Author : Akshay Joshi

Expert Speak Urban Futures
Published on Sep 20, 2022 Updated 1 Days ago

গ্রামীণ এলাকায় সবার জন্য উপযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থা করতে চালু করা এই প্রকল্পটি লক্ষ্যমাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে পিছিয়ে রয়েছে।

কেন্দ্রের উচিত পি এম এ ওয়াই-জি প্রকল্প পুনর্বিবেচনা করা
কেন্দ্রের উচিত পি এম এ ওয়াই-জি প্রকল্প পুনর্বিবেচনা করা

২০১৫ সালে ভারত সরকার ২০২২ সালের মধ্যে ‘সকলের জন্য আবাসন’ প্রদানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (পি এম এ ওয়াই) প্রকল্প চালু করে৷ এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে প্রায় সাত বছর কেটে গেছে এবং আমরা প্রাথমিক সময়সীমা অনেক আগেই পেরিয়ে এসেছি। এই মুহূর্তে আবাসন বাস্তুতন্ত্র, তার ভূমিকা, প্রকল্পের কার্যকারিতা ও সীমাবদ্ধতা এবং আগামিদিনের পথ সম্পর্কে খতিয়ে দেখা অত্যাবশ্যক।

নীতি আয়োগের ’স্ট্র্যাটেজি ফর নিউ ইন্ডিয়া’ নথি অনুসারে, ভারতে ৪.২ কোটি আবাসন নির্মাণ প্রয়োজন। দেশের আবাসন ঘাটতির জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল:

১) অত্যধিক জনসংখ্যা: যে পরিবারগুলিতে দম্পতি অথবা বড় পরিবারগুলির বসবাস করার জন্য পৃথক ঘরের বন্দোবস্ত নেই এবং একটি নতুন বাড়ির প্রয়োজন।

২) অব্যবহারযোগ্য: যে বাড়িগুলি জরাজীর্ণ এবং থাকার অযোগ্য।

৩) ভাড়াটেহীন: যে বাড়িগুলিতে কেউ বসবাস করে না।

এই প্রকল্পের অধীনে, আর্থ-সামাজিক-অর্থনৈতিক জাতি শুমারি ২০১১-তে চিহ্নিত এবং কাঁচা বাড়িতে বসবাসকারী মানুষেরা এই সুবিধে পাবেন। সমতল এলাকায় এবং পার্বত্য অঞ্চলে বাড়ি নির্মাণের জন্য সুবিধাপ্রাপকদের যথাক্রমে ১.২০ লক্ষ টাকা এবং ১.৩০ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছিল৷

হাউজিং প্যারাডক্স: চাহিদা সর্বদা সরবরাহের সমানুপাতিক নয়

আই সি আর এ-র মতে, ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নে (এন সি আর) ১.৭ লক্ষ অবিক্রিত আবাসন ক্রেতাদের অপেক্ষায় রয়েছে। হাউজিং অ্যান্ড ল্যান্ড রাইটস নেটওয়ার্ক অনুযায়ী, শুধু মাত্র দিল্লিতেই ১.৫ থেকে ২ লক্ষ গৃহহীন মানুষ রয়েছেন। এই দুই তথ্য পরিসংখ্যান একটি বিসদৃশতাকেই তুলে ধরে। এক দিকে ফাঁকা আবাসন, অন্য দিকে গৃহহীন মানুষের জন্য উপযুক্ত আবাসনের অভাব। একটি বাড়ির প্রয়োজনীয়তা সব সময় চাহিদায় রূপান্তরিত হয় না। যে সব মানুষের বাসস্থান প্রয়োজন, তাঁরা সরবরাহকারী বেসরকারি পুঁজিপতিদের কাছ থেকে উচ্চ মান ও উচ্চ মূল্যের আবাসন ক্রয় করতে সক্ষম হন না। অতএব এই তথ্য সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের এক তীব্র প্রয়োজনীয়তাকেই তুলে ধরে।

সরকারের ভূমিকা

এই পটভূমিতে সরকারের পক্ষে হস্তক্ষেপ করা এবং অচলাবস্থার সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকাকে দু’টি ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে:

১) আবাসন ঘাটতির সম্মুখীন ৯৬ শতাংশ মানুষ অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল এবং নিম্ন অর্থনৈতিক গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। ‘সামর্থ্য’ নিশ্চিত করতে সরকারকে অবশ্যই এঁদের সরাসরি পরিষেবা প্রদান করতে হবে।

২) অন্য অনেক ক্ষেত্রের মতোই এক জন প্রদানকারী থেকে এক জন সহায়তাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে সরকার। তাই সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রকল্পের সাফল্য ও বাস্তবায়নের জন্য বেসরকারি ক্ষেত্রের সম্পৃক্ততা একটি গুরুত্বপূর্ণ আঙ্গিক হয়ে উঠেছে। সরকারকে ব্যক্তিগত পুঁজিপতিদের সহায়ক একটি বাস্তুতন্ত্র গড়ে তুলতে হবে।

কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৫ সালে হাউজিং ফর অল (এইচ এফ এ) বা ‘সকলের জন্য আবাসন’ মিশন চালু করেছিল, যার মধ্যে রয়েছে:

১) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহর) (পি এম এ ওয়াই – ইউ): এটি ২০১৫ সালে শহুরে এলাকার জন্য চালু করা হয়েছিল।

২) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) (পি এম এ ওয়াই – জি): এটি ২০১৬ সালে গ্রামীণ এলাকার জন্য চালু করা হয়েছিল।

পি এম এ ওয়াই-জি প্রকল্প এই ধারণার ভিত্তিতেই নির্মিত যে, গ্রামীণ ভারতের জন্য স্বনির্মিত ক্রমবর্ধমান আবাসনের প্রয়োজন। তাই পি এম এ ওয়াই – জি-র অধীনে কাঁচা এবং জরাজীর্ণ বাসস্থানে বসবাসকারী মানুষদের মৌলিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন পাকা বাড়ি নির্মাণের জন্য সরকারের তরফে ভর্তুকি প্রদান করা হয়। শহুরে ভারতের জন্য পদক্ষেপটি বস্তিবাসী-সহ শহুরে দরিদ্রদের আবাসনের চাহিদার দিকটি মেটানোর চেষ্টা করে। তাই পি এম এ ওয়াই – ইউতে সুবিধাপ্রাপকদের দ্বারা নির্মাণ কাজ ছাড়াও বস্তি পুনরুন্নয়ন এবং নতুন গ্রিনফিল্ড আবাসন নির্মাণের কথা ভাবা হয়েছে।

সরকারের উচিত রাজ্যের দ্রুত অর্থায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা এবং এম জি এন আর ই জি এ-র মতো কেন্দ্রীয় তহবিলের ক্ষেত্রে সুবিধাপ্রাপকদের কাছে প্রত্যক্ষ হস্তান্তরের বিষয়টি সুনিশ্চিত করা।

গ্রামীণ ভারতের জন্য আবাসন

পি এম এ ওয়াই – জি-র লক্ষ্য হল স্বনির্মিত আবাসনের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় সর্বসাধারণের জন্য উপযুক্ত আবাসন গড়ে তোলা। এই প্রকল্পের অধীনে আর্থ-সামাজিক-অর্থনৈতিক জাতি শুমারি ২০১১-তে চিহ্নিত এবং কাঁচা বাড়িতে বসবাসকারী মানুষেরা এই সুবিধে পাবেন। সমতল এলাকায় এবং পার্বত্য অঞ্চলে বাড়ি নির্মাণের জন্য সুবিধাপ্রাপকদের যথাক্রমে ১.২০ লক্ষ টাকা এবং ১.৩০ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছিল৷ এই প্রকল্পটি স্বচ্ছ ভারত অভিযান, এম জি এন আর ই জি এ, জল জীবন মিশন এবং দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রাম জ্যোতি যোজনার মতো অন্য সরকারি প্রকল্পগুলির সঙ্গে সংযুক্ত হওয়াকে অগ্রাধিকার দেয়।

পি এম এ ওয়াই – জি-র কার্যকারিতা

পি এম এ ওয়াই – জি-র আওতায় ২০২২ সালের মধ্যে সমস্ত মৌলিক সুবিধাসম্পন্ন ২ কোটি ৭০ লক্ষ নতুন বাড়ি তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল। সরকারের মতে, ১.৮৩ কোটি (বা ৬৮ শতাংশ) বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। অন্য দিকে, ০.৮৭ কোটি (বা ৩২ শতাংশ) বাড়ির কাজ এখনও অসমাপ্ত বা সম্পূর্ণ হওয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। প্রকল্পটি লক্ষ্যমাত্রার দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে এবং এর একটি কারণ হিসেবে কোভিড-১৯ অতিমারিকে দায়ী করা যেতে পারে। যদিও অতিমারি শুরু হওয়ার আগে প্রকল্পটির গতি শ্লথই ছিল।

বাস্তবায়নে বাধা

১) কয়েকটি রাজ্যে অনুপযুক্ত বাস্তবায়ন: পি এম এ ওয়াই – জি হল কেন্দ্র দ্বারা অর্থায়িত প্রকল্প। সমতল এলাকায় এই প্রকল্পে কেন্দ্র এবং রাজ্যের অংশীদারিত্বের অনুপাত ৬০:৪০ এবং পার্বত্য অঞ্চলে তা ৯০:১০। বেশ কয়েকটি রাজ্য তাদের অর্থায়নের দায়িত্ব পালনে বিলম্ব করায় প্রকল্পটির গতি তীব্র ভাবে প্রভাবিত হয়েছে। ২০২০ সালে ন’টি রাজ্য তাদের সুবিধাপ্রাপকদের প্রাপ্য ২৯১৫.২১ কোটি টাকা প্রদানে বিলম্ব করেছিল। এমনকি কিছু রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রদত্ত অর্থ সঠিক সময়ে বণ্টন করা হয়নি। ২০২০ সালে মোট ২০০ কোটি টাকার ঘাটতির কথা প্রতিবেদিত হয়েছিল। সরকারের উচিত রাজ্যের দ্রুত অর্থায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা এবং এম জি এন আর ই জি এ-র মতো কেন্দ্রীয় তহবিলের ক্ষেত্রে সুবিধাপ্রাপকদের কাছে প্রত্যক্ষ হস্তান্তরের বিষয়টি সুনিশ্চিত করা।

একই ভাবে সাধারণ, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলির ২০২০ সালের সি এ জি অডিট রিপোর্টে পি এম এ ওয়াই – জি-র অধীনে নির্মিত বাড়িগুলির গুণমানের সঙ্গে আপস করার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

২) অর্থের উপলব্ধতা: গ্রামীণ এলাকায় একটি নতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য ১.২/১.৩ লক্ষ টাকার ভর্তুকি পর্যাপ্ত নয়। এই তহবিল ঘাটতি মেটানোর জন্য একটি পরিবারের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে পর্যাপ্ত পুঁজি উপলব্ধ করার সুযোগ থাকা প্রয়োজন।  পি এম এ ওয়াই – জি মিশনের নির্দেশিকায় নাবার্ড-এর মাধ্যমে ৭০,০০০ টাকা ঋণের ব্যবস্থা করা আছে। দুর্ভাগ্যবশত এই ক্ষেত্রে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি। এমনকি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এস বি আই) মতো বড় সরকারি ব্যাঙ্কগুলিতেও অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল সম্পদায়ের মানুষদের (ই ডব্লিউ এস) প্রয়োজন পূরণের জন্য উপযুক্ত পণ্য এবং পুঁজির কোনও ব্যবস্থা নেই। উচ্চতর অনুমিত ঝুঁকি এবং অল্প লাভের মাত্রা ব্যাঙ্কগুলিকে এই সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য নির্দিষ্ট পণ্য বা পরিষেবা নির্মাণে বাধা দেয়। এই প্রেক্ষিতে সরকারের তরফে পদক্ষেপ করা এবং অর্থের স্থির সরবরাহ সুনিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক হয়ে ওঠে, যা প্রকল্পটির বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। ‘সকলের জন্য আবাসন’ স্বপ্নটি তত দিন বাস্তবে পরিণত হবে না, যত দিন না ই ডব্লিউ এস ক্ষেত্রের জন্য অর্থায়নের বিষয়টি সরকারি তরফে খতিয়ে দেখে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।

বিদ্যমান কাঠামোর সীমাবদ্ধতা

১) ভূমিহীন কৃষকদের অন্তর্ভুক্ত না করা: পি এম এ ওয়াই – জি-র অধীনে এক জন সুবিধাপ্রাপক হিসেবে স্বীকৃত হওয়ার জন্য এক খণ্ড জমির মালিক হওয়া প্রয়োজনীয়। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, ভারতে ১৪৪ মিলিয়ন ভূমিহীন কৃষক রয়েছেন, যাঁদের অধিকাংশই গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করেন। যদিও পি এম এ ওয়াই – জি – এম আই এস অনুযায়ী, শুধু মাত্র ০.২৬ মিলিয়নকে ভূমিহীন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এক দশক পুরনো আদমশুমারির তুলনায়, পি এম এ ওয়াই – জি-র অধীনে চিহ্নিত ভূমিহীনদের সংখ্যা নগণ্য। ০.২৬ মিলিয়নের মধ্যে সরকার শুধু মাত্র ০.১১ মিলিয়ন কৃষককেই সুবিধাপ্রাপক হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে। ভূমিহীন সুবিধাপ্রাপকদের চিহ্নিত করা এবং তাঁদের জন্য জমির ব্যবস্থা করা রাজ্য সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কয়েকটি রাজ্য ব্যতীত বেশির ভাগ রাজ্যই ভূমিহীনদের শনাক্তকরণ এবং তাঁদের জমি প্রদানের বিষয়টি অবগত নয়। রাজ্য সরকার ভূমিহীন সুবিধাপ্রাপকদের স্বীকৃতি না দিলে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে না। সুতরাং ভূমিহীন গ্রামীণ দরিদ্র কৃষক সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি অমীমাংসিতই থেকে যায়। সর্বোপরি ভূমিহীন দরিদ্রদের আবাসনের চাহিদা পূরণ করতে পি এম এ ওয়াই – জি-তে পি এম এ ওয়াই –ইউ-এর মতো পৃথক ব্যবস্থার উল্লেখ করা হয় না। ভূমিহীনরা দরিদ্রদের মধ্যে দরিদ্রতম এবং প্রান্তিক গোষ্ঠীভুক্ত। এই মুহূর্তে প্রয়োজন হল বিদ্যমান প্রকল্পের সীমাবদ্ধতাগুলিকে স্বীকার করা এবং ভূমিহীন গ্রামীণ জনসাধারণের আবাসনের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা।

২) আবাসনের গুণমান: ইন্দিরা আবাস যোজনা (আই এ ওয়াই) সংক্রান্ত সি এ জি-র পারফরম্যান্স অডিট রিপোর্টে — আই এ ওয়াই ছিল পি এম এ ওয়াই – জি-র পূর্বসূরি— নিম্ন গুণমানের আবাসনকে এই প্রকল্পের প্রধান ত্রুটি হিসেবে তুলে ধরা হয়। একই ভাবে সাধারণ, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলির ২০২০ সালের সি এ জি অডিট  রিপোর্টে পি এম এ ওয়াই – জি-র অধীনে নির্মিত বাড়িগুলির গুণমানের সঙ্গে আপস করার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। আট বছর আগে আই এ ওয়াই-তে যে সমস্যাটি চিহ্নিত করা হয়েছিল, তা এখনও পি এম এ ওয়াই – জি-র ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক— বাড়ি নির্মাণের দায়িত্ব সুবিধাপ্রাপকের উপরেই বর্তায় এবং গুণমান পর্যবেক্ষণ করার কোনও নির্দিষ্ট পন্থা অবলম্বন করা হয় না। বাসস্থানের জিও-ট্যাগিং নির্মাণকার্য সুনিশ্চিত করলেও নির্মিত বাড়িগুলির গুণমান সম্পর্কে কোনও তথ্য তুলে ধরে না। এমনকি সুবিধাপ্রাপকরাও নির্মাণ কাজের আদর্শ পথ সম্পর্কে সচেতন নন। মন্ত্রকের তরফে আদর্শ প্রোটোটাইপ এবং নির্মাণ কাজের পরিকল্পনা প্রদান করা হলেও বাস্তবে তার কার্যকারিতা সুনিশ্চিত করার মতো কোনও প্রক্রিয়া নেই। তাই সরকারকে গুণগত মান পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

পি এম এ ওয়াই প্রকল্প স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে শৌচাগার নির্মাণ, ৯০ দিন পূর্ণ হলে এম জি এন আর ই জি এ কর্মীদের সুবিধা প্রদান, জল জীবন মিশনের অধীনে পানীয় জলের সংযোগ, উজ্জ্বলা যোজনার অধীনে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং দূষণমুক্ত রান্নার জ্বালানি প্রদানের মতো অন্য সরকারি প্রকল্পগুলির সঙ্গে সমন্বয় সাধনের উপর জোর দেয়।

৩) সমন্বয় সাধন: পি এম এ ওয়াই প্রকল্প স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে শৌচাগার নির্মাণ, ৯০ দিন পূর্ণ হলে এম জি এন আর ই জি এ কর্মীদের সুবিধা প্রদান, জল জীবন মিশনের অধীনে পানীয় জলের সংযোগ, উজ্জ্বলা যোজনার অধীনে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং দূষণমুক্ত রান্নার জ্বালানি প্রদানের মতো অন্য সরকারি প্রকল্পগুলির সঙ্গে সমন্বয় সাধনের উপর জোর দেয়। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল বাড়ি নির্মাণের জন্য মৌলিক সুযোগ-সুবিধা এবং সহায়তা প্রদান করা। যদিও বিভিন্ন গবেষণা এবং সি এ জি অডিট রিপোর্টে প্রকল্পগুলির সমন্বয় সাধনের অভাবকেই দর্শানো হয়েছে। ২০২০ সালে রাজস্থানের সি এ জি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত বাড়ির উপরে সমীক্ষা চালানো হয়েছে তার মধ্যে ৪৯ শতাংশ বাড়িতেই শৌচাগারের অভাব রয়েছে – একটি বাড়ির নির্মাণ শৌচাগার তৈরির সঙ্গে সঙ্গেই সম্পূর্ণ হয়। সরকারের তরফে শুধু এই বাড়িগুলিকে সম্পূর্ণ বলেই ঘোষণা করা হয়নি, বরং একই সঙ্গে গ্রামগুলিকেও ‘প্রকাশ্যে মলত্যাগমুক্ত’ বলে ঘোষণা করেছে।

সামনের পথ

গ্রামীণ ভারতে ‘সকলের জন্য আবাসন’ অর্জনের লক্ষ্যে পি এম এ ওয়াই – জি একটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্প। প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নে বিলম্ব এড়াতে রাজ্য সরকারগুলিকে সময় মতো অর্থায়ন সুনিশ্চিত করতে হবে। সুবিধাপ্রাপকদের তরফে তাঁদের দেয় অর্থের জন্য আনুষ্ঠানিক অর্থায়নের সহায়তা প্রয়োজন। ভূমিহীন পরিবারগুলিকেও এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। কারণ তাঁরাই সরকারি সহায়তা লাভের নিরিখে যোগ্যতম অংশ। আবাসনের গুণমান সংক্রান্ত দিকগুলির উন্নতি সাধনের সুযোগও থাকছে এবং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের অন্য প্রকল্পগুলির সঙ্গে উন্নততর সমন্বয় সাধনের মাধ্যমেই তা অর্জন করা সম্ভব।

মতামত লেখকের নিজস্ব।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.