কোনও দেশের জাতীয় স্বার্থের নিরিখে ঝুঁকিও অবিচ্ছেদ্য অংশ। যাই হোক, বর্তমানে ক্রমবর্ধমান বহিরাগত চ্যালেঞ্জ ও সেই প্রতিবন্ধকতার ফলে ধরাশায়ী করে দেওয়ার মতো প্রভাব, পরিবেশগত অবক্ষয় এবং বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে শুরু করে মানবিক বিপর্যয় ও নানাবিধ যুদ্ধের মধ্যে ঝুঁকিগুলি সম্প্রসারিত হয়েছে এবং ঝুঁকির বৈচিত্র্যকরণ ঘটেছে। কূটনৈতিক সমস্যা মীমাংসার জন্য চিনের মতো দেশগুলি নিজেদের বৈদেশিক নীতির অংশ হিসাবে অর্থনীতি সম্প্রসারণের নিরিখে ক্রমবর্ধমান অপব্যবহারের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তাই এতে আশ্চর্যের কিছু নেই যে, বিশ্বব্যাপী দেশগুলি সক্রিয় ভাবে নিজেদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকে শুধু মাত্র ভূ-রাজনৈতিক, পরিবেশগত এবং অন্যান্য সঙ্কট থেকেই নয়, বরং কূটনৈতিক জবরদস্তির মতো অর্থনৈতিক অনুশীলন থেকেও ‘ঝুঁকিমুক্ত’ করার উপায় খুঁজে চলেছে।
ক্রমবর্ধমান বহিরাগত চ্যালেঞ্জ ও সেই প্রতিবন্ধকতার ফলে ধরাশায়ী করে দেওয়ার মতো প্রভাব, পরিবেশগত অবক্ষয় এবং বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে শুরু করে মানবিক বিপর্যয় ও নানাবিধ যুদ্ধের মধ্যে ঝুঁকিগুলি সম্প্রসারিত হয়েছে এবং ঝুঁকির বৈচিত্র্যকরণ ঘটেছে।
বিশেষ করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলি এবং অন্য জি৭ দেশগুলির মতো বৃহৎ উন্নত অর্থনীতিগুলি ঝুঁকি কমাতে চিনের ঊর্ধ্বে উঠে ও চিনের বাইরে অন্যত্র আন্তর্জাতিক উত্পাদন সংক্রান্ত বিকল্পের সন্ধান চালাচ্ছে এবং চিনের উপর থেকে সরবরাহ শৃঙ্খলের নিয়ন্ত্রণ সরিয়ে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কারণ চিনের ক্রমবর্ধমান অস্বচ্ছ ও অপ্রত্যাশিত ভূ-রাজনৈতিক অনুশীলন অন্যান্য দেশকে রাষ্ট্রকেন্দ্রিক ও নিরাপত্তাভিত্তিক অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণে বাধ্য করেছে। এর ফলে ভারত, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো ইন্দো-প্যাসিফিকের উদীয়মান অর্থনীতিগুলির কাছে সুযোগের দরজা খুলে গিয়েছে। এই দেশগুলি পশ্চিমের তরফে ঝুঁকিমুক্তকরণের প্রচেষ্টায় কেবলমাত্র নিজেদের দেশীয় অর্থনীতিকে উন্নত করার সুযোগই পাবে, তা নয়; বরং অবাধ, ন্যায্য ও বহুমুখী আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার নিরিখে ভূ-রাজনৈতিক সারিবদ্ধকরণের সঙ্গেও সমন্বিত হতে পারবে। যাই হোক, উপকৃত দেশগুলির জন্য চিনের সঙ্গে তাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক জটিলতা সম্পর্কে সচেতন হওয়াও অত্যন্ত জরুরি। আরও কারণ চিনের সঙ্গে এ হেন দেশগুলির ভৌগোলিক নৈকট্যের কারণে তারা দীর্ঘকাল যাবৎ গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের (পিআরসি) তরফে আরও প্রত্যক্ষ এবং বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।
কূটনৈতিক ঝুঁকিমুক্তকরণ
আন্তর্জাতিক অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে, ডি-রিস্কিং বা ঝুঁকিমুক্তকরণ বলতে বোঝায় সমন্বিত উপায়ে অর্থনৈতিক কার্যকলাপের ঝুঁকি কমানোর প্রচেষ্টা, যার মধ্যে সাম্প্রতিক কালে সরবরাহ শৃঙ্খল ও উৎপাদনকে বৈচিত্র্যময় করার জন্য একটি সচেতন রূপান্তর অন্তর্গত। যাই হোক, কূটনৈতিক অনুশীলন হিসাবে পশ্চিমী অর্থনীতির তরফে ঝুঁকিমুক্তকরণের বর্তমান চাপটি কেবলমাত্র বৃহত্তর অর্থনৈতিক নিরাপত্তার আকাঙ্ক্ষা থেকে নয়, একই সঙ্গে চিনের মতো ‘সিস্টেমিক রাইভাল’ বা ‘ব্যবস্থাগত প্রতিদ্বন্দ্বী’র বিপরীতে নিজের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন রক্ষা করার জন্য একটি ভূ-রাজনৈতিক প্রয়োজনীয়তা থেকেও উদ্ভূত হয়েছে।
পশ্চিমের তরফে চিনের কাছ থেকে নিজেদের ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ, অনুশীলন ও নীতি গৃহীত হয়েছে, যা কূটনৈতিক ঝুঁকিমুক্তকরণের অনুশীলনকে বেশ ধোঁয়াশাময় করে তোলে। এ কথা বলা জরুরি যে, নীতি ও অনুশীলনের একটি সাধারণ সাধনীর অনুপস্থিতিতে বর্তমান প্রধান কর্মসূচি হয়ে উঠেছে সেমিকন্ডাক্টর বা অর্ধপরিবাহী এবং ক্লিনটেকের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে কূটনৈতিক জবরদস্তির হাতিয়ার হিসেবে চিনের বর্ধিত কর্মকাণ্ড এবং বাণিজ্যের ব্যবহার হ্রাস করা। অপ্রতিরোধ্য হলেও ঝুঁকিমুক্ত করার প্রচেষ্টা কোনও দেশের নিরাপদ অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার মাঝে স্বীকৃত যোগসূত্রের মধ্যেই অন্তর্নিহিত। এমনটা নয় যে, অর্থনীতি কখনওই একটি দেশের নিরাপত্তা বলয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। যাই হোক, বিদ্যমান মার্কিন-চিন বাণিজ্য যুদ্ধ বা লোহিত সাগরে হুতিদের সাম্প্রতিক আক্রমণের মতো আন্তর্জাতিক সঙ্কট অর্থনৈতিক পতনকে প্রভাবিত করেছে বা এই বিষয়ে কূটনৈতিক ছাড়কে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অর্থনৈতিক হাতিয়ারের ইচ্ছা মতো ব্যবহার করেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও সরবরাহ শৃঙ্খলে ভূ-রাজনৈতিক জটিলতার প্রভাব বিদ্যমান এবং সেই কারণে একটি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা স্পষ্ট হওয়া জরুরি। এর মধ্যেই অন্তর্নিহিত রয়েছে অদূর ভবিষ্যতের জন্য অর্থনৈতিক অন্বেষণকে জাতীয় নিরাপত্তা থেকে পৃথক রাখার সম্ভাবনা, যা দেশগুলিকে ‘বিচ্ছিন্নকরণ’ না করার উপায় খুঁজতে উদ্বুদ্ধ করে। তবে তা নিরর্থক বলে প্রমাণিত হয়েছে। কারণ দেশগুলি একটি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই চিনের মোকাবিলা করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে, ডি-রিস্কিং বা ঝুঁকিমুক্তকরণ বলতে বোঝায় সমন্বিত উপায়ে অর্থনৈতিক কার্যকলাপের ঝুঁকি কমানোর প্রচেষ্টা, যার মধ্যে সাম্প্রতিক কালে সরবরাহ শৃঙ্খল ও উৎপাদনকে বৈচিত্র্যময় করার জন্য একটি সচেতন রূপান্তর অন্তর্গত।
ভারতের জন্য কি এটি লাভজনক হবে?
ভারতের মতো উদীয়মান অর্থনীতির জন্য এই ঝুঁকিমুক্তকরণের সমীকরণ ঠিক কী নির্দেশ করে? প্রাথমিক ভাবে, এটি ফার্মাসিউটিক্যালস এবং আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রের মতো বিনিয়োগকে ভারতের দিকে চালিত করার সুবর্ণ সুযোগ বলে মনে হতে পারে। যাই হোক, পশ্চিমের তরফে চিনের কাছ থেকে নিজেদের ঝুঁকিমুক্ত করা এবং চিনেরও পশ্চিমের কাছ থেকে ঝুঁকিমুক্ত করার বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা করা জরুরি, বিশেষত ঝুঁকির উপলব্ধি ও সেগুলির প্রতি প্রত্যেক দেশের প্রতিক্রিয়া পৃথক হতে পারে। এমনকি এ কথাও মনে হতে পারে যে, প্রধান অর্থনৈতিক শক্তিগুলি সাধারণত ভূ-রাজনৈতিক ভাবে দৃঢ়চেতা চিনের তরফে অর্থনৈতিক বিপদের কথা স্বীকার করে নিয়ে একটি সমন্বিত কর্মসূচিমূলক পরিকল্পনা তৈরি করবে না, যা ভবিষ্যতের ঘটনাপ্রবাহের জন্য আগাম সঙ্কেত হয়ে উঠতে পারে। তবে বাস্তবতা সেই পরিস্থিতির চেয়ে অনেক দূরে। এই পর্যায়ে যখন ঝুঁকিমুক্তকরণের কৌশলটিকে ধোঁয়াশাময় বলে মনে হচ্ছে, তখন ঝুঁকিমুক্তকরণের প্রতি নমনীয়তা ঝুঁকির অস্পষ্টতার নিরিখে সম্ভাব্য বিনিয়োগকে অনিশ্চিত করে তোলে এবং একটি অস্থির পরিস্থিতির জন্ম দেয়। তাই চিনের বাইরে এবং অন্যান্য উদীয়মান অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলে কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি হিসাবে চিনের প্রতি বিদ্যমান ভূ-রাজনৈতিক আশঙ্কাকে দর্শায়, বিশেষ করে যেহেতু চিনের সঙ্গে সমস্ত বাণিজ্যই সমস্যাজনক নয়।
ভারত এই পরিস্থিতি সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। যেমন প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের নিজস্ব ঝুঁকিমুক্ত অগ্রাধিকার রয়েছে, যা ভারতকে একটি অনুশীলন হিসাবে ঝুঁকিমুক্ত করার অন্তর্নিহিত পরিবর্তনশীলতা সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। একই সময়ে ভারত চিনের সঙ্গে তার অর্থনৈতিক জটিলতা সম্পর্কেও সচেতন রয়েছে। চিনের সঙ্গে সম্পর্কে সাম্প্রতিক অবনতি সত্ত্বেও ব্রিকস-এর মতো গ্লোবাল সাউথের দেশগুলির জোট ভারতের নিজের বৃদ্ধির জন্য দৃঢ় প্রভাবশালী। পিআরসি ভারতের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়িক অংশীদার হিসাবে রয়ে গিয়েছে, যা উত্তরে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকিমুক্তকরণের প্রচেষ্টার প্রতি ভারতের প্রতিক্রিয়ার উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে। এর পাশাপাশি, চিনের সঙ্গে ভারতের ভৌগোলিক নৈকট্য সাম্প্রতিক কালে সীমান্ত সংঘর্ষ-সহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চ্যালেঞ্জের আর একটি স্তর যুক্ত করেছে, যা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি বিচ্ছিন্ন চিনা অর্থনীতির প্রভাবকে জটিলতর করে তুলতে পারে। সর্বোপরি, একটি আগ্রাসী চিনের তরফে বিভিন্ন উপায়ে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তার প্রতিযোগীদের কাছে সরবরাহ শৃঙ্খলে আন্তর্জাতিক পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠার জন্য নিজের অর্থনৈতিক অবস্থান কাজে লাগানোর ভাবনা সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক নয়।
বিদ্যমান ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কট ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার পথকে আরও সঙ্কুচিত করতে পারে এবং রাষ্ট্রগুলিকে তাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় অনুপ্রাণিত করবে।
সম্ভাব্য ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পতন সত্ত্বেও বিদ্যমান ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এবং নতুন অংশীদারিত্ব তৈরি করতে সমমনস্ক দেশগুলির তরফে ঝুঁকিমুক্তকরণের কৌশলগুলিকে কাজে লাগানো যেতে পারে। এটি ভারতের জন্য বিশেষ ভাবে প্রাসঙ্গিক এবং উপযোগী হবে। কারণ ভারতের শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা, গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতার প্রাপ্যতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার জন্য একটি উদার, গণতান্ত্রিক, অভিন্ন সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এবং ভারত প্রধান অর্থনীতিসম্পন্ন দেশগুলির কাছে তাদের উৎপাদন ঘাঁটি এবং সরবরাহ শৃঙ্খল হয়ে ওঠার নিরিখে উল্লেখযোগ্য শক্তি হয়ে উঠেছে। যেমন, ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিইএফ) বা ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ ইকোনমিক করিডোরের (আইএমইসিসি) মতো নতুন অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতির নিরিখে একটি মুক্ত ও অবাধ ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী আগ্রহ আন্তর্জাতিক ঝুঁকিমুক্তকরণের প্রচেষ্টায় একটি বিবেচনাধীন পরিসর খুঁজে পেতে পারে। একই সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক ভাবে প্ররোচিত ঝুঁকি - বিশেষ করে একটি সম্ভাব্য চিনা আগ্রাসন থেকে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য এবং কাঁচামালের অর্থনৈতিক সরবরাহ রক্ষা করার একটি অভিন্ন সাধারণ আকাঙ্ক্ষা – ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন বা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মতো বহুপাক্ষিক জোটে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতপার্থক্য ও বিরোধ দূর করার জন্য সুযোগ প্রদান করতে পারে। এ কথা বলা বাহুল্য, দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তি এবং ভারত ও ভিয়েতনামের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব পূর্ণতা পেতে পারে, যা অর্থনৈতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তার মতো যৌথ স্বার্থ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা থেকে উদ্ভূত।
সামনের বছরটিতে প্রতিযোগিতা কমা এবং বিচ্যুতি হ্রাসের কোনও সম্ভাবনা নেই। বিদ্যমান ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কট ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার পথকে আরও সঙ্কুচিত করতে পারে এবং রাষ্ট্রগুলিকে তাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় অনুপ্রাণিত করবে। চিনের অবস্থানে কাঠামোগত পরিবর্তনের অনুপস্থিতিতে তার অর্থনীতির বিদ্যমান অস্ত্রায়ন এমন এক ঝুঁকি হয়েই থাকবে, যার প্রশমন প্রয়োজন। ভারতের মতো দেশগুলির জন্য তা কেবল আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বিনিয়োগকেই নয়, বরং সাধারণ আদর্শগত লক্ষ্যগুলিকে কেন্দ্র করে আদর্শগত সাযুজ্যতার একটি সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। যাই হোক, উদীয়মান অর্থনীতির তরফে আন্তর্জাতিক মূল্য শৃঙ্খলে সম্ভাব্য পরিবর্তনকে সম্পূর্ণ ভাবে কাজে লাগানোর জন্য শুধু মাত্র ঝুঁকিমুক্তকরণই যথেষ্ট নয়। উদীয়মান অর্থনীতিগুলিকে বর্ধিত অভ্যন্তরীণ উপায় এবং আন্তর্জাতিক জোটগুলির সঙ্গে পরিপূরক হয়ে উঠতে হবে, যা তাদের কেবলমাত্র ভাল দর কষাকষিতেই সাহায্য করবে না, বরং একটি অস্থির ভূ-রাজনৈতিক বিশ্বের সম্ভাব্য প্রভাবগুলির বিরুদ্ধে সুরক্ষাও প্রদান করবে।
চয়নিকা সাক্সেনা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের গবেষক।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.