ভারতে নারীদের বিয়ের বৈধ বয়স নিয়ে বিতর্ক নতুন মোড় নিয়েছে। যদিও মহিলাদের জন্য বিবাহযোগ্য বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করা এবং লিঙ্গ আইনে অভিন্নতা আনার জন্য প্রস্তাবিত বিল সংসদে আটকে ছিল এবং এখন তামাদি হয়ে গিয়েছে, হিমাচল প্রদেশ বিলটির নিজস্ব সংস্করণ পাস করেছে। হিমাচল সরকারের পদক্ষেপ, যা একটি সাহসী পদক্ষেপ, একে এই ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া প্রথম রাজ্য করে তুলেছে। এখন এটি আইনে পরিণত হওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির সম্মতির অপেক্ষায় রয়েছে। অন্য রাজ্যগুলি এই পথ অনুসরণ করে কি না তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা দেখা দেয়, বিশেষত এমন রাজনৈতিক পটভূমিতে যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিরোধী নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারগুলির বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছে। এই ইস্যুতে হিমাচলের সক্রিয় অবস্থান কি অন্য রাজ্যগুলির জন্য অনুরূপ আইন প্রণয়নের দ্বার উন্মুক্ত করতে পারে, বা সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতার সুযোগ তৈরি করতে পারে?
হিমাচল সরকারের পদক্ষেপ, যা একটি সাহসী পদক্ষেপ, একে এই ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া প্রথম রাজ্য করে তুলেছে। এখন এটি আইনে পরিণত হওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির সম্মতির অপেক্ষায় রয়েছে।
এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে স্বাস্থ্য, সামাজিক পরিণতি ও পরিবর্তন আনার নীতিগুলি কতটা ভাল কাজ করে সেগুলি নিয়ে প্রশ্ন৷ সমর্থকেরা যুক্তি দেন যে এটি মহিলাদের আরও ভাল স্বাস্থ্য-ফলাফলের দিকে নিয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে উন্নত মাতৃস্বাস্থ্য ও কম শিশুমৃত্যুর হারের দিকে। সমালোচকরা অবশ্য বাল্যবিবাহ সম্পর্কিত গভীর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যাগুলি এই ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাধান করা যাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে (এনএফএইচএস-৫) ২০১৯-২১ রিপোর্ট করে যে ২০-২৪ বছর বয়সী ২৩ শতাংশ মহিলার ১৮ বছর হওয়ার আগেই বিয়ে হয়েছিল। গ্রামীণ এলাকায় এই হার ২৭ শতাংশেরও বেশি, শহরাঞ্চলে ১৪.৭ শতাংশ। বাল্যবিবাহের অন্যান্য বহিঃপ্রকাশ ১৫-১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে দেখা গিয়েছে, যার মধ্যে ৩.৮ শতাংশ শহুরে মহিলা এবং ৭.৯ শতাংশ গ্রামীণ মহিলা ইতিমধ্যেই মা হয়ে গিয়েছিলেন বা গর্ভবতী ছিলেন। সঙ্গের লেখচিত্র ১ এই ২০-২৪ বছর বয়সী মহিলাদের তিন দশক ধরে এনএফএইচএস রাউন্ড জুড়ে ১৮-এর আগে বিয়ের ক্রমহ্রাসমান প্রবণতাকে তুলে ধরে। তবে এখনকার ২৩ শতাংশ (এনএফএইচএস-৫), বা প্রায় চারজনের মধ্যে একজন, অবশ্যই মেনে নেওয়ার অযোগ্য একটি চিত্র এবং উদ্বেগের কারণ।
কিন্তু বিয়ের বয়স ২১-এ উন্নীত করা কি সত্যিই স্বাস্থ্য-ফলাফল নিশ্চিত করবে, নাকি এটি এমন আরেকটি আইন যার বাস্তবায়ন খুব কঠিন হবে?
গ্রাফ ১: ভারতে বাল্যবিবাহের পরিবর্তনশীল দৃশ্যপট
বাল্যবিবাহের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব
বাল্যবিবাহ এবং প্রতিকূল স্বাস্থ্য-ফলাফলের মধ্যে সম্পর্ক ভালভাবে নথিভুক্ত। কম বয়সের বা কিশোরী গর্ভাবস্থা, বিশেষ করে ১৮ বছরের কমবয়সী নববধূদের মধ্যে, বিভিন্ন জটিলতায় পূর্ণ। এই মেয়েরা উচ্চ মাতৃমৃত্যুর অনুপাতের (এমএমআর) ঝুঁকির মধ্যে থাকেন এবং কম ওজনের বা সময়ের আগে জাত শিশুর জন্ম দেন, যা শিশুমৃত্যুর হার বাড়িয়ে দেয়। যদিও এনএফএইচএস-৫ রিপোর্ট করেছে যে ভারতের জাতীয় এমএমআর ১৯৯০ সালের প্রতি ১০০,০০০ জীবিত জন্মে ৫৫৬ থেকে ২০১৬-১৮ সালে ১১৩-এ নেমে এসেছে, তবুও ভারতের গ্রামীণ এলাকায়, যেখানে স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্তিযোগ্যতা অনেক কম, এটি এখনও বেশি। প্রাথমিক গর্ভধারণের ঘটনাগুলি এই ধরনের পরিসংখ্যানে বহুলাংশে অবদান রাখে এবং রক্তাল্পতা, অপুষ্টি ও অপ্রতুল প্রসবপূর্ব-যত্নের মতো মাতৃ জটিলতার দিকে পরিচালিত করতে পারে।
কম বয়সের বা কিশোরী গর্ভাবস্থা, বিশেষ করে ১৮ বছরের কমবয়সী নববধূদের মধ্যে, বিভিন্ন জটিলতায় পূর্ণ।
যাঁরা আইনি বয়স বাড়ানোর পক্ষে, তাঁরা আরও বলেন যে প্রথম গর্ভাবস্থার বয়স বিলম্বিত করা স্বাস্থ্যের ভাল ফলাফলের দিকে চালিত করে। যদিও আরও বয়স্ক মায়েদের সাধারণত কম গর্ভধারণের ঝুঁকি থাকে, কারণ তাঁরা প্রায়শই শারীরিক ও মানসিকভাবে সন্তান ধারণের জন্য আরও ভালভাবে প্রস্তুত থাকেন, এই ঝুঁকিগুলি ৩৫ বছর বয়সের পরে আবার বাড়তে শুরু করতে পারে। উপরন্তু, দেরিতে বিয়ে একজন মহিলাকে তাঁর শিক্ষা শেষ করতে দেয়, যা তারপর স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার বৃহত্তর প্রাপ্যতার কারণে আরও ভাল স্বাস্থ্যের দিকে চালিত করতে পারে।
সমালোচকেরা উল্লেখ করেছেন যে বিষয়গুলি এত সহজ নয়। মাতৃস্বাস্থ্য নির্ভর করে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা, সঠিক পুষ্টি, এবং বিস্তারিতভাবে প্রজনন সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষার উপর। এগুলি এমন বিষয় যেখানে ভারত এখনও অনেক পিছিয়ে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়। স্কুলে পড়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামোর উন্নতি না হলে বিয়ের বয়স বাড়ানোর সুবিধা সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশগুলিকে এড়িয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া, যে মহিলারা ২১ বছর বয়সে বিয়ে করেন কিন্তু এখনও স্বাস্থ্যসেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পান না, তাঁরা স্বাস্থ্যের জন্য ততটাই ঝুঁকিপূর্ণ যতটা ১৮ বছর বয়সে বিবাহিতরা।
শিক্ষাগত এবং অর্থনৈতিক প্রভাব
অল্পবয়সী নারীদের জীবনের ফলাফলকে প্রভাবিত করে এমন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল শিক্ষা। বাল্যবিবাহ মেয়েদের স্কুল ছেড়ে দেওয়ার জন্য সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলির মধ্যে একটি। আইনের সমর্থকেরা বিশ্বাস করেন যে বিয়ের বয়স বেশি হলে মেয়েরা তাদের শিক্ষা শেষ করতে, দক্ষতা অর্জন করতে এবং কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য আরও বেশি সময় পাবে। এটি বৃহত্তর অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দিকে চালিত করতে পারে। অধ্যয়নগুলি ধারাবাহিকভাবে দেখায় যে উচ্চশিক্ষার স্তরের মহিলাদের গর্ভনিরোধক ব্যবহার করা, সন্তান জন্মদানে বিলম্ব করা, এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে সচেতন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
পরিসংখ্যানও একথা প্রমাণ করে। এনএফএইচএস-৫ অনুযায়ী, যে সব মহিলা মাধ্যমিক বা উচ্চতর স্তর পর্যন্ত শিক্ষিত, তাঁরা দেরিতে বিয়ে করেন; যে মহিলারা দেরিতে বিয়ে করেন তাঁদের সন্তান কম থাকে, স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলিতে গিয়ে বেশি উপকার পেতে পারেন, এবং তাঁদের শ্রমশক্তিতে যোগদানের সম্ভাবনা বেশি থাকে। ২০১৯-২০ সালে ১৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী মহিলাদের জন্য শ্রম বাহিনীতে অংশগ্রহণের হার (এলএফপিআর) ছিল ৩২.৩ শতাংশ, এটি পুরুষদের ৮১.২ শতাংশের তুলনায় অনেক কম। যদিও বিবাহের বয়স বাড়ানোর এমন বেশ কিছু ইতিবাচক প্রভাব থাকতে পারে যা এলএফপিআর কে প্রভাবিত করবে, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) যুক্তি দেয় যে অন্য কারণগুলিও মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যেমন সামাজিক নিয়ম, অর্থনৈতিক অবস্থা ও শিক্ষা।
আইনের সমর্থকেরা বিশ্বাস করেন যে বিয়ের বয়স বেশি হলে মেয়েরা তাদের শিক্ষা শেষ করতে, দক্ষতা অর্জন করতে এবং কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য আরও বেশি সময় পাবে।
সমালোচকেরা সতর্ক করেছেন যে আইনটির বেশ কিছু অনিচ্ছাকৃত পরিণতি হতে পারে। পরিবারগুলি এখনও আইন অমান্য করতে পারে এবং ২১ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে পারে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে, যেখানে বিয়ের জন্য চাপ থাকে। এর অর্থ হল একটি নতুন আইন শুধুমাত্র ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিমূলক সম্পর্কের অপরাধীকরণ ঘটাবে, এবং বাল্যবিবাহে অবদান রাখার কারণগুলিকে বিবেচনা না করে সমাজে নতুন সমস্যা তৈরি করবে। এমনকি বিভিন্ন বর্ণ বা ধর্মের মধ্যে বিয়ে ঠেকাতে পরিবার এর অপব্যবহার করতে পারে, যার ফলে যুবতী মহিলাদের জন্য হস্তক্ষেপের সুযোগ আরও কমবে।
যে কোনও আইনি সংস্কারের জন্য লিটমাস পরীক্ষা হল এর প্রয়োগ। বহু দশক আগে বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তবুও গ্রামীণ এবং অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে এই প্রথা ব্যাপকভাবে অব্যাহত রয়েছে। এনএফএইচএস-৫ রিপোর্ট করেছে যে চারজন মহিলার মধ্যে এক জনের ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে হয়ে যায়, এমনকি যখন তা আইনত নিষিদ্ধ। এমনকি বৃহৎ নমুনা সমীক্ষায় এও রিপোর্ট করা হয়েছে যে, ২০২১ সালে ১০৫০ টির মতো বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, এবং সেগুলি প্রকৃত বাল্যবিবাহের একটি ছোট অংশ।
চিত্র ১: ভারতে বিবর্তিত বিবাহ আইন, (১), (২), (৩), (৪) এবং (৫), থেকে লেখক দ্বারা সংকলিত
নীতি সুপারিশ
আইনি বিয়ের বয়স বাড়ানো একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হওয়া উচিত, যার লক্ষ্য বাল্যবিবাহের মূল কারণগুলির মোকাবিলা করা, যেমন আর্থ-সামাজিক বৈষম্য, শিক্ষার সুযোগ ও স্বাস্থ্যসেবা। এই দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিবাহকে একটি নিশ্চিত উপায় হিসাবে দেখা হয় যেটি বেশিরভাগ বাবা-মা একটি মেয়ের ভবিষ্যৎ এবং নিজেদেরকে যৌন হয়রানি বা বিবাহপূর্ব সম্পর্কের সামাজিক ঝুঁকি থেকে বাঁচানোর উপায় হিসাবে বিবেচনা করেন। অন্য অনেক পরিবারের কাছে এটি পারিবারিক সম্মানের প্রশ্ন বা যৌতুকের দাবি যুক্তিসঙ্গতভাবে কম রাখার সুযোগ, বিশেষ করে গ্রামীণ পরিবারের জন্য। এই ধরনের সাংস্কৃতিক মনোভাবের রাতারাতি পরিবর্তন হবে না। ভারতে বিবাহ আইনের ক্রমবিকাশের সময়রেখা, যেমন চিত্র ১-এ দেখানো হয়েছে, সামাজিক কাঠামোতে অর্থপূর্ণ পরিবর্তন আনতে দীর্ঘ লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেয়। এটি এ কথাই স্পষ্ট করে যে আইনি কাঠামোকে ক্রমবর্ধমান সামাজিক মানগুলির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এখানে কিছু মূল নীতি সুপারিশ রয়েছে:
১। স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ শক্তিশালী করা: কম বয়সের গর্ভাবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলিকে রোধ করার উপায় হিসাবে মাতৃস্বাস্থ্য, প্রজনন শিক্ষা ও পুষ্টি সহায়তার প্রাপ্তিযোগ্যতা উন্নত করা, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়।
২। শিক্ষামূলক কর্মসূচি উন্নত করা: যে নীতিগুলি মেয়েদের স্কুলে থাকতে উৎসাহিত করে, যেমন স্কলারশিপ ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনের আরও সুযোগ দিয়ে বিবাহ বিলম্বিত করতে পারে।
৩। জনসম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছনো ও সম্পৃক্ততা: বাল্যবিবাহ সম্পর্কিত সামাজিক মনোভাবের পরিবর্তনের জন্য আইন লেখার চেয়ে আরও বেশি কিছু প্রয়োজন। জনস্বাস্থ্য প্রচারাভিযানের প্রয়োজন রয়েছে, পাশাপাশি জনসম্প্রদায়-নেতৃত্বাধীন হস্তক্ষেপেরও প্রয়োজন আছে, যা গভীর-প্রোথিত সাংস্কৃতিক নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে, এবং পরিবারকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে রাজি করাতে পারে।
৪। আইনি সুরক্ষা: ১৮-২১ বছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিমূলক সম্পর্ককে অপরাধমূলক করা এড়াতে আইনটি সতর্কতার সাথে তৈরি করা উচিত। আইনি কাঠামোর উচিত তরুণ মহিলাদের সুরক্ষার সাথে তাদের নিজেদের জীবন বেছে নেওয়ার অধিকারের ভারসাম্য।
আইনি বয়স ২১-এ উন্নীত করলে সমস্যার সমাধান হবে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তর হল, না; সবটাই নির্ভর করে আইন প্রয়োগ করা যাবে কি না তার উপর, বিশেষ করে সেইসব সমাজে যেখানে দারিদ্র্য, ঐতিহ্য ও শিক্ষার অভাবের কারণে কম বয়সে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। সরকার যদি সত্যিকারের পরিবর্তন আনার প্রশ্নে আন্তরিক হয়, তাহলে তাকে দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ কম থাকার মতো মূল বিষয়গুলির মোকাবিলা করতে হবে যা প্রাথমিকভাবে বাল্যবিবাহকে উৎসাহিত করে। আইনি কাঠামোর অত্যধিক-প্রয়োজনীয় পরিবর্তনটি গভীরভাবে অন্তর্নিহিত সামাজিক ধারণাগুলি সংশোধন করার জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে। বৃহত্তর সামাজিক সংস্কার ছাড়া আইনটি অনেকাংশে প্রতীকী হয়ে যেতে পারে।
কে এস উপলব্ধ গোপাল অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্য উদ্যোগের সহযোগী ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.