Author : Vivek Mishra

Published on Jul 28, 2023 Updated 0 Hours ago

নানাবিধ ভূ-রাজনৈতিক চাপের সম্মুখীন বাইডেন প্রশাসনের জন্য পেন্টাগন তথ্য ফাঁস আর একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে

পেন্টাগন তথ্য ফাঁস: একটি নতুন কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স যুগের সূচনা

সূচনার সময় থেকেই ইউক্রেন সংঘাতে বাস্তব জমিতে যতটা লড়াই হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে, তথ্যের দুনিয়াতেও তার সমান তীব্রতা দেখা যাচ্ছে। পেন্টাগন তথ্য ফাঁস হল এর সাম্প্রতিক উদাহরণ। তবে এই তথ্য ফাঁসের ঘটনার ফলে সঙ্কটের সমাপ্তি হওয়ার সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়ে পড়ছে। ফাঁস-হওয়া মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য জানিয়েছে যে, কী ভাবে পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে রাশিয়ার ধীর গতির আক্রমণ ‘সম্ভবত একটি অচলাবস্থার দিকে যাচ্ছে’। তবে উভয় পক্ষই এই ফাঁস হওয়া তথ্য আক্ষরিক ভাবে সত্যি বলে মেনে নেওয়ার ব্যাপারে সাবধান হয়েছে।

বর্তমান তথ্য ফাঁসের ঘটনা ২০১৬ সালের অনুরূপ ঘটনা বা এডওয়ার্ড স্নোডেনের উদ্ঘাটনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যেগুলিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ক্ষতিকারক তথ্য ফাঁসের উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা যেতে পারে এবং যে ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা সংক্রান্ত গোপনীয়তা জনপরিসরে ফাঁস হয়ে যায়। বর্তমান পেন্টাগন তথ্য ফাঁস আরো বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে, যেহেতু বিশ্বব্যাপী মূল মিত্রশক্তিদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের উপর এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে।

ফাঁসের কারণে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ধারণ করতে পেন্টাগন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

পেন্টাগন থেকে গোপন নথি ফাঁসের জন্য দায়ী করা হয়েছে ২১ বছর বয়সি ন্যাশনাল গার্ড এয়ারম্যান জ্যাক টেক্সেইরাকে। ইন্টারভিউ এবং ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) চার্জিং ডকুমেন্ট অনুসারে, টেক্সেইরা সঙ্গী খেলোয়াড়দের মন জয় করার জন্য গোপনীয় সরকারি নথি ডিসকর্ড অ্যাপ সার্ভারে ব্যবহার করে, যে সার্ভারটি নতুন প্রজন্ম দ্বারা বিশেষ ভাবে ব্যবহৃত হয়। ধরা পড়ার আগে এই সার্ভারের মাধ্যমে শত শত গোপনীয় নথি ফাঁস করা হয়েছিল। এই নথিগুলি তখন টুইটার এবং টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে, যেগুলি রাশিয়ায় ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়। এই ঘটনাটি অভ্যন্তরীণ সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলিকেই তুলে ধরে— যারা সংবেদনশীল বা গোপনীয় তথ্য হাতে থাকার দরুন অসাবধানতাবশত বা ইচ্ছাকৃত ভাবে তা প্রকাশ করে দেয়। ফাঁসের কারণে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ধারণ করতে পেন্টাগন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কটের প্রতিক্রিয়া

ফাঁস থেকে উঠে আসা তথ্যে এ কথা স্পষ্ট যে, এই যুদ্ধ ২০২৪ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। কারণ কোনও পক্ষই আলোচনা করতে ইচ্ছুক নয়৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য ফাঁসের ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি এবং ইউক্রেনের  রাজনৈতিক, কৌশলগত ও যুদ্ধকৌশল সম্বন্ধীয় অবস্থানের জন্য ক্ষতিকর; এর পাশাপাশি ঘটনাটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের নিরিখে পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেয়। রাশিয়ার জন্য তথ্য ফাঁসের প্রতিক্রিয়ায় তার সক্রিয়তার অভাব স্পষ্ট করে দেয় যে, মস্কো এই গোপনীয় তথ্য প্রকাশ্যে আসার ঘটনাকে একটি সুবিধা হিসাবে দেখার ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক। কারণ এই ফাঁস হওয়া তথ্য ইউক্রেনের প্রস্তুতি ও সক্ষমতার দুর্বলতাকে তুলে ধরে এবং একই সঙ্গে ইউক্রেনের দুর্বলতার মুহূর্তে দেশটির বিরুদ্ধে সুযোগ নেওয়ার জায়গা করে দেয়। এই তথ্য ফাঁস ইউক্রেনের যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতে পারে। কোনও পক্ষই ফাঁস-হওয়া তথ্য সত্যি বলে মেনে নিতে রাজি না হলেও উভয়ই মানবিক এবং প্রযুক্তিগত তথ্য ফাঁসের পথ বন্ধ করতে তৎপর।

মার্কিন সামরিক বাহিনী হয়তো এই অবস্থানে আংশিক স্বস্তি পেয়ে থাকতে পারে  যে, ফাঁস হওয়া নথিগুলিতে সম্ভবত কারচুপি করা হয়েছে। কারণ এতে ইউক্রেনীয় কৌশলের সূক্ষ্মতা ও বিশদ বিবরণের অভাব রয়েছে এবং হতাহতের সংখ্যাকে  অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে- যা রাশিয়ার ভুল তথ্য ছড়ানোর সম্ভাব্য প্রচেষ্টার দিকে ইঙ্গিত করে। যদিও অন্তত কিছু ক্ষেত্রে নথিগুলি ইউক্রেনের অবস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করেছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, তারা ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী  দ্বারা মার্কিন সরবরাহকৃত হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমের (এইচআইএমএআরএস) ব্যবহারের উচ্চ হার দর্শিয়েছে, যা ইউক্রেনে গত বসন্ত আক্রমণের আগেকার চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে ব্যাপক অসামঞ্জস্যকেই তুলে ধরে। তা সত্ত্বেও তথ্য ফাঁস ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষমতা দ্রুত হ্রাস এবং রুশ অগ্রগতির কারণে বাখমুতে সম্ভাব্য ক্ষতির দিকেই ইঙ্গিত করে। তবে বাখমুতের ঘটনা ফাঁসের পূর্বাভাস অনুসারে উদ্ঘাটিত হচ্ছে বলেই মনে হয়।

মার্কিন সামরিক বাহিনী হয়তো এই অবস্থানে আংশিক স্বস্তি পেয়ে থাকতে পারে যে, ফাঁস হওয়া নথিগুলিতে সম্ভবত কারচুপি করা হয়েছে। কারণ এতে ইউক্রেনীয় কৌশলের সূক্ষ্মতা ও বিশদ বিবরণের অভাব রয়েছে এবং হতাহতের সংখ্যাকে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে- যা রাশিয়ার ভুল তথ্য ছড়ানোর সম্ভাব্য প্রচেষ্টার দিকে ইঙ্গিত করে।

 

যাই হোক, তথ্য ফাঁসের সবচেয়ে ক্ষতিকারক দিকগুলির অন্যতম হল ইউক্রেনের বিষয়ে মার্কিন নজরদারি চালানোর ঘটনা প্রকাশ্যে আসা। এটি রাশিয়ার সঙ্গে বিদ্যমান যুদ্ধে ইউক্রেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার স্বাচ্ছন্দ্য ও বিশ্বাসকে একটি নেতিবাচক আলোকে তুলে ধরে। সংঘাতের প্রাথমিক পর্যায়ে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা তথ্য ফাঁসের ভয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোয়েন্দা সংক্রান্ত তথ্য ভাগ করে নিতে অনিচ্ছুক ছিলেন। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই উদ্বেগের অবসান ঘটায় এবং ইউক্রেনকে এ বিষয়ে রাজি করাতে সমর্থ হয় যে, মার্কিন ইন্টেলিজেন্স দক্ষতা সর্বতো ভাবেই এই যুদ্ধে রাশিয়া কী করতে পারে বা তাদের সম্ভাব্য সামরিক অভিযান সম্পর্ক বোঝা ও অনুমান করার নিরিখে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বিকল্প।

মার্কিন নিরাপত্তা জোটের উপর এর প্রভাব

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ছাড়াও এই তথ্য ফাঁসের ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তার মিত্র দেশ, অংশীদার এবং জোটের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি করেছে। কারণ তারা আবারও তাদের উপর মার্কিন নজরদারির  বাড়াবাড়িতে অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ফাঁস হওয়া নথিগুলি সিগন্যালস ইন্টেলিজেন্সের ভিত্তিতে একটি গোপন নথি প্রকাশ করে। সেই নথি দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে এই উদ্বেগকে তুলে ধরে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহ করা সিওলের আর্টিলারি শেলগুলি ইউক্রেনে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে। একই ভাবে আর একটি সিগনালস ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, ইজরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দেশটির বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এবং ইজরায়েলি নাগরিকদের প্রস্তাবিত বিচারবিভাগীয় সংস্কারের বিরুদ্ধে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিতে উত্সাহ জুগিয়েছিল।

দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইজরায়েল উভয় দেশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান অ-ন্যাটো মিত্র (এমএনএনএ)। দক্ষিণ কোরিয়া এই গুপ্তচরবৃত্তির তথ্য ফাঁসকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। অন্য দিকে ইজরায়েল ফাঁস হওয়া নথিগুলির বক্তব্য অস্বীকার করেছে। তবুও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার জোটগুলিকে পুনরায় কার্যকর করা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের প্রচেষ্টার জন্য সমর্থন জোগাড় করার নিরিখে বাইডেন প্রশাসনের প্রচেষ্টার দৃষ্টিকোণ থেকে এ হেন ফাঁস অত্যন্ত ক্ষতিকারক।

একটি নতুন কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স যুগের সূচনা

বর্তমান তথ্য ফাঁসের প্রকৃতি এটিকে অনুরূপ পূর্ববর্তী ঘটনাগুলির তুলনায় আলাদা করে তোলে। কারণ পূর্ববর্তী ঘটনাগুলির তুলনায় এই ঘটনা কোনও উল্লেখযোগ্য সংস্থার মাধ্যমে নয়, বরং অনলাইন গেমিং আন্ডারওয়ার্ল্ডের মতো অপ্রথাগত পথে ঘটেছে। এই তথ্য ফাঁসের ঘটনা প্রযুক্তি এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যকার ইন্টারফেসের দ্বিমুখী প্রকৃতিকেও তুলে ধরে। অভিযোজনের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে মার্কিন সামরিক বাহিনী নিজেই পরবর্তী প্রজন্মকে খুঁজে বের করার জন্য ডার্ক নেট এবং অনলাইন গেমিং পরিসরকে বেছে নিয়েছে। জনপ্রিয় অনলাইন চ্যাট প্ল্যাটফর্ম ডিসকর্ডে – যেখানে ফাঁস হওয়া নথিগুলি প্রথম পাওয়া গিয়েছিল – ১৭০০০ সদস্যবিশিষ্ট একটি সক্রিয় চ্যাট রুম রয়েছে, যেখানে মার্কিন সামরিক বাহিনী ‘আর্মি অব টুমরো’ বা ‘আগামিদিনের সেনা’র জন্য নতুন নিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে। এটি আর্মি রিক্রুটিং কমান্ডের ই-স্পোর্টস প্রোগ্রামেরই একটি অংশ, যা সেনাবাহিনী এবং আমেরিকান জনসাধারণকে গেমিংয়ে তাঁদের সাধারণ আগ্রহের মাধ্যমে সংযুক্ত করে। পূর্বাভাসের একটি চিহ্ন হিসাবে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত একটি সুনির্দিষ্ট পুঙ্খানুপুঙ্খ ডিজিটাল পরিচয় সুরক্ষা টুলকিটকে ডিসকর্ড অ্যাপে ব্যবহার করার সময় ইউএস স্পেশ্যাল অপারেশন কমান্ড তার সদস্যদের উন্নাসিক মানসিকতার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিল।

ফাঁস হওয়া নথিগুলি সিগন্যালস ইন্টেলিজেন্সের ভিত্তিতে একটি গোপন নথি প্রকাশ করে। সেই নথি দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে এই উদ্বেগকে তুলে ধরে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহ করা সিওলের আর্টিলারি শেলগুলি ইউক্রেনে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।

পেন্টাগন তথ্য ফাঁসের সঙ্গে একটি সাধারণ অনলাইন হ্যাকের তুলনা করলে, এটিকে একটি অ্যান্টি-ক্লাইম্যাক্স বলে মনে করা যেতে পারে, যা সাধারণত দ্রুত, লক্ষ্যনির্দিষ্ট এবং ভাইরাল হয়। এই সাম্প্রতিক ফাঁস  থেকে উঠে আসা তথ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি নতুন কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স যুগের সূচনার উপর এটি কী ভাবে প্রভাব ফেলে, তা নিয়ে দু’টি বিতর্ক রয়েছে। এর মধ্যে প্রথমটিতে জনসাধারণের কাছে কতটা উন্মোচন করা হবে ও কতটা লুকিয়ে রাখা হবে সেই প্রেক্ষিতে সরকারের ডিক্লাসিফিকেশনের দ্বৈতাবস্থা সম্পর্কিত সেই চিরাচরিত প্রশ্নকেই তুলে ধরে। দ্বিতীয় উদ্বেগটি হল মানব এবং প্রযুক্তিভিত্তিক বুদ্ধিমত্তা সুরক্ষিত করার নিরিখে পেন্টাগনের উপায় এবং প্রক্রিয়ার সর্বাত্মক সংস্কার সংক্রান্ত। চলমান তদন্তের ফলে উভয়ই প্রভাবিত হতে পারে।

বাইডেন প্রশাসন-সহ বিভিন্ন প্রশাসন এর আগে ডিক্লাসিফিকেশন দোলাচলের সম্মুখীন হয়েছে এবং ডিক্লাসিফিকেশনের সীমা নির্ধারণ করতে বেগ পেয়েছে। প্রযুক্তি এবং জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত হওয়ার দরুন ডিক্লাসিফিকেশনের সীমা নির্ধারণ সর্বদাই কঠিন কাজ এবং একই সঙ্গে যুদ্ধের পরিসরগুলির বিবর্তন এবং ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স প্রায়শই গোপনীয় তথ্যের চাইতেও অনেক বেশি কিছু প্রকাশ্যে নিয়ে আসে।

উপসংহার

একাধিক উল্লেখযোগ্য ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার পাশাপাশি পেন্টাগন তথ্য ফাঁস বাইডেন প্রশাসনের সামনে আর একটি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে। তা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে মার্কিন প্রচেষ্টাকেও জটিল করে তোলে। কারণ দেশটির মিত্ররা তাদের উপর গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলির প্রকৃতিকে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। আরও গুরুত্বপূর্ণ হল সাম্প্রতিক তথ্য ফাঁসের মনোযোগ ইউক্রেন ও রাশিয়ার উপর পড়লেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চিনের উত্থান এবং তার গুপ্তচরবৃত্তির শৃঙ্খল আরও বৃহত্তর চ্যালেঞ্জকে তুলে ধরে। বেজিং মার্কিন সরকার, বেসরকারি খাত এবং শিক্ষাক্ষেত্রে প্রবেশ করার জন্য মানব বুদ্ধিমত্তা, প্রযুক্তিগত উত্স এবং সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি-সহ সংগ্রহের ‘সমস্ত উপলব্ধ উপায়’ ব্যবহার করেছে৷ সুতরাং মার্কিন সরকার এবং গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের জন্য তাদের মূল্যবান মানবিক সম্পদ ও বুদ্ধিমত্তাকে সুরক্ষা জোগানো এবং বুদ্ধিমত্তাগত অবস্থানের মাঝে সেতুবন্ধন করার ক্ষেত্রে কাজটি সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।


বিবেক মিশ্র অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।

সমীর পাটিল অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.