Author : Prateek Tripathi

Published on Jan 18, 2024 Updated 0 Hours ago

ভারতের মতো বিশাল ভূচিত্র ও জনসংখ্যার অধিকারী একটি দেশে ব্লকচেনের সম্পূর্ণভাবে শাসনব্যবস্থাকে রূপান্তরিত করা এবং বিপ্লব আনার সম্ভাবনা রয়েছে, যদি এটি সতর্কতার সাথে প্রয়োগ করা হয়

ভারতীয় প্রশাসনে ব্লকচেনের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা

যদিও এর উৎপত্তির সন্ধান ১৯৭৯ সালে পৌঁছে দেয়, ব্লকচেন প্রযুক্তি ২০০৯ সালে ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করার সময় প্রথম আলোতে আসে, কারণ এটি বিটকয়েনের মেরুদণ্ড তৈরি করেছিল। প্রথমে এটিকে কিছুটা আতঙ্কের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, কিন্তু তারপর এটি সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে একইভাবে আগ্রহ অর্জন করেছে, এবং এখন উভয়ই এতে প্রচুর বিনিয়োগ করছে, কারণ প্রযুক্তিটি বিস্তৃত সুবিধা উপহার দেয়৷ বিশেষভাবে আগ্রহের বিষয় হল প্রশাসনে ব্লকচেনের ক্রমবর্ধমান প্রয়োগ, যেখানে এটি একটি অভূতপূর্ব স্তরের স্বচ্ছতা, নির্ভুলতা ও নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।



ব্লকচেন কী?


ব্লকচেন মূলত একটি ডিস্ট্রিবিউটেড ডিজিটাল লেজার বা ডেটাবেসকে বোঝায়। এখানে ‘‌ডিস্ট্রিবিউটেড’‌ শব্দটি এই সত্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে লেজারটি একটি কেন্দ্রীয় ডেটাবেসে সংরক্ষণ করা হয় না, বরং নেটওয়ার্কের প্রতিটি কম্পিউটার বা নোড এটির একটি অনুলিপি সংগ্রহে রাখে, যা আবার একটি পিয়ার–টু–পিয়ার (পিটুপি) নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে।

ব্লকচেন মূলত একটি ডিস্ট্রিবিউটেড ডিজিটাল লেজার বা ডেটাবেসকে বোঝায়। এখানে ‘‌ডিস্ট্রিবিউটেড’‌ শব্দটি এই সত্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে লেজারটি একটি কেন্দ্রীয় ডেটাবেসে সংরক্ষণ করা হয় না, বরং নেটওয়ার্কের প্রতিটি কম্পিউটার বা নোড এটির একটি অনুলিপি সংগ্রহে রাখে, যা আবার একটি পিয়ার–টু–পিয়ার (পিটুপি) নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে। যখন দুটি নোড একটি লেনদেন পরিচালনা করে (যা এনক্রিপ্ট করা হয়), তখন এটির একটি রেকর্ড লেজারে সংরক্ষণ করা হয়, যাকে পরবর্তীতে ডেটার একটি ‘‌ব্লক’‌ বলা হয়। প্রতিটি ব্লকের টাইমস্ট্যাম্পের উপর ভিত্তি করে ‘‌হ্যাশ’‌ নামে একটি অনন্য আলফানিউমেরিক স্ট্রিং বরাদ্দ করা হয়, এবং এই ধরনের সমস্ত ব্লক তাদের হ্যাশের মাধ্যমে ক্রমানুসারে সংযুক্ত হয়ে একটি শৃঙ্খল বা চেন তৈরি করে। ব্লকচেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যটি হল যে, প্রতিটি নতুন ব্লকের ডেটার ওই শৃঙ্খলের পূর্ববর্তী ব্লকের সঙ্গে একত্র হওয়ার জন্য নেটওয়ার্কের সমস্ত নোডের মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন। এই বৈশিষ্ট্যটি লেজারের স্বচ্ছতা ও অভিন্নতা নিশ্চিত করে এবং এটিকে অবৈধ পরিবর্তনের সম্ভাবনামুক্ত রাখে। সেটআপের কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য নোডগুলিকে সাধারণত একটি লেনদেনকে বৈধতা দিতে অর্থনৈতিক প্রণোদনা প্রদান করা হয়, এবং তা করার জন্য প্রথম নোডকে একটি পুরস্কার দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াটি ‘‌মাইনিং’‌ নামে পরিচিত।

ব্লকচেন প্রযুক্তির বিবর্তন


যখন ব্লকচেন প্রযুক্তি প্রায় একচেটিয়াভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল, সেই সময় ২০১৪ সালে
ইথেরিয়াম নামে পরিচিত একটি বিকেন্দ্রীভূত প্ল্যাটফর্ম চালু করার সঙ্গেসঙ্গে পরিস্থিতি একটি বড় রকম মোড় নেয়, যা অন্যান্য ক্ষেত্রে এর অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে প্রসারিত করে। এটি ‘‌স্মার্ট কন্ট্রাক্টস’‌–এর ধারণার প্রবর্তন করেছে, যা হল এমন ডিজিটাল চুক্তি যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রয়োজনীয় শর্তাদি পূরণ করে। এর ফলে তৃতীয় পক্ষের এগুলিকে যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা থাকে না।

ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্রমবর্ধমান ব্যবহার
বিকেন্দ্রীভূত অর্থের (ডিফাই) ধারণার জন্ম দিয়েছে, যা ব্লকচেন–ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনগুলির এমন একটি সেটকে বোঝায় যেগুলি বর্তমান আর্থিক কাঠামোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। স্মার্ট চুক্তির ব্যবহার ব্যাঙ্কের মতো তৃতীয় পক্ষ প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা দূর করে, এবং প্ল্যাটফর্মের বিকেন্দ্রীভূত প্রকৃতি ব্যবহারকারীদের তাঁদের অর্থের উপর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ দেয়।

আরেকটি উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হল ননফাঙ্গিবল টোকেনস (এনএফটি)–এর উত্থান। এগুলি পেন্টিং বা ভিডিওর মতো অনন্য ডিজিটাল সম্পদ, যা একের–সঙ্গে–এক ভিত্তিতে বিনিময় করা যায় না। যেহেতু এনএফটি–গুলির ভিত্তি ব্লকচেন, তাই তাদের স্বতন্ত্র পরিচয় ও মালিকানা অবিলম্বে ডিজিটাল লেজারে খুঁজে পাওয়া যায়। এটি রিয়েল এস্টেট থেকে ডিড বা যানবাহনের মতো বাস্তব জীবনের সম্পদের মালিকানা প্রক্রিয়াকরণে এই অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার প্রসারিত করেছে।


ভারত সরকারের ব্লকচেনের ব্যবহার


ভারত সরকার ব্লকচেন প্রযুক্তি এবং গণ–পরিসরে এর প্রয়োগে গভীর আগ্রহ দেখাচ্ছে, যেমনটি ডিসেম্বর ২০২১–এ মেইটওয়াই দ্বারা ‘‌
ব্লকচেন নিয়ে জাতীয় কৌশল’‌ প্রকাশ থেকে স্পষ্ট। এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্লকচেন গ্রহণ করার পক্ষে দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করেছে;‌ এবং সেইসঙ্গেই স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, অর্থ, ভোটিং ও ই–গভর্ন্যান্সের মতো ক্ষেত্রগুলিতে একটি ‘‌জাতীয় ব্লকচেন ফ্রেমওয়ার্ক’‌ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন করেছে, যার অধীনে এটি ব্লকচেনের জন্য একটি জাতীয় স্তরের পরিকাঠামো তৈরির লক্ষ্যে কাজ করবে। এটি ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ব্যবহারের জন্য ‘‌মেড ইন ইন্ডিয়া‘’‌ ব্লকচেন প্রযুক্তি নিয়ে আসার আশা করছে;‌ এবং সেইসঙ্গেই ব্লকচেন, ইন্টারনেট অফ থিংস, ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যা সম্মিলিতভাবে ‘‌বিআইসিএ স্ট্যাক’‌ নামে পরিচিত, তার সংযুক্তি অর্জন সম্ভব হবে বলে মনে করছে।


যদিও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অতীতে ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলির প্রতি বিদ্বেষ ছিল, এখন এটি তার নিজস্ব সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি) বা ডিজিটাল রুপি নিয়ে কাজ করছে , যা এটি
অদূর ভবিষ্যতে চালু করতে চলেছে৷ সিবিডিসি–র প্রবর্তন অর্থপ্রদান ব্যবস্থার দক্ষতা বাড়ানো, এবং বেসরকারি ভার্চুয়াল মুদ্রার সঙ্গে যুক্ত ঝুঁকি থেকে জনসাধারণকে রক্ষা করার পাশাপাশি নগদ অর্থের উপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করবে।


সরকার বর্তমানে জমি রেজিস্ট্রেশন, ডিজিটাল সার্টিফিকেট প্রদান ও শুল্ক প্রদানের জন্য ব্লকচেন প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ট্রাই) এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি)–র মতো সংস্থাগুলিও তাদের নিজ নিজ এক্তিয়ারে ব্লকচেন গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।

স্থানীয় এবং রাজ্য সরকারগুলিও ব্লকচেন প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে, এবং এটিকে তাদের শাসনকাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। দেশের প্রায় অর্ধেক রাজ্য বর্তমানে ব্লকচেন–সম্পর্কিত উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। পশ্চিমবঙ্গের নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির জমি মিউটেশনের জন্য এনএফটি গ্রহণ করা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলির মধ্যে একটি। ২৭,০০০ একর এলাকা জুড়ে মোট ৫০,০০০ এনএফটি বাস্তবায়িত হয়েছে, যা এক মিলিয়ন সম্পত্তির রেকর্ডের প্রতিনিধিত্ব করে। এনএফটিগুলি জমির মালিকানার প্রমাণ প্রদান করে, এবং সেগুলির সঙ্গে সংযুক্ত সমস্ত নথি বিকৃতির সম্ভাবনা থেকে মুক্ত, যার ফলে ম্যানুয়াল পেপারওয়ার্ক বা রেকর্ড–কিপিংয়ের প্রয়োজনীয়তা বাদ দিয়ে ভূমি মিউটেশন প্রক্রিয়াটিকে স্বচ্ছ করে তোলা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর ও বাঁকুড়া জেলার মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনগুলিও জন্ম শংসাপত্রের মতো আইনি নথি ইস্যু করার জন্য একটি ব্লকচেন–ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।

‘‌
তামিলনাড়ু ব্লকচেন ব্যাকবোন’‌ বা ‘‌নাম্বিককাই ইনইয়াম’‌–এর লক্ষ্য তামিলনাড়ুর প্রতিটি নাগরিককে একটি অনন্য রাষ্ট্রীয় আইডি প্রদান করা, যা তাঁদের সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি যেমন ই–সেবাই, অ্যাকাডেমিক এবং জন্ম শংসাপত্রগুলিকে একক ডিজিটাল ওয়ালেটে একত্র করবে। এর সঙ্গে ই–পেটাগাম অ্যাপ চালু করা হবে, যা ব্যবহারকারীদের এই নথিগুলিকে নিয়োগকর্তা, সরকারি সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাঙ্ক ইত্যাদির সঙ্গে নিরাপদে শেয়ার করতে দেবে৷ কর্ণাটক সরকার ‘‌ইউনিফাইড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’‌ নামে একটি অনুরূপ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে৷


উত্তরপ্রদেশ সরকার পলিগনের সঙ্গে অংশীদারিত্বে ‘‌ফিরোজাবাদ পাবলিক গ্রিভান্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’‌ চালু করেছে, যা হল ব্লকচেন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে একটি অনলাইন পোর্টাল। এটি অভিযোগ দায়ের করতে এবং ট্র্যাক করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্লকচেনের ব্যবহার নিশ্চিত করে যে এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ থাকবে এবং সম্ভাব্য দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা রেকর্ডগুলিকে বিকৃত করতে পারবেন না।
            

সামনের পথ

যদিও উপরে উল্লিখিত উদ্যোগগুলি ব্যাপ্ত বলে মনে হতে পারে, এগুলি হিমশৈলের চূড়ামাত্র। ব্লকচেনের ইতিমধ্যেই নানা ধরনের অ্যাপ্লিকেশন থাকা সত্ত্বেও প্রযুক্তিটি এখনও প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। এটি যে অভূতপূর্ব স্তরের স্বচ্ছতা ও দক্ষতার প্রতিশ্রুতি দেয় তা এখন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হওয়া ভারতের জন্য উপযুক্ত। কৃষি, ব্যাঙ্কিং, আইন–শৃঙ্খলা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো ক্ষেত্রে এর ব্যবহার মধ্যস্থতাকারীদের নির্মূল করে দেশের দীর্ঘকাল ধরে কাঙ্ক্ষিত আর্থিক ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যকে উৎসাহিত করবে, যার ফলে সাধারণ জনগণের এই সব অপরিহার্য সেবা ক্রয়ের সময় ও কাজ ব্যাপকভাবে কমে যাবে।

তবে এর সঙ্গেই উচ্চারণ করতে হবে সতর্কতাবাণী। প্রথমত, প্রযুক্তিটি যতটা যুগান্তকারী বলে মনে হয়, সন্দেহবাদীরা এটিকে সেভাবে দেখেন না। একজন
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এটিকে ‘‌এক্সেল স্প্রেডশিটের চেয়ে ভাল নয়’‌ বলে অভিহিত করেছেন। দ্বিতীয়ত, অভেদ্যতার দাবি সত্ত্বেও, ব্লকচেন সাইবার আক্রমণ থেকে ততটা সুরক্ষিত নয় যতটা বলা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এটি ‘‌৫১ শতাংশ আক্রমণ’‌– এর ক্ষেত্রে অরক্ষিত, আর ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটগুলি বিশেষভাবে আক্রমণের জন্য জনপ্রিয়৷ ২০২২সালে প্রায় ২০০টি ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ব্লকচেন হ্যাক চিহ্নিত করা হয়েছিল, যার ফলে ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। ভারতের মতো গণ–শাসন প্ল্যাটফর্মগুলিতে প্রয়োগ করার আগে প্রযুক্তিটির আরও বিবর্তন প্রয়োজন।

ভারতের কাছে এস্তোনিয়ার মতো সাফল্যের গল্প থেকে শেখার সুযোগ রয়েছে, যেটি তার চাবিবিহীন স্বাক্ষর পরিকাঠামো উদ্যোগের মাধ্যমে ব্লকচেনকে সম্পূর্ণরূপে তার শাসনে সংহত করেছে।

তার পরেও, ভারতের কাছে এস্তোনিয়ার মতো সাফল্যের গল্পগুলি থেকে শেখার সুযোগ রয়েছে, যেটি তার চাবিবিহীন স্বাক্ষর পরিকাঠামো উদ্যোগের মাধ্যমে ব্লকচেনকে সম্পূর্ণরূপে শাসনের সাথে একীভূত করেছে। ভারতের মতো বিশাল ভূচিত্র ও জনসংখ্যার একটি দেশে, ব্লকচেনের সম্পূর্ণভাবে শাসনব্যবস্থাকে রূপান্তরিত করা এবং বিপ্লব আনার সম্ভাবনা রয়েছে, যদি এটি সতর্কতার সঙ্গে প্রয়োগ করা হয়।



     
প্রতীক ত্রিপাঠী অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর সিকিউরিটি স্ট্র‌্যাটেজি অ্যান্ড টেকনোলজি–র একজন গবেষণা সহকারী

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.