জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া একে অপরের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রেক্ষিতে অন্যতম দুই প্রধান শক্তি। উভয় দেশেরই গণতন্ত্র, আইনের প্রশাসন এবং মানবাধিকারের প্রতি অভিন্ন অঙ্গীকার রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের প্রাইম মিনিস্টাররা নিজেদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আন্তঃসহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে গত ২২ অক্টোবর একটি জয়েন্ট ডিক্লেরেশন অন সিকিউরিটি কোঅপারেশন বা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংক্রান্ত সংশোধিত যৌথ ঘোষণাপত্র (জেডিএসসি) স্বাক্ষর করেন। ২০০৭ সালের নিরাপত্তা সহযোগিতা সংক্রান্ত সংশোধিত যৌথ ঘোষণা (জেডিএসসি) এবং ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত জাপান-অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির পর তাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর হয়েছে।
জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া উভয় দেশেরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউএস) এবং ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো অন্যান্য দেশের সঙ্গে শক্তিশালী এবং ঘনিষ্ঠ জোট রয়েছে। দুই দেশই তাদের নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব নির্মাণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে সীমান্ত নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন, আইন প্রয়োগ, নিরস্ত্রীকরণ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং মানবিক সহায়তামূলক কার্যক্রম। প্রতি বছর তারা নিজেদের বিদেশমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে ২+২ আলোচনায় যোগদান করে এবং ২০২১ সালের এই দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় উভয় দেশই একটি অবাধ, স্বাধীন এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রচারের উদ্দেশ্যে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
জাপানের প্রাইম মিনিস্টার ফুমিও কিশিদা এবং অস্ট্রেলীয় প্রাইম মিনিস্টার অ্যান্টনি আলবানিজ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার জন্য একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেখানে এই সংক্রান্ত সমস্যাগুলির শান্তিপূর্ণ সমাধান করা হবে।
জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত আন্তঃসহযোগিতার বিষয়ে সম্প্রতি সংশোধিত যৌথ ঘোষণায় সামরিক, সাইবার নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা তথ্য-সহ বেশ কয়েকটি দিক অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই পরিবর্তনটি মূলত চিনের আগ্রাসী আচরণ এবং দৃঢ় মনোভাব দ্বারা চালিত হয়েছে। এই ঘোষণা দুই দেশের মধ্যে রেসিপ্রোকাল অ্যাক্সেস চুক্তির (আরএএ) সূচনা করে, যা ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে স্বাক্ষরিত হয়েছিল এবং দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে আন্তঃসহযোগিতাকে গভীরতর করেছিল। জাপানও ঘোষণা করেছে যে, তার স্ব-প্রতিরক্ষা বাহিনী বা সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সেস (এসডিএফ) অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যৌথ ভাবে সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে। জাপানের প্রাইম মিনিস্টার ফুমিও কিশিদা এবং অস্ট্রেলীয় প্রাইম মিনিস্টার অ্যান্টনি আলবানিজ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার জন্য একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেখানে এই সংক্রান্ত সমস্যাগুলির শান্তিপূর্ণ সমাধান করা হবে। কৌশলগত বিন্যাস এবং আন্তঃকার্যকারিতার নিরিখে উভয় দেশেরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের আন্তঃসহযোগিতা বৃদ্ধি করা অত্যাবশ্যক। উভয় দেশই একটি সুরক্ষিত ও স্থিতিশীল অঞ্চলের জন্য ইন্দো-প্যাসিফিকের আসিয়ান-কেন্দ্রিকতা এবং আসিয়ান দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন জোগায়।
অস্ট্রেলিয়া জাপানকে তার ঘনিষ্ঠতম নিরাপত্তা সংক্রান্ত অংশীদারদের অন্যতম করে তোলার উদ্দেশ্যে গভীর ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা বিশেষ করে দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্কের মধ্যেই নিহিত। অর্থনৈতিক সহযোগিতার পরিপ্রেক্ষিতে জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া তাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত অগ্রগতির জন্য স্থিতিস্থাপক সরবরাহ শৃঙ্খল তৈরি করার লক্ষ্য রেখেছে, যার মধ্যে দূষণমুক্ত শক্তি প্রযুক্তি এবং মানসম্পন্ন পরিকাঠামো অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এ ছাড়াও ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কট উভয় দেশের শক্তি সংক্রান্ত নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলেছে। ফলে তাদের এ বিষয়ে ঘনিষ্ঠতর আন্তঃসহযোগিতার প্রয়োজন। এলএনজি, ক্রিটিক্যাল মিনারেল এবং হাইড্রোজেনে জাপানের প্রবেশাধিকারের মাধ্যমে শক্তি সংক্রান্ত নিরাপত্তাও বৃদ্ধি পাবে। কারণ জাপান ও অস্ট্রেলিয়া উভয়েরই লক্ষ্য হল ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা। রেয়ার আর্থের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ-সহ জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে খনিজ সংক্রান্ত একটি অংশীদারিত্ব জাপানি নির্মাতাদের সরবরাহ শৃঙ্খল জোরদার করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি উভয় দেশই তাদের সাইবার প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।
রেয়ার আর্থের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ-সহ জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে খনিজ সংক্রান্ত একটি অংশীদারিত্ব জাপানি নির্মাতাদের সরবরাহ শৃঙ্খল জোরদার করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এই সংশোধিত নিরাপত্তা ঘোষণায় জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ২+২ আলোচনার উপর জোর দেওয়া হয় এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলির উপর মনোনিবেশ করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয় যা এই সংশোধিত ঘোষণাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। ২০০৭ সালে স্বাক্ষরিত ঘোষণাটি দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যাপক আন্তঃসহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করেছিল এবং সংশোধিত ঘোষণাটি একটি অনোন্যক অধিকার সংক্রান্ত চুক্তি (রেসিপ্রোকাল অ্যাক্সেস এগ্রিমেন্ট) বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে। জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সম্পর্কের উন্নয়ন অত্যাবশ্যক। কারণ ২০০৭ সালের ঘোষণার সময় জাপানের সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার কারণে যৌথ আত্মরক্ষা করার অধিকার ছিল না। এর পাশাপাশি জাপান ২০১৫ সালে শান্তি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি আইন প্রণয়ন করে, যা জাপানের আত্মরক্ষা বাহিনীকে দেশের সামরিক কর্মীদের রক্ষা করা এবং প্রাণঘাতী পরিস্থিতিতে সম্মিলিত আত্মরক্ষার অধিকার প্রদান করে। সুতরাং জরুরি পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সহায়তা করার অধিকার এসডিএফ-এর রয়েছে।
জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঘোষণার নেপথ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলির অন্যতম হল চিনের হুমকি। কারণ উভয় দেশ একটি অবাধ ও স্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিকের পাশাপাশি একটি নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা বজায় রাখার চেষ্টা করে। অ্যান্টনি আলবানিজ এবং কিশিদার মধ্যে যৌথ বিবৃতিতে তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিকেও প্রভাবিত করবে। ইউক্রেন সঙ্কট শুরু হওয়ার পর থেকে জাপান জ্বালানি নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছে এবং অস্ট্রেলিয়া জাপানের জ্বালানি সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে। এর পাশাপাশি জাপান তার ভবিষ্যৎ প্রয়োজনের জন্য তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সংগ্রহ করতে আগ্রহী, যা জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার নেতাদের মধ্যে বৈঠকে আলোচিত হয়েছে।
অ্যান্টনি আলবানিজ এবং কিশিদার মধ্যে যৌথ বিবৃতিতে তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিকেও প্রভাবিত করবে।
চিনের আগ্রাসী আচরণের মাঝেই ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে তৈরি হওয়া অউকাসের মতো একটি ত্রিপাক্ষিক নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের উত্থান ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্ষুদ্রতর সহযোগিতাকে শক্তিশালী করে তুলেছে। অউকাসের লক্ষ্য হল প্রযুক্তি বণ্টন, শিল্পের ভিত্তি ও সরবরাহ শৃঙ্খলগুলিকে গভীরতর করে তোলার জন্য প্রচার চালানো এবং সংশ্লিষ্ট তিনটি দেশের মধ্যে যৌথ কার্যক্ষমতা এবং আন্তঃকার্যকারিতার বৃদ্ধি করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় আক্রমণাত্মক পারমাণবিক ডুবোজাহাজ তৈরিতে অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তে জাপান যারপরনাই অবাক হয়েছিল। এই চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত করার জন্য অস্ট্রেলিয়ার দায়িত্ব বৃদ্ধি করা, যা জাপান দ্বারা প্রশংসিত হয়। এর পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার পারমাণবিক শক্তিচালিত ডুবোজাহাজগুলি চিনের কার্যকলাপের নিরিখে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য দক্ষিণ চিন সাগরে নজরদারি চালাবে। অউকাস ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ব্রিটেনের সম্পৃক্ততাকেও সুদৃঢ় করে তুলবে যা জাপানকে ব্রিটেনের সঙ্গে তার প্রতিরক্ষা চুক্তিকে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করবে। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের সপ্তম পারমাণবিক ডুবোজাহাজ শক্তিতে পরিণত হতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার পাশাপাশি অ-সম্প্রসারণ নীতির প্রতি জাপানের আগ্রহের উপর প্রভাব ফেলবে।
সর্বোপরি ডুবোজাহাজ বিরোধী যুদ্ধকৌশল গড়ে তোলায় অস্ট্রেলীয় ক্ষমতা এ কথাই দর্শায় যে, দেশটি পূর্ব এশীয় সমীকরণ এবং দক্ষিণ চিন সাগরে অংশগ্রহণ করবে। এই পদক্ষেপ চিনা হামলাকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে জাপানের নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক হয়ে উঠতে পারে। অউকাস জাপানের জন্য তার প্রতিরক্ষা প্রচেষ্টা বাড়ানো এবং অন্য সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে অবাধ এবং স্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বজায় রাখার ক্ষেত্রে এক অনন্য উদাহরণ।
সর্বোপরি ডুবোজাহাজ বিরোধী যুদ্ধকৌশল গড়ে তোলায় অস্ট্রেলীয় ক্ষমতা এ কথাই দর্শায় যে, দেশটি পূর্ব এশীয় সমীকরণ এবং দক্ষিণ চিন সাগরে অংশগ্রহণ করবে।
কোয়াডের ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং প্রভাব তার সদস্য দেশগুলির মধ্যে উন্নততর নিরাপত্তা চুক্তির সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলেছে, যেমনটা ভারত-জাপান এবং জাপান-অস্ট্রেলিয়া চুক্তির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে। জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া এমন দু’টি দেশ, যারা কার্যকর শক্তি প্রবাহকে তাদের জাতীয় নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে বিবেচনা করে এবং সেই কারণে তারা শক্তির বলয়ে তাদের অংশীদারিত্ব গভীরতর করে তোলার চেষ্টা চালাবে। গ্যাস এবং কয়লার মতো প্রাকৃতিক সম্পদ রফতানিতে বৈচিত্র্য আনার জন্য অস্ট্রেলিয়া চিনের উপর নির্ভরতার অবসান ঘটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে এবং জাপান তার কাছে একটি লাভজনক বিকল্প হয়ে উঠছে। জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া উভয় দেশই উল্লেখ করেছে যে, তারা একে অপরের কৌশলগত লক্ষ্যে সহায়তা করার জন্য তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে নিজেরা প্রস্তুতি নিচ্ছে, যেখানে তারা একই ধরনের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য মার্কিন সমর্থনকে গুরুত্ব দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী জোটদেশগুলির মধ্যে জাপান অন্যতম এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়া জোটও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল ও সারা বিশ্বে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের জোট বজায় রেখে চলা জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া উভয়ের জন্যই লাভজনক যা টোকিও-ক্যানবেরার সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠতর করে তুলবে এবং নিয়মভিত্তিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। ক্রমবর্ধমান বৃহৎশক্তি প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঝে জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া-সহ অন্য আঞ্চলিক শক্তিগুলির জন্য ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.