Author : Shivam Shekhawat

Published on May 04, 2023 Updated 0 Hours ago

তালিবানকে শক্তিশালী না করে কীভাবে আফগান জনগণকে সমর্থন জোগানো যায়, সেই পথ খুঁজে বের করাই বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে

আফগানিস্তানে সাহায্য এবং ত্রাণ: প্রতিবন্ধকতা এবং তার ঊর্ধ্বে উঠে

ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তানের (আইইএ) অন্তর্বর্তীকালীন বিদেশমন্ত্রী মৌলবি আমির খান মুত্তাকি একটি বিতর্কিত উত্তর-সম্পাদকীয়তে তালিবানের অধীনে আফগানিস্তানের রূপান্তর সম্পর্কে অতিশয়োক্তি করেছেন। দেশটি বর্তমানে একটি ‘স্বাধীন, শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ, কেন্দ্রীয় এবং দায়িত্বশীল সরকার’ দ্বারা শাসিত হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে সম্পৃক্ত থাকতে ইচ্ছুক… এ কথা বলে তিনি বিশ্বের বাকি অংশকেও ‘অতীতকে ভুলে’ ভবিষ্যতের দিকে তাকানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। নতুন এমিরেট এখন আফগানিস্তানকে ‘আফগানাইজিং’ বা ‘আফগানকরণ’-এর মাধ্যমে বিদেশি সাহায্যের উপর তার অত্যধিক নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার প্রতিও মনোনিবেশ করবে। নারীদের মর্যাদা ও অধিকারের উল্লেখ স্পষ্টতই এড়িয়ে গিয়ে তিনি কাবুলকে তার স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোয় সাহায্য করার উদ্দেশ্যে দেশগুলির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি কীভাবে দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে, সে সম্পর্কে এই প্রহসনমূলক ইউটোপিয়ার বাইরেও বাস্তব পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ঘটেছে। ত্রাণের উপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ৯.৪ মিলিয়ন থেকে লাফ দিয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে ২৮.৩ মিলিয়নে এসে পৌঁছেছে এবং শহরাঞ্চলে বসবাসকারী আরও বেশি সংখ্যক মানুষ জীবনধারণের জন্য ত্রাণের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। কয়েকটি অর্থনৈতিক সূচকের স্থিতিশীলতা লক্ষ করা হলেও এবং বছর-প্রতি-বছরের শিরোনাম মুদ্রাস্ফীতি ৩.৫ শতাংশে নেমে গেলেও, খাদ্য ও অ-খাদ্য বস্তুগুলির লভ্যতা বৃদ্ধি পেলেও এবং বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে আফগানি মুদ্রার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি সত্ত্বেও, তা সামগ্রিক ভাবে জনসাধারণের পুনরুদ্ধারের কাজে রূপান্তরিত হয়নি। কৃষি ও নির্মাণ কার্যে ঘাটতি দেখা যাওয়ার ফলে দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিকের চাহিদার হ্রাস ঘটেছে। ফলস্বরূপ তা পরিবারের আয় এবং সামগ্রিক চাহিদাকেই প্রভাবিত করেছে। বারংবার খরা এবং দুর্ভিক্ষ, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং পাকিস্তান ও ইরানের অবস্থার অবনতির কারণে ঘন ঘন আন্তঃসীমান্ত প্রত্যাবর্তনের ফলে অসুবিধাগুলি জটিলতর হয়ে উঠেছে।

কৃষি ও নির্মাণ কার্যে ঘাটতি দেখা যাওয়ার ফলে দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিকের চাহিদার হ্রাস ঘটেছে। ফলস্বরূপ তা পরিবারের আয় এবং সামগ্রিক চাহিদাকেই প্রভাবিত করেছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, ত্রাণ প্রদানকারী সংস্থা এবং তালিবান-সহ সমস্ত শক্তিই দেশটিতে বেঁচে থাকার জন্য সাহায্যের অপরিহার্যতা স্বীকার করে নিলেও তালিবানের অন্তর্মুখিতার পাশাপাশি এই সঙ্কটের মধ্য দিয়ে পথ দেখানোর জন্য একটি অভিন্ন এবং সমন্বিত পন্থা কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে ক্রমশ দ্বন্দ্ব অবস্থাকে আরও গুরুতর করে তুলেছে। কিছু নীতিগত বিষয় পরিস্থিতিটিকে জটিলতর করেছে। মনোভাব ও বাস্তবায়নের এই পার্থক্যগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া ত্রাণ সংক্রান্ত সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য অপরিহার্য এবং একই সঙ্গে এ দিকেও নজর দেওয়া উচিত যাতে তালিবানরা আগত বিদেশি ত্রাণকে ক্ষমতায় তাদের দখলকে শক্তিশালী করার কাজে একটি সাধনী হিসাবে না বিবেচনা করে।

বিনিয়োগ ঘাটতি: দাতা ক্লান্তির একটি সমস্যা?

ইউএন-এর বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ইউএনডব্লিউএফপি) সম্প্রতি আফগানিস্তানে অবিলম্বে পুঁজি বিনিয়োগের জন্য একটি জরুরি আবেদন করেছে। এপ্রিল মাসে প্রদেয় খাদ্য ত্রাণ প্রাপ্তি থেকে অতিরিক্ত ৯০ লক্ষ মানুষের বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে সাবধান করে তারা বলেছে যে, পুঁজির অভাবে মার্চ মাসে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের জন্য প্রাপ্য রেশনের পরিমাণ অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়াও এপ্রিল মাসে ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং পরবর্তী ছ’মাসে ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঘাটতির কথা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং অবস্থাকে আরও গুরুতর হয়ে ওঠা থেকে বাধা দিতে তারা ২০২৩ সালের হিউম্যানিটেরিয়ান রেসপন্স প্ল্যানে করা বিনিয়োগের আবেদনগুলিতে সাড়া দেওয়ার জন্য দাতা দেশগুলিকে অনুরোধ করেছে। বিনিয়োগের এই ঘাটতির জন্য একটি একক কারণকে চিহ্নিত করা কঠিন হলেও তালিবানের নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং তারা কীভাবে তাদের রাজস্ব ব্যয় করবে, তা দ্বারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে এই গোষ্ঠীটিকে কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে এবং তাদের কর্মপন্থার প্রবণতা প্রভাবিত।

জনপরিসরে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়ে তালিবানের নীতিগত সিদ্ধান্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির কাজ এবং তাদের লক্ষ্যে পৌঁছনোর ক্ষমতার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। মোট স্বেচ্ছাসেবী কর্মশক্তির ৩০-৪০ শতাংশ জুড়ে রয়েছেন সেই মহিলারা যাঁরা সবচেয়ে অরক্ষিত গোষ্ঠীগুলির কাছে তাদের ভাগের ত্রাণ এবং সহায়তার কাজ সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অপরিহার্য। সুতরাং তালিবান স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিতে মহিলাদের কাজ করার ব্যাপারটি নিষিদ্ধ করার পর প্রায় ১৫০টি সংস্থার কার্যক্রম-সহ সমগ্র ত্রাণ পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছিল। ইউএন থেকে আগত আধিকারিকরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমের অনুরোধ জানাতে সফল হলেও এই ঘটনা ত্রাণ বণ্টন ও প্রদানের ক্ষেত্রে তালিবানের পশ্চাদমুখী নীতির কুপ্রভাবকেই দর্শায়। অধিকাংশ নারীর অধিকার হৃত হওয়ার ফলে বর্তমানে অরক্ষিত গোষ্ঠীর কাছে খুব কম সম্পদই উপলব্ধ। এর ফলে ওয়াশ ইত্যাদির মতো অন্য ক্ষেত্রগুলিতে কাজের হার আনুপাতিকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

ইউএন থেকে আগত আধিকারিকরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমের অনুরোধ জানাতে সফল হলেও এই ঘটনা ত্রাণ বণ্টন ও প্রদানের ক্ষেত্রে তালিবানের পশ্চাদমুখী নীতির কুপ্রভাবকেই দর্শায়।

উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর কাছে ত্রাণ পৌঁছনোর বিষয়ে উদ্বেগ দাতাদের সিদ্ধান্তকেও প্রভাবিত করেছে। সম্প্রতি জেনেভায় আফগানিস্তান মিশনের আইনি উপদেষ্টা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে নিবন্ধন এবং তথ্য সরবরাহ করতে বলে এমিরেটকে ত্রাণ বিতরণে হস্তক্ষেপ করার বিষয়ে অভিযুক্ত করেন। তালিবানের সমর্থকদের বা হাওয়ালা পদ্ধতির অপব্যবহারকারী গোষ্ঠীর কাছে ত্রাণ সরানো সম্পর্কে নানা প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাঙ্কিং চ্যানেলের অনুপস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এমনকি প্রজাতন্ত্রের সময়েও রাজনৈতিক পুঁজি বাড়ানোর কাজে ত্রাণকে একটি সাধনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল এবং জাতিগততার মতো রাজনৈতিক কারণের ভিত্তিতে বিতরণ করা হয়েছিল। একটি আনুষ্ঠানিক স্থিতিশীল অর্থ প্রদানকারী শৃঙ্খলের অভাব, দ্য আফগানিস্তান ব্যাঙ্কের অচল অবস্থায়, পুঁজি নিয়ন্ত্রণ এবং নিষেধাজ্ঞার আওতায় কোনটা অনুমোদিত তা নিয়ে বিভ্রান্তি ত্রাণ প্রদানকারী সংস্থাগুলির ত্রাণ প্রদানের ক্ষমতাকে ব্যাহত করেছে। কারণ এ বিষয়ে কোনও স্থিতিশীল শৃঙ্খল নেই৷

তালিবানের অধীনে রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। আইইএ গত অর্থবর্ষে (২০২২ সালের ২২ মার্চ থেকে ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) ১৭৩.৯ বিলিয়ন এএফএন (১.৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) সংগ্রহ করলেও গোষ্ঠীটির ব্যয়ের ধরনগুলি ইতিবাচকভাবে প্রতিফলিত হয় না। তাদের বাজেটের একটি বড় অংশ নিরাপত্তা ও তার সহযোগী ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা হয়েছে এবং উন্নয়নমূলক উদ্যোগের ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ৮ শতাংশ। এভাবে কাবুলে ক্রমাগত ত্রাণের প্রবাহ গোষ্ঠীটিকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্ষেত্রগুলিতে তার রাজস্ব সংগ্রহের ব্যবহার চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে এবং মানব উন্নয়ন ও আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগকে শুধুমাত্র বহিরাগত সহায়তার ভরসাতেই রেখে দেওয়া হয়।

ত্রাণের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা

একটি দেশ যে ত্রাণ পায়, তা সাধারণত হয় মানবিক বা উন্নয়নমূলক। মানবিক ত্রাণ স্বল্পমেয়াদি সঙ্কটের সঙ্গে জড়িত, যেখানে উন্নয়নমূলক ত্রাণ ভবিষ্যতের সঙ্কট প্রতিরোধে সাহায্য করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পগুলির উপর বেশি মনোনিবেশ করে, প্রশাসনিক সংস্কার বা সক্ষমতা তৈরির উপর জোর দেয়। ২০২১ সালের অগস্ট মাস থেকে উন্নয়নমূলক ক্ষেত্রে ব্যয় করা ত্রাণের অনুপাত হ্রাস পেয়েছে এবং দাতারা বর্তমানে সর্বাধিক অরক্ষিতদের বাঁচানোর উপরেই জোর দিচ্ছেন। স্বল্পমেয়াদে এই ত্রাণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি দেশের অন্তর্নিহিত দুর্বলতাগুলির মোকাবিলা করে না। গত কয়েক বছর ধরে কাবুল যে ত্রাণ পেয়েছে, তার অনুপাত দেশটির অর্থনীতি এবং প্রতিষ্ঠান গঠনে সহায়ক হয়েছে। দেশটির কৌশলগত অবস্থানের কারণে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী এবং এই অঞ্চলের বাইরের দেশগুলি অন্যান্য দেশের তুলনায় নিজেদের কৌশলগত স্বার্থ সুরক্ষিত করার উদ্দেশ্যে ত্রাণের বিধান ব্যবহার করেছে। ‘গ্লোবাল জিওপলিটিক্যাল ফ্ল্যাশপয়েন্ট’-এ দ্রুত পরিবর্তনের ফলে তালিবানদের তাদের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আরও সুযোগ করে দেওয়ার পাশাপাশি এই বিষয়গুলিও বর্তমানে নিজস্ব পরিসর তৈরি করে নিয়েছে। নিজের বক্তব্যের শেষে মুত্তাকি সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, একটি দুর্বল তালিবান এই অঞ্চলকে নতুন এবং অপ্রত্যাশিত নিরাপত্তা, উদ্বাস্তু এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দেবে এবং তা শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরেই কেন্দ্রীভূত থাকবে না।

দেশটির কৌশলগত অবস্থানের কারণে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী এবং এই অঞ্চলের বাইরের দেশগুলি অন্যান্য দেশের তুলনায় নিজেদের কৌশলগত স্বার্থ সুরক্ষিত করার উদ্দেশ্যে ত্রাণের বিধান ব্যবহার করেছে।

একটি অভিন্ন পন্থা অবলম্বন করার জন্য ইউএন-এর নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ আফগানিস্তান প্রসঙ্গে দু’টি প্রস্তাব পাস করেন। প্রথমটি ইউএনএএমএ-র জনমতকে আরও এক বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করে। দ্বিতীয়টি সেক্রেটারি জেনারেলকে একটি মূল্যায়ন করা এবং আফগানিস্তানের প্রতি একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি বিকাশের জন্য ‘অগ্রগামীমূলক সুপারিশ’ করার আহ্বান জানায়। সদস্যদের একটি ঐকমত্যে পৌঁছনোর সাফল্য আনন্দের কারণ হলেও পরিস্থিতির উন্নতিতে তাদের উপযোগিতা সম্পর্কে সন্দেহ এখনও বিদ্যমান। পশ্চিমী দেশ, রাশিয়া এবং চিনের মধ্যকার সম্পর্ককে সংজ্ঞায়িত করে, এমন চ্যুতিরেখাগুলিকে প্রতিফলিত করে সদস্য রাষ্ট্রগুলি ব্যাখ্যা করে যে, এটিকে কীভাবে ‘মূল্যায়ন’ করা হবে বা কোন বিষয়গুলির উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত, তার ব্যাখ্যা তাৎপর্যপূর্ণ রকমের ভিন্ন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রাথমিকভাবে একটি মূল্যায়ন অনুমোদন করার কাজে অনীহা দর্শিয়েছে। কারণ এটি ইউএনএএমএ-র প্রবিধানকে খর্ব করার ইঙ্গিত দেবে। চিন ও রাশিয়ার তালিবানের সঙ্গে বৃহত্তর প্রশ্নে সম্পৃক্ত থাকার চাহিদাকেও দর্শিয়ে এই যুক্তিও দেখিয়েছিল যে, দেশটির সম্পদের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং বিশেষ করে একতরফা নিষেধাজ্ঞার মতো ‘সত্যিকারের’ সমস্যাগুলির সম্মুখীন হওয়া জরুরি।

আফগানিস্তানে ‘প্রাসঙ্গিক অংশীদার’ কারা এবং তারা দেশে বৈধ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তালিবানদের অন্তর্ভুক্ত করে কি না, তা একটি সুসংগত পদ্ধতি গঠনে সবচেয়ে বড় বাধা। তালিবানকে শক্তিশালী না করে কীভাবে আফগান জনগণকে সমর্থন জোগানো যায় তা নির্ধারণ করার কাজটিও প্রায় অসাধ্য। দেশগুলির দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতার পাশাপাশি এমিরেট-এর নিজস্ব নৃশংস প্রশাসন ব্যবস্থাকে সশক্ত করার জন্য বিভাজনের সুযোগ গ্রহণের সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেশগুলি একটি সফল মূল্যায়ন করতে সক্ষম হয় কি না এবং আফগানিস্তানের সমস্যা মোকাবিলায় কী কী সুপারিশ করতে পারে, সেটিই দেখার। ত্রাণ বিতরণের গতিপথও প্রশাসনের ভবিষ্যৎ নীতিনির্দেশের উপর নির্ভর করবে এবং দেশটির জীবনের অন্য দিকগুলির উপর স্পষ্টতই তার প্রভাব পড়বে। এটিকে ‘বিকল্পের বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করে নরওয়েজিয়ান শরণার্থী কাউন্সিল সতর্ক করেছে যে, এ বছরে ত্রাণের প্রয়োজনীয়তা পূরণের ব্যর্থতা আগামী বছরের চাহিদাকে প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করবে। এ হেন পরিস্থিতি এড়াতে দাতা দেশগুলিকে অবিলম্বে মানবিক আবেদনে সাড়া দিতে হবে এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির সঙ্গে একজোট হয়ে ঝুঁকি ভাগ করে নেওয়ার পন্থাও তৈরি করতে হবে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.