আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার গুরুত্ব এখনও পুরোপুরি ভাবে বিবৃত হয়নি। ৬৫ কোটি মানুষ আর সম্মিলিত মোট আভ্যন্তর উৎপাদন প্রায় ৩ লক্ষ কোটি ডলার, অর্থনৈতিক বৃদ্ধির উচ্চ হার, একটা মধ্যবিত্ত শ্রেণি যা আগামী এক দশকে দ্বিগুণ হবে বলে প্রত্যাশিত, প্রায় ৪০ কোটি মানুষের বয়স ৩৫–এর নিচে, আর বিতর্কিত ও অনিশ্চিত ভূ–রাজনীতি, সব মিলিয়ে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া বা অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট নেশনস (আসিয়ান)–এর দশটি দেশ ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনীতি ও রাজনৈতিক সংহতি নিয়ে, এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও কূটনীতির প্রসঙ্গে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া যে বিকল্পগুলো বেছে নেবে তা দ্রুত–পরিবর্তনশীল ও বেশি–করে উত্তেজনার কেন্দ্র হয়ে ওঠা ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিণাম নির্ধারণে সাহায্য করবে। কাজেই দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কী করছে, সেই সব প্রয়াসের সামনে কী কী সমস্যা আছে, কার্যকর ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা এবং কৌশলগত প্রতিযোগিতার মোকাবিলা ও নিরাপত্তার উপরেই বা তার কী প্রভাব পড়বে, তা পর্যালোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
গত তিন দশকের মতো সময়কালে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার মুখ্য বৈশিষ্ট ছিল অর্থনৈতিক সমন্বয়সাধন ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধি (মোটামুটি ২০ বছরে দ্বিগুণ)। এই দ্বিমুখী সমন্বয়সাধন ও বৃদ্ধি–সম্পাদনের উপাদানগুলো নানাবিধ ও জটিল। যেগুলোর কথা প্রায়শই বলা হয় তার মধ্যে আছে অভ্যন্তরীণ সংস্কার ও সিদ্ধান্তসমূহ, মূলধনী ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে জাপানের অতি–গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা (বিশেষ করে মধ্য–১৯৮০ ও ১৯৯০–এর দশকে), ঠান্ডা যুদ্ধের পরবর্তী বিশ্বায়ন, উৎপাদন ও সরবরাহ–শৃঙ্খল পাওয়ারহাউজ হিসেবে চিনের উত্থান, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোটের উপর উন্মুক্ত বাজার। এই অঞ্চলের প্রায় সব দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে চিন উঠে এসেছে, আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইওরোপ ও জাপানের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগাযোগ তুলনামূলক ভাবে কমে গিয়েছে। একটি সাম্প্রতিক মূল্যায়নে বলা হয়েছে যে চিনের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী মূল্য–শৃঙ্খল আসিয়ানের পক্ষে খুবই লাভজনক হয়েছে। অবশ্য ব্যবসা হল বাণিজ্যিক সহযোগিতার একটি দিকমাত্র, এবং তা ব্যবহারিক সহযোগিতার অন্য ধরনগুলোকে প্রচ্ছন্ন করে দিতে পারে। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইওরোপিয়ান ইউনিয়ন ও জাপানের সঙ্গে ব্যবসা কমে যাওয়ার একটা কারণ হতে পারে বাজার ও উৎপাদন দক্ষতার সুযোগ নিতে আসিয়ান–এ সহযোগী সংস্থাগুলোর বর্ধিত বিনিয়োগ। মোটের উপর এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এই অঞ্চলের সামনে যে সব প্রশ্ন রয়েছে তার মধ্যে আছে কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করবে ভবিষ্যতের বাণিজ্যিক সহযোগিতা, যা কিনা আঞ্চলিক সরকারগুলোর কাছে সর্বাধিক অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ব্যবহারিক সহযোগিতা।
ব্যবসা হল বাণিজ্যিক সহযোগিতার একটি দিকমাত্র, এবং তা ব্যবহারিক সহযোগিতার অন্য ধরনগুলোকে প্রচ্ছন্ন করে দিতে পারে।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার প্রায় ২৫ বছরের শক্তসমর্থ বৃদ্ধি ও বর্ধিত আঞ্চলিক সহযোগিতার গতি রোধ করতে পারে এমন বেশ কিছু বিষয় এখন সামনে আছে। এই বাধাগুলোর কারণ আমেরিকা–চিন বিযুক্ত হয়ে যাওয়া, কোভিড–পরবর্তী অনিশ্চয়তা, সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থানান্তর ও ভাঙন, এবং আরও অনেক প্রবণতা। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়াকে যদি গত তিরিশ বছরে পরিলক্ষিত বলিষ্ঠ বৃদ্ধি ও সমন্বয়সাধন প্রক্রিয়া ধরে রাখতে হয়, তা হলে অন্তর্নিহিত কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্যেও মূল নীতিগত চ্যালেঞ্জগুলোর দিকে নজর দিতে হবে। আসিয়ানের দিক থেকে প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে আছে এর অর্থনৈতিক উন্নয়নের বৈচিত্র ও গ্রহণসাধ্য নীতিগত বিকল্পসমূহ। দেখা যাচ্ছে যে রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি)–এর মধ্যে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার সব সদস্য দেশ থাকলেও কম্প্রিহেনসিভ প্রোগ্রেসিভ ট্রান্স–প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (সিপিটিপিপি)–এর মধ্যে সকলে নেই। আরসিইপি ও সিপিটিপিপি এই দুই ব্যবস্থারই লক্ষ্য হল আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সমন্বয়সাধন ও বৃদ্ধি। কিন্তু এই দুটোই যে সহাবস্থান করছে তার কারণ চিনের বলপ্রয়োগমূলক অর্থনৈতিক আচরণ, পুরো অঞ্চলটিকে নিয়ে ব্যবসাগত চুক্তিতে মার্কিন অনাগ্রহ, এবং চিন, তাইওয়ান ও ইংল্যান্ডের সিপিটিপিপি–তে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা। তা ছাড়া বিশ্ব–পর্যায়েও অনিশ্চয়তা আছে, যেমন বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠন (ডব্লিউটিও)–এর সংস্কার। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া ‘রুলমেকার’ হওয়ার মতো ওজনদার নয়, বরং নিজের স্বার্থ রক্ষা করা ও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক নিয়মাবলির উপর নির্ভরশীল, এবং এই কারণেই অগ্রগতির অভাব ও বিতর্কিত ব্যবসায়িক জমানা এই দেশগুলির জন্য জটিলতা তৈরি করে। মূল কথা হল একগুচ্ছ অনিশ্চয়তা ও জটিলতার কালো মেঘ জমছে, যার ফলে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় কে জিতবে আর কে হারবে তার মানচিত্র এবং গত তিন দশকের আঞ্চলিক সংহতি ও বৃদ্ধির ইতিবাচক ধরনধারণ, এই দুটোই বদলে যেতে পারে।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় আঞ্চলিক প্রয়াস হল রাজনৈতিক সংহতি। এই বছর, অর্থাৎ ২০২১–এ, কম্বোডিয়া শান্তি চুক্তির ৩০ বছর পূর্ণ হল। তিরিশ বছর আগে আসিয়ান–এর আদি প্রতিষ্ঠাতা দেশগুলি চিনের বিপ্লবী ভূমিকা ও ভিয়েতনামের প্রভাব নিয়ে ভীত ছিল। এখন এই দুই দেশই অর্থনৈতিক ভাবে, কূটনৈতিক ভাবে এবং নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কম্বোডিয়া–কেন্দ্রীক ব্যবস্থাটি পথ তৈরি করেছিল আসিয়ান–এর তিনটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের। প্রথম, মূল আসিয়ানের প্রতিষ্ঠাতারা সদস্যতা প্রসারিত করে তার মধ্যে কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার ও ভিয়েতনামকে নিয়ে এসেছিলেন। দ্বিতীয়, অতীতে যারা প্রতিপক্ষ ছিল, যাদের সম্পর্কে সন্দেহের বাতাবরণ ছিল, তাদের সদস্য করার মধ্যে দিয়ে বৃহত্তর আসিয়ান–নেতৃত্বাধীন বহুপাক্ষিক গোষ্ঠীগুলির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল। আর তৃতীয়টি হল, অনেকের মতে আসিয়ান–এর ভৌগোলিক প্রসারণ এর সুসংহতিতে ক্ষয় ধরিয়েছে, যদিও ‘আসিয়ান প্রোজেক্ট’ এখনও এমন একটা মণ্ডলী তৈরি করার আশা করছে যার মধ্যে থাকবে রাজনৈতিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত, অর্থনৈতিক, ও সামাজিক–সাংস্কৃতিক উপাদান।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়াকে যদি গত তিরিশ বছরে পরিলক্ষিত বলিষ্ঠ বৃদ্ধি ও সমন্বয়সাধন প্রক্রিয়া ধরে রাখতে হয়, তা হলে অন্তর্নিহিত কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্যেও মূল নীতিগত চ্যালেঞ্জগুলোর দিকে নজর দিতে হবে।
কিন্তু এই রাজনৈতিক সংহতির পথে বাধা হিসেবে আছে বেশ কিছু বিষয়। নতুন সব গোষ্ঠী তৈরি হতে শুরু করেছে, কারণ অনেক দেশই মনে করে আসিয়ান লক্ষ্যে ততটা স্থির নয়, শুধু আঞ্চলিক সমস্যাগুলোর সমাধানের উপযোগী, আর সেখানে সদস্য দেশের সরকার বা জমানার উপরেও সব কিছু চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট। নতুন গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সাম্প্রতিকতম ও সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল কোয়াড ও অউকাস (এইউকেইউএস)। এই সংগঠনগুলো ইচ্ছাকৃত ভাবে বা স্পষ্ট ভাবে আসিয়ান বা আসিয়ানের নেতৃত্বাধীন ইস্ট এশিয়া সামিট বা আসিয়ান ডিফেন্স মিনিস্টারস মিটিং প্লাস (এডিএমএম প্লাস)–এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর জায়গা নিতে বা সেগুলোকে খাটো করতে চায় না। কিন্তু দৃশ্যত বা কার্যত এর পরিণতিতে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া বা তার বাইরের বড় শক্তিগুলো এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে চাইবে যার মাধ্যমে নিরাপত্তা, অর্থনীতি বা শৃঙ্খলার মতো নানাবিধ স্বার্থ এক সঙ্গে সাধিত হবে। কিন্তু অউকাস বা কোয়াড মোটেই দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার রাজনৈতিক সংহতির পথে একমাত্র, বা এমনকি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সমস্যা নয়। আসিয়ানের দুর্বলতাও শুধু মায়ানমার বা দক্ষিণ চিন সমুদ্রের সমস্যার সমাধানে ব্যর্থতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের পথ ও ভাগ্য বদলে দিচ্ছে তুলনামূলক অর্থনৈতিক শক্তি, অন্যান্য বড় শক্তির সঙ্গে রাজনৈতিক–নিরাপত্তা সম্পর্ক, এবং এমনকি ঘরোয়া শাসনব্যবস্থার গভীরতর প্রবণতাগুলো। যেমন এক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইল্যান্ড বা ভিয়েতনামের মতো দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশ সরবরাহ শৃঙ্খল থেকে লাভবান হলেও অন্য অনেকে এই সব ক্ষেত্রে সামান্যই লাভ পাচ্ছে, এবং তারা অনেক বেশি নির্ভরশীল প্রাকৃতিক সম্পদ পণ্য নিষ্কাশন ও ব্যবসার উপর। রাজনৈতিক–নিরাপত্তা ও কূটনীতিতেও এই অঞ্চলের বাইরের দেশগুলোর বেশি নজর কাড়তে পারে নতুন উদীয়মান কোনও দেশ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অন্যরা ভিয়েতনামের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বাড়াতে চাইছে। কাজেই শুধু এমন নয় যে নতুন পরিবেশে আসিয়ানের সামনে নানা চ্যালেঞ্জ উঠে আসছে বা দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বাইরের দেশ এসে নতুন নতুন গোষ্ঠী তৈরি করছে বলে এই অঞ্চলের উপর প্রভাব পড়ছে; বরং দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এমন পথ বেছে নিতে পারে যার জন্য রাজনৈতিক সংহতি আরও ভঙ্গুর ও পরিণতি অনাকাঙ্ক্ষিত হতে পারে।
পরিশেষে বলা যায়, এ ছাড়াও আছে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার আন্তর্জাতিক সমন্বয় প্রকল্প, যা তার ‘অভ্যন্তরীণ’ রাজনৈতিক সমন্বয়সাধন প্রয়াসের সঙ্গে অসম্পর্কিত নয়। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া বাকি বিশ্বের ঘনিষ্ঠ দেশগুলোকে আসিয়ান–নেতৃত্বাধীন সংগঠনগুলোর অংশীদার বা সদস্য করে নিয়ে কৌশলগত আন্তর্জাতিকীকরণে প্রয়াসী হয়েছে। একদিকে যেমন এই ধরনের যোগাযোগের ফলে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অনেক লাভ পেয়েছে এবং ‘কর্মসূচি’ নির্ধারণ করতে বা বিভিন্ন সংগঠনকে ব্যবহার করতে পেরেছে, তেমনই আরও বিতর্কিত ও দ্রুত প্রবহমান আন্তর্জাতিক পরিবেশে মার্কিন–চিন বা জাপান–আরওকে ইত্যাদি ছাড়াও অন্য নানা প্রতিযোগিতার সঙ্গে কৌশলগত ভাবে পরিচিত হচ্ছে। এই সন্ধিক্ষণে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার কাছে এখনও যথেষ্ট ক্ষমতা বা জায়গা আছে আসিয়ানকে ধরে রাখার বা সদস্য দেশগুলোর স্বার্থ পূরণের। কিন্তু যদি, উদাহরণস্বরূপ, ‘কৌশলগত প্রতিযোগিতা’ বৃদ্ধি পায়, তা হলে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার উপর চাপ তৈরি হতে পারে।
সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক সমন্বয়সাধন /উন্নয়ন, আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংহতি ও আন্তর্জাতিক ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের প্রয়াস থেকে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অনেক ভাবে লাভবান হয়েছে। কিন্তু এই অঞ্চলে এখন নতুন যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, যে গভীর অনিশ্চয়তা ও ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব দেখা দিচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রয়াসগুলি এমন অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে যা কার্যকর সহযোগিতা, বহুপাক্ষিক সহযোগিতা, এবং কৌশলগত প্রতিযোগিতার মোকাবিলা করা বা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার পক্ষে বিঘ্নকারক হতে পারে।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.