Author : Siddharth Yadav

Published on Apr 03, 2025 Updated 0 Hours ago

ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এআই সুরক্ষা বা এআই নিরাপত্তার মধ্যে একটি বেছে নেওয়া এআই ভবিষ্যৎ শাসনের জন্য দ্রুত একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠছে।

এআই নিরাপত্তা সংকটের মুখে: মার্কিন-চিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে

এই প্রবন্ধটি ‘রাইসিনা এডিট ২০২৫’ সিরিজের অংশ



২০২৫ সালের প্যারিস এআই অ্যাকশন সামিট (পিএআইএএস)-এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স
বলেন, “সুরক্ষা নিয়ে হাত মেলালে এআই ভবিষ্যৎ জেতা যাবে না।” তাঁর মন্তব্য তিনটি বাস্তবতা তুলে ধরে: প্রথমত, ভবিষ্যতের জন্য এআই  একটি সংজ্ঞায়িত প্রযুক্তি হবে; দ্বিতীয়ত, এআই দৌড়ে বিজয়ী এবং পরাজিত উভয়ই থাকবে; তৃতীয়ত, নিয়ন্ত্রক পদ্ধতি নির্ধারণ করবে যে কোনও দেশ এআই-এর রূপান্তরকারী শক্তিকে পুঁজি করতে পারবে কিনা। মানবতার ভবিষ্যতের জন্য এআই-এর তাৎপর্য ক্রমেই প্রযুক্তি ও ভূ-রাজনৈতিক মহলে একটি জ্ঞাত সত্য হয়ে উঠেছে, এবং শিল্প নেতারা ভবিষ্যদ্বাণী করছেন যে মানবতা হয় ‘‌বুদ্ধিমান যুগ’‌-‌এর সূচনালগ্নে দাঁড়িয়ে আছে, অথবা ‘‌মানব জাতির বিলুপ্তির দৌড়ে’‌ নেমেছে। সরকারগুলি এই বাস্তবতার সঙ্গে লড়াই করছে যে, পরিণতি যাই হোক না কেন, অত্যাধুনিক এআই গবেষণা ও উদ্ভাবন মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনে কেন্দ্রীভূত। প্রকৃতপক্ষে, এআই প্রতিযোগিতায় একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য ওয়াশিংটন ও বেজিং উভয়েরই ‘‌একের লাভ অন্যের ক্ষতি’‌ (‌জিরো সাম)‌ কৌশল যৌথ প্রচেষ্টার সুযোগকে ক্রমশ প্রান্তিক করে তুলছে বলে মনে হচ্ছে।



সরকারগুলি এই বাস্তবতার সঙ্গে লড়াই করছে যে, পরিণতি যাই হোক না কেন, অত্যাধুনিক এআই গবেষণা ও উদ্ভাবন মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনে কেন্দ্রীভূত।



তার উপর, এআই প্রতিযোগিতায় জয়ের লক্ষ্য দায়িত্বশীল উদ্ভাবন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রতি প্রতিশ্রুতিকে, বিশেষ করে নেতৃস্থানীয় এআই শক্তিগুলির মধ্যে, ছাপিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এআই নীতি তিন-‌বাহুবিশিষ্ট — গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) খাতে বিদ্যমান আয়তনের সুবিধা, এআই শক্তি হিসাবে বিশ্ব নেতৃত্বের জন্য প্রচেষ্টার ভূ-রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা, এবং দেশে নিয়ন্ত্রণহীন নীতির দিকে পরিবর্তন — এবং এই নীতি বিশ্বব্যাপী এআই শাসন-‌তত্ত্বের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিভাজন তৈরি করেছে। এই বিভাজনের মূল ভিত্তি হল দুটি আন্তঃসম্পর্কিত নিয়ন্ত্রক বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য: এআই সুরক্ষা (‌সেফটি)‌ এবং এআই নিরাপত্তা (‌সিকিউরিটি)‌। এই গবেষণাপত্রটি বিশ্বব্যাপী সরকারগুলির ক্রমবর্ধমান নিয়ন্ত্রক পদ্ধতির জন্য দুটি ধারণা কীভাবে প্রাসঙ্গিক তা অন্বেষণ করবে।

এআই সুরক্ষা বনাম এআই নিরাপত্তা

শব্দের সংজ্ঞা: এআই সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার মধ্যে পার্থক্য করা শব্দার্থবিদ্যার একটি অনুশীলন বলে মনে হতে পারে, তবে এটি এআই নিয়ন্ত্রণের নীতিগত পদ্ধতির সংজ্ঞায়ন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উভয়ের মধ্যে মূল পার্থক্য হল তারা কীভাবে নিয়ন্ত্রক উদ্বেগের বিষয় হিসাবে ঝুঁকির উদ্দেশ্য এবং উৎপত্তিকে বিবেচনা করে। এআই সুরক্ষার একটি নৈতিক মাত্রা রয়েছে এবং এটি সিস্টেমের জীবনচক্রের সময় উদ্ভূত
অনিচ্ছাকৃত পরিণতি হ্রাস করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যা নিরাপদ এবং বিকাশকারীদের লক্ষ্য ও নিয়ন্ত্রক মানগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একটি সুরক্ষা দৃষ্টিভঙ্গি এআই সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ ঝুঁকির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যেমন পক্ষপাতদুষ্ট প্রশিক্ষণ ডেটা, পক্ষপাতদুষ্ট অ্যালগরিদম, এবং একটি এআই সিস্টেমের উদ্দেশ্যমূলক ব্যবহার বা সিস্টেমের প্রকৃত আউটপুটের মধ্যে ভুল সমন্বয়। বিপরীতে, এআই নিরাপত্তার মধ্যে বাহ্যিক হুমকি থেকে সিস্টেম, তাদের উপাদান এবং নির্ভরশীল সিস্টেমের অখণ্ডতা রক্ষা করা জড়িত। নিরাপত্তার উপর একটি নিয়ন্ত্রক ফোকাস এআই সিস্টেমগুলিকে শোষণ বা অপব্যবহার করতে চায় এমন হুমকি শনাক্ত করার উপর জোর দেবে। একটি আদর্শ পদ্ধতির মধ্যে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা উভয়কেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। তবে, সুরক্ষার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে নির্দেশিকা ও কাঠামো তৈরির জন্য অংশীদারদের সঙ্গে বছরের পর বছর পরামর্শের প্রয়োজন হতে পারে, যেমন ২০২৪ ইইউ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন (এআইএ)। অন্যদিকে নিরাপত্তার প্রশ্নে নিয়ন্ত্রক সুবিধা দ্রুত অর্জিত হতে পারে, কারণ বিদ্যমান সাইবার নিরাপত্তা কাঠামো ও ডেটা সুরক্ষা বিধিমালা প্রয়োগের মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদে এটি অর্জন করা সম্ভব।



এআই সুরক্ষার একটি নৈতিক মাত্রা রয়েছে এবং এটি সিস্টেমের জীবনচক্রের সময় উদ্ভূত অনিচ্ছাকৃত পরিণতি হ্রাস করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যা নিরাপদ এবং বিকাশকারীদের লক্ষ্য ও নিয়ন্ত্রক মানগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।



একটি দুর্বৃত্ত অ্যাংলো-স্ফিয়ার: সরকারগুলি তাদের কৌশলগত অভিমুখ নির্ধারণের জন্য হয় সুরক্ষা অথবা নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে শুরু করেছে। উদাহরণস্বরূপ,
যুক্তরাজ্য (ইউকে) ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দুটি দেশ যারা পিএআইএএস এআই অঙ্গীকারে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত ছিল, তারা নিরাপত্তাপন্থী হিসাবে তাদের অবস্থান তুলে ধরেছে। শীর্ষ সম্মেলনের আগে, যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞান, শিল্প ও প্রযুক্তি বিভাগ (ডিএসআইটি) তাদের এআই সেফটি ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে 'এআই সিকিউরিটি ইনস্টিটিউট' (এএসআই) ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌করে দেয়। ২০২৫ সালের মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে, যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তি সচিব পিটার কাইল বলেছিলেন ‘‌এআই বিপ্লবের’‌ বিকাশের জন্য নিয়ন্ত্রক পুনর্বিন্যাস প্রয়োজন, এবং নতুন এএসআই ‘‌কোনটিকে পক্ষপাত বা বৈষম্য হিসেবে গণ্য করা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে না’‌। পরিবর্তে, প্রতিষ্ঠানটি বহিরাগত হুমকি হ্রাস এবং এআই সিস্টেমগুলি খতিয়ে দেখার উপর মনোনিবেশ করবে, তা তারা যে কোনও এক্তিয়ার থেকেই এসে থাকুক না কেন।


আটলান্টিকের ওপারে, বাইডেন প্রশাসনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত মার্কিন এআই সেফটি ইনস্টিটিউটের পরিচালক এলিজাবেথ কেলি
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এআই-এর উপর নির্বাহী আদেশ প্রকাশের পর পদত্যাগ করেছেন, যা বাইডেন-যুগের  সুরক্ষাপন্থী দেশীয় নীতির সমাপ্তি চিহ্নিত করেছে। ভূ-অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, ‘‌আমেরিকার বিশ্বব্যাপী এআই আধিপত্য’‌ প্রচারের জন্য তৈরি এআই সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশটি একটি নিরাপত্তাপন্থী পরিবর্তনের প্রতীক। আন্তর্জাতিকভাবে, এই পরিবর্তন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে শুল্ক যুদ্ধ এবং উন্নত মার্কিন এআই চিপগুলির জন্য বিদ্যমান রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের সন্দেহজনক সাফল্যের প্রেক্ষিতে চিনা সরবরাহ শৃঙ্খলকে আরও বিচ্ছিন্ন করার জন্য কঠোর বিধিনিষেধের দিকে নিয়ে যেতে পারে। সিঙ্গাপুরের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটন তদন্ত করছে, কারণ অভিযোগ উঠেছে যে ডিপসিক দ্বীপরাষ্ট্রটির মাধ্যমে এনভিডিয়া চিপস অর্জন করে মার্কিন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এআই নিরাপত্তার উপর জোর দেওয়ার ফলে প্রযুক্তি বিস্তারে শুল্ক-‌বহির্ভূত বাণিজ্য বাধা দেখা দিতে পারে, যেমনটি পশ্চিমীদের চিনের ডিপসিক আর১ এআই মডেল নিষিদ্ধ করার আহ্বান থেকে প্রমাণিত হয়েছে। নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে এই আহ্বান জানানো হলেও মডেলটি স্থানীয়ভাবে চালানো যেতে পারে (তথ্যের আন্তঃসীমান্ত স্থানান্তর রোধ করে), কম সম্পদ-নিবিড় এবং পশ্চিমী মডেলগুলির তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম দামের।



এআইএ-এর জন্য নীতিগত নির্দেশিকা তৈরির সঙ্গে জড়িত নীতিবিদরা এই নিয়ন্ত্রণকে জনসাধারণের উদ্বেগ কমাতে এবং ইউরোপীয় বাজারে এআই গ্রহণকে ত্বরান্বিত করার জন্য ‘‌নীতিশাস্ত্র-ধোলাই’‌য়ের (‌এথিক্স-‌ওয়াশিং)‌ একটি গোপন প্রচেষ্টা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।



অনিশ্চিত ইইউ:
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুরক্ষা-ঝুঁকি-ভিত্তিক ইইউ এআইএ-এর প্রথম সম্মতির সময়সীমা কার্যকর হওয়ার সময়েই ইইউ-‌তে সুরক্ষা-নিরাপত্তা দ্বন্দ্বের গতিশীলতাও জোরদার হয়ে উঠছে। এআইএ-এর জন্য নীতিগত নির্দেশিকা তৈরির সঙ্গে জড়িত নীতিবিদরা এই নিয়ন্ত্রণকে জনসাধারণের উদ্বেগ কমাতে এবং ইউরোপীয় বাজারে এআই গ্রহণকে ত্বরান্বিত করার জন্য ‘‌নীতিশাস্ত্র-ধোলাই’‌য়ের (‌এথিক্স-‌ওয়াশিং)‌ একটি গোপন প্রচেষ্টা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। এআই উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ডেভেলপারদের জন্য নিয়ন্ত্রক বোঝা হ্রাস করার জন্য ‌পিএআইএএস-এর সময় ইউরোপীয় নেতাদের ঘোষণাগুলি কারও কারও কাছে এই সমালোচনার পক্ষে বিশ্বাসযোগ্যতা জোগাতে পারে। ২০১৬ সালের জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন (জিডিপিআর)-‌এর মতো পূর্ববর্তী নিয়মগুলি অন্যান্য বিচারব্যবস্থার জন্য নীতিগত উদাহরণ হয়ে উঠেছে, যা ইইউ-‌কে প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে অগ্রণী অবস্থান নিশ্চিত করার সুযোগ দেয়। একইভাবে, ইইউ এআই-এর মতো একটি অগ্রণী নিয়ন্ত্রণেরও এআই শাসনের জন্য বিশ্বব্যাপী মান নির্ধারণের সম্ভাবনা রয়েছে। এআইএ-এর পরবর্তী পুনরাবৃত্তিগুলি নিয়ন্ত্রণের মূল কাঠামো ধরে রাখবে, না কি অভ্যন্তরীণ ঝুঁকির কারণগুলির চেয়ে বাহ্যিক হুমকিকে অগ্রাধিকার দেবে, সেই সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী পরিণতিমূলক প্রমাণিত হবে।


পদ্ধতিগত ঝুঁকি ও বিশ্বব্যাপী খণ্ডন

এআইএ প্রতিযোগিতায় নেতৃত্বদানকারী দেশগুলি যখন এআই সুরক্ষা বনাম নিরাপত্তার উপর বাজি ধরছে, তখন বিশ্বব্যাপী এআই শাসনব্যবস্থার ফলে বিভাজন দুটি মূল ক্ষেত্রকেও প্রভাবিত করবে: শ্রম বাজার এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক
গিলবার্ট হৌংবোর মতে, জে ডি ভ্যান্সের মতো নেতারা আশাবাদীভাবে কর্মের স্থানচ্যুতির দিকে খুব বেশি মনোযোগ না দিয়ে উৎপাদনশীলতা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এআই-এর অবদান রাখার সম্ভাবনার পক্ষে যুক্তি দেন, যা একটি অনিবার্য ঘটনা। পিএআইএএস-এর জন্য প্রস্তুত ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক এআই সুরক্ষা (আইএএস) প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, বর্তমান সাধারণ-উদ্দেশ্য এআই ব্যবস্থা উন্নত অর্থনীতির ৬০ শতাংশ এবং উদীয়মান বাজারের ৪০ শতাংশ চাকরির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।



এআই দৌড়ে অগ্রণী দেশগুলিতে নিয়ন্ত্রক দক্ষতা অর্জনের জন্য স্থিতিশীলতা নীতিগুলির প্রতি ক্ষীণ সমর্থন উদীয়মান খেলোয়াড়দের জন্যও একটি মডেল হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।



পরিবেশগত স্থিতিশীলতা লক্ষ্যমাত্রার জন্য
এআই উন্নয়ন একটি দ্রুত বেড়ে চলা সমস্যা, এবং গ্রিনহাউস গ্যাস (জিএইচজি) নির্গমনে এর অবদান আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত স্কেলিং আইনগুলি বহাল থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এআই উন্নয়নের জন্য বৃহত্তর ডেটা সেন্টার বা আরও বিস্তৃত পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ জড়িত থাকবে, যা সম্পদের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে আনুপাতিকভাবে পরিবেশগত প্রভাব বৃদ্ধি করবে। উদাহরণস্বরূপ, মাইক্রোসফট ২০২০ সালে দশকের শেষ নাগাদ কার্বন-নেতিবাচক হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু, এআই উন্নয়নে বিনিয়োগের কারণে  ২০২৩ সালের মধ্যে এর কার্বন নির্গমন ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এআই দৌড়ে অগ্রণী দেশগুলিতে নিয়ন্ত্রক দক্ষতা অর্জনের জন্য স্থিতিশীলতা নীতিগুলির প্রতি ক্ষীণ সমর্থন উদীয়মান খেলোয়াড়দের জন্যও একটি মডেল হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী এআই শাসনের ভূদৃশ্যের পুনর্নির্মাণ কিছু পদ্ধতিগত ঝুঁকি উপস্থাপন করে এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলিকে উত্তরহীন করে রাখে। পশ্চিমী দেশগুলির সরকারেরা সহযোগিতামূলক সম্পর্ক থেকে প্রতিযোগিতামূলকতার দিকে সরে যাওয়ার পর দায়িত্বশীল এআই উন্নয়নের প্রচারের জন্য স্বাক্ষরিত ঘোষণা ও প্রতিশ্রুতিগুলির কতটুকু অবশিষ্ট থাকবে? এআই বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপের মুখে এমওইউ এবং পিএআইএএস প্লেজ-এর মতো ‘‌প্রতিশ্রুতি’‌ কতটা কার্যকর হবে? এই ধরনের খোলামেলা প্রশ্ন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বক্তব্যকে জোরদার করে:‌ ‘‌‘‌আমরা কি ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত?‌ উত্তর সহজ:‌ না।’‌’‌

 


সিদ্ধার্থ যাদব ওআরএফ মিডল ইস্ট-‌এর প্রযুক্তি বিভাগের ফেলো

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.