Published on Apr 23, 2024 Updated 0 Hours ago

কপ২৮ প্রত্যেক অংশীদারকে কিছু দিতে চেয়েছে, কিন্তু বিশ্বের জন্য যথেষ্ট দেয়নি

কপ২৮: কপ-কে কি ছিনতাই করা হয়েছিল?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ২০০৭ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের সহ-প্রাপক (জলবায়ু পরিবর্তনের আন্তঃসরকারি প্যানেলের [আইপিসিসি] সঙ্গে) আল গোর মন্তব্য করেছেন যে, কনফারেন্স অফ পার্টিজ (কপ২৮)–এর ২৮ তম সভায় সভাপতি হিসাবে এমন একটি সংস্থার প্রধানকে নিয়োগ করা হয়েছে যেটি কি না সর্ববৃহৎগুলির একটি এবং, আল গোরের ভাষায়, "সর্বনিম্ন দায়িত্বশীল সংস্থা", এবং এই নিয়োগ ছিল জনসাধারণের আস্থার অপব্যবহার। কপ ২৮-এর প্রেসিডেন্ট সুলতান আল-জাবের আবু ধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (‌এডিএনওসি) -‌র প্রধান হিসাবেও কাজ করছেন, এবং ঘোষণা করেছেন যে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (ইউএই) এই দশকে তেল ও গ্যাসের উৎপাদন দ্বিগুণ করবে। মিডিয়া রিপোর্টগুলি ইঙ্গিত করে যে শতাধিক মার্কিন আইনপ্রণেতা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট সদস্য তাঁর অপসারণের আহ্বান জানিয়েছিলেন। গার্ডিয়ানের মতে, কমপক্ষে ১৬৬ জন জলবায়ু "অস্বীকারকারী" এবং জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্ট কপ২৮-এ অংশ নিয়েছিলেন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি কপ২৮–এর পর্দার আড়ালে গোপনে তেল ও গ্যাস ডিল চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা করেছে বলে খবরের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রাক্তন জলবায়ু প্রধান ক্রিশ্চিয়ানা ফিগুয়েরেস বলেন যে কপ ২৮ প্রেসিডেন্সি "হাতেনাতে ধরা পড়ে গিয়েছে" এবং "(‌এখন থেকে)‌ আগে কখনও যেভাবে হয়নি সেভাবে গণ-‌নজরদারির মধ্যে থাকবে"। এই সবের অর্থ কি এই যে কপ২৮-‌কে তেল ও গ্যাস শিল্প এবং তাদের সমর্থনকারী লবিগুলি ছিনতাই করেছিল?


ফলাফল পর্যালোচনা

সম্মেলনের প্রথম দিনের 
৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি তহবিলের প্রতিশ্রুতিসহ গোড়ার দিকের হানি ও ক্ষয়ক্ষতি তহবিল (‌লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড)‌ এবং তহবিল ব্যবস্থার প্রাথমিক মৌলিক সিদ্ধান্ত বেশিরভাগ অংশীদার ভালভাবে গ্রহণ করেছিলেন। ব্যতিক্রম ছিলেন তাঁরা, যাঁরা জানতেন যে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার তাৎপর্য খুব কম যদি প্রতিশ্রুত তহবিল না-‌পাওয়া যায়। প্রতিশ্রুত সমষ্টি প্রয়োজনীয় ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাত্র ০.১ শতাংশ। উদ্বেগের আরেকটি বিষয় হল বিশ্ব ব্যাঙ্ক ২৪ শতাংশ সমঝোতার ফি নিয়ে তহবিল পরিচালনা করবে, যার অর্থ প্রতিশ্রুত চার ডলারের মধ্যে এক ডলার যাদের প্রয়োজন সেই দেশগুলিতে কখনই পৌঁছবে না। ছয়টি দেশ সবুজ জলবায়ু তহবিলে (জিসিএফ) নতুন অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এবং তার ফলে ৩১টি দেশ থেকে মোট অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই আর্থিক প্রতিশ্রুতি উন্নয়নশীল দেশগুলির পরিচ্ছন্ন শক্তিতে রূপান্তর এবং জাতীয় জলবায়ু পরিকল্পনা ও অভিযোজন প্রচেষ্টা বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় ট্রিলিয়ন ডলারের চেয়ে অনেক কম। অতিরিক্ত তহবিল সরবরাহের জন্য গ্লোবাল স্টকটেক (জিএসটি) বহুপাক্ষিক আর্থিক স্থাপত্যের সংস্কার এবং অর্থের নতুন ও উদ্ভাবনী উৎসগুলির চলতি প্রতিষ্ঠাকে ত্বরান্বিত করার গুরুত্বের উপর জোর দেয়। জিএসটি-‌কে কপ২৮-এর কেন্দ্রীয় ফলাফল হিসাবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এতে আলোচনার অধীনে থাকা প্রতিটি উপাদান রয়েছে। দেশগুলি এখন এটিকে ২০২৫ সালের মধ্যে শক্তিশালী জলবায়ু কর্ম-‌পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য ব্যবহার করতে পারে। উন্নয়নশীল দেশগুলির চাহিদা ও অগ্রাধিকার বিবেচনা করে ২০২৪ সালে 'জলবায়ু অর্থায়নের নতুন যৌথ পরিমাপমূলক লক্ষ্য' নির্ধারণ সম্পর্কিত আলোচনায় দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হচ্ছে। নতুন লক্ষ্য, যা প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেসলাইন থেকে শুরু হবে, জাতীয় জলবায়ু পরিকল্পনার নকশা এবং পরবর্তী বাস্তবায়নের জন্য একটি বিল্ডিং ব্লক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর্থিক সহায়তার উপর পুনর্নবীকৃত নজর উন্নয়নশীল দেশগুলি দ্বারা প্রশংসিত হয়েছিল কিন্তু, এই দেশগুলি জানে যে লক্ষ্যগুলি মূলত উচ্চাকাঙ্ক্ষা-‌প্রসূত এবং বিশ্বাসযোগ্য আর্থিক হস্তান্তর বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা কম।


নতুন লক্ষ্য, যা প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেসলাইন থেকে শুরু হবে, জাতীয় জলবায়ু পরিকল্পনার নকশা এবং পরবর্তী বাস্তবায়নের জন্য একটি বিল্ডিং ব্লক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।



ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃত্বে নবায়নযোগ্য শক্তি ও শক্তি দক্ষতা সংক্রান্ত  বিশ্বব্যাপী প্রতিশ্রুতি ইতিমধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষমতা তিনগুণ বাড়িয়ে ১১,০০০ গিগাওয়াটের (জিডব্লিউ) উপরে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে শক্তিদক্ষতা লাভের হার বছরে ৪ শতাংশে উন্নীত করার আহ্বান জানিয়েছে। এটি ১৩০টি দেশ উৎসাহের সঙ্গে গ্রহণ করেছিল, যে দেশগুলি বিশ্বকে ডিকার্বনাইজ করার ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য একটি বড় ভূমিকা চায়। তবে চিন ও ভারত, বিশ্বের শীর্ষ তিন নির্গমনকারীর মধ্যে দুটি, স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে নেই, কারণ তারা কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে বিনিয়োগ বন্ধ করার আহ্বান জানানো সংক্রান্ত শব্দবন্ধ অনুমোদন করেনি। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চিন ও ভারত উভয়ই শীর্ষস্থানীয়। নির্মাণাধীন 
২০৪ গিগাওয়াট কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার প্রায় ৬৭ শতাংশ এবং আরও ৩৫৩ গিগাওয়াট কয়লা-ভিত্তিক ক্ষমতার পরিকল্পনার ৭২ শতাংশ চিনের, এবং বাকি বেশিরভাগ ভারতের। ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধির ১৩ শতাংশ বার্ষিক গড় বৃদ্ধি একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে থাকবে, কারণ এটি গত ৫ বছরে অর্জিত বৃদ্ধির হারের দ্বিগুণ। এই দশকে প্রতি বছর ৪ শতাংশের উপরে দক্ষতার উন্নতি বিশ্বব্যাপী শক্তি উপভোগ ও নির্গমন এক-তৃতীয়াংশ কমাতে পারে, তবে এর জন্য গত পাঁচ বছরে তৈরি দক্ষতা লাভের হার তিনগুণের চেয়ে বেশি হওয়ার প্রয়োজন হবে।

২০৫০ সালের মধ্যে 
পারমাণবিক শক্তির ক্ষমতা তিনগুণ করার চুক্তি পারমাণবিক  শিল্পকে খুশি করেছে, কিন্তু ঐতিহ্যগত পরিবেশবাদীদের অবাক করেছে। জিএসটি-তে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে যাওয়ার আহ্বানটি জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন (ইউএনএফসিসিসি) প্রায় ২০০টি পক্ষের অনুমোদন পেয়েছে, এবং রাষ্ট্রপুঞ্জ এটিকে জীবাশ্ম জ্বালানি যুগের "শেষের শুরু" হিসাবে স্বাগত জানিয়েছে৷ কিন্তু তেল ও গ্যাস উৎপাদক ও ভোক্তাদের স্বাচ্ছন্দ্যের ক্ষেত্রে, যার মধ্যে বিশ্বের বেশিরভাগ অংশ রয়েছে, চুক্তির বয়ান অস্পষ্ট এবং সময়-‌সীমাবদ্ধ নয়, এবং জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহার স্বাভাবিক পথে কাজ চালিয়ে যেতে পারে।

৫০টিরও বেশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তেল সংস্থা, যারা বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের প্রায় ৪০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে, একটি 
তেল ও গ্যাস ডিকার্বনাইজেশন সনদ স্বাক্ষর করেছে। সনদটির লক্ষ্য ২০৫০ সালের মধ্যে বা তার আগে প্রতিটি কোম্পানির প্রত্যক্ষ ক্রিয়াকলাপে (তাদের পণ্যের ব্যবহারের বিপরীতে) নিট শূন্য মিথেন নির্গমন অর্জন করা, ২০৩০ সালের মধ্যে তেল ও গ্যাস উৎপাদন থেকে মিথেন লিকেজ প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনা, এবং ২০৩০ সালের মধ্যে শূন্য রুটিন ফ্লেয়ারিং (অতিরিক্ত গ্যাস পোড়ানো) অর্জন। শেষ দুটি প্রতিশ্রুতি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মিথেন একটি আরও শক্তিশালী কিন্তু স্বল্পস্থায়ী গ্রিনহাউস গ্যাস এবং সমস্ত মানবসৃষ্ট মিথেন নির্গমনের এক-চতুর্থাংশ তেল ও গ্যাস উৎপাদন থেকে আসে।

ভারত 
জলবায়ু ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কপ২৮ ঘোষণার স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ছিল না, কারণ এই প্রতিশ্রুতিতে স্বাস্থ্য খাতে শীতল করার জন্য গ্রিনহাউস গ্যাসের ব্যবহার রোধে বাস্তবতার অভাব রয়েছে। তবে স্বাক্ষরকারীদের তালিকায় যোগ দিয়েছে চিন। ভারত ও চিন ২০৫০ সালের মধ্যে ২০২২ স্তরের তুলনায় বিশ্বব্যাপী ৬৮ শতাংশ শীতলকরণ-সম্পর্কিত নির্গমন হ্রাস করার অঙ্গীকারেও যোগ দেয়নি, যা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই কুলিং অ্যাক্সেসের সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করার সঙ্গে এবং বৈশ্বিক নেট-শূন্যে পৌঁছনোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ভারত ২০১৯ সালে ঘোষিত নিজস্ব কুলিং অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী শীতলতা কর্ম-‌পরিকল্পনার অধীনে ২০৩৮ সালের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রজুড়ে শীতল করার জন্য তার বিদ্যুতের চাহিদা ২০-২৫ শতাংশ হ্রাস করার লক্ষ্য রাখে। চিন বিরত ছিল কারণ পূর্ববর্তী এই ধরনের চুক্তিতে সে দায়বদ্ধতা খুঁজে পায়নি। চিন ও ভারতের অনুসৃত পদ্ধতি প্রতিশ্রুতির অবমাননা নয়, বরং প্যারিস চুক্তিতে উল্লেখিত জলবায়ু কর্মের "জাতীয়ভাবে নির্ধারিত চরিত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।


ভারত ২০১৯ সালে ঘোষিত নিজস্ব কুলিং অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী শীতলতা কর্ম-‌পরিকল্পনার অধীনে ২০৩৮ সালের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রজুড়ে শীতল করার জন্য তার বিদ্যুতের চাহিদা ২০-২৫ শতাংশ হ্রাস করার লক্ষ্য রাখে।



আরও অনেক অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি ছিল যা কিছু অংশীদারকে খুশি করলেও অন্যদের ক্ষুব্ধ করেছিল এবং তারা ত্রুটিগুলি নির্দেশ করেছিল। কপস-এর দীর্ঘমেয়াদি এবং দীর্ঘ দূরবর্তী পর্যবেক্ষকদের প্রক্রিয়া এবং ফলাফলগুলি কোনও নির্বাচিত এলাকা দ্বারা ছিনতাই করা হয়েছে বলে মনে হয়নি, কারণ এটি সমস্ত কপ-এর প্রতিষ্ঠিত পথ থেকে সামান্য বা কোনও বিচ্যুতি দেখায়নি। অনুরূপ অন্য কপগুলির মতোই কপ২৮ প্রতিটি গোষ্ঠীকেই কিছু দিয়েছে, কিন্তু তা বিশ্বের জন্য যথেষ্ট নয়। বার্ষিক কার্বন নিঃসরণ দুই দশকের কপ বৈঠকগুলির সময়েই কপ বৈঠকের আগের দুই দশকের তুলনায় কমপক্ষে ৪ বিলিয়ন টন বেড়েছে। শুধু ২০০৭-০৮ সালে বিশ্বব্যাপী আর্থিক সঙ্কটের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা এবং ২০২০-২২ সালে অতিমারি অস্থায়ীভাবে কার্বন নির্গমনকে কমিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল।  


কপ–এর সুবিধা


কপ২৮-এ প্রতিনিধিত্ব করা একাধিক গোষ্ঠী তিনটি বিস্তৃত গোত্রের মধ্যে পড়ে: (ক) একটি গোষ্ঠী যারা বিশ্বাস করে যে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে প্রাপ্ত শক্তিসহ শক্তি খরচ দ্বারা চালিত অর্থনৈতিক বৃদ্ধি মানুষের দক্ষতা ও জ্ঞানের জন্য বাঞ্ছনীয় এবং স্থিতিশীলতার অনুসারী (‌যাকে সাধারণভাবে ’‌বিজনেস অ্যাজ ইউজুয়াল' পন্থা বলা হয়;‌ (‌খ) এই গোষ্ঠী এই বিশ্বাসে অবিচল যে বর্তমান প্রবণতা টেকসই নয় এবং নীতি দ্বারা চালিত প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও টেকসই ভবিষ্যতে একটি সুশৃঙ্খল রূপান্তর সম্ভব;‌ এবং (‌গ)‌ একটি প্রান্তিক গোষ্ঠী যারা মনে করে নাটকীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তন একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে।

কপ২৮-এ বেশিরভাগ অনুমানগুলি খ গোত্র থেকে গৃহীত হয়েছিল, তবে ব্যতিক্রম ছিল 'সবচেয়ে খারাপ' অনুমানের সমতুল্যগুলি যা ক গোত্র থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। খ গোত্রটি তিনটির মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্ট ও শ্রুতিমধুর ছিল, যাদের নিজ নিজ 'জলবায়ু প্রধানদের' প্রতিদিন দেখা এবং শোনা যেত। খ গোত্রের সদস্যরা পরিচ্ছন্ন শক্তির প্রসার এবং কার্বন নিঃসরণ কমাতে রাষ্ট্রীয় অর্থায়ন ও সম্পদ দাবি করেছে। খ গোত্রের সদস্যেরা জটিল স্তরবিন্যস্ত সংস্থাগুলির অংশ ছিল (রাষ্ট্রীয় এবং অ-রাষ্ট্রীয়), এবং তারা ভেবেছিল যে একটি টেকসই ভবিষ্যতে যেতে সিস্টেম ও সমাজের উপর সমানভাবে জটিল ও শ্রেণিবদ্ধ চাহিদা ও সীমা আরোপ করা উচিত। তারা শ্রেণিবিন্যাসে গোষ্ঠীর জন্য কার্বনের ভাগ বৃদ্ধির অনুমতি দেয়, যতক্ষণ না এটি তাদের উপরের গোষ্ঠীগুলির অংশের আকারকে অতিক্রম করে। তাদের দৃষ্টিতে, প্রকৃতিতে প্রচুর আছে, কিন্তু শুধুমাত্র দায়বদ্ধ সীমার মধ্যে। যাই হোক, সীমা ভিন্ন ভিন্ন হয় এই অর্থে যে অনুক্রমের বিভিন্ন স্তরের জন্য আলাদা সীমা রয়েছে। বিভিন্নতামূলক সীমা নিশ্চিত করার জন্য কার্বন নির্গমন, তার আয়তন এবং তার প্রবাহের ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন, যা খ গোত্রের কর্তৃত্বকে সমর্থন করে।

ক গোত্রে বেশিরভাগই ব্যবসায়ীদের সমন্বয় দেখা যায় যারা অর্থনীতি এবং শক্তি উভয়ের সীমাহীন বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখেছিল। তাদের জন্য, প্রকৃতি কর্নিউকোপিয়ান, কিন্তু মুক্ত নয়; এটি দক্ষতা দ্বারা প্রাপ্ত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। খ ও গ গোত্র বিশ্বাস করে‌ যে জলবায়ু "অস্বীকারকারী" হিসাবে চিহ্নিত ও বর্জিত ক গোত্রকে কপ-এ উচ্চ টেবিলের বাইরে রাখাই জলবায়ু সংকট থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায়। উচ্চ টেবিলে ক গোত্রের উপস্থিতি এই ধারণার জন্ম দেয় যে কপ ছিনতাই হয়েছে। বাস্তবে, কপ২৮-এ সমস্ত গোত্রের উপস্থিতি জলবায়ু কর্মকে আরও গণতান্ত্রিক করে তুলেছে, যদিও এটি খ গোত্রের জন্য কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আনেনি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সামগ্রিক যোগফল প্রায়ই অংশগুলির চেয়ে কম হয়।


উৎস: বিশ্ব শক্তি ২০২৩-‌এর পরিসংখ্যানগত পর্যালোচনা

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Lydia Powell

Lydia Powell

Ms Powell has been with the ORF Centre for Resources Management for over eight years working on policy issues in Energy and Climate Change. Her ...

Read More +
Akhilesh Sati

Akhilesh Sati

Akhilesh Sati is a Programme Manager working under ORFs Energy Initiative for more than fifteen years. With Statistics as academic background his core area of ...

Read More +
Vinod Kumar Tomar

Vinod Kumar Tomar

Vinod Kumar, Assistant Manager, Energy and Climate Change Content Development of the Energy News Monitor Energy and Climate Change. Member of the Energy News Monitor production ...

Read More +