সহযোগিতার সময়কাল এবং বিপত্তির মাঝে দোদুল্যমান ভারত-নেপাল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমীকরণকে বিশ্লেষকরা ‘বিশেষ’ এবং ‘অনন্য’ সম্পর্ক বলে অভিহিত করে থাকেন। কিন্তু নিজেদের সম্ভাবনাকে সর্বাধিক ভাবে কাজে লাগাতে উভয় পক্ষের ব্যর্থতার দরুন এই দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বটি প্রায়শই সমালোচিত হয়। বিগত এক দশকে ভারতের ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ বা ‘প্রতিবেশ প্রথম’ নীতির অধীনে দুই পক্ষের মধ্যে বিতর্কিত বিষয়গুলি যাতে অংশীদারিত্বের অগ্রগতির উপর ছায়া ফেলতে না পারে, সে বিষয়টি দেখার পাশাপাশি ভারতীয় নেতৃত্বের মনোযোগ ছিল সমন্বয়ের দিকে। উভয় পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই পদ্ধতিটি নেপালেও বেশ গ্রহণযোগ্য হয়েছে। কৌশলগত অবস্থানের দরুন যখন নেপালে নিজের উপস্থিতি সুদৃঢ় করতে চিন মরিয়া হয়ে উঠেছে, তখন নেপালও স্বেচ্ছায় দক্ষিণ এশিয়াকে আকারদানকারী ভূ-রাজনৈতিক মন্থনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে। ভারতে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় তার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ করা ও তৃতীয় মেয়াদ শুরু করার সময়ে তাই বিগত দশকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যে গতিপথ গ্রহণ করেছে এবং আগামী বছরগুলিতে যে পথ অবলম্বন করবে, তার উপর আলোকপাত করার এক উপযুক্ত সময় এসেছে।
অভূতপূর্ব উন্নয়ন
ভারতের জন্য নেপাল তার ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ বা ‘প্রতিবেশ প্রথম’ নীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। নয়াদিল্লি তার উন্নয়নমূলক প্রচেষ্টায় নেপালকে ক্রমাগত সমর্থন করেছে এবং দেশটির শীর্ষ উন্নয়ন সহযোগী হয়ে উঠেছে। গত বছরের বাজেটে নেপালের জন্য উন্নয়ন সহায়তা হিসাবে ভারত ৭০০ বিলিয়ন টাকা বরাদ্দ করেছে, যা কিনা ভুটানের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ। ২০১৪ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নেপাল সফরের পর থেকেই গোটা দশক জুড়ে দুই পক্ষের মাঝে উচ্চ পর্যায়ের সফর হয়ে চলেছে। এটি সম্পর্ককে আরও গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে উভয় পক্ষের ঐকমত্যের প্রমাণ, ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশের পরিবর্তন এবং ভারত ও চিনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিচ্ছেদের প্রতিক্রিয়াস্বরূপ।
২০১৪ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নেপাল সফরের পর থেকেই গোটা দশক জুড়ে দুই পক্ষের মাঝে উচ্চ পর্যায়ের সফর হয়ে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরের মাধ্যমে দশকটি একটি ইতিবাচক আঙ্গিকে শুরু হলেও, একগুচ্ছ কারণ সেই সময়ে হওয়া প্রগতির পথ থমকে দিয়েছে। নেপালে বিধ্বংসী ভূমিকম্প, তার পরপরই ভারতীয় গণমাধ্যম কী ভাবে ত্রাণ বিতরণকে দর্শিয়েছে সে বিষয়ে উদ্বেগ, ২০১৫ সালে গৃহীত এক নতুন সংবিধান, পরবর্তী বিক্ষোভ এবং ভারত কর্তৃক কথিত অর্থনৈতিক অবরোধ ইতিপূর্বে তৈরি হওয়া সদিচ্ছাকে নষ্ট করে দিয়েছে। একই সময়ে নেপালে চিনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককেও জটিল করে তুলেছে।
২০২৪ সালে যখন উভয় পক্ষের মধ্যে কিছু স্থানীয় বিবাদ অব্যাহত রয়েছে, উভয় দেশের অগ্রাধিকারগুলি উল্লেখযোগ্য ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। কাঠমান্ডু এবং নয়াদিল্লি উভয়ই কী ভাবে সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চায় তার মধ্যে একটি সূক্ষ্ম পরিবর্তন এসেছে এবং তা হল বাস্তববাদী বিবেচনার উপর মনোযোগ এবং সংযোগ ও অর্থনৈতিক সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য একসঙ্গে কাজ করা। ২০১৪ সালে ভারত নেপালকে ‘হিট’ মডেল অর্থাৎ মহাসড়ক নির্মাণ, তথ্য সংযোগ এবং ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের মাধ্যমে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। গত কয়েক বছরে ভারত সম্পর্কের এই দিকগুলির উপর তার মনোযোগ পুনরায় কেন্দ্রীভূত করেছে।
ভারত ও নেপাল উভয়ের জন্য জলবিদ্যুতের ক্ষেত্রে দুই দেশ যে পরিপূরকতা ভাগ করে নেয়, অর্থাৎ নেপালের এটি রফতানি করার ইচ্ছা এবং জ্বালানির জন্য ভারতের প্রয়োজনীয়তা সমাপতিত হয়েছে, যেখানে উভয় পক্ষ ব্যাপক ভাবে সহযোগিতা করেছে। বর্তমানে, কিছু অনুমান অনুযায়ী, ভারতীয় সংস্থাগুলির কাছে ৪০০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের লাইসেন্স বা অনুমতিপত্র রয়েছে। ২০২১ সালের নভেম্বর মাস থেকে শুরু করে ভারত নেপালের জলবিদ্যুৎ কিনতে শুরু করে এবং জুন থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নেপাল তার প্রতিবেশী ভারতকে ১১ বিলিয়ন টাকার জলবিদ্যুৎ বিক্রি করেছে। ভারতে তাঁর প্রথম সফরে প্রধানমন্ত্রী দহল অরুণ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং উচ্চ কর্নালী প্রকল্প সংক্রান্ত সমঝোতাপত্র (মউ) স্বাক্ষর করেন। ৬৬৯ মেগাওয়াট লোয়ার অরুণ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য একটি প্রকল্প উন্নয়ন চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। উভয় পক্ষ নতুন সমন্বিত চেকপোস্টের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে।
এই বছরের জানুয়ারিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের নেপাল সফরের সময় একটি বিদ্যুৎ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এই চুক্তির অধীনে নেপাল আগামী ১০ বছরে ভারতে ১০০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রফতানি করবে। এই চুক্তিটিকে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের প্রধান মাইলফলক হিসাবে বিবেচিত করা হয়। নেপাল-বাংলাদেশ পাওয়ার-শেয়ারিং চুক্তির সময়ে প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলের ভারত সফরের সময়ও এটি আলোচনা হয়েছিল, যে কাজে ভারত সহায়তা করবে। সংযোগের আর একটি উদাহরণ হল ডিজিটাল সংযোগের ক্ষেত্রে ভারতীয় নাগরিকরা এখন নেপালে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস-এর (ইউপিআই) মাধ্যমে অর্থপ্রদান করতে পারবেন। কিছু বিশ্লেষকদের মতে, এটি অর্থপ্রেরণের প্রবাহকে মসৃণ করবে এবং এটি দেশটিতে পর্যটন বৃদ্ধির সহায়ক হবে।
এই বছরের জানুয়ারিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের নেপাল সফরের সময় একটি বিদ্যুৎ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এই চুক্তির অধীনে নেপাল আগামী ১০ বছরে ভারতে ১০০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রফতানি করবে। এই চুক্তিটিকে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের প্রধান মাইলফলক হিসাবে বিবেচিত করা হয়।
বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত নেপালের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১১৩৪.৫৩ বিলিয়ন টাকায় পৌঁছেছে। এটিতে দেশের সর্বোচ্চ এফডিআই স্টকও রয়েছে, যা সামগ্রিক পরিমাণের ৩৩ শতাংশের কাছাকাছি। উভয় পক্ষের মধ্যে ট্রানজিট বাণিজ্য চুক্তির পুনর্নবীকরণ, সংশোধন করা হয়েছে এবং গত বছর উভয় পক্ষ স্বাক্ষর করেছে। ভারতের হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামগুলিও গত বছর ২৩তম বছর পূর্ণ করেছে। নয়াদিল্লি তার গৃহীত ৫৩৫টি প্রকল্পের মধ্যে ৪৭৫টি সফল ভাবে সমাপন করেছে। ২০২৩ সালের অগস্ট মাসের হিসাব অনুযায়ী ভারত দ্বারা ঋণের পরিমাণ ছিল ১.৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ভারত কর্তৃক প্রদত্ত সহায়তার ৭৩ শতাংশ পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহৃত হয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ভিতকে দৃঢ় বলেই মনে করেন। কারণ ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্কের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান অর্থাৎ নিরাপত্তা, অর্থনীতি এবং সংযোগ সবই গত এক দশকে অগ্রগতির সাক্ষী থেকেছে। কিন্তু সম্পর্কের গতিপথ নিয়ে আশাবাদ থাকলেও, ‘কৌশলগত সংস্কার’ এবং দেশটিকে ‘রোটি-বেটি’ আঙ্গিকে দেখার মনোভাব বর্জন করার আহ্বান-সহ বেশ কিছু সতর্কতাও রয়েছে। এই কারণে যে পৃথিবী এবং তাদের আশপাশের অঞ্চলটি ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তনশীল অবস্থায় রয়েছে।
প্রতিবন্ধকতা
দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সমন্বিতকরণ এবং সংযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে অগ্রগতি হওয়া সত্ত্বেও কিছু দ্বিপাক্ষিক সমস্যা অব্যাহত রয়েছে। সেগুলি সম্পর্কের ইতিবাচক গতিকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে, তা একাধিক কারণের উপর নির্ভর করে। সম্প্রতি, নেপালে একটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১০০ টাকার নতুন নোটে দেশের মানচিত্রের ছবি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মানচিত্রটি ছিল সেই মানচিত্র যেটি ২০২০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ওলি প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরা অঞ্চলকে নেপালের অংশ হিসাবে দেখানো হয়েছিল। সে সময় নেপাল-ভারত সম্পর্ক নতুন করে নিম্নমুখী হয়। ভারত এই সিদ্ধান্তকে ‘একতরফা পদক্ষেপ’ বলে মনে করেছে, যা সরেজমিন বাস্তবতার পরিবর্তন ঘটায় না। এই সিদ্ধান্ত উভয় দেশের সম্পর্কের ইতিবাচক গতিশীলতায় অব্যবহিত ভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলবে না, এ কথা মেনে নিলেও এই পদক্ষেপ এবং তার সময়কাল দর্শায় যে, কী ভাবে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাগুলি হঠাৎ করে সামনে এসে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্ভাবনাকে ম্লান করে দিতে পারে। সাম্প্রতিক বক্তৃতায় নেপালের বিদেশমন্ত্রী ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক পরামর্শমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। ভারতের বিদেশমন্ত্রকও বলেছে যে, সমস্যাগুলি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত মঞ্চে আলোচনা চল্ছে।
সুতরাং, যখন পারস্পরিক ভাবে আলোচনার বিষয়ের জন্য উভয় পক্ষের ঐকমত্য রয়েছে, বিলম্ব বেশ কিছু অংশকে তাদের ক্ষমতা স্থায়ী করার জন্য বা একটি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে – প্রধানত দেশের নাগরিকদের কাছে – কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।
১৯৫০ সালের শান্তি ও মৈত্রী চুক্তি সংশোধনের আহ্বান, উপরে উল্লিখিত সীমানা সমস্যা, এমিনেন্ট পারসনস গ্রুপের প্রতিবেদন এবং নতুন বিমান পথ খোলার বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে এক দশক ধরে আলোচনা চলেছে। আপাতত ইতিবাচক দিকে মনোনিবেশ করা এবং পর্যাপ্ত আস্থা ও সদিচ্ছা তৈরি করা বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে হচ্ছে, যা আরও বিতর্কিত সমস্যাগুলির সমাধানে সাহায্য করতে পারে। এই আবেগ নেপালেও প্রতিফলিত হয়েছে এবং এই বিষয়গুলিতে সক্রিয় সম্পৃক্ততার জন্য দীর্ঘমেয়াদি মনোভাব প্রয়োজন।
পঞ্চেশ্বর মাল্টিপারপাস প্রজেক্টের মতো প্রকল্পগুলি শেষ করতে বিলম্বিত বাধা, এক্সিম ব্যাঙ্কের দেওয়া ঋণের প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নে বিলম্ব সম্পর্কিত অন্যান্য উদ্বেগ এবং ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতি সম্পর্কে নেপালের উদ্বেগগুলিকে প্রশমিত করা, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা চালাতে হবে।
নেপালে চিনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পাশাপাশি নয়াদিল্লির জন্য তার বিকল্পগুলি পুনর্নির্মাণ করা এবং সেই অঞ্চলগুলিতে আরও চাপ সৃষ্টি করার প্রয়োজন যেখানে ভারত ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। পঞ্চেশ্বর মাল্টিপারপাস প্রজেক্টের মতো প্রকল্পগুলি শেষ করতে বিলম্বিত বাধা, এক্সিম ব্যাঙ্কের দেওয়া ঋণের প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নে বিলম্ব সম্পর্কিত অন্যান্য উদ্বেগ এবং ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতি সম্পর্কে নেপালের উদ্বেগগুলিকে প্রশমিত করা, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা চালাতে হবে। নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী যেমনটা ২০১৬ সালে ভারতের প্রতি দেশের ‘ঐতিহাসিক ঝোঁক’ সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন বিচ্ছিন্ন ভাবে এগিয়ে যেতে পারে না।
যেহেতু চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিচ্ছেদ প্রতিবেশী অঞ্চলেও প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে, তাই ভারত ও নেপালকে তাদের অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করার জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্গঠন করা অপরিহার্য। দুই দেশের ইতিবাচক দিকগুলির ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়া এবং বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নেপালে সরকারের দ্রুত পরিবর্তন এবং ভারতের প্রতি সামঞ্জস্যপূর্ণ বিদেশনীতি গ্রহণের উপর যে সীমা আরোপ করে, তা সম্পর্কের অগ্রগতিকে প্রভাবিত করে। সাধারণ নির্বাচনের পরে তৃতীয় মেয়াদেও ভারতের সরকার নির্ধারণের পরে আশা করা যেতে পারে যে, দুই দেশই গত দশকে হওয়া অগ্রগতির পথ অব্যাহত রাখবে এবং সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকারক বিষয় সমাধানের ক্ষেত্রে আরও মুক্তমনা হবে।
এই প্রতিবেদনটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় দি অন্নপূর্ণা এক্সপ্রেস-এ।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.