টাস্ক ফোর্স 6: এসডিজি ত্বরান্বিত করা: ২০৩০ কর্মসূচির জন্য নতুন পথ অন্বেষণ
ভূমিকা
২০১৭ সালে জি২০ যে ঘোষণাগুলি করেছিল, তার অন্যতম ছিল আধুনিক সময়ের দাসত্বকে নির্মূল করা। গোষ্ঠীটি ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম, বলপূর্বক শ্রম, মানব পাচার এবং আধুনিক সময়ের দাসত্বকে নির্মূল করার জন্য অবিলম্বে এবং কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। এই ধরনের লক্ষ্য রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) লক্ষ্য ৮.৭ পূরণে সহায়তা করবে, যেটিতে ২০৩০ সালের মধ্যে বলপূর্বক শ্রম, আধুনিক দাসপ্রথা এবং মানব পাচার নির্মূল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
নারী ও শিশু পাচার তাদের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। তবুও এই অপরাধটি আন্তর্জাতিক অপরাধের মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব পায় না। এই ক্ষেত্রে ঘটনা সম্পর্কিত তথ্য এবং চ্যালেঞ্জে সাড়া দেওয়ার জন্য দেশগুলি যে আইনি ব্যবস্থা প্রয়োগ করেছে, তাতে উল্লেখযোগ্য ঘাটতি রয়েছে।
এই নীতি সংক্ষেপে ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে পাচার হওয়া নারীদের বর্তমান পরিস্থিতির মূল্যায়ন করা হয়েছে৷ এর পাশাপাশি এটিতে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নারীপাচার বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পাচারচক্র থেকে উদ্ধার হওয়া মানুষদের জীবনধারণের জন্য স্থিতিশীল সমাধান খোঁজার উদ্দেশ্যে নীতির সুপারিশের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবন্ধকতা
মানব পাচারের ঘটনা সাধারণত খুব কম প্রতিবেদিত হয়, যার ফলে এর ব্যাপ্তি এবং মাত্রা সম্পর্কে সম্যক ধারণার অভাব রয়েছে। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মানব পাচারের ঘটনা একাধিক কারণে বৃদ্ধি পায় (দ্রষ্টব্য তালিকা ১)।
তালিকা ১ :
মানব পাচারের নেপথ্যে কারণসমূহ
- দারিদ্র্য
- অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা
- বেকারত্ব
- লিঙ্গ বৈষম্য
- শিক্ষার অভাব
- সস্তা শ্রমের চাহিদা
- প্রাকৃতিক বিপর্যয়
- সংঘাতের দরুন বলপূর্বক অভিবাসন
- রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা
- সামাজিক গণমাধ্যম সম্পর্কিত মানব পাচার
- সুরক্ষিত অভিবাসন বিকল্পের অভাব
- প্রতারণা/ অপহরণ
|
সূত্র: টিআইপি ২০২২ রিপোর্ট
পাচার হওয়া বেশির ভাগ মানুষই স্বল্প-দক্ষ, গৃহকর্মী, যৌনকর্মী বা মিষ্টির দোকানের কর্মচারী। এই প্রেক্ষাপটে এটি লক্ষ্যণীয় যে, এশিয়া এবং তার বাইরেও গৃহস্থালি এবং দেখভালের কাজের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে এই অঞ্চলগুলির মধ্যে এবং বাইরে অভিবাসনের ঘটনাটি প্রধানত নারীকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই সকল নারী গৃহস্থালির কাজ, পরিষেবা এবং যৌন কাজের ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রধানত অপ্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ।
পূর্ব দক্ষিণ এশিয়া
মানব পাচারের সিংহভাগ ঘটনাই দক্ষিণ এশিয়ায় পরিলক্ষিত হয়, যেখানে এই অঞ্চল থেকে পাচার হওয়া মানুষদের বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। গন্তব্য দেশগুলির মধ্যে রয়েছে উপসাগরীয় অঞ্চলের পাশাপাশি পশ্চিম ও দক্ষিণ ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকা। এর পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলিতেও বেশ কিছু মানুষকে পাচার করা হয়েছে (দ্রষ্টব্য মানচিত্র ১)।
মানচিত্র ১: দক্ষিণ এশিয়ায় পাচারের পথ
সূত্র: ইউএনওডিসি ২০২২
পাচারের শিকার নারীদের সংখ্যার সঠিক তথ্য পাওয়াই একটি ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা। সরকারি সংস্থা, এনজিও এবং গণমাধ্যমের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলিতে বলা হয়েছে যে, দক্ষিণ এশিয়ার ভিতরে ও বাইরে পাচারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। চিত্র ১-এ এই অঞ্চলে অভ্যন্তরীণ পাচারের প্রবণতা দেখানো হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় মানব পাচার সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলার চেষ্টার জটিলতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সর্বজনীন বিধিবিধানের অনুপস্থিতি।
চিত্র ১: দক্ষিণ এশিয়ায় অভ্যন্তরীণ পাচারের প্রবণতা
সূত্র: ইউএনওডিসি ২০২২
সারণি ১ দক্ষিণ এশিয়ার পূর্বাঞ্চলের পরিস্থিতির একটি সর্বাঙ্গীণ চিত্র তুলে ধরে যেখানে দেখানো হয়েছে ভারত, বাংলাদেশ এবং নেপাল নিয়ে গঠিত অঞ্চলটি কী ভাবে মানব পাচারের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। সারণি ২-এ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে সেই সীমান্ত বিন্দুগুলিতে যেগুলির মধ্য দিয়ে অঞ্চলটিতে মানব পাচারের ঘটনা ঘটে থাকে।
সারণি ১: পূর্ব দক্ষিণ এশিয়ায় মানব পাচার (২০২০)
দেশ |
প্রতিবেদিত পাচারের সংখ্যা |
পাচার হওয়া মানুষের ধরন |
ভারত |
শ্রমিক পাচার (৫১৫৬);
চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক (২৮৩৭);
যৌন পাচার (১৪৬৬);
সম্ভাব্য পাচারের শিকার (৬৯৪)
|
৫৩ শতাংশ – প্রাপ্তবয়স্ক;
৫৯ শতাংশ – নারী;*
৪১ শতাংশ – পুরুষ;
৪৭ শতাংশ – শিশু
|
নেপাল |
যৌন পাচার (৯৯)
শ্রমিক পাচার (৬৪)
অনির্দিষ্ট শোষণ (২৪)
|
১০৭ প্রাপ্তবয়স্ক (১৮৩ নারী; ৪ পুরুষ);
৮০ শিশু
|
বাংলাদেশ |
যৌন পাচার (৫৮০);
শ্রমিক পাচার (৬৩৭৮);
অনির্দিষ্ট (৭১৭)
|
যৌন পাচারের শিকার:
নারী: ৪২৯;
পুরুষ: ১০;
শিশু: ১২০;
২০ জন এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তি;
শ্রমিক পাচারের শিকার:
পুরুষ – ৪৩২৮;
নারী – ১৯০২;
শিশু – ১৩২;
১৪ জন এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তি
|
সূত্র: লেখকদের নিজস্ব, টিআইপি ২০২২ প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে
*দ্রষ্টব্য: ক্যাটাগরি ‘নারী’ বিভাগটির অধীনে কন্যা শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক নারীরা অন্তর্ভুক্ত; ‘নারী’ বলতে প্রাপ্তবয়স্ক নারীকে বোঝায়; এবং ‘শিশু/মেয়ে/ছেলে’ বলতে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের বোঝায়।
সারণি ২: পূর্ব দক্ষিণ এশিয়ায় মানব পাচারের পথ বা করিডোর
মানব পাচারের পথ |
স্থান |
ভারত-বাংলাদেশ |
দর্শনা (বাংলাদেশ) – গেদে (ভারত);
বাংলাবান্ধা (বাংলাদেশ) – ফুলবাড়ি (ভারত);
বুড়িমারি (বাংলাদেশ) – চ্যাংড়াবান্দা (ভারত);
বেনাপোল (বাংলাদেশ) – পেট্রাপোল (ভারত)
|
ভারত-নেপাল |
নেপাল – কাকরভিট্টা, বিরাটনগর, ভান্তাবাড়ি, বীরগঞ্জ, ভাইরাওয়া, নেপালগঞ্জ, মহেন্দ্র নগর;
ভারত – রাক্সউল, কিষাণগঞ্জ, মহারাজগঞ্জ, রূপাইডিহা
|
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আন্তর্জাতিক পাচার শৃঙ্খলগুলির সঙ্গে, বিশেষ করে যৌন পাচারের জন্য সম্পর্ক বহুজনবিদিত। এই অঞ্চলে মানব পাচারের শিকার ৮৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ ইন্দোনেশিয়া, লাও পিপলস ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক, ফিলিপিন্স, মায়ানমার, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনাম থেকে আসেন। বেশির ভাগ নারীই গৃহস্থালি, পরিষেবা ও যৌন ব্যবসার মতো ঝুঁকিপূর্ণ এবং বৃহত্তর ভাবে অপ্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে নিযুক্ত।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কম্বোডিয়া, লাও পিডিআর, মায়ানমার, তাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম মানব পাচারের কেন্দ্রস্থল। এই অঞ্চলের বেশ কিছু দেশ উৎস, গমনপথ অথবা গন্তব্য দেশ হিসেবে সেই পথের অংশ, যেগুলির মাধ্যমে দুর্বৃত্তরা অভিবাসীদের পাচারের কাজটি করে থাকে। সারণি ৩-এ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পাচারের পথ তুলে ধরা হয়েছে।
সারণি ৩: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মানব পাচারের পথ
পাচারের পথ |
স্থান |
কম্বোডিয়া-তাইল্যান্ড |
মায়ানমার-কম্বোডিয়া-লাওস
(উৎস, গন্তব্য এবং মধ্যবর্তী অবস্থান)
|
মায়ানমার-তাইল্যান্ড |
উৎস এবং মধ্যবর্তী পথ |
ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া |
মালয়েশিয়া – মধ্যবর্তী ও গন্তব্য দেশ |
ভিয়েতনাম-তাইল্যান্ড-চিন |
ভিয়েতনাম – উৎস ও মধ্যবর্তী দেশ |
লাওস-তাইল্যান্ড |
লাওস – উৎস ও মধ্যবর্তী দেশ |
সারণি ৪: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মানব পাচার: একটি চিত্র
দেশ |
প্রতিবেদিত পাচারের ঘটনা
(২০২০, ২০২১)
|
পাচার হওয়া মানুষের ধরন |
কম্বোডিয়া |
২৭০ – বলপূর্বক বিবাহ;
৪৩ – বলপূর্বক শ্রম;
<৫ – যৌন শোষণ
|
১৭% – নারী;*
১৫% – পুরুষ;
৪০% – মেয়ে;
৪২% – ছেলে
|
মায়ানমার |
১৫০ – যৌন শোষণ;
<৫ – বলপূর্বক শ্রম; <৫ – পাচারের অন্যান্য ধরন
|
১৩০ – নারী;
১৫ – পুরুষ;
৩৯ – মেয়ে
|
তাইল্যান্ড |
৪১৪ – পাচারের শিকার;
১৮১ – যৌন পাচার;
২৩৩ – শ্রম পাচার
|
১৫১ – পুরুষ;
২৬৩ – নারী;
৭২ – শিশু;
(৪১৪-এর মধ্যে: ৩১২– তাই; ৯৪ – মায়ানমারবাসী; ২ – লাওবাসী; ৬ – অন্যান্য অনির্দিষ্ট দেশ)
|
ফিলিপিন্স |
১৮০২ জন শিকার:
৫৩৫ – যৌন শিকার;
৫০১ – বলপূর্বক শ্রম;
৭৬৬ – অনির্দিষ্ট
|
৫৫১ – পুরুষ;
১২৫১ – নারী
|
*দ্রষ্টব্য: ক্যাটাগরি ‘নারী’ বিভাগটির অধীনে কন্যা শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক নারীরা অন্তর্ভুক্ত; ‘নারী’ বলতে প্রাপ্তবয়স্ক নারীকে বোঝায়; এবং ‘শিশু/মেয়ে/ছেলে’ বলতে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের বোঝায়।
সূত্র: লেখকের নিজস্ব
চক্র থেকে উদ্ধার পাওয়া মানুষদের ক্ষমতায়ন
দক্ষতা বৃদ্ধি
পুনরায় শোষণের হাত থেকে বাঁচাতে এবং স্থিতিশীলভাবে সমাজে পুনর্মিলিত করার জন্য দক্ষতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আকারে পুনর্বাসন সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্দেশীয় উদ্ধারকৃতদের জন্য তাঁদের মূল দেশে প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় থাকার সময়ে দক্ষতা বিকাশের উদ্যোগগুলি এক অস্থায়ী বিকল্প হিসাবে রয়ে গিয়েছে। দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কর্মসূচি মানব পাচারের শিকার হওয়া মানুষদের কর্মসংস্থান খোঁজার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং জ্ঞান অর্জন করতে বা তাঁদের নিজস্ব ক্ষুদ্র মাত্রার আয়-উৎপাদনকারী জীবিকা শুরু করতে সাহায্য করতে পারে।
তবে দক্ষতা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা সহজ কাজ নয়। কারণ উদ্ধার পাওয়া মানুষদের অগ্নিপরীক্ষাসম শারীরিক ও মানসিক আঘাতের মোকাবিলা করতে হয়, যা তাঁদের নতুন দক্ষতা অর্জনের পথে বাধা দিতে পারে। দক্ষতা বিকাশের জন্য কর্মসূচিগুলি উদ্ধার পাওয়া মানুষদের চাহিদা এবং ক্ষমতার সঙ্গে মানানসই হওয়া উচিত। শুরু করার জন্য তাঁদের অনেকের প্রাথমিক সাক্ষরতা এবং সংখ্যার দক্ষতার প্রয়োজন হতে পারে।
জীবিকার সুযোগ
জীবিকা প্রশিক্ষণ হল বাণিজ্যিক যৌন শোষণ থেকে উদ্ধার পাওয়া মানুষদের পুনর্বাসনের একটি হাতিয়ার। সারণি ৫ এবং ৬ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সরকার এবং বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেছে।
সারণি ৫: দক্ষিণ এশিয়ায় (পূর্ব) দক্ষতা বিকাশের উদ্যোগ
দেশ |
সরকারি ও বেসরকারি প্রকল্প |
ভারত |
- উজ্জ্বলা – পাচারের হাত থেকে উদ্ধার পাওয়া মানুষদের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ;
- রেসকিউ ফাউন্ডেশন – গয়না তৈরির মতো দক্ষতা প্রশিক্ষণ;
- প্রেরণা – আতিথেয়তা এবং পরিবেশন, গৃহস্থালি, উন্নত সূচিকর্ম এবং গয়না তৈরির প্রশিক্ষণ;
- জবালা অংশীদার – মেট্রো এবং ট্রাফিক কন্ট্রোল জংশনে ক্যান্টিন এবং গ্রিন পুলিশে কর্মসংস্থান প্রদান;
- স্কিল ইন্ডিয়া – বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ
|
বাংলাদেশ |
- সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন স্টাডিজ (সিডব্লিউসিএস) – পোশাক কারখানায় কর্মসংস্থানের সুযোগ;
- ঢাকা আহসানিয়া মিশন (ড্যাম) – কফি শপ বা পোশাক কারখানায় জীবিকার সুযোগ। উদ্যোক্তা এবং ছোট ব্যবসার উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর দশ জন উদ্ধার পাওয়া মানুষ ছোট ব্যবসার জন্য সহায়তা বা নগদ অর্থ সাহায্য লাভ করেন।
|
নেপাল |
- রক্ষা – ৫০০ জনেরও বেশি নারীকে সেলাই সংক্রান্ত বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ;
- জেন্টল হার্ট ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) – দর্জি, কারিগর, চুলের স্টাইলিস্ট, বাবুর্চি, ট্রেকিং ও ট্যুর গাইড এবং প্যারা-লিগ্যাল হিসাবে দক্ষতা বিকাশ।
|
সারণি ৬: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দক্ষতা বিকাশের উদ্যোগ
দেশ |
সরকারি ও বেসরকারি প্রকল্প |
তাইল্যান্ড |
- দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির মধ্যে আশ্রয় এবং সহায়তা পরিষেবার বিধান অন্তর্ভুক্ত
- রান্না, সেলাই এবং হস্তশিল্পের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি; তাঁরা ভবিষ্যতে কর্মসংস্থান বা নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার জন্য ওয়েই প্রশিক্ষণ কাজে লাগাতে পারেন।
- নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে সাহায্য করার জন্য ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি।
- পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলিতে সাংস্কৃতিক এবং ‘নৈতিক’ শিক্ষা প্রদান
- পেস্ট্রি তৈরি, বুনন, ফুল সাজানো, হেয়ারড্রেসিং এবং সেলাই করার দক্ষতা প্রশিক্ষণ
|
ইন্দোনেশিয়া |
- উদ্যোগের মতো বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়নমুলক কর্মসূচি
- বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী একটি এন্টারপ্রাইজ শুরু করার জন্য উদ্যোগের প্রস্তাব দেয়। এই কর্মসূচিগুলি ব্যবসায়িক উন্নয়ন, বিপণন এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলিতে নির্দেশিকা এবং সহায়তা প্রদান করে।
- রন্ধনসম্পর্কীয় দক্ষতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মতো কাজে নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য কর্মসূচি।
|
মালয়েশিয়া |
- দক্ষতা-প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শোষণের চক্র ভাঙতে সাহায্য করে এবং তাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও সংস্থান সরবরাহ করে একটি উন্নত ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করে।
- মালয়েশিয়ার সরকার বলপূর্বক শ্রম এবং মানবপাচারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাগুলির সঙ্গে বৃহত্তর সম্মতির পথে অগ্রসর হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে৷
- কিছু ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসন পরিষেবা প্রদানের জন্য এনজিওগুলিকে আর্থিক বা অন্যান্য সহায়তা-সহ এনজিওগুলির সঙ্গে সম্প্রসারিত সহযোগিতা।
- তেনাগানিতা – নারী ও শিশু পাচার থেকে উদ্ধার পাওয়া মানুষদের জন্য একটি আশ্রয় সুবিধা দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম প্রদান।
|
কম্বোডিয়া |
‘স্বাধীনতার জন্য সেলাই’ বা ‘সিউয়িং ফর ফ্রিডম’ কর্মসূচিতে সেলাই এবং নব উদ্যোগ দক্ষতায় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। নারীরা একটি সামাজিক উদ্যোগে নিযুক্ত হন, যা উচ্চ মানের ব্যাগ এবং আনুষাঙ্গিক পণ্য উত্পাদন করে তাঁদের স্থিতিশীল আয়ের সুযোগ দেয় এবং যা আবার পাচার হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে। |
বাস্তবায়নে ত্রুটি
দক্ষতা উন্নয়নমূলক কর্মসূচি মানব পাচারচক্রের হাত থেকে উদ্ধার পাওয়া মানুষদের ক্ষমতায়নে সাহায্য করে, তাদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা, রোজগার করা, আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া এবং স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ করে দেয়। এই কর্মসূচিগুলির উপকারিতা সত্ত্বেও নীতি সংক্ষেপটির লেখকদের দ্বারা পরিচালিত সাক্ষাত্কার এবং বিশ্লেষণগুলি বেশ কিছু অসামঞ্জস্য তুলে ধরেছে, জি২০-কে যার সমাধান করা দরকার।
সংস্থার অভাব: পুনরুদ্ধার এবং সামাজিক পুনর্মিলনের প্রচেষ্টা একাধিক বাধার সম্মুখীন হয় এবং উদ্ধার পাওয়া সকল মানুষের জন্য একটি গুণমানসম্পন্ন পুনর্বাসন নীতির অনুপস্থিতি পরিস্থিতিকে আরও ঘোরতর করে তোলে। বর্তমান পুনর্বাসন নীতির বাস্তবায়ন, যেমন ভারতে উজ্জ্বলা স্কিম, যা বাণিজ্যিক যৌন শোষণ এবং পাচারের শিকার হওয়া মানুষদের পুনরায় মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার উপর জোর দেয়, তা অস্পষ্ট এবং আশ্রয়কেন্দ্র বা মূলস্রোতে ফিরে আসা মানুষদের নিয়ে কোনও অডিট করা হয়নি। বাংলাদেশ ও নেপালের ক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটেছে।
অব্যাহত সমর্থনের অভাব: মানব পাচার থেকে উদ্ধার পাওয়া মানুষরা পাচারকারীদের নিয়ন্ত্রণে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে বছরের পর বছর অতিবাহিত করার পর বাড়ি ফিরে এলে নিজেদের সম্প্রদায়ের কাছ থেকেই একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। সহায়ক নথি এবং তাত্ক্ষণিক আর্থিক সহায়তার অভাব এই সকল মানুষের জন্য তাঁদের জীবনকে মর্যাদার সঙ্গে নতুন করে গড়ে তোলার কাজটিকে কঠিন চ্যালেঞ্জ করে তোলে এবং তাঁরা দারিদ্র্য ও পুনরায় পাচারের ঝুঁকির সম্মুখে অরক্ষিত হয়ে পড়েন। এ ছাড়া পাচারের কলঙ্ক তাঁদের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। কারণ তাঁরা নিজেদের শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া, দক্ষতা অর্জন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগগুলি অনুসরণ করতে নিরুৎসাহিত বোধ করেন।
শিক্ষার অভাব: মানব পাচার থেকে উদ্ধার পাওয়া মানুষদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম সহজলভ্য থাকলেও মৌলিক সংখ্যা ও সাক্ষরতার দক্ষতার ঊর্ধ্বে উঠে শিক্ষার সুযোগের যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
স্থিতিশীল আয়ের অভাব: বৃত্তিমূলক কর্মসূচিগুলি উদ্ধার পাওয়া মানুষদের ন্যূনতম উপার্জন সুনিশ্চিত করার জন্য উপকারী হলেও সেগুলি বাজারের সঙ্গে যথার্থ ভাবে সংযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত স্বাধীন জীবনকে সমর্থন জোগানোর মতো আয়ের স্থিতিশীল উৎস হয়ে উঠতে পারে না।
প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতা: পাচার থেকে উদ্ধার পাওয়া মানুষদের জন্য যে সংস্থাগুলি কাজ করে, তারা প্রায়শই উপলব্ধি করে যে, উদ্ভাবনী জীবিকার মডেলগুলি এ ক্ষেত্রে কাজে লাগানো কঠিন। কারণ বিদ্যমান মডেলগুলি তাদের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা এবং দক্ষতা দ্বারা সীমাবদ্ধ। কর্মসূচির ধারাবাহিকতাকে সুনিশ্চিত করার জন্য পদ্ধতিগত অর্থায়ন একটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জি২০-র ভূমিকা
২০১৭ সালে জি২০ দেশগুলি কর্পোরেট সরবরাহ শৃঙ্খলে মানবাধিকার নিয়ে অধ্যবসায়ী প্রচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং বর্তমানে কার্যকর ভাবে মানব পাচারকে নির্মূল করার জন্য নীতি কাঠামো তৈরি করছে। কর্মসংস্থান এবং দক্ষতার বিকাশ ধারাবাহিক ভাবে জি২০-র প্রধান অগ্রাধিকার থেকেছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রাথমিক জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে (২০০৮) বিশ্বব্যাপী আর্থিক সঙ্কটের উপর মনোযোগ দেওয়ার পর, ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে লন্ডনে দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনের সময় নেতারা একটি মসৃণ এবং স্থিতিশীল পুনরুদ্ধার ব্যবস্থা অর্জনের জন্য কর্মসংস্থানের তাত্পর্যকে স্বীকার করে নেন। তার পর থেকে প্রায় সব জি২০ সভাপতিত্বেরই কর্মসূচিতেই কর্মসংস্থান এবং দক্ষতার বিষয় জায়গা করে নিয়েছে। শক্তিশালী দক্ষতা ব্যবস্থা সম্প্রদায় এবং সমাজের সমৃদ্ধির জন্য মৌলিক প্রয়োজন। উন্নয়নশীল এবং উদীয়মান জি২০ অর্থনীতিতে, যেখানে তুলনামূলক ভাবে তরুণ জনসংখ্যা বিদ্যমান, সেই সব অঞ্চলে জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ ব্যবহার করার জন্য দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জি২০ ট্রেনিং স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড স্কিল আপ প্রোগ্রামের লক্ষ্য হল শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতে এবং নারী ও পুরুষ উভয়ের কর্মসংস্থানের উন্নতির জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ফলাফলের প্রাসঙ্গিকতা বৃদ্ধি করা। এ ক্ষেত্রে পাচার থেকে উদ্ধার পাওয়া মানুষদের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে বা ট্যালেন্টপুলে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। নারী অভিবাসী শ্রমিকদের সম্মুখীন চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করা এবং তাদের বলপূর্বক শ্রম ও মানব পাচারের ঝুঁকি কমানোর দায় বর্তায় জি২০ দেশগুলির উপর। মানব পাচারকে কার্যকর ভাবে মোকাবিলা করার জন্য তারা সক্রিয় ভাবে নীতি কাঠামো গঠনের উদ্দেশ্যে কাজ করলেও অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রেক্ষাপটে একটি সর্বাঙ্গীন বোঝাপড়ারও প্রয়োজন রয়েছে।
জি২০-র জন্য সুপারিশ
বিশেষ করে তরুণ জনসংখ্যা-সহ উদীয়মান অর্থনীতির জন্য দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে চালিত করতে পারে। এই ট্যালেন্টপুলে পাচার থেকে উদ্ধার পাওয়া মানুষদের অন্তর্ভুক্তি কেবল তাঁদের কার্যকর কর্মসংস্থানের সুযোগই করে দেবে না, বরং তাঁদের আর্থিক ক্ষমতায়নেও অবদান রাখবে। পাচার থেকে উদ্ধার পাওয়া মানুষদের কর্মশক্তিতে যুক্ত করার মাধ্যমে জি২০ দেশগুলি নারীদের শ্রমবাজারের নিরাপত্তা বাড়াতে এবং কর্মসংস্থানের অবস্থার উন্নতি করতে পারে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নারীদের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে তাঁদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা, তাঁদের অধিকারের প্রচার চালানো এবং লিঙ্গ অন্তর্ভুক্তির পদ্ধতিকে সশক্ত করার জন্য আরও ভাল নীতি কাঠামো প্রণয়নে অবদান রাখার ক্ষমতা জি২০-র রয়েছে।
উদ্ধার পাওয়া মানুষদের জন্য সংস্থার নির্মাণ: এ কথার উপর নজর দেওয়া প্রয়োজনীয় যাতে সরকার দ্বারা পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির আওতায় একটি নির্দিষ্ট দক্ষতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে পাচার থেকে উদ্ধার পাওয়া মানুষরা যেন প্রশিক্ষণের জন্য তাঁদের কাঙ্খিত পেশা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতার সুযোগ পান। আয়-উপার্জনকারী কার্যক্রম এবং ক্ষুদ্র-উদ্যোগ পুরস্কারের সঙ্গে অন্যান্য পুনঃএকত্রীকরণ উপাদানগুলিকে সংযুক্ত করে – যেমন মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ – উদ্ধার পাওয়া মানুষদের স্বাধীনতা, স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং আত্মসম্মান বাড়ানোর একটি কার্যকর উপায় গড়ে তোলা যেতে পারে, বিশেষ করে যখন তাঁরা উদ্যোগী হয়ে ওঠেন।
ব্রিটেনের (ইউকে) অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে, যেখানে সরকার ন্যাশনাল রেফারেল মেকানিজম (এনআরএম) নামে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যেটি উদ্ধার পাওয়া মানুষদের প্রত্যক্ষ ভাবে সম্পৃক্ত করে এবং সহায়তা পরিষেবার জন্য একটি পরিদর্শন ব্যবস্থা তৈরি করতে তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়। ২০২১ সালে চালু হওয়া ইন্টারন্যাশনাল সারভাইভারস অব ট্রাফিকিং অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল (আইএসটিএসি) হল অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ (ওএসসিই) ব্যাপী ২১ জন উদ্ধার পাওয়া মানুষকে নিয়ে তৈরি সংগঠন, যেটি মানব পাচার মোকাবিলায় পরামর্শ, নির্দেশিকা এবং সুপারিশ প্রদান করে।
একই ভাবে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মানব পাচার সংক্রান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপদেষ্টা পরিষদ মানব পাচার থেকে উদ্ধার পাওয়া মানুষদের মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ফেডারেল নীতি এবং উদ্যোগের বিষয়ে অন্তর্দৃষ্টি, পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদানের জন্য একটি মঞ্চ প্রদান করে। ফিলিপিন্সে ইন্টার-এজেন্সি কাউন্সিল এগেনস্ট ট্র্যাফিকিং কয়েক বছর আগে সুরক্ষা পরিষেবার গুণমান, ঘটনার ব্যবস্থাপনা এবং এই ধরনের পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অসুবিধাগুলির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া সংগ্রহের উদ্দেশ্যে পাচার থেকে উদ্ধার পাওয়া মানুষদের সঙ্গে ভার্চুয়াল ফোকাস যৌথ আলোচনার আয়োজন করে।
দক্ষতা কর্মসূচির শংসাপত্র: রাজ্য সরকার/স্থানীয় সরকারকে প্রত্যয়িত বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় হতে হবে, যেগুলিতে শক্তিশালী বিপণন ব্যবস্থা রয়েছে এবং সম্প্রদায়ের নেতৃত্বে জীবিকার দক্ষতা প্রদানের জন্য নিয়োগের সুযোগও রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ভারতে ভিপলা ফাউন্ডেশন পাচার থেকে উদ্ধার পাওয়া মানুষদের প্রশিক্ষণের সুবিধার্থে প্রযুক্তিগত সংস্থাগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তার পরে তাঁদের শংসাপত্রও প্রদান করা হয়।
দক্ষতা বিকাশের জন্য স্থিতিশীল উদ্যোগ: দক্ষতা বিকাশের বেশির ভাগ কর্মসূচিই স্বল্পমেয়াদি হয় এবং মোটেও স্থিতিশীল নয়। কর্মসূচিটি শেষ হওয়ার পরেও ভুক্তভোগীদের অবিরাম যত্ন প্রদান করে না। ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পগুলি ক্ষতিগ্রস্তদের নিজস্ব আয়-উপার্জনকারী জীবিকা চালু করতে সহায়তা করার জন্য বিদ্যমান হলেও সেখানে উদ্যোক্তাদের জন্য দীর্ঘায়িত সহায়তার অভাব রয়েছে। উদ্ধার পাওয়া মানুষদের উদ্যোগ পরিচালনা এবং সে বিষয়ে সহযোগিতা প্রসারিত করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও দক্ষতার অভাব রয়েছে।
শিক্ষাগত সহায়তা: এমন আরও বেশ কিছু বিদ্যালয় স্থাপন করা উচিত, যেগুলি টিউশন ফি অপেক্ষাকৃত কম। এমনটা হলে পাচার থেকে উদ্ধার পাওয়া মানুষরা তাঁদের পড়াশুনো চালিয়ে যেতে পারেন। জাতীয় এবং স্থানীয় সরকারের সহযোগিতায় সংস্থাগুলি তাঁদের আর্থিক এবং অন্যান্য সহায়তা প্রদান করে শিক্ষা ব্যবস্থায় পুনঃসংহত করতে সাহায্য করতে পারে। যৌন পাচার থেকে উদ্ধার হওয়া শিশুদেরও সহায়তা প্রদান করা জরুরি যাতে তারা ফের স্কুলে যেতে পারে।
সচেতনতার প্রচার: দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশে জ্ঞান বৃদ্ধি শুধু মাত্র অভিবাসন-সম্পর্কিত শোষণ বা পাচার প্রতিরোধ করেনি। জ্ঞান, ক্ষমতায়ন বোধ এবং অধিকার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ব্যক্তি স্তরের হস্তক্ষেপ তেমন ফলপ্রসূ হবে না, যতক্ষণ না উন্নততর জীবিকার সুযোগের মতো অন্য পাচার-সম্পর্কিত বৈষম্যগুলি সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তহবিল: সব ধরনের পাচার থেকে উদ্ধার পাওয়া মানুষদের লক্ষ্যে সরকারের বাজেটে একটি বিশেষ তহবিল বরাদ্দ করতে হবে। বর্তমান কর্মসূচির ধারাবাহিকতা সুনিশ্চিত করার জন্য পদ্ধতিগত অর্থায়নও গুরুত্বপূর্ণ হবে।
বাজারের সুযোগ: পাচার থেকে উদ্ধার পাওয়া মানুষদের দ্বারা তৈরি পণ্যের জন্য স্থিতিশীল এবং পদ্ধতিগত বাজার তৈরির প্রয়োজন রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, নেপালে, পোশাক কোম্পানি এলেগান্তেস এবং মালসিফাই পাচার থেকে উদ্ধার পাওয়া এবং যাঁরা পাচারের ঝুঁকির সামনে অরক্ষিত, তাঁদের সহায়তা করে এবং সেই সকল মানুষকে হাতে বোনা পোশাক, গয়না এবং আনুষঙ্গিক পণ্য তৈরির কাজে নিযুক্ত করে। গয়না তৈরির কোম্পানি পারপাস জুয়েলারি তার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল স্যাংচুয়ারির মাধ্যমে ক্যালিফোর্নিয়া এবং মুম্বইতে মানব পাচার থেকে উদ্ধার পাওয়া নারীদের জন্য সর্বাঙ্গীন যত্ন এবং জীবিকার সুযোগ প্রদান করে। সারি বাড়ি হল কলকাতায় যৌন-পাচার থেকে উদ্ধার পাওয়া মানুষদের সাহায্য করার জন্য নিবেদিত আর একটি প্রতিষ্ঠান; সেখানে এই ধরনের মানুষদের ব্যবহৃত শাড়ি থেকে ব্যাগ, অন্দরসজ্জার সামগ্রী এবং শিশুদের ব্যবহার্য পণ্য তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কর্মসূচি বাস্তবায়নকারীদের এই ধরনের কর্মসূচি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
পাদটীকা
১) ‘জি২০ লিডারস ডিক্লেয়ারেশন: শেপিং অ্যান ইন্টারকানেক্টেড ওয়ার্ল্ড’, প্রেস কর্নার, জুলাই ৮, ২০১৭, https://ec.europa.eu/commission/presscorner/detail/en/STATEMENT_17_1960
২) আনওয়ার ইকবাল, ‘ইউএন সিজ সাউথ এশিয়ান উইমেন অ্যাজ মোস্ট ভালনারেবল টু হিউম্যান ট্র্যাফিকিং’, ডিন, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩, https://www.dawn.com/news/1734014; ডোনাহিউ, স্টিভেন, মাইকেন শোয়্যেন এবং দানিয়েলে লাভাল্লে। ‘এডুকেটিং ইমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্ট স্টাফ অন দি আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট অব হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ভিক্টিমস’, জার্নাল অফ ইমার্জেন্সি নার্সিং ৪৫, নং ১ (২০১৯): ১৬-২৩
৩) একেএম আহসান উল্লাহ প্রমুখ, ‘গ্লোবালাইজেশন অ্যান্ড মাইগ্রেশন: দ্য গ্রেট জেন্ডার ইক্যুয়ালাইজার?’ জার্নাল অফ ইন্টারন্যাশনাল উইমেন’স স্টাডিজ ২৫, নং ৩ (২০২৩): ২
৪) উল্লাহ প্রমুখ, ‘গ্লোবালাইজেশন’
৫) গ্লোবাল রিপোর্ট অন ট্র্যাফিকিং ইন পারসনস ২০২২, ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (এইএনওডিসি), ২০২২, https://www.unodc.org/documents/data-and-analysis/glotip/2022/GLOTiP_2022_web.pdf
৬) ‘২০২২ ট্র্যাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট: ইন্ডিয়া’, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ২০২২,
https://www.state.gov/reports/2022-trafficking-in-persons-report/india/
৭) ‘২০২২ ট্র্যাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট: নেপাল’, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ২০২২, https://www.state.gov/reports/2022-trafficking-in-persons-report/nepal/
৮) ‘২০২২ ট্র্যাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট: বাংলাদেশ’, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ২০২২, https://www.state.gov/reports/2022-trafficking-in-persons-report/bangladesh/
৯) ইন্টারভিউ উইথ দি অফিশিয়ালস, দ্য ডিরেক্টোরেট অব চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ট্র্যাফিকিং, গভর্নমেন্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল, বাই অনসূয়া বসু রায় চৌধুরী, কলকাতা, ৫ এপ্রিল ২০২১
১০) ইন্টারভিউ উইথ চন্দ্র কিশোর, জার্নালিস্ট, অন হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইন নেপাল অ্যান্ড ইন্ডিয়া বর্ডার অ্যান্ড নেপাল কন্ডিশনস বাই অনসূয়া বসু রায় চৌধুরী, বীরগঞ্জ, ২০১৫
১১) একেএম আহসান উল্লাহ এবং মল্লিক আক্রম হোসেন, ‘জেন্ডারিং ক্রস-বর্ডার নেটওয়ার্কস ইন দ্য গ্রেটার মেকং সাবরিজিয়ন: ড্রয়িং ইনভিজিবল রুটস টু তাইল্যান্ড’, অ্যাডভান্সেস ইন সাউথইস্ট এশিয়ান স্টাডিজ ৪, নং ২ (২০১১): ২৭৩-২৮৯
১২) উল্লাহ এবং হোসেন, ‘জেন্ডারিং’, ২৭৩-২৮৯
১৩) আইওএম ইউএন মাইগ্রেশন, ‘কোভিড-১৯’
১৪) উল্লাহ এবং হোসেন, ‘জেন্ডারিং’, ২৭৩-২৮৯
১৫) উল্লাহ এবং হোসেন, ‘জেন্ডারিং’, ২৭৩-২৮৯
১৬) ইস্ট এশিয়া-প্যাসিফিক, ইউএনওডিসি ২০২২, https://www.unodc.org/documents/data-and-analysis/glotip/2022/East_Asia_and_the_Pacific.pdf
১৭) ইউএনওডিসি ২০২২ ইস্ট এশিয়া-প্যাসিফিক
১৮) ‘২০২২ ট্র্যাফিকিং ইন পারসন রিপোর্ট: তাইল্যান্ড’, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট, ২০২২, https://www.state.gov/reports/2022-trafficking-in-persons-
report/thailand/#:~:text=The%20414%20trafficking%20victims%20identified,233%20victims%20of%20labor
%20trafficking
১৯) ‘২০২২ ট্র্যাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট: ফিলিপিন্স’, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট, ২০২২, https://www.state.gov/reports/2022-trafficking-in-persons-
report/philippines__trashed/#:~:text=The%20government%20reported%20identifying%201%2C802,male%20
and%201%2C251%20were%20female.
২০) সাই কর্দিস্কো প্রমুখ, ‘পার্সপেক্টিভ অব সার্ভাইভারস অব হিউম্যান ট্র্যাফিকিং অ্যান্ড সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন অন দেয়ার রিলেশনশিপস উইথ শেল্টার স্টাফ: ফাইন্ডিংস ফ্রম আ লঙ্গিটুডাইনাল স্টাডি ইন কম্বোডিয়া’, দ্য ব্রিটিশ জার্নাল অব সোশ্যাল ওয়ার্ক ৫০, নং ১ (২০২০): ১৭৬-১৯৪
২১) ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ‘২০২২ ট্র্যাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট: ইন্ডিয়া’
২২) রেসকিউ ফাউন্ডেশন, https://rescuefoundation.net/project/art-and-craft/ অ্যাকসেসড অন ২৭ মার্চ, ২০২৩
২৩) প্রেরণা অ্যান্টি ট্র্যাফিকিং, https://www.preranaantitrafficking.org/ অ্যাকসেসড অন ২৭ মার্চ, ২০২৩
২৪) জবালা অ্যাকশন রিসার্চ অর্গানাইজেশন, http://www.jabala.org/# অ্যাকসেসড অন ২৭ মার্চ, ২০২৩
২৫) অনিন্দিতা সোম, ‘অনারেবল প্রেসিডেন্ট লঞ্চেস আ প্রি-স্কিলিং প্রোগ্রাম ফর ট্র্যাফিকিং সার্ভাইভার’, ন্যাশনাল স্কিলস নেটওয়ার্ক, মার্চ ৯, ২০১৮, https://www.nationalskillsnetwork.in/pre-skilling-programme-for-trafficking-
survivors/
২৬) ঢাকা আহসানিয়া মিশন, https://www.ahsaniamission.org.bd/field-works/tvet/ অ্যাকসেসড অন ২৭ মার্চ, ২০২৩ ২৭) রক্ষা নেপাল, https://www.younglivingfoundation.org/raksha-nepal অ্যাকসেসড অন ২৪ মার্চ, ২০২৩
২৮) জেন্টল হার্ট ফাউন্ডেশন, https://www.ghfnepal.org/ অ্যাকসেসড অন ২৪ মার্চ, ২০২৩
২৯) কাবাল্লেরো-অ্যান্থনি মেলি, ‘আ হিশেন স্কাউর্জ’, ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড, সেপ্টেম্বর ২০১৮, https://www.imf.org/en/Publications/fandd/issues/2018/09/human-trafficking-in-southeast-asia-caballero
৩০) মেলি, ‘এ’
৩১) শ্রী হার্তাদি প্রমুখ, ‘দি এমপাওয়ারমেন্ট স্ট্র্যাটেজি ফর প্রস্টিটিউটস থ্রু কম্পিটেন্সি-বেসড কালিনারি স্কিলস ট্রেনিং অ্যাট সেন্মারং রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার’ জার্নাল পেন্দিদিকান দন পেম্বারদায়ান মাসিয়ারাকাত (জেপিপিএম), ৬ (১), (২০১৯) https://www.researchgate.net/publication/334202971_The_empowerment_strategy_for_prostitutes_through_co
mpetency-based_culinary_skills_training_at_Semarang_Rehabilitation_Center
৩২) ‘২০২২ ট্র্যাফিকিং ইন পারসন রিপোর্ট: মালয়েশিয়া’, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট, ২০২২, https://www.state.gov/reports/2022-trafficking-in-persons-
report/malaysia/#:~:text=In%202021%2C%20the%20government%20identified,confirmed%20119%20victims
%20among%20487.
৩৩) ‘২০২২ ট্র্যাফিকিং ইন পারসন রিপোর্ট: মালয়েশিয়া’, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট, ২০২২, https://www.state.gov/reports/2022-trafficking-in-persons-
report/malaysia/#:~:text=In%202021%2C%20the%20government%20identified,confirmed%20119%20victims
%20among%20487.
৩৪) কর্দিস্কো লাই, এল প্রমুখ, ‘দে ডিড নট পে অ্যাটেনশন অন ওয়ান্ট টু লিসন হোয়েন উই স্পোক’: উইমেন’স এক্সপেরিয়েন্সেস ইন আ ট্র্যাফিকিং-স্পেসিফিক শেল্টার ইন কম্বোডিয়া, অ্যাফিলিয়া, ৩৭(১), (২০২২), ১৫১-১৬৮। https://doi.org/10.1177/0886109920984839
৩৫) রাম মোহন নাইডু কিঞ্জরাপু, ‘স্কিলিং ট্রেনিং অ্যান্ড অঁন্ত্রপ্রেনরশিপ – ইনরোডস টু অল্টারনেট অ্যান্ড ওয়েল-পেয়িং লাইভলিহুডস ফর সার্ভাইভারস অব ট্র্যাফিকিং’, দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া, জানুয়ারি ২২, ২০২৩, https://timesofindia.indiatimes.com/blogs/voices/skill-training-and-entrepreneurship-inroads-to-alternate-and-
well-paying-livelihoods-for-survivors-of-trafficking/
৩৬) কিঞ্জরাপু, ‘স্কিলিং ট্রেনিং’
৩৭) অ্যালি গার্ডনার ‘এডুকেশন অ্যাজ আ টুল টু কমব্যাট হিউম্যান ট্র্যাফিকিং’, ইউনাইটেড ওয়ে, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
https://www.unitedway.org/blog/education-as-a-tool-to-combat-human-trafficking#
৩৮) ইউনিভার্সিটি অব ক্যালকাটা, ‘সোনাগাছি ইন পার্সপেক্টিভ- আ সোশ্যাল অ্যান্ড মেডিকো-লিগ্যাল স্টাডি’, ডিপার্টমেন্ট অফ উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার, গভর্নমেন্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল, ২০২৩ (রিপোর্ট সাবমিটেড বাট আনপাবলিশড)
৩৯) ইন্টারভিউ উইথ বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, রাইটস যশোর, অন হিউম্যান ট্র্যাফিকিং সিচুয়েশন ইন বাংলাদেশ বাই অনসূয়া বসু রায় চৌধুরী অ্যান্ড শ্রীপর্ণা ব্যানার্জি, হোয়াটসঅ্যাপ কল, ১৫ মার্চ ২০২১
৪০) প্রতীক কুকরেজা, ‘দ্য জি২০ ইন আ পোস্ট-কোভিড ১৯ ওয়ার্ল্ড: ব্রিজিং দ্য স্কিলস গ্যাপস’, ওআরএফ, নভেম্বর ১২, ২০২০
https://www.orfonline.org/research/the-g20-in-a-post-covid19-world-bridging-the-skills-gaps/
৪১) ‘স্কিল-আপ প্রোগ্রাম: আপগ্রেডিং স্কিলস ফর দ্য চ্যালেঞ্জিং ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক’, ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন, https://www.ilo.org/skills/projects/skill-up/lang–en/index.htm অ্যাকসেসড অন ৮ মে, ২০২৩
৪২) ‘ট্র্যাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট জুলাই ২০২২’, ২০২২, https://www.state.gov/wp-content/uploads/2022/04/337308-
2022-TIP-REPORT-inaccessible.pdf
৪৩) ‘রিডিউসিং ভালনারেবিলিটি থ্রু মার্কেট ওরিয়েন্টেড স্কিলস ট্রেনিং ইন্টারভেনশনস’ গিভ ডট ডু, https://give.do/projects/reducing-vulnerability-through-market-oriented-skills-training-interventions অ্যাকসেসড অন ২ মে, ২০২২
৪৪) কিঞ্জরাপু, ‘স্কিলিং ট্রেনিং’
৪৫) ‘হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইন সাউথ এশিয়া: অ্যাসেসিং দি এফেক্টিভনেস অফ ইন্টারভেনশনস র্যাপিড এভিডেন্স অ্যাসেসমেন্ট’, উইকে এড, হার্ট, ফরেন। কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস, মার্চ ২০২০,
https://assets.publishing.service.gov.uk/media/5f61d9c1e90e072bc30fa04b/REA_-
Trafficking_Mar_2020_FINAL.pdf
৪৬) ইউকে এড, হার্ট, ফরেন। কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস, ‘হিউম্যান ট্র্যাফিকিং’
৪৭) ‘ইউএন ভলান্টারি ট্রাস্ট ফান্ড ভিক্টিমস অব হিউম্যান ট্র্যাফিকিং: ২০ নিউ এনজিও প্রজেক্টস সিলেক্টেড ফর ইমার্জেন্সি গ্রান্টস আন্ডার সিক্সস গ্রান্ট সাইকল’, ইউএনওডিসি, জুন ৮, ২০২২, https://www.unodc.org/unodc/en/frontpage/2022/June/un-voluntary-trust-fund-for-victims-of-human-
trafficking_-20-new-ngo-projects-selected-for-emergency-grants-under-the-sixth-grant-cycle.html
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.