-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
রাশিয়ান গ্যাস ট্রানজিটের উপর ইউরোপের নির্ভরতার অবসান বিশ্বব্যাপী শক্তির গতিশীলতার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তনের স্মারক, কারণ ইউরোপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার থেকে এলএনজি আমদানিতে সরে যাচ্ছে এবং একটি শক্তি-স্বাধীন ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছে
রাশিয়ার গ্যাস পরিবহণ বন্ধ হওয়া ইউরোপের ভূ-রাজনৈতিক ভূদৃশ্যে এক গভীর পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। কয়েক দশক ধরে রাশিয়ার গ্যাস পাইপলাইনগুলি শুধু জ্বালানি সরবরাহের মাধ্যমই ছিল না, বরং প্রভাব বিস্তারের হাতিয়ারও ছিল, যা ইউরোপীয় জ্বালানি নীতি ও কূটনীতির রূপরেখা তৈরি করেছিল। ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাসের প্রবাহ জ্বালানি নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক সুবিধার একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্যের প্রতিনিধিত্ব করে, যা তাদের গভীর আন্তঃনির্ভরতা তুলে ধরে।
সরবরাহ বন্ধ হওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই ইউরোপ একটি নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়, যেখানে রাশিয়ার গ্যাসের অনুপস্থিতি তার জ্বালানি কৌশল ও জোটের পুনর্মূল্যায়নকে বাধ্যতামূলক করে তোলে। এই রূপান্তর চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ, কারণ দেশগুলি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে বিকল্প জ্বালানি উৎস সুরক্ষিত করার অনিশ্চয়তা অতিক্রম করে। এই যুগের সমাপ্তি কেবল জ্বালানি সরবরাহের পরিবর্তনের চেয়েও বেশি কিছু নির্দেশ করে; এটি ইউরোপীয় ভূ-রাজনীতিতে এমন একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে যেখানে জ্বালানি স্বাধীনতা ও বৈচিত্র্যের সন্ধান সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এটি পরিবর্তিত জ্বালানি ভূদৃশ্যের মুখে স্থিতিস্থাপকতা এবং উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তারও ইঙ্গিত দেয়।
গ্যাস কূটনীতি
তবে, পাঁচ বছরের চুক্তিটি, যা একাধিকবার নবায়ন করা হয়েছিল, চলতি রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কারণে নতুন কোনও ব্যবস্থা ছাড়াই ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এটি ইউরোপ-রাশিয়ার জ্বালানি সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সমাপ্তি চিহ্নিত করে।
২০২২ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার গ্যাসের উপর নির্ভরতা কমাতে সক্রিয়ভাবে তার জ্বালানি উৎসগুলিকে বৈচিত্র্যময় করেছে, এবং চুক্তির সমাপ্তির পর সেই প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করেছে।
ইউক্রেনীয় গ্যাস পরিবহণ বন্ধের ফলে ইউরোপের জ্বালানি নিরাপত্তার উপর গভীর প্রভাব পড়েছে। ২০২২ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার গ্যাসের উপর নির্ভরতা কমাতে সক্রিয়ভাবে তার জ্বালানি উৎসগুলিকে বৈচিত্র্যময় করেছে, এবং চুক্তির সমাপ্তির পর সেই প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করেছে। স্লোভাকিয়া ও অস্ট্রিয়ার মতো দেশগুলি বিকল্প সরবরাহ নিশ্চিত করেছে, আর ইইউ ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও নরওয়ে থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। এই পরিবর্তনটি ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে ইউরোপের জ্বালানি কৌশলে একটি গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তরের ইঙ্গিত দেয়।
ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি
রাশিয়া-ইউক্রেন গ্যাস ট্রানজিট চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার মধ্যে চলতি সংঘাতের কারণে সৃষ্ট গভীর ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রতিফলিত হয়। ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল এবং ২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর সম্পর্কের অবনতি ঘটলে চুক্তিটির অবসান ঘটে।
চুক্তি নবায়নে ইউক্রেনের অস্বীকৃতি রাশিয়ার রাজস্ব প্রবাহকে কৌশলগতভাবে বিচ্ছিন্ন করে, যার ফলে সামরিক তহবিল বাধাগ্রস্ত হয়। একই সঙ্গে, ইউরোপ রাশিয়ার জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করেছে, যা তার বৃহত্তর জ্বালানি বৈচিত্র্য লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
চুক্তির সমাপ্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের লক্ষণ, যা ইউরোপের উপর রাশিয়ার জ্বালানি প্রভাব হ্রাস করে এবং একই সাথে ইউক্রেনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে শক্তিশালী করে। এই পুনর্বিন্যাস সমগ্র অঞ্চল জুড়ে জ্বালানি গতিশীলতাকে পুনর্গঠন করছে।
জ্বালানি স্থানান্তরের মোকাবিলা
ইউক্রেন-রাশিয়া গ্যাস ট্রানজিট চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার ফলে ইউরোপ একটি উল্লেখযোগ্য জ্বালানি ব্যবধান মোকাবিলা করতে বাধ্য হয়েছে। ইউরোপের গ্যাস বাজারে রাশিয়ার আধিপত্য একসময় ৩৫ শতাংশ ছিল, যা এখন ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। ১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত, ইউক্রেনের মাধ্যমে সরবরাহ করা রাশিয়ার গ্যাস ১৪ বিলিয়ন ঘনমিটার (বিসিএম)-এর নিচে নেমে এসেছে, যা ২০২০ সালের চুক্তির শুরুতে ৬৫ বিলিয়ন ঘনমিটার/বছর থেকে তীব্র হ্রাস।
পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য ইউরোপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও নরওয়ে থেকে এলএনজি আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। ২০২৩ সালে নরওয়ে ৮৭.৮ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করেছিল, যা মোট আমদানির ৩০.৩ শতাংশ ছিল, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৫৬.২ বিলিয়ন ঘনমিটার (১৯.৪ শতাংশ) সরবরাহ করেছিল। তিন বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের শীর্ষ এলএনজি সরবরাহকারীও ছিল, এবং ২০২৩ সালে ৪৮ শতাংশ (২০০ মিলিয়ন ঘনমিটার/দিন) এলএনজি সরবরাহ করেছিল। বৈচিত্র্যকে সমর্থন করার জন্য, ইউরোপের এলএনজি রিগ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা ২০২৪ সালে দিনে ৮২৯.৭ মিলিয়ন ঘনমিটারে পৌঁছনোর কথা রয়েছে, যা ২০২১ সালের থেকে ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি চিহ্নিত করে।
২০২৩ সালে ইইউর নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন বিরাটভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে জ্বালানি-সম্পর্কিত সিওটু নির্গমন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
একই সঙ্গে, ইউরোপ তার নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করছে। ২০২৩ সালে সদস্য দেশগুলি ৬০ গিগাওয়াট সৌর পিভি (ফটোভোলটাইক) এবং ১৫ গিগাওয়াট বায়ু ক্ষমতা যোগ করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে হিট পাম্প বিক্রয় বার্ষিক ২৫ গিগাওয়াট থেকে ৪৫ গিগাওয়াটেরও বেশি বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ২০২৩ সালে ইইউ-র নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন বিরাটভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে জ্বালানি-সম্পর্কিত সিওটু নির্গমন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে, আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার ঘোষিত নীতিমালার দৃশ্যপট অনুসারে, ইইউ-র তেলের চাহিদা ১৫ শতাংশ, প্রাকৃতিক গ্যাস ১০ শতাংশ এবং কয়লা প্রায় ৫০ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জ্বালানি উৎসের বৈচিত্র্যকরণের প্রচেষ্টা রাশিয়ার গ্যাসের উপর নির্ভরতা নাটকীয়ভাবে হ্রাস করেছে, যা ২০২১ সালের ৪০ শতাংশ থেকে কমে আজ ১০ শতাংশেরও কম। ইতিমধ্যে, ইইউ গ্যাস আমদানির ৪০ শতাংশেরও বেশি এলএনজি ব্যবহার করে। ইইউ-র নেট জিরো ইন্ডাস্ট্রি অ্যাক্টের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি স্থাপনে ৪০ শতাংশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা, যা ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতার প্রতি তার প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরদার করবে। তবে, এলএনজি নির্ভরতার ডিকার্বনাইজেশন লক্ষ্যের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখা একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করে, কারণ এলএনজি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে যথেষ্ট বিনিয়োগ প্রয়োজন। স্থায়িত্ব ও স্থিতিশীলতা উভয়ই নিশ্চিত করার জন্য ইউরোপের জ্বালানি ভবিষ্যৎ এই জটিলতাগুলি মোকাবিলা করার উপর নির্ভর করে।
অর্থনৈতিক চাপ
রাশিয়া-ইউক্রেন গ্যাস ট্রানজিট চুক্তি বাতিলের ফলে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব পড়বে।
ইউক্রেনের জন্য, এর অর্থ হল ট্রানজিট ফি হিসেবে বার্ষিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হারানো, যা রাশিয়ার সঙ্গে চলতি সংঘাতের অর্থনৈতিক ক্ষতির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাক্কা। তবে, এই পদক্ষেপের কৌশলগত লক্ষ্য রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টার তহবিল সরবরাহের ক্ষমতাকে দুর্বল করা।
ইউরোপে যাওয়ার জন্য অবশিষ্ট দুটি পাইপলাইন রুটের একটির ক্ষতি রাশিয়ার বৃহত্তম জ্বালানি বাজারের উপর প্রভাবকে দুর্বল করে।
রাশিয়া আরও বড় আর্থিক ধাক্কার মুখোমুখি, যার বার্ষিক রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গ্যাজপ্রম, তার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্যাস কোম্পানি, পূর্বে ইউক্রেন হয়ে ইউরোপে গ্যাস বিক্রি করে প্রতি বছর ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করত। ইউরোপে যাওয়ার জন্য অবশিষ্ট দুটি পাইপলাইন রুটের একটির ক্ষতি রাশিয়ার বৃহত্তম জ্বালানি বাজারের উপর প্রভাবকে দুর্বল করে।
নিষেধাজ্ঞা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি চাহিদা হ্রাসের সঙ্গে মিলিতভাবে এই ক্ষতি রাশিয়ার অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলিকে আরও গভীর করে এবং এর ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবকে হ্রাস করে।
ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব
রাশিয়া-ইউক্রেন গ্যাস ট্রানজিট চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার গভীর ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে, যা বৈশ্বিক জ্বালানি ক্ষেত্রে নতুন বিজয়ী তৈরি করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রধান সুবিধাভোগী হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, ইউরোপে তার এলএনজি রপ্তানি জোরদার করছে, এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব উভয়ই বৃদ্ধি করছে। এর অনুরূপ, ভারতও রাশিয়ার তেলের উপর ছাড়কে পুঁজি করে পরিবর্তনশীল জ্বালানি গতিশীলতার একটি উল্লেখযোগ্য সুবিধাভোগী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছে।
একইভাবে তার বিশাল এলএনজি রিজার্ভ ও কৌশলগত পরিকাঠামো-সহ কাতার এখন ইউরোপের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য বিকল্প জ্বালানি সরবরাহকারী হিসাবে তার অবস্থান শক্তিশালী করতে প্রস্তুত, যা রাশিয়ার গ্যাসের উপর মহাদেশের নির্ভরতা হ্রাস করবে।
ট্রানজিট চুক্তির সমাপ্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ভূ-রাজনীতির একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।
ইউরোপ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে তার রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করছে, এবং জ্বালানি নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য সৌর, বায়ু ও জলবিদ্যুৎ শক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করছে। এই পরিবর্তন দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশগত লক্ষ্যগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাৎক্ষণিক চাহিদা পূরণ করে।
তবে, এই রূপান্তর চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে, যার মধ্যে রয়েছে উচ্চ অভিযোজন খরচ এবং নতুন পরিকাঠামো উন্নয়নের জটিলতা। ট্রানজিট চুক্তির সমাপ্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ভূ-রাজনীতির একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।
উপসংহার
রাশিয়ার গ্যাস পরিবহণের সমাপ্তি ইউরোপের জ্বালানি ও ভূ-রাজনৈতিক ভূদৃশ্যে এক বিরাট পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, নির্ভরতার একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার একটি অধ্যায়ের সূচনা করে। ইউরোপ যখন এলএনজি আমদানি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে, তখন এটি ডিকার্বনাইজেশন লক্ষ্যগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দ্বৈত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এই রূপান্তর, জটিলতায় ভরা হলেও, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি গতিশীলতাকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করার একটি সুযোগও উপস্থাপন করে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মতো দেশগুলি মূল খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। পরিশেষে, এই রূপান্তরটি কার্যকর করার জন্য ইউরোপের ক্ষমতা শুধু তার জ্বালানি ভবিষ্যৎকেই রূপ দেবে না, বরং দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে স্থিতিশীলতার সঙ্গে স্থায়িত্বের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য একটি নজির স্থাপন করবে।
মণীশ বৈদ অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জুনিয়র ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Manish Vaid is a Junior Fellow at ORF. His research focuses on energy issues, geopolitics, crossborder energy and regional trade (including FTAs), climate change, migration, ...
Read More +