Published on Oct 22, 2024 Updated 0 Hours ago

২০২১ সালে আফগানিস্তান দখলের পর থেকে তালিবানরা মধ্য এশিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পরিসরে প্রবেশ করেছে এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা, অবকাঠামো প্রকল্প আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার উপর মনোনিবেশ করেছে।

মধ্য এশিয়ায় তালিবানের কূটনৈতিক অগ্রগতি

২০২১ সালের গস্ট মাসে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে তালিবানরা আঞ্চলিক কূটনীতিতে, বিশেষ করে মধ্য এশিয়ায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। অতি সম্প্রতি, ২০২৪ সালের ২০ জুলাই তালিবান কর্মকর্তারা কাজাখস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তুর্কমেনিস্তান থেকে আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তান পর্যন্ত একটি নতুন রেললাইন নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠক করেন। প্রাথমিক ভাবে বিষয়টিকে সংশয় সতর্কতার নজরে দেখা হলেও তালিবানরা কৌশলগত কূটনীতি, অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং অবকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ায় উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রবেশ করেছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, সংযোগ এবং স্থিতিশীলতায় পারস্পরিক স্বার্থ প্রাথমিক ভাবে এই পরিবর্তনকে চালিত করে।

রাশিয়া ইউক্রেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের দ্বন্দ্বগুলি মধ্য এশিয়ার প্রজাতন্ত্রগুলিকে তালিবান-নেতৃত্বাধীন ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তানের (আইইএ) প্রতি একটি সমঝোতামূলক পদ্ধতি গ্রহণ করতে বাধ্য করেছে

রাশিয়া ইউক্রেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের দ্বন্দ্বগুলি মধ্য এশিয়ার প্রজাতন্ত্রগুলিকে তালিবান-নেতৃত্বাধীন ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তানের (আইইএ) প্রতি একটি সমঝোতামূলক পদ্ধতি গ্রহণ করতে বাধ্য করেছে আফগানিস্তানের সঙ্গে ২৩৮৭ কিলোমিটার ছিদ্রযুক্ত সীমান্ত ভাগ করে নেওয়ার দরুন মধ্য এশিয়ার দেশগুলি বুঝতে পেরেছে যে, তালিবান প্রশাসনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা কেবল সংঘর্ষকে বাড়িয়ে তুলবে। ইসলামিক মুভমেন্ট অফ উজবেকিস্তান, ইসলামিক জিহাদ ইউনিয়ন, জামাত আনসারুল্লাহ এবং আফগানিস্তানের খোরাসান প্রদেশের ইসলামিক স্টেটের মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির প্রায় ৩০০০ যোদ্ধার উপস্থিতি এই সম্পৃক্ততাকে আরও জটিল করে তোলে।

মধ্য এশিয়ার মনোভাবের পরিবর্তন

তাসখন্দ ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে তালিবান-বিরোধী ইউনাইটেড ফ্রন্টকে (নর্দার্ন অ্যালায়েন্স) সমর্থন করলেও তালিবানদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনকারী মধ্য এশিয়ার প্রথম দেশগুলির অন্যতম ছিল উজবেকিস্তান। নীতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই আফগানিস্তান ও উজবেকিস্থানের মধ্যে বাণিজ্যের একটি স্থির বৃদ্ধি ঘটেছে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিসংখ্যান ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে ৪৬১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। মোস্ট ফেভারড নেশন স্ট্যাটাসের পারস্পরিক বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনাও চলছে। ২০২৪ সালের মে মাসে উভয় দেশই ৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ট্রান্স-আফগানিস্তান রেলওয়ে প্রকল্পের সাহায্যে উজবেকিস্তানকে আফগানিস্তানের মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেয়। আইইএ-র বিদ্যুৎ এবং রেলপথে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখানোর পাশাপাশি তাসখন্দ কাবুলকে গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে, যার পরিমাণ প্রায় ১০০০ টন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

তাসখন্দ ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে তালিবান-বিরোধী ইউনাইটেড ফ্রন্টকে (নর্দার্ন অ্যালায়েন্স) সমর্থন করলেও তালিবানদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনকারী মধ্য এশিয়ার প্রথম দেশগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল উজবেকিস্তান।

মধ্য এশিয়ার আর উল্লেখযোগ্য ভূ-রাজনৈতিক শক্তি কাজাখস্তান তালিবানকে তার নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এটি অবশ্যই তার প্রতিবেশীর সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে এবং তালিবান শাসনকে দীর্ঘমেয়াদি উপাদান’ হিসেবে স্বীকার করে এই সিদ্ধান্তকে ন্যায্যতা দিয়েছে। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে একটি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাজাখ প্রতিনিধিদল ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপনের জন্য তৃতীয় কাজাখস্তান-আফগানিস্তান বিজনেস ফোরামের জন্য কাবুল সফর করে। দলটি যৌথ প্রকল্পের মাধ্যমে আফগানিস্তানের সঙ্গে রাসায়নিক শিল্প, খনি ধাতুবিদ্যা খাতে বৈচিত্রপূর্ণ সহযোগিতার প্রস্তাব করেছে। কাজাখস্তান আফগানিস্তানের মধ্যে সর্বশেষ বাণিজ্য পরিসংখ্যান সর্বোচ্চ ৯৮৭.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ড ছুঁয়েছে এবং এই পরিসংখ্যান বিলিয়ন মার্কিন ডলারও ছাড়িয়ে যেতে পারে। আস্তানা তার প্রতিবেশীর সঙ্গে একটি সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কোন সুযোগই হাতছাড়া করছে না। তালিবানকে আনুষ্ঠানিক ভাবে আফগানিস্তানের বৈধ সরকার হিসেবে কোন দেশ স্বীকৃতি না দিলেও কাজাখস্তান-সহ বেশ কয়েকটি দেশ কাবুলে রাষ্ট্রদূত পাঠিয়েছে এবং নিজেদের রাজধানীতে তালিবান-নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়েছে।

২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে আঞ্চলিক সংযোগের কৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরে একটি নতুন লজিস্টিক রুট নিয়ে আলোচনা করার জন্য আফগানিস্তান, কাজাখস্তান তুর্কমেনিস্তানের মধ্যে একটি অঘোষিত ত্রিপাক্ষিক সরকারি বৈঠক হয়। এর পরে আফগানিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান বাণিজ্য, সংযোগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ এবং আঞ্চলিক অর্থনীতিতে আফগান অর্থনীতিকে পুনঃসংহত করতে সহায়তা করার জন্য ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের ১০টি চুক্তি স্বাক্ষর করে। নিজেনিরপেক্ষতার নীতি বজায় রেখে তুর্কমেনিস্তান এই ভাবে তালিবানের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি অব্যাহত রেখেছে, যেমনটা ১৯৯০-এর দশকে করেছিল। ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই তুর্কমেনিস্তান-আফগানিস্তান-পাকিস্তান-ভারত (টিএপিআই) পাইপলাইন-সহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পগুলি নিয়ে আলোচনা করার জন্য তুর্কমেনীয় রাষ্ট্রদূত তালিবানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা হেরাত প্রদেশের নুরুল জিহাদ সাবস্টেশনে পরিবহণ ও ট্রানজিট সংযোগ সম্প্রসারণ এবং একটি যৌথ বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়েও আলোচনা করেছেন। দুই দেশের মধ্যে বিবেচনাধীন আর কটি উল্লেখযোগ্য যৌথ প্রকল্প হল তুর্কমেনিস্তান-আফগানিস্তান-পাকিস্তান (টিএপি) পাওয়ার ট্রান্সমিশন প্রকল্প, যার লক্ষ্য হল তুর্কমেনিস্তানের বিদ্যুৎ তোরঘুন্ডি-হেরাত এবং চমন-কান্দাহার থেকে পাকিস্তানের কোয়েটা পর্যন্ত প্রেরণ করা। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় অনুমান করা হয়েছে ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। এই প্রকল্প আফগানিস্তানকে বিদ্যুতে প্রবেশাধিকার, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বার্ষিক ট্রানজিট অধিকারের মতো নানা উল্লেখযোগ্য সুবিধা প্রদান করবে।

মধ্য এশিয়ার প্রতিবেশীদের সঙ্গে তালিবানের সম্পর্ক মোটেও মসৃণ ছিল না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ২০২২ সালে তালিবানের উত্তর আফগানিস্তানে একটি নতুন খাল নির্মাণের ফলে তুর্কমেনিস্তান উজবেকিস্তানের নিম্নপ্রবাহের জনগোষ্ঠীকে জল পাওয়া থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল এবং তা সম্ভাব্য আপেক্ষিক শান্তি সম্প্রীতিকে খর্ব করেছিল।

সম্পর্কের উন্নতির জন্য কাবুলের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাজিক প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রহমান – যিনি তাঁতিন দশকের শাসনামলে অর্থনৈতিক অসুবিধা এবং ক্লান্তির সম্মুখীন - জাতিগত জাতীয়তাবাদী এবং তাজিকিস্তানব্যাপী রক্ষকের ভূমিকা পালন করে আরও বেশি লাভ করেছেন বলে মনে হচ্ছে। তবুও, আশ্চর্যের বিষয় হল, তালিবান নিশ্চিত করেছে যে, আফগানিস্তানে তাজিকিস্তানের প্রধান রফতানি অর্থাৎ বিদ্যুৎ প্রবাহিত হচ্ছে। ২০২৩ সালে তাজিকিস্তান আফগানিস্তানে প্রতি ঘণ্টায় ১.৬ বিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছিল।

একই ভাবে, আফগানিস্তানে জাতিগত পামির কিরঘিজদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও কিরঘিজস্তানের সঙ্গে তালিবান বাণিজ্য ও সংযোগের সম্ভাবনার সুবিধার মাধ্যমে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ সুনিশ্চিত করেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে কিরঘিজ বাণিজ্যমন্ত্রী আইইএ বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ, আফগান ব্যবসায়ীদের জন্য কিরঘিজস্তানের মাধ্যমে চিনে ট্রানজিট রুট এবং মধ্য এশিয়া-দক্ষিণ এশিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পের (সিএএসএ-১০০০) জন্য সমর্থনের বিষয়ে আলোচনা করার উদ্দেশ্যে দেখা করেন। এই পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি অবকাঠামো প্রকল্পটি কিরঘিজস্তান এবং তাজিকিস্তান-সহ মধ্য এশিয়া থেকে ১৩০০ মেগাওয়াট উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ দক্ষিণ এশিয়ার উচ্চ চাহিদার বিদ্যুতের বাজারে নিয়ে আসতে সক্ষম হবে।

পরিবর্তনের কারণ এবং প্রভাব

বর্তমানে তালিবান আপেক্ষিক শক্তির অবস্থানে রয়েছেঅর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য সম্পর্ক সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ার প্রতিবেশীদের সঙ্গে তালিবানের কার্যকর কূটনৈতিক পুনঃনিয়োগ দ্বারা সেই সম্পর্ক চালিত হয়েছে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউক্রেনের নতুন ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা সংঘাত তালিবানকে কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার মাঝেই এমন একটি রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার সুযোগ দিয়েছে যা আবার আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ২০২৪ সালের প্রথম ছমাসে আফগানিস্তানের বৈদেশিক বাণিজ্য বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যার রফতানি মূল্য ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বর্তমানে তালিবান আপেক্ষিক শক্তির অবস্থানে রয়েছেঅর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য সম্পর্ক সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ার প্রতিবেশীদের সঙ্গে তালিবানের কার্যকর কূটনৈতিক পুনঃনিয়োগ দ্বারা সেই সম্পর্ক চালিত হয়েছে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা রয়েছে।

তালিবান এখন একটি দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবতা, যা চি, ইরান, রাশিয়া এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্কের দ্বারা শক্তিশালী হয়েছেঅন্য দেশগুলি তালিবানের এই নতুন স্বাভাবিক বাস্তবতাকে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। দোহায় রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বাধীন তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আফগানিস্তানের তালিবান প্রতিনিধিদলের একমাত্র প্রতিনিধিত্ব এই পরিবর্তনের উদাহরণ। আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে বর্ধিত কূটনৈতিক সম্পৃক্ততাও তালিবানের নমনীয়তায় অবদান রেখেছে। ৩০ জুলাই তালিবানরা পূর্ববর্তী আফগান সরকারের প্রতি আনুগত্যের কারণ হিসাবে পশ্চিমী দেশগুলিতে তাদের দূতাবাসগুলির সঙ্গে দূতাবাসীয় সম্পর্ক ছিন্ন করে।

তালিবান প্রশাসন এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি না পেলেও আফগানিস্তানের সরকার এখন প্রতিবেশী দেশ এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে একটি স্বীকৃত সরকার হিসেবে কাজ করছে। এই ক্রমবর্ধমান গ্রহণযোগ্যতা আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক অবস্থান এই অঞ্চলে তালিবানের ক্রমবর্ধমান গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে সুস্পষ্ট পরিবর্তনকেই দর্শায়। আর এই সব কিছুই বাস্তবিক আইনত স্বীকৃতির মধ্যেকার পার্থক্যটিকে ভীষণ অস্পষ্ট করে দিয়েছে

 


আয়জাজ ওয়ানি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ফেলো।

অনীশ পারনারকর অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ ইন্টার্ন।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.