১৩ জুন জি৭ দেশগুলি ইতালির আপুলিয়ায় মিলিত হয়েছিল। সাতটি দেশের নেতা ছাড়াও এই শীর্ষ সম্মেলনে ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং আর্জেন্টিনার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। আলজেরিয়া, কেনিয়া, মৌরিতানিয়া ও তিউনিসিয়ার নেতাদের পাশাপাশি আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান মুসা ফাকি মাহামতকে এই সম্মেলনে আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যেহেতু বিশ্ব বর্তমানে ইউক্রেন ও গাজায় দুই বাড়তে থাকা যুদ্ধের মাঝে পথ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করছে, তাই এই যুদ্ধগুলির অর্থনৈতিক প্রভাব যে এই বছরের আলোচ্যসূচিতে শীর্ষে ছিল তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। যাই হোক, আফ্রিকার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলি আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসায় তা আসলে জি৭-এর জন্য আফ্রিকার ক্রমবর্ধমান অগ্রগতিকেও দর্শায়।
তা সত্ত্বেও জি৭-এর আফ্রিকার প্রতি মনোযোগ মোটেও আশ্চর্যজনক বিষয় নয়। এই বছরের শুরুতে ২০ মার্চ ইতালি আফ্রিকা-কেন্দ্রিক একটি জি৭ বৈঠকের আয়োজন করেছিল। সেই বৈঠকের সময় ইতালি-আফ্রিকা সহযোগিতার পাঁচটি অগ্রাধিকার ক্ষেত্র ঘোষণা করেছিল ইতালি এবং সেগুলি হল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য, কৃষি, জল এবং শক্তি। নিঃসন্দেহে, আপুলিয়ায় জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের সময়, বিশেষ করে বিদ্যমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ-প্ররোচিত জ্বালানি সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে জ্বালানি সুরক্ষার বিষয়টি আলোড়ন তুলেছিল। প্রকৃতপক্ষে, এই যুদ্ধ ইউরোপের মনোযোগ এ বার আফ্রিকায় স্থানান্তরিত করেছে। কারণ আফ্রিকা একটি সম্পদ-সমৃদ্ধ মহাদেশ, যেটিকে আন্তর্জাতিক শক্তির বিকল্প উৎস হিসেবে গড়ে তোলার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
আপুলিয়ায় জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের সময়, বিশেষ করে বিদ্যমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ-প্ররোচিত জ্বালানি সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে জ্বালানি সুরক্ষার বিষয়টি আলোড়ন তুলেছিল।
২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ইতালি প্রথম ইতালি-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলনেরও আয়োজন করেছিল, যেখানে জাপান, চিন, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং তুর্কিয়ের মতো দেশগুলি আফ্রিকা+১ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য যোগ দেয়। এই বছরের শুরুতে, সৌদি আরব এবং দক্ষিণ কোরিয়াও তাদের প্রথম আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করেছিল। প্রকৃতপক্ষে, চিরাচরিত এবং অপ্রচলিত উভয় শক্তিই যে ভাবে আফ্রিকায় এসে মিলে গিয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে যে, অবশেষে ‘আফ্রিকার উত্থানের’ সময় ঘনিয়ে এসেছে।
এ সব দ্বিপাক্ষিক মঞ্চ ছাড়াও বিভিন্ন বহুপাক্ষিক মঞ্চে আফ্রিকার গুরুত্ব স্বীকার করে নেওয়া হচ্ছে। গত বছর আফ্রিকান ইউনিয়ন স্থায়ী সদস্য হিসেবে জি-২০-তে অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০২৩ সালের ব্রিকস সম্মেলনে দু’টি আফ্রিকান দেশ অর্থাৎ মিশর এবং ইথিওপিয়াকে স্থায়ী ব্রিকস সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এই বছর আফ্রিকার উগান্ডা গ্রুপ অফ ৭৭ এবং চিন ও জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের মতো কয়েকটি বহুপাক্ষিক মঞ্চের নেতৃত্ব প্রদান করেছে। যাই হোক, আফ্রিকা-সম্পর্কিত বিষয়গুলি জি৭-এও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে উঠে এসেছে এবং সেই কারণেই আফ্রিকার দৃষ্টিকোণ থেকে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের আলোচনা ও ফলাফলগুলিকে মূল্যায়ন করা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে আফ্রিকার ক্রমবর্ধমান সাবলীলতা
জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের সময়, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, সংযোগ ও অভিবাসন-সহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আফ্রিকার কেন্দ্রীয়তাকে গ্রহণ করার জন্য সব দেশ একটি বিস্তৃত ঐকমত্যে এসে পৌঁছয়। ইতালি-আফ্রিকা সম্মেলনের সময় ইতালি আফ্রিকায় জ্বালানি-সম্পর্কিত একাধিক বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয়, যার মধ্যে রয়েছে কেনিয়াতে একটি জৈব জ্বালানি সরবরাহ শৃঙ্খলের উন্নয়ন, ইতালি ও তিউনিসিয়ার মধ্যে ইএলএমইডি বিদ্যুৎ আন্তঃসংযোগ অথবা উত্তর আফ্রিকা থেকে ইতালির মধ্য দিয়ে মধ্য ইউরোপে হাইড্রোজেন পরিবহণের জন্য নতুন এইচটু সাউথ করিডোর। স্পষ্টতই, ইতালির লক্ষ্য ছিল জি৭ নেতাদের এই প্রকল্পগুলিকে সমর্থন করার জন্য বোঝানো এবং শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় জ্বালানি সুরক্ষায় অবদান রাখা।
আফ্রিকাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পিজিআইআই-এর সম্প্রসারণও ছিল জি৭ সভাপতি হিসাবে ইতালির জন্য একটি প্রধান কর্মসূচি। কারণ জি৭ এখন আফ্রিকায় বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ইতালির মাত্তেই পরিকল্পনাকেও সমর্থন জোগাচ্ছে।
এই লক্ষ্যের অভিমুখেই মূল নীতিগত ফলাফল হল পার্টনারশিপ ফর গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট (পিজিআইআই), যা কিনা আফ্রিকাতে চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে মোকাবিলার জন্য জি৭-এর অর্থায়নকৃত ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ। পিজিআইআই-এর অর্থায়ন আফ্রিকার জ্বালানি এবং জলবায়ু-বান্ধব অবকাঠামোয় বিনিয়োগের ব্যবধান পূরণ করবে। আফ্রিকাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পিজিআইআই-এর সম্প্রসারণও ছিল জি৭ সভাপতি হিসাবে ইতালির জন্য একটি প্রধান কর্মসূচি। কারণ জি৭ এখন আফ্রিকায় বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ইতালির মাত্তেই পরিকল্পনাকেও সমর্থন
জোগাচ্ছে।
সর্বোপরি, আফ্রিকার উন্নয়নে জি৭-এর পিজিআইআই-এর ভূমিকা একটি কৌশলগত পন্থা। কারণ জি৭ আফ্রিকাকে চিনের বিকল্প উন্নয়ন অংশীদার করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে। যাই হোক, জি৭ চিনের বিআরআই রেলওয়ে, বন্দর, বাঁধ ইত্যাদির মতো ভৌত অবকাঠামো প্রকল্পগুলিতে বেশি মনোযোগ দিয়েছে, যেখানে পিজিআইআই-এর মনোযোগ রয়েছে জলবায়ু এবং স্বাস্থ্যের মতো কূটনৈতিক পরিসরের দিকে। সাম্প্রতিক শীর্ষ সম্মেলনে আফ্রিকার লোবিতো করিডোরের মতো সংযোগ প্রকল্পগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আর্থিক সমন্বয় শুরু করতে পিজিআইআই-এর পরিধি প্রসারিত করার বিষয়ে নেতৃত্বের ঐকমত্যও প্রকাশ্যে এসেছে।
আফ্রিকার জ্বালানি নিরাপত্তার কথা তুলে জি৭ আফ্রিকায় জ্বালানি বৃদ্ধির উদ্যোগ (এনার্জি ফর গ্রোথ ইন আফ্রিকা ইনিশিয়েটিভ) চালু করেছে এবং প্রাথমিক ভাবে কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, আইভরি কোস্ট, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সহযোগিতা করা হবে। ইউএনডিপি-র সঙ্গে অংশীদারিত্ব সাধনের মাধ্যমে জি৭-এর উদ্যোগের লক্ষ্য হল আফ্রিকায় জ্বালানির অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আরও বেশি ছাড়ে অর্থ প্রদান করা। জি৭-এর তরফে এ হেন উদ্যোগ আফ্রিকার জন্য নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক উন্নয়ন। কারণ আফ্রিকা মহাদেশে জ্বালানি প্রকল্পের অর্থায়নের খরচ ঋণদাতাদের দরুন অনেকটাই বেশি।
আফ্রিকার উন্নয়নের জন্য জি৭-এর উদ্যোগও একই ধরনের কৌশলগত পছন্দের আওতায় পড়ে, যা ইউরোপে অভিবাসন রোধ করতে সাহায্য করে।
কর্মসূচির আর একটি মূল বিষয় ছিল অভিবাসন, বিশেষ করে আফ্রিকা থেকে ইউরোপে। জি৭ নেতৃত্ব সেই মূল কারণগুলি মোকাবিলা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যে কারণের দরুন মানুষ আফ্রিকা থেকে অভিবাসন করতে বাধ্য হচ্ছেন। এটি আফ্রিকার কর্মসংস্থান বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা, জলবায়ু দুর্বলতা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যাগুলির বিরুদ্ধে লড়াইকে জি৭ রাষ্ট্রগুলির একটি সম্মিলিত কৌশলগত প্রয়োজনে পরিণত করেছে। যাই হোক, এর অর্থ আসলে এটাই যে, আফ্রিকায় পশ্চিমী স্বার্থগুলি অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানির নিরাপত্তাহীনতা রোধ করার জন্য তাদের নিজস্ব চাহিদা থেকে উদ্ভূত হয়েছে। জি৭ দেশগুলি আফ্রিকায় কর্মসংস্থানের উপর এআই-এর প্রভাব সম্পর্কে উদ্বিগ্ন, যা কিনা আসলে উচ্চ অভিবাসনের দিকে চালিত করে। আফ্রিকার উন্নয়নের জন্য জি৭-এর উদ্যোগও একই ধরনের কৌশলগত পছন্দের আওতায় পড়ে, যা ইউরোপে অভিবাসন রোধ করতে সাহায্য করে।
সম্মেলনের পাশাপাশি নানাবিধ অনুষ্ঠানের সময় ইতালির প্রাইম মিনিস্টার মাত্তেই প্ল্যান এবং ইতালির নিজস্ব আফ্রিকায় উপস্থিতির নীতিকে কার্যকর করার জন্য আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি) গ্রুপের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেন। এডিবি হবে আফ্রিকার কৌশলগত আর্থিক অংশীদার এবং তারা মাত্তেই প্ল্যান বাস্তবায়নে ইতালির সঙ্গে সহযোগিতা করবে। জি৭-এর ব্যক্তিগত অর্থায়নের অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ইতালি আফ্রিকার জন্য একটি বৃদ্ধি ও স্থিতিস্থাপকতার মঞ্চও ঘোষণা করেছে (গ্রোথ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স প্ল্যাটফর্ম ফর আফ্রিকা বা জিআরএএফ), যা আফ্রিকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে পরিচালিত উদ্যোগমূলক কার্যক্রমকে সমর্থন করার জন্য ব্যক্তিগত বিনিয়োগকে সহজতর করবে। শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি অন্য একটি অনুষ্ঠানে ইতালি আফ্রিকার লোবিতো করিডোরে মূল রেল অবকাঠামোকে সমর্থন করার উদ্দেশ্যে ৩২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগের বিষয়ে নিজের সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছে।
উপসংহার
আলোচনার বিন্যাসে না থাকলেও আফ্রিকার বিষয়গুলিকে সাম্প্রতিক সমস্ত বহুপাক্ষিক বৈঠকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এক দিকে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের আফ্রিকা-কেন্দ্রিক কর্মসূচি আফ্রিকাকে জি৭-এর আন্তর্জাতিক কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি করে তুলেছে এবং অন্য দিকে বিশ্বের বাকি দেশগুলি আফ্রিকার গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। প্রকৃতপক্ষে, আফ্রিকার এই স্বাগত উত্থান নিয়ে মেতে ওঠার নেপথ্যে নানাবিধ কারণ রয়েছে, বিশেষ করে বিশ্বের সাতটি উন্নত অর্থনীতির নেতারা আফ্রিকার জন্য অর্থনৈতিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে্ন। এই বিবর্তন আফ্রিকার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আফ্রিকা অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে অপেক্ষাকৃত প্রান্তিক স্থানেই রয়েছে। যাই হোক, আফ্রিকাকে অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গেই এই উন্নয়নগুলির উপর নজর রাখতে হবে। কারণ এই প্রতিশ্রুতিগুলির বেশির ভাগই নির্ভর করবে জি৭ দেশগুলির রাজনৈতিক উন্নয়ন, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার যুদ্ধের ফলাফলের উপর।
এক দিকে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের আফ্রিকা-কেন্দ্রিক কর্মসূচি আফ্রিকাকে জি৭-এর আন্তর্জাতিক কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি করে তুলেছে এবং অন্য দিকে বিশ্বের বাকি দেশগুলি আফ্রিকার গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।
বর্তমানে আফ্রিকার সরকারগুলি খাদ্য নিরাপত্তা থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন ও সন্ত্রাসবাদ পর্যন্ত নানাবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব আফ্রিকা মহাদেশেও তীব্র হয়েছে। পশ্চিমী বিশ্ব, রাশিয়া এবং চিনের মধ্যে এই ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝেই আফ্রিকার অন্তিম বাজি হতে পারে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া। অতএব, আফ্রিকান নেতাদের এ বার নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন এবং সরাসরি পক্ষাবলম্বন করার সময় এসেছে। প্রকৃতপক্ষে, যেহেতু আফ্রিকার ভবিষ্যৎ আসলে বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত, তাই উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে আরও গভীর পারস্পরিক নির্ভরতার স্বীকৃতিরও প্রয়োজন রয়েছে। এই সত্যটিই এই বছরের জি৭-এ আফ্রিকার গুরুত্বকে
উদ্যাপন করার অন্যতম কারণ।
সমীর ভট্টাচার্য অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অ্যাসোসিয়েট ফেলো।
অঙ্গদ সিং ব্রার অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.