Published on Jul 12, 2022 Updated 0 Hours ago

ইজরায়েল বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভারতের সঙ্গে তার অর্থনৈতিক, কৌশলগত, প্রতিরক্ষামূলক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক মজবুত করতে পারে।

গ্যান্টজ-এর ভারত সফর: এশিয়ার প্রধান শক্তির নির্মাণে ইজরায়েলের ভূমিকা

মার্চ মাসে তাঁর সফর স্থগিত রাখার পরে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেঞ্জামিন গ্যান্টজ সম্প্রতি ভারত এবং ইজরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের তিন দশক পূর্তি উপলক্ষে একটি ‘নিরাপত্তা ঘোষণাপত্র’ স্বাক্ষর করতে দিল্লিতে এসেছিলেন। এই সফরটি এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন এক দিকে নেসেত-এ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পরে ইজরায়েলের জোট সরকার ক্রমশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে এবং অন্য দিকে ইজরায়েলি নাগরিকদের উপরে নাশকতামূলক হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ হেন পরিস্থিতিতেও এই সফর ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত সম্পর্কের উপরে জেরুজালেমের গুরুত্ব প্রদান করাকেই দর্শায়।

দুই দেশের মধ্যে বর্তমান অর্থনৈতিক, কৌশলগত এবং সাংস্কৃতিক সুসম্পর্কের নেপথ্যে রয়েছে উভয় দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আদান-প্রদান। উত্তর-ঔপনিবেশিক সময়ে দু’টি স্বাধীন দেশের মধ্যে সম্পর্কের প্রথম দশকগুলিতে ইজরায়েলকে ভারত সন্দেহের নজরে দেখেছে এবং প্রতিবেশী আরব দেশগুলির সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন নয়াদিল্লির তরফে ইজরায়েলের শত্রু দেশগুলিকে অস্ত্র সরবরাহ করা সত্ত্বেও ইজরায়েলের কৌশলের ভিত্তি ছিল কূটনৈতিক প্রীতি ও ভারতের মতো একটি দেশের মিত্রশক্তি হয়ে ওঠার বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য তার উন্নত সামরিক ক্ষমতার ব্যবহার। ১৯৯২ সালে উভয় পক্ষের মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের নিরিখে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হলেও ভারতের সন্দেহের রেশ কাটতে অনেক বছর সময় লেগেছে।

পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কয়েক মাস পর উভয় দেশই তাদের সামরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার জন্য এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

প্রথম দিন থেকেই ভারত সরকার ইজরায়েলের সঙ্গে সামরিক আন্তঃসহযোগিতার ব্যাপারটি গোপন রেখেছে। কিন্তু ভারতের জন্য এই সম্পর্কের ব্যাপক সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করলে এটির জনসমক্ষে উন্মোচিত হওয়া শুধু মাত্র যে সময়ের অপেক্ষা ছিল, তা বলাই বাহুল্য। ১৯৯২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের তদানীন্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শরদ পওয়ার উল্লেখ করেন যে, জেরুজালেমের সঙ্গে সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণ সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে ইজরায়েলের বিশ্ববিখ্যাত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা লাভ করার জন্য এক যথার্থ পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে এবং একই সঙ্গে এটি গবেষণা ও উন্নয়ন ক্ষেত্র সংক্রান্ত মূল আগ্রহকে স্পষ্ট করেছে। পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কয়েক মাস পর উভয় দেশই তাদের সামরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার জন্য এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ইজরায়েলের সামরিক আধিকারিকদের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল ভারতীয় প্রতিরক্ষা আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ভারত সফরে আসেন। তাঁদের পারস্পরিক আলোচনার খুঁটিনাটি গোপন রাখা হলেও এই সফর উভয় পক্ষেরই এক যৌথ লক্ষ্যের পথে এক জোট হয়ে অগ্রসর হওয়ার অভিপ্রায়কে তুলে ধরে।

১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে ইজরায়েল ভারতের প্রতি তার দায়বদ্ধতা প্রমাণের একাধিক সুযোগ পেয়েছিল। ১৯৯৮ সালে পোখরানে পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পর ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউ এস) সম্পর্কে টানাপড়েন চলাকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে আধুনিক ইলেকট্রনিক সিস্টেম বিক্রি না করার জন্য ইজরায়েলের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইজরায়েলের সুদৃঢ় অংশীদারিত্ব থাকা সত্ত্বেও ইজরায়েল ওয়াশিংটনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে এবং ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও নয়াদিল্লিকে সমর্থন জোগায়। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক পরিসরে সমস্যার মুখে পড়া ভারতের জন্য ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধ জয়, যা ভারতের সর্বপ্রথম টেলিভিশনে সম্প্রসারিত যুদ্ধও বটে, দিল্লির জন্য বহুস্তরীয় তাৎপর্য বহন করে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে ইজরায়েল যদি যুদ্ধ চলাকালীন লেজার নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্রগুলি প্রদান করে ভারতকে সাহায্য না করত, তা হলে হয়তো ‘অপারেশন বিজয়’ সফল হত না।

সেই সময় থেকেই প্রযুক্তির হস্তান্তর এবং অনুমতিপ্রাপ্ত উৎপাদন ভারত এবং ইজরায়েলের মধ্যে কৌশলগত প্রতিরক্ষা জোটকে সংজ্ঞায়িত করার মৌলিক মাত্রা রূপে আবির্ভূত হয়েছে। মোদী-বিজেপি শাসনকালে পারস্পরিক সম্পর্কের সুদৃঢ়করণের ফলে উভয় দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং সামরিক সরঞ্জাম আমদানির সুযোগ বৃদ্ধি পায়। ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়া ও ফ্রান্সের পাশাপাশি ইজরায়েলও ভারতের প্রতিরক্ষা বাজারের নিরিখে এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তি রূপে উঠে এসেছে। সিপরি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইজরায়েল থেকে ভারতের অস্ত্র আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৭৫ শতাংশ।

মোদী-বিজেপি শাসনকালে পারস্পরিক সম্পর্কের সুদৃঢ়করণের ফলে উভয় দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং সামরিক সরঞ্জাম আমদানির সুযোগ বৃদ্ধি পায়।

ইজরায়েলি বাজারের জন্য মোদী প্রশাসন সুযোগ সৃষ্টি করলেও এর ফলে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একাধিক প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার মোদীর লক্ষ্যের পাশাপাশি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নামক সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচির হাত ধরে ভারতকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ইজরায়েলি  প্রতিরক্ষা শিল্পের নীতি নির্ধারকদের জন্য এক দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাফালের মতো ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির কৌশল তিনটি প্রধান বিষয়ের উপরে নির্ভরশীল এবং প্রতিটি ক্ষেত্রই একটি করে প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে যুক্ত। এগুলির মধ্যে প্রথমটি হল স্থানীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করা যা অত্যন্ত জটিল এক প্রক্রিয়া এবং সব সময় এমনটা করা যথাযোগ্য নয়। দ্বিতীয়ত স্থানীয় সত্তাবিশিষ্ট সংস্থা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারটির সংস্থার মালিকানা কেন্দ্রিক প্রশ্নে সমস্যাজনক হয়ে ওঠা। এবং তৃতীয়ত, ব্যবস্থা বা পণ্য সংক্রান্ত যৌথ উদ্যোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উপলব্ধ দরপত্র বা টেন্ডারগুলির নির্ধারিত মানদণ্ডে উত্তীর্ণ না হতে পারে।

দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, এস আই বি এ টি এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অফ ওয়েপনস অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার-এর মতো সরকারি প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলি এখনও ভারতের বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে তাদের কৌশলগুলি মানিয়ে নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত নয়। ইজরায়েলি এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির মধ্যে আন্তঃপ্রতিযোগিতার প্রসার ও ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটিতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অন্তরায়ের নিরিখে অবশ্যই একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। কারণ এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্রমবিকাশ এবং সম্ভাবনার প্রসারের কেন্দ্রে রয়েছে ভারতে ইজরায়েলি সংস্থাগুলির এবং ইজরায়েলে ভারতীয় সংস্থাগুলির কার্যক্রমকে সহজতর করে তোলা।

বহু বছর ধরেই ইজরায়েল উন্নয়নশীল বিশ্বের পাশাপাশি এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলিকেও ‘ফলো দ্য মার্কেট’ বা ‘বাজার অনুসরণকারী’ নীতির আওতায় অস্ত্র বিক্রয় করেছে। একাধিক দশক যাবৎ ভারত এই তালিকায় এক উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে ছিল। কিন্তু বিগত দুই দশকে দেশের দ্রুত বৃদ্ধির হার এবং দেশীয় বাজারের ব্যাপক সম্ভাবনা ভারত সম্পর্কে বহু সংখ্যক মালিকানাধীন সংস্থার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। এমনকি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর (ইউ এস টি আর) কার্যালয় কর্তৃক উন্নয়নশীল এবং সর্বাপেক্ষা কম উন্নত দেশগুলির যে সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করা হয়, সেটিতে ভারতকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু আজকের ভারতের একাধিক বৃহৎ উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে।

ইজরায়েলি এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির মধ্যে আন্তঃপ্রতিযোগিতার প্রসার ও ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটিতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অন্তরায়ের নিরিখে অবশ্যই একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা প্রয়োজন।

এক শীর্ষস্থানীয় শক্তি হয়ে ওঠার ভারতীয় উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিষয়টি বর্তমান সরকারি আধিকারিকদের প্রায় প্রত্যেকটি গণবিবৃতিতেই স্পষ্ট হয়েছে। এই সম্মানের যোগ্য হতে গেলে যে দেশের হার্ড পাওয়ার বা সামরিক ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে সে বিষয়ে মোদী অবগত। তাই ইজরায়েলি সংস্থাগুলি নিশ্চিন্ত থাকতে পারে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের আধুনিকীকরণের জন্য এখনও দীর্ঘ পথ পেরোতে হবে। এবং যত দিন চিন ভারতকে তার ভূখণ্ড ও সামুদ্রিক সীমান্ত বরাবর প্ররোচিত করার জন্য নিজের যুদ্ধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে থাকবে, তত দিন ভারতও ইউ এ ভি, ড্রোন এবং আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের মতো ইজরায়েল নির্মিত যুদ্ধাস্ত্রের আমদানি চালিয়ে যাবে। কিন্তু এ সবের মাঝে যে জিনিসটি পরিবর্তিত হয়েছে তা হল ভারতীয়দের নিজেদের সম্পর্কে ধারণা। ভারত তার প্রয়োজনের পাশাপাশি নিজের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা সম্পর্কেও সচেতন হয়েছে এবং সে আর শুধু মাত্র এক জন ক্রেতা হয়ে থাকতে আগ্রহী নয়, বরং এমন এক দেশের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চায়, যে ভাব বিনিময়ে সক্রিয়, উদ্ভাবনী কর্মসূচির প্রতিপালক এবং আলোচনার টেবিলে সমান গুরুত্বপূর্ণ। ইজরায়েলিদের এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগছে।

ঘটমান ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে ভারতের গুরুত্ব পুনর্নিশ্চিত হয়েছে। এক দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে ভূ-অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ইজরায়েল ও বেজিংয়ের সম্পর্কে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে, যেখানে ওয়াশিংটন ইজরায়েল সরকারের উপরে বেজিংয়ের সঙ্গে কৌশলগত পরিকাঠামো, অস্ত্র ব্যবস্থা এবং সংবেদনশীল প্রযুক্তি সংস্থান গড়ে তোলার কর্মসূচিতে বিনিয়োগ না করার জন্য চাপ বৃদ্ধি করছে। অন্য দিকে ইউক্রেনের যুদ্ধ পুরাতন রুশ সরঞ্জামের উপরে ভারতের অতিনির্ভরতা ত্যাগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সর্বোপরি, আব্রাহাম অ্যাকর্ড এবং তার জায়মান জোট দ্য মিডল ইস্টার্ন কোয়াড আরব-ভূমধ্যসাগর বাণিজ্যপথকে কাজে লাগিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার জন্য এক অমূল্য সুযোগের দরজা খুলে দিয়েছে। সময় এসেছে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক রূপান্তরের প্রেক্ষিতে ইজরায়েলের ভারতের সঙ্গে তার সম্পর্ককে ক্রেতা-বিক্রেতার আঙ্গিকের ঊর্ধ্বে উঠে দেখার। জেরুজালেমের নিজেকে এশিয়ার আগামী শীর্ষ শক্তি নির্মাণের কাজে এক অংশীদার রূপে বিবেচনা করা উচিত।


[1] ১৯৯২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দ্য স্টেটসম্যান-এ শরদ পওয়ারের উদ্ধৃতি।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.