হিমবাহের ৯০ শতাংশ জলের নিচে এবং ১০ শতাংশ জলের উপরে থাকে। জন বিশ্বাস (বিধানের সংশোধনী) বিল, ২০২৩, যা অগস্টের প্রথম সপ্তাহে সংসদে পাশ করা হয়েছে, তা হিমবাহের দৃশ্যমান অংশটিরও পুরোটা নয়। বিলটি যতগুলি বিধান সংশোধনে উদ্যোগী হয়েছে তার সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় পরিসংখ্যানগতভাবে নগণ্য। তা সত্ত্বেও এটি সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী নীতি পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি, সবচেয়ে বড় সংস্কারগুলির মধ্যে একটি, এবং সাম্প্রতিক সময়ে উদীয়মান ভারতের জন্য একটি সম্ভাব্য গেম–চেঞ্জার৷
সংসদে জন বিশ্বাস (বিধানের সংশোধন) বিল, ২০২৩ পাশ হওয়া থেকে চারটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পাওয়া গিয়েছে৷ প্রথমত, ব্যক্তিগত নেতৃত্ব সংস্কারের মূল পার্থক্য–রচনাকারী ও চালিকাশক্তি হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, সরকারের একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক জনাদেশ থাকা সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের পন্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে ধীরে ধীরে ক্রমিক পরিবর্তন। তৃতীয়ত, প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিই জ্ঞানকে সংস্কার কর্মের সঙ্গে যুক্ত করে গতি দেয়। এবং চতুর্থত, ভালভাবে গবেষিত ধারণাগুলি সংস্কারের জন্য নতুন মঞ্চ হয়ে উঠছে। একত্রে এগুলি কমপ্লায়েন্স রিফর্ম বা অনুবর্তিতা সংস্কারের জন্য একটি কাঠামো তৈরি করে, যা আরও দীর্ঘ পথ অতিক্রম করলে তবে ভারতে ব্যবসা করার স্বাচ্ছন্দ্যকে বড়সড়ভাবে প্রভাবিত করতে পারবে। বিলটি বর্তমানে আইনে পরিণত হওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির নিয়মমাফিক সম্মতির অপেক্ষায় আছে।
বিলটি আধুনিক অর্থনীতির প্রয়োজনের সঙ্গে দেশের আইনি পরিকাঠামোর এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গতিসাধন করে যা, সমস্ত ইঙ্গিত অনুসারে, এই দশকের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম হয়ে উঠতে পারে।
এই বিলটি কারাদণ্ডের ধারাগুলি অপসারণ বা তার জায়গায় আর্থিক জরিমানা ও শাস্তির বিধানের জন্য একটি দ্বিধাগ্রস্ত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দ্বিধাগ্রস্ত, কারণ বিলটি শুধু উপর উপর কিছু চেষ্টা করেছে। যেখানে সামগ্রিকভাবে ব্যবসাগুলিকে প্রভাবিত করে এমন মোট ২৬,১৩৪টি কারাদণ্ডের ধারা রয়েছে, বিলটি তাদের অর্ধ শতাংশেরও কম বিধানকে ফৌজদারি অপরাধের আওতার বাইরে এনেছে। তবুও বিলটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অযৌক্তিক অনুবর্তিতাকে অপরাধমুক্ত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত পদক্ষেপ, যা তাকে নির্মূল করতে না–পারলেও যে ভয়ঙ্কর ইন্সপেক্টর রাজ গত ৭৫ বছর ধরে ছোট ছোট উদ্যোগের উপর জোর করে টাকা আদায়ের চক্র চালাচ্ছে তাকে কিছুটা কমাতে পারে। তা ছাড়াও বিলটি আধুনিক অর্থনীতির প্রয়োজনের সঙ্গে দেশের আইনি পরিকাঠামোর এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গতিসাধন করে যা, সমস্ত ইঙ্গিত অনুসারে, এই দশকের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম হয়ে উঠতে পারে।
সংক্ষেপে বললে, বিলটি ১৮৩টি অনুবর্তিতাকে ফৌজদারি অপরাধমুক্ত করেছে। এর মধ্যে ১১৩টি ব্যবসা করার সময় নিয়োগকর্তার অনুবর্তিতা সম্পর্কিত। এটি ব্যবসায়ীরা মোট যে ২৬,১৩৪টি কারাদণ্ডের ধারার সম্মুখীন হন তার ০.৪ শতাংশ। অন্য কথায়, ২৬,০২১টি ধারাকে যুক্তিযুক্ত করার কাজ বাকি আছে। আমরা ‘বাদ দেওয়ার’ বদলে ‘যুক্তিযুক্ত করা’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করি, কারণ সমস্ত ধারাকে অপরাধমুক্ত করার প্রয়োজন নেই। ইচ্ছাকৃত অবহেলা ও অসদাচরণের জন্য ব্যবসায়িক উদ্যোক্তাদের দায় বহন করতেই হবে। যদি ইচ্ছাকৃত কর ফাঁকি, ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবেশগত ক্ষতি, কর্মীদের জীবন বা অঙ্গ–প্রত্যঙ্গের সম্ভাব্য ক্ষতি, অথবা খাদ্য বা ওষুধের পণ্যে আপস করা হয়, তবে তার জন্য কারাদণ্ডের ধারা প্রয়োজন।
বিল অনুসারে, ১০০ বছরের পুরনো বয়লার আইন, ১৯২৩ –এর ধারা ২৪–এর অধীনে ছয়টি বিধানের জন্য দুই বছরের কারাদণ্ড বাদ দেওয়া হয়েছে, এবং বয়লারের অবৈধ ব্যবহারের জন্য জরিমানা এখন ১ লাখ টাকা। তুলনামূলকভাবে আরও সাম্প্রতিক ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্ট, ২০০৬ –এর দুটি বিধান — মিথ্যা তথ্য প্রদান (ধারা ৬১), যার জন্য তিন মাসের কারাদণ্ড হত, এবং লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা পরিচালনা করা (ধারা ৬৩), যার জন্য ছয় মাসের কারাদণ্ড হত — ফৌজদারি অপরাধের আওতা থেকে মুক্ত হয়েছে। একইভাবে লিগ্যাল মেট্রোলজি অ্যাক্ট, ২০০৯ এর অধীনে ধারা ২৫ (মানসঙ্গত নয় এমন ওজন ও পরিমাপের ব্যবহার) এবং আধার (আর্থিক ও অন্যান্য ভর্তুকি, সুবিধা ও পরিষেবাগুলির লক্ষ্যযুক্ত বিতরণ) আইন, ২০১৬–র অধীনে ধারা ৪১ (তথ্যপ্রদান সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণে ব্যর্থতা) ফৌজদারি অপরাধমুক্ত করা হয়েছে৷
ইচ্ছাকৃত অবহেলা ও অসদাচরণের জন্য ব্যবসায়িক উদ্যোক্তাদের দায় বহন করতেই হবে৷
যে ধারাগুলি ব্যবসাকে প্রভাবিত করে, সেগুলিকে অপরাধের আওতা থেকে বাদ দেওয়ার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০–এর ধারা ৬৬ক বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে জন বিশ্বাস (বিধানের সংশোধন) বিল ২০২৩–এর প্রভাব৷ ২৪ মার্চ ২০১৫ সালে একটি রায়ে সুপ্রিম কোর্ট এই বিধানটিকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছিল৷ তবে পুলিশ নাগরিকদের গ্রেপ্তারে এই ধারাটির ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে। এখন, জনবিশ্বাস বিল পাশ হওয়ার পর এই ধারায় গ্রেপ্তার শেষ পর্যন্ত বন্ধ হবে।
জন বিশ্বাস বিল থেকে চারটি শিক্ষা
বিলটিতে চারটি শিক্ষা রয়েছে।
শিক্ষা ১: ব্যক্তি নেতৃত্বের গুরুত্ব
প্রথম শিক্ষা হল সংস্কার নিয়ে নেতৃত্বের প্রত্যয়। জেলড ফর ডুয়িং বিজনেস,, একটি প্রতিবেদন যা ভারতের ব্যবসায়িক আইনে অত্যধিক কারাদণ্ডের ধারাগুলিকে তুলে ধরে, তা প্রকাশিত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন এবং এই অনুবর্তিতা সংস্কারের নেতৃত্ব দেন। তিনি প্রতিবেদনে তুলে ধরা তথ্য দেখে হতবাক হয়েছিলেন, এবং অবিলম্বে সংস্কার শুরু করেছিলেন। তিনি শুধু সংস্কারের জন্যই চাপ দেননি, বরং তার পরিধিতে শুধু ব্যবসা নয়, জীবনযাত্রার স্বাচ্ছন্দ্যকেও অন্তর্ভুক্ত করেছেন (উদাহরণ, তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০–এর ধারা ৬৬ক)। এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বিভিন্ন সচিবদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের পর নীতি আয়োগের তৎকালীন সিইও অমিতাভ কান্তের অধীনে ‘ভারতে ব্যবসা করার স্বাচ্ছন্দ্যের লক্ষ্যে অননুবর্তিতাগুলিকে ফৌজদারি অপরাধমুক্ত করা’র জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কান্ত সমস্ত প্রাসঙ্গিক মন্ত্রককে এক ছাতার নীচে একত্র করেন, এবং রাজনৈতিক ইচ্ছাকে নীতির আকার দেন। যদিও তিনি জি২০–র শেরপার ভূমিকা নেওয়ার জন্য মাঝপথে চলে গিয়েছিলেন, কাজটি কিন্তু অব্যাহত ছিল এবং ১০ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বিলটি প্রথম সংসদে পেশ করা হয়েছিল ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে।
শিক্ষা ২: প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো সক্ষমতা দেয়
দ্বিতীয় শিক্ষা হল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলির একত্রীকরণ। কমিটির সুপারিশ ও পরবর্তীতে উপস্থাপনের পর বিলটি সংসদের উভয় কক্ষের যৌথ কমিটির কাছে পাঠানো হয়। নয়টি বৈঠকে পি পি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ৩১ সদস্যের কমিটি ১৯টি মন্ত্রক ও বিভাগের ধারা ধরে ধরে পরীক্ষার পর ১০৫টি সুপারিশ করে। এর মধ্যে সাতটি সাধারণ, যার মধ্যে ছয়টি গৃহীত হয়েছে; এবং বাকি ৯৮টি হচ্ছে নির্দিষ্ট বিধান। জরিমানার বিধানগুলি আর্থিক শাস্তি দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছে; যেসব বিধানে কারাদণ্ড ও জরিমানা উভয়ই নির্ধারিত ছিল, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেগুলি আর্থিক শাস্তি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে; এবং যেখানে উল্লেখযোগ্য জনস্বার্থ ঝুঁকি ছিল সেগুলিকে আরও কঠোর করা হয়েছে। বিলটি গত বাদল অধিবেশনে আবার উত্থাপন করা হয়েছিল, এবং পরবর্তীতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির সমস্ত কণ্ঠকে একত্র করে লোকসভা ও রাজ্যসভা তা পাস করেছিল।
শিক্ষা ৩: ক্রম–পরিবর্তন হল গতকালের কথোপকথন
তৃতীয় শিক্ষা হল একটি নীতি ক্রম–পরিবর্তনবাদ। সংসদে রাজনৈতিক গরিষ্ঠতা দ্বারা চালিত রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও কার্যকর করার শক্তিশালী অভিপ্রায় সত্ত্বেও বিলটি একটি সাহসী যুগান্তকারী সংস্কারের পরিবর্তে ক্রম–পরিবর্তনের পথ নিয়েছে: মোট ২৬,১৩৪টির মধ্যে মাত্র ১১৩টি (০.৪ শতাংশ) ধারাকে ফৌজদারি অপরাধমুক্ত করা হয়েছে, এবং ৫,২৩৯টি ধারাকে (২.২ শতাংশ) কেন্দ্রীয় স্তরে ফৌজদারি অপরাধমুক্ত করা হয়েছে। আর যদি আমরা কেন্দ্রীয় শ্রম আইনের ৫৩৪টি কারাদণ্ডের ধারা পৃথক করি, যা শ্রম কোডগুলি নোটিফায়েড হওয়ার পরে পরিবর্তিত হবে, তাহলে দেখা যায় সংসদে যুক্তিযুক্তকরণের অপেক্ষায় ৪,৭০৫টি কারাদণ্ডের ধারা রেখে দেওয়া হয়েছে। ১১৩টি ধারা হল সমগ্রের মাত্র ২.৪ শতাংশ। এটি একটি সুযোগের অপচয়, যেমন প্রভাবের দিক থেকে, তেমনই বাণিজ্যিক উদ্যোক্তাদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হতে পারে এমন একটি সরকারের জন্য আখ্যানের পরিসরেও। সম্ভবত, ২০২৪–এর নির্বাচনী লড়াইয়ের কারণে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্কতার অনুপ্রবেশ ঘটেছে, এবং তা যুক্ত হয়েছে আইন প্রণয়নের ঝুঁকির সঙ্গে, যা মোটেই আজকের রাজনীতির বা অন্যথায় দৃঢ় সংস্কারবাদী সরকারের পদক্ষেপের জন্য উপযুক্ত নয়।
শিক্ষা ৪: একটি ভাল ধারণা তার নিজস্ব স্থান তৈরি করে নেবে
চূড়ান্ত শিক্ষা হল সরব হওয়ার অভিপ্রায় এবং সেইসঙ্গে অ্যাকাডেমিয়া ও সুশীল সমাজের কণ্ঠ শোনার জন্য সরকারের প্রমাণিত ক্ষমতা। ৭৫ বছর ধরে আমরা ‘ইন্সপেক্টর রাজ’ অভিব্যক্তিটি শুনেছি। অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন–এর রিপোর্ট ‘জেলড ফর ডুয়িং বিজনেস’ সমস্যাটিকে তীক্ষ্ণভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে এবং সুনির্দিষ্ট নীতিগত সমাধান প্রদান করেছে। এটি প্রকৃতপক্ষে এগিয়ে যাওয়ার পথ, এবং তা দেখা গেল একটি ধারণা থেকে একটি আইনে পরিবর্তিত হওয়ার মধ্যে, যা ভবিষ্যৎ সংস্কারের একটি কাঠামো দেয়। অন্য কথায়, যদি নাগরিক কণ্ঠস্বর শোনানোর প্রয়োজন হয়, তবে ক্ষোভ প্রকাশ না-করে গবেষণা শুরু করতে হবে। একটি সুচিন্তিত ধারণা নিজেই নিজের জন্য নীতি পরিসর তৈরি করে নেবে।
চূড়ান্ত শিক্ষা হল সরব হওয়ার অভিপ্রায় এবং সেইসঙ্গে অ্যাকাডেমিয়া ও সুশীল সমাজের কণ্ঠ শোনার জন্য সরকারের প্রমাণিত ক্ষমতা।
যদিও আমরা এই ছোট কিন্তু সম্ভাবনাময় রূপান্তরমূলক বিজয় উদযাপন করছি, এখানে এমন কিছু সংখ্যা রয়েছে যা ভারতের অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারকেরা তাঁদের সুরে বাণিজ্যিক উদ্যোক্তাদের সুর মেলাতে যে শক্তি ব্যয় করছেন তা প্রদর্শন করে। গত বছরে অনুবর্তিতায় ৬,৮৭০টি পরিবর্তন হয়েছে; গত ত্রৈমাসিকে ১,৯৬৪টি; গত মাসে ৬৫২টি; এবং আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ২২৫টি। এগুলি হয়েছে বিদ্যুৎ, শ্রম ও কর্মসংস্থান, রাসায়নিক ও সার, এবং আইন ও বিচার মন্ত্রকে, নিয়ামক যেমন আরবিআই, সেবি ও সিবিআইসি–তে এবং মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও কর্ণাটক সহ রাজ্যগুলিতে৷ এটা বন্ধ করা প্রয়োজন। নীতির অনিশ্চয়তা কাউকে সাহায্য করে না।
আমাদের চাকরির নিয়োগকর্তাদের এবং চাকরিপ্রার্থীদের আরও ভাল কিছু প্রাপ্য। ভারতের ৬৩ মিলিয়ন উদ্যোগের মধ্যে মাত্র ১ মিলিয়ন (১.৫ শতাংশ) সামাজিক নিরাপত্তার জন্য নিবন্ধিত হয়েছে; মাত্র ০.৫ মিলিয়ন (০.৮ শতাংশ) সক্রিয়ভাবে সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান করে; মাত্র ৭০,০০০ বা ০.১ শতাংশের আয় ৫ কোটির বেশি; এবং মাত্র ২২,৫০০ (০.০৪ শতাংশ)–র পেড আপ শেয়ার ক্যাপিটাল ১০ কোটির বেশি। এই সংখ্যা মাত্র দ্বিগুণ হলে ভারত কেমন হবে তা কল্পনা করুন। ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার জিডিপি-র প্রত্যাশার জন্য আমাদের আইন প্রণেতাদের আরও বড় পরিসরে কাজ করতে হবে। জন বিশ্বাস বিল একটি দুর্দান্ত সূচনা, এর একটি শক্তিশালী কাঠামো রয়েছে, এবং এটি এক শক্তিশালী রাজনৈতিক ইচ্ছা দ্বারা সমর্থিত। কিন্তু অনুবর্তিতা হিমবাহ গলানো ও তাকে রূপান্তরের যাত্রাটি দীর্ঘ, খাড়াই ও কঠিন।
গৌতম চিকারমানে অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
ঋষি আগরওয়াল অ্যাভানটিস রেগটেক–এর সহ–প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.