প্রযুক্তি দীর্ঘকাল ধরে ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কের রূপরেখা তৈরি করেছে — পক্ষগুলি আরও প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতি, সমাজ ও সামরিক বাহিনী গড়ে তোলার জন্য তাদের প্রতিপক্ষের সঙ্গে উদ্ভাবন নিয়ে প্রতিযোগিতা করেছে। আজকের দিনটি অন্যরকম। ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির অগ্রগতি দ্রুত হারে বিকশিত হওয়ার পর প্রশ্নটি এই নয় যে কে প্রথমে তাদের সুবিধাগুলি দখল করবে, প্রশ্ন হল কীভাবে পক্ষগুলি এর উপকারী ব্যবহার প্রচার করতে এবং এর ঝুঁকি সীমিত করতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
চ্যালেঞ্জ: ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির সুবিধাগুলি বৈষম্য ও ঝুঁকির কারণে ক্ষুণ্ণ হতে পারে
ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির অগ্রগতির প্রবল গতি – কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), কোয়ান্টাম সায়েন্স, ব্লকচেন, থ্রিডি প্রিন্টিং, জিন এডিটিং ও ন্যানোটেকনোলজি হল এর কয়েকটির নাম – এবং বিভিন্ন অনুপ্রেরণা সহ বহু রাষ্ট্রীয় এবং অ-রাষ্ট্রীয় কুশীলবদের দ্বারা এর সাধনা সমসাময়িক ভূ-রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। রাষ্ট্রীয় শক্তির জন্য এই প্রযুক্তিগুলি কৌশলগত এবং প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা লাভের সুযোগ দেয়, আর বিপজ্জনক অ-রাষ্ট্রীয় শক্তির জন্য এই প্রযুক্তিগুলি তাদের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির উপযোগী কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আরেকটি উপায় উপস্থাপন করে।
অতএব, উদীয়মান প্রযুক্তিগুলি একটি খণ্ডিত ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক ভূচিত্রে আরেকটি স্তর যুক্ত করেছে। ভূ-রাজনৈতিক গতিশীলতাকে রূপ দেওয়ার পাশাপাশি এগুলি ক্ষমতার সাধারণ ধারণাগুলিকেও রূপান্তরিত করছে — সামরিক ও অর্থনৈতিক ভারসাম্যের প্রথাগত পরামিতির বাইরে গিয়ে এগুলি ডেটা ও তথ্য নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের ক্ষমতার উপর জোর দেয়, বা একটি রাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবের প্রাথমিক নির্ধারক হিসাবে তুলে ধরে প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে।
এই প্রযুক্তিগুলির উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক প্রভাব রয়েছে। কিছু অনুমান অনুসারে, জেনারেটিভ এআই বিশ্ব অর্থনীতিতে ২.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যোগ করতে পারে, এবং ২০৪০ সাল পর্যন্ত বার্ষিক ০.৬% হারে শ্রম উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে। তবুও, একইসঙ্গে, এই প্রযুক্তিগুলির দ্রুত বাস্তবায়ন কর্মসংস্থান এবং সামাজিক স্থানচ্যুতি সম্পর্কে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই গতিশীলতাগুলি নতুন ভূ-রাজনৈতিক প্রান্তিকীকরণেরও সূত্রপাত করছে, কারণ রাষ্ট্রগুলি নতুন প্রযুক্তির বিকাশ এবং ব্যবহারে সহযোগিতা বা প্রতিযোগিতা করতে চায়।
যেহেতু ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তি বিশ্ব রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান করে নেয়, তাই সেগুলি আন্তর্জাতিক কূটনীতির জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে।
যেহেতু ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তি বিশ্ব রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান করে নেয়, তাই সেগুলি আন্তর্জাতিক কূটনীতির জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে। ক্ষতি করতে চায় এমন বিপজ্জনক কুশীলবদের হাতে ফ্রন্টিয়ার দ্বৈত-ব্যবহার প্রযুক্তির বিস্তার রোধ করতে রাষ্ট্রগুলি কী করতে পারে? রাষ্ট্রগুলি কি তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বাইরে অভিনব সমাধানগুলি কল্পনা করতে পারে, না কি তারা সর্বদা প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে ক্যাচ-আপ গেম খেলবে? এই প্রযুক্তিগুলির বৈশ্বিক শাসনের বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বাধীন বহুপাক্ষিক কাঠামোর কী ভূমিকা নেওয়া উচিত, না কি বহুপাক্ষিকতাবাদ ও ক্লাব-বহুপাক্ষিকতা জিতে যাবে?
ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তি পরিচালনার জন্য একটি নতুন পদ্ধতি
বৈশ্বিক প্রযুক্তির শাসনের ঐতিহাসিক বিবর্তন আজ ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির দ্বারা উত্থাপিত চ্যালেঞ্জগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাঠ প্রদান করে। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় শিল্পোন্নত দেশগুলি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল, যেমন নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার গ্রুপ এবং মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিম, যা কিছু দেশকে তাদের বেশ কয়েকটি দ্বৈত-ব্যবহারের প্রযুক্তি অস্বীকার করে বাদ দিতে চেয়েছিল। সেই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাগুলি প্রযুক্তির বিস্তার রোধে সফল প্রমাণিত হয়েছিল। যাই হোক, ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার পরিবর্তনের সঙ্গেসঙ্গে একই জমানাগুলি পূর্বে বহিষ্কৃত দেশগুলির জন্য সদস্যপদ প্রসারিত করতে শুরু করে। এই পদ্ধতিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেয়: সদস্যপদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রাথমিক একচেটিয়া দৃষ্টিভঙ্গি ত্যাগ করা জমানার বৈধতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
দ্বিতীয়ত, বহুপাক্ষিক রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সফল হলেও পারমাণবিক অ-প্রসারণ ব্যবস্থাগুলি আদর্শ স্তরের চেয়ে কম কাজ করেছে, কারণ তারা পরমাণু অস্ত্র আছে এবং নেই-এর মধ্যে ব্যবধানকে প্রসারিত করেছে। এটি পারমাণবিক শক্তি নয় এমন দেশগুলির মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়, যারা জমানার বৈধতা ক্ষুণ্ণ করতে চেয়েছিল।
আজকের জন্য মূল পাঠ হল যে, কোনও প্রযুক্তি-সম্পর্কিত বিস্তার নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টার সাফল্য গ্লোবাল নর্থ ও সাউথের বিদ্যমান প্রযুক্তি বিভাজনের উপর জোর না–দেওয়ার উপর নির্ভরশীল।
রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বাধীন বহুপাক্ষিক কাঠামো ডিজিটাল সহযোগিতার প্রসারের জন্য মহাসচিবের হাই লেভেল প্যানেল অন ডিজিটাল কোঅপারেশন–এর মতো উদ্যোগের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। যাই হোক, বিশ্ব বা বহুপাক্ষিক পর্যায়ে তেমন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হলেও, দ্বিপাক্ষিক ও ক্ষুদ্রপাক্ষিক প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোয়াড, অওকাস ও আই২ইউ২-এর মতো গ্রুপিংগুলি, যেগুলি বিশেষ প্রযুক্তিগত সহযোগিতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, একটি সম্ভাব্য মডেলের পথ দেখায়৷ এই ব্যবস্থাগুলি আরও পরামর্শ দেয় যে এমনকি রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বাধীন বহুপাক্ষিক কাঠামোগুলি ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তিগুলি নিয়ে হিমসিম খেলেও ক্ষুদ্রপাক্ষিকগুলি ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির অগ্রগতির প্রেক্ষিতে সহযোগিতার সূচনা বিন্দু হতে পারে।
প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা যাতে সফল হয় তা নিশ্চিত করার জন্য দেশগুলিকে নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে উদ্ভাবন করতে হবে, যে প্রয়াসে সরকারগুলি সমস্ত অংশীদারকে — প্রযুক্তি কর্পোরেশন, সুশীল সমাজ, অ্যাকাডেমিয়া এবং গবেষণা সম্প্রদায়কে — একত্র করবে। ডিপ ফেকস ও চ্যাটজিপিটি-র মতো ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং মডেলের মতো টুলের মাধ্যমে জেনারেটিভ এআই দ্বারা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যে চ্যালেঞ্জ উত্থাপিত হয়েছে, তা দেখিয়েছে যে যদি না এই অংশীদারেরা নীতি প্রণয়নে একত্রিত হন, তাহলে প্রবিধানগুলি সব সময়েই আসবে কোনও ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে।
কীভাবে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা জোরদার করা যায়
ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা জোরদার করার জন্য নিম্নলিখিত চারটি প্রস্তাব রয়েছে:
- উদীয়মান প্রযুক্তিগুলির সুরক্ষার দায়িত্ব (আর২পি) কাঠামো বিকাশ করা: যেভাবে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, জাতিগত বিতাড়ন এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ থেকে অসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্রপঞ্জ আর২পি কাঠামো তৈরি করেছিল, সেভাবেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই উদীয়মান প্রযুক্তির ক্ষতি থেকে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্রগুলিকে একটি নিয়ামক আর২পি বাধ্যবাধকতা তৈরি করতে চাপ দিতে হবে। এই বাধ্যবাধকতা তিনটি স্তম্ভকে অন্তর্ভুক্ত করবে: ১) উদীয়মান প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে নিজের জনসংখ্যাকে রক্ষা করার জন্য প্রতিটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব, ২) উদীয়মান প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে নিজের জনসংখ্যাকে রক্ষা করতে রাষ্ট্রগুলিকে সহায়তা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব, এবং ৩) যখন একটি রাষ্ট্র উদীয়মান প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে তার নিজস্ব জনগণকে রক্ষা করতে স্পষ্টতই ব্যর্থ হবে তখন মানুষকে রক্ষার জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব। প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট ব্যবস্থাগুলি সংশ্লিষ্ট নির্দিষ্ট প্রযুক্তির উপর এবং সেগুলির ঝুঁকির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হবে।
- একটি তিন-স্তরের "বাজার উদ্ভাবন" রোডম্যাপ তৈরি করা: রাষ্ট্রগুলিকে অবশ্যই দায়িত্বশীল বাণিজ্যিক প্রয়োগ এবং নতুন প্রযুক্তির বিচ্ছুরণ নিশ্চিত করতে হবে৷ এর দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল রাষ্ট্রগুলির একটি সমন্বিত ত্রি-স্তরযুক্ত প্রযুক্তি শোষণ কাঠামো তৈরি করা, যার মধ্যে থাকবে নিয়ামক স্যান্ডবক্স (সাধারণ প্রভাব মূল্যায়নের জন্য একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে পাইলট–পরীক্ষিত), শহর-আয়তন পরীক্ষা, এবং বাণিজ্যিক প্রয়োগ।
- ভবিষ্যতের প্রযুক্তির জন্য পক্ষগুলির একটি স্থায়ী সম্মেলন আহ্বান করা: গ্লোবাল সাউথকে অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তনের আলোচনার জন্য কপ-এর অনুসরণে ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগুলির জন্য পক্ষগুলির একটি স্থায়ী সম্মেলন (কপ) আহ্বান করতে হবে৷ এই সংস্থাটি বার্ষিক ভিত্তিতে মিলিত হবে, যেখানে বহু–অংশীদার সম্প্রদায় — জাতীয় সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও কারিগরি সম্প্রদায় — নতুন প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, নতুন উদ্ভাবন উপস্থাপন এবং গতিশীল প্রযুক্তি বাস্তুতন্ত্রের সম্পর্কিত দিকগুলি এবং সমাজ ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে এর সম্পৃক্ততার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবে। .
- গার্হস্থ্য উদ্ভাবন বাস্তুতন্ত্রগুলিকে সংযুক্ত করা: আন্তঃসংযুক্ত জাতীয় উদ্ভাবন বাস্তুতন্ত্র নিশ্চিত করবে যে সমমনা দেশগুলি প্রযুক্তির বিকাশের জন্য তাদের সীমিত আর্থিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত মানবসম্পদ একত্রিত করবে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, কোয়ান্টাম বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় কমিশনের অগ্রণী গবেষণা উদ্যোগ কোয়ান্টাম ফ্ল্যাগশিপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও জাপানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে ইনকোকিউফ্ল্যাগ প্রকল্পের মাধ্যমে। একইভাবে, কোয়াডের কোয়ান্টাম ইনফরমেশন সায়েন্স ইন কোয়াড সেন্টার অফ এক্সিলেন্স রয়েছে। এটি ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তিগুলির মধ্যে একটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং তার উন্নয়নের জন্য গার্হস্থ্য উদ্ভাবন বাস্তুতন্ত্রগুলির একটি জালিকা তৈরির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করার গুরুত্বকে নির্দেশ করে, কারণ কোনও দেশ একাই ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির গভীর সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বা সংশ্লিষ্ট ঝুঁকিগুলি হ্রাস করতে পারে না।
আস্থার হাতিয়ার হিসেবে প্রযুক্তি
ইতিহাস জুড়ে, প্রযুক্তি ভূ-রাজনীতির চালক হয়েছে। নতুন উদ্ভাবন অর্থনীতি ও সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করেছে, এবং ক্ষমতা ও প্রভাবকে শক্তিশালী করেছে। তবুও, প্রযুক্তি পক্ষগুলিকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে আবদ্ধ করার সুযোগ হিসাবে কাজ করেছে। আজ, বর্ধিত ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকির সময়ে, বিভাজনের পরিবর্তে বিশ্বাস ও সহযোগিতাকে উৎসাহিত করে এমন কাঠামো ও বাস্তুতন্ত্র অনুসরণ করাই হল নেতাদের দায়িত্ব।
এই রচনাটি শেপিং কোঅপারেশন ইন আ ফ্র্যাগমেন্টিং ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট. -এর একটি অংশ।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.