Published on Jun 29, 2023 Updated 0 Hours ago

বহুমেরু বিশ্বব্যবস্থায় ভারত যখন একটি উদীয়মান স্তম্ভ হিসাবে নিজের জায়গা পোক্ত করতে আগ্রহী, তখন বিদেশমন্ত্রকের কার্যকারিতার প্রয়োজনীয়তা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ: ডিমান্ডস ফর গ্রান্টস নিয়ে ২০তম রিপোর্টের মূল্যায়ন

মার্চ মাসে বিদেশ বিষয়ক কমিটি দ্বারা প্রকাশিত ডিমান্ডস ফর গ্রান্টস-এর ২০তম প্রতিবেদনে বিদেশমন্ত্রক (এমইএ) এবং তার কার্যকারিতা সম্পর্কে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হয়েছে।

বাজেট এবং সীমাবদ্ধতা

ভারতের দ্রুত ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক পদাঙ্ক (গ্লোবাল ফুটপ্রিন্ট) এবং ভূমিকা সত্ত্বেও এমইএ ভারতের সবচেয়ে কম অর্থায়িত কেন্দ্রীয় মন্ত্রকগুলির একটি। এই মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ বরাবরই সামগ্রিক বাজেটের ১ শতাংশেরও কম থেকেছে। এমইএ-র সামগ্রিক বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ ২০১৯ সাল থেকে হ্রাস পাচ্ছে (দ্রষ্টব্য সারণি ১); তা সম্ভবত ভারত সরকারের অভ্যন্তরীণ ব্যয়ের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির কারণেই ঘটেছে। এই বছরের ১৮০৫০ কোটি টাকার (০.৪০ শতাংশ) বাজেট গত পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ। ভারতের জি২০ সভাপতিত্বের জন্য ৯৯০ কোটি টাকার আনুমানিক ব্যয় সামগ্রিক বরাদ্দের এই বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।

মন্ত্রকের অভ্যন্তরে সহায়তা বরাদ্দের ব্যবস্থাও অন্যান্য সমস্যা দ্বারা জর্জরিত। চাহিদা ও বরাদ্দের অনুপাতের বৈষম্য, সংশোধিত বরাদ্দে তহবিল হ্রাস এবং সমান ও যৌক্তিক বরাদ্দ সুনিশ্চিত করার অসুবিধা হল প্রধান কয়েকটি সমস্যা। কিছু ত্রৈমাসিকে ব্যয়ের গতি মন্থর থেকেছে এবং অন্তিম ত্রৈমাসিকগুলিতে প্রায়শই ব্যাপক পরিমাণ তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ শুরু হওয়ার পর থেকে বরাদ্দকৃত তহবিলের সম্পূর্ণ ব্যবহারও এমইএ-র জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২০২০-২১ সালে খরচ না হওয়া অর্থের পরিমাণ ছিল ৬৩৪ কোটি এবং পরের বছরে এই পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ১৮২৮ কোটি টাকায়।

সারণি : এমইএ-র চাহিদা, বরাদ্দ এবং খরচ

বর্ষ বিই চাহিদা বিই বরাদ্দ বাজেটের বিই শতাংশ আরই চাহিদা আরই বরাদ্দ বাজেটে আরই শতাংশ প্রকৃত খরচ
২০২০২১ ২০৮৭৩.৪০ ১৭৩৪৬.৭১ ০.৫৭% ১৮২৫৬.৫৯ ১৫০০০ ০.৪৩% ১৪৩৬৫.৮৪ (৯৫.৭৭%)
২০২১২২ ২২৮৮৮.৭৩ ১৮১৫৪.৭৩ ০.৫২% ১৮২২৪.৫২ ১৬০০০ ০.৪২% ১৪১৭৩.৭০ (৮৮%)
২০২২২৩ ২০৭০৭.১৮ ১৭২৫০ ০.৪৪% ১৯০৯৫.৪৫ ১৬৯৭২.৯ ০.৪১% ১০৩৭৫.৯* (৯৪%)**
২০২৩২৪ ২১২৭৬.৬৫ ১৮০৫০ ০.৪০%

**আনুমানিক, *২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত খরচ

উন্নয়নের জন্য অংশীদারিত্ব

প্রতিবেশ এবং তার সীমানা ছাড়িয়ে ভারতের সামগ্রিক অগ্রাধিকারের পরিপূরক হওয়ার লক্ষ্যে এবং ক্রমবর্ধমান চিনা উপস্থিতি মোকাবিলা করার উদ্দেশ্যে কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বা টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন- এ (টিইসি) বাজেটের অধীনে ক্ষেত্রীয় বরাদ্দের একটি বড় অংশ ধার্য করা হয়েছে, যার মূল্য ৫৮৪৮.৫৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫০৮০.২৪ কোটি টাকা অনুদানের আকারে এবং বাকি ৭৬৮.৩৪ কোটি টাকা ঋণের আকারে বরাদ্দ করা হয়েছে। ভারতের সহায়তা একাধিক খাতে পরিলক্ষিত হয়- লাইনস অফ  ক্রেডিট (এলওসি), অনুদান সহায়তা, প্রযুক্তিগত পরামর্শ, বিপর্যয় ত্রাণ, মানবিক ত্রাণ, ঐতিহ্য সংস্কার, শিক্ষাগত বৃত্তি, দক্ষতা-নির্মাণ কর্মসূচি ইত্যাদি। সহযোগী দেশগুলির প্রয়োজন, ভারতের স্বার্থ এবং প্রকল্পগুলির স্থিতিশীলতার ভিত্তিতে এই সহায়তা প্রদান করা হয়।

এই অনুদান এবং ঋণগুলি লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলি-সহ বিভিন্ন অঞ্চলের দেশগুলির জন্য ধার্য করা হলেও অব্যবহিত প্রতিবেশী দেশগুলি এই বরাদ্দের সিংহভাগ পায়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্রতিবেশ অঞ্চলের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণ রেল সংযোগ, রাস্তা ও সেতু, জলপথ, সীমান্ত-সম্পর্কিত পরিকাঠামো, বিদ্যুৎ উৎপাদন, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ইত্যাদির মতো সংযোগ প্রকল্পগুলির উপর মনোনিবেশ করেছে।

সারণি : প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য সহায়তা

দেশের নাম বিই ২০২২২৩ (কোটি টাকায়) বিই ২০২৩২৪ (কোটি টাকায়)
বাংলাদেশ ৩০০ ২০০
ভুটান ১৫৬০.০১ ১৬৩২.২৪
নেপাল ৭৫০ ৫৫০
শ্রীলঙ্কা ২০০ ১৫০
মায়ানমার ৬০০ ৫০০
আফগানিস্তান ২০০ ২০০
মলদ্বীপ ৩৬০ ৪০০

ভারতের প্রতিবেশ অঞ্চলের (দ্রষ্টব্য সারণি ২) মধ্যে ভুটান এবং মলদ্বীপে সহায়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভুটান ২৪০০ কোটি টাকার বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক সহায়তা লাভ করেছে। এই সহায়তার মধ্যে অনুদান (১৬৩২ কোটি টাকা) এবং ঋণ (৭৬৮ কোটি টাকা) উভয়ই অন্তর্ভুক্ত। নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ… সব দেশেই সহায়তার পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। নেপাল এবং বাংলাদেশের জন্য সহায়তার পরিমাণ কমেছে, কারণ বেশির ভাগ প্রকল্পই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে অথবা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে বরাদ্দ হ্রাস পেলেও, অনেক প্রকল্প টেন্ডার পর্যায়ে থাকায় এ বছর এই পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অস্থিতিশীল রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে আফগানিস্তান ও মায়ানমারের প্রতি সহায়তা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। অবশ্য অন্যান্য দেশের ৩০-৪০ শতাংশের তুলনায় আফগানিস্তান এবং মায়ানমার উভয় ক্ষেত্রেই তহবিল ব্যবহারের পরিমাণ ৫০ শতাংশের বেশি থেকেছে।

ভারতের স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং দেশের সুনাম বৃদ্ধি করতে এই ধরনের সহযোগিতার গুরুত্বের বিষয়ে ঐকমত্য থাকলেও সামগ্রিক বাজেটে উন্নয়ন সহযোগিতার শতাংশ ধারাবাহিক ভাবে ৪২.০৬ শতাংশ থেকে ২০২৩-২৪ সালে মাত্র ৩২.৪০ শতাংশে নেমে এসেছে। ধারাবাহিকতা, উল্লিখিত ত্রাণের পরিমাণের দক্ষ ব্যবহার এবং প্রকল্পগুলির সময়োচিত সমাপ্তিও এমইএ-র জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একাধিক কারণ বাজেট বরাদ্দ এবং একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের বাস্তবায়নকে প্রভাবিত করে এবং সেগুলি হল অংশীদার দেশের স্থানীয় নিরাপত্তা  পরিস্থিতি, প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং আয়োজক সরকারের পারস্পরিকতা ও তাদের নীতির অগ্রাধিকার। ভারতের জন্য অন্য দেশে লজিস্টিক সীমাবদ্ধতা, বিভিন্ন সংগ্রহের নিয়ম, নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়ার পার্থক্য এবং রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রকল্পগুলির কার্যকর সমাপ্তিতে বাধা দেয়।

কূটনৈতিক উপস্থিতি এবং প্রভাবের বিস্তার ঘটানো

বিদেশে ভারতীয় মিশন এবং পদগুলিতে ৩৫২৮ কোটি টাকার ব্যয়-সহ বাজেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেক্টরাল অ্যালোকেশন বা ক্ষেত্রীয় বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০১টিরও বেশি কূটনৈতিক মিশন এবং পদ-সহ ভারত লাতিন  আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান, আফ্রিকা এবং ইউরোপে তার কূটনৈতিক উপস্থিতি এবং মিশন বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে। ২০১৮ সাল থেকে আফ্রিকাতে প্রায় ১৫টি নতুন ভারতীয় মিশনের সূচনা করা হয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে এস্তোনিয়া, প্যারাগুয়ে এবং ডোমিনিকান রিপাবলিকে নতুন মিশন চালু করা হয়। যদিও এই উদ্যোগগুলি সত্ত্বেও এবারের বাজেটে ক্ষেত্রীয় বরাদ্দ প্রায় ২৪০ কোটি টাকা হ্রাস পেয়েছে। মন্ত্রকেও কর্মীর সংখ্যা কমেছে। বর্তমানে ৪৪৮৮জন কর্মী রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে মাত্র ১০১১ জন ফরেন সার্ভিস অফিসার। ভারত বিশ্বের সবচেয়ে স্বল্প কর্মীসম্পন্ন কূটনৈতিক পরিষেবা প্রদান করে। ধীর ও সীমিত ইউপিএসসি এবং এসএসসি নিয়োগের পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের স্থবিরতা এড়াতে মন্ত্রক দ্বারা ধীর গতির নিয়োগ ভারতের কূটনৈতিক প্রসার ও কার্যকারিতাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

একাধিক কারণ বাজেট বরাদ্দ এবং একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের বাস্তবায়নকে প্রভাবিত করে এবং সেগুলি হল অংশীদার দেশের স্থানীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি, প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং আয়োজক সরকারের পারস্পরিকতা ও তাদের নীতির অগ্রাধিকার।

বিশেষ কূটনৈতিক ব্যয়ের খাতে ৪১৬২ কোটি টাকা মূল্যের তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ করা হয়েছে। এমইএ সেক্রেটারিয়েটের প্রশাসনিক ব্যয়ের খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫১৮ কোটি টাকা। পাসপোর্ট এবং ইমিগ্রেশন বিভাগটিতে ১০০২ কোটি টাকা মূল্যের পঞ্চম সর্বোচ্চ বরাদ্দ করা হয়েছে।

যেহেতু অভিবাসন এবং প্রবাসীরা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সরকারের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য মনোযোগ পেতে সক্ষম হয়েছেন, তাই পাসপোর্টের প্রাপ্যতা এবং ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টা চলছে। এখনও পর্যন্ত সারা দেশে ৪৩০টি পাসপোর্ট সেবা অফিস চালু রয়েছে এবং চারটি নতুন অফিসও অবিলম্বেই খোলা হবে। পাসপোর্ট পরিষেবাগুলির ডিজিটালকরণের জন্য এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন বা পুলিশ দ্বারা যাচাইকরণ ও পাসপোর্ট বিধানের সময়কাল হ্রাস করার জন্যও ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টা চলছে। কেন্দ্রীয় পাসপোর্ট সংস্থার মোট শ্রমশক্তির ৩৬ শতাংশ পদ শূন্য থাকায় মন্ত্রকটি ক্রমাগত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। অভিবাসীদের আয়োজক দেশগুলির নিয়ম ও প্রবিধানের প্রতি সংবেদনশীল করার জন্য সরকার ৫টি নতুন প্রোটেক্টর অফ এমিগ্রেন্টস (পিওই) অফিস এবং ৫৮টি নতুন প্রি-ডিপার্চার ওরিয়েন্টেশন ট্রেনিং (পিডিওটি) কেন্দ্র অনুমোদন করেছে৷ বিদ্যমান ও কার্যকর ১৪টি পিওই এবং ৩২টি পিডিওটি-র পাশাপাশি এগুলি নতুন সংযোজন।

রেমিট্যান্স বা অর্থপ্রেরণ এবং সফট পাওয়ার বা কূটনৈতিক ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য প্রবাসীদের তাৎপর্য বিবেচনা করে মন্ত্রক প্রায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, যার মধ্যে ভারতীয় প্রবাসীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার জন্য ৩৭ কোটি টাকা এবং প্রবাসী ভারতীয়দের কল্যাণে ১৩ কোটি টাকা ধরা হয়েছে৷ প্রবাসীদের সঙ্গে এই সম্পৃক্ততাকে ব্যবহার করে সরকার তাদেরকে অবশিষ্ট ভারত ও ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে এবং বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সেনা কর্মী, বিজ্ঞানী, ছাত্র ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ভারতীয় পেশাদার শ্রেণির সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ শৃঙ্খল স্থাপনের চেষ্টা করছে। একই ভাবে সরকার বিনিয়োগ করে পিডিওটি সেশন, কোনও দেশ থেকে জরুরি পরিস্থিতিতে ভারতীয়দের সরিয়ে আনা, ভারতীয়দের প্রত্যাবাসনের জন্য। এছাড়া ওয়েলফেয়ার অফ ওভারসিজ ইন্ডিয়ানস উদ্যোগের মাধ্যমে আইনি সহায়তা এবং কাউন্সেলিং করা হয়। যদিও এই তহবিলের কার্যকর ব্যবহার এখনও সমস্যার কারণ। গত বছর ওয়েলফেয়ার অফ ওভারসিজ ইন্ডিয়ানস খাতে বরাদ্দকৃত ৯৭ কোটি টাকার মধ্যে মধ্যে মাত্র ০.০৬ কোটি টাকা ব্যবহার করা হয়েছে এবং ভারতীয় প্রবাসীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য বরাদ্দকৃত ৪৬ কোটি টাকার মধ্যে শুধুমাত্র ১৪ কোটি টাকা ব্যবহার করা হয়েছে৷ দূতাবাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে বা নিবন্ধন করতে প্রবাসীদের দ্বিধাও মিশনগুলির দক্ষতাকে বাধা দিচ্ছে।

অভিবাসীদের আয়োজক দেশগুলির নিয়ম ও প্রবিধানের প্রতি সংবেদনশীল করার জন্য সরকার ৫টি নতুন প্রোটেক্টর অফ এমিগ্রেন্টস (পিওই) অফিস এবং ৫৮টি নতুন প্রি-ডিপার্চার ওরিয়েন্টেশন ট্রেনিং (পিডিওটি) কেন্দ্র অনুমোদন করেছে৷

প্রসার এবং সহযোগিতা

ভারতের বিদেশনীতির প্রণয়ন মন্ত্রকের আওতাভুক্ত হলেও সেটি নির্দিষ্ট দেশের আঞ্চলিক বিভাগ, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক গোষ্ঠী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো একাধিক অংশীদারদের দ্বারা প্রভাবিত একটি সমন্বয়মূলক প্রচেষ্টা। ধাপে ধাপে নীতির প্রণয়ন এবং জ্ঞান উৎপাদনে এমইএ-র অবদান বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানের সমর্থনের মাধ্যমে বজায় থাকে। এটি ট্র্যাক ১.৫ এবং ২ ডায়লগ চালিয়ে যাওয়া ছাড়াও গবেষণা সংস্থা এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলির অর্থায়ন করে৷ অতিমারি এই সংস্থাগুলির জন্য অর্থায়নে হ্রাস ঘটালেও ভারত এ বছর জি২০-র সভাপতিত্ব করার দরুন কিছু প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তহবিল যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপসংহার

ভারতের জন্য এক মোক্ষম মুহূর্তে এই প্রতিবেদনের ফলাফলগুলি সামনে উঠে এসেছে। ভারত যখন কোভিড-পরবর্তী বিশ্বের ওঠানামার মধ্য দিয়ে চলেছে এবং জি২০-র নেতৃত্ব গ্রহণ করছে, তখন নয়াদিল্লিকে অবশ্যই এই সব বাধা এবং তহবিল বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে ঘাটতি, প্রতিবেশ অঞ্চল ও তার সীমানা ছাড়িয়ে সেই তহবিলের বণ্টন ও কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করতে হবে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Aditya Gowdara Shivamurthy

Aditya Gowdara Shivamurthy

Aditya Gowdara Shivamurthy is an Associate Fellow with ORFs Strategic Studies Programme. He focuses on broader strategic and security related-developments throughout the South Asian region ...

Read More +
Shivam Shekhawat

Shivam Shekhawat

Shivam Shekhawat is a Junior Fellow with ORF’s Strategic Studies Programme. Her research focuses primarily on India’s neighbourhood- particularly tracking the security, political and economic ...

Read More +