-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উপযুক্ত মঞ্চের অভাব এই সংকটের জন্য শুভ লক্ষণ নয়; ভারত একটি ভূমিকা পালন করতে পারে, বিশেষ করে জি২০–র সভাপতিত্ব নেওয়ার পর
রাশিয়া ও ইউক্রেনকে সংঘাতের পথ থেকে সরানোর জন্য আহ্বান কোথায়?
নবম মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’–এ একটি মারাত্মক পারমাণবিক ছায়া ঘনিয়ে আসে, কারণ অক্টোবরে একটি ‘ডার্টি বম্ব’–এর আসন্ন ব্যবহারের অভিযোগ বারবার সামনে আসছিল। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রতিপক্ষ ন্যাটো এবং সেই সঙ্গে ভারতের কাছে বিরল আহ্বান ছিল অভিযানের শুরু থেকে রুশ পারমাণবিক সংকেত প্রেরণের সর্বশেষ পর্ব। পারমাণবিক বাগাড়ম্বর একটি কঠিন পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে, আর নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইন ও ক্রিমিয়ান সেতুতে হামলা যুদ্ধের একটি নতুন পর্যায়ের ইঙ্গিত দেয়, যেখানে শক্তিক্ষেত্র ও অসামরিক পরিকাঠামো আক্রান্ত হবে। যখন সংঘাত উদ্বেগজনকভাবে আরও রক্তাক্ত ক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে, সেই সময় বিশ্বাসযোগ্য শান্তি পরিকল্পনা ও একজিট র্যাম্প বা বেরিয়ে আসার পথ কিন্তু অনুপস্থিত। যুদ্ধ এখন অনিশ্চয়তার শীতে প্রবেশ করার পর ভারতকে জি২০ এবং ইউ এন এস সি–র সভাপতি হিসাবে তার বিকল্পগুলিকে সাবধানতার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে, এবং এই সংঘাতের প্রতি তার নীতি পুনর্গঠন করতে হবে। এই দ্বন্দ্বের তিনটি বিচিত্র বৈশিষ্ট্য এটিকে একটি বিশেষভাবে জটিল চ্যালেঞ্জ করে তুলেছে।
ইউক্রেনে আগ্রাসনের উদ্দেশ্য ছিল ন্যাটোকে রাশিয়ার প্রভাবক্ষেত্রে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা, এবং সম্ভাব্যভাবে ইউক্রেনকে রাশিয়ার প্রভাবাধীন করা বা এমনকি অন্তর্ভুক্ত করা।
প্রথমত, বৃহত্তর ভূ–রাজনৈতিক অর্থে এই সঙ্কট এমন দুটি স্নায়ুযুদ্ধের পটভূমিতে ঘটছে যার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জড়িত। ইউরোপে উত্তপ্ত যুদ্ধ মূল শীতল যুদ্ধের পুনরুজ্জীবনের সূত্রপাত করেছে, যা একবিংশ শতাব্দীর ঐতিহাসিক প্রতিযোগিতার নতুন অধ্যায়। এর লক্ষণীয় দিকগুলি হল একটি আক্রমণাত্মক মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো, একটি পুনরুত্থিত রাশিয়া, ইউরোপে একটি প্রক্সি যুদ্ধক্ষেত্র এবং পারমাণবিক শক্তির ঝুঁকিপূর্ণ আস্ফালন৷ ট্রাম্পের আমেরিকা ইতিমধ্যেই চিনের বিরুদ্ধে নতুন করে ভূ–রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসাবে ২০১৮ থেকে ঠান্ডা যুদ্ধ ২.০ ঘোষণা করেছে। নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বিংশ শতাব্দীর অন্যায়ের উল্লেখ করে পুতিনের কর্মকাণ্ড যেভাবে কমিউনিজম ইউ এস এস আর–কে চালিত করেছিল সেই ধরনের মতাদর্শ দ্বারা চালিত নয়, বরং এর অনুভূত পরিধিতে শক্তির বিন্যাস এর চালিকাশক্তি। ইউক্রেনে আগ্রাসনের উদ্দেশ্য ছিল ন্যাটোকে রাশিয়ার প্রভাবক্ষেত্রে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা, এবং সম্ভাব্যভাবে ইউক্রেনকে রাশিয়ার প্রভাবাধীন করা বা এমনকি অন্তর্ভুক্ত করা। এটি এখন কিন্তু রাশিয়ার কৌশলগত অতিরিক্ত ঝুঁকি নেওয়ার ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। ইতিহাস আমাদের শেখায় যে মহাশক্তি বড় ভুল করতে পারে। যাই হোক, রাশিয়ার ত্রুটি আরও পরিণতিমূলক হতে পারে, এমনকি তার নিজের জন্যও। যদিও রাশিয়া একাধিক ফ্রন্টে ভুল অঙ্ক কষেছে, পশ্চিমীদের প্রতিক্রিয়াও কিন্তু সীমিত ছিল। স্নায়ুযুদ্ধের পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে এবার কিন্তু ১৯৪০–এর দশকে তৈরি করা ইউ এস এস আর–এর ‘কন্টেনমেন্ট’-এর মতো ব্যাপক কৌশলগত প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। যেমন কিসিঞ্জার ২০১৪ সালে লিখেছিলেন, ‘পুতিনকে শয়তান প্রতিপন্ন করা কোনও নীতি নয়, বরং রাশিয়া সংক্রান্ত নীতির অনুপস্থিতির জন্য একটি অজুহাত’। একইভাবে আজ বলা যেতে পারে যে পুতিনকে খলনায়ক করে তোলা ও জেলেনস্কিকে মহানায়ক বানানো একটি সুসংহত পশ্চিমী মহাকৌশলের অনুপস্থিতির লক্ষণ হতে পারে। ২০২০–র পুতিনের রাশিয়া গত শতাব্দীর সোভিয়েত–পরবর্তী ভেঙে পড়া সত্তা নয়; এর পুনরুত্থান ঘটানোর এবং একটি প্রাসঙ্গিক শক্তি হয়ে ওঠার উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে, এবং সেই লক্ষ্যে দেশটি ক্রমোত্থিত চিনকে মিত্র হিসাবে বেছে নিয়েছে।
দ্বিতীয়ত, এই সংকট যে কোন পথ নেবে তা একেবারেই অনিশ্চিত, যার কারণ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, লক্ষ্য বদলানো এবং যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবতার দ্রুত পরিবর্তন। ফেব্রুয়ারিতে দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের স্বীকৃতির পর পর্যবেক্ষকদের কাছে এ কথা স্পষ্ট হয়েছিল যে রাশিয়া আবার ২০০৮-এ জর্জিয়া ও ২০১৪-য় ক্রিমিয়ায় যা করেছিল, তারই পুনরাবৃত্তি করছে। যাই হোক, ইউক্রেনের প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিরোধে রাশিয়ার বিস্ময়, কিয়েভে পশ্চিমী অস্ত্র ও গোয়েন্দা-তথ্যের অবিরাম সরবরাহ, এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার তীব্রতা, বিশেষ করে রাশিয়ার আর্থিক ব্যবস্থা এবং ইউরোপে জ্বালানি রপ্তানির উপর তার প্রভাব, বিগত মাসগুলিতে অনেক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। রাশিয়ার বর্তমান কৌশলগত উদ্দেশ্য ডনবাস ও ক্রিমিয়ার চারটি অধিগৃহীত অঞ্চল ধরে রাখা বলে মনে হচ্ছে, যদিও যে কোনও শান্তি প্রক্রিয়ায় ‘বিজয়ের ধারণা’টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। ইউক্রেন প্রলুব্ধ হবে কোনও আলোচনার আগে সামরিকভাবে তার ভূখণ্ড ফিরে পেতে, এবং ক্রিমিয়া পুনর্দখল করে ২০১৪–র আগের মতো না–হলেও অন্তত ফেব্রুয়ারির আগের স্থিতাবস্থায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করতে। কিন্তু একটি সামরিক সমাধান এখনও স্বপ্নই।
রাশিয়ার বর্তমান কৌশলগত উদ্দেশ্য ডনবাস ও ক্রিমিয়ার চারটি অধিগৃহীত অঞ্চল ধরে রাখা বলে মনে হচ্ছে, যদিও যে কোনও শান্তি প্রক্রিয়ায় ‘বিজয়ের ধারণা’টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
তৃতীয়ত, বিশ্বাসযোগ্য শান্তি প্রস্তাবের আশ্চর্যজনক অনুপস্থিতি। ২০১৪–১৫ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া অধিগ্রহণের পর ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও ইউক্রেনের কোয়াড নরম্যান্ডি ফরম্যাটের আওতায় শান্তি উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেছিল, যার ফলে নড়বড়ে মিনস্ক চুক্তি হয়েছিল। তা কাজে আসেনি, কারণ রাশিয়া ও ইউক্রেন ভিন্ন ভিন্ন ভাবে এর ব্যাখ্যা করেছিল। বর্তমান সঙ্কটে ইজরায়েল ও তুরস্ক ২০২২ সালের মার্চ থেকে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। যুদ্ধরতরা প্রথম মাসগুলিতে একটি অস্থায়ী শান্তি পরিকল্পনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছিল, যার শর্তগুলির মধ্যে ছিল রাশিয়া, বেলারুশ ও অন্যদের কাছ থেকে কিছু ‘নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’র বিনিময়ে ইউক্রেনকে ‘নিরপেক্ষ’ ও অ–পারমাণবিক মর্যাদা দেওয়া। বিশ্বের ‘প্রধান টুইট’ ইলন মাস্ক আলোচনায় কিছু অ–চিরাচরিত গোত্রের শান্তি পরিকল্পনা দেন, আর রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে মিলে ইস্তাম্বুল একটি সীমিত শস্য চুক্তির ব্যবস্থা করেছিল।
কিন্তু ৬০ বছর আগে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের সময় অন্তিম পারমাণবিক যুদ্ধ থেকে বিশ্বকে বাঁচানোর সেই কূটনৈতিক তৎপরতা এখন কোথায়? চিন্তাশীল পর্যবেক্ষকরা যথার্থই প্রশ্ন করছেন কেন আমরা সংকটের সমাধান খোঁজার চেষ্টা কম দেখছি। ইউক্রেনের প্রতি সীমাহীন সমর্থনের পশ্চিমী নিশ্চয়তার কারণে কি মার্চ শান্তি পরিকল্পনা স্থগিত হয়েছিল? বরিস জনসন এপ্রিল মাসে কিয়েভে বলেছিলেন ব্রিটেন এখন ‘ দীর্ঘ মেয়াদে ’ ভাবনাচিন্তা করছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব অস্টিন এপ্রিল মাসে ইউক্রেন সফরের সময় উল্লেখ করেছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো আর শুধু ইউক্রেনকে আত্মরক্ষার জন্য সাহায্য করার চেষ্টা করছে না, এখন রাশিয়াকে ‘দুর্বল’ করার জন্য যুদ্ধকে ব্যবহার করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এই শীতে ইউরোপ ‘কাঁপতে কাঁপতে’ পরের বসন্তের মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রের বিপরীতক্রম বা সমাধানের জন্য প্রার্থনা করছে। বিশ্বের আর অপেক্ষা করার সামর্থ্য নেই। ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়ই সংকটের বিভিন্ন সময়ে কূটনীতির মাধ্যমে লড়াই শেষ করার জন্য শুধুই কথার কথা বলেছে, তবে তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। একটি স্থায়ী সদস্য জড়িত থাকার কারণে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ক্ষমতাও সীমিত। এমনকি অচলাবস্থার মধ্যেও সংকটকে দীর্ঘস্থায়ী হতে দেওয়া ভুল অঙ্কের কারণে পারমাণবিক পরিস্থিতির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। বিশ্বকে শান্তির জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। একটি সুচিন্তিত শান্তি প্রক্রিয়ার অথবা বেশ কিছু বিকল্প প্রকাশ্য বা গোপন পথ ধরে একটি নিকটমেয়াদি সমাধানের ভিত্তি স্থাপনের জরুরি প্রয়োজন আছে।
ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়ই সংকটের বিভিন্ন সময়ে কূটনীতির মাধ্যমে লড়াই শেষ করার জন্য শুধুই কথার কথা বলেছে, তবে তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
সভ্যতাগত অহিংসার মূল্যবোধ এবং বিশ্বকে একটি সুসংহত পরিবার হিসাবে দেখার উপর জোর দিয়ে ভারতের নেতৃত্ব প্রায়ই শান্তি–নির্মাতা হিসাবে নয়াদিল্লির ভূমিকার কথা বলেছে। ইউক্রেন সঙ্কটে ভারতের কর্তব্য গভীরে গিয়ে অনুধাবন করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট পুতিনকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বারবার বলেছেন যে এটি ‘ যুদ্ধের যুগ নয় ‘, এবং তা কূটনীতি ও সংলাপের উপর নয়াদিল্লির জোর দেওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে। অধিকন্তু ভারত অক্টোবরে ইউ এন জি এ–তে বলেছিল যে সে ‘উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে’ সমস্ত প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে প্রস্তুত। পশ্চিম এবং রাশিয়া উভয়ের জন্যই একটি বিশ্বস্ত অংশীদার হিসাবে ভারত এই উত্তেজনা প্রশমন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য উপযুক্ত। নিজস্ব ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সংকটে কোনও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা চাপিয়ে দিতে পছন্দ করবে না। যাই হোক, যুদ্ধরত পক্ষগুলি তাদের ‘দ্বিপাক্ষিকতার পথ প্রশস্ত করে দেওয়া’র নেতৃত্ব দিতে এবং শান্তি আলোচনার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম দিতে ভারতকে রাজি করাতে পারে।
ভারতের জি২০–র সভাপতিত্ব গ্রহণ করা এবং একটি বৃহত্তর অর্থনৈতিক অ্যাজেন্ডা সংজ্ঞায়িত করার সময়ে ইউক্রেনের সংঘাত এক উন্মত্ততা হয়ে দেখা দিয়েছে। ভারত একটি শান্তি প্রক্রিয়াকে সহজতর করতে পারে মূল অংশীদারদের সঙ্গে উন্মুক্ত বা ব্যাক চ্যানেল যোগাযোগের মাধ্যমে৷ প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্ভবত আজকের মুষ্টিমেয় বিশ্বনেতাদের একজন যিনি একই সঙ্গে পুতিন, জেলেনস্কি, ম্যাক্রোঁ ও বাইডেনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। এবং জি২০–র প্রেসিডেন্সি ভারতকে আজকের সবচেয়ে বড় সংকট মোকাবিলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ ও দায়িত্ব প্রদান করে। এই শান্তি প্রক্রিয়া ১৯৬৬ সালের তাসখন্দের প্রতিধ্বনি তাসখন্দ ২.০ হতে পারে, যখন রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়েই ইউ এস এস আর–এর অংশ হিসাবে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তির পথ প্রশস্ত করেছিল। এটি এমন এক সময় হয়ে উঠতে পারে যখন ভারত সেই অনুগ্রহের প্রতিদান দেবে। রুশ ও ইউক্রেনীয় পর্যটকেরা শীতকালে বিমান বোঝাই করে ভারত ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। ইউরোপীয় সংকট সমাধানের একটি পথ কি গোয়ার রৌদ্রোজ্জ্বল সৈকত বা পবিত্র গঙ্গার তীরে তৈরি হতে পারে?
মতামত লেখকের নিজস্ব।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Ankita Dutta was a Fellow with ORFs Strategic Studies Programme. Her research interests include European affairs and politics European Union and affairs Indian foreign policy ...
Read More +