ভূমিকা
ভিডিও গেমগুলি বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষকে সংযুক্ত করে বিশাল ডিজিটাল নেটওয়ার্কে রূপান্তরিত হয়েছে। তবে এই দ্রুত সম্প্রসারণ একটি উদ্বেগজনক বাস্তবতাও নিয়ে আসে। অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করে, এবং বিশ্বব্যাপী যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার জন্য ভৌগোলিক বাধাগুলিকে উপেক্ষা করে, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ও চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলি ধীরে ধীরে গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে ফাঁদে ফেলছে।
বিশ্বব্যাপী, কোভিড-১৯ অতিমারির পরে অনলাইন গেমিং উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এই বিশ্বব্যাপী প্রসার বিভিন্ন মহাদেশব্যাপী এর ব্যাপক আবেদন ও বৃদ্ধির উপর আলোকপাত করে, এবং একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক গেমিং সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। ভারতও, কোভিড-১৯ অতিমারি চলাকালীন সস্তা স্মার্টফোন, কম ডেটা খরচ, ও সামাজিক পরিবর্তনের দ্বারা চালিত এই ক্ষেত্রটিতে বিস্ফোরক বৃদ্ধির সাক্ষী হয়েছে।
অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করে, এবং বিশ্বব্যাপী যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার জন্য ভৌগোলিক বাধাগুলিকে উপেক্ষা করে, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ও চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলি ধীরে ধীরে গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে ফাঁদে ফেলছে।
এই নিবন্ধটি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল ভূচিত্রের অন্ধকার দিকের সন্ধান করে — কীভাবে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলি তাদের প্রভাব বিস্তার করতে এবং গেমারদের উগ্রবাদী করে তুলতে গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে শোষণ করছে। নিবন্ধটি এই গোষ্ঠীগুলি যে পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করে তা পরীক্ষা করে, যেমন গেমের বিষয়বস্তু পরিবর্তন করা, অনভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের শিকার করা, এবং গেমগুলির মধ্যে আবদ্ধ র্যাডিকাল বৃত্ত তৈরি করতে সামাজিক বৈশিষ্ট্যগুলি অপব্যবহার করা। নিবন্ধটি এই বিষয়েও আলোচনা করে যে কীভাবে এই কৌশলগুলি সাধারণভাবে উগ্র মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনলাইন ইয়ুথ-টার্গেটিং কৌশলগুলিকে নকল করে। অবশেষে, নিবন্ধটি ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তায় অবদান রেখে এই সমস্যাগুলি সমাধান করার জন্য গেম ডেভলপারদের কোন কোন কৌশল অবলম্বন করতে হবে সেই সুপারিশও করে।
অনলাইন গেমারদের সংখ্যা বাড়ছে
চিত্র ১: অঞ্চল অনুসারে গেমারদের বিশ্বব্যাপী বিতরণ (মিলিয়নে)

সূত্র: প্রায়রি ডেটা
ভারতীয় গেমিং ক্ষেত্র অর্থবর্ষ ২০২৫-এর মধ্যে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, যা আনুমানিক ২৫৩ বিলিয়ন ভারতীয় রুপিতে পৌঁছবে। এটি দেশের দ্রুত প্রসারিত গেমিং ভূচিত্র তুলে ধরে৷ শুধুমাত্র ২০২৩ সালে, ভারত এই ক্ষেত্রটিতে আনুমানিক ১০০,০০০ জনকে নিযুক্তি দিয়েছে, যা ২০২৫ সালের মধ্যে ২৫০,০০০-এ পৌঁছবে বলে অনুমান করা হয়েছে। থর্নটন ভারত ও ই-গেমিং ফেডারেশন-এর একটি প্রতিবেদন — গার্ডিয়ানস অফ সেফ প্লে: এথিক্যাল গেমিং ফর আ ভাইব্র্যান্ট ভারত — এই কথাই তুলে ধরে যে ভারতে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যক ব্যবহারকারী-ভিত্তি রয়েছে। এর চেয়ে বেশি ব্যবহারকারী আছেন শুধু চিনে। এইভাবে একটি দেশ হিসাবে ভারত একটি গেমিং পাওয়ার হাউসে পরিণত হয়েছে। ভারতে মোবাইল গেমের ডাউনলোড ২০২২ সালে ৫.২ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ৯.৬৬ বিলিয়নে পৌঁছে গিয়েছে। লুডো কিং ও ফ্রি ফায়ার ম্যাক্সের মতো জনপ্রিয় গেমগুলি এই অভূতপূর্ব বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।
চিত্র ২: চিন, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনলাইন গেমার ও বাজারের আয়ের (মার্কিন ডলারে) তুলনা

সূত্র: স্ট্যাটিস্টা
গেমিং প্ল্যাটফর্মে চরমপন্থী কার্যকলাপ
সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ও উগ্রপন্থীরা ক্রমবর্ধমানভাবে গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে তাদের জন্য নিয়োগ ও র্যাডিকালাইজ করার জন্য ব্যবহার করছে৷ চরমপন্থী মূল্যবোধ প্রতিফলিত করার জন্য একটি সাধারণ কৌশল হল ইন-গেম অ্যাসেটগুলিকে বদলে নেওয়া, যেমন চরিত্রদের গাত্রচর্ম, পরিবেশ বা গল্পের পরিবর্তন। গ্লোবাল প্রোজেক্ট এগেনস্ট হেট অ্যান্ড এক্সট্রিমিজম অনুসারে, কাউন্টার-স্ট্রাইক: গ্লোবাল অফেন্সিভ (সিএস: জিও)-এর মতো চরমপন্থী-সংশোধিত গেমগুলি শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী প্রতীক বা অতি-দক্ষিণ-উগ্রপন্থী বর্ণন নিয়ে এসে এমন পরিবেশ তৈরি করে যেখানে খেলোয়াড়রা এই বিশ্বাসগুলির মুখোমুখি হয় বা এমনকি পরোক্ষভাবে গ্রহণও করে। কল অফ ডিউটির মতো গেমগুলিতে ইসলামিক স্টেটের মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির রাজনৈতিক বা জাতীয়তাবাদী ধাঁচের কাস্টম মড (পরিবর্তন) করা হয়েছে, যার সামনে ঘন ঘন আসতে থাকলে একজন উগ্র মতাদর্শকে স্বাভাবিক বলে মনে করে।
কল অফ ডিউটির মতো গেমগুলিতে ইসলামিক স্টেটের মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির রাজনৈতিক বা জাতীয়তাবাদী ধাঁচের কাস্টম মড (পরিবর্তন) করা হয়েছে, যার সামনে ঘন ঘন আসতে থাকলে একজন উগ্র মতাদর্শকে স্বাভাবিক বলে মনে করে।
এই ইমারসিভ গেমগুলি কার্যকর, কারণ এগুলি খেলোয়াড়দের দীর্ঘ সময়ের জন্য নিমগ্ন করে রাখে, এবং চরমপন্থীদের জন্য এমনভাবে সম্প্রদায়কে লালন করার সম্ভাবনা তৈরি করে যাতে সময়ের সঙ্গেসঙ্গে গোপনে খেলোয়াড়দের মগজ ধোলাই হয়। উপরন্তু, ভিআরচ্যাট -এর মতো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) গেম রিয়েল-টাইম ও পারসোনালাইজড ইন্টারঅ্যাকশনের অনুমতি দেয়, এবং সেইসঙ্গে উগ্রপন্থীদের নির্দিষ্ট মতাদর্শ প্রচারের জন্য মডিফায়েড সেটিংসে তরুণ, দুর্বল খেলোয়াড়দের নিয়োগ করার সুযোগ প্রদান করে।
সচলতা ও প্রশিক্ষণ
কিছু গেম প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র হিসাবে কাজ করে, যেখানে চরমপন্থীরা আক্রমণের অনুশীলন বা কৌশলগুলিকে পরিমার্জিত করার জন্য গেমের পরিবেশ ব্যবহার করে যুদ্ধ বা সমন্বয় কৌশল অনুকরণ করে। উদাহরণস্বরূপ, আরমা ৩ বা এসকেপ ফ্রম তারকভ-এর মতো গেমগুলি ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা বাস্তবসম্মত পরিবেশে কৌশলগত সম্পৃক্ততা অনুকরণ করতে পারে। উচ্চমাত্রার বাস্তববাদের জন্য প্রশংসিত এই গেমগুলিকে বিশেষ করে জঙ্গি মানসিকতা জাগিয়ে তোলার লক্ষ্যে এই গোষ্ঠীগুলি পছন্দ করে। উগ্রপন্থীরা বাস্তব বিশ্বের পরিস্থিতি থেকে কৌশল ও রোল-প্লেয়িং দৃশ্যাবলির অনুশীলন করতে এই গেমগুলি ব্যবহার করে।
আর্থিক জালিয়াতি ও সাইবার বুলিং
উগ্রপন্থীরা অর্থ পাচার ও প্রতারণামূলক লেনদেনের জন্য ইন-গেম কারেন্সি সিস্টেম এবং আইটেম মার্কেটপ্লেস-গুলিকেও কাজে লাগিয়েছে। কাউন্টার-স্ট্রাইক: গ্লোবাল অফেন্সিভ-এ, উদাহরণস্বরূপ, ওয়েপন স্কিন মার্কেটপ্লেস-কে বিক্ষিপ্তভাবে অবৈধ ব্যবসার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে, এবং কিছু ক্ষেত্রে এই আইটেমগুলি মানি লন্ডারিং কার্যকলাপের জন্য ফ্রন্ট হিসাবে কাজ করেছে। তার উপর আল কসম ব্রিগেড, হামাস, আল-কায়েদা, আইএসআইএস ও হিজবুল্লার মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি সাইবার জালিয়াতি, প্রচারণা ও শুটিং অনুশীলন বা যুদ্ধের প্রশিক্ষণের জন্য খেলোয়াড়দের টার্গেট করে। এই পরিবেশটি তখন অরক্ষিত ব্যক্তিদের বিচ্ছিন্ন করতে এবং তাদের চরমপন্থী গোষ্ঠীতে টানতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে তারা সুরক্ষা ও মানসিক সংযোগের অনুভূতি পায়।
উগ্রপন্থীরা অর্থ পাচার ও প্রতারণামূলক লেনদেনের জন্য ইন-গেম কারেন্সি সিস্টেম এবং আইটেম মার্কেটপ্লেস-গুলিকেও কাজে লাগিয়েছে।
গেমিং প্ল্যাটফর্মে হুমকি মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ
গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে উগ্রপন্থা মোকাবিলায় একটি মূল চ্যালেঞ্জ হল এই ডিজিটাল পরিবেশে তৈরি ও শেয়ার করা সামগ্রীর পরিমাণ। রবলক্স ও জিটিএ ভি-র মতো গেমগুলি বিশাল স্যান্ডবক্স পরিবেশ প্রদান করে, যেখানে ব্যবহারকারীরা অবাধে বিষয়বস্তু পরিবর্তন করতে পারে। ডেভেলপারদের জন্য রিয়েল-টাইমে এই বিশাল পরিধিতে সব কার্যকলাপ নিরীক্ষণ করা কঠিন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক সনাক্তকরণ ব্যবস্থা ক্রমাগত উগ্রবাদী বিষয়বস্তু সনাক্ত করার জন্য উন্নত করা হচ্ছে। তবে এখনও এই প্রযুক্তিগুলি উগ্রপন্থী কৌশলের দ্রুত বিবর্তন এবং গোপনীয়তা বা ডেটা অ্যাক্সেস সীমাবদ্ধতার কারণে সীমাবদ্ধ ।
তার উপর, গেমিং সংস্থাগুলির প্রায়শই উগ্রপন্থা মোকাবিলা করার জন্য আরও সুনির্দিষ্ট সংস্থানের প্রয়োজন হয়, এবং কেউ কেউ সম্প্রদায়ের সুরক্ষার চেয়ে ইন-গেম নগদীকরণের দিকে বেশি মনোযোগ দেয়। উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলি এই ব্যবধানকে কাজে লাগায় এটা জেনে যে রিয়েল-টাইম পরিবর্তন প্রায়শই গুপ্ত র্যাডিক্যালাইজেশন কৌশল শনাক্ত করতে যথেষ্ট অর্থায়িত নয়, বা অকার্যকর।
গেম ডেভেলপারদের জন্য সমাধান
সরকার ও গেমিং কোম্পানিগুলি বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা ও সক্রিয় কৌশলগুলির মাধ্যমে গেমিংয়ে উগ্রপন্থার ক্রমবর্ধমান বিপদ মোকাবিলায় কাজ করছে। ২০২১ সালে ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি একটি টাস্ক ফোর্স চালু করেছে যেটি গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে উগ্রপন্থী কার্যকলাপ সনাক্ত করা এবং রিপোর্ট করার জন্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে নিবেদিত। ভারতের ২০২১ তথ্যপ্রযুক্তি বিধি নির্দেশ করে যে প্ল্যাটফর্মগুলি উগ্রপন্থাসহ অবৈধ সামগ্রী ট্র্যাক করবে এবং রিপোর্ট করবে। এতে বলা হয়েছে, মোবাইল গেমিংয়ের বিশাল আয়তন ভারতের জন্য অনন্য প্রয়োগকারী চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে। ইউরোপে, ২০২২ সালে পাস করা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ডিজিটাল পরিষেবা আইন’ অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিকে ঝুঁকি মূল্যায়ন পরিচালনা করার এবং বিষয়বস্তু পরিবর্তনের বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিয়েছে। তবুও, এই মানগুলির প্রয়োগ বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রে বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। ইতিমধ্যে, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি ডিজিটাল বিষয়বস্তু প্রবিধানের বাস্তবায়ন শুরু করেছে। তবুও, এগুলি প্রায়শই সরাসরি উগ্রপন্থার পরিবর্তে সাইবার নিরাপত্তার উপর দ্ষ্টি নিবদ্ধ করে এবং কিছু নিয়ন্ত্রক ফাঁক রেখে যায়, যা উগ্রপন্থীরা ব্যবহার করে।
২০২১ সালে ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি একটি টাস্ক ফোর্স চালু করেছে যেটি গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে উগ্রপন্থী কার্যকলাপ সনাক্ত করা এবং রিপোর্ট করার জন্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে নিবেদিত।
এইসব সরকারি প্রচেষ্টার উপর ভিত্তি করে গেমিং কোম্পানিগুলি নিরাপদ এবং আরও স্থিতিস্থাপক গেমিং সম্প্রদায় তৈরি করতে অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
❅ কার্যকরী বিষয়বস্তু পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার থেকে গিয়েছে, এবং ডেভলপাররা উগ্রপন্থী উপাদান সনাক্ত করা ও অপসারণের জন্য মানব তদারকির সঙ্গে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অ্যালগরিদম ব্যবহার করছে। এই অ্যালগরিদমগুলিকে নিয়মিত আপডেট করা অপরিহার্য, কারণ চরমপন্থীরা প্রায়ই তাদের পদ্ধতিগুলির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়৷
❅ উগ্রপন্থা ও ঘৃণামূলক বক্তব্যকে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করে এমন জনসম্প্রদায়গত মান স্থাপন ও তার প্রচার নিরাপত্তাকে আরও উন্নত করে; ডেভেলপারদের অবশ্যই ক্রমাগত মডারেটরদের ক্রমবর্ধমান উগ্রপন্থী আচরণগুলি চিনতে এবং মোকাবিলা করতে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
❅উগ্রবাদ-বিরোধী বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সহযোগিতা ডেভলপারদের নতুন বিপদ সম্পর্কে অবগত থাকতে সাহায্য করতে পারে, যাতে তারা কার্যকরভাবে নতুন ঝুঁকি মোকাবিলা করার জন্য তাদের মডারেশন অনুশীলনগুলিকে পরিমার্জিত করতে পারে।
❅ শিক্ষাবিদ ও উগ্রপন্থাবিরোধী সংগঠনের সহযোগিতায় উগ্রবাদের লক্ষণ সম্পর্কে খেলোয়াড়দের শিক্ষিত করা গেলে তা তাদেরকে উগ্রপন্থী প্রভাব প্রতিরোধ করার মতো জ্ঞান দিয়ে সজ্জিত করবে এবং একটি সজাগ সম্প্রদায় গঠনে অবদান রাখবে।
❅অবশেষে, প্রাপ্তিযোগ্য রিপোর্টিং টুল প্রদান করা হলে তা নিশ্চিত করে যে খেলোয়াড়রা সহজেই উগ্রপন্থী বিষয়বস্তু রিপোর্ট করতে পারবে, এবং তা সক্রিয় ও ক্ষমতায়িত গেমিং পরিবেশকে উৎসাহিত করবে।
এই সম্মিলিত নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা এবং শিল্প-চালিত কৌশলগুলি একটি গেমিং বাস্তুতন্ত্র তৈরি করতে পারে, যা খেলোয়াড়দের রক্ষা করে, উগ্রপন্থী প্রভাব প্রশমিত করে, এবং গেমিং সম্প্রদায়কে সক্রিয়ভাবে ক্ষতিকারক বিষয়বস্তুর বিস্তারকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা দেয়।
প্রাপ্তিযোগ্য রিপোর্টিং টুল প্রদান করা হলে তা নিশ্চিত করে যে খেলোয়াড়রা সহজেই উগ্রপন্থী বিষয়বস্তু রিপোর্ট করতে পারবে, এবং তা সক্রিয় ও ক্ষমতায়িত গেমিং পরিবেশকে উৎসাহিত করবে।
উপসংহার
ভিডিও গেমগুলি সামাজিকভাবে সংযুক্ত প্ল্যাটফর্মে বিকশিত হয়েছে, যা উগ্রপন্থীরা এখন খেলোয়াড়দের নিয়োগ করা ও উগ্রবাদী করার জন্য ব্যবহার করে। গেমিংয়ের নিমগ্ন পরিবেশ ও পরিচয় গোপন রাখার সুযোগ নিয়ে উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলি বিশ্বব্যাপী অরক্ষিত ব্যক্তিদের সূক্ষ্মভাবে নিজেদের আদর্শে শিক্ষা দেয়। এই বিপদটি গেমিং বাস্তুতন্ত্রজুড়ে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। ডেভলপারদের অবশ্যই মডারেশন ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে, এআই সনাক্তকরণ সরঞ্জামগুলি নিয়োগ করতে হবে, এবং উগ্রবাদ-বিরোধী বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করতে হবে। নীতিনির্ধারকদের উচিত প্ল্যাটফর্মগুলির জবাবদিহির ব্যবস্থা করার জন্য প্রবিধান স্থাপন করা যাতে গেমিং সম্প্রদায় সতর্ক থাকে এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ রিপোর্ট করে।
গেমিংকে একটি ইতিবাচক পরিসর হিসাবে সংরক্ষণ করার জন্য প্রয়োজন সমষ্টিগত সতর্কতা, উদ্ভাবনী মডারেশন এবং শক্তিশালী শোষণ-বিরোধী ব্যবস্থা। কোম্পানি, সরকার ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে, গেমিং চরমপন্থী প্রভাব থেকে মুক্ত একটি নিরাপদ ও আকর্ষক পরিসর হতে পারে।
সৌম্য অবস্থি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নিরাপত্তা, কৌশল ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের একজন ফেলো
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.