Published on Nov 27, 2024 Updated 1 Hours ago

ট্রাম্পের আসন্ন প্রেসিডেন্সি ২০১৭ সালে সূচিত চিনের প্রতি কট্টরপন্থী দৃষ্টিভঙ্গিকে তীব্রতর করতে ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে প্রস্তুত

চিনবিরোধী কট্টরপন্থীদের পৌষমাস: চিন প্রসঙ্গে ট্রাম্পের অবস্থান বিশ্লেষণ

এই নিবন্ধটি "রি-ইগনাইটেড অ্যাজেন্ডাজ: ট্রাম্পস রিটার্ন অ্যান্ড ইটস গ্লোবাল রেপারকাশনস" সিরিজের অংশ



এই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের পর বেজিংয়ে মন্ত্র হয়ে উঠেছে সহযোগিতা। তাঁর অভিনন্দন বার্তায় চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
জোর দিয়ে বলেন যে, তাঁদের দ্বিপাক্ষিক ইতিহাস জুড়ে চিন ও মার্কিন  যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতের  ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু সহযোগিতা থেকে উপকৃত হয়েছে। তিনি জোর দিয়েছিলেন যে, উভয় দেশকেই এই নতুন যুগে একসঙ্গে থাকার সঠিক উপায় খুঁজে বার করতে হবে। শি-‌র বিবৃতিতে আতঙ্কের মিশ্রণ এবং একটি আবৃত সতর্কতা দেখিয়ে বলা হয়েছে যদি চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একত্রিত হতে ব্যর্থ হয়, তবে সমগ্র মানবতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাঁর উদ্বেগের বড় কারণ আছে। মার্কিন সরকার ক্রমবর্ধমানভাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে যে চিনের সঙ্গে তার উভয়ের জয়ের প্রত্যাশী সম্পর্ক শুধু বেজিংকেই দু’বার জিততে সাহায্য করেছে।

জটিল সম্পর্কের ইতিহাস

১৯৭৯ সালে আমেরিকা-চিন সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের উদ্দেশ্য ছিল বেজিংকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একীভূত করা। আশা ছিল যে এই প্রক্রিয়া অবশেষে তার সর্বগ্রাসী কমিউনিস্ট শাসনকে প্রতিস্থাপন করে গণতন্ত্রের পথ প্রশস্ত করবে। এই দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) চিনের যোগদানের ব্যবস্থা করেছিল। যাই হোক, এই প্রত্যাশাগুলি অলীক প্রমাণিত হয়েছিল। ডব্লিউটিওতে যোগদানের মাধ্যমে চিনের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক লাভ হয়েছে, কিন্তু অর্থনৈতিক উদারীকরণ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রসারিত হয়নি। আরও খারাপ, বেজিং মুক্ত বাণিজ্যের ফাঁকগুলিকে কাজে লাগিয়েছে, যেমন মুদ্রার কারসাজি, মেধা সম্পত্তি চুরি, ‌জোর করে প্রযুক্তি হস্তান্তর, এবং রাষ্ট্রীয় ভর্তুকির একটি আগ্রাসী শিল্পনীতি যা মার্কিন ম্যানুফ্যাকচারিংকে ক্ষুণ্ণ করেছে।


বেজিং মুক্ত বাণিজ্যের ফাঁকগুলিকে কাজে লাগিয়েছে, যেমন মুদ্রার কারসাজি, মেধা সম্পত্তি চুরি, ‌জোর করে প্রযুক্তি হস্তান্তর, এবং রাষ্ট্রীয় ভর্তুকির একটি আগ্রাসী শিল্পনীতি যা মার্কিন ম্যানুফ্যাকচারিংকে ক্ষুণ্ণ করেছে।



২০১৭ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম
বাস্তববাদী দৃষ্টিকোণ থেকে চিনকে দেখেছিলেন। টিপিং পয়েন্ট ছিল যখন শি 'মেড ইন চায়না ২০২৫' পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন, যার লক্ষ্য ছিল রোবোটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও বায়োটেকনোলজির মতো উদীয়মান ক্ষেত্রগুলিতে আধিপত্য বিস্তার করা। সামরিক পরিসরে শি-‌র পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) ব্যাপকভাবে নিজেদের নতুন করে সংগঠিত করেছে, এবং দক্ষিণ চিন সাগরের কৃত্রিম দ্বীপগুলিতে বিমান-বিধ্বংসী ও জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করে এই অঞ্চলের সামরিকীকরণ না করার প্রকাশ্য প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে। এই উস্কানিমূলক পদক্ষেপটি করা হয়েছিল জাপানের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং মার্কিন চুক্তি জোট দ্বারা সুরক্ষিত সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের উপর বেজিংয়ের জোরালো  ভূখণ্ডগত দাবি জানানোর আগে।

প্রতিক্রিয়া হিসাবে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে 
ডিসেম্বর ২০১৭-এ জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে আসা হয়েছিল, যা আনুষ্ঠানিকভাবে একটি মহা-শক্তি প্রতিযোগিতার স্বীকৃতি দেয়। এটি চিনকে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় ওয়াশিংটনের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করে প্রভাববিস্তার ও সম্প্রসারণ-প্রয়াসী একটি দেশ হিসাবে চিহ্নিত করে। ট্রাম্প চিনা পণ্যের উপর ভারী শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি মার্কিন প্রযুক্তিতে হুয়াওয়ের প্রবেশাধিকার রোধ করেন, এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বিকাশের জন্য পিএলএ অফিসারদের স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) গবেষণা কার্যক্রমে অনুপ্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে ছাত্র-ভিসা বিধিনিষেধ প্রয়োগ করেন। এই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপগুলি চিনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের দৃষ্টিভঙ্গিকে মৌলিকভাবে রূপান্তরিত করেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্থলাভিষিক্ত জো বাইডেন চিনের প্রতি ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গিকেই প্রসারিত করেছিলেন। বাইডেন প্রশাসন নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিকে সীমাবদ্ধ করে। তাঁর "
ছোট প্রাঙ্গণ, উঁচু বেড়া" কৌশলটি হয় চিনা বিনিয়োগকে সম্পূর্ণভাবে বাধা দেয়, অথবা নতুন উদ্যোগ অনুমোদনের আগে কঠোর তদন্ত শুরু করে। ফলস্বরূপ, চিন সেমিকন্ডাক্টর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি জোগাড় করতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে। বাইডেন মার্কিন নাগরিকদের সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে জড়িত চিনা সংস্থাগুলির জন্য কাজ করা বা প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রদান করা নিষিদ্ধ করেছিলেন। উপরন্তু, চিনে বহির্মুখী মার্কিন বিনিয়োগ বর্ধিত যাচাই-‌বাছাইয়ের আওতায় এসেছে। উন্নত মাইক্রোচিপগুলিতে চিনের প্রবেশাধিকার সীমিত করতে নেদারল্যান্ডস ও জাপানের মতো মিত্রদের পাশে টেনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞাগুলির ভূখণ্ডগত সীমা প্রসারিত করেছে।


সামরিক পরিসরে শি-‌র পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) ব্যাপকভাবে নিজেদের নতুন করে সংগঠিত করেছে, এবং দক্ষিণ চিন সাগরের কৃত্রিম দ্বীপগুলিতে বিমান-বিধ্বংসী ও জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করে এই অঞ্চলের সামরিকীকরণ না করার প্রকাশ্য প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে।



অতএব, চিন নীতিতে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয়ই বিরল দ্বিদলীয় ঐক্য দেখিয়েছে, এমনকি গভীরভাবে মেরুকৃত মার্কিন রাজনৈতিক মানচিত্রেও। অতীত যদি প্রস্তাবনা হয়, তাহলে নিয়ামক সরঞ্জামের অব্যাহত ব্যবহার চিনের প্রতি আমেরিকার আর্থিক ও বিনিয়োগ নীতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা তৈরি করবে, এমনকি ট্রাম্পের পরবর্তী প্রশাসনেও।

ট্রাম্পের ক্যাবিনেট

"কর্মীরাই নীতি", এই কথাটি অনুসরণ করে আগামী ট্রাম্প প্রশাসনের মূল পদে নিযুক্ত ব্যক্তিরা চিনের প্রতি তাঁর নীতিগুলিকে উল্লেখযোগ্যভাবে তৈরি করবেন। মাইক ওয়াল্টজ, মার্কো রুবিও, তুলসি গ্যাবার্ড, পিট হেগসেথ ও ক্রিস্টি নোয়েম-‌সহ এখনও পর্যন্ত নিযুক্ত সকলেই হয় চিন সম্পর্কে সন্দিহান বা প্রকাশ্যভাবে কট্টরপন্থী, যা সম্ভবত তাঁদের নীতিতে প্রতিফলিত হবে।

মাইক ওয়াল্টজ, যিনি ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হবেন,
চিন প্রসঙ্গে একজন সুপরিচিত কট্টরপন্থী যিনি প্রায়শই বলেছেন যে, চিনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) মার্কিন বৈশ্বিক নেতৃত্বের জায়গাটি নিতে চায় এবং তা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিনের সঙ্গে নতুন ঠান্ডাযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। ওয়াল্টজ একাধিক সরবরাহ শৃঙ্খল এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির উপর চিনা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ এগুলি এমন দুর্বলতা যা চিন তাইওয়ানে জরুরি পরিস্থিতির সময় কাজে লাগাতে পারে। ওয়াল্টজ প্রায়ই চিনের সামরিক গঠন, পদ্ধতিগত বৌদ্ধিক সম্পত্তি চুরি, কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তি, রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মৈত্রী, এবং মানবাধিকার ও পরিবেশের বিষয়ে খারাপ নজিরের সমালোচনা করেছেন। এই কারণগুলি উল্লেখ করে তিনি এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ২০২২ বেজিং অলিম্পিক বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি, পিট হেগসেথ, ওয়াল্টজের কট্টরপন্থী অবস্থানের ভাগীদার, এবং প্রায়শই মার্কিন সেনাবাহিনীকে তার 'উয়োক' সংস্কৃতির জন্য
উপহাস করেন, কারণ এটি কৌশলগতভাবে ও প্রযুক্তিতে চিনের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। একইভাবে, ট্রাম্পের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) ডিরেক্টর জন র‍্যাটক্লিফ দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করেছেন যে চিনের অনেক সরকারি উদ্যোগ এবং বিশিষ্ট কোম্পানি সিসিপি-‌র গোপন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ২০২০ সালে র‍্যাটক্লিফ চিনকে আমেরিকার "সবচেয়ে বড় বিপদ" বলে অভিহিত করে মার্কিন কোম্পানি ও সংস্থাগুলিতে হুয়াওয়ের পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন এবং চিনা গুপ্তচরবৃত্তি বন্ধ করতে, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিতে, দৃঢ় পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।


ওয়াল্টজ প্রায়ই চিনের সামরিক গঠন, পদ্ধতিগত বৌদ্ধিক সম্পত্তি চুরি, কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তি, রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মৈত্রী, এবং মানবাধিকার ও পরিবেশের বিষয়ে খারাপ নজিরের সমালোচনা করেছেন।



ট্রাম্পের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের ভবিষ্যৎ পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ডও চিনকে নিয়ে সংশয়াপন্ন। এদিকে, ট্রাম্পের সম্ভাব্য রাষ্ট্রপুঞ্জ-‌রাষ্ট্রদূত, এলিস স্টেফানিক, চিনের নীতির সমালোচনায় স্পষ্টভাষী। একইভাবে, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারির জন্য ট্রাম্পের বাছাই ক্রিস্টি নোয়েম প্রায়শই চিনা কোম্পানিগুলিকে  সন্দেহজনক ব্যবসায়িক অনুশীলন অনুসরণের জন্য অভিযুক্ত করেছেন, এবং  চিনা কোম্পানিগুলির মার্কিন কৃষিজমি
কেনার বিষয়ে উদ্বিগ্ন থেকেছেন। রবার্ট লাইথাইজারকে অর্থনৈতিক ভূমিকায় নিয়োগ চিনের অসুবিধা আরও বাড়িয়ে তুলবে।

এই কট্টরবাদী লাইন-‌আপ সম্পূর্ণ করছেন ট্রাম্পের সেক্রেটারি অফ স্টেট, মার্কো রুবিও, যিনি তাইওয়ানের সমর্থক এবং চিন-বিরোধিতায় অগ্রণী। ২০২০ সালের জুলাই মাসে
চিন তাঁর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তিনি "উইঘুর মানবাধিকার নীতি আইন" এবং "হংকং মানবাধিকার ও গণতন্ত্র আইন"-‌এর জন্য সওয়াল করেছেন, এবং প্রায়ই শি-‌র নাম ধরে সমালোচনা করেছেন। তিনি শি-‌কে অভিযুক্ত করেছেন কর্তৃত্ববাদিতার কারণে। এই সমষ্টিগত দৃঢ় ইচ্ছা পরবর্তী প্রশাসনে চিনের প্রতি ট্রাম্পের কঠোর পন্থা অব্যাহত রাখবে।

ভাল পুলিশ, খারাপ পুলিশ

যাই হোক, ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের চিন নীতি দুটি স্বতন্ত্র শিবিরের মাধ্যমে চালাতে পারেন — একটি প্রতিযোগিতার উপর এবং অন্যটি লেনদেনের উপর। চিনের ক্ষেত্রে কট্টরবাদীরা সম্ভবত বেজিংয়ের উপর বিভিন্ন বিষয়ে যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করতে পারেন, অন্যদিকে ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে চিনা নেতৃত্বের সঙ্গে বড় দর কষাকষির জন্য লেনদেন শিবিরের নেতৃত্ব দিতে পারেন।

ইলন মাস্ক, একজন বিশিষ্ট ট্রাম্প সমর্থক, এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। চিনের প্রেক্ষিত থেকে মাস্কের সঙ্গে তাদের গভীর ব্যবসায়িক সংযোগের উপর নির্ভর করার মতো অনেক কিছু রয়েছে। তিনি শি-‌র সঙ্গে দেখা করেছেন এবং চিনে প্রচুর বিনিয়োগ করেছেন। এটি তাঁকে উভয় নেতার জন্য উপকারী একটি চুক্তির রাস্তা তৈরি করার প্রচুর সুযোগ দেয়।


চিনের প্রেক্ষিত থেকে মাস্কের সঙ্গে তাদের গভীর ব্যবসায়িক সংযোগের উপর নির্ভর করার মতো অনেক কিছু রয়েছে। তিনি শি-‌র সঙ্গে দেখা করেছেন এবং চিনে প্রচুর বিনিয়োগ করেছেন।



অতীতে মাস্ক
 বিতর্কিতভাবে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে তাইওয়ানের হংকংয়ের মতো একটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসাবে চিনের সঙ্গে যোগ দেওয়া উচিত। যাই হোক, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বিষয়ে কঠোরভাবে সচেতন যে সিসিপি হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনকে ক্ষুণ্ণ করেছে এবং সেখানকার জনগণের অধিকারকে পদদলিত করেছে। তা সত্ত্বেও, চুক্তির মধ্যস্থতা করার জন্য মাস্কের প্রবণতা, ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর নৈকট্য, এবং চিনে তাঁর উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ একটি বিস্ফোরক মিশ্রণ তৈরি করে। এটি তাঁকে তাইওয়ান নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে একটি বড় দর-‌কষাকষির সম্ভাব্য সহায়ক হিসাবে চিহ্নিত করে।

সংক্ষেপে, চিনের প্রতি নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি বেজিংয়ের জন্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে। এটি কট্টরবাদীদের দ্বারা প্রভাবিত, যাঁরা ২০১৭ সালে শুরু করা পথ সংশোধনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চান। চিনা নেতৃত্ব এই মুহূর্তে আশঙ্কিত, এবং আসন্ন ট্রাম্প চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশল ও মিত্রদের খোঁজ করছে। চিন ট্রাম্পের লেনদেনের প্রবৃত্তি, মাস্কের যথেষ্ট প্রভাব এবং পরিস্থিতি প্রশমিত করার জন্য কোভিড-পরবর্তী বিশ্বের অর্থনৈতিক চাপের উপর নির্ভর করছে। যাই হোক, মার্কিন-চিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার দিগন্ত অন্ধকার হয়ে রয়েছে।



অতুল কুমার এবং কল্পিত এ মানকিকর অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Atul Kumar

Atul Kumar

Atul Kumar is a Fellow in Strategic Studies Programme at ORF. His research focuses on national security issues in Asia, China's expeditionary military capabilities, military ...

Read More +
Kalpit A Mankikar

Kalpit A Mankikar

Kalpit A Mankikar is a Fellow with Strategic Studies programme and is based out of ORFs Delhi centre. His research focusses on China specifically looking ...

Read More +