Published on Sep 30, 2023 Updated 0 Hours ago

এই বছরের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের লক্ষ্য হল ব্যক্তি, কর্পোরেশন ও সরকারগুলিকে প্লাস্টিক উৎপাদন, ব্যবহার ও বর্জ্য অব্যবস্থাপনা হ্রাস করার সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গির দিকে চালিত করা

প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ: একটি বিশ্বব্যাপী অগ্রাধিকার কর্মসূচি

নিষ্পত্তিযোগ্য ও একক-ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে প্লাস্টিক থেকে দূষণ একটি ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ, যা এটিকে একটি সর্বব্যাপী সমস্যা করে তোলে এবং প্রশমনের জন্য ব্যাপক কর্মপরিকল্পনাকে উৎসাহিত করে। প্লাস্টিকের ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা হয় তাদের ভৌত বৈশিষ্ট্যগুলিকে, যেমন সহজে ছাঁচনির্মাণ এবং তরল ও গ্যাসের অভেদ্য প্রকৃতি। বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক উৎপাদন ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে:‌ শতাব্দীর সূচনাকালের প্রায় ২৩০ মিলিয়ন টন থেকে দ্বিগুণ হয়ে কোভিড–১৯ প্রাদুর্ভাবের ঠিক আগে ৪৫০ মিলিয়ন টনেরও বেশি। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হ্রাসের কারণে সব ক্ষেত্রজুড়ে উৎপাদনে অতিমারি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলেছিল, কিন্তু প্লাস্টিকের ক্ষেত্রে পরিণতি পৃথক ছিল।

অতিমারি চলাকালীন প্রতিরোধমূলক সরঞ্জাম  ও মাস্ক তৈরি করতে প্লাস্টিক ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। চিকিৎসা্র কাজে প্লাস্টিকের ব্যবহারকে জননিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে একটি বড় অবদান হিসেবে দেখা হয়। বিশ্বজুড়ে সরকার কর্তৃক ফেস মাস্ক বাধ্যতামুলক করার ফলে এর সরবরাহ বাড়ে। তাছাড়া পিপিই কিট উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে পলিমারের চাহিদা বেড়েছিল, ফেস শিল্ডের জন্য পলিকার্বোনেটের চাহিদা বেড়েছিল, এবং বেড়েছিল অতিমারির সময় প্রয়োজনীয় অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম যেমন প্রোপিওনেট, অ্যাসিটেট, পিভিসি বা পলিথিন টেরেফথালেট গ্লাইকোল–এর চাহিদাও। বিপরীতে, নির্মাণ ও ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের জন্য ব্যবহৃত ভারী প্লাস্টিক হ্রাস পেয়েছে, যা ২০১৯ স্তরের তুলনায় প্লাস্টিক উৎপাদনে নেট হ্রাসের দিকে চালিত করেছে।

প্লাস্টিকের ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা হয় তাদের ভৌত বৈশিষ্ট্যগুলিকে, যেমন সহজে ছাঁচনির্মাণ এবং তরল ও গ্যাসের অভেদ্য প্রকৃতি।

যদিও স্বাস্থ্য সংকটের সময় প্লাস্টিক একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে, তবুও তার ক্ষতিকর প্রভাব, বিশেষ করে ন্যানো ও মাইক্রো প্লাস্টিকের ব্যবহার উপেক্ষা করা হয়নি। শ্বাস–প্রশ্বাস ও ত্বকের সংস্পর্শের মাধ্যমে মাইক্রোপ্লাস্টিক ও বিষাক্ত রাসায়নিকের সামনে পড়া কার্সিনোজেনিক হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে, যা মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে করে এবং সম্ভাব্যভাবে মৃত্যুর কারণ হতে পারে। মানুষ ও প্রাণী প্লাস্টিকের উৎপাদন, ব্যবহার ও নিষ্পত্তির সময় এর ক্ষতিকারক প্রভাবের সংস্পর্শে আসে। যদিও মানুষের দ্বারা প্লাস্টিক খাওয়ার সঠিক পরিমাণ স্পষ্ট নয়, ওয়র্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড (ডব্লিউডব্লিউএফ) এর একটি প্রতিবেদনে এই অনুমান করা হয়েছে যে একজন মানুষ গড়ে সপ্তাহে প্রায় পাঁচ গ্রাম প্লাস্টিক খেয়ে থাকেন। ২০১৯ সালের একটি আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী, প্লাস্টিক দূষণজনিত রোগগুলি বার্ষিক উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ৪০০,০০০ থেকে এক মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করেছে। সুতরাং, মানব স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ উভয়কেই রক্ষা করার জন্য প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় নিয়ামক হস্তক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে।

এই বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশ পরিষদ ২০২২ সালের মার্চ মাসে প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করার জন্য একটি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক চুক্তি করার প্রস্তাব পাস করে। এটি প্লাস্টিক দূষণের উপর আন্তঃসরকারি আলোচনা কমিটি (আইএনসি) গঠন করেছে, যার লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে চুক্তির খসড়াটি সম্পূর্ণ করা। এর মধ্যে থাকবে প্লাস্টিকের জীবনচক্রের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি এবং পুনঃচক্রায়িত ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্য ও উপকরণ ডিজাইন করার বিষয়গুলি৷ এইভাবে বর্ধিত আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভিত্তিতে প্লাস্টিক কূটনীতি দেশগুলিকে প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় একটি সহযোগিতামূলক পদ্ধতির জন্য প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ভাগাভাগি করতে সক্ষম করে। সাম্প্রতিক ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনইপি) রিপোর্ট অনুসারে, ২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণ ৮০ শতাংশ হ্রাস করা যেতে পারে, যদি দেশ ও সংস্থাগুলি পদ্ধতিগত পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেয়।

প্লাস্টিক বর্জ্যের তথ্য বিশ্লেষণ করার সময় উচ্চ আয়ের দেশগুলিতে মাথাপিছু বর্জ্য উৎপাদন বেশি পাওয়া যায়, তবে এও দেখা যায় যে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে সামুদ্রিক প্লাস্টিক দূষণ হয়। এর একটি কারণ হল এই অর্থনীতিগুলিতে অব্যবস্থাপিত প্লাস্টিক বর্জ্যের  শতাংশ বেশি। একই সময়ে, বর্জ্য বাণিজ্য বিবেচনা করাও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কিছু ধনী দেশ তাদের প্লাস্টিক বর্জ্য দরিদ্র দেশে রপ্তানি করে। যাই হোক, আমদানিকারী দেশগুলি প্রায়শই জানে না যে এই বর্জ্যগুলি পুনর্ব্যবহার করা যায় কি না।  বাসেল অ্যাকশন নেটওয়ার্কের  একটি প্রতিবেদন অনুসারে বাসেল কনভেনশন সত্ত্বেও, যার লক্ষ্য বিপজ্জনক বর্জ্যের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা, বর্জ্য বাণিজ্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তথ্য দেখায় যে মোট নিষ্পত্তিকৃত প্লাস্টিকের মধ্যে ১০ শতাংশেরও কম পুনর্ব্যবহারযোগ্য। বাকিটা হয় জমি ভরাট করার কাজে লেগেছে বা পরিবেশে, বিশেষ করে জলাশয়ে, ফেলে দেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া ও বাসস্থান পরিবর্তন করার সম্ভাবনার কারণে এটি উদ্বেগের বিষয়, কারণ তা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য বাস্তুতন্ত্রের ক্ষমতা হ্রাস করে ।

শ্বাস–প্রশ্বাস ও ত্বকের সংস্পর্শের মাধ্যমে মাইক্রোপ্লাস্টিক ও বিষাক্ত রাসায়নিকের সামনে পড়া কার্সিনোজেনিক হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে, যা মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে করে এবং সম্ভাব্যভাবে মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

বিশ্ব রাজনীতিতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি একটি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদ, জি৭ এবং জি২০ সম্মেলনগুলিতে বর্ধিত সম্পৃক্ততা ও আলোচনা তা প্রমাণ করে। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্লাস্টিক দূষণের সমস্যাগুলি অ–প্রথাগত নিরাপত্তা সমস্যা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, যা বিভিন্ন তাত্ত্বিক ও ধারণাগত কাঠামো ব্যবহার করে গবেষণার জন্য একটি সুযোগ প্রদান করে, যেমন গ্রিন থিওরি ইন ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস (আইআর), কনস্ট্রাকটিভিজম থিওরি ও কোপেনহেগেন স্কুলের সিকিউরিটাইজেশন থিওরি। ব্যারি বুজান মানুষের জন্য একটি অপরিহার্য সহায়তা ব্যবস্থা হিসেবে পরিবেশগত নিরাপত্তার উপর জোর দিয়েছেন। ইস্যুটির সিকিউরিটাইজেশন অনুঘটক হিসাবে কাজ করে রাষ্ট্রকে কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে উদ্বুদ্ধ করেছে, কারণ তা একে ‌এমনভাবে একটি উচ্চ রাজনীতির ইস্যু করেছে যেখানে রাজনৈতিক নেতারা মানুষ ও স্বাস্থ্যের সুরক্ষার লক্ষ্যে আলোচনার জন্য দায়বদ্ধ ও দায়িত্বশীল হয়ে ওঠেন।

প্লাস্টিক দূষণ স্বাস্থ্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে ওঠায় এর মোকাবিলায় একটি বহুস্তরীয় ও সম্মিলিত পদক্ষেপের প্রয়োজন, যা সমস্যার ভূ–রাজনৈতিক জটিলতার মধ্য দিয়েও এগিয়ে যেতে পারে। মহাসাগরে মাইক্রোপ্লাস্টিকের মতো সমস্যাগুলি বিশ্বব্যাপী, এবং এর জন্য বিভিন্ন অংশীদারের ঐকমত্য এবং উপ–রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলির সমর্থনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রয়োজন হবে৷ এখন উদ্বেগের বিষয় হল বিদ্যমান বৌদ্ধিক ও কাঠামোগত আন্তর্জাতিক স্থাপত্য প্লাস্টিক দূষণের মতো বিশ্বব্যাপী সমস্যা মোকাবিলায় কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে। এমন একটি সপ্রতিভ প্যাকেজের প্রয়োজন আছে যা হবে নীতিগত হস্তক্ষেপ ও আইনি উপকরণের মিশ্রণ, এবং অংশীদার, ব্যক্তি, কর্পোরেশন ও রাষ্ট্রগুলির লক্ষ্য ও প্রতিশ্রুতিকে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করবে। এই প্রেক্ষিতে ২৯ মে ও ২ জুন ২০২৩–এর মধ্যে আন্তঃসরকারি আলোচনা কমিটির দ্বিতীয় অধিবেশনের মতো বৈঠকগুলি নিয়ামক উপকরণগুলির বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিদ্যমান নিয়মগুলিতে অনুবর্তিতা নিশ্চিত করার জন্য বলপ্রয়োগের ক্ষমতা দেওয়া আছে৷

বাসেল অ্যাকশন নেটওয়ার্কের একটি প্রতিবেদন অনুসারে বাসেল কনভেনশন সত্ত্বেও, যার লক্ষ্য বিপজ্জনক বর্জ্যের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা, বর্জ্য বাণিজ্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তথ্য দেখায় যে মোট নিষ্পত্তিকৃত প্লাস্টিকের মধ্যে ১০ শতাংশেরও কম পুনর্ব্যবহারযোগ্য।

এমন হস্তক্ষেপগুলি প্রণয়ন করা অপরিহার্য যা ইউএনইপি–র প্রচারিত পুনর্ব্যবহার, পুনঃচক্রীকরণ, পুনর্বিন্যাস ও বৈচিত্র্যকরণের পথ অনুসরণ করে নাগরিকদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে উৎসাহিত করবে, এবং এইভাবে প্লাস্টিক দূষণ রোধে আচরণগত পরিবর্তন ঘটাবে ৷ প্লাস্টিক দূষণের প্রভাব সম্পর্কে জনগণকে শিক্ষিত করে এবং প্লাস্টিক বর্জ্য নিষ্পত্তিকে উৎসাহিত করে সচেতনতামূলক প্রচারণার মাধ্যমে এটি অর্জন করা যেতে পারে। নীতিগত দিকে, স্থানীয় সরকারগুলিকে নিরাপদ নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে এবং প্লাস্টিক লিকেজ এড়াতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এই মৌলিক উদ্যোগটি অব্যবস্থাপিত প্লাস্টিক কমিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত বিপদ প্রশমনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করে তৈরি করা রাস্তা, সাইকেল চালানোর লেন এবং হাঁটার পথগুলি ঐতিহ্যগতভাবে অ্যাসফল্ট করা রাস্তার চেয়ে ভাল কর্মদক্ষতা প্রমাণ করেছে। ভারত প্লাস্টিকের রাস্তা তৈরি করছে, এবং প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার এই দক্ষ পদ্ধতিটির প্রচারও করতে পারে। প্লাস্টিক দূষণ রোধ করার জন্য বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই এক্সটেন্ডেড প্রোডিউসার রেসপনসিবিলিটি (ইপিআর) প্রয়োগ করেছে, কারণ এটি উৎপাদকদের দ্বারা প্যাকেজিং ও বর্জ্য নিষ্পত্তির সঙ্গে সম্পর্কিত খরচ হ্রাস করে। ইপিআর–এর অধীনে প্লাস্টিক সামগ্রী সংগ্রহ ও পুনর্ব্যবহার করার জন্য সংস্থাগুলির উপর চার্জ ধার্য করা হয়, যা তাদের প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে এবং অন্য পরিবেশবান্ধব উপকরণগুলির দিকে সরে যেতে উৎসাহিত করে। ইউরোপ জুড়ে ইপিআর–এর বাস্তবায়ন উন্নত বর্জ্য সংগ্রহ এবং পুনর্ব্যবহার হার বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। ফ্রান্সে এটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জনসাধারণের ব্যয় কমাতে সাহায্য করেছে, কারণ খরচের প্রায় ১৫ শতাংশ ইপিআর প্রকল্প দ্বারা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

এমন একটি সপ্রতিভ প্যাকেজের প্রয়োজন আছে যা হবে নীতিগত হস্তক্ষেপ ও আইনি উপকরণের মিশ্রণ, এবং অংশীদার, ব্যক্তি, কর্পোরেশন ও রাষ্ট্রগুলির লক্ষ্য ও প্রতিশ্রুতিকে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করবে।

কমপ্লায়েন্স (‌অনুবর্তিতা)‌ স্কোর সহ এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্নেন্স (ইএসজি) রেটিং ট্যাগ করে কোম্পানিগুলিকে ইপিআর নিয়ম মেনে চলার জন্য উৎসাহিত করা যেতে পারে। পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাবগুলির মোকাবিলা করার জন্য সংস্থাগুলি যাতে অন্তর্দৃষ্টিপ্রসূত ব্যবস্থা তৈরির মাধ্যমে স্থিতিশীলতার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করতে পারে, তার জন্য ইএসজি রিপোর্টিং একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচকে পরিণত হয়েছে। তাই, ইএসজি রিপোর্টিংয়ের সময় কোম্পানিগুলির ইপিআর মেনে চলার বাধ্যবাধকতা তাদের প্লাস্টিকের পদচিহ্ন কমানোর জন্য আরও সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার দিকে চালিত করতে পারে।

সিকিউরিটাইজেশনের লেন্সের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন দেখা হলে তা সংশ্লিষ্ট ঝুঁকিগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে সাহায্য করে, যেমন আন্তঃসীমান্ত দ্বন্দ্ব শুরু করা, ব্যবসায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা, এবং দুর্বল গোষ্ঠীর জীবিকা প্রভাবিত করা। প্লাস্টিক দূষণ বিশ্বজুড়ে সুদূরপ্রসারী সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলে। এই বছরের বিশ্ব পরিবেশ দিবস, যা এর ৫০তম বার্ষিকীও চিহ্নিত করে, ‘‌প্লাস্টিক দূষণের সমাধান’‌–এর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি ব্যক্তি, সম্প্রদায়, কর্পোরেশন ও সরকারকে প্লাস্টিক উৎপাদন, ব্যবহার ও বর্জ্য অব্যবস্থাপনা হ্রাস করার অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির দিকে চালিত করার জন্য একটি ভাল প্ল্যাটফর্ম। প্লাস্টিক দূষণের দৃশ্যমান হুমকি দীর্ঘমেয়াদে এই জাতীয় পদার্থের উপস্থিতির ব্যাপকতা ও প্রভাব সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য ক্রমাগত আলোচনার আহ্বান জানায়, যা পর্যাপ্ত, দক্ষ ও শক্তিশালী নিয়ম প্রণয়নে সহায়তা করতে পারে।


কিরণ ভাট সেন্টার ফর হেলথ ডিপ্লোম্যাসি, গ্লোবাল হেলথ ডিপার্টমেন্ট, প্রসন্ন স্কুল অফ পাবলিক হেলথ-এর একজন রিসার্চ ফেলো

অনিরুদ্ধ ইনামদার সেন্টার ফর হেলথ ডিপ্লোম্যাসি, প্রসন্ন স্কুল অফ পাবলিক হেলথ–এর একজন রিসার্চ ফেলো।

সঞ্জয় পত্তনশেট্টি গ্লোবাল হেলথ গভর্নেন্স বিভাগের প্রধান এবং সেন্টার ফর হেলথ ডিপ্লোমেসি, প্রসন্ন স্কুল অফ পাবলিক হেলথের কোঅর্ডিনেটর।

হেলমুট ব্র্যান্ড প্রসন্ন স্কুল অফ পাবলিক হেলথ–এর ফাউন্ডিং ডিরেক্টর।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Aniruddha Inamdar

Aniruddha Inamdar

Aniruddha Inamdar is a Research Fellow at the Centre for Health Diplomacy, Department of Global Health Governance, Prasanna School of Public Health, Manipal Academy of ...

Read More +
Helmut Brand

Helmut Brand

Prof. Dr.Helmut Brand is the founding director of Prasanna School of Public Health Manipal Academy of Higher Education (MAHE) Manipal Karnataka India. He is alsoJean ...

Read More +