Published on Sep 22, 2021 Updated 0 Hours ago

তালিবানের ক্ষমতা দখলের পর বাংলাদেশ–আফগানিস্তান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে কী ভাবে নতুন জমানা তার বিদেশনীতি সংক্রান্ত অগ্রাধিকার সামনে নিয়ে আসে, এবং প্রতিবেশী দেশগুলির সেই সব আলঙ্কারিক কথাবার্তা, বিবরণ ও নীতিসমূহ সম্পর্কে কী প্রতিক্রিয়া হয়।

বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে তালিবানের ক্ষমতা দখল:‌ পরিবর্তনশীল সময়ে আফগানিস্তান–বাংলাদেশ সম্পর্ক

আফগানিস্তান থেকে শেষ মার্কিন সেনা চলে যাওয়ার পর ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির বিদেশনীতি কী পথ নেবে, সেই প্রশ্নে নানা উদ্বেগের বিষয় সামনে উঠে এসেছে। বাংলাদেশ এখনও পর্যন্ত তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে কোনও স্পষ্ট সিদ্ধান্ত জানায়নি। ‘‌অপেক্ষা করো ও নজর রাখো’‌ নীতি অনুসরণ করে দেশটি এখন আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের কূটনীতির ঐতিহ্যের দিকে নজর রাখলে দেখা যাবে বাংলাদেশ সব সময় অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না–করার নীতি নিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীও বলেছেন, কাবুলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঢাকাকে খুব বেশি প্রভাবিত করবে এমন সম্ভাবনা খুবই কম। তা সত্ত্বেও এই দুটি দেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মাধ্যমে এবং সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো–অপারেশন (সার্ক)‌–এর সদস্য হিসেবে সম্পর্কিত। কাজেই পারস্পরিক সম্পর্ক সংক্রান্ত বেশ কিছু ঘটনা সামনে আসতে পারে।

বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত থেকে তিনটে প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে — ১। আঞ্চলিক স্থায়িত্ব, ২। নিরাপত্তা এবং ৩। যোগাযোগ। আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয়টি পুরোপুরি ভূ-রাজনৈতিক প্রশ্ন। এর একটা দিক হল আফগানিস্তানে এখন যে ক্ষমতার শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তার সঙ্গে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও দূরবর্তী শক্তির টানাপড়েন। পাকিস্তান ছাড়া চিন ও রাশিয়া ইতিমধ্যেই তালিবান সরকারকে কার্যত বৈধতা দিয়ে দিয়েছে। এই দুই দেশই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (‌ইউএনএসসি)‌ ৩১ আগস্টের প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল, যে প্রস্তাবে বলা হয়েছিল আফগানিস্তানের ভূমি ‘‌কোনও দেশকে ভয় দেখানোর জন্য বা সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিতে’‌ ব্যবহার করা যাবে না, এবং ‘‌তালিবানকে নিরাপদে এবং সুশৃঙ্খল ভাবে আফগান ও সব বিদেশিকে দেশ থেকে চলে যাওয়ার প্রসঙ্গে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে।’‌ কাজেই দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের প্রবেশ এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)‌–এর মতো তার জনপ্রিয় উদ্যোগের বিষয়গুলোও মাথায় রাখতে হবে। বেজিংয়ের সাম্প্রতিক কাজকর্ম থেকে আফগানিস্তান এবং আরও দূরবর্তী অঞ্চলে সে দেশের ভূ-রাজনৈতিক ও কৌশলগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া চিন আন্তর্জাতিক মহলকে আফগানিস্তানের নতুন সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে এবং পথ–প্রদর্শকের কাজ করতে বলেছে বলে খবর বেরিয়েছে। এর সঙ্গে কিছুটা হলেও জড়িয়ে রয়েছে চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিমধ্যে বিখ্যাত ভূ-রাজনৈতিক লড়াই। কিছু মার্কিন বিশ্লেষক ইতিমধ্যেই মনে করছেন আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চিনের উপস্থিতি অনেক বেড়ে যাবে। তাঁরা যে ভাবে চিন, রাশিয়া ও ইরান পুরোপুরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের বোকা বানিয়েছে সেই প্রসঙ্গও টানছেন। এই মুহূর্তে বাস্তব ঠিক কেমন তা বোঝা অথবা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আগাম কিছু বলা দুষ্কর। তবে এ কথা বলা যায় যে বিভিন্ন বড় শক্তিধর দেশের মাঝখানে অবস্থিত হওয়ায়, এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিকটবর্তী জায়গা হিসেবে, কাবুলে অস্থিরতা থাকলে তা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থায়িত্ব ব্যাহত করবে। তার ফলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে। অবশ্যই এগুলো ‘‌একমাত্র বাংলাদেশের’‌ সমস্যা নয়;‌ কিন্তু ক্ষমতার ভারসাম্যের পরিবর্তন বুঝিয়ে দিচ্ছে সতর্ক ভাবে পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।

চরমপন্থার পুনর্বিন্যাস

অন্য দিকে বাংলাদেশের আর একটা গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয় হল হিংসাত্মক চরমপন্থা। তালিবানের ক্ষমতা দখলের পর দেশের ভেতরকার উগ্র ইসলামি গোষ্ঠীগুলির আবার মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলি এখন ডিজিটাল পদ্ধতি ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন ঘটনাকে ভুল ভাবে উপস্থাপনা করছে বা ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করছে। সামাজিক মাধ্যমে, যেমন ফেসবুকে বা টুইটারে ইতিমধ্যেই নানা ধরনের পোস্ট বা কমেন্ট দেখা যাচ্ছে যেগুলি তালিবানের প্রতি সহানুভূতিপূর্ণ। যে ঘটনাটা আরও গুরুত্বপূর্ণ তা হল এই ক্ষমতা দখলের ঘটনাকে ‘‌ইসলামের জয়’‌ বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। অন্তত দু’‌জন উগ্রবাদী বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে আফগানিস্তান যাওয়ার চেষ্টা করেছে। তাদের উদ্দেশ্য তালিবান সরকারের হয়ে কাজ করা। একথা ভুললে চলবে না যে সোভিয়েত–আফগান যুদ্ধের শেষে আফগানিস্তান থেকে ফিরে আসা লোকজন ১৯৯০–এর দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশের প্রথম ইসলামি চরমপন্থী সংগঠনটি তৈরি করেছিল, যার নাম হরকত–উল–জিহাদ আল ইসলামি বাংলাদেশ (হুজি–বি)‌। অন্যান্য ধর্মভিত্তিক আন্তর্জাতিক হিংসাশ্রয়ী চরমপন্থী সংগঠন, যেমন ইসলামিক স্টেট খোরাসান (‌আইএস–কে)‌ ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানে ঢুকে পড়েছে। সম্প্রতি ২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরে আক্রমণের ঘটনায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ ১৭০ জন মারা যাওয়ার ঘটনায় তারা সমন্বয়সাধনের কাজ করেছিল বলে দাবি করেছে আইএস–কে। আইএস অনুপ্রাণিত বিভিন্ন গোষ্ঠী, যেমন জামাত–উল–মুজাহিদিন বাংলাদেশ (‌জেএমবি)–এর নিও–জেএমবি গোষ্ঠীর এখনও বাংলাদেশে অস্তিত্ব আছে, এবং তার সমর্থকরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়ে আসছে। ২০১৬ সালে ঢাকার গুলশনে হোলি আর্টিসান রেস্তোরাঁ আক্রমণ করেছিল নিও–জেএমবি গোষ্ঠীর কিছু তরুণ জঙ্গি, এবং পরে আইএস নিজেদের জড়িত থাকার দাবি জানিয়েছিল। সেই ঘটনা কয়েকজন বিদেশিসহ ২২ জনের প্রাণ নিয়েছিল। কাবুল বিমানবন্দরের ঘটনায় সন্দেহভাজন একজন আত্মঘাতী বোমারুর উপর গত ২৯ আগস্ট মার্কিন ড্রোন হানা দক্ষিণ এশিয়ার নানা অংশে আবার উগ্রবাদীদের চাঙ্গা করেছে, যা পশ্চিম–বিরোধিতা বা মার্কিন–বিরোধিতার পরিচায়ক। তালিবান প্রশ্নটি বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যক্ষ হানার কারণ হয়তো হবে না;‌ কিন্তু তা সত্ত্বেও উগ্র ইসলামি আদর্শের পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা সম্পর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক থাকতে হবে।

অ–সরকারি পর্যায়ে কিছু বাংলাদেশি নাগরিক আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক অতীতের রাষ্ট্রনির্মাণ ও উন্নয়ন প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন, মূলত দেশের অন্যতম অগ্রণী এনজিও ব্র‌্যাক–এর কর্মী হিসেবে। ব্র‌্যাক–এর নয়জন কর্মীর ছ’‌জন দেশে ফিরেছেন। ব্র‌্যাক–এর কর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী বাকি তিনজন আটকে গেলেও নিরাপদে আছেন। তা সত্ত্বেও আফগানিস্তানের সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দুই দেশ শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনার জন্য বেশ কিছু আফগান বাংলাদেশে রয়েছেন। শিক্ষা হল সেই ক্ষেত্রগুলোর অন্যতম যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে পারে। ২০২১–এর ৩১ আগস্ট বাংলাদেশের চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এইউডবলিউ)‌–এর ১৪৮ জন আফগান ছাত্রীকে মার্কিন সামরিক বিমান নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের জন্য যা খুবই ভাল কাজ করতে পারে তা হল শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা ও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে আফগান সম্প্রদায়কে শক্তিশালী করা।

আফগান শরণার্থী

‌একটা গুরুতর উদ্বেগের জায়গা হিসেবে অবশ্য থেকে যাচ্ছে কাবুলের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তৈরি হওয়া শরণার্থী–প্রবাহ। আফগানিস্তানের কয়েক হাজার শরণার্থীকে নেওয়ার জন্য মার্কিন অনুরোধ বাংলাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সিদ্ধান্তের যুক্তিযুক্ত কারণ আছে। বাংলাদেশ অনেক দিন ধরেই মায়ানমার থেকে আসা ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে নিয়ে জেরবার হয়ে রয়েছে। এই সমস্যার কোনও সুষ্ঠু সমাধান করতে পারেনি আন্তর্জাতিক মহল। এদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াও গতি পায়নি। বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও শুধু মানবিক কারণে শরণার্থীদের জন্য সরকার সীমান্ত খুলে দিয়েছিল। আরও একদল শরণার্থী নেওয়া, তা অল্প সময়ের জন্য হলেও, পরিস্থিতি আরও জটিল করত। তা ছাড়া এ ক্ষেত্রে চোখের আড়ালে থেকে যাওয়া একটা বিষয়ও রয়েছে। তা হল, আফগান শরণার্থী সঙ্কট রোহিঙ্গাদের থেকে সারা পৃথিবীর নজর ঘুরিয়ে দেবে। এর পাশাপাশি বিশ্লেষকেরা বলছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির (‌ইউএই) ‌মতো দেশগুলিতে নতুন করে আফগান শরণার্থীরা ঢুকলে সেখানে বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রটি সঙ্কুচিত হবে। তার অর্থ হল বাংলাদেশের জন্য আফগান পরিস্থিতির একটা আর্থ–সামাজিক দিকও রয়েছে, যা হিসেবের মধ্যে রাখতে হবে।

আঞ্চলিক যোগাযোগ

শেষে যে বিষয়টার দিকে নজর দেওয়া দরকার তা হল আঞ্চলিক যোগাযোগ। সার্ক–এর সদস্য হওয়া সত্ত্বেও সেখানে আফগানিস্তানের উপস্থিতি খুব বেশি উচ্চকিত নয়। কিন্তু এখন একটা উদ্বেগের জায়গা তৈরি হতে পারে, যে হেতু সদস্য দেশগুলিকে তালিবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। আগেই বলা হয়েছে নতুন জমানাকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নে বাংলাদেশ নজর রাখছে ‘‌বন্ধু দেশগুলো’‌ কী সিদ্ধান্ত নেয় তার উপর। তারপর বাংলাদেশ কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারে। তা সত্ত্বেও পরিবর্তিত ভূ–রাজনীতিতে প্রাথমিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সার্ক একটা ভাল মঞ্চ হতে পারে। সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নেও সার্ক এমন একটি মঞ্চ হতে পারে যার মাধ্যমে ১৯৮৭–র সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে আঞ্চলিক কনভেনশন ও ২০০৪ সালের আলোচনা–শুরু–করা সংক্রান্ত প্রোটোকল সামনে নিয়ে আসা যেতে পারে। কেউ বলতে পারেন একটা সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক করার জন্য সার্ক যথেষ্ট কার্যকর ব্যবস্থা নয়। কিন্তু শুধু সার্ক–ই পারে আফগানিস্তান সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির যোগাযোগ ও কথাবার্তার প্রাথমিক কেন্দ্র হয়ে উঠতে।

পরিশেষে বলা যেতে পারে তালিবানের ক্ষমতা দখলের পর বাংলাদেশ–আফগানিস্তান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে কী ভাবে নতুন জমানা তার বিদেশনীতি সংক্রান্ত অগ্রাধিকার সামনে নিয়ে আসে, এবং প্রতিবেশী দেশগুলির সেই সব আলঙ্কারিক কথাবার্তা, বিবরণ ও নীতিসমূহ সম্পর্কে কী প্রতিক্রিয়া হয়, তার উপর। নিশ্চিত ভাবেই বাংলাদেশের নীতি সংক্রান্ত অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে কোনও প্রকাশ্য পরিবর্তন ঘটবে না। কিন্তু আঞ্চলিক স্থায়িত্ব, নিরাপত্তা ও যোগাযোগের প্রশ্নে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলি ঢাকার উপর কিছু পরোক্ষ প্রভাব ফেলতে পারে। এই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলি কী ধরনের সুযোগ বা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে সে দিকে দৃ্ষ্টি রেখে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করতে হবে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.