Published on May 01, 2023 Updated 0 Hours ago

যেহেতু আরওকে ও ভারত তাদের সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করছে, উভয় দেশকেই এখন একটি শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে ভাবালুতার বাইরে বেরোতে হবে

দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারত: একটি বিভ্রান্তিকর অংশীদারি

সিওলের সাম্প্রতিক ‘‌ইন্দো–প্যাসিফিক স্ট্র‌্যাটেজি’‌, দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা চুক্তি এবং সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোরিয়া–ভারত বৈদেশিক নীতি ও নিরাপত্তা সংলাপ ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে অভিন্নতা দেখায়। কিন্তু এ সবের পরেও ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতি একটি বড় ধরনে র উদ্বেগ, যার ফলে সম্পর্কটি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।

কোরীয় যুদ্ধের (১৯৫০–৫৩) পরে দক্ষিণ কোরিয়া প্রাথমিকভাবে তার নিরাপত্তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভর করেছিল, আর তার বিদেশনীতি মূলত উত্তর কোরিয়া ও তার থেকে উদ্ভূত পারমাণবিক হুমকির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। যাই হোক, বিশ্বের দশম বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্ব রাজনীতির পর্যবেক্ষক বা সক্রিয় খেলোয়াড় নয় বলে সমালোচিত হয়েছে। বিশেষ করে ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য একটি শক্তিশালী কূটনৈতিক কাঠামোর প্রয়োজন ছিল। তাই, অবশেষে দক্ষিণ কোরিয়া তার প্রথম সামগ্রিক আঞ্চলিক কৌশল ‘‌ইন্দো–প্যাসিফিক স্ট্র‌্যাটেজি’‌ প্রকাশ করেছে। কৌশলটিতে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি আন্তরিক মধ্যম শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়াস হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার নিরাপত্তা জোট শক্তিশালী করা, তার নিরাপত্তা অংশীদারিত্বকে বৈচিত্র্যময় করা, এবং একটি মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ইন্দো–প্যাসিফিকের জন্য সওয়াল করা হয়েছে।

বিশ্বের দশম বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্ব রাজনীতির পর্যবেক্ষক বা সক্রিয় খেলোয়াড় নয় বলে সমালোচিত হয়েছে।

ইতিমধ্যে, সিওল তার বর্তমান অবস্থায় জোট ও স্বশাসনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সংগ্রাম করেছে। দেশটি কখনওই মার্কিন উপস্থিতি ব্যতীত তার বিদেশনীতি কেমন হতে পারে তা পুরোপুরি অন্বেষণ করেনি। এই অঞ্চলে মার্কিন–চিন বৈরিতা তীব্র হওয়ার সময় এই কৌশলগত নথিটি কিন্তু একইভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা অংশীদার ও চিনের অর্থনৈতিক অংশীদার হওয়ার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়াসকেই চিত্রিত করে। চিন শুধু তার বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদারই নয়, বরং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংসের ক্ষেত্রে বড় সহায়ক। যাই হোক, সামঞ্জস্য বজায় রাখার প্রয়াস দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি নিষ্ক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসাবে সীমাবদ্ধ করছে। তাই, ভারতের মতো রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করে এই অঞ্চলে প্রভাব অর্জনের জন্য সিওলকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে হবে। ‘‌ইন্দো–প্যাসিফিক স্ট্র‌্যাটেজি’‌ ভারতকে একটি বিশেষ কৌশলগত অংশীদার হিসাবে উল্লেখ করেছে, এবং সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পঞ্চম কোরিয়া–ভারত বৈদেশিক নীতি ও নিরাপত্তা সংলাপ একটি ইতিবাচক চিত্র তুলে ধরেছে। কিন্তু ধীর গতিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, কোরিয়ার সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতি, এবং কোনও জোরালো দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সম্পর্কের অভাব একটি বিভ্রান্তিকর সম্পর্ককেই চিত্রিত করে।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক

২০২৩ সাল দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বছর।  ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট মুন জে–ইনের ‘‌নিউ সাদার্ন পলিসি (এনএসপি)’‌ প্রবর্তনের পর থেকে সিওল ও নয়াদিল্লির মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে তার কৌশলগত, সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর বৃহত্তর প্রচেষ্টার একটি উপাদান হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাবকে স্বীকৃতি দিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিয়েছে। উভয় সরকারই একটি দৃঢ় ও বহুমুখী সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করেছে, যার মধ্যে শক্তি ও সন্ত্রাস থেকে অর্থনীতি ও নিরাপত্তা পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত। ভারতকে তার এমন একটি স্বাভাবিক অংশীদার বলে মনে হয় যে দক্ষিণ কোরিয়াকে তার অর্থনৈতিক পোর্টফোলিওকে বৈচিত্র্যময় করতে সাহায্য করতে পারে, কারণ ভারত ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি সক্রিয় খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

ইন্দো–প্যাসিফিক স্ট্র‌্যাটেজি ভারতকে একটি বিশেষ কৌশলগত অংশীদার হিসাবে উল্লেখ করেছে, এবং সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পঞ্চম কোরিয়া–ভারত বৈদেশিক নীতি ও নিরাপত্তা সংলাপ একটি ইতিবাচক চিত্র তুলে ধরেছে।

দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির প্রেক্ষিতে ভারত দক্ষিণ কোরিয়াকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছে। ভারত ২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় পারমাণবিক পরীক্ষার নিন্দা করেছিল। তা ছাড়া উত্তর কোরিয়ায় পারমাণবিক বিস্তারকে ভারত তার ‘‌নিজস্ব জাতীয় নিরাপত্তার ’‌ জন্য বিপদ বলে মনে করে। এরপর, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ভারত একটি বহুজাতিক ফোরাম ‘ভ্যাঙ্কুভার ডায়ালগ’‌কে অনুমোদন করেছিল, যার লক্ষ্য উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার নিবারণ করা। এর বিনিময়ে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন–হাই উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে অংশীদার হওয়ার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। এমনকি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মুন জে–ইন বিভিন্ন ক্ষেত্রে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আহ্বান জানিয়েছেন এবং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ায় ভারতের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

সম্প্রতি, ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে তার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। তদুপরি, ভারত কোরীয় উপদ্বীপে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ অর্জনের প্রচেষ্টার জন্য তার অব্যাহত সমর্থনের‌ ক্ষেত্রে জোর দিয়ে বলেছে যে এটি সমস্ত সংশ্লিষ্ট পক্ষের সর্বোত্তম স্বার্থের অনুসারী। ভারত এ কথাও বলেছে যে সমস্যা সমাধানের উপায় হিসাবে সংলাপ ও কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিপরীতে ভারত দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনা প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করা থেকে দূরে সরে যায়নি, এবং সিওল ভারতের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার মাধ্যমে এটিকে পুঁজি করতে চায়। সিওলের সম্প্রতি উন্মোচিত ‘‌ইন্দো–প্যাসিফিক স্ট্র‌্যাটেজি’তে‌ দিল্লিকে ইন্দো–প্যাসিফিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, কারণ বাজারের আকার এবং উন্নত আইটি ও মহাকাশ প্রযুক্তির কারণে ভারতের বৃদ্ধির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সিওল আরওকে–ভারত ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (সিইপিএ) উন্নততর করে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ভিত্তি শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তদুপরি, নয়াদিল্লিতে জি২০ মন্ত্রী সম্মেলনে কোরিয়ার দ্বিতীয় উপ–বিদেশমন্ত্রী লি ডো–হুন ভারতকে এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বলে অভিহিত করেছেন, এবং ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেখানে তাঁর ভারতীয় সমকক্ষ সৌরভ কুমার (বিদেশমন্ত্রীর সচিব) অর্থনীতি থেকে অস্ত্র শিল্প পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি করার আশা প্রকাশ করছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিপরীতে ভারত দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনা প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করা থেকে দূরে সরে যায়নি, এবং সিওল ভারতের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার মাধ্যমে এটিকে পুঁজি করতে চায়।

উল্লেখ্য যে গত কয়েক বছরে ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়িয়েছে। এই সহযোগিতার উদাহরণ একটি ১৫৫ মিমি, ৫২  ক্যালিবারের কামান কে৯ বজ্র , যা কে৯ থান্ডারের ভারতীয় সংস্করণ, তা কোরিয়ার হানওয়া ডিফেন্স–এর সঙ্গে ভারতীয় সংস্থা এলঅ্যান্ডটি যৌথভাবে উৎপাদন করবে। এছাড়াও, ভারতীয় সংস্থাগুলি ইউটিলিটি হেলিকপ্টার, এলটি ট্যাঙ্ক, ডিজেল সাবমেরিন, ফিউচার রেডি কমব্যাট ভেহিকেলস ও সাবমেরিনগুলির প্রয়োজনীয় লিথিয়াম ব্যাটারির জন্য নির্ভরযোগ্য কোরীয় অংশীদারদের কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে। কোরিয়ার শিল্প বিভিন্ন আসন্ন ভারতীয় নৌ–প্রকল্প, যেমন মাইন কাউন্টারমেজার ভেসেল (এমসিএমভি), ফ্লিট সাপোর্ট শিপস (এফএসএস) এবং ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ডকস (এলপিডি) সমর্থন করার জন্য বিভিন্ন উন্নত নৌ–জাহাজ নির্মাণ প্রযুক্তি স্থানান্তর করার কথাও বিবেচনা করছে। উপরন্তু, ভারতীয় অংশীদারেরা সমস্ত প্রকারের গোলাবারুদ, স্মার্ট অ্যামিউনিশন, ছোট অস্ত্র উৎপাদন, এবং ব্যাটারি ও শক্তি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে।

যাই হোক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে, এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সাম্প্রতিক বিবৃতি এই বিষয়ে ভারত সরকারের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ তুলে ধরেছে। এশিয়া ইকনমিক ডায়ালগ–এ বক্তৃতা দিতে গিয়ে গয়াল বলেছিলেন যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থাগুলিকে নির্বিচারে আমদানি করতে দেয়। তিনি আরও যোগ করেন যে বিষয়টি এমন নয় যে দক্ষিণ কোরিয়া বা জাপান সরাসরি ভারত থেকে এই দেশগুলিতে কোনও ইস্পাত রপ্তানি বন্ধ করছে, কিন্তু এই দেশগুলিতে জাতীয়তাবাদী চেতনার কারণে ভারতীয় সংস্থাগুলি দেশগুলিতে পা রাখতে পারছে না। সেখানকার সংস্থাগুলি এবং মানুষ অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে ভারতীয় ইস্পাতের পরিবর্তে তাদের নিজস্ব ইস্পাত কিনতে ইচ্ছুক। তিনি অবশ্য বলেছিলেন যে সরকার ভারতীয় পণ্যের জন্য বাজার খোলার বিষয়ে কোরিয়ার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে।

চিত্র: কোরিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য

সূত্র: বিদেশ মন্ত্রক, আরওকে

সাম্প্রতিক সব পরিবর্তনের সঙ্গে এটা স্পষ্ট যে নয়াদিল্লি ও সিওল উভয়েই এই অঞ্চলে একটি নতুন কৌশলগত ও নিরাপত্তা কাঠামো নির্মাণে সক্রিয়ভাবে জড়িত। নতুন ক্ষমতার পরিমণ্ডলের উত্থান নয়াদিল্লি ও সিওলের মধ্যে আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে এখন ঘনিষ্ঠতর সম্পর্ক গড়ে তোলার পথ তৈরি করে দিয়েছে। তার উপরে এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে চলতি ক্ষমতার লড়াইয়ের পরিণতি নিয়ে উভয় দেশেরই যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। তাই, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া শত্রুতা ও বিপদ প্রশমিত করতে সিওলকে ভারতের মতো দেশগুলির সঙ্গে একত্রে কাজ করতে হবে। এটি এই কারণেও গুরুত্বপূর্ণ যে সঠিক ইন্দো–প্যাসিফিক কৌশল এবং বিভিন্ন নিরাপত্তা অংশীদার ছাড়া একটি শান্তিপূর্ণ ও পরমাণুমুক্ত কোরীয় উপদ্বীপ সম্ভবপর হবে না। ইতিমধ্যে ভারতকে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে কোরিয়ার বাজারের অন্য ক্ষেত্রগুলিতে ঢুকতে হবে। উভয় পক্ষের আলোচকদের সিইপিএ–র সুবিধাগুলি সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করার জন্য উভয় দেশের উপযোগী একটি অনুকূল বাণিজ্য পরিবেশ সৃষ্টি করার অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত। যে কোনও ধরনের অবিশ্বাস বা কড়া দৃষ্টিভঙ্গীপ্রসূত আলোচনাই বর্ধিষ্ণু সম্পর্কের ক্ষতি করবে। সাম্প্রতিক জি২০ বৈঠকে যেমন আলোচনা করা হয়েছে, সেইভাবে কৌশল ও অংশীদারিত্বকে ভাবালু আদর্শিক পদ্ধতির বাইরে গিয়ে একটি বৃহৎ ও শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে ।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.