Author : Abhishek Sharma

Published on Jan 13, 2025 Updated 0 Hours ago

যদিও সামরিক আইন কোরিয়ার গণতন্ত্রের স্থিতিস্থাপকতাকে তুলে ধরে, সেইসঙ্গেই কিন্তু এটি চলতে থাকা সমস্যাগুলিকেও তুলে ধরেছে, বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ সম্পর্কে

প্রেসিডেন্ট ইউনের সামরিক আইন জারি: রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া কী হবে

১৯৪৮ সালে তার স্বাধীনতার পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় বারংবার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেখা গিয়েছে। ১৯৮৭ সালের পরে ষষ্ঠ প্রজাতন্ত্রের সময় গণতন্ত্রের বিকাশ শুরু হয়। তার রাজনৈতিক ইতিহাসে দেশটি সামরিক আইনের ১৭টি পর্যায় প্রত্যক্ষ করেছে—জরুরি সামরিক আইন, নিরাপত্তা সামরিক আইন, এবং নেতাদের বিরুদ্ধে তিনটি ইমপিচমেন্ট (সারণি ১)। অতএব, ২০২৪ সালে সামরিক আইন জারি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে তার সূচনা থেকে প্রথম ঘটনা নয়। কিন্তু, এটি তার গণতান্ত্রিক পর্বের অধীনে ৪৫ বছরের মধ্যে প্রথম, এবং একটি গুরুতর ঘটনা। যদিও অনেক বিশ্লেষক সামরিক আইন ঘোষণার পিছনের কারণগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন, যেমন ফার্স্ট লেডির ভূমিকা এবং প্রেসিডেন্ট ও বিরোধীদের মধ্যে রাজনৈতিক বিবাদ, তবে এই রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কথনের মধ্যে অনেক কিছু অনুপস্থিত। এই নিবন্ধটি কিছু সূক্ষ্ম বিষয় তুলে ধরে যেগুলির প্রতি অনেক মনোযোগের প্রয়োজন।



যদিও অনেক বিশ্লেষণ সামরিক আইন ঘোষণার পিছনের কারণগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন, যেমন ফার্স্ট লেডির ভূমিকা এবং প্রেসিডেন্ট ও বিরোধীদের মধ্যে রাজনৈতিক বিবাদ, তবে এই রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কথনের মধ্যে অনেক কিছু অনুপস্থিত।



৩রা ডিসেম্বর, প্রেসিডেন্ট ইউন দেশে সামরিক আইন জারি করেন, এবং সব কিছু স্থবির হয়ে পড়ে। যাই হোক, বিরোধীরা দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানান এবং প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভেটো প্রয়োগ করেন, যার ফলে
প্রেসিডেন্ট সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। এই সামরিক আইন ছয় ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল, যা একে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সামরিক আইনগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে। এই সিদ্ধান্তের পর, বিরোধীরা প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করার চেষ্টা করেন, কিন্তু প্রথম চেষ্টা ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয়বারে তা সফল হয়।। এটি রোহ ও পার্কের পরে দেশের ইতিহাসে কোনও প্রেসিডেন্টের তৃতীয় ইমপিচমেন্ট।


সারণি ১: দক্ষিণ কোরিয়ার সমস্যাযুক্ত ইতিহাস (সামরিক আইন, ইমপিচমেন্ট, ও কারাদণ্ড)

Table 1: Troubled History of South Korea (Martial Law, Impeachment, and Prison sentences)

দক্ষিণ কোরীয় নেতা

সামরিক আইন জারি

ইমপিচ হওয়া প্রেসিডেন্ট/‌ ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাস/‌ কারাদণ্ড

সিংমন রি (‌১৯৪৮-১৯৬০)

১০ বার জারি করেছিলেন

এপ্রিল ১৯৬০ বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত, হাওয়াইতে নির্বাসিত জীবনযাপন

ইয়ুন পোসান (১৯৬০-১৯৬২)

মে ১৯৬১

পার্ক চুং-হির নেতৃত্বে একটি সামরিক অভ্যুত্থান দ্বারা অপসারিত

পার্ক চুং-‌হি (১৯৬৩-১৯৭৯)

জুন ১৯৬৪, অক্টোবর ১৯৭২, অক্টোবর ১৯৭৯

অক্টোবর ১৯৭৯ সালে খুন হন

চই কিয়ু-হা (১৯৭৯-১৯৭৯)

২৬অক্টোবর ১৯৭৯-তে প্রেসিডেন্ট পার্ক চুং-হি-র হত্যাকাণ্ডের পর জরুরি সামরিক আইন ৪৪০ দিন স্থায়ী হয়েছিল

একটি সামরিক অভ্যুত্থানের দ্বারা অপসারণ

চুন দু-হয়ান (১৯৮০-১৯৮৮)

মে ১৯৮০

চুনকে ১৯৭৯ সালের অভ্যুত্থানের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং পরে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছিল।

রো তাই-উ (১৯৮৮-১৯৯৩)

দুর্নীতি ও ১৯৭৯ সালের অভ্যুত্থানের জন্য ২২.৫ বছরের সাজা, পরে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।

কিম ইয়ং-সাম (১৯৯৩-১৯৯৮)

কিম দাই-জুং (১৯৯৮-২০০৩)

রো মু-হিয়ুন (২০০৩-২০০৮)

২০০৪ সালের মার্চ মাসে আইনসভায় তাঁকে নির্বাচনী লঙ্ঘনের জন্য ইমপিচ করা হয়েছিল; দুই মাস পরে, একটি সাংবিধানিক আদালত তাঁর প্রেসিডেন্সি পুনরুদ্ধার করে।

লি মাইয়ুং-বাক (২০০৮-২০১৩)

২০১৮ সালের অক্টোবরে দুর্নীতির মামলায় ১৫ বছরের সাজা হয়, পরে  প্রেসিডেন্ট ইউন ক্ষমা করে দেন

পার্ক গেয়ুন-হাই (২০১৩-২০১৭)

ডিসেম্বর ২০১৬-এ ইমপিচ করা হয় এবং ২০১৭ সালের মার্চে সাংবিধানিক আদালত দ্বারা তা নিশ্চিত করা হয়, পরে প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন ক্ষমা করে দেন

মুন জে-ইন (২০১৭-২০২২)

ইউন সুক ইওল (২০২২-বর্তমান)

৩ ডিসেম্বর ২০২৪ – ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাস

সূত্র: লেখক কর্তৃক সংকলিত


খুঁটিয়ে পড়া

অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও পণ্ডিত প্রেসিডেন্ট ইউনের সামরিক আইন ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রভাব ও কারণ পরীক্ষা করেছেন। যাই হোক, প্রাতিষ্ঠানিক ও পদ্ধতিগত ত্রুটিগুলির উপর নজর দেওয়া, যেমন পদ্ধতিগত লঙ্ঘন যা সামরিক আইনের দিকে চালিত করেছিল, আলোচনা থেকে অনুপস্থিত। এই বিষয়গুলি 'কেন' প্রশ্নের পরিবর্তে, যা
বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে, 'কীভাবে' প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সক্রিয়তাটির দুটি সমালোচনামূলক পর্যবেক্ষণ এই পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ত্রুটিগুলিকে তুলে ধরে:


সামরিক আইন জারির অধ্যায়টি আবারও বেসামরিক-সামরিক সম্পর্কের ভঙ্গুরতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় সেনাবাহিনীর পক্ষপাতমূলক সারিবদ্ধতা তুলে ধরেছে।



প্রথমটি হল রক্ষণশীল সরকারের সঙ্গে সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দাদের পক্ষপাতমূলক সারিবদ্ধতা, এবং সামরিক আইন জারির প্রক্রিয়াগত জ্ঞানের অপ্রতুলতা, যা ইউনের পক্ষে সামরিক আইন ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাওয়া সহজ করে তুলেছিল। এই বিষয়টি দেশের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পক্ষপাতিত্ব নির্দেশ করে। এই ঘটনার পর,
সামরিক ও প্রতিরক্ষা কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কর্মকর্তাদের ভূমিকা আবার সমালোচিত হয়েছে, যার ফলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। আর্মি চিফ অফ স্টাফ পার্ক আন-সু সহ ১০ জনেরও বেশি কর্তব্যরত সামরিক কর্মকর্তা তাঁদের ভূমিকার জন্য তদন্তাধীন। গোয়েন্দা ও সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে অ্যাপোজিশন। সামরিক আইন জারির অধ্যায়টি আবারও বেসামরিক-সামরিক সম্পর্কের ভঙ্গুরতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় সেনাবাহিনীর পক্ষপাতমূলক সারিবদ্ধতা তুলে ধরেছে। এটি  সম্ভবত সামরিক বাহিনীর কার্যকারিতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে প্রভাব ফেলবে।


এছাড়া অনেক পদ্ধতিগত অপূর্ণতাও চিহ্নিত করা হয়েছে। যেমন, সামরিক আইনের কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ থেকে জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ থেকে সেনাপ্রধান পার্ক আন-সুকে বাইপাস করা। এটি
ইউন প্রশাসনের সামরিক বাহিনীর রাজনীতিকরণের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এছাড়াও, বিরোধী দলগুলির আইন প্রণেতাদের এবং নিজের দলের নেতা হান ডং-হুনকে, যাঁর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বৈরিতাপূর্ণ, গ্রেফতার করার জন্য জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানকে প্রেসিডেন্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন। এটি সামরিক আইনের ১৩ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনের বিষয়ে উভয় দলেই প্রশ্ন তুলেছে, যা কোনও অপরাধমূলক কাজে ধরা না-‌পড়া পর্যন্ত আইন প্রণেতাদের গ্রেপ্তার থেকে অনাক্রম্যতা দেয়।


দ্বিতীয় ত্রুটিটি ইউন প্রশাসনে প্রচলিত ক্রোনিজমের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি একটি ক্ষমতার বৃত্ত গঠনের ক্ষেত্রে দৃশ্যমান ছিল, কারণ ইউনের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা অনেকে মন্ত্রিসভা এবং উচ্চস্তরের সরকারি পদ দখল করেছিলেন। এরা
চুংগাম উপদল নামেও পরিচিত, অর্থাৎ চুংগাম হাই স্কুলের লোকেরা। উদাহরণ হল, যিনি বর্তমান প্রশাসনের তরফে সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেই প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লি স্যাং-মিন, এবং প্রতিরক্ষা কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কমান্ডের কমান্ডার, সবাই চুংগাম গোষ্ঠীর অংশ। লি জায়ে-মিউং, বিরোধী দলীয় নেতা, এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন, এবং সেপ্টেম্বরে চুংগাম উপদলের প্রাধান্যের কারণে সামরিক আইন জারির সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। এই সংশয় আরও জোরালো হয় যখন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা পরিষেবার প্রাক্তন প্রধান কিম ইয়ং-হিউন-‌কে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পদে উন্নীত করা হয়


যদিও সামরিক আইন কোরিয়ার গণতন্ত্রের স্থিতিস্থাপকতাকে তুলে ধরে, সেইসঙ্গেই কিন্তু এটি চলতে থাকা সমস্যাগুলিকেও তুলে ধরেছে, বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ সম্পর্কে



যদিও সামরিক আইন কোরিয়ার গণতন্ত্রের স্থিতিস্থাপকতাকে তুলে ধরে, সেইসঙ্গেই কিন্তু এটি চলতে থাকা সমস্যাগুলিকেও তুলে ধরেছে, বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ সম্পর্কে। অতএব, সামনের দিনে, আমরা সম্ভবত সামরিক ও গোয়েন্দাদের নিয়োগ এবং তত্ত্বাবধানের বিষয়ে আরও বেশি যাচাই-বাছাই দেখতে পাব। বিরোধী দল প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হ্রাস করার জন্য পাল্টা ব্যবস্থা আনবে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে একটি শক্তিশালী সাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দায়িত্বে কে?

সামরিক আইন প্রত্যাহৃত হওয়ার পর দেশটির দৃষ্টি যায় প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রীর দিকে। স্থিতাবস্থা পুনঃস্থাপনের পরপরই বিরোধী দল ইউনের ইমপিচমেন্টের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করে, যা ৭ ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদে কোরাম দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন পূরণ করতে পারেনি। যদিও ক্ষমতাসীন দলের আহন চেওল-সু’‌র মতো কিছু আইনপ্রণেতা পার্টি লাইনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন, তবে এটি ম্যাজিক সংখ্যা ২০০ ছুঁতে পারেনি। প্রথম সুযোগটি ব্যর্থ হওয়ার পর ১৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হলে বিরোধী দল
দ্বিতীয় ভোটের জন্য চাপ দেয় এবং প্রস্তাবটি পাস হয়। এখন তা সাংবিধানিক আদালতের বিচারাধীন।


শাসক দল প্রকাশ্যে প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপের নিন্দা করেছে, এবং সব কিছুর দায় তাঁর উপর চাপিয়ে ক্ষমতাসীন দলের ক্ষতি কমানোর জন্য হিসাব-নিকাশ করছে। তা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক নাটক যাতে অর্থনীতি ও বিদেশনীতিতে প্রভাব না ফেলে তা নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী সেকেন্ড-‌ইন-‌কমান্ড হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন। শাসনব্যবস্থা যাতে সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে সেই লক্ষ্যে এবং দ্বিতীয় সামরিক আইনের ভয়কে প্রতিহত করতে প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছেন। যাই হোক, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের সমালোচনা হয়েছে, বিশেষ করে দলীয় প্রধানের ব্যাপক প্রভাবের কারণে; তিনি বলেছিলেন যে 'আমি সহ সমস্ত মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সরকারি কর্মকর্তা জনগণের ইচ্ছাকে প্রথমে রাখব এবং সমস্ত রাষ্ট্রীয় কার্যাবলি স্থিতিশীল এবং সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে থেকে কাজ করব'। বিক্ষুব্ধ দলীয় নেতা হান ডং-হুনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এই মর্মে একটি
বিবৃতি প্রকাশ করেছেন যে, 'সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল রাষ্ট্রীয় বিষয়ে এক ইঞ্চিও শূন্যতা থাকা উচিত নয়।’‌



শাসনব্যবস্থা যাতে সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে সেই লক্ষ্যে এবং দ্বিতীয় সামরিক আইনের ভয়কে প্রতিহত করতে প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছেন।



তা সত্ত্বেও, বিরোধী নেতাদের মধ্যে একজন চো-কুক, প্রধানমন্ত্রী এবং হানের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন, এবং এটিকে দ্বিতীয় অভ্যুত্থান বলে
অভিহিত করেছেন, প্রথমত নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ইমপিচমিন্ট থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করার জন্য এবং দ্বিতীয়ত তাঁকে কোণঠাসা করে প্রেসিডেন্ট পদ দখলের চেষ্টা করার জন্য।


এবার কি দ্বিতীয় রাজনৈতিক ঝাঁকুনি?

এই পুরো পর্বটি দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের কাছে চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে, যাঁরা বিশ্বাস করতেন যে সামরিক আইনের যুগ অতীতের বিষয়। অতএব, এই পর্বটি রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে আরও যাচাই-বাছাই এবং জবাবদিহিতার দিকে নিয়ে যাবে। সুতরাং, এখান থেকে, আমরা সম্ভবত ইউন প্রশাসনের পদ্ধতিগত লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার সহ পুরো পর্বের একটি সতর্কতামূলক পরীক্ষা দেখতে পাব। এর মধ্যে একটি বৃহত্তর তদন্তও রয়েছে, বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থা এবং সামরিক বাহিনীর ভূমিকা, যা ঘটনার পরে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আইনসভার কার্যকারিতা এবং শাসনব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে।



অভিষেক শর্মা অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের একজন গবেষণা সহকারী।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.