জাতীয় স্তরে ভারতীয় সংসদে লিঙ্গভিত্তিক আসন সংরক্ষণ এখনও সম্পন্ন হয়নি। মহিলা সংরক্ষণ বিল, যার প্রধান উদ্দেশ্য হল লোকসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩% আসন সংরক্ষণ করা, তা এখনও পর্যন্ত লোকসভায় স্বীকৃতি পায়নি। এই বিলটি নিয়ে দু’ দশকেরও বেশি সময় ধরে আলোচনা চলছে। ২০১০ সালের মার্চ মাসে রাজ্যসভায় অনুমোদিত হলেও বিলটি নিয়ে লোকসভায় এখনও পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে ওঠেনি। বর্তমানে লোকসভার সাংসদদের মধ্যে মাত্র ১৪% মহিলা, যদিও ১৯৯২ সালে সংবিধানের ৭৪ তম সংশোধনীর হাত ধরে রাজ্যস্তরে লিঙ্গভিত্তিক আসন সংরক্ষণের বিষয়টি শুরু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই সংশোধনী অনুযায়ী আরবান লোকাল বডি (ইউ এল বি) বা শহরের স্থানীয় প্রশাসনে মোট আসনের অন্তত ৩৩% সরাসরি নির্বাচনে জয়ী মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তা ছাড়া, স্থানীয় প্রশাসনে তফশিলি জাতি এবং জনজাতির জন্য সংরক্ষিত আসনের অন্তত ৩৩% সংরক্ষিত থাকবে এই সম্প্রদায়ের মহিলাদের জন্য। এ ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনে সভাপতির পদগুলির অন্তত ৩৩% মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এই সংরক্ষিত আসনগুলি নির্বাচনী অঞ্চলের অন্তর্গত বিভিন্ন কেন্দ্রে পর্যায়ক্রমে বরাদ্দ করা হয় যাতে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণের প্রভাব যতটা সম্ভব শহরটির সব অংশেই সমান ভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। যেহেতু সংবিধানে শহরের স্থানীয় প্রশাসনে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের কেবলমাত্র ন্যূনতম শতাংশ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তাই একাধিক রাজ্য এই পরিমাণ ছাপিয়ে গেছে এবং শহরের স্থানীয় প্রশাসনে মহিলাদের জন্য ৫০% আসন সংরক্ষণ করেছে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে আছে অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, মহারাষ্ট্র এবং ত্রিপুরা। এ কথা সহজেই বোঝা যায় যে, এই রাজ্যগুলির স্থানীয় প্রশাসনিক স্তরে মহিলাদের উপস্থিতি নজর কাড়ার মতো। যার মধ্যে অসংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত হয়েও প্রশাসনের অংশ হয়ে ওঠা মহিলারাও রয়েছেন।
যেহেতু সংবিধানে শহরের স্থানীয় প্রশাসনে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের কেবলমাত্র ন্যূনতম শতাংশ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তাই একাধিক রাজ্য এই পরিমাণ ছাপিয়ে গেছে এবং সেই সকল রাজ্যগুলির শহরের স্থানীয় প্রশাসনে মহিলাদের জন্য ৫০% আসন সংরক্ষণ করেছে।
শহরের স্থানীয় প্রশাসনে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণের ইতিবাচক দিক
এক দিকে যখন মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণ বিল সংসদে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে এবং বিলটির ভাল ও খারাপ দিকগুলি নিয়ে বিতর্ক চলছে, এখন অন্য দিকে স্থানীয় স্তরে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণের ফলে দৈনন্দিন জীবনে বা সমাজে কী কী পরিবর্তন হয়েছে, সেটাও খুঁটিয়ে দেখা দরকার। যদি আসন সংরক্ষণের ইতিবাচক দিকগুলির কথা ভাবা হয়, তা হলে এ কথা স্পষ্ট হয় যে, স্থানীয় স্তরে এই সংরক্ষণ প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচনের সময়ে হাজার হাজার মহিলাকে বাড়ি এবং রান্নাঘরের চৌহদ্দি থেকে বের করে এনে তাঁদের স্থানীয় রাজনীতির অংশ করে তুলেছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ছাড়া এই মহিলারা কখনওই নির্বাচনী গণতন্ত্রের অংশ হয়ে উঠতে পারতেন না। এই সংরক্ষণ নিঃসন্দেহে নারীর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সাম্যের পথে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। জয়পুর পুরসভার মহিলা কাউন্সিলরদের উপর করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহু সংখ্যক স্বাধীনচেতা মহিলা এগিয়ে এসেছেন এবং রাজনীতিকে নিজেদের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এই মহিলারা তাঁদের সহকর্মী পুরুষ কাউন্সিলরদের সমতুল্য দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। বহু প্রচলিত সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে এবং বিশেষ করে পুরসভার আমলাতান্ত্রিকতার চিরাচরিত প্রথায় এই সকল মহিলারা গঠনমূলক পরিবর্তন আনতে সফল হয়েছেন। এর ফলে শহরগুলির আমলাতান্ত্রিকতায় এবং স্থানীয় সমাজে যে সংবেদনশীলতার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তাকে কোনও ভাবেই খাটো করে দেখা যায় না।
এর পাশাপাশি কলকাতা পুরসভায় চালানো এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে, কর্মসূচির বাস্তবায়নে মহিলা কাউন্সিলররা যথেষ্ট ভাল ফল করেছেন এবং কমিউনিটি পরিষেবাগুলিকে সময়োপযোগী করে তোলার আগ্রহ ও পরিকল্পনা দুই-ই তাঁদের আছে। এর ফলে মহিলা নেত্রীরা তাঁদের নিজের নিজের ওয়ার্ড থেকে একাধিক বার পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন, এমনকি কোনও কোনও ক্ষেত্রে আসনগুলি অসংরক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও। এ কথা সহজেই অনুমান করা যায় যে, ভোটদাতারা এই মহিলা কর্মীদের মধ্যে পরিবর্তনের এক নতুন দিশা খুঁজে পেয়েছেন এবং তাঁরা মনে করেছেন এই নেত্রীরা কমিউনিটির জন্য প্রাসঙ্গিক এবং অর্থবহ বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত ও সক্ষম। এলাকার উন্নয়ন তহবিলের অর্থের সদব্যবহারেও মহিলা কাউন্সিলররা কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রের তহবিলের মোট অর্থের ৬০%-৯০% পর্যন্ত উন্নয়নমূলক কাজে লাগানো হয়েছে এবং ৫০% বা তারও কম পরিমাণ অর্থ ব্যবহারের উদাহরণ দুর্লভ।
উপরের উদাহরণ থেকে এ কথা স্পষ্ট হয় যে, সাধারণ ভাবে মহিলারা সবাইকে নিয়ে কাজ করতে এবং নিজেদের নির্বাচনী ক্ষেত্র সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে অনেক বেশি কার্যকর। স্বাস্থ্য পরিষেবা, অঞ্চলের উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য দূরীকরণের মতো বিষয়গুলি তাঁদের বিশেষ ভাবে অনুপ্রেরণা দেয় এবং মহিলা প্রতিনিধিরা এই সমস্যাগুলির সমাধানে তাঁদের সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। শহরের মেয়র অথবা পুরসভার বিধিবদ্ধ কমিটির সভাপতির পদে আসীন থাকার ফলে মহিলারা উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক পদে সফল ভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে সমর্থ হন। এই পদক্ষেপ আরও বহুসংখ্যক যুবতী এবং নারীকে পরিকাঠামোর শীর্ষ নেতৃত্বে নিজেদের জায়গা করে নেওয়ার অনুপ্রেরণা জোগায়।
জয়পুর পুরসভার মহিলা কাউন্সিলরদের উপর করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহু সংখ্যক স্বাধীনচেতা মহিলা এগিয়ে এসেছেন এবং রাজনীতিকে নিজেদের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এই মহিলারা তাঁদের সহকর্মী পুরুষ কাউন্সিলরদের সমতুল্য দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
শহরের স্থানীয় প্রশাসনে লিঙ্গভিত্তিক সংরক্ষণের নেতিবাচক দিক
দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, স্থানীয় স্তরে লিঙ্গভিত্তিক আসন সংরক্ষণ মহিলাদের জন্য রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতে উত্তরণের মঞ্চ হয়ে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজ্য ও জাতীয় উভয় স্তরেই নির্বাচিত মহিলা প্রতিনিধিদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে এই সংরক্ষণ নীতির কোনও প্রভাব পড়েনি। বিধানসভা এবং সংসদে মহিলা প্রতিনিধিদের সংখ্যা মোট আসনের ১৫%-এরও কম। দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে সংরক্ষণের নীতিটি কার্যকর ভাবে প্রয়োগ করা হলেও রাজনৈতিক দলগুলির বিন্যাস থেকে লিঙ্গবৈষম্য দূর করা যায়নি। এবং এখনও মহিলাদের গুরুত্বপূর্ণ পরিচালক পদগুলি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। লিঙ্গভিত্তিক সংরক্ষণের পদ্ধতি কার্যকর হলেও ঐতিহাসিক ভাবে লিঙ্গ বৈষম্যের শিকড় এতটাই গভীরে প্রোথিত যে, তাকে সম্পূর্ণ রূপে উপড়ে ফেলা সহজ নয়। এমনকি, মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনগুলির ক্ষেত্রেও টোকেনিজম বা প্রতীকী অংশগ্রহণের ব্যাপক চল লক্ষ করা যায়। বর্তমানে এই সব ক্ষেত্রে সেই পুরুষ প্রতিনিধিদের স্ত্রীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, যাঁরা আসনগুলি সংরক্ষিত হওয়ার কারণে নিজেরা সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। নির্বাচনে জেতার পরে এই মহিলারা খাতায়-কলমে কাউন্সিলর পদে আসীন হলেও ওয়ার্ডের সব কর্মসূচি তাঁদের স্বামীরাই নিয়ন্ত্রণ করেন।
রাজনীতিতে মহিলাদের সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, রাজনৈতিক দলগুলিই ঠিক করে কোন প্রার্থীকে মনোনীত করা হবে এবং কোন প্রার্থীর নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি সে কথা মাথায় রেখেই এই মনোনয়ন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। ফলে নারীদের ক্ষমতায়নের প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির একটি অনস্বীকার্য ভূমিকা থেকে যাচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রাজনৈতিক দলগুলি তাদের দলীয় বিন্যাসে এই অসাম্যকে বাঁচিয়ে রেখেছে এবং মহিলাদের এখনও গুরুত্বপূর্ণ পদগুলির জন্য বিবেচনা করা হয় না।
নারী ক্ষমতায়নের সীমানা পেরিয়ে
শহরের স্থানীয় প্রশাসনে লিঙ্গভিত্তিক আসন সংরক্ষণের হাত ধরে যে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে, তা যাতে নারী ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সাম্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে, সে দিকেও নজর দিতে হবে। শহরে বসবাসকারী নারীদের সমস্যাগুলির উপর বিশেষ ভাবে নজর দেওয়ার ব্যাপারটিও সমান তাৎপর্যপূর্ণ। দেখা যাচ্ছে যে, মহিলারা শহরের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক হলেও এবং তাঁদের সমস্যা ও প্রয়োজনগুলি বিশেষ ধরনের হলেও, সেগুলির সমাধানে মহিলা কাউন্সিলরদের তরফে কোনও দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
ভারতীয় শহরগুলির শ্রমশক্তিতে মহিলাদের উপস্থিতি শতাংশের নিরিখে সামান্যই। একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে, এই পরিমাণ মাত্র ১০.৩%। এই পরিস্থিতি কোনও মতেই আদর্শ নয় এবং কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। পরিস্থিতি অনুযায়ী এই মহিলাদের স্বাধীন ভাবে জীবন যাপন ও কাজ করার অবাধ স্বাধীনতা দিতে হবে। স্বল্প মজুরিতে কাজ করা কোনও শ্রমিক হোন বা অফিসে কর্মরতা– সব মহিলার জন্যই বাসস্থান এবং বাড়ি থেকে কর্মস্থলে পৌঁছনোর জন্য সরকারি পরিবহণের বন্দোবস্ত সুনিশ্চিত করতে হবে। অনেক মহিলাকেই বাড়িতে নিজেদের ছোট শিশুদের রেখে কাজে যেতে হয়। এই শিশুদের দেখাশোনা করার জন্য সহায়তা পরিষেবার প্রয়োজন, যাতে শিশুদের নিশ্চিন্তে বাড়িতে রেখে তাঁরা কাজে যেতে পারেন। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত বা পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের বাজারগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুবিধে করে দিতে হবে। যে সমস্ত পরিবারে মহিলারাই একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য, তাঁদের আরও বেশি করে সহায়তা পরিষেবার প্রয়োজন। দক্ষতা বৃদ্ধি প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের জন্য দক্ষতা অর্জনকারী এবং দক্ষতার উন্নতিকল্পে সহায়ক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। বয়স্ক এবং পরিবার দ্বারা পরিত্যক্ত মহিলাদের জন্য থাকার জায়গা এবং সহায়তা পরিষেবার প্রয়োজন। এই সহায়তা পরিষেবা জরুরি সেই মহিলাদেরও যাঁরা পারিবারিক অত্যাচার এবং অন্যান্য ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
যে সমস্ত পরিবারে মহিলারাই একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য, তাঁদের আরও বেশি করে সহায়তা পরিষেবার প্রয়োজন। দক্ষতা বৃদ্ধি প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের জন্য দক্ষতা অর্জনকারী এবং দক্ষতার উন্নতিকল্পে সহায়ক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
যদিও কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিয়োগ বাড়াতে মহিলা কাউন্সিলরদের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। এমনকি পূর্বোল্লিখিত বিষয়গুলির প্রেক্ষিতেও তাঁদের পক্ষ থেকে কোনও বিশেষ সহায়তা পরিষেবা চালু করা হয়নি। মুম্বই উন্নয়ন প্রকল্প ২০৩৪-এর আওতায় একগুচ্ছ লিঙ্গভিত্তিক সুযোগ-সুবিধের কথা বলা হয়েছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, কর্মরত মহিলাদের জন্য বহুমুখী আবাসন, শিশুদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র, মহিলা বিক্রেতাদের জন্য বাজার, দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গৃহহীনদের জন্য থাকার জায়গা, শুধু মাত্র মহিলারাই ব্যবহার করতে পারবেন এমন শৌচালয় এবং সাধারণ মহিলাদের জন্য আবাসন প্রকল্প চালু করা। তবে এই সব পরামর্শই শহরভিত্তিক এন জি ও গুলির তরফে দেওয়া হয়েছে যারা লিঙ্গভিত্তিক সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করে।
স্পষ্টতই মহিলা কাউন্সিলরদের জন্য দক্ষতা বাড়ানোর কর্মসূচি অত্যন্ত আবশ্যক হয়ে উঠেছে যাতে এক জন কাউন্সিলর তাঁর সাধারণ দায়িত্বগুলি পালন করার পাশাপাশি শহরের স্থানীয় প্রশাসনে সক্রিয় ভাবে মহিলা নাগরিকদের বিশেষ প্রয়োজনগুলির পক্ষে সওয়াল তুলতে সক্ষম হন। যদিও নারী ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সাম্যের প্রক্রিয়াগুলি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, তবে শহরে বসবাসকারী নারীদের উন্নয়নে পদ্ধতিগুলির বাস্তবায়ন অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.