-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
চিনের সন্ত্রাসবাদ দমন কৌশল জিনজিয়াংয়ের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে বৈদেশিক স্বার্থ সুরক্ষা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে, যা আঞ্চলিক হুমকির সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সুবিধার ভারসাম্য বজায় রেখেছে
চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলির ক্রমবর্ধমান হুমকির যুগে চিনের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী কৌশলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। এই জরুরি বিষয়টির একটি স্পষ্ট স্মারক ছিল ২০২৪ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলা, যার ফলে দুই চিনা শ্রমিক নিহত হন। এই ঘটনাটি বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো প্রকল্পে জড়িত চিনা নাগরিকদের দুর্বলতা তুলে ধরে। এই ধরনের ঘটনা মোকাবিলা করার জন্য, চিন ও পাকিস্তান নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত যৌথ সামরিক মহড়া ওয়ারিয়র-৮ পরিচালনা করে, যা তাদের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী সহযোগিতা বৃদ্ধি করে। এই মহড়াটি শুধু সামরিক শক্তি প্রদর্শনই ছিল না, বরং এমন একটি কৌশলগত প্রচারও ছিল যার লক্ষ্য তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলা করা, যা ক্রমবর্ধমানভাবে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে (সিপিইসি) কর্মরত চিনা নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির সময়, এই গতিশীলতা চিনের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী পদ্ধতিগুলিকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে, যা বেজিংকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আঞ্চলিক কূটনীতি এবং বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বের সমন্বয়ের মাধ্যমে তার কৌশলগুলি খাপ খাইয়ে নিতে বাধ্য করে।
এই ধরনের ঘটনা মোকাবিলা করার জন্য, চিন ও পাকিস্তান নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত যৌথ সামরিক মহড়া ওয়ারিয়র-৮ পরিচালনা করে, যা তাদের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী সহযোগিতা বৃদ্ধি করে।
জিনজিয়াংয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দৃশ্যপট
সন্ত্রাসবাদ দমনে চিনের দৃষ্টিভঙ্গি তার অভ্যন্তরীণ নীতি দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত, বিশেষ করে জিনজিয়াংয়ে, যেখানে সরকার পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট (ইটিআইএম) এবং উইঘুর-সহ অন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। উইঘুর জঙ্গিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ইটিআইএম বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত, যার মধ্যে রয়েছে বোমা হামলা, হত্যা এবং সরকারি কর্মকর্তা ও বেসামরিক নাগরিকদের উপর আক্রমণ। এই কর্মকাণ্ড চলমান অস্থিরতার একটি আখ্যান তৈরি করেছে, যা আবার এই অঞ্চলে ব্যাপক অস্থিরতার আখ্যানও তৈরি করেছে।
এই বিপদের প্রতিক্রিয়ায় চিন জিনজিয়াংয়ে কঠোর সন্ত্রাসবাদ দমন ব্যবস্থা গ্রহণকে ন্যায্যতা দিয়েছে, বিশেষ করে নজরদারি এবং পুলিশের উপস্থিতি বৃদ্ধি করাকে। ব্যক্তিদের গতিবিধি এবং আচরণ পর্যবেক্ষণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্যাপক নজরদারি নেটওয়ার্কটি শুধু পর্যবেক্ষণের জন্যই নয়, বরং হিংসায় পরিণত হওয়ার আগে চরমপন্থার লক্ষণগুলি সনাক্ত করার জন্যও তৈরি করা হয়েছিল, যা নিরাপত্তার প্রতি চিনের প্রতিক্রিয়ানির্ভরতার পরিবর্তে সক্রিয় অবস্থানকে প্রতিফলিত করে। তার উপর, আদর্শগত রূপান্তরের লক্ষ্যে "পুনঃশিক্ষা" কর্মসূচিগুলি বৃহত্তর নিরাপত্তা কাঠামোর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
ব্যক্তিদের গতিবিধি এবং আচরণ পর্যবেক্ষণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
জিনজিয়াংয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলি যদিও প্রাথমিকভাবে অভ্যন্তরীণ উদ্বেগের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, তা চিনের বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দমন কৌশলগুলির জন্য একটি মডেল হিসাবেও কাজ করে। মুখ চিনে নেওয়া এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেজিং বিপদগুলিকে পূর্বনির্ধারিতভাবে সনাক্ত ও দমন করতে সক্ষম একটি বিস্তৃত নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করতে চায়। পূর্বনির্ধারিত পদক্ষেপের উপর এই গুরুত্ব ক্রমবর্ধমান বহিরাগত বিপদের প্রতি চিনের দৃষ্টিভঙ্গিকে রূপ দিয়েছে, এবং এটি তুলে ধরে যে তার অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ দমন কৌশলগুলি তার বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক কৌশলগুলিকে কীভাবে প্রভাবিত করছে।
পাকিস্তানে ক্রমবর্ধমান হুমকি
প্রতিবেশী অঞ্চলে টিটিপি-র মতো গোষ্ঠীগুলির এই পুনরুত্থান চিনের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের জন্য সরাসরি বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেজিং পাকিস্তানে অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়ানোয়, বিশেষ করে অঞ্চলজুড়ে বৃহৎ পরিকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে, এই বিনিয়োগের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রাষ্ট্রের প্রতি আদর্শগত বিরোধিতা এবং স্থানীয় সম্পদের বিদেশি শোষণের প্রতি বিরক্তির কারণে টিটিপি এই প্রকল্পগুলিতে কর্মরত চিনা নাগরিকদের ক্রমবর্ধমানভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। এর ফলে বেজিংয়ে নিরাপত্তা উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। টিটিপি-র পাশাপাশি, বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-র মতো অন্য সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি চিনা নাগরিকদের বিরুদ্ধে হামলার দায় স্বীকার করেছে, এবং অভিযোগ করেছে যে সিপিইসি উদ্যোগ স্থানীয় বালোচ সম্প্রদায়কে প্রান্তিক করে তুলেছে এবং আঞ্চলিক সম্পদ শোষণ করছে। নিম্নলিখিত সারণীতে পাকিস্তানে চিনা কর্মীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত বড় ধরনের হামলার একটি সারসংক্ষেপ দেওয়া হয়েছে।
তারিখ |
স্থান |
|
দায়স্বীকার |
হতাহত |
১৪ জুলাই, ২০২১ |
দাসু ড্যাম, কেপিকে |
টিটিপি |
১৩ |
|
২৬ এপ্রিল, ২০২২ |
করাচি |
একজন মহিলা আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে তিনজন চিনা শিক্ষককে হত্যা করে। |
বিএলএ |
৩ |
২৬ মার্চ, ২০২৪ |
বেশাম কাপাক |
কথিতভাবে টিটিপি |
৬ |
|
৭ অক্টোবর, ২০২৪ |
সিন্ধু প্রদেশ |
বিএলএ |
২ |
সূত্র: লেখকের সংকলন
এই ঘটনাবলি পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ দমন কৌশলের সঙ্গে চিনের সম্পর্ককে গভীরভাবে জড়িত করে তুলেছে। চিনা কর্মীদের উপর আক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পাকিস্তানকে তার সন্ত্রাসবাদ দমন প্রচেষ্টা জোরদার করতে বাধ্য করা হয়েছে, অতিরিক্ত সামরিক সম্পদ মোতায়েন করা হয়েছে, এবং চিনা বিনিয়োগের আশেপাশে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চিনা নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী হামলার সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিক্রিয়ায়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ একটি নতুন সন্ত্রাসবাদ দমন কৌশল ঘোষণা করেছেন, যা নতুন সামরিক আক্রমণ শুরু করার পরিবর্তে বিদ্যমান গোয়েন্দা-ভিত্তিক অভিযানগুলিকে শক্তিশালী করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে। এই পদ্ধতিটি কেবল জিনজিয়াংয়ে চিনের নীতির সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, বরং পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক আবহাওয়াকেও প্রতিফলিত করে, যার লক্ষ্য দীর্ঘ সময় ধরে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের পরে সেনাবাহিনীর প্রতি জনসাধারণের আস্থা পুনরুদ্ধার করা।
তালিবান শাসন: একটি দ্বি-ধারী তরোয়াল?
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চলতি উত্তেজনা চিনের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টাকে আরও জটিল করে তুলেছে। ২০২১ সালে তালিবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে, এই গোষ্ঠীটি আফগান ভূখণ্ড থেকে কার্যরত টিটিপির মতো সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনিচ্ছা দেখিয়েছে। এটি বেজিংকে একটি অস্বস্তিকর অবস্থানে ফেলেছে, কারণ তাকে এই অঞ্চলে তার কূটনৈতিক সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রেখে নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলা করতে হচ্ছে, যা তার কৌশলগত স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
চিন তালিবানের উপর তার অর্থনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে, বিশেষ করে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর মতো উদ্যোগের মাধ্যমে, যার লক্ষ্য আফগানিস্তানের বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগানো। খনি ও পরিকাঠামোর মতো ক্ষেত্রগুলিতে এই ধরনের চিনা মূলধন শুধু চিনের জন্যই নয়, গুরুত্বপূর্ণ তালিবানদের জন্যও, যারা কার্যকরভাবে শাসন করার ক্ষমতা প্রমাণ করে আন্তর্জাতিক বৈধতা খোঁজে। তবে, অর্থনৈতিক প্রণোদনা সত্ত্বেও, আফগানিস্তানে চিনের কৌশলের মূল বিষয় প্রতিরক্ষামূলক স্বার্থ দ্বারা চালিত। বিনিয়োগের মাধ্যমে, চিন আশা করে যে তালিবান টিটিপি-র মতো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ করতে উৎসাহিত হবে, যার ফলে তার নিজস্ব চাহিদা রক্ষিত হবে।
আফগানিস্তান জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির আশ্রয়স্থল হয়ে উঠলে চিনের কৌশলগত স্বার্থ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে, যা এই অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করবে।
সীমান্তে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে চিন তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার চেষ্টা করছে, তাই এই নিরাপত্তার দিকে মনোযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক সংঘর্ষ, যার মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তানে টিটিপি অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা, তালিবানের দিক থে্কে তীব্র প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে। তারা এই অভিযানের সময় বেসামরিক হতাহতের জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায়, চিনের বিনিয়োগের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে, বিশেষ করে যেহেতু ক্রমবর্ধমান হিংসা সিপিইসি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার হুমকি দেয়। তার উপর, আফগানিস্তান জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির আশ্রয়স্থল হয়ে উঠলে চিনের কৌশলগত স্বার্থ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে, যা এই অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করবে।
এগিয়ে যাওয়ার পথ: চিনের দ্বৈত কৌশল
চিনের সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্রমবর্ধমান গতিশীলতা, বিশেষ করে ইটিআইএম ও টিটিপি-র ক্ষেত্রে, অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের জটিল পারস্পরিক সম্পর্কের উপর জোর দেয়। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তালিকা থেকে ইটিআইএম-কে বাদ দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্ত চিনের সতর্কতা বৃদ্ধি করেছে, যা অনুভূত বিপদ মোকাবিলায় আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। অভ্যন্তরীণভাবে, জিনজিয়াংয়ে চিনের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃহত্তর সন্ত্রাসবাদ দমন নীতির প্রতিফলন ঘটায়, এবং তা আফগানিস্তান ও তালিবান শাসনের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সম্পর্কিত। আফগানিস্তানকে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের ঘাঁটি হিসাবে কাজ করা থেকে বিরত রাখার জন্য তালিবানের ঘোষিত প্রতিশ্রুতি গুরুত্বপূর্ণ, তবে তাদের খণ্ডিত কর্তৃত্ব এবং দেশে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর দৃঢ় উপস্থিতি এই প্রতিশ্রুতিকে দুর্বল করে দেয়। তার উপর, তাদের সীমিত সম্পদ এবং অভ্যন্তরীণ বিভাজন কার্যকর সন্ত্রাসবাদ দমন প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করে, যা জঙ্গি কার্যকলাপের উপর কেন্দ্রীভূত নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগের ক্ষমতাকে জটিল করে তোলে।
জিনজিয়াংয়ে চিনের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃহত্তর সন্ত্রাসবাদ দমন নীতির প্রতিফলন ঘটায়, এবং তা আফগানিস্তান ও তালিবান শাসনের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সম্পর্কিত।
টিটিপি-র তৎপরতা এবং প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের কারণে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির সময় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চিনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এটি ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনার সঙ্গে নিরাপত্তা উদ্বেগের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য অভিযোজিত বহুমুখী কৌশলের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রত্যাবর্তনের পর সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী আখ্যান নিয়ে চলতি মার্কিন-চিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা গতিশীলতাকে আরও রূপ দেবে। ভবিষ্যতে, চিনের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী কৌশলগুলি সম্ভবত তরল থাকবে, এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখবে, কারণ চিন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ভবিষ্যৎ গঠনে নিজেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করে।
মালাইকা থাপার অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন-এর রিসার্চ ইন্টার্ন
শিবম শেখাওয়াত অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন-এর জুনিয়র ফেলো
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Mallaika Thapar is a Research Intern at the Observer Research Foundation ...
Read More +Shivam Shekhawat is a Junior Fellow with ORF’s Strategic Studies Programme. Her research focuses primarily on India’s neighbourhood- particularly tracking the security, political and economic ...
Read More +