Published on Jun 02, 2023 Updated 0 Hours ago

এ বছরের শেষ নাগাদ ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে একটি ফেরি পরিষেবা চালু হতে পারে যদি ভারত ও শ্রীলঙ্কা উভয়েরই এ নিয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকে

ভারত-শ্রীলঙ্কা ফেরি পরিষেবা এখনও বিশ বাঁও জলে

এপ্রিল মাসের গোড়ার দিকে তামিলনাড়ু বিধানসভায় সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলির জন্য অনুদানের দাবি প্রসঙ্গে হাইওয়ে এবং ছোট বন্দর মন্ত্রী ই ভি ভেলুসাই বলেছেন যে, কয়েক মাসের মধ্যে রামেশ্বরম এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে একটি ছোট ফেরি পরিষেবা চালু করার প্রচেষ্টা চলছে। ৫০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে প্রথমে রামেশ্বরম এবং তালাইমান্নারকে সংযুক্ত করার উদ্দেশ্যেই এই পরিষেবা। এর পরে ১০০ কিলোমিটার দূরত্ববিশিষ্ট রামেশ্বরম এবং কাঙ্কেসান্থুরাইকে (কেকেএস) সংযুক্তকারী আর একটি ফেরি পরিষেবা চালু করা হবে।

সেই অনুসারে, তামিলনাড়ু মেরিটাইম বোর্ড অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রকল্পের একটি বিশদ প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ‘রামেশ্বরমে ছোট বন্দরে প্রয়োজনীয় সুযোগসুবিধা নেই। রাজ্য এই প্রকল্প চালু করতে আগ্রহী হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং কেন্দ্র ফেরি পরিষেবা চালু করার জন্য ১০-১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দরের উন্নয়নে তহবিল দিতে প্রস্তুত।’ সংবাদ প্রতিবেদনে তামিলনাড়ুর কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সেই অনুসারে বিদেশ মন্ত্রক (এমইএ) এবং কেন্দ্রীয় জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রক এই প্রকল্পে সম্মত হয়েছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ফেরিটি রামেশ্বরম এবং তালাইমান্নারের মধ্যে ৩০ নট গতিতে যেতে পারে।’ সেই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘একটি ১৫০ জন যাত্রীর আসনবিশিষ্ট এই ফেরির তালাইমান্নার এবং কাঙ্কেসান্থুরাইতে পৌঁছনোর সময় যথাক্রমে এক ও দুই ঘণ্টা হবে। পক প্রণালীর আবদ্ধ জল এই প্রকল্পে সহায়তা জোগাবে।’

এক জন কর্মকর্তা সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, ‘ফেরি পরিষেবা চালু করার বিষয়ে ভারত এবং শ্রীলঙ্কার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়েই সহমত পোষণ করছে।

নয়াদিল্লিতে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশন, এমইএ এবং ভারতের বন্দর, শিপিং এবং জলপথ মন্ত্রক ও তামিলনাড়ু সরকারের আধিকারিকদের নিয়ে একটি সাম্প্রতিক ভিডিয়ো কনফারেন্সের পরে এই উদ্যোগ সূচিত হয় বলে সংবাদে প্রকাশ। আরও বলা হয়েছে, রামেশ্বরম থেকে ফেরি চালানোর জন্য অপারেটরদের চিহ্নিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার ‘এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট’ উপস্থাপন করবে। এক জন কর্মকর্তা সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, ‘রাজ্য সরকার ছ’মাসের মধ্যে পুরো প্রকল্পটি প্রস্তুত করতে আগ্রহী। রামেশ্বরম জেটি নির্মাণই একমাত্র বাধা। ফেরি পরিষেবা চালু করার বিষয়ে ভারত এবং শ্রীলঙ্কার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়েই সহমত পোষণ করছে।’

অন্তর্নিহিত দ্বন্দ্ব

অবশ্য তামিলনাড়ু এবং শ্রীলঙ্কার সরকারি অবস্থানে একটি অন্তর্নিহিত দ্বন্দ্ব লক্ষণীয়। এটি শুধুমাত্র নির্বাচিত পথের ক্ষেত্রেই নয়, ফেরি পরিষেবা সূচনার সময় সংক্রান্তও।

শ্রীলঙ্কার নৌপরিবহণ, বন্দর ও বিমান পরিবহণ মন্ত্রী নিমালসিরিপালা ডি সিলভার মতে, ফেরি পরিষেবাটি তামিলনাড়ুর মন্ত্রীর উল্লিখিত পথে নয়, কাঙ্কেসান্থুরাই-কারাইকাল রুটে চালু করা হবে এবং কারাইকাল পুদুচেরির কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের একটি ছিটমহল। শ্রীলঙ্কার নৌপরিবহণ মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এটি চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল নাগাদ চালু করা হতে পারে।

২৬ মার্চ মন্ত্রী ডি সিলভা এবং ভারতের এমইএ-র মধ্যে আলোচনা হয়েছে, কাঙ্কেসান্থুরাই এবং কারাইকাল দুই জায়গাতেই একটি করে মোট দু’টি  ইমিগ্রেশন ও এমিগ্রেশন অফিস স্থাপন করা হবে এবং এই বিষয়ে প্রাথমিক ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। মন্ত্রী ডি সিলভা বলেছেন, কেকেএস জেটি এবং বন্দরের ইমিগ্রেশন অফিস সম্পূর্ণরূপে চালু করার জন্য প্রস্তুত। মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, পরিষেবাটি পরিচালনা করার জন্য কোনও সরকারই ফেরি সরবরাহ করবে না। তার পরিবর্তে, ভারতের এমইএ পরিষেবাটি পরিচালনা করার জন্য ১৫০ জন যাত্রীর আসনবিশিষ্ট নৌযানগুলির অপারেটরদের কাছে দরপত্র চাইবে। তামিলনাড়ু এবং শ্রীলঙ্কার উত্তর ও পূর্বের ব্যবসায়ীরা মূলত এই পরিষেবার লক্ষ্য এবং যাত্রী প্রতি বিনামূল্যে ১০০ কেজি ওজন বহনে ছাড় অন্যতম আকর্ষণ হবে। যাত্রী প্রতি ৫০ মার্কিন ডলার মূল্যের সাশ্রয়ী একমুখী টিকিটের মূল্যও প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও নির্বাচিত ফেরি অপারেটররা টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করবে।

নৌকা মেল’-এর পুনরুদ্ধার

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কলম্বোয় এমইএ-র যুগ্ম সচিব (আইওআর) পুনিত আগরওয়ালের সঙ্গে একটি বৈঠকে মন্ত্রী ডি সিলভা ফেরি পরিষেবাটি দ্রুত চালু করার অনুরোধ করেছিলেন৷ বৈঠকে শ্রীলঙ্কা নির্মাণ সামগ্রীর দামের ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণ দর্শিয়ে কাঙ্কেসান্থুরাই বন্দর উন্নয়নের জন্য ভারতের ছাড় দেওয়া ঋণের পরিমাণ বাড়ানোরও অনুরোধ জানিয়েছিল। ২০১৮ সালে কেকেএস বন্দরকে একটি বাণিজ্যিক বন্দরে উন্নীত করার জন্য এবং একটি আঞ্চলিক সামুদ্রিক কেন্দ্রে পরিণত করার দেশটির প্রচেষ্টাকে সশক্ত করতে ভারত যে ৪৫.২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা অনুমোদন করেছিল, এটি তার উপর বাড়তি সহায়তার অনুরোধ। ভারতের পাবলিক সেক্টর ড্রেজিং কর্পোরেশন ইতিমধ্যেই কেকেএস বন্দরকে আরও গভীর করেছে। ভারত ভবিষ্যতে আরও বড় কার্গো ফেরিগুলির কথা মাথায় রেখে অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের ড্রেজিংয়ের জন্যও অর্থায়ন করেছে।

যাত্রী প্রতি ৫০ মার্কিন ডলার মূল্যের সাশ্রয়ী একমুখী টিকিটের মূল্যও প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও নির্বাচিত ফেরি অপারেটররা টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করবে।

সেই সময়ে পুরনো স্থলে অবস্থিত বেসরকারি বন্দরটি দেউলিয়া প্রক্রিয়ার সম্মুখীন হওয়ায় ভারত তার পছন্দের গন্তব্যটি কারাইকাল থেকে পুদুচেরিতে স্থানান্তরিত করে। ফেরি অপারেটররা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, পুদুচেরি পর্যন্ত দীর্ঘ ভ্রমণ অনভ্যস্ত সামুদ্রিক যাত্রার দরুন যাত্রীদের মধ্যে সি সিকনেস বা সমুদ্র-অসুখের কারণ হতে পারে। তাই কারাইকাল থেকে অনতিদূরে তামিলনাড়ুর কাঙ্কেসান্থুরাই এবং নাগাপট্টিনমের মধ্যে ফেরি পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

যদিও দেউলিয়া প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে থাকায় এ কথা মনে করা হচ্ছে যে, বেসরকারি অপারেটর আদানি গ্রুপ অদূর ভবিষ্যতে অন্য অপারেটর মার্গের কাছ থেকে বন্দরের দায়িত্ব নিতে পারে। এর ফলে এপ্রিলে সম্ভব না হলেও শ্রীলঙ্কার মন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়িত হতে পারে। নয়াদিল্লি যে ভারতীয় গন্তব্যকেই চূড়ান্ত করুক না কেন, যতক্ষণ না ছাড়পত্র পাওয়া যায় এবং কাজগুলি যথাসময়ে সম্পন্ন হয়, বছরের শেষ নাগাদ উত্তর-পূর্ব মৌসুমী ঘূর্ণিঝড় মরসুমের শেষে ফেরি পরিষেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।

ডিসেম্বর মাসে শ্রীলঙ্কার বিবৃতিতে ভারতীয় কর্মকর্তা আগরওয়ালকে উদ্ধৃত করে শ্রীলঙ্কার ধনুষকোডি এবং তামিলনাড়ুর মন্দির-শহর রামেশ্বরমের মধ্যে দীর্ঘ বিস্মৃত যাত্রী ফেরি পরিষেবাকে পুনরুজ্জীবিত করার যথার্থতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী ডি সিলভা এই প্রস্তাবে সম্মত হন এবং জোর দিয়েছিলেন যে, শ্রীলঙ্কার রেল পরিষেবাকে যাত্রী ফেরি পরিষেবার সঙ্গেও সংযুক্ত করা যেতে পারে এবং এ ভাবে শ্রীলঙ্কার তালাইমান্নার থেকে ধনুষকোডি/রামেশ্বরম পর্যন্ত একটি ফেরি চালু করার মাধ্যমে প্রাক-স্বাধীনতাকালীন কলম্বো-চেন্নাই ট্রেন ভ্রমণকে ‘বোট মেল’-এর মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করা যেতে পারে।

যদিও দেউলিয়া প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে থাকার এ কথা মনে করা হচ্ছে যে, বেসরকারি অপারেটর আদানি গ্রুপ অদূর ভবিষ্যতে অন্য অপারেটর মার্গের কাছ থেকে বন্দরের দায়িত্ব নিতে পারে।

১৯৬৪ সালে একটি ঘূর্ণিঝড়ে যখন একটি যাত্রীপূর্ণ ট্রেন, রেলওয়ে স্টেশন ও জেটির সলিল সমাধি ঘটলে ‘বোট মেল’কে মূল ধনুষকোডি পয়েন্ট থেকে রামেশ্বরমে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সমুদ্রভিত্তিক তামিল জঙ্গি গোষ্ঠী এলটিটিই-র ‘সি টাইগারস’-এর কার্যকলাপে সংশ্লিষ্ট জলভাগ অরক্ষিত হয়ে পড়ার দরুন রামেশ্বরম-তালাইমান্নার পরিষেবাও ১৯৮৪ সাল থেকে দীর্ঘ সময় যাবৎ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।

বাণিজ্য ও পর্যটন

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, রামেশ্বরম-কেন্দ্রিক ফেরি পরিষেবার পরবর্তী পর্যায়ে আংশিক কার্গো পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। পরবর্তী কালে রামেশ্বরম থেকে শ্রীলঙ্কায় ৩০০-৫০০ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন কার্গো পরিষেবার অনুমতি দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নৌপরিবহণ মন্ত্রকের কাছে একটি বৃহৎ পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য ৬০০ কোটি টাকা মূল্যের একটি বিশদ প্রস্তাব পাঠিয়েছে এবং এ নিয়ে আলোচনা চলছে।’

শ্রীলঙ্কা তামিলনাড়ুতে ফেরি পরিষেবার জন্য তাদের প্রবেশ বন্দর হিসাবে কাঙ্কেসান্থুরাইকেই নির্দিষ্ট করেছে। ভারত এবং তামিলনাড়ু সরকার পরামর্শের মাধ্যমে ভারতীয় পোর্ট-অফ-কল এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি। রাজ্য বিধানসভায় তামিলনাড়ুর মন্ত্রীর বিবৃতি অনুসারে, কিছু মৌলিক বিষয়গুলিকে ভালভাবে এবং দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন, যাতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যে পথই চূড়ান্ত করা হোক না, তা যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর করে তোলা যায়।

তবে এ সব কিছুর বাইরে দুই দেশের মধ্যে ধর্মীয় পর্যটন-সহ বাণিজ্য ও পর্যটন উন্নয়নের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। যেমনটা জানা যায়, ফেরি পরিষেবা বিমান ভ্রমণের তুলনায় সস্তা এবং সমুদ্র-ভ্রমণে একটি সীমিত রোমাঞ্চও রয়েছে, বিশেষ করে স্বল্পমেয়াদি ক্রুজ ভ্রমণের ক্ষেত্রে। স্বল্প আর্থিক ক্ষমতা সম্পন্ন তীর্থযাত্রীরা তামিলনাড়ু এবং ভারতের অন্যান্য অংশ থেকে কেরিমালাই নাগুলেশ্বরম মন্দির এবং দক্ষিণে কাথিরগামাম বা কাটারাগামা মন্দিরের মতো বিশিষ্ট হিন্দু তীর্থস্থানগুলি দর্শনে যেতে পারেন, যা হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয়ের কাছেই ধর্মীয়ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এর মাধ্যমে মধ্য আর্থিক ক্ষমতাসম্পন্ন ট্যুরিস্ট অপারেটররা বিষয়টির অংশ হয়ে উঠবেন।

তামিলনাড়ুর মন্ত্রীর বিবৃতি অনুসারে, কিছু মৌলিক বিষয়গুলিকে ভালভাবে এবং দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন, যাতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যে পথই চূড়ান্ত করা হোক না, তা যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর করে তোলা যায়।

একই ভাবে শ্রীলঙ্কার তীর্থযাত্রীরা ভেলাঙ্কানি গির্জা, নাগোর দরগা, তিরুনাল্লার সানিশ্বরন মন্দির এবং কাবেরী ব-দ্বীপ জেলার ধর্মীয় গুরুত্বসম্পন্ন পর্যটন স্থানগুলিতে সহজে প্রবেশ করতে পারবেন, যা মাদুরাই মীনাক্ষী আম্মান মন্দিরে সহজে প্রবেশের পাশাপাশি পালানি মুরুগান মন্দিরের মতো অন্য হিন্দু মন্দিরগুলিকে সংযুক্ত করবে। শ্রীলঙ্কার সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের স্বল্প আর্থিক ক্ষমতাসম্পন্ন তীর্থযাত্রীরা বোধগয়া, সারনাথ এবং অন্যান্য ধর্মীয় কেন্দ্র ও নেপালে ভগবান বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনি পর্যন্ত ভ্রমণের জন্য ফেরি পরিষেবা নিতে পারেন।

প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কার সিংহলি বৌদ্ধরাও তিরুপতিতে ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের প্রবল ভক্ত। যেমনটা স্মরণ করা যেতে পারে, শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধ মন্দিরগুলিতে সর্বদা ভগবান গণেশ এবং ভগবান বিষ্ণুর জন্য পৃথক মন্দির রয়েছে। এর ফলে এই সব কিছুই বোট মেলের পুনরুজ্জীবনে সাহায্য করতে পারে এবং বৌদ্ধ তীর্থকেন্দ্র এবং অন্যান্য পর্যটক-আগ্রহের স্থানগুলি ছাড়াও ভারতীয় রেলপথ পথটিকে বোধগয়া এবং সারনাথ পর্যন্ত সম্প্রসারণের কথা বিবেচনা করতে পারে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.