ষ অগ্রাধিকারে পরিণত করার সম্ভাবনা কম। ২০১৯ সালে ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং সুদানের বেসামরিক শাসনের স্থানান্তরকে সমর্থন করার জন্য কূটনৈতিক চাপ ব্যবহার করেছিলেন। ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার শর্তে সুদানকে সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ট্রাম্প সুদানের জন্য আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা পাওয়ার দরজা খুলে দিয়েছিলেন। ফলে সুদান নিজের ভঙ্গুর গণতন্ত্রের জন্য অত্যাবশ্যক অর্থনৈতিক ত্রাণ পেতে সক্ষম হয়েছিল।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলি তাদের পূর্ব প্রতিবেশীর মতো একই উদ্বেগ ভাগ করে নেয়। গত দুই বছরে অঞ্চলটি একাধিক সামরিক অভ্যুত্থান, বিধ্বংসী জলবায়ু বিপর্যয় এবং ক্রমবর্ধমান বিদ্রোহী হামলার সম্মুখীন হয়েছে। ট্রাম্পের তরফে যে কোনও প্রকারের বিচ্ছিন্নতা এই চ্যালেঞ্জগুলিকে আরও তীব্র করতে পারে এবং চিনা ও রুশ প্রভাব বৃদ্ধি করতে পারে। চিন এই অঞ্চলের প্রধান অর্থনৈতিক অংশীদার হয়ে উঠছে এবং রাশিয়া নিরাপত্তা ক্ষেত্রে নিজের ভূমিকাকে শক্তিশালী করছে। এ দিকে, যে সব হুন্তা নেতা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছেন, তাঁরা আশা করছেন যে, নতুন ট্রাম্প প্রশাসন সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ট্রাম্প বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন, বিশেষ করে নিজেকে বর্ণবাদবিরোধী আইকন নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে তুলনা করার দরুন এমনটা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ট্রাম্প বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন, বিশেষ করে নিজেকে বর্ণবাদবিরোধী আইকন নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে তুলনা করার দরুন এমনটা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা রাশিয়া ও চিন উভয়ের সঙ্গেই দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রেখে ইজরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থনের সমালোচনা করেছে। প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানালেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বন্ধুর হবে বলেই মনে হচ্ছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা কী ভাবে তার কূটনীতিকে চালনা করবে, তার উপর নির্ভর করবে দুই দেশের সম্পর্ক। এটি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা এজিওএ উদ্যোগের থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে। তবে মার্কিন তরফে কেউ কেউ এই প্রকল্প থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সরিয়ে দিয়ে শাস্তি প্রদানের দাবি করেছে।
বহুমেরুকৃত বিশ্বে আফ্রিকার ভূমিকা ক্রমশ বিকশিত হচ্ছে এবং ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন-আফ্রিকা সম্পর্ক অবকাঠামো, বাণিজ্য ও ব্যবসার সুযোগগুলির উপর ভিত্তি করে আরও বাস্তববাদী হয়ে উঠতে পারে। আদর্শগত সম্পৃক্ততা বা সাহায্যের চেয়ে সরাসরি অর্থনৈতিক কূটনীতির জন্য ট্রাম্পের অগ্রাধিকার আফ্রিকার অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা ও সার্বভৌম রাজনৈতিক কাঠামোর লক্ষ্যগুলির সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ হতে পারে।
আফ্রিকান ইউনিয়নকে সম্প্রতি জি২০-র স্থায়ী সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি আসলে আফ্রিকার ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক গুরুত্বকেই দর্শায়। মহাদেশটি গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণ, যুব বেকারত্ব এবং অভিবাসন চাপের মতো জটিল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলেও তারুণ্য ও উদ্ভাবন দ্বারা চালিত বৃদ্ধির জন্য অপার সম্ভাবনাও রয়েছে। এই ক্রমবর্ধমান বহুমুখী বিশ্বে আফ্রিকার সংস্থান ও জোটগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততাও তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্রমবর্ধমান জিহাদি হুমকির সম্মুখীন হওয়া এবং চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ হয়ে ওঠার পাশাপাশি একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল আফ্রিকায় মার্কিন প্রভাব হ্রাস পাচ্ছে। তাই ট্রাম্প ২.০ আফ্রিকার জন্য সুযোগ ও ঝুঁকি দুই-ই তৈরি করতে পারে। তবুও তাঁর অপ্রচলিত প্রকৃতির কারণে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরে কোন বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দেবেন, তা এখনই অনুমান করা কঠিন।
সমীর ভট্টাচার্য অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের অ্যাসোসিয়েট ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.