যখন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জর্জ উয়ে দ্বিতীয় বারের মতো ছ’বছরের মেয়াদে ক্ষমতায় আসার জন্য লড়াই করছেন, তখন ১৪ নভেম্বর লাইবেরিয়ার জনগণ আবার ভোট দিয়ে মতদান করেছেন। নির্বাচনে শীর্ষস্থানীয় দুই প্রার্থী হলেন ৫৭ বছর বয়সি বর্তমান প্রেসিডেন্ট জর্জ উয়ে এবং ৭৮ বছর বয়সি প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোকাই। এই কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এক প্রাক্তন ফুটবল তারকা ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট উয়ে ৪৩.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এবং অন্য দিকে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বোকাই পেয়েছেন ৪৩.৪ শতাংশ ভোট। কোনও প্রার্থীই অন্তত ৫০ শতাংশ ভোটের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারায় দেশটিতে একটি রানঅফ ইলেকশন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে একজন নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেবেন বলে আশা করা যায়। নির্বাচনের সময়ে যথেষ্ট হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং দেশটি ঐতিহাসিক ভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে।
লাইবেরিয়ার নির্বাচন ২০২৩
২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর লাইবেরিয়ার জনগণ গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্ট নির্বাচনে তাঁদের ভোট দেন। বর্তমান নির্বাচনটি ২০০৩ সালে দেশের বিধ্বংসী গৃহযুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে চতুর্থ নির্বাচন। এ বার রেকর্ড হারে দুই মিলিয়ন নিবন্ধিত ভোটার ৪৬টি রাজনৈতিক দল এবং প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়তে থাকা ২০ জন প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। নিবন্ধিত ভোটারদের ৫০ শতাংশ মহিলা হওয়া সত্ত্বেও মাত্র দু’জন নারী প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
বিনিময় ও নগদীকরণের কয়েকটি অভিযোগ ছাড়া নির্বাচনী প্রচার ছিল প্রাণবন্ত ও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে পরিপূর্ণ। জাতীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার ১০,০০০-এর বেশি পর্যবেক্ষক, বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ১০০ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচনটি নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। এ ছাড়াও আফ্রিকান ইউনিয়ন নির্বাচনটি পর্যবেক্ষণ করার জন্য অস্থায়ী কার্যভার দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ডেপুটি প্রেসিডেন্ট ফুমজিল ম্লাম্বো-গুকার নেতৃত্বে ৬০ জন পর্যবেক্ষক মোতায়েন করেছে। পর্যবেক্ষকদের সকলকেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন (এনইসি) স্বচ্ছতার স্বীকৃতি দিয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বিপুল ভোট, দীর্ঘ নিয়মাবলি এবং সেই নিয়মের বাস্তবায়ন ভোটপর্বের গতিকে মন্থর করলেও লাইবেরিয়ার ভোটারদের উচ্চ হারে অংশগ্রহণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি দেশের জনগণের সম্মানকেই প্রদর্শন করে এবং এনইসি কর্মকর্তাদের আচরণও ছিল অত্যন্ত সন্তোষজনক।
লাইবেরিয়ার সহিংস ইতিহাস
পশ্চিম আফ্রিকায় অবস্থিত লাইবেরিয়া আফ্রিকার প্রাচীনতম প্রজাতন্ত্র। তা সত্ত্বেও উপকূলীয় দেশটি বিশ্বব্যাপী স্বল্পোন্নত দেশগুলির অন্যতম হয়েই রয়ে গিয়েছে। দেশটি ১৪ বছর ধরে দু’টি গৃহযুদ্ধের সম্মুখীন হয়েছে (১৯৮৯-২০০৩)। লাইবেরিয়ার গৃহযুদ্ধগুলি আধুনিক ইতিহাসের নিরিখে খারাপতম, যেখানে দেশটির মোট জনসংখ্যার এক-দশমাংশ অর্থাৎ আনুমানিক আড়াই লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গৃহযুদ্ধের সময়ে মাদকাসক্ত কম্যান্ডাররা শিশু সৈন্যদের বাধ্য করেছে তাদের পিতামাতাকে খুন করতে। দেয়াল বা পাথরে ঠুকে শিশুদের মাথা থেঁতলে দেওয়া, আগত শিশুকে মেরে ফেলার জন্য গর্ভবতী নারীদের পেট কেটে দেওয়া এবং বলপূর্বক সাধারণ মানুষকে মানুষের মাংস খেতে বাধ্য করার মতো ভয়ঙ্কর নৃশংস ঘটনা ঘটেছে।
ঐতিহাসিক ভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউএস) এই ব্যাপক গৃহযুদ্ধে নিজেদের জড়ায়নি। বিশ্বের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সময়কালে লাইবেরিয়ার দুর্ভাগ্যজনক সঙ্কট শুরু হয়েছিল।
ঐতিহাসিক ভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউএস) এই ব্যাপক গৃহযুদ্ধে নিজেদের জড়ায়নি। বিশ্বের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সময়কালে লাইবেরিয়ার দুর্ভাগ্যজনক সঙ্কট শুরু হয়েছিল। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত বেশির ভাগ পশ্চিম ইউরোপীয় সরকার পূর্ব ইউরোপে, বিশেষ করে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতন্ত্রের পতন নিয়েই ব্যস্ত ছিল। পূর্ব ও পশ্চিমের মিলন এবং পরবর্তী যুগোস্লাভিয়ান সংঘাত উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইউরোপ উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক উত্থান-পতনের সম্মুখীন হচ্ছিল। ইউরোপ একই ভাবে অন্যত্র ঘটা সংঘাতের দিকে খুব কমই মনোযোগ দিতে পেরেছে। কারণ মহাদেশটি তার নিজস্ব অভ্যন্তরীণ চাপানউতোরেই জর্জরিত ছিল। সর্বোপরি লাইবেরিয়া সেই সময়ে ইউরোপের কাছে কৌশলগত বা সামরিক ভাবে তেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল না।
নির্বাচনের প্রধান কর্মসূচি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বার্ষিক দুর্নীতি অনুমানমূলক সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে লাইবেরিয়া ১৪২তম স্থানে রয়েছে, যা আসলে ইঙ্গিত করে যে, সে দেশে দুর্নীতি সর্বব্যাপী অব্যাহত। প্রেসিডেন্টের চিফ অফ স্টাফ নাথানিয়েল ম্যাকগিল-সহ তিন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর উপর মার্কিন ট্রেজারি দ্বারা আরোপিত নিষেধাজ্ঞার পরে প্রেসিডেন্ট উয়ে গত বছর তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে বাধ্য হন। অভিযোগের তিনটিই সন্দেহজনক চুক্তি এবং জনস্বার্থে ব্যবহৃত তহবিল অপব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এ ছাড়াও, কোভিড-১৯ অতিমারি এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে দেশটিতে খাদ্য ও জ্বালানির দাম তীব্র হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। জুন মাসে প্রায় দু’বছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতির হার ১২.৪ শতাংশ অর্থাৎ সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বার্ষিক দুর্নীতি অনুমানমূলক সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে লাইবেরিয়া ১৪২তম স্থানে রয়েছে, যা আসলে ইঙ্গিত করে যে, সে দেশে দুর্নীতি সর্বব্যাপী অব্যাহত।
পুনরায় নির্বাচিত হলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট নতুন রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে ক্ষমতা, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং শিক্ষার লভ্যতাকে উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশকে উন্নত করার জন্য তিনি ঋণ কমানো, মার্কিন ডলারের তুলনায় লাইবেরীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন বন্ধ করা এবং মূল্যস্ফীতিকে ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম এমন বেশ কিছু অর্থনৈতিক ও আর্থিক নীতি প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অন্য দিকে, এলেন জনসন সারলিফের ডেপুটি বোকাই সমর্থন পাওয়ার জন্য জনসাধারণের মধ্যে উয়ে-বিরোধী মনোভাবের সদ্ব্যবহার করেছেন। তিনি কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা, দেশের অবকাঠামো উন্নত করা এবং সর্বোপরি লাইবেরিয়াকে উয়ে সরকার কর্তৃক অপব্যবহার করার অভিযোগ থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হিংসামূলক ঝুঁকি
যথেষ্ট প্রশাসনিক ত্রুটি এবং বিভাজনমূলক বক্তব্য থাকা সত্ত্বেও লাইবেরিয়ায় সংঘর্ষ-পরবর্তী দু’টি নির্বাচনের সময় খুব কমই রক্তপাত হয়েছিল (২০০৫ এবং ২০১১ সালে)। উপরন্তু, ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল লাইবেরিয়ার সব অর্থাৎ ৪৬টি রাজনৈতিক দল সংস্কারকৃত ফার্মিংটন রিভার ডিক্লেয়ারেশন ২০২৩-এ স্বাক্ষর করেছে, যা নির্বাচনের আগে ও পরে আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যাই হোক অক্টোবরের নির্বাচনের এক মাস আগে ক্ষমতাসীন কোয়ালিশন ফর ডেমোক্র্যাটিক চেঞ্জ (সিডিসি) এবং বিরোধী ইউনিটি পার্টির সদস্যদের মধ্যে দেশের বিভিন্ন অংশে হিংসামূলক সংঘর্ষ ঘটে। এ ছাড়া লোফা কাউন্টিতে এই প্রাক-নির্বাচন হিংসার ফলে কমপক্ষে দু’জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন।
এই নির্বাচনের তাৎপর্য
লাইবেরিয়ার নির্বাচনকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম উপেক্ষা করলেও তা দেশটির জন্য নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ্য ছিল। লাইবেরিয়ার সমসাময়িক গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ইতিহাসে ভোটের এই পর্যায়টিও ছিল অতুলনীয়। উপরন্তু, এটি একটি সংঘাতের পরে অনুষ্ঠিত এমন প্রথম সাধারণ নির্বাচন যা রাষ্ট্রপুঞ্জ (ইউএন) বা ইকোনমিক কমিউনিটি অফ ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটের (ইসিওডব্লিউএএস) মতো কোনও বিদেশি অংশীদারের নিরাপত্তা বাহিনীর সাহায্য ছাড়াই সম্পূর্ণ ভাবে লাইবেরীয় সংস্থাগুলি দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।
প্রকৃতপক্ষে, দুই প্রার্থীর মধ্যে একটি নতুন নির্বাচন ২০১৭ সালের নির্বাচনেরই পুনরাবৃত্তি ঘটাবে। সেই সময় উয়ে সহজেই দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬১.৫৪ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। যাই হোক, জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় ও ব্যাপক দুর্নীতি তাঁর সমর্থন হ্রাস করেছে এবং বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে, উভয় প্রতিযোগীরই জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ভবিষ্যৎ যা-ই হোক না কেন, এ কথা প্রত্যাশিত যে, ফলাফল খুব দ্রুতই প্রকাশ্যে আসবে।
সামনের পথ
লাইবেরিয়ার নির্বাচন ২০০৩ সালের আক্রা শান্তি চুক্তির ২০তম বার্ষিকীতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা লাইবেরিয়ার দ্বিতীয় গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায়। পরবর্তী পর্যায়ের ফলাফল যত এগিয়ে আসবে, তত হিংসামূলক ঘটনা বাড়তে থাকবে… এ নিয়ে কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করলেও এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে, ২০১৮ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রস্থানের পরে লাইবেরিয়ায় এটিই এখনও পর্যন্ত একটি শান্তিপূর্ণ এবং ব্যাপক ভাবে সুষ্ঠু প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রমাণ করেছে যে, দেশটি গণতান্ত্রিক ভাবে একটি অস্থির অঞ্চলের সম্মুখীন প্রতিকূলতাকে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন এই মুহূর্তে লাইবেরিয়ার জন্য নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব। কারণ দেশটি সবেমাত্র দু’টি ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ থেকে বেরিয়ে এসে এগোনোর চেষ্টায় ব্রতী। পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, লাইবেরিয়া তার ঐতিহাসিক ভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
গিনি, মালি, বুরকিনা ফাসো এবং গ্যাবনে সাম্প্রতিক সামরিক অভ্যুত্থান, সিয়েরা লিওনে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ এবং আইভরি কোস্টের পুনঃনির্বাচনের তৃতীয় মেয়াদে ওউত্তারার সাফল্যকে ঘিরে অস্থিরতার মাঝেই লাইবেরিয়ায় গণতান্ত্রিকতার পিছু হঠার বেশ কিছু স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। অভ্যুত্থান দ্বারা জর্জরিত মহাদেশটির জন্য এই নির্বাচন আশাবাদের এক ঝলক প্রদান করে এবং এই নির্বাচনটি আফ্রিকা ও লাইবেরিয়ার জন্য বিশেষ ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ উভয় দেশই নাগরিক সংঘাতের শিকার হয়েছে। লাইবেরিয়া আসলে একটা বাঁকবদলকারী সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন এই মুহূর্তে লাইবেরিয়ার জন্য নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব। কারণ দেশটি সবেমাত্র দু’টি ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ থেকে বেরিয়ে এসে এগোনোর চেষ্টায় ব্রতী। পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, লাইবেরিয়া তার ঐতিহাসিক ভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
সমীর ভট্টাচার্য বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.