Author : Rajen Harshé

Expert Speak Raisina Debates
Published on Nov 23, 2022 Updated 17 Days ago

আফ্রিকায় সবচেয়ে প্রভাবশালী বহিঃশক্তি হিসাবে চিন ইতিমধ্যেই শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে একটি ক্রমপ্রসারমান ভূমিকা পালন করেছে।

শি জিনপিং এবং আফ্রিকায় চিনের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা
শি জিনপিং এবং আফ্রিকায় চিনের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা

২০২২ সালের ২২ অক্টোবর কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার (সি পি সি) ২০তম ন্যাশনাল কংগ্রেসে পিপলস রিপাবলিক অব চায়নার (পি আর সি) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সি পি সি-র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রত্যাশিতভাবেই পর  পর তৃতীয় বার নির্বাচিত হন। এটি তাঁকে মাও সে তুং-এর পরবর্তী সময়ে চিনা নেতাদের মধ্যে অতুলনীয় মর্যাদা দিয়েছে। শি জিনপিং আরও শক্তিশালী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। কারণ তিনি তাঁর অনুগতদের সাত সদস্যের পলিটব্যুরোর স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বের পাশাপাশি নীতিগুলির জোরদার সমর্থনের পর শি জিনপিং-এর নেতৃত্বাধীন শাসনব্যবস্থা ২০৪৯ সালের মধ্যে এ কথাই নিশ্চিত করতে চায় যে, ‘সুদৃঢ় জাতীয় শক্তি এবং আন্তর্জাতিক প্রভাবের দিক থেকে চিন বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।’ ২০১২ সালে শি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আফ্রিকায় চিনের একটি সুস্পষ্ট পদচিহ্ন ফুটে উঠেছে। তাঁর অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর প্রশাসন চিনের আফ্রিকা নীতিকে তার নিজস্ব আদলে ক্রমশ রূপ দেবে। আফ্রিকায় চিনের ভূমিকার সম্ভাব্য গতিপথ আন্দাজ করতে চিন-আফ্রিকা সম্পর্কের উপর নজর রাখা উল্লেখযোগ্য।

শি জিনপিং আরও শক্তিশালী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। কারণ তিনি তাঁর অনুগতদের সাত সদস্যের পলিটব্যুরোর স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন।

শি বিশ্বাস করেন যে, বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পি আর সি-কে তাইওয়ানের কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলকে নিজের সীমানার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে চিন সমগ্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকান শক্তির মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়। ১৯৫০-এর দশক থেকে উপনিবেশ-বিরোধী এবং বর্ণবাদ-বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন করার কারণে চিন আফ্রিকায় তার ওয়ান চায়না নীতির প্রচারে সফল হয়েছে। তৎকালীন চিনা প্রধানমন্ত্রী ঝাউ এন লাই ১৯৬৩-১৯৬৪ সালে গুডউইল মিশনের আওতায় আফ্রিকার ১০টি দেশে কূটনৈতিক সফরে গিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে ২৬টি আফ্রিকান সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থন পাওয়ার কারণে চিনের পক্ষে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য হিসাবে তার বৈধ স্থান অর্জন করা সহজ হয়েছিল। পরবর্তী কালে ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে চিন তান-জাম রেললাইনের কাজ সম্পন্ন করেছিল, যা জাম্বিয়াকে তানজানিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করেছিল। এটি জাম্বিয়াকে তার রফতানির জন্য সমুদ্রপথ ব্যবহারের সুযোগ প্রদান করে। বর্তমানে ৫৪টি আফ্রিকান দেশের মধ্যে শুধুমাত্র এসওয়াতিনি (পূর্বে সোয়াজিল্যান্ড) এখনও রিপাবলিক অব চায়না/ তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দেয়। তা সত্ত্বেও আফ্রিকার ৫৪টি দেশের সঙ্গে চিনের প্রাণবন্ত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান।

একই রকম ভাবে যখন চিনের সরকার ১৯৮৯ সালে গণতন্ত্রের জন্য তিয়ানানমেন স্কোয়ারের বিক্ষোভকে দমন করেছিল, তখন মিশর, বুর্কিনা ফাসো এবং অ্যাঙ্গোলার মতো দেশগুলি তা সমর্থন করে। আফ্রিকার বেশির ভাগ দেশ চিনা সরকারি নীতির নিন্দা করা থেকে বিরত ছিল। পশ্চিমী বিশ্ব যখন চিনের মানবাধিকারের ন্যক্কারজনক পরিসংখ্যানের সমালোচনা করে, চিন তখন আফ্রিকায় নিজেদের সমর্থনের জমি খুঁজে পেয়েছে। ১৯৯০-এর দশকের পরবর্তী সময়ে আফ্রিকার সঙ্গে চিনের সম্পৃক্ততা তীব্রতর হয়। কারণ আফ্রিকায় বহু-স্তরযুক্ত সম্পর্ক স্থাপনের সময় মানবাধিকারের খতিয়ান বা গণতান্ত্রিক শাসন সম্পর্কিত প্রচলিত পশ্চিমী নিয়মগুলি প্রয়োগ করার উপর জোর দেয়নি চিন। এ কথা সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে, যখন চিন যথাক্রমে জিম্বাবোয়ে এবং সুদানের মতো সম্পদসমৃদ্ধ দেশগুলিতে রবার্ট মুগাবে (১৯৮০-২০১৭) এবং ওমর-আল বশিরের (১৯৮৯-২০১৯) স্বৈরাচারী প্রশাসনের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক স্থায়ী করেছিল।

সর্বোপরি বিশ্বায়নের অধীনে আফ্রিকায় চিনের জন্য প্রভাবশালী স্থান সুরক্ষিত করার উদ্দেশ্যে শি জিনপিংয়ের বাস্তববাদী পদক্ষেপ চিনের আফ্রিকা নীতিকে বহুলাংশে পরিচালিত করেছে। প্রকৃত পক্ষে চিনের সামরিক শক্তি, দ্রুত অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং তার জনগণের দ্রুততর বৈষয়িক অগ্রগতি অর্জনের প্রচেষ্টা দেশটিকে আফ্রিকায় তার ভূমিকাকে প্রশস্ত ও গভীর করে তুলতে সাহায্য করেছে।

সার্বিকভাবে নিরাপত্তা সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলিতে আফ্রিকায় চিনের ভূমিকা ইতিমধ্যেই বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও সুসংহত হবে। চিন প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের জন্য ২০০০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে আটটি আফ্রিকান দেশের সঙ্গে ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ২৭টি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আফ্রিকান দেশগুলির ৭০ শতাংশ সাঁজোয়া যান এবং ২০ শতাংশ সামরিক যান চিন সরবরাহ করে। একটি সমীক্ষা অনুসারে, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চিন আফ্রিকার অস্ত্র আমদানির ৭০ শতাংশ এবং ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫৫ শতাংশের জোগান দিয়েছে। চিন অস্ত্র ও নিরাপত্তা প্রযুক্তির প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে উদ্ভূত হলেও সমালোচকরা দর্শিয়েছেন যে, দেশটি অস্ত্র হস্তান্তর করছে এমন দুর্বৃত্ত প্রশাসনের কাছে, যারা আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন করে। এ ছাড়াও ২০১৭ সাল থেকে চিন হর্ন অফ আফ্রিকায় কৌশলগত ভাবে অবস্থিত জিবৌতিতে একটি বড় সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে।

১৯৯০-এর দশকের পরবর্তী সময়ে আফ্রিকার সঙ্গে চিনের সম্পৃক্ততা তীব্রতর হয়। কারণ আফ্রিকায় বহু-স্তরযুক্ত সম্পর্ক স্থাপনের সময় মানবাধিকারের খতিয়ান বা গণতান্ত্রিক শাসন সম্পর্কিত প্রচলিত পশ্চিমী নিয়মগুলি প্রয়োগ করার উপর জোর দেয়নি চিন।

অর্থনীতির ক্ষেত্রে চিন ফোরাম অন চায়না-আফ্রিকা কোঅপারেশনের (এফ ও সি এ সি) মাধ্যমে তার সম্পর্কগুলির সমন্বয় ঘটিয়েছে। ২০০০ সালের অক্টোবর মাসে চালু হওয়া এফ ও সি এ সি উন্নয়ন আন্তঃসহযোগিতার জন্য চিন এবং ৫৪টি আফ্রিকান দেশের মধ্যে ত্রি-বার্ষিক বহুপাক্ষিক সংলাপের একটি প্রধান ফোরাম হিসেবে বিকশিত হচ্ছে। এর পাশাপাশি চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বি আর আই) আফ্রিকায় শি জিনপিংয়ের অধীনে ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের ট্রান্সকন্টিনেন্টাল ইনভেস্টমেন্ট পরিকাঠামো প্রকল্পের উন্নতি করেছে। চিন আফ্রিকাতেও ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরি করছে। এখন পর্যন্ত এক বিলিয়ন জনসংখ্যার ৪৬টি আফ্রিকান দেশ বি আর আই-তে স্বাক্ষর করেছে। বি আর আই ৪৩টি আফ্রিকান দেশে গড়ে ২.৮ বছরে পরিকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যা আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক বা বিশ্ব ব্যাঙ্কের মতো অন্যান্য দাতা সংস্থার তুলনায় দ্রুততর। শি জিনপিং প্রশাসন এফ ও সি এ সি এবং বি আর আই-এর মাধ্যমে আফ্রিকান দেশগুলির সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে। সমালোচকরা বি আর আই-কে ঋণগ্রহীতাদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য চিনের ডেট ট্র্যাপ ডিপ্লোমেসি বা ঋণ ফাঁদ কূটনীতির একটি প্রধান অস্ত্র হিসেবে দেখলেও এটির আরও সূক্ষ্ম মূল্যায়ন প্রয়োজন। এ ধরনের সমালোচকরা আফ্রিকায় প্রভাব বিস্তারে আগ্রহী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, ভারত, ফ্রান্স ইত্যাদি দেশের মতো বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির সঙ্গে দর কষাকষি করার ব্যাপারে আফ্রিকান দেশগুলির ক্ষমতাকে কার্যত অস্বীকার করেন।

একই সঙ্গে এ কথাও নিশ্চিত ভাবে বলা যেতে পারে যে, আফ্রিকা মহাদেশের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক সামগ্রিক ভাবে অপ্রতিসম ছিল এবং থাকবেও। চিন আফ্রিকার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার, দ্বিপাক্ষিক ঋণদাতা এবং পরিকাঠামো বিনিয়োগ / উন্নয়নের নিরিখে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলির অন্যতম। চিনের এক্সিম ব্যাঙ্ক-এর আফ্রিকায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারের প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের মধ্যে সে দেশের সঙ্গে চিনের বাণিজ্যের পরিমাণ ২৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সর্বকালীন উচ্চ সীমায় পৌঁছেছে। তবে এ কথা উল্লেখ্য যে ২০২০ সালে আফ্রিকার সঙ্গে চিনের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল তার মোট বিশ্ব বাণিজ্যের মাত্র চার শতাংশ, যা জার্মানির সঙ্গে চিনের বাণিজ্যের পরিমাণের চেয়েও কম। চিনের সঙ্গে আফ্রিকার অধিকাংশ দেশের বাণিজ্য ঘাটতি লক্ষ করা গিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, কঙ্গো এবং অ্যাঙ্গোলা, এই তিনটি পণ্য রফতানিকারক দেশ আফ্রিকা থেকে রফতানির ৬২ শতাংশের ভাগিদার। একই ভাবে ২০১৯ সালে মোট প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ প্রবাহের (এফ ডি আই) মধ্যে চিনা এফ ডি আই-এর মাত্র ২.৯ শতাংশ আফ্রিকায় পৌঁছেছে। অন্য দিকে, আফ্রিকার মোট বাণিজ্যে চিনের অবদান ১৬.৪ শতাংশ। আফ্রিকান দেশগুলি থেকে চিনে সরাসরি কোনও বিনিয়োগ ছিল না। কিন্তু ২০০০-২০১৯ সালের মধ্যে চিন আফ্রিকার দেশগুলিতে ১৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্রমপুঞ্জিত ঋণ প্রদান করেছে।

চিনের শক্তি-ক্ষুধার্ত অর্থনীতি বিপুল তৈল জ্বালানি ভাণ্ডারসমৃদ্ধ সুদান / দক্ষিণ সুদান, অ্যাঙ্গোলা এবং নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। কৌশলগত সম্পদের প্রেক্ষিতে চিন আফ্রিকায় কোবাল্ট খননের উপর কার্যত একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে। বৈদ্যুতিক যানবাহন উৎপাদনের জন্য কোবাল্ট একটি অপরিহার্য উপকরণ এবং বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ কোবাল্ট কঙ্গোর খনি থেকে পাওয়া যায়। ২০০৭ সালে কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলা পরিকাঠামো প্রকল্পের জন্য খনি সংক্রান্ত স্বার্থ আদানপ্রদান করেছিলেন। তবুও আফ্রিকায় চিনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগ (এস ও ই) এবং ব্যক্তিগত সংস্থাগুলির বিস্তৃত নেটওয়ার্ক বর্তমান।

চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বি আর আই) আফ্রিকায় শি জিনপিংয়ের অধীনে ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের ট্রান্সকন্টিনেন্টাল ইনভেস্টমেন্ট পরিকাঠামো প্রকল্পের উন্নতি করেছে।

পরামর্শদাতা সংস্থা ম্যাকিনসে অ্যান্ড কোম্পানি অনুমান করেছে যে, আফ্রিকায় প্রায় ১০,০০০ চিনা সংস্থা সক্রিয় রয়েছে যেগুলি ২০ শতাংশের বেশি মুনাফা অর্জন করে। এই সংখ্যাটি চিনের বাণিজ্য বিভাগের অধীনে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিবন্ধিত সংস্থাগুলির সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি। এস ও ই-গুলি মোটের উপর বড় সংস্থাগুলির প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাদের সঙ্গে প্রচুর সংখ্যক ব্যক্তিগত সংস্থাও রয়েছে। এই ধরনের সংস্থাগুলির নির্মাণের পাশাপাশি উত্পাদন শিল্পেও একটি উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। এর পাশাপাশি চিনের একটি বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সসিয়ন উচ্চতর মানের বিপণনের কারণে এবং আফ্রিকার ভোক্তাদের প্রয়োজনীয়তা বোঝার দরুন মোবাইল ফোনের বাজারে প্রভাবশালী সংস্থা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।

এর উপরে চিনের কূটনৈতিক শক্তি আফ্রিকায় চালু প্রায় ৬০টি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে প্রদর্শিত হচ্ছে। চিনা ভাষা, সংস্কৃতি এবং শিক্ষা বিনিময় কর্মসূচির প্রসারের মাধ্যমে চিন আফ্রিকার সঙ্গে জনগণের স্তরে সেতু নির্মাণের কাজ করছে। এ ছাড়া আফ্রিকায় চিনা অভিবাসীদের সংখ্যাও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আফ্রিকার সবচেয়ে প্রভাবশালী বহিঃশক্তি হিসাবে চিন ইতিমধ্যেই শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে একটি ক্রমপ্রসারমান ভূমিকা পালন করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা, অর্থনীতি, উন্নয়ন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং কূটনৈতিক শক্তির মতো প্রতিটি ক্ষেত্রে চিন বিশ্বের নেতৃত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে আফ্রিকায় তার ভূমিকাকে সংহত এবং আরও প্রসারিত করতে পারে।

মতামত লেখকের নিজস্ব।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.