৩০ জুন এবং ১ জুলাই দোহায় রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তান সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের তৃতীয় দফার কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছাড়াই সমাপ্তি ঘটেছে। এই সম্মেলনে ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তানের (আইইএ) একটি পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে তালিবানের অংশগ্রহণের পাশাপাশি ২৫টি দেশ এবং কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থার বিশেষ দূত-সহ প্রতিনিধিত্ব দেখা গিয়েছে। অথচ সম্মেলনটিতে নারী ও অন্যান্য সুশীল সমাজ গোষ্ঠীর অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তালিবানদের এই সম্মেলনের প্রথম দফায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এবং ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বৈঠকে তালিবানরাই যোগ দিতে অস্বীকার করেছিল। কিন্তু এ বার বিশেষ কিছু ছাড় তালিবানদের এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করে। আমিরাত যখন তিন বছরের সীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে, তখন কৌশলগত পরিস্থিতি তালিবানদের জন্য অনেক বেশি অনুকূল হয়েছে এবং তালিবানরা এই অঞ্চলের দেশগুলির পাশাপাশি সারা বিশ্বের সঙ্গে বিশেষ ধরনের সম্পৃক্ততা শুরু করেছে।
আলোচনায় আসন পাওয়ার লড়াই
ফেব্রুয়ারি মাসে তালিবানরা দোহা সম্মেলনের দ্বিতীয় দফায় অংশ নেওয়ার জন্য দু’টি দাবি পেশ করেছিল। সেগুলি ছিল এই যে, তালিবানকেই আফগানিস্তানের একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে গণ্য করতে হবে অর্থাৎ নারী ও সুশীল সমাজের গোষ্ঠীগুলিকে সম্মেলনে ডাকা যাবে না; সমাবেশ এবং শাসনের নেতৃত্ব ও রাষ্ট্রপুঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠক হওয়ার সুবিধা প্রদান করা উচিত। সেই সময় রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব এই সব দাবিই প্রত্যাখ্যান করে এগুলিকে স্বীকৃতির অনুরূপ বলে মনে করেছিলেন। কিন্তু এ বার নারী ও সুশীল সমাজের দলগুলিকে মূল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা থেকে বাধা দেওয়া হয়েছিল এবং দোহা সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির পরে শুধুমাত্র একটি পৃথক সমাবেশের জন্য তালিবানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে সেই বৈঠকে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অংশগ্রহণ করেননি। ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল উপস্থিত ছিলেন মাত্র। ফলে খুব সহজেই এ কথা অনুমেয় যে, তালিবান ও রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের মধ্যে বৈঠকের কোনও সম্ভাবনা ছিল না।
সম্মেলন শুরুর আগে তালিবান রাষ্ট্রপুঞ্জে আফগানিস্তানের আসনটি আইইএ-তে স্থানান্তরের জন্যও দাবি জানায় এবং রাষ্ট্রপুঞ্জকে আফগানিস্তানের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে বিশেষ প্রতিনিধি নিয়োগের প্রক্রিয়া বন্ধ করতে বলে।
সম্মেলন শুরুর আগে তালিবান রাষ্ট্রপুঞ্জে আফগানিস্তানের আসনটি আইইএ-তে স্থানান্তরের জন্যও দাবি জানায় এবং রাষ্ট্রপুঞ্জকে আফগানিস্তানের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে বিশেষ প্রতিনিধি নিয়োগের প্রক্রিয়া বন্ধ করতে বলে। সম্মেলনের আলোচ্যসূচির একটি অংশ কী হওয়া উচিত তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে, তালিবান চূড়ান্ত কর্মসূচিতে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, মাদকদ্রব্যের পাশাপাশি তালিবানের বিপরীতে আইএসকেপি-র মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির দ্বারা সৃষ্ট হুমকিকে কী ভাবে মোকাবিলা করা যায়, সে দিকেও মনোযোগ দিতে চেয়েছিল। সুতরাং, নারীর অধিকার, অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন, আল কায়েদার মতো অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে তালিবানের সম্পর্ক সংক্রান্ত বিষয়গুলি কর্মসূচিতে রাখা হয়নি। ঘোষিত কর্মসূচিতে মাত্র দু’টি বিষয় ছিল—অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং মাদকবিরোধিতা। রাষ্ট্রপুঞ্জের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল নারীদের অনুপস্থিতিকে ন্যায্যতা দিয়ে বলেছেন যে, সম্মেলনটি কোনও ‘আন্তঃ-আফগান’ অনুশীলন নয় এবং তাই সমস্ত অংশীদারের অংশগ্রহণের প্রয়োজন নেই। এটিই তালিবানদের আলোচনার টেবিলে জায়গা করে নিতে সাহায্য করে।
নিজেদের দাবিগুলি প্রকাশ্যে তুলে আনা
আমিরাতের প্রতিনিধিদের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ তাঁদের নীতি অগ্রাধিকারের রূপরেখা দিয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাঁদের দাবি তালিকাভুক্ত করেছেন। দেশগুলি কোন আলোকে বিশ্বকে দেখে, তার মধ্যেই উপলব্ধির পার্থক্য হিসাবে নিজেদের নীতির সমালোচনাকে অস্বীকার করে মুখপাত্র তিনটি দাবির কথা তুলে ধরেন - দেশের ব্যাঙ্কিং খাতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের রিজার্ভ বা ভাণ্ডার মুক্ত করা এবং আফিম চাষের নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে আফগান কৃষকদের জন্য জীবিকার বিকল্প উৎসের ব্যবস্থা করা। বৈঠকের সমাপ্তির পর তালিবান তাদের বার্তা সফল ভাবে সমস্ত অংশগ্রহণকারী দেশের কাছে প্রচার করার বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, ‘বেশির ভাগ দেশ’ এই ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে এবং ‘প্রতিশ্রুতি’ দিয়েছে যে, ব্যাঙ্কিং খাতে ও অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে। পরবর্তী দাবিগুলি অবশ্য রাষ্ট্রপুঞ্জ কর্তৃক প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। কারণ রাষ্ট্রপুঞ্জ আবার জানিয়েছে যে, রাষ্ট্রপুঞ্জ দ্বারা এই ধরনের কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি বা দেওয়া যেতে পারে এবং এই সম্মেলনে তালিবানের অংশগ্রহণের অর্থ এই নয় যে, তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। সম্মেলন শেষে শুধু বেসরকারি খাত ও মাদকবিরোধিতা সংক্রান্ত দু’টি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের চুক্তি হয়েছে।
কোনও সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি ছাড়াই তালিবানদের জন্য - তারা যখন ক্ষমতায় চতুর্থ বছরে পা দিয়েছে – সম্মেলনটি তাদের নিজেদেরকে আফগানিস্তানের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ বিষয়গুলিকে তুলে ধরার সুযোগ করে দিয়েছে। তারা নিজেদের অংশগ্রহণকে গঠনমূলক সম্পৃক্ততার জন্য তাদের তরফে ক্রমাগত চাপের সাফল্যের প্রমাণ হিসাবে দেখেছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অকার্যকর ‘চাপের কৌশল’ থেকে একটি ফলাফলভিত্তিক পদ্ধতির দিকে সরে যেতে বাধ্য করেছে। তারা আফিম চাষ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে তাদের কাজের বিস্তারিত বর্ণনা করেছে, যা তাদের সরকারি গণমাধ্যম অনুসারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রশংসা কুড়িয়েছে; এবং তারা নারীর অধিকার ও স্বাধীনতার প্রশ্নটিকে একটি ‘নীতিগত পার্থক্য’-এ নামিয়ে আনে, যা আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ছিল এবং ফলে এই বিষয়টি শর্তানুযায়ী এই বৈঠকে তোলা উচিত নয়। একটি স্পেশ্যাল এনভয় বা বিশেষ দূত নিয়োগ - যা পূর্ববর্তী সম্মেলনের কেন্দ্রীয় দাবি ছিল - তালিবানের অবস্থানের কোনও প্রতিক্রিয়া ছাড়াই মূলত স্থগিত করা হয়েছিল।
কোনও সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি ছাড়াই তালিবানদের জন্য - তারা যখন ক্ষমতায় চতুর্থ বছরে পা দিয়েছে - সম্মেলন তাদের নিজেদেরকে আফগানিস্তানের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ বিষয়গুলিকে তুলে ধরার অনুমতি দিয়েছে।
যেমনটি গত তিন বছরে দেখা গিয়েছে যে, আঞ্চলিক দেশগুলি কৌশলগত নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিবেচনার ভিত্তিতে এই গোষ্ঠীটির সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা আরও জোরদার করেছে। আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের পুনরুত্থানের কারণে এই সম্পৃক্ততাকে প্রয়োজনীয় হিসাবে দেখা হলেও, এটি সরকারকে ক্ষমতার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে, তাদের বৈধতা দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ছাড় চাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে পশ্চিম এবং চিন-রাশিয়ার মধ্যে বিভেদ বেড়েছে, আফগানিস্তান অসাবধানতাবশত এমন একটি মঞ্চে পরিণত হয়েছে যেখানে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র স্তরে অনুসৃত হয়েছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে তার সম্পৃক্ততা কমিয়েছে, চিন ও রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি রোধ করা। চিন এ দেশে তার অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়িয়েছে এবং একজন তালিবান কূটনীতিককে স্বীকৃতি দিয়েছে যেখানে রাশিয়া সম্প্রতি তার সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর তালিকা থেকে তালিবানকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। মস্কো ও বেজিং উভয়ই দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা মেনে নেওয়ার উপর জোর দিয়ে কোনও চাপ ছাড়াই তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে চাইছে।
সম্মেলনে গোষ্ঠীটি রাশিয়া, চিন, ভারত, ইরান, জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৪টি সমান্তরাল বৈঠক করেছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনাটি দুই বন্দির মুক্তির উপর জোর দিয়েছে, যা আইইএ দ্বারা বিনিময়ের প্রস্তাবনাকেই দর্শায়। উজবেকিস্তান, পাকিস্তান, কাতার এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে ট্রান্স-হিমালয়ান রেলওয়ের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি চতুর্পাক্ষিক বিন্যাসের বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তালিবান তুলে ধরেছে যে, কী ভাবে অন্যান্য দেশেরও তাদের ‘পারস্পরিক দ্বিপাক্ষিক সুবিধার’ জন্য আঞ্চলিক দেশগুলির মতোই তালিবানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া উচিত।
উপসংহার
রাষ্ট্রপুঞ্জের সম্মেলনে আলোচনাকে উপযোগী মনে করলেও, তারা আবারও বলেছে যে কী ভাবে সম্মেলনটি আফগানিস্তান সম্পর্কিত সমস্ত বহুমুখী সমস্যার সমাধান করতে পারে না। তারা গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততাকে একটি ক্রমবর্ধমান, ধাপে ধাপে গড়ে তোলা প্রক্রিয়া হিসাবে দেখে এবং দেশগুলি তাদের সঙ্গে যে রূপ আচরণ করছে, তার থেকে খুব বেশি আলাদা নয়। নারী ও সুশীল সমাজের গোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ছাড়াই সম্মেলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি বর্তমানে শাসনের সঙ্গে জড়িত থাকা এবং আফগানিস্তানের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যার অধিকার ও স্বাধীনতার ভারসাম্য রক্ষার জন্য বিশ্ব যে কঠিন অবস্থানের সম্মুখীন… সে কথাই তুলে ধরে।
যেহেতু আফগানিস্তান সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির বিস্তারের জন্য একটি মঞ্চে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি নিয়েছে, তাই এই গোষ্ঠীর সঙ্গে কিছু ধরনের যোগাযোগ আসলে নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হয়।
যেহেতু আফগানিস্তান সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির বিস্তারের জন্য একটি মঞ্চে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি নিয়েছে, তাই এই গোষ্ঠীর সঙ্গে কিছু ধরনের যোগাযোগ আসলে নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হয়। ক্ষমতায় তাদের চতুর্থ বছরের দিকে অগ্রসর হওয়া এবং প্রভাবের একটি আপেক্ষিক স্থানে অবস্থান করা আসলে তালিবানদের অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন ও নারী অধিকারের আহ্বান জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দাবিতে নতিস্বীকার করার জন্য আরও কম উৎসাহকেই দর্শিয়েছে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচিকে আরও পিছনের দিকে ঠেলে দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করেছে। সম্মেলন শেষ হওয়ার একদিন পর আফগান নারী ও সুশীল সমাজ গোষ্ঠীর সঙ্গে পৃথক বৈঠকে ২৫ জন বিশেষ দূতের মধ্যে মাত্র ১৫ জনের অংশগ্রহণ দেখা গিয়েছে।
আফগান জনগণের কল্যাণ, বিশেষ করে নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকারের পাশাপাশি নিরাপত্তা এবং কৌশলগত উদ্বেগ উভয়েরই ভারসাম্য বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার বিষয়টি নির্ধারণ করবে যে গোষ্ঠীটি তাদের চতুর্থ বছরে কী ভাবে কূটনীতি চালনা করবে। তালিবানদের তরফে তাদের অংশগ্রহণ ছিল তাদের জন্য একটি কূটনৈতিক জয়, যা কিনা তাদের ‘কার্যকর কূটনীতি’র একটি প্রমাণ, যেখানে ‘কাল্পনিক অংশীদার’ এবং ‘কাল্পনিক কর্মসূচি’ আলোচনায় কোনও জায়গা করে নিতে পারেনি। আফগানিস্তানে ভারত-সহ সমস্ত আঞ্চলিক দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগগুলির পাশাপাশি অন্যান্য অর্থনীতি-সম্পর্কিত উদ্বেগ সংক্রান্ত বিষয়ে সম্মেলন থেকে কোনও উল্লেখযোগ্য লাভ না হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপর এই দায় বর্তায় যে, তারা যে সমঝোতায় বাধ্য হয়েছে, সেটির পুনর্মূল্যায়ন করা এবং এই বিষয়ে নীরব থাকার সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা খতিয়ে দেখা।
শিবম শেখাওয়াত ওআরএফ-এর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের জুনিয়র ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.