Author : Shivam Shekhawat

Published on Feb 01, 2024 Updated 0 Hours ago

আফগানিস্তানে পরপর ভূমিকম্পের পর তহবিলের জন্য আবেদনের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া ক্ষীণ ছিল

আফগানিস্তানের সহায়তা প্রয়োজন: একটি বিধ্বংসী ভূমিকম্প এবং তার পরবর্তী ধাক্কা

৭ অক্টোবর আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ১১ এবং ১৫ অক্টোবর আরও দুটি উচ্চ তীব্রতার কম্পন সহ এক সপ্তাহ ধরে একাধিক আফটারশক ও ভূমিকম্প হয়েছিল। দেশের অভ্যন্তরে ইতিমধ্যেই ভয়াবহ পরিস্থিতিকে ভূমিকম্পগুলি আরও জটিল করে, গ্রামগুলিকে ধ্বংস করে দেয় এবং ১.৬ মিলিয়ন মানুষকে প্রভাবিত করে। ১,১৪,০০০ জনের জরুরি সহায়তার প্রয়োজন পড়ে৷ ইউএন অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অফ হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ইউএনওসিএইচএ) এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা  হেরাত ভূমিকম্প প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ৯৩.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের যৌথ অর্থায়নের আবেদন করেছিল। যাই হোক, ২০২২–এ অর্থায়নের জন্য আবেদনের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া হ্রাস পেয়েছিল, এবং ভূমিকম্পের পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা সংস্থাগুলির ক্ষমতার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছিল।


দেশের অভ্যন্তরে ইতিমধ্যেই ভয়াবহ পরিস্থিতিকে ভূমিকম্পগুলি আরও জটিল করে, গ্রামগুলিকে ধ্বংস করে দেয় এবং ১.৬ মিলিয়ন মানুষকে প্রভাবিত করে। ১,১৪,০০০ জনের জরুরি সহায়তার প্রয়োজন পড়ে৷



কম্পনের এক সপ্তাহ

এসিএইচএ–র অনুমান অনুসারে, সমস্ত কম্পন এবং আফটারশকের ক্রমবর্ধমান প্রভাবে প্রায় ১,৫০০ জন মারা গিয়েছেন, প্রায় ২,০০০ লোক আহত হয়েছেন এবং ২১,৫০০ টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৯৩.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল আবেদনের লক্ষ্য ছিল শীতকালীন সময়ে (অক্টোবর ২০২৩–মার্চ ২০২৪) ১,১৪,০০০ মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করা। বাড়িঘর ছাড়াও ভূমিকম্পের ফলে অনেক স্বাস্থ্য পরিষেবাকেন্দ্র, স্কুল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছিল। পরিবারগুলি খোলা জায়গায় চলে গিয়েছিল অবশিষ্ট আফটারশক থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, আর অনেকেই অন্য অঞ্চলে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। হেরাত শহরটি একটি তাঁবুর শহরের মতো হয়ে যায়, যেখানে মানুষ অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নিচ্ছিলেন, কারণ তাঁদের মাটির ঘর ভেঙে গেছে। পরিবারগুলি প্রদেশ জুড়ে গণ–দাফন অনুষ্ঠানে তাদের মৃতদের কবর দেয়।
ওসিএইচএ অনুসারে প্রদেশের প্রায় ৫০০টি গ্রামের মধ্যে ২৮৯টি গুরুতর বা মাঝারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ভূমিকম্পটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হেরাতের একাধিক ঐতিহাসিক স্থানকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার মধ্যে আছে দুর্গ, মোসাল্লা কমপ্লেক্স ও মহান মসজিদে ফাটল ও ক্ষয়ক্ষতি। এগুলির ধ্বংস হয়ে যাওয়া দেশ এবং এর জনগণের সাংস্কৃতিক পরিচয় এবং সম্মিলিত স্মৃতির জন্য একটি ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা তালিবানের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে ইতিমধ্যেই হুমকির মধ্যে রয়েছে।


হেরাত শহরটি  একটি তাঁবুর শহরের মতো হয়ে যায়, যেখানে মানুষ অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নিচ্ছিলেন, কারণ তাদের মাটির ঘর ভেঙে গেছে। পরিবারগুলি প্রদেশ জুড়ে গণ–দাফন অনুষ্ঠানে তাদের মৃতদের কবর দেয়।


ভূমিকম্পের ফলে যাঁরা মারা গিয়েছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের অধিকাংশই,
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ৯০ শতাংশ, ছিলেন নারী ও শিশু। ১৭ অক্টোবরের প্রথম ধাক্কাটি ছিল দিনের প্রথম প্রহরে যখন বেশিরভাগ পুরুষ মাঠে বা সীমান্তের ওপারে কাজের জন্য বেরিয়েছিলেন, আর বেশিরভাগ মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধ বাড়ির ভিতরে ছিলেন। কিন্তু নারীদের উপর অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রভাবও একটি প্রমাণ যে কীভাবে নারীদের প্রতি তালিবানের বিধিনিষেধমূলক নীতি সংকটের সময়ে তাঁদের প্রভাবিত করে। ভূমিকম্পের প্রস্তুতি সম্পর্কে তথ্য জানার সুযোগের অভাব তাঁদের কম্পনে সাড়া দেওয়ার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করতে পারে। ভূমিকম্পের পর তালিবানের মুখপাত্র সাহায্য সমন্বয়ের জন্য একটি কমিশন গঠনের কথা ঘোষণা করেন। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রক মৃতের সংখ্যা ২,৪৪৫ বলে অনুমান করেছিল। অবশেষে সংখ্যাটি প্রায় ১,০০০–এ নামিয়ে আনা হয়, যা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির অনুমানের কাছাকাছি। মুখপাত্রের মতে, কমিশন গঠন করা হয়েছিল যাতে সাহায্য অন্য দিকে না যায় এবং এর বিতরণে কোনও দুর্নীতি না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য। আমিরশাহি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসা এবং সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছিল। যদিও গোষ্ঠীটি নিশ্চিত করেছে যে দুর্যোগে তাদের প্রতিক্রিয়া দ্রুত এবং দক্ষ ছিল, সেখানে সম্প্রদায় এবং মানুষের সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বিলম্বের খবর পাওয়া গিয়েছিল। আমিরশাহির মুখপাত্র সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স–এ পোস্ট করেছিলেন যে তাঁরা ভূমিকম্প–পীড়িত এলাকায় মানসম্পন্ন বাড়ি তৈরি করা শুরু করেছেন, এবং শীতের মরসুম শুরুর আগে সেগুলি শেষ করতে চান। অর্থনৈতিক বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত উপ–প্রধানমন্ত্রীও একটি প্রতিনিধিদল–সহ প্রদেশটি পরিদর্শন করেছিলেন সাহায্য বিতরণ তদারকি করতে।


এক কঠোর শীতের শুরুতে আবাসন ও আশ্রয়ের সমস্যাটি মোকাবিলা করার জন্য একটি দ্রুত ও দক্ষ প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজন ছিল, কারণ তাঁবুগুলি আবহাওয়া ও স্বাস্থ্য–সম্পর্কিত বিপদগুলির ঝুঁকি যুক্ত করে।


দুর্যোগ–পরবর্তী সাহায্য বিতরণ প্রক্রিয়া অগণিত সমস্যার সম্মুখীন হয়। যদিও ভূমিকম্পের কারণে সংযোগ এবং যোগাযোগ নেটওয়ার্কগুলি বিরূপভাবে প্রভাবিত হয়েছিল, শীতের মরসুম ঘনিয়ে আসার সঙ্গেসঙ্গে
ত্রাণ সরবরাহের জন্য সরবরাহের পথগুলিও দুর্গম হয়ে উঠতে থাকে। এক কঠোর শীতের শুরুতে আবাসন ও আশ্রয়ের সমস্যাটি মোকাবিলা করার জন্য একটি দ্রুত ও দক্ষ প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজন ছিল, কারণ তাঁবুগুলি আবহাওয়া ও স্বাস্থ্য–সম্পর্কিত বিপদগুলির ঝুঁকি যুক্ত করে।

ভূমিকম্পে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া যথেষ্ট নয়

কাবুলের পতনের দুই বছর পরে আফগানিস্তানের মানবিক পরিস্থিতি এখনও বিপর্যয়কর। ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির মতে, মানবিক সাহায্যে ঘাটতির ফলে অর্থনীতির পতন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গেসঙ্গে
অভাবী মানুষের সংখ্যা ৬০ শতাংশ বেড়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবিক প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত প্রয়োজনীয় তহবিলের মাত্র ২৩ শতাংশ পেয়েছিল, যা তার আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪০ শতাংশ। তালিবান আফগান নারীদের রাষ্ট্রপুঞ্জ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক এনজিওতে কাজ করা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তহবিলের ব্যবধান বেড়ে যায়।


ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের চাহিদা পূরণের জন্য, সাহায্য সংস্থাগুলি সংস্থানগুলিও পুনঃনির্দেশিত করেছে, এবং ইউএনডিপি ভূমিকম্প ত্রাণের জন্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পুনঃপ্রয়োগ করেছে।

 
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের প্রায় এক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর কিছু দেশ থেকে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ১২ অক্টোবর মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি আফগান জনগণকে নিরাপদ পানীয় জল, জরুরি আশ্রয়ের কিট, রান্নার উপকরণ, কম্বল ইত্যাদি পেতে সহায়তা করার জন্য
ইউএসএড–এর মাধ্যমে ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তাৎক্ষণিক সহায়তা ঘোষণা করেন। আগস্ট ২০২১ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১২ মিলিয়ন ডলার সাহায্য করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিলেও এই বছরের শুরুতে এ কথা স্বীকার করেছিল যে আর্থিক কারণ এবং অন্যান্য স্থানে সংকট মোকাবিলার প্রয়োজনে মানবিক অবদান কম হতে পারে। আফগানিস্তান হিউম্যানেটারিয়ান ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৩.৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমিরশাহির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগে অনুষ্ঠিত একটি হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চিন ৪.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের জরুরি মানবিক সহায়তাও পাঠিয়েছে। ব্রিটেন, ইরান, সৌদি আরব, তুর্কিয়ে, কাজাখস্তান ও তাজিকিস্তান, সকলেই তহবিল প্রতিশ্রুতি ও ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। ওসিএইচএ অনুযায়ী, ৯৩.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চাহিদার প্রেক্ষিতে দ্বিপাক্ষিক দাতা ও সমন্বিত তহবিল যথাক্রমে ১৫.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিশ্চিত করেছে, কিন্তু ব্যবধান এখনও রয়ে গেছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের চাহিদা পূরণের জন্য সাহায্য সংস্থাগুলি সংস্থান পুনঃনির্দেশিত করেছে, এবং ইউএনডিপি ভূমিকম্প ত্রাণের জন্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নতুন উদ্দেশ্যে ব্যয়ের কথা জানিয়েছে। যদিও এটি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের চাহিদা পূরণে সাহায্য করবে, তবে অন্যান্য এলাকা এবং সম্প্রদায় থেকে তাদের বিমুখতাও উদ্বেগের কারণ। আফগানিস্তানে সাহায্যের বণ্টন সবসময়ই দুর্নীতি এবং বিমুখতার জন্য সংবেদনশীল ছিল, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ মোকাবিলায় তালিবানের উদাসীনতা বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে। যেহেতু কোনও দেশই আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরশাহিকে যথাযথ স্বীকৃতি দেয়নি, তাই তালিবান শাসনকে কোনও রকম বৈধতা না–দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকার পাশাপাশি আফগান জনগণের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য দেশগুলিকে একটি ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়েছে। গ্রুপটি সাহায্য বিতরণ এবং বরাদ্দের উপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টা করেছে, এনজিওগুলির উপর কঠোর নির্দেশ দিয়েছে এবং প্রতিটি সাহায্য প্রকল্পের জন্য সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রক্রিয়াটিকে জটিল করে তুলেছে। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে হেরাতে প্রবেশের সমস্যা দেখা দেওয়ায় মানবিক কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাতের বিষয়ে রিপোর্ট এসেছে যে, পাঁচটি প্রদেশে সাহায্যে হস্তক্ষেপ দেখা গেছে। ইউএনএসসি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে মানবিক সহায়তা বিতরণে হস্তক্ষেপের ২৯৯টি ঘটনা ঘটেছে। এই কারণগুলি প্রকৃতপক্ষে অভাবী মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছনোর সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায়। কিন্তু এই উদ্বেগগুলি সত্ত্বেও, দেশগুলি বিশেষ এজেন্সিগুলির সঙ্গে কাজ করার উপায় তৈরি করার চেষ্টা করেছে, যাতে সাহায্যটি অভীষ্ট সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছয়।


হেরাতের আফগানরা যখন তাদের জীবন পুনর্গঠনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে, তখন এটা বোঝা কঠিন যে কেন নয়াদিল্লি এমন একটি বিধ্বংসী প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরেও তাদের প্রতি সমর্থনের হাত বাড়ায়নি।

ভারত সর্বদাই প্রথম প্রতিক্রিয়াদাতা হিসেবে আফগান জনগণের কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগস্ট ২০২১ সাল থেকে, এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ইত্যাদির মাধ্যমে গম, ওষুধ ও কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ করে অবিচলভাবে আফগানদের সমর্থন করেছে। নতুন দিল্লির তখন থেকে কাবুলে একটি কার্যকরী প্রযুক্তিগত মিশন রয়েছে। গত বছরের জুনে সাহায্য ও সহায়তা কার্যকরভাবে বিতরণের সুবিধার্থে হেরাতে আফগানরা যখন তাদের জীবন পুনর্গঠনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে, তখন এ কথা বোঝা কঠিন যে কেন নয়াদিল্লি এই ধরনের বিধ্বংসী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরেও শুরুতেই তাদের প্রতি সমর্থনের হাত বাড়ায়নি। যেহেতু দেশটি একটি কঠোর শীতের কবলে চলে যাচ্ছে, আফগান জনগণের চাহিদা আগামী মাসগুলিতে আরও বৃদ্ধি পাবে। হেরাতের দূরবর্তী অবস্থান, পূর্ববিদ্যমান মানবিক উদ্বেগ এবং আফগানিস্তানের সংকটের প্রতি বৈশ্বিক মনোযোগের অভাবের কারণে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হতে সময় লাগবে, যা নয়াদিল্লি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আফগান জনগণের জন্য সমর্থন বৃদ্ধি করা অপরিহার্য করে তুলবে।



শিবম শেখাওয়াত অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের একজন জুনিয়র ফেলো

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.