Published on May 07, 2022 Updated 0 Hours ago

ভারতের টু হুইলার বা দ্বিচক্রযান প্রস্তুতকারী শিল্পের এ কথা সুনিশ্চিত করা দরকার যে, অত্যন্ত দ্রুত হারে ব্যাপক সংখ্যায় দু’চাকার যান উৎপাদনের জন্য যেন তার গুণমান ক্ষুণ্ণ না হয়। 

একটি শর্ট সার্কিট প্রতিরোধ: বিদ্যুৎচালিত দু’চাকার বাহন শিল্পকে আত্মদহন থেকে রক্ষা

বিদ্যুৎচালিত দু’চাকার বেশ কিছু যানের ব্যাটারিতে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনায় ভারত ব্যাপী বিপদসূচক ঘণ্টাধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এই বিপদধ্বনি শুধু মাত্র সরকারেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, তা সমগ্র বিদ্যুৎচালিত দু’চাকার যান নির্মাণ শিল্পেই অনুভূত হয়েছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,এই আগুন লাগার ঘটনা একাধিক সংস্থার বিভিন্ন মডেলের ক্ষেত্রেই লক্ষ করা গিয়েছে। এগুলির মধ্যে সাম্প্রতিকতম ঘটনাগুলি ঘটতে দেখা গিয়েছে ওকিনাওয়া এবং ওলা-র মডেলগুলিতে। এ হেন ঘটনার ফলে সম্ভাব্য ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে তীব্র আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে প্রাণহানি ঘটেছে। যেমনটা তামিলনাড়ুতে এক সাম্প্রতিক ঘটনায় লক্ষ করা গিয়েছে যেখানে একটি বিদ্যুৎচালিত দু’চাকার যানে চার্জ দেওয়ার জন্য সেটিতে ইলেকট্রিক সংযোগ করা হলে আগুন জ্বলে ওঠে এবং এক পিতা ও তাঁর কন্যাসন্তান সেই আগুন থেকে নির্গত ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা যান। এই ভয় ভিত্তিহীন নয়। কারণ ভারতীয় গাড়ি শিল্প এখনও ভুলে যায়নি ত্রুটিপূর্ণ ওয়্যারিং-এর জন্য আগুন লাগার  ঘটনার ফলে টাটা ন্যানোর সুরক্ষা সংক্রান্ত ভাবমূর্তি কী চরম ধাক্কা খেয়েছিল!

এই আগুনগুলি কী ভাবে লাগে? বিদ্যুৎচালিত দু’চাকার যানগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রধানত লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি প্যাক দ্বারা চালিত হয় যার মধ্যে শত শত পৃথক ব্যাটারি সেল থাকে। ব্যাটারিতে আগুন লেগে যাওয়ার অন্যতম সাধারণ কারণ হল, এই সেলগুলিতে ‘থার্মাল রানঅ্যাওয়ে’ বা ‘তাপপ্রবাহের ছড়িয়ে পড়া’। সাধারণত একটি পজিটিভ ফিডব্যাক লুপ একটি একক সেলের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া প্রতিহত করে। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে উচ্চ তাপমাত্রার ক্রমবর্ধমান চাপে সেলগুলি ফেটে যায় এবং এর ফলে পার্শ্ববর্তী সেলগুলি দ্রুত উত্তপ্ত হতে শুরু করে। এর পর শত শত সেলে একই সময়ে পৃথক পৃথক ভাবে ‘থার্মাল রানঅ্যাওয়ে’ বা ‘তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা’ ঘটতে শুরু করে যার ফলে পুরো ব্যাটারিতে আগুন জ্বলে ওঠে।

বিদ্যুৎচালিত দু’চাকার যানগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রধানত লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি প্যাক দ্বারা চালিত হয় যার মধ্যে শত শত পৃথক ব্যাটারি সেল থাকে।

লিথিয়াম ওজনের নিরিখে সবচেয়ে হালকা ধাতুগুলির একটি এবং এর ফলে সেই সব ক্ষেত্রে লিথিয়ামের ব্যবহারকে আদর্শ বলে মনে করা হয়ে যেখানে ওজনের ব্যাপারটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করার কথা বহু দিন ধরে ভাবা হলেও এই ব্যাটারিকে কাজে লাগানোর উপযোগী আকার দিতে কয়েক দশক সময় লেগেছে। ২০১৯ সালে লিথিয়ামকে নিয়ন্ত্রণ করে ব্যাটারি হিসেবে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত করে তোলার অভূতপূর্ব কাজের জন্য বিজ্ঞানী জন বি গুডএনাফ, এম স্ট্যানলি হুইটিংহ্যাম এবং আকিরা ইয়োশিনো রসায়নে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত হন। বর্তমানে আমাদের চারপাশে মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ থেকে শুরু করে শিশুদের খেলনায় এবং এখন সব আকারের বিদ্যুৎচালিত যানবাহনেও লিথিয়াম ব্যাটারির ব্যবহার লক্ষ্যণীয়।

উপরোক্ত বিজ্ঞানীদের গবেষণা এবং শিল্পের জন্য খনি থেকে লিথিয়াম উত্তোলন ও লিথিয়াম সেলের উৎপাদন শুরু হওয়া সত্ত্বেও লিথিয়াম ব্যাটারির সমস্যা এখনও অব্যাহত। নিম্ন মানের ব্যাটারিতে, যেখানে ব্যাটারি নির্মাণের জন্য অন্যান্য ধাতু এবং উপাদানের সঙ্গে অন্যান্য দূষণকারী পদার্থের ব্যবহার করা হয়, সেখানে সমস্যা লুকিয়ে থাকলেও, শুধু মাত্র ‘নিম্ন মানের’ ব্যাটারিকে দোষারোপ করা ভুল হবে। স্যামসাং মোবাইল ফোন ও সোনি ভাইয়ো ল্যাপটপগুলিতে উচ্চ মানের লিথিয়াম ব্যাটারি থাকা সত্ত্বেও বিমানে থাকাকালীন তাতে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা দর্শায় যে, উচ্চ চাপে যে কোনও লিথিয়াম ব্যাটারিই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস-এর (বি আই এস) ব্যাটারি সংক্রান্ত নিয়মাবলি থাকা সত্ত্বেও তা উপেক্ষা করে ভারতে ব্যবসারত একাধিক সংস্থা বিদ্যুৎচালিত  দু’চাকার যানবাহনে নিম্ন মানের ব্যাটারি ও চার্জার ব্যবহার করে চলেছে। এর পরিণতি হতে পারে বিপর্যয়কর। এই যানগুলির অধিকাংশ— বিশেষত কম গতিসম্পন্ন দু’চাকার যানগুলি— সেই সংস্থাগুলি নির্মাণ করে যাদের নির্মাণ সংক্রান্ত কোনও জ্ঞান নেই বা সামান্য ধারণা আছে এবং চিনা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে যারা উৎপাদন চালায়।

থার্মাল রানঅ্যাওয়ে, যাকে এক কথায় তীব্র উত্তপ্ত হয়ে ওঠা বলা যেতে পারে— প্রক্রিয়াটিকে প্রাথমিক পর্যায়ে পর্যাপ্ত শীতলীকরণ এবং সেল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। লিথিয়াম ব্যাটারিচালিত অনেক উচ্চ মানের যন্ত্রে এই শেষোক্ত পন্থা কাজে লাগানো হয়েছে। এমনটা অত্যন্ত দামি গাড়ির পাশাপাশি মহার্ঘ্য ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রেও লক্ষ করা গিয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলি সেলগুলির যে কোনও রকমের অস্বাভাবিকতার উপরে নজর রাখে এবং তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করলে ব্যাটারি প্যাকের সংশ্লিষ্ট অংশটি বাকি সিস্টেম থেকে আপনাআপনি শাট অফ বা ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়াও উন্নত শীতলীকরণ ব্যবস্থা বিদ্যুৎচালিত যানগুলিকে আরও কার্যকর ভাবে ঠান্ডা থাকতে সাহায্য করে। এ কথা আশ্চর্যের নয় যে, অনেক বিদ্যুৎচালিত যানেই সমতুল্য পেট্রোলচালিত যানের তুলনায় তীব্রতর শীতলীকরণ ব্যবস্থা থাকে। যদিও উভয় সমাধানই যথেষ্ট ব্যয়বহুল এবং এই ধরনের শীতলীকরণ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অসুবিধেজনকও। এই কারণেই ভারতে বর্তমানে বিক্রি হওয়া বিদ্যুৎচালিত দু’চাকার যানের এক বিরাট অংশ কেবল মাত্র ভরসাযোগ্য নয় এমন লিথিয়াম সেলই ব্যবহার করে না, পাশাপাশি সেগুলি বায়ু দ্বারা শীতল হওয়ার উপরেই নির্ভরশীল।

কিন্তু সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করার নেপথ্যে এই দু’টি কারণই দায়ী নয়; যা এই পুরো পরিস্থিতিকে আক্ষরিক অর্থে দহনপ্রবণ করে তুলেছে, তা হল ভারতের উষ্ণ জলবায়ু। চার্জ করার সময়ে এবং ডিসচার্জ করার সময়ে ব্যাটারিগুলি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করার দরুন ফোনগুলিতেও এমনটা ঘটতে দেখা যায়। যদিও ফোনের ব্যাটারির রসায়ন দু’চাকার যানের রসায়নের তুলনায় পৃথক। যে কোনও দীর্ঘ ফোন কল করার সময় ফোনের ব্যাটারি উত্তপ্ত হওয়ার ঘটনা অনুভব করা যায়। অ্যাপল আইফোন বা উচ্চ মানের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ক্ষেত্রে দেখা যায়, যখন এগুলি খুব গরম হয়ে ওঠে, তখন নিজে থেকেই সেগুলি সেলফ প্রোটেক্ট মোডে চলে যায়। ডিভাইসের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করলে এটি নিজে থেকেই চার্জ হওয়া বন্ধ করে দেয়।

লিথিয়াম ব্যাটারিচালিত অনেক উচ্চ মানের অ্যাপ্লিকেশনে এই শেষোক্ত পন্থা কাজে লাগানো হয়েছে। এমনটা অত্যন্ত দামি গাড়ির পাশাপাশি মহার্ঘ্য ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রেও লক্ষ করা গিয়েছে।

আমাদের পক্ষে খুব সহজেই নিজের পকেটে ফোন সুরক্ষিত রাখা গেলেও, ভারতের তাপ এবং ধুলোময় পরিবেশে ব্যবহৃত বিদ্যুৎচালিত দু’চাকার যানের ক্ষেত্রে কী-ই বা করা যেতে পারে? কাজটি মোটেও সহজ নয় এবং যানটিকে ছায়াতে রাখলেও মে এবং জুন মাসে উত্তর ও মধ্য ভারতের কিছু অংশে পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়, এমনকি রাতেও। যে ব্যাটারির চার্জ চলছে বা সবে মাত্র ব্যবহার করা হয়েছে, সম্ভবত এক নাগাড়ে, সেটিকে ঠান্ডা করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। যদি বিদ্যুৎচালিত দু’চাকার যান, বিশেষত সন্দেহজনক ব্যাটারি-সহ নিম্ন মানের পণ্য এবং কোনও তাপমাত্রার ব্যবস্থাপনা ব্যতীত তৈরি হয়, তা হলে এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। ২০১৬-২০১৮ সালের মধ্যে চিন নিজেদের দেশে বিদ্যুৎচালিত দু’চাকার যান ব্যবহার সংক্রান্ত একটি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। সেই সময়ে বিদ্যুৎচালিত যানে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষত চংকিং-এর মতো চিনের উষ্ণতর শহরগুলিতে।

যদিও পরিস্থিতির সবটাই এখনও হাতের বাইরে চলে যায়নি। স্যামসাং তার গ্যালাক্সি ডিভাইসটিকে যথেষ্ট পরিমাণে সুরক্ষিত করে তুলতে পেরেছে এবং কয়েক বছর যাবৎ বিমানবন্দর ও বিমানগুলিতে ফোনটি সম্পর্কে ক্রমাগত ঘোষণা চালানো সত্ত্বেও তার সুনাম পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে। একই পথে হেঁটে পোর্টেবল ল্যাপটপ ইন্ডাস্ট্রিও সমাধানস্বরূপ কুলিং প্যাডের ব্যবহার এবং ল্যাপটপগুলির শক্তির ব্যবহারকে আরও দক্ষ করে তুলেছে এবং সেগুলি যাতে অত্যন্ত উত্তপ্ত না হয়ে ওঠে, সে দিকেও খেয়াল রেখেছে। এর পাশাপাশি ডিভাইসগুলিতে কার্যকর সফ্টওয়্যার এবং নাতিশীতোষ্ণ সেন্সরগুলি অতিরিক্ত তাপ বৃদ্ধি এবং সম্ভাব্য থার্মাল রানঅ্যাওয়ে রোধ করে৷ গুরুত্বপূর্ণ ভাবে এই সমাধানগুলি ব্যয়সাপেক্ষ। কিন্তু ভারতের ডিকার্বনাইজেশনকে সফল করে তুলতে হলে আমাদের বুঝতে হবে যে, ভারত একটি উষ্ণ দেশ এবং বিদ্যুৎচালিত যানের ক্ষেত্রে তাপমাত্রার প্রভাব অনস্বীকার্য।

বৃদ্ধির ঊর্ধ্বে নিরাপত্তাকে স্থান দেওয়া

প্রশ্ন হল, একচেটিয়া বৃদ্ধির ঊর্ধ্বে উঠে কী ভাবে আমরা বিদ্যুৎচালিত দু’চাকার যানের অগ্রগতির জন্য সুরক্ষার ব্যাপারটিকে অগ্রাধিকার দিতে পারব? বৈদ্যুতিক গতিশীলতা বাস্তুতন্ত্র, বিশেষ করে দু’চাকার গাড়ি, একটি অভূতপূর্ব গতিতে বিকশিত হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে যে, বিদ্যুৎচালিত দু’চাকার যানের উৎপাদন ক্ষমতা ২০২৬ সালের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়ে ৩ কোটি হতে পারে, যা বর্তমান সময়ের পাঁচ লক্ষের যানসংখ্যার চেয়ে বহু গুণ বেশি। এ হেন দ্রুত রূপান্তরের জন্য আই সি ই বাস্তুতন্ত্রের অবিরাম বৃদ্ধির হার সূচিত করে এমন একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্য চোকাতে হয়। যদিও এই গতিই এই বিভাগের দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের জন্য ঝুঁকি বয়ে আনে। ওকিনাওয়া এবং ওলার বিদ্যুৎচালিত দু’চাকার যানে দু’টি অগ্নিকাণ্ড সংক্রান্ত  ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার তাৎক্ষণিক কমিটি গঠন করে। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হল, নিরপেক্ষ ভাবে এই মূল্যায়নগুলি করা এবং সেগুলির ভিত্তিতে এক দফা কঠোর সুপারিশ করা, যা অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার (ও ই এম) মেনে চলতে বাধ্য হয় এবং অন্যথায় জরিমানা দিতে বাধ্য থাকে। সবচেয়ে জোরালো পদক্ষেপ হতে পারে, অবিলম্বে সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত  সমস্ত সমস্যাযুক্ত মডেলগুলিকে ফিরিয়ে আনা বাধ্যতামূলক করা। যদিও সম্ভবত এই পদক্ষেপ খুব একটা জনপ্রিয় হবে না। কারণ এই ধরনের যানের ব্যবহার বৃদ্ধির নেপথ্যে সরকারি ভর্তুকি মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। সম্প্রতি ডিপার্টমেন্ট অব হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ (ডি এইচ আই) ফেম-টু স্কিমের অধীনে বিদ্যুৎচালিত দু’চাকার যানগুলির ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়েছে। সরকার এমন কোনও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চাইবে না যা এই ক্ষেত্রটির অগ্রগতি ব্যাহত করে।

সবচেয়ে জোরালো পদক্ষেপ হতে পারে, অবিলম্বে সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত সমস্যাযুক্ত মডেলগুলিকে ফিরিয়ে আনা বাধ্যতামূলক করা।

আরও বাস্তবসম্মত ভাবে নীতিনির্ধারকদের এখন শক্তিশালী নজরদারি ব্যবস্থা প্রয়োগ করা উচিত, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে সমস্ত গাড়ির ব্যাটারি চালু মানগুলি মেনে চলবে। যদিও একটি যানবাহনের শংসাপত্র তার একটি ছোট নমুনার সেটের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, বাস্তবে উত্পাদন প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিকতার অভাব কিছু নির্দিষ্ট ইউনিটে অন্তর্নিহিত ত্রুটির পথে ঠেলে দিতে পারে। বিশেষ করে যদি দ্রুত উত্পাদনের জন্য যথাযথ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করা হয়। সর্বোপরি, সবচেয়ে কার্যকর শীতলীকরণ প্রযুক্তির বর্ধিত ব্যবহারের জন্য মান নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এর ফলে যদি যানবাহনের মূল্য বেশি হয়, তা হলেও পণ্যগুলিতে ক্রেতাদের আস্থা ফেরানোর কাজে এই প্রচেষ্টা যথাযথ।

সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াও আমরা আশা করতে পারি যে, নির্মাতারা নিজেরাই এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবেন এবং তাদের অনুশীলন ও সংশ্লিষ্ট পদ্ধতি সম্পর্কে পুনরায় খতিয়ে দেখবেন। কে সর্বাধিক উৎপাদনক্ষমতা অর্জন করতে পারে, তা নয়, বরং লক্ষ্য হওয়া উচিত নিরাপদতম উৎপাদন প্রক্রিয়া সুনিশ্চিত করা।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Promit Mookherjee

Promit Mookherjee

Promit Mookherjee is an Associate Fellow at the Centre for Economy and Growth in Delhi. His primary research interests include sustainable mobility, techno-economics of low ...

Read More +
Kushan Mitra

Kushan Mitra

Kushan Mitra is a journalist with over two decades experience covering the global automotive mobility and transportation industries extensively.

Read More +