Author : Oommen C. Kurian

Published on Dec 07, 2024 Updated 0 Hours ago
আয় নির্বিশেষে সমস্ত বয়স্ক ভারতী‌য়ের জন্য পিএমজেএওয়াই কভার: সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিচর্যার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ

একটি বড় নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ ৭০ বছরের বেশি বয়সী সমস্ত ভারতীয়ের জন্য আয়ুষ্মান ভারত-প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (এবি-পিএমজেএওয়াই)-র অধীনে স্বাস্থ্য কভারেজের সার্বজনীনকরণ অনুমোদন করেছে। এই বছরের শুরুতে, বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশের সময়  প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেছিলেন যে সরকার পিএমজেএওয়াই প্রকল্পে ৭০ বছরের বেশি বয়সী প্রত্যেক প্রবীণ নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। যাই হোক, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের সর্বশেষ বাজেট এই সম্প্রসারণের বিষয়ে নীরব থাকায়, আশঙ্কা ছিল যে সম্প্রসারণের বাস্তবায়ন কমপক্ষে এক বছর বিলম্বিত হতে পারে। এই বছরের শেষের দিকে জম্মু ও কাশ্মীর, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে আসন্ন নির্বাচনের সঙ্গে এই পদক্ষেপটি প্রচুর নির্বাচনী লভ্যাংশ আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।


সরকারি সূত্রের মতে, প্রকল্পের এই বিশাল সম্প্রসারণ ভারতজুড়ে প্রায় ৪৫ মিলিয়ন পরিবারকে উপকৃত করবে।



অ-দরিদ্র পরিবারগুলিতে এবি-পিএমজেএওয়াই-এর এই সম্প্রসারণকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসার প্রয়োজন হয় এমন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতিতে ভারতীয় মধ্যবিত্তদের আর্থিক সুরক্ষা প্রদানের দিকে প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। ২০১৮ সালে প্রকল্পটি চালু করার সময় ওআরএফ-এর একটি পূর্ববর্তী  নিবন্ধে
এবি-পিএমজেএওয়াই পলিসি অ-দরিদ্র পরিবারগুলিকে সাশ্রয়ী মূল্যের প্রিমিয়ামের নাগালের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, ৪০০ মিলিয়ন অ-দরিদ্র নাগরিককে এবি-পিএমজেএওয়াই-‌এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়নি। বর্তমান মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের ফলে যা ঘটেছে তা হল, অ-দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে দুর্বলদের জন্য প্রিমিয়ামে ভর্তুকি দেওয়া, যা একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ।

ভারতে ২১ শতকের জনসংখ্যাগত গতিশীলতা চিত্র ১-এ দেখানো হয়েছে। ৭০+ বয়স্ক জনসংখ্যা ২০০১ সালে ভারতীয় জনসংখ্যার ২.৮% থেকে ২০২১ সালে ৪.৩% হয়েছে, এবং ২০৩১ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সিনিয়র কেয়ার রিফর্মস বিষয়ে নীতি আয়োগের সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট অনুসারে, ভারতে বয়স্ক জনসংখ্যার (৬০+) মধ্যে মাত্র এক-পঞ্চমাংশ স্বাস্থ্য বিমার আওতায় রয়েছে, যেখানে প্রায় ৭৮% কোনও পেনশন কভারেজ ছাড়াই রয়ে গিয়েছে। ফলস্বরূপ, ভারতে বয়স্ক জনসংখ্যার স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অনুপাত পকেট থেকে অর্থায়ন করা হয়, যা তাদের পরিবারকে আর্থিক সংকটের ঝুঁকিতে ফেলে।

 Pmjay Cover For All Elderly Indians Irrespective Of Income A Major Step Towards Universal Health Care

‌সূত্র: ভারত সরকারের
 এল্ডারলি ইন ইন্ডিয়া ২০২১ রিপোর্ট থেকে সংকলিত ডেটা

যদিও ৬০+ জনসংখ্যার প্রায় ২০% বিমার আওতায় রয়েছে, ভারতে অনুদৈর্ঘ্য বার্ধক্য অধ্যয়ন (২০১৭-১৮) থেকে জনসংখ্যার স্তরে উপলব্ধ সর্বশেষ ডেটা প্রস্তাব করে যে, ৬০+ বিভিন্ন বয়সের শ্রেণির মধ্যে বিমা কভারেজের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। জনসংখ্যা চিত্র ২ দেখায়, ভারতে ৭০-৭৯ বছর এবং ৮০+ উপ-জনসংখ্যা উভয়েরই ৬০-৬৯ জনসংখ্যার বিপরীতে যথেষ্ট কম স্বাস্থ্য কভারেজ ছিল। এছাড়াও,
নীতি আয়োগ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বৃদ্ধদের মধ্যে অনেকেই তাঁদের দীর্ঘমেয়াদি যত্নের জন্য যথেষ্ট সঞ্চয় বা পেনশন ছাড়াই বৃদ্ধ বয়সে পৌঁছেছেন। এটি অনুমান করা হয় যে প্রায় ৭০% বয়স্ক দৈনন্দিন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তাঁদের পরিবার ও আত্মীয়দের উপর নির্ভরশীল, যা পরিবারের উপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে। দেশের ৭০+ জনসংখ্যাকে সর্বজনীন কভারেজ দেওয়ার মাধ্যমে, ভারত সরকার স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে।

 Pmjay Cover For All Elderly Indians Irrespective Of Income A Major Step Towards Universal Health Care

সূত্র: ভারতে অনুদৈর্ঘ্য বার্ধক্য অধ্যয়নের উপর ভিত্তি করে (২০১৭-১৮) ইউএনএফপিএ ইন্ডিয়ার
ইন্ডিয়া এজিং রিপোর্ট ২০২৩ থেকে উদ্ধৃত।

এবি-পিএমজেএওয়াই-এর সম্প্রসারণ বয়স্ক জনসংখ্যার সমস্যাগুলিকে মোকাবিলা করার জন্য একাধিক নীতি উদ্যোগের একটি অংশ। ১৯৯৯ সালে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় নীতি (এনপিওপি) দিয়ে ভারতে বয়স্কদের যত্নের জন্য প্রধান সংস্কারগুলি শুরু হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল প্রবীণ ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় পরিষদ (এনসিওপি) গঠনের পাশাপাশি অরক্ষিত বয়স্ক ব্যক্তিদের যত্ন ও সুরক্ষা প্রদান করা। ২০০৭ সালে পিতামাতা এবং প্রবীণ নাগরিকদের রক্ষণাবেক্ষণ ও কল্যাণ আইন প্রবীণদের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা ও নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছিল।

এই দুটি উন্নয়নের প্রতিফলন ঘটিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ২০১০-১১ সালে বয়স্কদের নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি মোকাবিলার জন্য ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর দ্য হেলথ কেয়ার অফ এল্ডারলি (এনপিএইচসিই) চালু করেছিল। ২০১১ সালে প্রবীণ নাগরিকদের জাতীয় নীতি ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করার জন্য এনপিওপি-র ফোকাসকে প্রসারিত করেছে। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সিনিয়র সিটিজেনস (এনসিএসআরসি), এনসিওপি-র অন্তর্ভুক্ত একটি আরও সংস্করণ, এই প্রচেষ্টাগুলির উপর নজর রাখার জন্য ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০২০ সালে ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান ফর সিনিয়র সিটিজেনস (এনএপিএসআরসি) চালু করা হয়েছিল, যা প্রবীণদের কল্যাণের জন্য চারটি মূল উপ-প্রকল্প সহ সমর্থন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে। বয়স্ক জনসংখ্যার জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা প্রদান এই উদ্যোগগুলির একটি অন্তর্নিহিত বিষয়বস্তু ছিল, এবং বর্তমান সম্প্রসারণ এই প্রধান নীতি উদ্বেগ মোকাবিলায় একটি উল্লেখযোগ্য অবদান।

বিদ্যমান এবি-পিএমজেএওয়াই-এর মধ্যে বয়স্কদের যত্ন


এবি-পিএমজেএওয়াই-এর ডেটার দিকে তাকালে দেখা যায় যে বয়স্ক জনসংখ্যা (৬০+) হল যাঁরা এই প্রকল্পের সুযোগ পেয়েছেন সেই ৩৫০ মিলিয়নেরও বেশি আয়ুষ্মান কার্ডধারীদের ১৪%। একই সময়ে, ২০১৮ সালে এবি-পিএমজেএওয়াই-‌এর সূচনা থেকে অনুমোদিত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর
৬৯ মিলিয়নের প্রায় এক-চতুর্থাংশ ৬০ বা তার বেশি বয়সী। এখন পর্যন্ত এবি-পিএমজেএওয়াই-এর অন্তর্ভুক্তির মানদণ্ড অনুসারে এই রোগীরা দরিদ্র ও অরক্ষিত পরিবারের মানুষ ছিলেন। অ-দরিদ্র পরিবারগুলিতে বর্তমান সম্প্রসারণের ফলে এই অনুপাত আগামী বছরগুলিতে বাড়তে চলেছে, কারণ এটি সারা দেশে লক্ষ লক্ষ পরিবারকে নিষ্কৃতি দেবে৷

 Pmjay Cover For All Elderly Indians Irrespective Of Income A Major Step Towards Universal Health Care

সূত্র: ভারত সরকারের
এবি-পিএমজেএওয়াই ড্যাশবোর্ড থেকে সংকলিত ডেটা

সামনের পথ

ভারত সরকার শীঘ্রই সম্প্রসারণটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছে, এবং বিদ্যমান এবি-পিএমজেএওয়াই কাঠামোগুলি এই প্রকল্পটি চালু করতে ব্যবহার করা হবে। যাই হোক, যাঁদের এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাঁদের মধ্যে সরকারি স্বাস্থ্য বিমা নিয়ে সচেতনতার অভাব সংক্রান্ত উদ্বেগ একটি বড় সমস্যা, যা বয়সের সাথে আরও বাড়তে পারে।
২০২১ সালের একটি সর্বভারতীয় সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে, যদিও ভারত জুড়ে ৭০ শতাংশেরও বেশি পরিবার বলেছে যে তারা পিএমজেএওয়াই প্রকল্প সম্পর্কে সচেতন, তবে একেবারে নীচের দুই শ্রেণির পরিবারের মধ্যে প্রকল্পের সচেতনতা সবচেয়ে কম ছিল। এঁরা হলেন ঠিক সেই জনসংখ্যা যাঁদের এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। গণমাধ্যম ও নতুন মিডিয়া দেখার সুযোগ বয়স্কদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে, এবং এই বয়সের মধ্যে এই বিদ্যমান সমস্যা প্রসারিত হতে পারে। যে জনসংখ্যা প্রকল্পের লক্ষ্য, তাঁদের মধ্যে সচেতনতার অভাব তথ্য, শিক্ষা, ও যোগাযোগ প্রচারাভিযান সত্ত্বেও এবি-পিএমজেএওয়াই-এর জন্য একটি অন্তরায় হিসাবে রয়ে গিয়েছে, যা কম সচেতনতার রাজ্যগুলিতে উদ্ভাবনী হস্তক্ষেপ শুরু করার প্রয়োজন  তুলে ধরে।

চিত্র ৫: বয়স্কদের স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের আওতায় না আসার কারণ (২০১৭-১৮)

 Pmjay Cover For All Elderly Indians Irrespective Of Income A Major Step Towards Universal Health Care

সূত্র: ভারতে অনুদৈর্ঘ্য বার্ধক্য অধ্যয়নের উপর ভিত্তি করে (২০১৭-১৮) ইউএনএফপিএ ইন্ডিয়ার
ইন্ডিয়া এজিং রিপোর্ট ২০২৩ থেকে উদ্ধৃত।

সাম্প্রতিক উপলব্ধ তথ্য, যদিও তা প্রাক-পিএমজেএওয়াই যুগের, এই উদ্বেগগুলির উপর জোর দেয়৷ দ্য লংগিচিউডিনাল এজিং স্টাডি ইন ইন্ডিয়া (২০১৭-১৮) দেখিয়েছে যে, ভারতে বয়স্কদের একটি বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ স্বাস্থ্য বিমা সম্পর্কে সচেতন নয় (চিত্র ৫)। এ ছাড়া, ভারতের বয়স্ক জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অনুপাত বিদ্যমান স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পগুলিকে সাধ্যের বাইরে বলে মনে করেছে। ৭০+ জনসংখ্যার জন্য এবি-পিএমজেএওয়াই-কে সর্বজনীন করে তোলা দ্বিতীয় সমস্যাটি সমাধানের জন্য একটি স্বাগত পদক্ষেপ, তবে সচেতনতার ঘাটতি একটি বাধ্যতামূলক সীমাবদ্ধতা হতে পারে। ৭০ বছরের বেশি বয়সী সদস্যদের প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছনোর জন্য স্থানীয় সরকারের সহায়তায় গণপ্রচারের প্রয়োজন।

চিত্তাকর্ষক বিষয় হল, ২০১৬ সালে চালু হওয়া সিনিয়র সিটিজেন হেলথ ইন্স্যুরেন্স স্কিম (এসসিএইচআইএস) তখনকার আরএসবিওয়াই প্রকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আরএসবিওয়াই পরিবারের প্রত্যেক বয়স্ক সদস্যকে ৩০,০০০ ভারতীয় রুপির একটি মাঝারি টপ-আপ কভার প্রদান করেছিল, এবং এই অতিরিক্ত কভার দেওয়া হয়েছিল একই পরিবারের বয়স্ক সদস্য সংখ্যার গুণক হিসাবে।

নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রাথমিক ফলাফল আসার পরে, ৭০ বছরের বেশি বয়সের একাধিক সদস্য রয়েছেন এমন পরিবারের বর্ধিত দুর্বলতার পরিপ্রেক্ষিতে এবি-পিএমজেএওয়াই-তেও এই ধারাটি প্রয়োগ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ভবিষ্যতে, ভারতের বয়স্ক নীতির উদ্দেশ্যগুলির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ৬০-৬৯ বছর বয়সী জনসংখ্যার জন্যও এবি-পিএমজেএওয়াই বিনামূল্যে অফার করা প্রয়োজন।
অন্যত্র যেমন আলোচনা করা হয়েছে, সকলের জন্য স্বাস্থ্যের দিকে ভারতের যাত্রার জন্য যা প্রয়োজন তা হল, যে কয়েক শত মিলিয়ন অ-দরিদ্র জনসংখ্যা স্বাস্থ্যগত ধাক্কার অবিরত ঝুঁকির মধ্যে থাকে তাদের এবি-পিএমজেএওয়াই ঝুঁকি পুলের অংশ হওয়ার জন্য সাশ্রয়ী উপায়ের প্রস্তাব দেওয়া। আশা করা যায় শূন্য খরচে ৭০+ জনসংখ্যার তালিকাভুক্তির মাধ্যমে অ-দরিদ্র পরিবারগুলিতে প্রকল্পটির বর্তমান সম্প্রসারণ সেই মুলতুবি হয়ে থাকা সিদ্ধান্তের দিকে নীতিগত পদক্ষেপকে ত্বরান্বিত করবে।



ওমেন সি. কুরিয়ান একজন সিনিয়র ফেলো এবং অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের হেড অফ হেলথ ইনিশিয়েটিভ

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.