ভূমিকা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্যারিস সফরের সময় ২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত নতুন ভারত-ফ্রান্স ইন্দো-প্যাসিফিক রোডম্যাপ একটি আকর্ষক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেছে। এই রোডম্যাপের পঞ্চম অনুচ্ছেদে ‘অস্ট্রেলিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গে বহুপাক্ষিক জোটের সশক্তিকরণ এবং এই অঞ্চলে নতুন একটি জোট’ নির্মাণের জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি অভিন্ন অঙ্গীকারের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।(১) এই নিবন্ধটিতে আঞ্চলিক পর্যায়ে ভারত এবং ফ্রান্সের অংশগ্রহণের বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিবর্তনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দুই দেশের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত সহযোগিতার অবকাঠামোর কথা উল্লেখ করে এই রোডম্যাপ বা পথনির্দেশিকায় ‘অন্যান্য কৌশলগত অংশীদারিত্বের সঙ্গে প্রয়োজনে সংযুক্ত হয়ে ত্রিপাক্ষিক জোট গঠনের’ জন্য ২০১৮ সালে(২) ভারত মহাসাগর অঞ্চলে (আইওআর) ভারত-ফ্রান্স সহযোগিতার যৌথ কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রচারিত উদ্দেশ্যগুলির সাক্ষ্য প্রমাণ দেওয়া হয়েছে।(৩) ত্রিপাক্ষিক জোটের কথা উল্লেখ করার পরিবর্তে ‘বহুপাক্ষিকতাবাদ’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করে রোডম্যাপটি এমন উদ্যোগগুলিতে আরও রাজনৈতিক এবং আরও ধারণাগত মাত্রা যোগ করে, যা পূর্বে তাদের প্রকৃতির দ্বারা প্রাথমিক ভাবে বর্ণিত হয়েছিল। মোদ্দা কথা, সমগ্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আইওআর থেকে তাদের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার পরিধি বিস্তৃত করার মাধ্যমে রোডম্যাপটি প্রধান আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে আরও বাহ্যিক দৃষ্টিভঙ্গিকে সশক্ত করার উদ্দেশ্যে প্রথাগত আত্মকেন্দ্রিক পদ্ধতির ঊর্ধ্বে ওঠার গুরুত্বের উপর জোর দেয়। সম্প্রতি ভারত ও ফ্রান্সের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সমবায় প্রক্রিয়া - ২০২০ সালে ভারত-ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া (আইএফএ) এবং ২০২৩ সালে ভারত-ফ্রান্স-ইউএই (আইএফইউ) - এই লক্ষ্যে প্রাথমিক পদক্ষেপগুলিকেই দর্শায়।
সংজ্ঞাগত প্রভাব
এই প্রেক্ষাপটে বহুপাক্ষিকতার ধারণাকে কেন্দ্র করে ‘বহুপাক্ষিকতাবাদ’ শব্দবন্ধটির ব্যবহার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির সারবত্তা, যা প্রায়শই তার অসংশ্লিষ্ট অবস্থান থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত বলে মনে করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হল, ইউরোপীয় প্রেক্ষাপটে নির্দিষ্ট ধরনের চুক্তি এবং প্রকল্পগুলিকে বর্ণনা করার জন্য মাঝে মাঝে ব্যবহার করা ছাড়া ‘বহুপাক্ষিক বিন্যাস’ শব্দবন্ধটির ফরাসি কৌশলগত অভিধানে দেখা মেলে না বললেই চলে।(৪) এই ধরনের ক্ষেত্রে, ‘বহুপাক্ষিক’ বলতে প্রায়শই সীমিত সংখ্যক অংশীদার এবং দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার মধ্যে একটি মধ্যবর্তী স্থান দখলকারী চুক্তিগুলিকে বোঝায়।(৫) অতএব বহুপাক্ষিক শব্দবন্ধটি ক্ষুদ্রপাক্ষিকের পরিবর্তে মাঝেমধ্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ফরাসি প্রেক্ষাপটে বহুপাক্ষিক শব্দবন্ধটিকে ‘স্বেচ্ছাসেবী শক্তিদের একটি নিয়ন্ত্রক কাঠামো ও যৌথ ভাবে সংজ্ঞায়িত প্রচেষ্টার আরও উন্নত পারস্পরিক স্বীকৃতির সংজ্ঞা প্রদান’ করার আলোচনাতেও উল্লেখ করা যেতে পারে।(৬) অন্য দিকে ভারত ইতিমধ্যেই নিজের অবস্থান গ্রহণ করেছে। বুঝিয়ে বললে, যেমনটা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বর্ণনা করেছেন, ‘এই ধরনের বহুপাক্ষিক গোষ্ঠীর শিল্প নেতা হল ভারত।’(৭) ‘সাধারণ উদ্বেগের বাধ্যবাধকতা’ থেকে উদ্ভূত এই গোষ্ঠীগুলিকে জয়শঙ্কর ‘সুবিধার জোট’ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন এবং ‘বিপরীত প্রতিশ্রুতির সঙ্গে পুনর্মিলন’কে ফলাফলভিত্তিক সহযোগিতামূলক মনোভাব দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে।
বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকেন্দ্রিক পরিভাষা দু’টি দেশের কৌশলগত শব্দভাণ্ডারে ভিন্ন হলেও তিন প্রধান শক্তির জোট এবং এই জোটের নমনীয়তা আসলে এর প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর অভাব (কোনও স্থায়ী সদর দফতর বা সচিবালয় না থাকা, কোনও সাংবিধানিক সনদ না থাকা) এবং এর অনানুষ্ঠানিকতা (প্রায়শই বহুপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের পাশে সমান্তরালে ঘটে থাকে) দ্বারা চিহ্নিত ক্ষুদ্রপাক্ষিকতার রূপ বর্ণনা করার ক্ষেত্রে কিছু অভিন্নতাকেই তুলে ধরে। সংক্ষেপে, এই ধরনের ব্যবস্থাগুলি একটি এককালীন এবং স্বেচ্ছাসেবী সহযোগিতার ভাবনাকেই দর্শায় এবং ‘বহুপাক্ষিক জোটগুলির সঙ্গে যুক্ত বিস্তৃত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সদস্যদের ‘গুরুত্বপূর্ণ শক্তি’ অর্জন করা’র কথাই বলে।(৮) সাধারণত এই ব্যবস্থাগুলির সঙ্গে যুক্ত একটি স্থায়ী প্রতিষ্ঠানের অভাবকে তুলে ধরে অ্যালিস প্যানিয়ার ব্যাখ্যা করেছেন যে, জোটে হস্তক্ষেপ যখন সাধারণ বিষয়, তখন ‘সরকার এবং প্রশাসনের মধ্যে সরাসরি সমন্বয়’ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার প্রয়োজনীয় সমস্যা মোকাবিলায় একটি বিকল্প পদ্ধতির প্রস্তাব দেয়।(৯) সেবাস্তিয়ান হগ প্রমুখ ক্ষুদ্রপাক্ষিক জোটগুলিকে ‘অনানুষ্ঠানিক, অসম্পৃক্ত, উদ্দেশ্য-প্রণোদিত অংশীদারিত্ব এবং নির্দিষ্ট সমস্যার মোকাবিলায় আগ্রহী, ইচ্ছুক ও সক্ষমদের জোট’ বলে বর্ণনা করেছেন।(১০)
নির্দিষ্ট এলাকায় ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের উপর জোর দেওয়া ছাড়াও ক্ষুদ্রতর জোটগুলির আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল অংশগ্রহণকারী দেশগুলির গঠনমূলক উপাদান। এই দেশগুলি প্রায়শই তাদের ভৌগোলিক নৈকট্য, অভিন্ন কৌশলগত সংস্কৃতি বা বিদ্যমান হুমকিগুলি সংক্রান্ত অভিন্ন সাধারণ বোঝাপড়া দ্বারা সংযুক্ত।(১১) ভারতীয় কূটনীতিক এবং সামরিক কর্মকর্তারা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে সমর্থন করার জন্য ক্ষুদ্রপাক্ষিকতার মূল্যে সহমত পোষণ করেছেন এবং এগুলিকে সীমিত উদ্যোগ ক্ষমতাসম্পন্ন ও বৃহত্তর গোষ্ঠীর মধ্যে সমন্বয়ের অন্তর্নিহিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম বলে মনে করেন।(১২) ক্ষুদ্রপাক্ষিকতার অনানুষ্ঠানিক ও অভিযোজনমূলক প্রকৃতি
জোটগুলিকে ভারতের মতো দেশগুলির জন্য একটি স্বস্তির বিন্যাস প্রদান করে, যেগুলি আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা জোটের বিপরীত। ক্ষুদ্রপাক্ষিকতা জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলির অভিন্ন স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একগুচ্ছ সমাধান প্রদান করার পাশাপাশি একক দেশের সীমিত ক্ষমতা এবং দক্ষতার উপর নজর দেয়।
ইন্দো-প্যাসিফিকে ভারত ও ফ্রান্সের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক জোট
ক্ষুদ্রপাক্ষিক জোটগুলি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও কৌশলগত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিসর অনুযায়ী ঘনসন্নিবিষ্ট ভাবে গড়ে উঠেছে, যার মধ্যে কোয়াড (ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) এবং আইটুইউটু (ভারত, ইজরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্ষুদ্রপাক্ষিকতাবাদ প্রাথমিক ভাবে ‘সমমনস্ক অংশীদারদের’ ‘অভিন্ন মূল্যবোধ’কে কেন্দ্র করে একত্রিত করতে সক্ষম হয়েছে। বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় তাদের প্রত্যক্ষ সংগঠন এবং কম পরিচালন ব্যয়ের কারণে ক্ষুদ্রপাক্ষিক জোটগুলিকে আরও কার্যকর বলে মনে করা হয়। বহুপাক্ষিক সংস্থার মধ্যে ঐকমত্য খোঁজার সঙ্গে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলি দর্শায় যে, কেন ‘কিছু শক্তি একই সঙ্গে আরও সীমিত ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করে থাকে, যার লক্ষ্য হল কার্যকর বা আদর্শগত উদ্দেশ্যগুলি অর্জন করা অথবা রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাকে উত্সাহ জোগানো।’(১৩) এই প্রেক্ষাপটে, সাম্প্রতিক অসংখ্য জোট, বিশেষ করে ত্রিপাক্ষিক জোট একটি অংশীদারিত্ব কাঠামোর মধ্যে ব্যবহারিক সহযোগিতার প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করেছে। এই আলোচনার মধ্যে কয়েকটিকে বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত তাদের স্বায়ত্তশাসনের প্রকৃতি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।(১৪) ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় ভারতের বর্ধিত সম্পৃক্ততা ইন্দো-প্যাসিফিক ধারণার উত্থানের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ হয়েছে। নয়াদিল্লি এ হেন প্রায় এক ডজন আলোচনায় অংশগ্রহণ করে (দ্রষ্টব্য সারণি ১), যার মধ্যে দশটি ২০১০-এর দশকের গোড়া থেকে শুরু হয়েছে, অর্ধেক আবার ২০১৬-এর পরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যখন ধারণাটি ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশের কৌশলগত শব্দভাণ্ডারে জায়গা করে নিয়েছে।
সারণি ১: ভারত আছে এ হেন ত্রিপাক্ষিক জোট
ত্রিপাক্ষিক
|
গঠনের সময়কাল
|
ভারত-চিন-রাশিয়া
|
১৯৯০-এর দশক
|
ভারত-ব্রাজিল-দক্ষিণ আফ্রিকা
|
২০০৩
|
ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-জাপান
|
২০১১
|
ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-আফগানিস্তান
|
২০১২
|
ভারত-জাপান-অস্ট্রেলিয়া
|
২০১৫
|
ভারত-ইরান-আফগানিস্তান
|
২০১৬
|
ভারত-ওমান-ইরান
|
২০১৭
|
ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইন্দোনেশিয়া
|
২০১৭
|
ভারত-ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া
|
২০২০
|
ভারত-জাপান-ইতালি
|
২০২১
|
ভারত-ইরান-আর্মেনিয়ায়
|
২০২৩
|
ভারত-ফ্রান্স-সংযুক্ত আরব আমিরশাহি
|
২০২৩
|
সূত্র: লেখকের নিজস্ব
ত্রিপাক্ষিক জোট ভারতের সহযোগিতার অনুশীলনে নতুন নয়, যেমনটা ১৯৯০-এর দশকে ভারত-চিন-রাশিয়া বিন্যাস এবং ২০০৩ সালে ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আইবিএসএ দ্বারা প্রদর্শিত হয়েছে। সাম্প্রতিক ত্রিপাক্ষিক জোটগুলির মনোযোগ অবশ্য ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রধান অংশীদারদের উপর নিবদ্ধ হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে ভারত জাপানের সঙ্গে তিনটি, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তিনটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দু’টি, ফ্রান্সের সঙ্গে দু’টি এবং ইন্দোনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গে একটি করে ত্রিপাক্ষিক জোট গঠন করেছে। যাই হোক, এই ত্রিপাক্ষিক জোটগুলি একই উদ্দেশ্য বা আকাঙ্ক্ষাগুলি ভাগ করে নেয়, এমনটা নয়। যদিও এর মধ্যে বেশ কয়েকটিকে এককালীন প্রক্রিয়া বাস্তব লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে - যেমন চাবাহার চুক্তির (২০১৬) অধীনে ভারত-ইরান-আফগানিস্তান অংশীদারিত্ব, সরবরাহ-শৃঙ্খলের স্থিতিস্থাপকতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধকারী ভারত-অস্ট্রেলিয়া-জাপান, ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোরকে (আইএনএসটিসি) সশক্ত করার লক্ষ্যে ভারত-ইরান-আর্মেনিয়া অথবা গ্যাস পাইপলাইনকে কেন্দ্র করে ভারত-ইরান-ওমান জোট। প্রাথমিক ভাবে এগুলির অধিকাংশই রাজনৈতিক এবং কৌশলগত উদ্দেশ্যে ব্রতী হলেও অভিন্ন মূল্যবোধের প্রেক্ষিতে ঝুঁকি মোকাবিলার অভিন্ন বোঝাপড়ার মতো আদর্শগত উদ্দেশ্যের সঙ্গেও সম্পর্কিত বলে মনে হয়।
ফ্রান্সের তরফে ত্রিপাক্ষিক সম্পৃক্ততা ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে শুরু হলেও ফ্রান্সের বৃহত্তর সহযোগিতামূলক অনুশীলনের মধ্যে তা তুলনামূলক ভাবে সীমিত। বহুপাক্ষিক বিন্যাসে অংশগ্রহণের পাশাপাশি ফ্রান্সের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বিভিন্ন ক্ষুদ্রতর ব্যবস্থায় দেশটির ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততাকেই দর্শায়। ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ফ্রাঞ্জ অ্যারেঞ্জমেন্টের কয়েক দশক পরে বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক প্রেক্ষাপটে অন্য আরও অনানুষ্ঠানিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ত্রিপাক্ষিক জোটগুলির সূচনা ঘটে। ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলির জন্য বেসামরিক ও সামরিক সহায়তা এবং সম্পদের উন্নত সমন্বয়ের লক্ষ্যে ফ্রাঞ্জ অ্যারেঞ্জমেন্ট গৃহীত হয়েছিল। যেমনটা ১৯৯৮ সালে পাপুয়া নিউ গিনিতে ও ফিজিতে ঘূর্ণিঝড়ের সময় (২০০৩, ২০১২, ২০১৬), সলোমন দ্বীপপুঞ্জ (২০০৩), নিউ (২০০৪) এবং ভানুয়াতুর (২০১০, ২০১৫) ক্ষেত্রে এই চুক্তি কার্যকর হয়েছে। ব্যবস্থাটি ইন্দো-প্যাসিফিক প্রেক্ষাপটে ফ্রান্সের সাম্প্রতিক ত্রিপাক্ষিক জোটগুলির চেয়ে আলাদা। কারণ এর বৃহত্তর প্রাতিষ্ঠানিক প্রকৃতি (একটি স্বাক্ষরিত ত্রিপাক্ষিক চুক্তি), একটি অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট উচ্চাকাঙ্ক্ষা (প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সম্পদ সংগ্রহে সহায়তা করার জন্য) এবং এর কার্যকরী ও পদক্ষেপভিত্তিক প্রকৃতি (নিয়মিত ফলো-আপ বার্ষিক মিটিং-সহ) বিদ্যমান।
ভারত-ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া ত্রিপাক্ষিক জোট
ভারত, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক প্রক্রিয়া ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের আলোচনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা কার্যত কোভিড-১৯ অতিমারি চলাকালীন ঘটে।(১৫) তিন দেশের বিদেশসচিবদের মধ্যে এই বৈঠকে ভারত-ফ্রান্স প্রেক্ষাপটে সরকারি পর্যায়ে ত্রিপাক্ষিক বিন্যাস চালু হয়। এই বৈঠকটি তিনটি দেশের মধ্যে একটি দীর্ঘ রাজনৈতিক সম্প্রীতির প্রতিষ্ঠাকেও চিহ্নিত করে, যা তাদের কৌশলগত শব্দভাণ্ডারে ইন্দো-প্যাসিফিক বিস্তৃতির সমান্তরালে আবির্ভূত হয়েছিল। এ হেন একটি প্রেক্ষাপটে ২০১৮ সালের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার গার্ডেন আইল্যান্ডে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বক্তৃতার সময় প্রেসিডেন্ট পর্যায়ে ইন্দো-প্যাসিফিক সম্পর্কে ফ্রান্সের ধারণা প্যারিস-দিল্লি-ক্যানবেরা অক্ষের পক্ষে আহ্বানের সঙ্গে সমাপতিত হয়। ‘এই অঞ্চলকে সংযুক্ত করার জন্য এবং ইন্দো-প্যাসিফিকে আমাদের সাধারণ স্বার্থগুলিকে তুলে ধরার জন্য এই আহ্বান গুরুত্বপূর্ণ’ এবং অস্ট্রেলিয়া ও ভারতকে এখানে ফ্রান্স ‘এই নতুন ইন্দো-প্যাসিফিক জোট এবং অক্ষের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ হিসাবে বর্ণনা করে।(১৬)
আলোচনাটি ত্রিপাক্ষিক অক্ষ এবং আইওআর-এ সহযোগিতার জন্য ভারত-ফ্রান্স যৌথ কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে একটি সরাসরি সংযোগ তৈরি করেছে, যা দু’মাস আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর ফলস্বরূপ, ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিক একটি ট্র্যাক ১.৫ বৈঠকের আয়োজন করা হয়, যেখানে তিনটি দেশের বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। আইএফইউ-এর বিপরীতে আরও অনানুষ্ঠানিক ১.৫ বিন্যাস থাকলেও উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে স্বচ্ছতার প্রাথমিক অভাব আইএফএ তুলে ধরেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রথম বৈঠকের পরে প্রকাশিত বিবৃতিগুলি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা জোরদার ও বৃদ্ধি করার উপর একটি অস্পষ্ট মনোযোগের কথা উল্লেখ করে।(১৭) এর পাশাপাশি বিশেষত কোভিড-১৯ অতিমারির প্রেক্ষিতে বিস্তৃত অর্থনৈতিক ও ভূ-কৌশলগত চ্যালেঞ্জগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।(১৮) আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক ক্ষেত্র এবং আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক অভিন্ন বিষয়গুলি। এর পাশাপাশি বহুপাক্ষিকতাবাদের শক্তিশালীকরণ ও সংস্কারের কথাও আলোচনা করা হয়। তাই এই প্রথম বৈঠকটি ‘সুদৃঢ় সহযোগিতামূলক প্রকল্প’,(১৯) ‘ত্রিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে বাস্তব সহযোগিতা’ এবং তিনটি অংশীদার দেশের মধ্যে নিয়মিত সাক্ষাতের জন্য একটি ‘ফলাফলভিত্তিক’ পদ্ধতির ভিত্তি স্থাপন করে।(২০)
চিত্র ১: ভারত-ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া ত্রিপাক্ষিক জোটের সময়সারণি
সূত্র- লেখকের নিজস্ব
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের দেওয়া বিবৃতি তিনটি দেশের মধ্যে ব্যবস্থার জন্য তিনটি নির্দেশিকা প্রবর্তন করেছে: ফলাফলভিত্তিক সহযোগিতার উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ‘তাদের নিজ নিজ শক্তির সমন্বয় করা’; ‘আঞ্চলিক সংস্থার মাধ্যমে’ ব্যবহারিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা; এবং ত্রিপাক্ষিক জোটকে স্থায়িত্ব প্রদানের জন্য একটি অন্তর্নিহিত ও অপরিহার্য শর্ত হিসাবে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশের মধ্যে ‘শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের’ গুরুত্ব।(২১) এই ধরনের বিন্যাসের নির্বাচন প্রায়শই শক্তিশালী গোষ্ঠীকে সক্রিয় করার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, যারা ইতিমধ্যেই প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার অন্তর্নিহিত সীমাবদ্ধতা ছাড়াই বহুপাক্ষিক পরিসরে সংযোগ স্থাপনে আরও কার্যকর ভাবে সহযোগিতা করে।(২২) এই উদ্দেশ্যগুলির দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে দেখা হলে, গত তিন বছরে ভারত, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ত্রিপাক্ষিক আলোচনার বিবর্তন বেশ কয়েকটি উপলব্ধির জন্ম দিয়েছে।
ফলাফলভিত্তিক কর্ম সম্পাদনের জন্য শক্তি সমন্বয়
ত্রিপাক্ষিক জোটের প্রাথমিক ভঙ্গি – যা একটি ফলাফলভিত্তিক পদ্ধতির মাধ্যমে সুদৃঢ় সহযোগিতার প্রত্যাশা করেছিল – সেটি এমন একটি সুনির্দিষ্ট ভাবনার অভাবের দরুন কার্যকর হতে রীতিমতো লড়াই করেছে, যার উপর তিনটি দেশ একটি পরিপূরক পদ্ধতিতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিভাগীয় প্রধান পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রথম ফোকাল পয়েন্টস মিটিংটি ‘জোটের নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীল উন্নয়নকে সুনিশ্চিত করার জন্য এই অঞ্চলে বাস্তব প্রকল্পগুলি’কে প্রকাশ্যে আনার উদ্দেশ্যকে পুনরায় নিশ্চিত করেছে।(২৩) যাই হোক, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকের সময় প্রদত্ত প্রস্তাবগুলিকে কেন্দ্র করে আলোচনাগুলি প্রাথমিক ভাবে বিবৃতিতে উল্লিখিত ভাবনার সংখ্যা এবং সেই বিষয়ে আরও অগ্রগতিকে কেন্দ্র করে বিশদ বিবরণের অভাবের কারণে বিন্যাসের কার্যকারিতা সম্পর্কে যথেষ্ট সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। আলোচনায় যৌথ ত্রিপাক্ষিক জোটের কাজের নির্দেশনা দেওয়ার উদ্দেশ্যে পাঁচটি মূল ভাবনার উপর মনোযোগ দেওয়া হয়েছে: সামুদ্রিক নিরাপত্তা, দুর্যোগকালীন সময়ে মানবিক সহায়তা, নীল অর্থনীতি, সামুদ্রিক সম্পদ ও পরিবেশ এবং বহুপাক্ষিকতা। ফোকাল পয়েন্টস মিটিং প্রতিষ্ঠা করার সময় ত্রিপাক্ষিক জোটের কার্যক্রমের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ হলেও সহযোগিতা অক্ষের সংখ্যা যৌথ কর্ম ও সংস্থানগুলির বণ্টনকে স্থায়ী করে, যা শুধুমাত্র তখনই কার্যকর হতে পারে যখন তারা সীমিত সংখ্যক নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করে এবং সহযোগিতা প্রকল্পগুলিকে সুদৃঢ় ও দীর্ঘমেয়াদি সমর্থন জোগায়।
অস্ট্রেলিয়া-ইউকে-ইউএস (অউকাস) নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের ঘোষণার পর ফ্রাঙ্কো-অস্ট্রেলিয়ান কূটনৈতিক সঙ্কটের কারণে বিরতির পর্ব অতিক্রম করার পর ২০২৩ সালের জুন মাসে দ্বিতীয় ফোকাল পয়েন্টস মিটিং হয় (যা দ্বিতীয় বর্ষীয়ান কর্মকর্তাদের আলোচনাকে বাধা দেয়)। এই মিটিংয়ে তিনটি স্তম্ভের উপর মনোযোগ দিয়ে আলোচনার পদ্ধতিকে সুগম করার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে: মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ত্রাণ-সহ (এইচএডিআর) সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা; আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক অভিন্ন সাধারণ লক্ষ্য ও পরিবেশ; এবং বহুপাক্ষিক সম্পৃক্ততা।(২৪) এই তিনটি স্তম্ভ ইতিমধ্যেই ত্রিপাক্ষিক জোটে আলোচনা থেকে বিদেশমন্ত্রীদের স্তরে উন্নীত হওয়ার কথা যৌথ ঘোষণায় আগে থেকেই সুনির্দিষ্ট ছিল এবং বিদেশমন্ত্রীরা ২০২১ সালের মে মাসে জি৭-এর পাশাপাশি লন্ডনে প্রথম বারের মতো বৈঠক করেন।(২৫) তা সত্ত্বেও, কোভিড-১৯ অতিমারি, মায়ানমারের পরিস্থিতি, জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ ও সাইবার নিরাপত্তা-সহ বহু অভিন্ন সাধারণ-আগ্রহের বিষয়গুলিকে কেন্দ্র করে আলোচনাটি অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি।
বিষয়গুলির এই ভিন্নতা প্রাথমিক ভাবে অংশীদারদের দ্বারা কাঙ্ক্ষিত পদক্ষেপভিত্তিক পদ্ধতিকে ক্ষুণ্ণ করেছে এবং তিনটি দেশের মধ্যে বিশেষ করে অন্যান্য আঞ্চলিক অংশীদারের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে স্পষ্টতা ও দৃশ্যমানতার অভাবকে দর্শিয়েছে। এই আলোচনাগুলির আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধিতে কোনও বাস্তব অবদান ছাড়াই শুধু মাত্র অভিন্ন সাধারণ মূল্যবোধের সমন্বয় দ্বারা পরিচালিত একচেটিয়া ভাবে রাজনৈতিক উদ্যোগে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে।
সরবরাহ শৃঙ্খল স্থিতিস্থাপকতার উপর মনোনিবেশকারী ভারত-অস্ট্রেলিয়া-জাপান জোট এবং এইচএডিআর-এর প্রেক্ষিতে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে ফ্রাঞ্জ এগ্রিমেন্ট সীমিত সংখ্যক বিষয়ে ত্রিপাক্ষিক জোটগুলির কার্যকরী মনোনিবেশের উদাহরণ দর্শায় (এর মধ্যে ফ্রাঞ্জ এগ্রিমেন্ট সম্প্রতি কিংডম অব টোঙ্গায় আগ্নেয়গিরির ব্যাপক অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনার পরে আপৎকালীন সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তার কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে)। অতএব, ভারত-ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া প্রেক্ষাপটে সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সামুদ্রিক সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলির উপর একটি স্পষ্ট মনোযোগ প্রথাগত ও অপ্রথাগত উভয় নিরাপত্তা পদ্ধতিকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং এইচএডিআর-এর মতো কার্যকলাপগুলি অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে সমুদ্রে সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই, অবৈধ মাছ ধরার মোকাবিলা এবং পরিবেশগত সামুদ্রিক সুরক্ষা সংক্রান্ত সমস্যাকে সমাধানের চেষ্টা করে। এই পদ্ধতিটি আরও বেশি অর্থবহ। কারণ ফ্রান্স ‘সামুদ্রিক সম্পদ’ স্তম্ভটির জন্য দায়বদ্ধ এবং অস্ট্রেলিয়া ২০১৯ সালে ভারত দ্বারা সূচিত ইন্দো-প্যাসিফিক ওশেন ইনিশিয়েটিভ-এর (আইপিওআই) আওতায় ‘সামুদ্রিক পরিবেশ’ স্তম্ভটির নেতৃত্ব প্রদান করে।
বহুপাক্ষিক পরিসরে বাস্তবিক সহযোগিতা
বহুপাক্ষিকতাকে ‘বহাল রাখা ও সংস্কার’-এর(২৬) অগ্রাধিকারের ঊর্ধ্বে উঠে অঞ্চলের প্রধান বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়াগুলির সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ হওয়ার জন্য আইএফএ-র বিবৃত লক্ষ্যগুলি সীমিত সংখ্যক দেশের কাছ থেকে সম্পদ সংগ্রহের মাধ্যমে কার্যকর ভাবে অবদান রাখার ইচ্ছাকে দর্শায়, যাতে বৃহত্তর আঞ্চলিক সুচিন্তিত কাঠামোর মধ্যে কিছু আন্তর্দেশীয় সমস্যা সমাধানের জন্য গৃহীত প্রচেষ্টায় অবদান রাখা সম্ভব হয়। বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রগুলির মধ্যে চিহ্নিত অভিন্ন সাধারণ উদ্দেশ্যগুলিকে কার্যকর করার মাধ্যমে ক্ষুদ্রপাক্ষিক কাঠামোগুলি আঞ্চলিক ভাবে অঞ্চল-বহির্ভূত উদ্যোগের চেয়ে আরও ভাল ভাবে গৃহীত হতে পারে, ‘যার কার্যকরী তাত্পর্য কৌশলগত ও রাজনৈতিক প্রদর্শনের নিরিখে গৌণ বলে মনে হয়।’(২৭) প্রথম ঊর্ধ্বতন সরকারি বৈঠকের পর ভারতের বিবৃতিতে এই বিষয়ে ‘আসিয়ান (অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস), আইওআরএ (ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন) এবং ইন্ডিয়ান ওশান কমিশন-এর [আইওসি] মতো আঞ্চলিক সংস্থাগুলির মাধ্যমে’ বাস্তবিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।(২৮) কয়েক মাস পর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকটি ইন্ডিয়ান ওশান নেভাল সিম্পোজিয়াম (আইওএনএস), ইস্ট এশিয়া সামিট (ইএএস) এবং প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরামকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ত্রিপাক্ষিক পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্দেশ্যে প্রাসঙ্গিক আঞ্চলিক বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলির পরিসরকে বিস্তৃত করেছে। সর্বোপরি, যৌথ বিবৃতিটিতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ঊর্ধ্বে উঠে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিল এবং জি২০-র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বিত পদক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।(২৯)
সম্মিলিত কার্যকলাপের ঝুঁকি এবং ত্রিপাক্ষিক বিন্যাসের মধ্যে সংগৃহীত সংস্থানগুলি তিনটি দেশের জন্য উপলব্ধ একাধিক বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়াতেও উঠে এসেছে। এই উদ্যোগের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য এবং সেগুলি অর্জনের জন্য নিযুক্ত উপায়গুলি সম্পর্কে অস্পষ্টতা আঞ্চলিক অংশীদারদের কাছে সংলাপের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতার অভাব বৃদ্ধি করে। সর্বোপরি, বেশ কয়েকটি বহুপাক্ষিক সংস্থা তাদের সদস্যদের মধ্যে এই তিনটি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করে না, যা তিনটি দেশের মধ্যে বাস্তবিক ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতাকে জটিল করে তোলে। যেমনটা আইওসি-র ক্ষেত্রে দেখা যায়, যেখানে অস্ট্রেলিয়া একটি অংশগ্রহণকারী দেশ নয় এবং ভারত শুধু মাত্র পর্যবেক্ষকের মর্যাদা গ্রহণ করে; আবার ইএএস-এ ফ্রান্স অনুপস্থিত; এবং প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরাম-এ ভারত এবং ফ্রান্স শুধুমাত্র আলোচনার অংশীদার।(ক) অতএব ত্রিপাক্ষিক আলোচনাটি তিনটি দেশই সর্বতো ভাবে সম্পৃক্ত এ হেন বহুপাক্ষিক আয়োজনে বর্ধিত আন্তঃসহযোগিতার জন্য সূচিত ব্যবস্থা থেকে উপকৃত হবে (দ্রষ্টব্য পাদটীকা)।
নীল অর্থনীতি ও সামুদ্রিক পরিবেশের ক্ষেত্রে তিনটি দেশ আইওআরএ-র মধ্যে আঞ্চলিক পর্যায়ে সম্মিলিত ভাবে সম্মত উদ্দেশ্যগুলিকে সুসংহত ও কার্যকর করার জন্য তাদের সমন্বিত প্রচেষ্টাকে কাজে লাগাতে পারে। তা সে মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের মাধ্যমেই হোক(খ) অথবা সাম্প্রতিক সময়ে করা যৌথ রাজনৈতিক ঘোষণার মাধ্যমে।(গ) সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে ভারত, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া আইওএনএস-এর ভূমিকাকে সশক্ত করতে এবং আঞ্চলিক সামুদ্রিক নিরাপত্তায় কার্যকরী প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করতে ইতিবাচক অবদান রাখার পাশাপাশি তিনটি দেশের মধ্যে সমন্বয়, সংযোগ ও আন্তঃকার্যক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে ত্রিপাক্ষিক নৌ মহড়ার আয়োজন করতে পারে। ভারতের নেতৃত্বাধীন ইনফরমেশন ফিউশন সেন্টার ভারত মহাসাগর অঞ্চলে তৈরি এবং ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার লিয়াজঁ অফিসার-সহ সামুদ্রিক পরিসরে সচেতনতা সংক্রান্ত ত্রিপাক্ষিক তথ্য ভাগ করে নেওয়ার কর্মশালা এই প্রেক্ষিতে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।(৩০)
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শক্তি
ত্রিপাক্ষিক বিন্যাসের কার্যকারিতা ও সম্পাদনের জন্য তিনটি দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শক্তিও গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্কের মতো সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ফ্রান্স ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য ভাবে শক্তিশালী হয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক ধারণার একটি অভিন্ন সাধারণ সম্পৃক্ততা ও অভিন্ন বোঝাপড়ার মাধ্যমে এই শক্তিশালীকরণ বিশেষ ভাবে স্পষ্ট হয়েছে। উভয় দেশই কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন ও একটি বহুমুখী বিশ্বের জন্য একই উচ্চাকাঙ্ক্ষা ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশি অভিন্ন সাধারণ ধারণা দ্বারা আচ্ছাদিত ভৌগোলিক সুযোগের সাধারণ উপলব্ধিও ভাগ করে নেয়। দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন সাধারণ সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলির মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসবাদ দমন, জলদস্যুতা ও সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই, পরিবেশগত নিরাপত্তা এবং অবৈধ মাছ ধরার বিরুদ্ধে লড়াই। এই বর্ধিত সহযোগিতার সঙ্গে পরিচালন পর্যায়ে বর্ধিত নৌ সহযোগিতাও বিদ্যমান। এটি ২০১৯ ও ২০২২ সালে ভারত মহাসাগরে যৌথ মহড়া দ্বারা চিহ্নিত করা হয় এবং ২০১৮ সালের মার্চ মাসে একটি লজিস্টিক সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা লা রিইউনিয়ন-এ ফরাসি সামরিক ঘাঁটিতে ভারতীয় নৌবাহিনীকে প্রবেশাধিকার দিয়েছে। বৃহত্তর আঞ্চলিক স্তরে ২০২২ সালে ঘোষিত(৩১) ইন্দো-প্যাসিফিক পার্কস পার্টনারশিপ বৃহত্তর অঞ্চলের উপকার সাধনের জন্য দ্বিপাক্ষিক প্রচেষ্টার সুবিধা নিতে উভয় দেশের আগ্রহকেই দর্শিয়েছে।
যাই হোক, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অউকাস-এর ঘোষণা এবং দুই দেশের মধ্যে সাবমেরিন চুক্তি বাতিল হওয়ার পরে ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে একটি অভূতপূর্ব কূটনৈতিক সঙ্কট প্যারিস-নয়াদিল্লি-ক্যানবেরা অক্ষকেও প্রভাবিত করেছিল। এটি সদস্যদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পরিবর্তনের জন্য ত্রিপাক্ষিক প্রক্রিয়াগুলির সংবেদনশীলতাকেও তুলে ধরে। সঙ্কটটি ভারতের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার পাশাপাশি মিথস্ক্রিয়াকেও বাধা দিয়েছে এবং দ্বিতীয় বর্ষীয়ান কর্মকর্তাদের ওয়ার্কিং গ্রুপের সংগঠনকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করে, যেটি প্রাথমিক ভাবে ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধে হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।(৩২)
কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, এ হেন কারণগুলির সংমিশ্রণ দু’টি দেশের মধ্যে সম্পর্কের প্রগতিশীল স্বাভাবিকীকরণের দিকে চালিত করে: ক্যানবেরার ফ্রান্সকে ইন্দো-প্যাসিফিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসাবে স্বীকৃতি; চুক্তি বাতিলের জন্য ৮৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থপ্রদান; এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে ২০২২ সালের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ায় নেতৃত্বের পরিবর্তন।(৩৩) এটি ২০২২ সালের জুলাই মাসে অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের প্যারিস সফরের সময় স্পষ্ট হয়েছিল। সেই সময় অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্স একটি নতুন সহযোগিতার কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে একটি ঘনিষ্ঠ ও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছিল।(৩৪) সামরিক অবকাঠামোয় পারস্পরিক প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত চলমান আলোচনা ছাড়াও(৩৫) দ্বিতীয় ফ্রাঙ্কো-অস্ট্রেলিয়ান ২+২ ফরম্যাটের বৈঠক (বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের) ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য ১৫৫এমএম গোলাবারুদ তৈরির উদ্দেশ্যে একটি যৌথ প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়।(৩৬) বৈঠকের পরে জারি করা যৌথ বিবৃতিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এবং আরও বিস্তৃত ভাবে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য, এইচএডিআর এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত দ্বিপাক্ষিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলির কথাও তুলে ধরা হয়। এটি আইএফএ ত্রিপাক্ষিক কাঠামোর মধ্যে সুনির্দিষ্ট সহযোগিতার প্রচেষ্টার প্রাসঙ্গিকতাকে দর্শায়, বিশেষ করে যেহেতু এই সমস্যাগুলি অঞ্চলটিতে ফ্রান্স-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।(৩৭)
ত্রিপাক্ষিক আলোচনার পুনঃসূচনার প্রথমটি ট্র্যাক ১.৫ ফরম্যাটে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে রাইসিনা ডায়লগের পাশাপাশি এবং আরও আনুষ্ঠানিক ভাবে জুন মাসে দ্বিতীয় ফোকাল পয়েন্টস মিটিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। এটির উদ্দেশ্য ছিল তিনটি দেশের জন্য ত্রিপাক্ষিক উদ্যোগ পুনর্বিবেচনা করার নতুন সম্ভাবনা ও সুযোগ প্রদান করার পাশাপাশি সেই বিভিন্ন উদ্দেশ্যকে দৃঢ় ভাবে বাস্তবায়ন করা, যেগুলি প্রাথমিক ভাবে বিবেচিত হয়েছিল। এ ভাবে ২০২০ সাল থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে একটি ফলাফলভিত্তিক পদ্ধতিকে কেন্দ্র করে শক্তির সমন্বয় সাধন, প্রাসঙ্গিক বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়ার মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুনিশ্চিত করা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ফ্রান্স ও ভারতকে সম্পৃক্ত করে নতুন ত্রিপাক্ষিক প্রক্রিয়াগুলির কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। এ কথা ২০২৩ সালের জুলাই মাসের ফ্রান্স-ভারত রোডম্যাপেও বর্ণিত হয়েছে। এটি ভারত, ফ্রান্স এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যে নতুন ত্রিপাক্ষিক বিন্যাসের জন্য বিশেষ ভাবে সত্য, যা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যকর হয়েছিল।
ভারত-ফ্রান্স-ইউএই ত্রিপাক্ষিক জোট
ঠিক যেমন অউকাস ত্রিপাক্ষিক - যেখানে অস্ট্রেলিয়াকে সাবমেরিন সরবরাহ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল - ঘোষণা করা হয়েছিল, তেমনই ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ফ্রান্সের অন্তর্ভুক্ত আর একটি ত্রিপাক্ষিক নির্মাণের আলোচনাও চলছে। এই ত্রিপাক্ষিক জোটটি সদ্যোজাত অবস্থায় থাকলেও সেটি সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দ্বারা চালিত, যেগুলির শক্তিশালী রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তামূলক সমন্বয় রয়েছে।
চিত্র ২: ভারত-ফ্রান্স-ইউএই ত্রিপাক্ষিক জোটের সময়রেখা
সূত্র: লেখকের নিজস্ব
শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব
ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের সর্বাত্মক কৌশলগত অংশীদারিত্ব প্রাচীনতম, যা ১৯৯৮ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এটিতে নিরাপত্তা থেকে শুরু করে মহাকাশ এবং জলবায়ু থেকে শুরু করে নীল অর্থনীতির মতো ক্ষেত্রগুলিতে ব্যাপক আন্তঃসহযোগিতার কথা বলা হয়। ফ্রান্স একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষামূলক অংশীদার হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, বিশেষ করে যখন ভারত সামরিক আধুনিকীকরণের জন্য রাশিয়ার বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজছে। একই ভাবে, ইউএই উপসাগর থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরিপ্রেক্ষিতে বিকল্প অস্ত্র রফতানিকারক খুঁজতে গিয়ে সামরিক আধুনিকীকরণ কর্মসূচি শুরু করেছে। ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ফ্রেঞ্চ রাফাল জেটের ক্রেতা এবং ত্রিমুখী যৌথ মহড়া ও প্রশিক্ষণের পথও প্রশস্ত করে।
একই সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং ২০০৮ সাল থেকে বেশ কয়েকটি উচ্চ-পর্যায়ের সফরও ফ্রান্স-ইউএই সম্পর্ককে শক্তিশালী করেছে। আশ্চর্যের বিষয় হল এই, যেদিন অউকাস ঘোষণা করা হয়েছিল (২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর), সে দিনই ম্যাক্রোঁ প্যারিসে আমিরাতি নেতা মোহাম্মদ বিন জায়েদকে আপ্যায়ন করেছিলেন। ফ্রান্সের প্রথম উপসাগরীয় সামরিক ঘাঁটি আবু ধাবিতে বিদ্যমান এবং ফ্রান্সের পশ্চিম ভারত মহাসাগর (ডব্লিউআইও) অঞ্চলের মধ্য দিয়ে বিপুল পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি উপসাগরের বৃহত্তম ফরাসি সম্প্রদায়ের ৩৫০০০ বহিরাগত এবং ৬০০ সংস্থাকে জায়গা করে দিয়েছে।(৩৮) দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০২২ সালে ফ্রান্স একটি হুথি নেতৃত্বাধীন ড্রোন হামলার পর দেশগুলির সঙ্গে ১৯৯৫ সালের প্রতিরক্ষা চুক্তিকে পুনরায় সক্রিয় করে।(৩৯)
ভারত-ইউএই সম্পর্ক জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য রেমিট্যান্স প্রবাহের ঊর্ধ্বে উঠে সক্রিয় হয়েছে। ভারত-ইউএই সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে সম্পর্ক দ্রুত গতি পেয়েছে, যার লক্ষ্য হল ২০২২-২৩ সালে তেল-বহির্ভূত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পরিণত করা।(৪০) দু’টি দেশের মধ্যে অভিন্ন সাধারণ অর্থনৈতিক পরিপূরকতার বিষয়ও বিদ্যমান। যেমন দ্রুত বর্ধনশীল ভারতীয় অর্থনীতির জন্য প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহকারী হিসাবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে স্থান করে দেওয়া।
বছরের পর বছর ধরে আন্তঃ-উপসাগরীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফলে সামরিক ঘাঁটি ও বাণিজ্যিক বন্দরগুলি প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, যেখানে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি হল সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলির মধ্যে অন্যতম।(৪১) অন্য দিকে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও ফ্রান্স লিবিয়া ও পূর্ব ভূমধ্যসাগরের মতো আঞ্চলিক সমস্যাগুলির ক্ষেত্রে সমঝোতায় এসে পৌঁছেছে(৪২), যেখানে ভারতের পাশাপাশি তারা তুর্কিয়ের সঙ্গে প্রতিবন্ধকতাময় সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে গ্রিসের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে। পশ্চিম এশীয় পুনর্বিন্যাস যেমন সংযুক্ত আরব আমিরশাহি-ইজরায়েল সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণ এই অঞ্চলের সম্ভাবনাকে আরও উন্নত করবে।
ভৌগোলিক সম্ভাবনা
আইএফএ বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক নির্মাণের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের উপর মনোযোগ প্রদান করলেও, আইএফইউ-এর লক্ষ্য হল ভারত মহাসাগর, বিশেষ করে তিনটি মহাদেশ অর্থাৎ এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপের সংযোগস্থলে অবস্থিত ডব্লিউআইও উপ-অঞ্চল। ডব্লিউআইও ‘লোহিত সাগর থেকে শুরু করে পূর্ব আফ্রিকার উপকূল বরাবর ওমান উপসাগর এবং আরব সাগরের দ্বীপ দেশগুলি পর্যন্ত’ বিস্তৃত।(৪৩) আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক বাণিজ্যের একটি বড় অংশ এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে যোগাযোগের সমুদ্রপথ এবং হরমুজ প্রণালী, মোজাম্বিক চ্যানেল, বাব আল-মান্দাব প্রণালী এবং এডেন উপসাগরের মতো চোক পয়েন্ট বা সম্মিলিত বিন্দু। মৎস্যসম্পদ, প্রবাল প্রাচীর ও ম্যানগ্রোভের প্রাকৃতিক সম্পদের পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশাল শক্তির সম্পদের কারণে অঞ্চলটির গুরুত্ব বেড়েছে, যা সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও নৌচলাচলের স্বাধীনতাকে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
ভারতের সামুদ্রিক (অঞ্চলের সকলের জন্য নিরাপত্তা ও বৃদ্ধি) দৃষ্টিভঙ্গি ইন্দো-প্যাসিফিকের সংজ্ঞায় সমগ্র ভারত মহাসাগর এবং ডব্লিউআইও উপ-অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং এটি ‘এই অঞ্চলের সঙ্গে পুনরায় যুক্ত হওয়ার একটি উপায়’, বিশেষ করে চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রেক্ষাপটে।(৪৪) বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার মধ্যে ডব্লিউআইও ভারতের কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র গঠন করে, যেমনটা তার ২০১৫ সালের সামুদ্রিক কৌশলে চিহ্নিত করা হয়েছে(৪৫)। এর পাশাপাশি উপসাগরীয় এবং মরিশাস ও সেশেলেস-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপরাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনকে অপরিহার্য করে তোলে। এটি একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রদানকারী হিসেবে ভারতের নৌবাহিনীর উপস্থিতিরও ব্যাখ্যা করে, বিশেষ করে এইচএডিআর অপারেশনের মতো অপ্রচলিত নিরাপত্তা এলাকায় এবং তানজানিয়া ও মোজাম্বিকের মতো দেশগুলির সঙ্গে পোর্ট কল বা বন্দর আহ্বান এবং যৌথ নৌ মহড়ার মাধ্যমে।(৪৬) ভারত পশ্চিম এশিয়াকে তার বর্ধিত প্রতিবেশী হিসেবে বিবেচনা করে এবং উপসাগরীয় অঞ্চলে তার অংশীদারিত্বের মধ্যে রয়েছে সুবিশাল প্রবাসী জনসংখ্যার নিরাপত্তা। সুতরাং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গে একটি কৌশলগত উপস্থিতি ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আফ্রিকাকে কেন্দ্র করে ভারত আফ্রিকা মহাদেশের সঙ্গে নিজের সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যেমনটা ভারতের জি২০ সভাপতিত্বের সময় স্পষ্ট হয়েছিল।
একই ভাবে ফ্রান্স ‘জিবুতি থেকে পলিনেশিয়া পর্যন্ত’ ইন্দো-প্যাসিফিকের সুবিশাল ভৌগোলিক সংজ্ঞা-সহ তার ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে ডব্লিউআইওকে এবং ভারত মহাসাগরে তার পছন্দের অংশীদার হিসাবে ভারতকে প্রাধান্য দেয়।(৪৭) ১.৬ মিলিয়নেরও বেশি ফরাসি নাগরিক এবং প্রধান একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল-সহ ফ্রান্স তার মায়োট ও রিইউনিয়নের বিদেশী অঞ্চলগুলির মাধ্যমে ডব্লিউআইও-তে একটি আবাসিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এটি ডব্লিউআইও-তে ফ্রান্সের পরবর্তী সামরিক উপস্থিতির ব্যাখ্যা প্রদান করে, যার মধ্যে মায়োট, রিইউনিয়ন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ঘাঁটি ছাড়াও তার পূর্ববর্তী উপনিবেশ জিবুতিতে একটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
এই ভাবে ভারত এবং ফ্রান্স উভয়ের জন্যই ডব্লিউআইও অঞ্চলের গুরুত্বের মধ্যে সুনির্দিষ্ট সমন্বয় ঘটেছে, যেখানে উভয় দেশের লক্ষ্যই হল অঞ্চলটিতে স্থিতিশীলতা প্রদান করা। তবুও ভারতের আরও তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তার সীমান্তে ও ইউরোপে ফ্রান্সের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ, আফ্রিকায় যথেষ্ট ঔপনিবেশিক অতীতের বোঝা ছাড়াও ভারতীয় এবং ফরাসি ক্ষমতাকে সীমিত করে এবং অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতাকে স্বার্থ অর্জনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে। এখানেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি আরও অধিক উচ্চাভিলাষী বৈদেশিক নীতি তৈরি করেছে, প্রধানত তা তেলভিত্তিক অর্থনীতি থেকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য এবং জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনার মাধ্যমে একটি বিশিষ্ট আঞ্চলিক কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যকেই দর্শায়।(৪৮) আন্তঃ-উপসাগরীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিপ্রেক্ষিতে মহাদেশ জুড়ে ‘নোড অব দ্য নোডস’ হওয়ার ইউএই-র লক্ষ্য অর্জনের জন্য(৪৯) শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, মায়ানমার এবং মোজাম্বিকের সঙ্কট থেকে ডব্লিউআইও-কে সুরক্ষিত রাখা অত্যাবশ্যক, যা বাণিজ্যপথের স্থিতিশীলতা এবং সংযোগ বৃদ্ধিকে সুনিশ্চিত করে। তার ‘স্ট্রিং অব পোর্ট’ কৌশলের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এই অঞ্চলের বন্দরে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে এবং আফ্রিকাতে নিজের কৌশলগত উপস্থিতি প্রসারিত করেছে।(৫০) সুতরাং, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি চিনের 'ঋণ-ফাঁদ কূটনীতি' এবং তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে অবকাঠামো প্রকল্পগুলির একটি বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প হয়ে উঠেছে। ২০১৭ সালে হর্ন অফ আফ্রিকার উপকূলে জিবুতিতে একটি কৌশলগত ঘাঁটির মতো নৌ ও সামরিক মোতায়েন বৃদ্ধি চিনের আগ্রাসী বিনিয়োগের পাশাপাশি সংযুক্ত হয়েছে।
আইএফএ-র তুলনায় আইএফইউ ত্রিপাক্ষিক ভারতের জন্য আরও কার্যকর হতে পারে। কারণ এর স্বার্থগুলি প্রশান্ত মহাসাগরের চেয়ে ভারত মহাসাগরের উপর বেশি মনোযোগ প্রদান করেছে। ফ্রান্স ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরের দেশ এবং উভয় মহাসাগরেই তার ঔপনিবেশিক অঞ্চল রয়েছে।(৫১) এর বিপরীতে অস্ট্রেলিয়া ইন্দো-প্যাসিফিককে সংজ্ঞায়িত করার জন্য একটি সংকীর্ণ ভৌগোলিক সুযোগ প্রদান করে এবং প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়ার সময় শুধু মাত্র পূর্ব ভারত মহাসাগর অঞ্চলকে (এবং ডব্লিউআইও নয়) অন্তর্ভুক্ত করে।(৫২) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নজরে প্রশান্ত মহাসাগর থাকলেও আফ্রিকার দেশগুলিকে সমন্বিত করার লক্ষ্যে সমগ্র ভারত মহাসাগরকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইন্দো-প্যাসিফিকের সংজ্ঞা প্রসারিত করেছে। পূর্ব ভারত মহাসাগর মার্কিন মনোযোগের আওতায় থাকলেও ডব্লিউআইও মূলত অবহেলিত রয়ে গিয়েছে(৫৩) ,যা আইএফইউ-এর ত্রিপাক্ষিকের সমস্যা সমাধানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শূন্য স্থান সৃষ্টি করেছে।
তৃতীয় উপায়ের সন্ধান
যে প্রধান কারণটি আইএফইউ ত্রিপাক্ষিক জোটটিকে আইএফএ থেকে আলাদা করে, তা হল এর দৃষ্টিভঙ্গি। অস্ট্রেলিয়ার বিপরীতে, এর মূল অংশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার একমেরু বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি-সহ ভারত, ফ্রান্স ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি একটি সমৃদ্ধ বহুমুখী ক্রমের আকাঙ্ক্ষা রাখে, যা তাদের কৌশলগত বিকল্পগুলি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
আইএফইউ ত্রিপাক্ষিকটি তিনটি মধ্যম শক্তিকে একত্রিত করে, যার প্রত্যেকটি কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন সংরক্ষণে গভীর আগ্রহের পাশাপাশি ‘একটি রাষ্ট্রের ক্ষমতার জাতীয় স্বার্থ অনুসরণ করতে এবং অন্য রাষ্ট্র দ্বারা কোনও উপায়ে বাধা না দিয়ে তার পছন্দের বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করতে সক্ষম করে।’(৫৪) বৈচিত্র্যময় অংশীদারিত্ব এই কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন বৃদ্ধি করার একটি মাধ্যম এবং এমন একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে, যা উচ্চতর মার্কিন-চিন শক্তি প্রতিযোগিতার ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বৃহত্তর গতি অর্জন করেছে।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ম্যাক্রোঁ এই পদ্ধতির রূপরেখা দিয়ে বলেছিলেন, ‘ফ্রান্সের লক্ষ্য হল অথর্ব করে তোলা ব্যাপক বিভাজনের কাছে নতি স্বীকার করা নয়, তবে প্রতিটি অঞ্চলের সঙ্গে কী ভাবে বিনিময় চালিয়ে যাওয়া যায় এবং নতুন জোট নির্মাণ করা যায়, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা।’(৫৫) ভারতের জন্যও আন্তর্জাতিক অভিন্ন সাধারণ লক্ষ্য সুরক্ষিত করার জন্য অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা চালানো একটি নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে কোনও জোট বাঁধার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।(৫৬) সংযুক্ত আরব আমিরশাহির একটি ‘বহুমুখী’ বিদেশনীতি রয়েছে, যেখানে দেশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো চিরাচরিত অংশীদারদের সঙ্গে তার সম্পর্ক বৃদ্ধি করার জন্য ভারত ও ফ্রান্সের পাশাপাশি চিনের সঙ্গেও অংশীদারিত্ব চালায়।
সর্বোপরি, বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্রপাক্ষিক (যেমন কোয়াড এবং আইটুইউটু) এবং নিরাপত্তা জোট (যেমন অউকাস) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অন্তর্ভুক্ত করে, যাকে প্রায়শই পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার চালিকাশক্তি বলে মনে করে। সর্বোপরি, অউকাস থেকে অবমাননাকর ফরাসি অভিজ্ঞতা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ৫জি নেটওয়ার্কে হুয়াইয়ের সঙ্গে সীমিত করার পাশাপাশি মার্কিন এফ-৩৫ ফাইটার জেট অর্জনের চাপ(৫৭) এবং লক্ষদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জের মতো এলাকায় মার্কিন নৌ উপস্থিতি সম্প্রসারণে ভারতের আপত্তি(৫৮) আইএফইউ ত্রিপাক্ষিকের পক্ষে অধিকতর বিশ্বাসযোগ্যতা প্রদান করেছে।
চিন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে একটি চিনা সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সম্পর্কও সম্প্রসারিত হচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ‘ভারত মহাসাগর, হর্ন অফ আফ্রিকা এবং লোহিত সাগরের মূল সামুদ্রিক চেকপয়েন্টগুলিতে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণের বাণিজ্যিক বৃহৎ কৌশল আখেরে আবু ধাবিকে বেজিংয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’(৬০) চিনের প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি সত্ত্বেও কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের অগ্রাধিকারের অর্থ হল ভারত, ফ্রান্স ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি তাদের বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তিশালী অবস্থার কারণে নয়, বরং পার্থক্যের পরিবর্তে সাযুজ্যতার উপর মনোনিবেশ করে।
সহযোগিতার নিরিখে অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্র
ভারত ও ফ্রান্সের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বিন্যাসে যোগদানের জন্য নানাবিধ কারণের দরুন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে একটি আদর্শ দেশ হিসেবে মনে করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে একটি প্রগতিশীল বিদেশনীতি, পশ্চিম এশিয়ায় দেশটির একটি কৌশলগত অবস্থান, ভারত ও ফ্রান্স উভয়ের সঙ্গেই শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব, মাত্র ৯ মিলিয়ন জনসংখ্যাসম্পন্ন একটি দেশের জন্য আর্থিক সম্পদের একটি ভাণ্ডার এবং কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের জন্য একটি অভিন্ন সাধারণ আগ্রহ।
ত্রিপাক্ষিক বিন্যাসটি প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা সত্ত্বেও তিনটি দেশের মধ্যে অভিন্নতা ও পরিপূরক সহযোগিতা নির্মাণের উদ্দেশ্যে একটি শক্তিশালী অনুপ্রেরণা জোগায়। নিম্নলিখিত অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলি — যেগুলির মধ্যে কয়েকটি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত সহযোগিতার জন্য রোডম্যাপে চিহ্নিত করা হয়েছে — এই বিন্যাসের সম্ভাব্যতাকে সর্বাধিক করতে সাহায্য করতে পারে এবং কাজভিত্তিক ফলাফল প্রদান করতে পারে।(৬১)
• নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা
রোডম্যাপটিতে সহযোগিতার একটি ক্ষেত্র হিসাবে যৌথ উন্নয়ন ও সহ-উৎপাদন সহ প্রতিরক্ষার কথাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় এবং আমিরাতি দ্বারা ফরাসি রাফাল বিমানের ক্রয় দৃঢ় ভিত্তি প্রদান করে এবং প্রমাণ করে যে, ফ্রান্স মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় নামমাত্র পূর্বশর্ত-সহ একটি কম জটিল অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হয়ে উঠেছে। ভারতের রাফালের জন্য আমিরাতি বিমান বাহিনীর মধ্য আকাশে জ্বালানি প্রদানের মতো ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ত্রিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গঠন করেছে।(৬২) ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি তাদের দেশীয় প্রতিরক্ষা দক্ষতা বিকাশের লক্ষ্যে আসীন এবং ফ্রান্সের মাধ্যমে ত্রিপাক্ষিক প্রযুক্তি হস্তান্তরে অবদান রাখতে পারে। তিনটি দেশ জুড়ে সংস্থাগুলি সহ-উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে নিযুক্ত রয়েছে; উদাহরণস্বরূপ, ভারতের হ্যাল এবং ইউএই-র এজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং মনুষ্যবিহীন আকাশযান তৈরির পরিকল্পনা করেছে।(৬৩)
সামুদ্রিক নিরাপত্তা আর একটি প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্র। ওমানের উপসাগরীয় ত্রিপাক্ষিক মহড়ার উপর ভিত্তি করে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক অনুশীলনগুলি নির্দিষ্ট চোকপয়েন্টগুলিতে মনোনিবেশ করতে এবং মাছ ধরা, জলদস্যুতা ও অন্যান্য অবৈধ কার্যকলাপের উপর নজরদারি করার জন্য ত্রিপাক্ষিক জোটকে কাজে লাগাতে পারে। ত্রিপাক্ষিকটি ডব্লিউআইও-র উপকূলীয় রাজ্য এবং সেই সব ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলির নিরাপত্তা বিকল্পও প্রদান করতে পারে, যাদের ক্ষমতা সীমিত এবং স্থিতিশীলতার জন্য যারা বাইরের শক্তির উপর নির্ভর করে। নজরদারি, সামুদ্রিক পরিসরে সচেতনতা, এবং এইচএডিআর কার্যক্রমে জড়িত থাকার জন্য ক্ষেত্র প্রদান করতে পারে এই ত্রিপাক্ষিকটি। সামুদ্রিক সম্পদের পরিবেশগত ব্যবহারের মাধ্যমে নীল অর্থনীতিতে অগ্রগতির লক্ষ্যে নির্মিত আইপিওআই এবং তৃতীয় কোনও দেশ থেকে স্থিতিশীলতার উপর মনোযোগ প্রদানকারী স্টার্ট-আপগুলিকে সমর্থন করার লক্ষ্যে ভারত-ফ্রান্স ত্রিভুজাকার উন্নয়নমূলক সহযোগিতা তহবিলও পথ দেখাতে পারে।(৬৪)
• জ্বালানি সহযোগিতা
ভারত ও ফ্রান্সের নেতৃত্বে তিনটি দেশই ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স-এর (আইএসএ) সদস্য হওয়ায় জ্বালানির রূপান্তর একটি অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিশ্বব্যাপী বিশ্বের সবচেয়ে সাশ্রয়ী সৌর বিদ্যুৎ রয়েছে যার মূল্য প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় ২.৫ সেন্ট,(৬৫) এবং জীবাশ্ম জ্বালানির সঙ্গে তার চিরাচরিত সম্পর্ক থেকে সরে গিয়ে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগ, যেমন হাইড্রোজেন প্রযুক্তির উন্নয়ন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য ক্ষমতা বৃদ্ধির ত্রিপাক্ষিকীকরণ করা যেতে পারে। ত্রিপাক্ষিকটি দূষণমুক্ত জ্বালানির সমাধান প্রদান করতে পারে এবং আফ্রিকার দেশগুলিতে জলবায়ু-সহনশীল অবকাঠামো তৈরি করতে পারে, যার মধ্যে অনেকেই আইএসএ-র সদস্য। জলবায়ু-সংরক্ষিত দ্বীপরাষ্ট্রগুলিতে এ হেন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
• খাদ্য নিরাপত্তা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিঘ্নিত প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টিও আইএফইউ ত্রিপাক্ষিকের মনোযোগের কেন্দ্রে উঠে আসতে পারে। গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড ক্রাইসিস অনুমান করে যে, ২০২২ সালে ৫৮টি দেশে ২৫৮ মিলিয়ন মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছিলেন।(৬৬) ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ইতিমধ্যেই আইটুইউটু-র মাধ্যমে এই ক্ষেত্রে সহযোগিতা চালাচ্ছে, যেখানে আমিরাতি অর্থায়নে ভারতে কৃষি উদ্যান নির্মাণ করছে। ফ্রান্স তার কৃষি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের জন্য সুপরিচিত এবং আইটুইউটু-র সঙ্গে উদ্যোগের সম্ভাব্য অভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও, এই আকারের একটি সমস্যার সমাধানে আসলে একাধিক দেশের তরফে মনোযোগ প্রয়োজন। উপরন্তু, আব্রাহাম অ্যাকর্ড এবং ইজরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের উপর ভিত্তি করে জোটটির প্রেক্ষিতে ইজরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ আইটুইউটু-র অধীনে কিছু উদ্যোগকে প্রভাবিত করতে পারে।
• জোট-বহির্ভূত দেশে উন্নয়ন প্রকল্প
ত্রিপাক্ষিকটি ভারত ও জাপানের মধ্যে এশিয়া-আফ্রিকা গ্রোথ করিডোর থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে যেখানে আফ্রিকার উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে মনোযোগ প্রদান করা হয়েছে। ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ইতিমধ্যেই তানজানিয়া এবং কেনিয়াতে স্বাস্থ্যসেবা খাতে যৌথ প্রকল্প রয়েছে। এই পরিসরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দক্ষতার প্রেক্ষিতে ডব্লিউআইও অঞ্চলে সংযোগ এবং বৃদ্ধি জোরদার করতে বাণিজ্য এবং লজিস্টিক অবকাঠামোকে (যেমন বন্দর) অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে।
ত্রিপাক্ষিকটি ভারত মহাসাগরের মনোনিবেশ করলেও প্রতিটি দেশ পৃথক ভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবকাঠামো নির্মাণ করছে, যেখানে ম্যাক্রোঁ ‘একটি নতুন সাম্রাজ্যবাদের’ বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক করেছিলেন।(৬৭) ইউএই জলবায়ু-সংরক্ষিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলির পুনর্নবীকরণযোগ্য প্রকল্পগুলিতে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি ব্যয় করেছে(৬৮) এবং ভারত ফিজিতে একটি সুপারস্পেশ্যালিটি কার্ডিওলজি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের দেশগুলিতে তার সৌর স্টার-সি উদ্যোগকে প্রসারিত করছে।(৬৯) ত্রিপাক্ষিক জোটটি এই বিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে পারে এবং একটি বৃহত্তর পার্থক্য দূরীকরণে সক্ষমতার ভাণ্ডার নির্মাণ করতে পারে।
• সন্ত্রাসবাদ
অ-রাষ্ট্রীয় শক্তির তরফে চরমপন্থা তিনটি দেশকেই প্রভাবিত করেছে এবং বার্ষিক সন্ত্রাসবাদবিরোধী ওয়ার্কিং গ্রুপের মাধ্যমে যথেষ্ট দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ত্রিপাক্ষিক জোটটি রাষ্ট্রপুঞ্জে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের উপর সর্বাত্মক কনভেনশন গ্রহণের জন্য চাপ দিতে পারে, যা সন্ত্রাসবাদের একটি সর্বজনীন সংজ্ঞা ও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর জন্য তহবিল ও নিরাপদ আশ্রয়কে অস্বীকার করার একটি আইনি কাঠামো প্রদান করে।(৭০) কাউন্টার-টেররিজম কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার অন্য সদস্যদের উৎসাহিত করতে পারে, যারা ১৯৯৬ সালে ভারত কর্তৃক প্রথম প্রস্তাবিত কনভেনশনে আলোচনায় আসার বিরোধিতা করেছিল।
• সহযোগিতার অন্যান্য ক্ষেত্র
রোডম্যাপটি যৌথ প্রকল্পের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক সহযোগিতাকেও চিহ্নিত করে। আবু ধাবি ইতিমধ্যেই ফ্রান্সের ল্যুভর মিউজিয়ামের একটি শাখা এবং ফরাসি বিশ্ববিদ্যালয় ইনসিড ও সরবনের ক্যাম্পাস (বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ) পরিচালনা করেছে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিও আমিরশাহির রাজধানীতে একটি ক্যাম্পাস খুলতে চলেছে। কিন্তু শিক্ষা বিনিময় বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জার্মানিতে ৩৪০০০ ছাত্রের তুলনায় বর্তমানে মাত্র ১০০০০ ভারতীয় ছাত্র ফ্রান্সে পড়াশোনা করে।(৭১)
যেহেতু ফ্রান্স এবং ইউএই ভারতের ইউনাইটেড পেমেন্টস ইন্টারফেস সিস্টেম গ্রহণ করেছে - যা নগদহীন লেনদেনকে সহজতর করে - তাই ত্রিপাক্ষিকটি ভারতের ডিজিটাল পাবলিক অবকাঠামো ও পরিষেবাগুলিকে গ্লোবাল সাউথের উন্নয়নশীল দেশগুলিতে সম্প্রসারণ করতে ভূমিকা পালন করতে পারে, যাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে উত্সাহিত করা যায় এবং ডিজিটাল বিভাজনের মাঝে সেতু নির্মাণ করা যায়।
উপসংহার
আইএফইউ তিনটি দেশের প্রতিটি দেশের পরিপূরক সুবিধাগুলিকে একত্রিত করে। যেমন, আমিরাতি আর্থিক সক্ষমতা, ভারতীয় মানবসম্পদ এবং ফরাসি প্রযুক্তি। এই শক্তিগুলিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে ত্রিপাক্ষিক জোটটি ডব্লিউআইও এবং বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল উভয় ক্ষেত্রেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভারসাম্যমূলক ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি বৃহৎ শক্তি প্রতিযোগিতার সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত অন্য দেশগুলির বিকল্পও প্রদান করে। কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন সংরক্ষণ এবং জনসাধারণের পণ্য সরবরাহের উপর মনোনিবেশ করে আইএফইউ ত্রিপাক্ষিক জোটটি অভ্যন্তরীণ ভূ-রাজনৈতিক বৈচিত্র্যের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ, যা তার কর্মসূচি এবং সংহতিকে হ্রাস করে। তবুও, এ কথা লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, আইএফইউ-এর মাধ্যমে এই ফলাফলগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি ও সহযোগিতা এই প্রকৃতি ও মাত্রার সংঘাতের সঙ্গে জড়িত ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে ইজরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ কী ভাবে বিকশিত হয়, তার উপর নির্ভর করতে পারে।
আইএফএ-এর প্রতি আরও সমালোচনামূলক পদ্ধতির পাশাপাশি এই রোডম্যাপটিতে উভয় ত্রিপাক্ষিক বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন পন্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুরনো ত্রিপাক্ষিকটি এখনও উল্লেখযোগ্য ফলাফল অর্জন করতে পারেনি। অন্য দিকে আইএফইউ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। অতএব, রোডম্যাপটি এই ত্রিপাক্ষিক জোটের প্রতি আরও ভবিষ্যৎমুখী এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে।
সংযোজন: মূল বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়ায় সদস্যপদ
সংস্থা ও গোষ্ঠী (আন্তর্জাতিক)
|
ভারত
|
ফ্রান্স
|
অস্ট্রেলিয়া
|
সংযুক্ত আরব আমিরশাহি
|
ইউএন সিকিউরিটি কাউন্সিল
|
না
|
না
|
না
|
না
|
জি২০
|
না
|
না
|
না
|
ভারতের সভাপতিত্বের সময়ে অতিথি দেশ
|
জি৭
|
না
|
না
|
না
|
না
|
ব্রিকস
|
না
|
না
|
না
|
নতুন সদস্য
|
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট
|
না
|
হ্যাঁ
|
হ্যাঁ
|
ওইসিডি ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স কমিটির (ডিএসি) সদস্য
|
সংস্থা ও গোষ্ঠী (আঞ্চলিক)
|
ভারত
|
ফ্রান্স
|
অস্ট্রেলিয়া
|
সংযুক্ত আরব আমিরশাহি
|
ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওআরএ)
|
হ্যাঁ
|
হ্যাঁ
|
হ্যাঁ
|
হ্যাঁ
|
ইন্ডিয়ান ওশান কমিশন (আইওসি)
|
পর্যবেক্ষক
|
হ্যাঁ
|
না
|
না
|
প্যাসিফিক কমিউনিটি
|
না
|
হ্যাঁ
|
হ্যাঁ
|
না
|
প্যাসিফিক আইল্যান্ড ফোরাম
|
ডায়লগ পার্টনার
|
ডায়লগ পার্টনার (ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া এবং নিউ ক্যালিডোনিয়া সদস্য)
|
হ্যাঁ
|
না
|
সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)
|
হ্যাঁ
|
না
|
না
|
ডায়লগ পার্টনার
|
এপিজি (এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং)
|
হ্যাঁ
|
পর্যবেক্ষক
|
হ্যাঁ
|
পর্যবেক্ষক
|
ডায়লগ অ্যান্ড ফোরাম (আঞ্চলিক)
|
ভারত
|
ফ্রান্স
|
অস্ট্রেলিয়া
|
সংযুক্ত আরব আমিরশাহি
|
ইস্ট এশিয়া সামিট (এইএস)
|
হ্যাঁ
|
না
|
হ্যাঁ
|
না
|
আসিয়ান রিজিওনাল ফোরাম (এআরএফ)
|
হ্যাঁ
|
ইউ-এর মাধ্যমে সদস্য
|
হ্যাঁ
|
না
|
ইন্দো-প্যাসিফিক ওশানস ইনিশিয়েটিভ (আইপিওআই)
|
হ্যাঁ
|
হ্যাঁ
|
হ্যাঁ
|
না
|
এডিএমএম+
|
হ্যাঁ
|
না
|
হ্যাঁ
|
না
|
ইন্ডিয়ান ওশান নেভাল সিম্পোজিয়াম (আইওএনএস)
|
হ্যাঁ
|
হ্যাঁ
|
হ্যাঁ
|
হ্যাঁ
|
ওয়েস্টার্ন প্যাসিফিক নেভাল সিম্পোজিয়াম (ডব্লিউপিএনএস)
|
পর্যবেক্ষক
|
হ্যাঁ
|
হ্যাঁ
|
না
|
সাউথ প্যাসিফিক ডিফেন্স মিনিস্টারস’ মিটিং (এসপিডিএমএম)
|
না
|
হ্যাঁ
|
হ্যাঁ
|
না
|
কনফারেন্স অন ইন্টার্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স-বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়া (সিআইসিএ)
|
হ্যাঁ
|
না
|
না
|
হ্যাঁ
|
এশিয়া-ইউরোপ মিটিং (এএসইএম)
|
হ্যাঁ
|
হ্যাঁ
|
হ্যাঁ
|
না
|
এশিয়া-মিডল ইস্ট ডায়লগ (এএমইডি)
|
হ্যাঁ
|
না
|
না
|
হ্যাঁ
|
ইনফর্মেশন শেয়ারিং সেন্টার (আঞ্চলিক)
|
ভারত
|
ফ্রান্স
|
অস্ট্রেলিয়া
|
সংযুক্ত আরব আমিরশাহি
|
আরইসিএএপি ইনফর্মেশন শেয়ারিং সেন্টার
|
হ্যাঁ
|
না
|
হ্যাঁ
|
না
|
ইনফর্মেশন ফিউশন সেন্টার (আইএফসি)
|
না
|
হ্যাঁ
|
হ্যাঁ
|
না
|
ইনফর্মেশন ফিউশন সেন্টার – ইন্ডিয়ান ওশান রিজিয়ন (আইএফসি – আইওআর)
|
হ্যাঁ
|
হ্যাঁ
|
হ্যাঁ
|
না
|
পাদটীকা
[ক] ফ্রান্সকে আলোচনার একটি অংশীদার হিসাবে বিবেচনা করা হলে ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া এবং নিউ ক্যালেডোনিয়া অঞ্চলগুলি ফোরামের ১৮ স্থায়ী সদস্যের অংশ হবে।
[খ] ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে নীল অর্থনীতিতে; ২০১৭ সালে মৎস্য সম্পদের ব্যবস্থাপনা এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের উপর; এবং ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উপর।
[গ] যেমন ২০১৯ সালে ঢাকা ডিক্লেয়ারেশন অন ব্লু ইকোনমি; ২০১৮ সালে দিল্লি ডিক্লেয়ারেশন অন রিনিউয়েবল এনার্জি ইন দ্য ইন্ডিয়ান ওশান রিজিয়ন; এবং ২০১৩ সালে ডিক্লেয়ারেশন অফ আইওআরএ অন দ্য প্রিন্সিপালস ফর পিসফুল, প্রোডাক্টিভ অ্যান্ড সাস্টেনেবল ইউজ অব দি ইন্ডিয়ান ওশান অ্যান্ড ইটস রিসোর্সেস।
১) মিনিস্ট্রি অফ এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স, গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া-ফ্রান্স ইন্দো-প্যাসিফিক রোডম্যাপ, জুলাই ১৪, ২০২৩, https://mea.gov.in/bilateral-documents.htm?dtl/36799/IndiaFrance+IndoPacific+Roadmap.
২) মিনিস্ট্রি অফ এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স, গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, জয়েন্ট স্ট্র্যাটেজিক ভিশন অফ ইন্ডিয়া-ফ্রান্স কোঅপারেশন ইন দি ইন্ডিয়ান ওশান রিজিয়ন, মার্চ ১০, ২০১৮, https://www.mea.gov.in/bilateral-documents.htm?dtl/29598.
৩) মিনিস্ট্রি অফ এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স, গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া-ফ্রান্স ইন্দো-প্যাসিফিক রোডম্যাপ
৪) মিনিস্ট্রি অফ ইউরোপ অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স (ফ্রান্স), জুন ৯, ২০২০, https://www.diplomatie.gouv.fr/fr/politique-etrangere-de-la-france/la-france-et-l-europe/evenements-et-actualites-lies-a-la-politique-europeenne-de-la-france/actualites-europeennes/article/union-europeenne-participation-de-jean-baptiste-lemoyne-a-la-visioconference.
৫) মিনিস্ট্রি অফ ইউরোপ অ্যান্ড ফরেন অ্যাফেয়ার্স, ফ্রেঞ্চ গভর্নমেন্ট, ট্রিটি বিটুইন দ্য ফ্রেঞ্চ রিপাবলিক অ্যান্ড দি ইটালিয়ান রিপাবলিক, ফর এনহ্যান্সড বাইল্যাটেরাল কোঅপারেশন, নভেম্বর ২৬, ২০২১, https://www.diplomatie.gouv.fr/IMG/pdf/26_11_2021_traite_bilateral_franco-italien_cle07961c.pdf.
৬) মিনিস্ট্রি অফ ইউরোপ অ্যান্ড ফরেন অ্যাফেয়ার্স, ফ্রেঞ্চ গভর্নমেন্ট, ফ্রেঞ্চ প্রোপোজালস ফর রিভাইজিং দি ইইউ’স ট্রেড পলিসি স্ট্র্যাটেজি, নভেম্বর ২০, ২০২০, https://www.diplomatie.gouv.fr/IMG/pdf/propositions_francaises_pour_la_revision_de_la_strategie_de_politique_commerciale_de_l_ue_cle8efbbc.pdf.
৭) সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর, দি ইন্ডিয়া ওয়ে- স্ট্র্যাটেজিস ফর অ্যান আনসার্টেন ওয়ার্ল্ড (হার্পার কলিন্স ইন্ডিয়া, ২০২০), পৃষ্ঠা ৩৭
৮) আর্শি তিরকে, ‘মিনিল্যাটেরালিজম- ওয়েইং দ্য প্রস্পেক্টস ফর কোঅপারেশন অ্যান্ড গভর্ন্যান্স’, ওআরএফ ইস্যু ব্রিফ নম্বর ৪৮৯, সেপ্টেম্বর ২০২১, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন,
https://www.orfonline.org/research/minilateralism-weighing-prospects-cooperation-governance/.
৯) অ্যালিস প্যানিয়ার, ‘মিনিল্যাটেরালিজম- আ নিউ ফর্ম অব ডিফেন্স কোঅপারেশন’, নম্বর ১, ২০১৫, পৃষ্ঠা ৩৭-৪৮, পলিটিক এত্রানজেরে, https://www.cairn.info/revue-politique-etrangere-2015-1-page-37.htm.
১০) সুং-মি কিম, সেবাস্তিয়ান হগ এবং সুসান হ্যারিস রিমার, ‘মিনিল্যাটেরালিজম রিভিজিটেড- এমআইকেটিএ অ্যাজ স্লেন্ডার ডিপ্লোমেসি ইন আ মাল্টিপ্লেক্স ওয়ার্ল্ড’, গ্লোবাল গভর্ন্যান্স ২৪, ৪, পৃষ্ঠা ৪৭৮ (২০১৮), https://www.researchgate.net/publication/332154294_Minilateralism_Revisited_MIKTA_as_Slender_Diplomacy_in_a_Multiplex_World.
১১) প্যানিয়ার, ‘মিনিল্যাটেরালিজম- আ নিউ ফর্ম অব ডিফেন্স কোঅপারেশন’
১২) সাক্ষাৎকার, নয়াদিল্লি, মার্চ ২০২৩
১৩) ডেলফিন অ্যালেস এবং থিবল্ট ফোর্নল, ‘মাল্টিল্যাটেরালিজমস অ্যান্ড মিনিল্যাটেরালিজমস ইন দি ইন্দো-প্যাসিফিক। আর্টিকুলেশনস অ্যান্ড কনভার্জেন্স ইন আ কনটেক্সট অব স্যাচুরেশন অব কোঅপারেটিভ অ্যারেঞ্জমেন্টস’, ফাউন্ডেশন পোর লা রেচেরকে স্ট্র্যাটেজিক, জুন ২৮, ২০২৩, https://www.frstrategie.org/en/publications/recherches-et-documents/multilateralisms-and-minilateralisms-indo-pacific-articulations-and-convergences-context-saturation-cooperative-arrangements-2023.
১৪) অ্যালেস এবং ফোর্নল, ‘মাল্টিল্যাটেরালিজমস অ্যান্ড মিনিল্যাটেরালিজমস ইন দি ইন্দো-প্যাসিফিক। আর্টিকুলেশনস অ্যান্ড কনভার্জেন্স ইন আ কনটেক্সট অব স্যাচুরেশন অব কোঅপারেটিভ অ্যারেঞ্জমেন্টস’
১৫) ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড, গভর্নমেন্ট অফ অস্ট্রেলিয়া, https://www.dfat.gov.au/news/media-release/first-australia-india-france-trilateral-dialogue.
১৬) ফ্রেঞ্চ গভর্নমেন্ট, স্টেটমেন্ট বাই মিস্টার এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, প্রেসিডেন্ট অব দ্য রিপাবলিক, অন রিলেশনস বিটুইন ফ্রান্স অ্যান্ড অস্ট্রেলিয়া, সিডনি, মে ২, ২০২৮, https://www.vie-publique.fr/discours/206113-declaration-de-m-emmanuel-macron-president-de-la-republique-sur-les-r.
১৭) মিনিস্ট্রি অফ এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স, গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, https://www.mea.gov.in/press-releases.htm?dtl/32950/1st+Senior+Officials+IndiaFranceAustralia+Trilateral+Dialogue.
১৮) ফ্রেঞ্চ এমব্যাসি ইন ইন্ডিয়া, দি ইন্দো-প্যাসিফিক- ফার্স্ট ট্রাইল্যাটেরাল ডায়লগ বিটুইন ফ্রান্স, ইন্ডিয়া অ্যান্ড অস্ট্রেলিয়া, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২০, https://in.ambafrance.org/The-Indo-Pacific-1st-Trilateral-Dialogue-between-France-India-and-Australia.
১৯) ফ্রেঞ্চ এম্ব্যাসি ইন ইন্ডিয়া, দি ইন্দো-প্যাসিফিক- ফার্স্ট ট্রাইল্যাটেরাল ডায়লগ বিটুইন ফ্রান্স, ইন্ডিয়া অ্যান্ড অস্ট্রেলিয়া
২০) মিনিস্ট্রি অফ এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স, ফার্স্ট সিনিয়র অফিশিয়ালস ইন্ডিয়া-ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া ট্রাইল্যাটেরাল ডায়লগ
২১) মিনিস্ট্রি অফ এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স, গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, https://www.mea.gov.in/press-releases.htm?dtl/32950/1st+Senior+Officials+IndiaFranceAustralia+Trilateral+Dialogue.
২২) অ্যালেস এবং ফোর্নল, ‘মাল্টিল্যাটেরালিজমস অ্যান্ড মিনিল্যাটেরালিজমস ইন দি ইন্দো-প্যাসিফিক। আর্টিকুলেশনস অ্যান্ড কনভার্জেন্স ইন আ কনটেক্সট অব স্যাচুরেশন অব কোঅপারেটিভ অ্যারেঞ্জমেন্টস’
২৩) মিনিস্ট্রি অফ ইউরোপ অ্যান্ড ফরেন অ্যাফেয়ার্স, ফ্রেঞ্চ গভর্নমেন্ট, ইন্দো-প্যাসিফিক – ট্রাইল্যাটেরাল ডায়লগ বিটুইন ফ্রান্স, ইন্ডিয়া অ্যান্ড অস্ট্রেলিয়া – ফার্স্ট ফোকাল পয়েন্টস মিটিং, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১, https://www.diplomatie.gouv.fr/en/country-files/asia-and-oceania/news/article/indo-pacific-trilateral-dialogue-between-france-india-and-australia-first-focal.
২৪) মিনিস্ট্রি অফ এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স, গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, https://www.mea.gov.in/press-releases.htm?dtl/36688/IndiaFranceAustralia+Trilateral+DialogueSecond+Focal+Points+Meeting.
২৫) মিনিস্ট্রি অফ এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স, গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া-ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া জয়েন্ট স্টেটমেন্ট অন দি অকেশান অব দ্য ট্রাইল্যাটেরাল মিনিস্টেরিয়াল ডায়লগ, মে ৫, ২০২১, https://www.mea.gov.in/bilateral-documents.htm?dtl/33845/IndiaFranceAustralia_Joint_Statement_on_the_occasion_of_the_Trilateral_Ministerial_Dialogue_May_04_2021.
২৬) ফ্রেঞ্চ এম্ব্যাসি ইন ইন্ডিয়া, দি ইন্দো-প্যাসিফিক- ফার্স্ট ট্রাইল্যাটেরাল ডায়লগ বিটুইন ফ্রান্স, ইন্ডিয়া অ্যান্ড অস্ট্রেলিয়া
২৭) অ্যালেস এবং ফোর্নল, ‘মাল্টিল্যাটেরালিজমস অ্যান্ড মিনিল্যাটেরালিজমস ইন দি ইন্দো-প্যাসিফিক। আর্টিকুলেশনস অ্যান্ড কনভার্জেন্স ইন আ কনটেক্সট অব স্যাচুরেশন অব কোঅপারেটিভ অ্যারেঞ্জমেন্টস’
২৮) মিনিস্ট্রি অফ এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স, গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, https://www.mea.gov.in/press-releases.htm?dtl/32950/1st+Senior+Officials+IndiaFranceAustralia+Trilateral+Dialogue.
২৯) মিনিস্ট্রি অফ এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স, গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া-ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া জয়েন্ট স্টেটমেন্ট অন দি অকেশান অব দ্য ট্রাইল্যাটেরাল মিনিস্টেরিয়াল ডায়লগ, মে ৫, ২০২১, https://www.mea.gov.in/bilateral-documents.htm?dtl/33845/IndiaFranceAustralia_Joint_Statement_on_the_occasion_of_the_Trilateral_Ministerial_Dialogue_May_04_2021.
৩০) মিনিস্ট্রি অফ এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স, ইন্ডিয়া-ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া জয়েন্ট স্টেটমেন্ট অন দি অকেশান অব দ্য ট্রাইল্যাটেরাল মিনিস্টেরিয়াল ডায়লগ
৩১) মিনিস্ট্রি অফ ইউরোপ অ্যান্ড ফরেন অ্যাফেয়ার্স, ফ্রেঞ্চ গভর্নমেন্ট, ইন্দো-ফ্রেঞ্চ কল ফর অ্যান ‘ইন্দো-প্যাসিফিক পার্কস পার্টনারশিপ’, জয়েন্ট ডিক্লেয়ারেশন, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২, https://www.diplomatie.gouv.fr/en/country-files/india/news/article/indo-french-call-for-an-indo-pacific-parks-partnership-joint-declaration-paris.
৩২) মিনিস্ট্রি অফ এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স, ইন্ডিয়া-ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া জয়েন্ট স্টেটমেন্ট অন দি অকেশান অব দ্য ট্রাইল্যাটেরাল মিনিস্টেরিয়াল ডায়লগ
৩৩) ইগল্যান্টিন স্টন্টন, ‘ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া- সালভিং দি উন্ডস অফ অউকাস’, দি ইন্টারপ্রেটার, লোয়ি ইনস্টিটিউট, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩, https://www.lowyinstitute.org/the-interpreter/france-australia-salving-wounds-aukus.
৩৪) চার্লস এডেল এবং পিয়ের মার্কোস, ‘টাইম টু রিবুট ফ্রাঙ্কো-অস্ট্রেলিয়ান রিলেশনস’, সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ, জুলাই ৭, ২০২২, https://www.csis.org/analysis/time-reboot-franco-australian-relations.
৩৫) প্রেসিডেন্সি অব দ্য ফ্রেঞ্চ রিপাবলিক, ফ্রেঞ্চ গভর্নমেন্ট, জয়েন্ট স্টেটমেন্ট বাই ফ্রান্স অ্যান্ড অস্ট্রেলিয়া, জুলাই ১, ২০২২, https://www.elysee.fr/en/emmanuel-macron/2022/07/01/joint-statement-by-france-and-australia.
৩৬) স্টন্টন, ‘ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া- সালভিং দি উন্ডস অফ অউকাস’
৩৭) ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স, গভর্নমেন্ট অফ অস্ট্রেলিয়া, জয়েন্ট স্টেটমেন্ট – সেকেন্ড ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া ফরেন অ্যান্ড ডিফেন্স মিনিস্টেরিয়াল কনসাল্টেশনস, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩, https://www.minister.defence.gov.au/statements/2023-01-30/joint-statement-second-france-australia-foreign-and-defence-ministerial-consultations.
৩৮) কান্ট্রি ফাইলস, দ্য মিনিস্ট্রি ফর ইউরোপ অ্যান্ড ফরেন অ্যাফেয়ার্স, ফ্রান্স অ্যান্ড ইউনাইটেড আরব এমিরেটস, https://www.diplomatie.gouv.fr/en/country-files/united-arab-emirates/france-and-united-arab-emirates-65102/.
৩৯) লুই ভিত্রোঁ, ‘ইউএই অ্যান্ড ফ্রান্স- আ কি, অ্যান্ড চ্যালেঞ্জিং, রিলেশনশিপ’, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৩, ফরেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট, https://www.fpri.org/article/2023/09/uae-and-france-a-key-and-challenging-relationship/.
৪০) ‘ইন্ডিয়া-ইউএই এগ্রি টু রেইজ নন-পেট্রোলিয়াম বাইল্যাটেরাল ট্রেড টু ১০০ বিলিয়ন ইউএস ডলার বাই ২০৩০- পীযূষ গোয়েল’, দি ইকোনমিক টাইমস, জুন ১২, ২০২৩, https://economictimes.indiatimes.com/news/economy/foreign-trade/india-uae-non-petroleum-bilateral-trade-to-be-100-billion-by-2030-piyush-goyal/articleshow/100929744.cms?from=mdr.
৪১) এলেওনারা আরদেমানি, ‘গালফ পাওয়ারস- মেরিটাইম রাইভালরি ইন দি ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়ান ওশান’, ইটালিয়ান ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্যাল স্টাডিজ, এপ্রিল ১১, ২০১৮, https://www.ispionline.it/en/publication/gulf-powers-maritime-rivalry-western-indian-ocean-20212.
৪২) আবেল আবদেল গফর এবং সিলিভিয়া কলম্বো, ‘ফ্রান্স অ্যান্ড দি ইউএই- আ ডিপেনিং পার্টনারশিপ ইন আনসার্টেন টাইমস’, ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন, অক্টোবর ২৮, ২০২১,
https://www.brookings.edu/articles/france-and-the-uae-a-deepening-partnership-in-uncertain-times/.
৪৩) রুশালি সাহা, ‘ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়ান ওশান- দ্য মিসিং পিস ইন দি ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’, সাউথ এশিয়ান ভয়েসেস, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২, https://southasianvoices.org/western-indian-ocean-the-missing-piece-in-the-u-s-indo-pacific-strategy/.
৪৪) শিবালি লাওয়ালে এবং তালমিজ আহমেদ, ‘ইউএই-ইন্ডিয়া-ফ্রান্স ট্রাইল্যাটেরাল- আ মেকানিজম টু অ্যাডভান্স স্ট্র্যাটেজিক অটোনমি ইন দি ইন্দো-প্যাসিফিক?’, এশিয়ান জার্নাল অব মিডল ইস্টার্ন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, ভলিউম ১৫, ইস্যু, জানুয়ারি ০৬, ২০২২, https://www.tandfonline.com/doi/abs/10.1080/25765949.2021.2024401.
৪৫) ইন্ডিয়ান নেভি, ইন্ডিয়ান মেরিটাইম স্ট্র্যাটেজি, ২০১৫, https://www.indiannavy.nic.in/content/indian-maritime-security-strategy-2015.
৪৬) ‘ইন্ডিয়া সিজ ইটসেলফ অ্যাজ নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার ইন ইন্ডিয়ান ওশান রিজিয়ন’, এনডিটিভি, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১, https://www.ndtv.com/india-news/india-sees-itself-as-net-security-provider-in-indian-ocean-region-ambassador-taranjit-singh-sandhu-2541662.
৪৭) ওয়াদা হারুকো, ‘দি ইন্দো-প্যাসিফিক কনসেপ্ট- জিওগ্রাফিকাল অ্যাডজাস্টমেন্টস অ্যান্ড দেয়ার ইমপ্লিকেশনস’, এস রাজারত্নম স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ, ওয়ার্কিং পেপার নং ৩২৬, মার্চ ১৬, ২০২০, https://www.jstor.org/stable/resrep24283?seq=1#metadata_info_tab_contents.
মোহাম্মদ হোলিমান, ‘আইটুইউটু লাইজ অ্যাট দ্য কোর অফ ইন্ডিয়া-ইউএই রিলেশনশিপ’, হিন্দুস্থান টাইমস, জুলাই ১৮, ২০২৩, https://www.hindustantimes.com/opinion/i2u2-lies-at-the-core-of-india-uae-relationship-101689686967588.html.
৪৯) এলেওনারা আরদামানি, ‘অ্যাক্রস দ্য রিজিয়নস- দি ইউএই’স নেটওয়ার্ক অ্যাপ্রোচ টু কোঅপারেশন’, ইটালিয়ান ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্যাল স্টাডিজ, মার্চ ১০, ২০২৩, https://www.ispionline.it/en/publication/across-the-regions-the-uaes-network-approach-to-cooperation-119375.
৫০) ব্রায়ান গিচেরু কিনউয়া, ‘ইউএই’জ ওভারআর্চিং রোল ইন আফ্রিকান পোর্টস ডেভেলপমেন্ট’, দ্য মেরিটাইম এক্সিকিউটিভ, জুলাই ২৩, ২০২৩, https://maritime-executive.com/article/uae-s-overarching-role-in-african-ports-development#:~:text=“This%20string%20of%20ports%20strategy,hub%20linking%20Africa%20and%20Asia.
৫১) নিকোলান মাজুক্কি, ‘দ্য ফ্রেঞ্চ স্ট্র্যাটেজি ফর দি ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যান্ড দি ইস্যু অফ ইউরোপিয়ান কোঅপারেশন’, দ্য হগ সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ, এপ্রিল ২০২৩, https://hcss.nl/wp-content/uploads/2023/04/04-Nicolas-Mazzucchi-The-French-Strategy-for-the-Indopacific-and-the-issue-of-European-cooperation.pdf.
৫২) কোমোডোর ললিত কাপুর (প্রাক্তন), ‘রিভাইভিং ইন্ডিয়া-ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া ট্রাইল্যাটেরাল কোঅপারেশন ইন দি ইন্ডিয়ান ওশান’, দিল্লি পলিসি গ্রুপ, পলিসি ব্রিফ জুলাই ১৮, ২০২২, https://www.delhipolicygroup.org/publication/policy-briefs/reviving-india-france-australia-trilateral-cooperation-in-the-indian-ocean.html.
৫৩) সাহা, ‘ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়ান ওশান- দ্য মিসিং পিস ইন দি ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’
৫৪) ‘অরবিন্দ দেবনাথন আস্কড- হোয়াট ইজ ‘স্ট্র্যাটেজিক অটোনমি? হাউ ডাজ ইট হেল্প ইন্ডিয়া’জ সিকিউরিটি?’, ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালিসিস, জানুয়ারি ২০, ২০১৫, https://idsa.in/askanexpert/strategicautonomy_indiasecurity.
৫৫) ‘দি অল্টারনেটিভ টু আ ‘চায়না ভার্সাস ইউএস’ ওয়ার্ল্ড’, এশিয়া সোসাইটি, এপ্রিল ২০, ২০২২, https://asiasociety.org/switzerland/alternative-china-versus-us-world.
৫৬) প্রিয়া চাকো এবং জেফ্রি উইলসন, ‘অস্ট্রেলিয়া, জাপান অ্যান্ড ইন্ডিয়া- আ ট্রাইল্যাট্রেয়াল কোয়ালিশন ইন দি ইন্দো-প্যাসিফিক?’ পার্থ ইউএস এশিয়া সেন্টার, সেপ্টেম্বর ২০২০, https://perthusasia.edu.au/getattachment/Our-Work/Australia,-Japan-and-India-A-trilateral-coalition/PU-175-AJI-Book-WEB(2).pdf.aspx?lang=en-AU.
৫৭) নিক ওয়াধমস এবং সিলভিয়া ইউস্টল, ‘বাইডেন প্রডস ইউএই টু ডাম্প হুয়েই, সোয়িং ডাউটস অন কি এফ-৩৫ সেল’, ব্লুমবার্গ, জুন ১১, ২০২১, https://www.bloomberg.com/news/articles/2021-06-11/biden-prods-uae-to-dump-huawei-sowing-doubts-on-key-f-35-sale#xj4y7vzkg.
৫৮) রেজাউল এইচ লস্কর, রাহুল সিং, ‘ইন্ডিয়া অবজেক্টস টু ইউএস নেভি অপারেশনস নিয়ার লক্ষদ্বীপ’, হিন্দুস্থান টাইমস, এপ্রিল ১০, ২০২১, https://www.hindustantimes.com/india-news/india-objects-to-us-navy-ops-near-lakshadweep-101617992954884.html.
৫৯) জন হাডসন, এলেন নাকাশিমা এবং লিজ স্লাই, ‘বিল্ডআপ রেজিউমড অ্যাট সাসপেক্টেড চাইনিজ মিলিটারি সাইট ইন ইউএই, লিক সেজ’, দি ওয়াশিংটন পোস্ট, এপ্রিল ২৬, ২০২৩,
৬০) আন্দ্রেয়াস ক্রিগ, ‘দি ইউএই’স টিল্ট টু চায়না’, মিডল ইস্ট আই, অক্টোবর ১, ২০২০, https://www.middleeasteye.net/opinion/why-security-partnership-between-abu-dhabi-and-beijing-growing.
৬১) ফ্রেঞ্চ এম্ব্যাসি ইন নিউ দিল্লি, দিল্লি-ইন্ডিয়া-ইউএই – এস্টাব্লিশমেন্ট অফ আ ট্রাইল্যাটেরাল কোঅপারেশন ইনিশিয়েটিভ, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৩, https://in.ambafrance.org/France-India-UAE-Establishment-of-a-Trilateral-Cooperation-Initiative.
৬২) শিশির গুপ্ত, ‘ইউএই এয়ার ফোর্স টু হেল্প থ্রি রাফাল ফাইটারস রিচ ইন্ডিয়া, সেভেন ইন এপ্রিল’, হিন্দুস্থান টাইমস, জানুয়ারি ২২, ২০২১, https://www.hindustantimes.com/india-news/in-a-first-3-rafales-reaching-india-to-be-refuelled-mid-air-by-uae-air-force-101611209885564.html.
৬৩) ‘আবু ধাবি ডিফেন্স ফার্মস সাইনস মউ উইথ ইন্ডিয়া’জ হ্যাল অ্যাট ইউএই’স ডিফেন্স এক্সপো’, লাইভ মিন্ট, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩, https://www.livemint.com/news/india/abu-dhabi-defence-firm-signs-mou-with-india-s-hal-at-uae-s-defence-expo-11677109205445.html.
৬৪) মিনিস্ট্রি অফ এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স, গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, হরাইজন ২০৪৭- টোয়েন্টিফিফথ অ্যানিভার্সারি অব দি ইন্ডিয়া-ফ্রান্স স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ, টুওয়ার্ডস আ সেঞ্চুরি অফ ইন্ডিয়া-ফ্রান্স রিলেশনস, জুলাই ১৪, ২০২৩, https://www.mea.gov.in/bilateral-documents.htm?dtl/36806/Horizon_2047_25th_Anniversary_of_the_IndiaFrance_Strategic_Partnership_Towards_A_Century_of_IndiaFrance_Relations.
৬৫) অশ্বিনী কুমার, ‘সোলার এনার্জি ইজ ইন্টিগ্রাল এলিমেন্ট অফ ইউএই’জ ক্লাইমেট রেসপন্স, সেজ মিনিস্টার’, খলিজ টাইমস, জুলাই ২৫, ২০২৩, https://www.khaleejtimes.com/business/energy/solar-energy-is-integral-element-of-uaes-climate-response-says-minister%2523:~:text=Dr%252520Ajay%252520Mathur%25252C%252520Director%252520General,energy%252520in%252520the%252520Asia%252520Pacific.
৬৬) ফুড সিকিউরিটি ইনফর্মেশন নেটওয়ার্ক, ‘গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড ক্রাইসিস ২০২৩’, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম, মে ০২, ২০২৩, https://www.wfp.org/publications/global-report-food-crises-2023.
৬৭) ‘এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ডিনাউন্সেস ‘নিউ ইমপেরিয়ালিজম’ ইন প্যাসিফিক অন হিস্টোরিক ভিজিট টু ভানুয়াতু’, দ্য গার্ডিয়ান, জুলাই ২৭, ২০২৩, https://www.theguardian.com/world/2023/jul/27/emmanuel-macron-vanuata-visit-pacific-imperialism.
৬৮) ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স, ‘ইউএই-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ ফান্ড’, ইউনাইটেড নেশনস, https://sdgs.un.org/partnerships/uae-pacific-partnership-fund.
৬৯) ‘পিএম মোদী অ্যানাউন্সেস টুয়েলভ-পয়েন্ট নিউ ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভস ফর প্যাসিফিক আইল্যান্ড নেশনস’, মে ২২, ২০২৩, ইন্ডিয়া টুডে, https://www.indiatoday.in/india/story/pm-narendra-modi-12-point-development-agenda-for-pacific-island-nations-2382854-2023-05-22.
৭০) ‘হোয়াট ইজ দ্য কম্প্রিহেনসিভ কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল টেররিজম?’ লাইভ মিন্ট, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৬, https://www.livemint.com/Politics/Ee84kLhbyP5NJ9mFnMzkKO/Will-Sushmas-speech-at-the-UNGA-give-fresh-push-to-antiter.html
৭১) ক্রিস্তফ জাফ্রেলো, ‘হাউ স্ট্র্যাটে্জিক আর ফ্রান্স’স রিলেশনস উইথ ইন্ডিয়া?’, লে মঁদ ডিপ্লোমাতিক, ২০২৩, https://mondediplo.com/2023/07/14india-france
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.