Author : Dakshita Das

Published on Oct 03, 2023 Updated 0 Hours ago

জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত জটিল ঝুঁকিগুলো বিশ্ব অর্থনীতির জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং, আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য নিয়ামকদের এই ঝুঁকিগুলি সক্রিয়ভাবে মোকাবিলা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জলবায়ু যুগল: আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে জলবায়ু সক্রিয়তা

যেহেতু বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তাই আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে স্থিতিস্থাপকতার প্রয়োজন স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলি ইতিমধ্যে দেখা দিতে শুরু করেছে, এবং দেশটি সেগুলি প্রশমন এবং তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য পদক্ষেপ করছে৷ ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তন, এবং ঘন ঘন চরম আবহাওয়ার ঘটনার প্রাদুর্ভাবসহ ভারত জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে একটি। এই প্রভাবগুলি কৃষি উৎপাদনশীলতার অস্থিরতা বর্ধিত জলের ঘাটতি , বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের বর্ধিত পৌনঃপুনিকতা ‌ও তীব্রতা, এবং দেশের বিভিন্ন অংশে অসময়ে ব্যাপক বৃষ্টির দিকে চালিত করছে।

নিঃসন্দেহে এই ধরনের ঘটনাগুলি আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য বিপদ। যেমন, অসময়ের বৃষ্টি একটি পুরো বপনের মরসুমে ব্যাপক ক্ষতির কারণ হতে পারে, যার ফলে অর্থনৈতিক ব্যাঘাত, আর্থিক ক্ষতি এবং আর্থিক ক্ষেত্রের ঝুঁকি বেড়ে যায়। একটি নিম্ন–কার্বন অর্থনীতিতে রূপান্তর আর্থিক ঝুঁকিও তৈরি করতে পারে, কারণ বিশ্ব আরও স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ অর্জনের জন্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই সময়ে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগ একটি মৃত বিনিয়োগে পরিণত হতে পারে। যেমন, কয়লা পরিবহণের জন্য, যার পরিমাণ ২০২২ সালে ছিল ৬৫৩ মিলিয়ন টন, ভারতীয় রেলওয়ের একটি বিশাল বিনিয়োগ সংস্থাটির পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিতে  স্থানান্তরিত হওয়ার কারণে বিরূপভাবে প্রভাবিত হতে পারে।

একটি নিম্ন–কার্বন অর্থনীতিতে রূপান্তর আর্থিক ঝুঁকিও তৈরি করতে পারে, কারণ বিশ্ব আরও স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ অর্জনের জন্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই সময়ে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগ একটি মৃত বিনিয়োগে পরিণত হতে পারে।

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য ভারত সরকার নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ, বনভূমি বৃদ্ধি, ও স্থিতিশীল কৃষি অনুশীলনের প্রসার সহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে। সরকার ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (এনএপিসিসি) এবং ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন ফান্ড ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ (এনএএফসিসিসি)–এর মতো উদ্যোগও চালু করেছে। আর্থিক ক্ষেত্রে আসন্ন ঝুঁকি মোকাবিলায় ভারত সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে আর্থিক স্থিতিশীলতা উন্নত করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। যেমন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) জলবায়ু পরিবর্তনকে আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি প্রধান ঝুঁকি হিসাবে চিহ্নিত করেছে, এবং জলবায়ু ঝুঁকিকে নিজস্ব তত্ত্বাবধায়ক কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। আরবিআই সবুজ অর্থায়নকে উন্নত করার জন্য একটি সবুজ কৌশলগত নীতি ইউনিটও চালু করেছে, এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি প্রকল্পে অর্থায়ন করতে ব্যাঙ্কগুলির জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে।

যাই হোক, জলবায়ুর ক্ষেত্রে ক্রমশ যে অনিবার্যতা দেখা যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে দেশের স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করার জন্য আরও অনেক কিছু করা প্রয়োজন। সংক্ষেপে, এটি স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ যে, সমস্ত জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ব্যবস্থার একটি খরচ আছে। ভারত আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রয়োজনের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের স্থিতিস্থাপকতার প্রয়োজনীয়তার ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, এবং এমন অনুমান রয়েছে যে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন ও প্রশমন ব্যবস্থায় আরও বিনিয়োগ দেশের রাজস্ব ঘাটতিকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফেলতে পারে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য ভারতকে অবশ্যই জলবায়ু সক্রিয়তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, এবং সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও আর্থিক স্থিতিশীলতাকে উন্নত করে এমন নীতি অনুসরণ করতে হবে। এর মধ্যে কেপেক্স পদক্ষেপগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যেমন পরিচ্ছন্ন শক্তি ও শক্তি দক্ষতায় বিনিয়োগ বাড়ানো, কৃষি ক্ষেত্রের দক্ষতা বৃদ্ধি করা এবং পরিকল্পিত উপায়ে স্থিতিশীল পর্যটনের প্রসার। স্থিতিশীল অর্থায়নের জন্য জাতীয় পরিচ্ছন্ন শক্তি তহবিল  জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য জাতীয় অভিযোজন তহবিল –সহ সরকার বেশ কয়েকটি উদ্যোগও শুরু করেছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য আবশ্যিক জলবায়ু–সম্পর্কিত তথ্যপ্রকাশের কঠোরতাকে উন্নত করার মাধ্যমে এসবের প্রসার ঘটতে পারে। এই তথ্যগুলি শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিগুলি মোকাবিলার ব্যবস্থাই করবে না, বরং নিম্ন–কার্বন অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হওয়ার সুযোগগুলিও নিয়ে আসবে৷ এর জন্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের কার্বন পদচিহ্ন, নির্গমন হ্রাস লক্ষ্যমাত্রা, এবং এই লক্ষ্যগুলি অর্জনের দিকে অগ্রগতির তথ্য প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায়, সবুজ ট্যাগিং শুধুই একটি ঝুঁকির কারণ হবে, বাস্তবের মাটিতে কোনও প্রভাব ছাড়াই। তাছাড়া আর্থিক নিয়ামকদের তাদের স্ট্রেস টেস্টিংয়ের পৌনঃপুনিকতা বাড়াতে হবে, যার মধ্যে জলবায়ু–সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এটি করার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন জলবায়ু পরিবর্তনের পরিস্থিতিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির স্থিতিস্থাপকতার মূল্যায়ন করবে, এবং সম্ভাব্য দুর্বলতাগুলি চিহ্নিত করবে। নিয়ামকেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্থিতিশীল আর্থিক নীতিগুলি গ্রহণ করতে উৎসাহিত করতে পারে এবং স্থিতিশীলতার প্রতি অঙ্গীকার প্রদর্শনকারী প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রণোদনা দিতে পারে। একটি তালিকাভুক্ত বাজার নিয়ামক হিসাবে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি) জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা করার প্রয়োজন স্বীকার করেছে, এবং শীর্ষ তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলিকে বার্ষিক তাদের সাসটেনিবিলিটি রিপোর্ট দাখিল করতে বাধ্য করেছে৷

নিয়ামকেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্থিতিশীল আর্থিক নীতিগুলি গ্রহণ করতে উৎসাহিত করতে পারে এবং স্থিতিশীলতার প্রতি অঙ্গীকার প্রদর্শনকারী প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রণোদনা দিতে পারে।

যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে দাঁড়িয়ে আর্থিক স্থিতিশীলতাকে উন্নত করার জন্য এখনও অনেক কিছু করার প্রয়োজন আছে, ভারত জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার দিকে অগ্রাধিকার প্রসারিত করতে আর্থিক ক্ষেত্রের দ্বিমুখী পদ্ধতি নিয়েছে, যার মধ্যে আছে ঋণ ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং বিনিয়োগে জলবায়ু ঝুঁকি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত। এর পাশাপাশি সবুজ পরিকাঠামো, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এবং অন্যান্য স্থিতিশীল শিল্পে বিনিয়োগের জন্য প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে সরকার স্থিতিশীল অর্থায়নকে উৎসাহিত করছে, যা এখনকার জন্য সবচেয়ে ভাল কাজ করে।

সবুজ চ্যালেঞ্জ
সবুজ অর্থায়ন (‌গ্রিন ফাইন্যান্স)‌, অর্থাৎ পরিবেশগতভাবে স্থিতিশীল প্রকল্প ও কার্যক্রমের অর্থায়ন, বিশ্বব্যাপী আর্থিক নিয়ামকদের জন্য আগ্রহের একটি দ্রুত বর্ধনশীল ক্ষেত্র। যদিও সবুজ অর্থায়ন প্রসারের অনেক সম্ভাব্য সুবিধা রয়েছে, সেখানে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ এবং উদ্বেগও আছে, যেগুলি অবশ্যই সাবধানে বিবেচনা করা উচিত। আর্থিক নিয়ামকদের দৃষ্টিকোণ থেকে সবুজ অর্থ সংক্রান্ত প্রাথমিক উদ্বেগের মধ্যে একটি হল সবুজধৌতির (‌গ্রিনওয়াশিং)‌ সম্ভাবনা। গ্রিনওয়াশিং বলতে আর্থিক পণ্য বা পরিষেবার পরিবেশগত সুবিধা সম্পর্কে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর দাবি করার অনুশীলনকে বোঝায়। নিয়ামকদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের বিনিয়োগের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে সঠিক এবং স্বচ্ছ তথ্য দিচ্ছে, এবং তাদের পোর্টফোলিওগুলির স্থায়িত্বের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেখাচ্ছে না। এর জন্য দৃঢ় রিপোর্টিং ও তথ্যপ্রকাশের যেমন প্রয়োজন আছে, সেইসঙ্গে অনুবর্তিতা নিশ্চিত করার জন্য শক্তিশালী এনফোর্সমেন্ট মেকানিজম–ও প্রয়োজন।

নিয়ামকদের জন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জ হল সবুজ বিনিয়োগের আবদ্ধ সম্পদে (স্টৃর‌্যান্ডেড অ্যাসেট)‌ পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। আবদ্ধ সম্পদ হল এমন বিনিয়োগ যা প্রযুক্তি বা বাজারের অবস্থার পরিবর্তনের কারণে অকেজো হয়ে পড়ে বা মূল্য হারায়। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পোর্টফোলিওর স্ট্রেস–টেস্টিং এবং উপযুক্ত রূপান্তর–পথের উন্নয়ন সহ নিয়ামকদের অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে যে কীভাবে এই ঝুঁকি পরিচালনা করা যায়। ২০৫০ সালের মধ্যে নেট–শূন্য নির্গমন ব্যবসায় পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বার্ষিক কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য সংস্থা ও বোর্ডচালিত পরিকল্পনাগুলিকে গ্রহণ করাই সবচেয়ে ভাল পথ।

নিয়ামকদের অবশ্যই এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি উপযুক্তভাবে বিনিয়োগ বৈচিত্রের মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাস কৌশল এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সরঞ্জামগুলির ব্যবহারসহ এই ঝুঁকিগুলির যথাযথ মোকাবিলা করছে।

নিয়ামকদের অবশ্যই সবুজ বিনিয়োগের সম্ভাবনা বিবেচনা করতে হবে উল্লেখযোগ্য অস্থিরতা ও মূল্যের ওঠানামার সাপেক্ষে। সরকারি নীতির পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং জনমত বা ভোক্তার আচরণে পরিবর্তন সহ বিভিন্ন কারণে এমনটি ঘটতে পারে। নিয়ামকদের অবশ্যই এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি উপযুক্তভাবে বিনিয়োগ বৈচিত্রের মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাস (‌হেজিং)‌ কৌশল এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সরঞ্জামগুলির ব্যবহারসহ এই ঝুঁকিগুলির যথাযথ মোকাবিলা করছে। পরিশেষে, নিয়ামকদের অবশ্যই সবুজ বিনিয়োগের আর্থিক ব্যবস্থায় পদ্ধতিগত ঝুঁকি বাড়ানোর সম্ভাবনা বিবেচনায় রাখতে হবে। যেমন, যদি একটি নির্দিষ্ট ধরনের সবুজ প্রযুক্তি বা পরিকাঠামোতে বিনিয়োগের জন্য তাড়া থাকে, তবে এটি সেই ক্ষেত্রে একটি বুদবুদ তৈরি করতে পারে, আর পরে বুদবুদটি ফেটে গেলে বড় পতন ঘটতে পারে। নিয়ামকদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি যেন সবুজ বিনিয়োগের জন্য অত্যধিক ঝুঁকি না–নেয় এবং বিনিয়োগ যেন বিভিন্ন ক্ষেত্র ও সম্পদ শ্রেণিতে  পর্যাপ্তভাবে বৈচিত্র্যময় হয়।

নিম্ন কার্বন অর্থনীতিতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষেত্র একটি মূল শক্তি, এবং আর্থিক নিয়ামকদের অবশ্যই স্থিতিশীল আর্থিক অনুশীলনের প্রসারের জন্য  শিল্পের অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত এমন কাঠামো ও নির্দেশিকা তৈরি করা যা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় জলবায়ু সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলিকে একীভূত করতে, এবং এই ঝুঁকিগুলির মুখোমুখি হওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা প্রদান করতে, উৎসাহিত করে।

যেহেতু বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের চাপের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, ‌তাই আর্থিক স্থিতিশীলতা ও স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করতে আর্থিক নিয়ামকদের একটি অপরিহার্য ভূমিকা রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলি জটিল ও আন্তঃসম্পর্কিত, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য বিপদ। তাই, আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য নিয়ামকদের সক্রিয়ভাবে এই ঝুঁকিগুলি পরিচালনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


শ্রীনাথ শ্রীধরন অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ভিজিটিং ফেলো
দক্ষিণা দাস ইনফাস্ট্রাচাকচার ফিনান্সিং, পাবলিক ফিনান্স ও ফিনান্সিয়াল সেক্টরের একজন বিশেষজ্ঞ এবং বর্তমানে জেন্ডার বাজেটিং সংক্রান্ত একটি সরকারি কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.